Crush Villain,পর্ব ০২

Crush Villain,পর্ব ০২
লাবিবা ওয়াহিদ

বই পড়তে পড়তেই হাতঘড়ির দিকে তাকালাম। দুপুর ২ঃ২০ মিনিট!! ইশশশ! বেশ দেরি হয়ে গেলো। আজ কপালে কি যে দুঃখ আছে আল্লাহ জানে।

ভেবেই বইটা সঠিক জায়গায় রেখে কোনোরকমে ব্যাগটা নিয়ে বাসার দিকে দিলাম দৌড়। আমাকে এভাবে দৌড়াতে দেখে অনেকেই ড্যাবড্যাব করে দেখছে। দেখারই কথা যেভাবে দৌড়াচ্ছি মনে হচ্ছে যেনো অলিম্পিকে নেমেছি। আম্মাজানের উত্তম-মাধ্যমের ভয়ে কতোকিছু যে অনিচ্ছায় করতে হয় সেটা আল্লাহ ভালো জানে। এসব ভেবেই আপনমনে দৌড়ে ৫মিনিটেই বাসায় চলে গেলাম। দূর থেকে দেখলাম আম্মাজান আমার সদর দরজার সামনেই দাঁড়িয়ে। আজ হয়তো রক্ষা নেই ভেবে কাঁপা কাঁপা পায়ে আম্মুর সামনে এসে দাঁড়ালাম। আম্মু কঠিন গলায় জিজ্ঞেস করে বলে,”এতো দেরি হওয়ার কারণ কি মহাশয়ী?”

– ইয়ে মানে আম্মু লাইব্রেরি থেকে আসতে দেরি হয়ে গেছে।

– আবার লাইব্রেরি! বলি সারাক্ষণ এসব বই-টই নিয়ে পড়ে থাকলে চলে? বারবার মানা করেছি তোকে আমার কথা কেন শুনিস না।

– উফফ আম্মু ভেতরে তো ঢুকতে দেও প্রচুর খুদা পেয়েছে।

খুদার কথা শুনে আম্মু থেমে গেলো তারপর চোখমুখ কুচকে ভেতরে যেতে যেতে বলে,”ঠিকাছে আসেন রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে তাড়াতাড়ি নিচে আসেন।”

বলেই ভেতরে চলে গেলো।আমিও যেনো হাফ ছেড়ে বাচলাম। তারপর বাসায় ঢুকে নিজের রুমে চলে গেলাম। নিজের রুম দেখে তো মাথায় রক্ত উঠে গেলো। চিল্লিয়ে বললাম,”জোহায়ায়ায়ায়ায়ান!!!!”

আমার চিৎকার শুনে আম্মু একপ্রকার ছুটে আমার রুমে আসে এবং বলে,”কিরে কি হলো চেঁচাচ্ছিস কেন জোহানকে কেন ডাকছিস?”

– তো তোমার ছেলেকে কি পূজা করবো? দেখো তোমার গুণধর ছেলে আমার ঘরের কি অবস্থা করেছে!!(রেগে)

নিলুফা ইবনাথ পুরো রুমটা চোখ বুলালো। বিছানার চাদর অনেকটা এলোমেলো। বিছানায় একপাশে কয়েকটা খালি চিপসের প্যাকেট আর চিপসের গুড়াও ভরেছে। বালিশ এদিক সেদিন ফ্লোরে পরে আছে। পর্দাও এলোমেলো আর টেবিলের অবস্থা আরও খারাপ। ডেসিংটেবিলের উপর কিছু ওড়না ছড়ানো আর কাবার্ড থেকেও কিছু জামাকাপড়ও উলোটপালোট হয়ে আছে। এগুলো দেখলে যে কারোরই মাথা খারাপ হওয়া স্বাভাবিক। নিলুফা ইবনাথ বলে,”এই ছেলেকে নিয়ে পারিনা এতো দুষ্টু যে কিভাবে হলো বুঝিনা।”

– সেটা তোমার বুঝা লাগবে না ওরে তো আমি দেখে নিবো।

বলেই হনহন করে ওয়াসরুমে ঢুকে গেলাম। নিলুফা ইবনাথ সেখানে দাঁড়িয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের কাজে চলে যায়। আমি ফ্রেশ হয়ে এসে রুমের অবস্থা দেখে আবার মাথা নষ্ট হয়ে গেলো। ওড়নাটা গলায় ঝুলিয়ে রেগে জোহানের রুমে গেলাম কিন্তু রুমে পেলাম না। রুম থেকে বেরিয়ে আসার সময় ওয়াশরুম থেকে পানি পড়ার শব্দ পেলাম। আমি সাথে সাথে দাঁড়িয়ে যাই এবং ওয়াশরুমের দিকে তাকাই। ওয়াশরুমে শাওয়ারের শব্দের সাথে গুনগুন করে গান গাওয়ারও শব্দ শুনতে পাই। দাঁড়া আমার ভালোবাসার ভাই তোর পরম আবেশের গান আমি ছুটাচ্ছি। খুব করে না আমার রুমের ১২টা বাজিয়ে এসেছিস এখন দেখ তোর ১৪টা কি করে বাজাই।

ভেবেই জোহানের বেডে গিয়ে ধপ করে বসি। পাক্কা ৩০মিনিট বাদে মহাশয় ওয়াশরুম থেকে বেরিয়েছে তাও হিরোদের স্টাইলে তাওয়াল পেঁচিয়ে। আমি তো বুঝি-ই না এইটুকুনি পোলার এতো স্টাইল কই থেকে আসে। যেই পোলার নাক টিপলে দুধ বেড়োয় সেই পোলায় ওভার স্মার্ট ভাব দেখায়। তবে ভাই টা কার দেখতে হবে তো নাকি হুহ!

জোহান আমায় বসে থাকতে দেখে বলে,”আপু তুই আমার রুমে কি করিস!”

“রুম” শুনতেই আগের রাগটা আবার মাথায় চড়ে বসে। রেগে বলি,”আজ তোর ইজ্জতহরণ করতে এসেছি!”

জোহান ভয়ে কাচুমাচু হয়ে বলে,”মা.. মা.. মানে কিসব বলছিস তুই আপু?”

– হুহ ন্যাকা! এতো পাকনা পাকনা কথা বলতে পারিস তাহলে নিশ্চয়ই এটার মানে বুঝবি! আজ তোরে যে আমি কি করুম জোহাইন্না তুই স্বপ্নেও ভাবতে পারবি না!(চরম রেগে)

আমার রাগ দেখে জোহান ভয়ে সেখানেই থম মেরে দাঁড়িয়ে রয়। আমি গিয়ে ওর তাওয়ালটা টেনে খোলার চেষ্টা করতে লাগি কিন্তু তার আগেই জোহান অপর পাশটা ধরে বলে,”এই এই আপু তুই আমার তোয়াল টানছিস কেন?”

– বলসি না আজ তোর ওভারস্মার্ট গিরি ছুটাবো! হাত সরা তোয়াল দে!!

– এই এই না না! বইন আমার না কতো ভালা প্লিজ ছাড় আমার ইজ্জত শেষ হয়ে যাবে। এমন করে আমার পিছে লাগছিস কেন! ছাড় গামছা কেউ এসব দেখলে মুখ দেখাবো কি করে?

– বাপ্রে তুই আবার মাইয়া মানুষ কবে হইলি ভাই? এই না বুক ফুলিয়ে বলতি মান-ইজ্জত, লজ্জা শুধু মেয়েদের জন্যই আজ তোর তোয়াল দিতে সমস্যা কোথায়! আজ তুই মরে যা বা উষ্টা খা তাতে আমার কোনো আপত্তি নাই তবে আজকে তোরে আমি ছাড়বো না!!

জোহান তোয়াল দুইহাত দিয়ে ধরে অনেক আকুতি-মিনুতি করছে কিন্তু আমার এক কান দিয়ে সব ঢুকছে আর আরেক কান দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে। জোহান অনেকবার আমার রুমের ১২টা বাজিয়েছে আগে ছেড়ে দিলেও আজ এর হেস্তনেস্ত না করে কিছুতেই ছাড়বো না।

– বইন আমার এখন কি তোর পা ধরে তোরে থামাইতে হবে? ক্যান আমার পিছে লাগছিস!

– ক্যান রে ভাই আমার রুমের নাজেহাল অবস্থা করার আগে মনে ছিলো না? আজ তোর তোয়াল আমি নিয়া সেই তোয়াল দিয়া আমার রুম পরিষ্কার করবো আর তোর এই রূপে তোর সাথে আমি সেল্ফি নিবো!

– নায়ায়ায়ায়া একদম না!! আচ্ছা যা আর কখনো তোর রুমে আমি যাবো না কিচ্ছু করবো না বোন! এবারের মতো আমায় ছাড় কথা দিচ্ছি তোর রুমের দিকে ফিরেও তাকাবো না!

– সত্যি তো?

– হ্যাঁ তিন সত্যি! সত্যি সত্যি সত্যি!

– ওকে ছাড়লাম তবে শর্ত আছে।

– কিসের শর্ত?

– আমার রুম তুই গিয়ে পরিষ্কার করবি!

জোহান আমার দিকে অসহায় ভাবে তাকায়। আমি সেদিকে পাত্তা না দিয়ে বলি,”আমি যা বলেছি এটাই শেষ কথা! সময়মতো রুম পরিষ্কার যদি না দেখতে পাই এর থেকেও ভয়ংকর কিছু তোর জন্য থাকবে মনে রাখিস!”

বলেই নিচে খেতে চলে আসলাম। এদিকে জোহান রাগে ফুসছে। মনে মনে বলে,”বদলা নিবো!”

আয়াফ সবাইকে বিদায় জানিয়ে নিজের বাসায় চলে আসে। আয়াফের মা আয়ানা জুরাইজ আয়াফকে দেখে মুচকি হেসে বলে,”আরে আকিল তুই এখন আসলি আমি তোর লাঞ্চ নিয়ে কতোক্ষণ বসে আছি!”

আয়াফ বিরক্তি নিয়ে বলে,”ওহ কাম অন মা! এই আকিল নামে ডেকো না প্লিজ ভালো লাগে না। আই জাস্ট হেট দিস নেম!”

– তোকে আকিল ডাকবো না তো কি ডাকবো?

– আমার অন্য নামও আছে।

– থাক তাতে কি? তোর বাবা আর আমি মিলে ভালোবেসে এই নামটা রেখেছি সো তোকে তো আকিল নামেই ডাকবো সে তোর ভালো লাগুক আর না লাগুক।

– মা ট্রুলি আই হেট দিস নেম! আর এটা কোনো নাম হলো তুমি-ই বলো। “আকিল” নামটা কেমন বলদা বলদা টাইপ। কোন দুস্বপ্ন দেখে তোমাদের এই নামই আমার জন্য চুজ করতে হলো ধুর!

বলেই হনহন করে আয়াফ উপরে চলে গেলো। আর আয়ানা জুরাইজ সেখানে বসেই খিলখিলিয়ে হেসে দেয়। সত্যি তার ছেলেটা অনেক বড় হয়ে গেছে তাই নিজের ভালোমন্দ বেশ বুঝে। কিন্তু ছেলেটা ভালোবাসার মানেটা এখনো বুঝলো না। কি যে করবে এই নিরামিষ ছেলেটাকে নিয়ে আল্লাহ ভালো জানে।

ভেবেই দীর্ঘশ্বাস ফেলে আয়ানা জুরাইজ।

নিজে দাঁড়িয়ে থেকে জোহানকে দিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে কাজ করানোর পর এখন বেশ ক্লান্ত লাগছে। দরজা লক করে ধপ করে বিছানায় শুয়ে পড়ি। চোখ বন্ধ করতেই আয়াফের চেহারাটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো। সাথে সাথে চোখ খুলি আর রাগে ফুসতে থাকি! ব্যাটা বজ্জাত, কুমড়াপটাশ, আমার লাইফের বিগ ভিলেইন! আমাকে চড় মারছিস সবার সামনে এতো সাহস তোর!

হঠাৎ কি যেনো ভেবে বিছানা ছেড়ে উঠে আয়নার সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। ডান গালে তাকিয়ে দেখি ৫ আঙ্গুলের ছাপ জ্বলজ্বল করছে। আয়নার দিকে রেগে নিজের প্রতিচ্ছবির দিকে তাকিয়ে বলি,”প্রতিটা আঙুলের ছাপের বদলা আমি শুধে আসলে নিবো মিস্টার ক্রাশ নামক ভিলেইন!!!”

হঠাৎ ফোন বাজার শব্দ শুনতে পাই। বিছানায় গিয়ে বালিশের পাশে থেকে ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি আলিজার[মার্জান নাম পরিবর্তন করে আলিজা রাখা হলো।] কল। আমি ফোনটা সাইলেন্ট করে বালিশের পাশে ফেলে শুয়ে পড়লাম আর একটা লম্বা ঘুম দিলাম।

আলিজা বারবার সানিয়াকে কল করছে কিন্তু সানিয়া ফোন রিসিভ করছে না। আলিজা হতাশ হয়ে গেলো পাশে থাকা বেঞ্চে বসে পড়ে। কিছুক্ষণের মাঝেই ন আসে এবং আলিজার পাশে বসে। আলিজার খেয়ালই নেই নীল যে তার পাশে, সে এক ধ্যানে ভাবছে সামান্য মজা করতে গিয়ে এতোকিছু হয়ে গেলো। নীল গলা পরিষ্কার করতেই আলিজার ধ্যান ভাঙে এবং সে পাশে তাকায়। অবাক হয়ে বলে,”তুমি!”

– হুম আমি।

– কখন এলে?

– আপনার ভাবনার মাঝেই এসেছি ম্যাডাম তা কি এতো মনোযোগ দিয়ে ভাবছিলেন?

– ও কিছুনা আজ সানিয়াকে তোমার ফ্রেন্ড সবার সামনে চড় মেরেছে। সেই থেকে সানিয়া আমার সাথে কথা বলা বন্ধ করে দিয়েছে।(সামনে তাকিয়ে)

নীল কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলে,”তার মানে লেটারটা তুমি দিয়েছো?”

আলিজা মাথা নাড়ায়। নীল হঠাৎ বুকের বা পাশে কেমন চিনচিন ব্যথা অনুভব করলো। কিন্তু কেন তার অজানা! সে কি আলিজাকে ভালোবাসে? প্রথম যেদিন আলিজার সাথে তার পরিচয় হয় সেই থেকেই নিজের অজান্তেই আলিজাকে তার ভালো লাগতে শুরু করে। নানা কৌশলে আলিজার ক্লোজ হয়ে যায়, দুজন মিলে ঘুরে বেড়ায়। কিন্তু এখন আয়াফের সাথে এই কাহীনি হওয়ায় তার নিজের খারাপ লাগছে। নীল নিজেকে সামলে আলিজাকে প্রশ্ন করলো,”আয়াফকে ভালোবাসো?”

– এতোদিন তো ভাবতাম ভালোবাসি কিন্তু ভালোবাসা কি জিনিস সেটা আমি নিজেও আজ অব্দি উপলব্ধি করতে পারিনি। আয়াফ তো জাস্ট ক্রাশ আর ক্রাশকেই এতোদিন ভালোবাসা ধরে এসেছি হয়তো। আর আমার এই ছোট ভুলের জন্য সানিয়াকে অপমান হতে হলো সত্যি অনেক অপরাধী লাগছে নিজেকে।

নীল একটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। তারপর আলিজাকে শান্তনা দিয়ে বলে,”নিজেকে দোষারোপ করিও না, মানুষ মাত্রই ভুল যেটা তুমিও করেছো আর আয়াফও করেছে। তুমি তোমার ভুল টা বুঝতে পেরেছো এটাই অনেক। সানিয়াকে এখন ফোন দিয়ে বিরক্ত করে লাভ নেই ওকে সময় দাও দেখবে সব ঠিক হয়ে যাবে জাস্ট একটু সময় লাগবে।”

আলিজা মিষ্টি হেসে মাথা নাড়ায় সাথে নীলও। আলিজা বলে,”তোমাকে কেন ভালোলাগে জানো? তুমি আমায় সবসময় সঠিক পরামর্শ দাও। তোমার সাথে কথা বললে তোমার থেকে পরামর্শ নিলে নিজের অজান্তেই মনে শান্তি চলে আসে। সবসময় থাকবে তো এমন বন্ধু হয়ে?”

নীল মৃদ্যু হেসে আলিজার হাতে হাত রেখে চোখ দিয়ে আশ্বাস দিয়ে বলে,”থাকবো সবসময় তোমার পাশে ছায়ার মতো থাকবো! আমাদের বন্ধুত্বের মাঝে কোনো বাধা আসতে দেবো না।” আলিজা মুচকি হাসে।

পরদিন,,

আলিজাকে ছাড়াই ভার্সিটিতে এসেছি। আনমনে হাঁটছি আর ভাবছি। হঠাৎ-ই সামনে একটা মেয়ের কথায় কানে ভেসে এলো। সামনে তাকিয়ে দেখি একটা মেয়েকে একটা ছেলে টিজ করছে খারাপভাবে কিছুক্ষণ পরপরই টাচ করে। ছেলেটা কালো একটা শার্ট পড়েছে আর সামনে ফিরে থাকায় ছেলেটার চেহারা দেখা যাচ্ছে না। আমি আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম কেউ দেখছে কিনা, কেউ থাকলে তাকে নিয়ে ছেলেটার নাজেহাল করতে পারতাম আর কি। সামনে তাকিয়ে দেখি মেয়েটা নেই কিন্তু সেখানে ছেলে….. আয়ায়ায়ায়ায়াফ!!! এর মানে আয়াফ এতোক্ষণ মেয়েটাকে টিজ করছিলো? ছিহ এতো খারাপ এই আয়াফ!

ভেবেই তার দিকে ছুটে গিয়ে কষিয়ে চড় মারলাম যেমনটা সে আমায় কাল মেরেছিলো।

আমি ফোন টিপতে টিপতে হলরুমের দিকে যাচ্ছিলো হঠাৎ আমার অজান্তেই কেউ এসে জোরে চড় লাগিয়ে দেয়। আমি গালে হাত দিয়ে অগ্নিদৃষ্টিতে সামনে তাকাই এই ভেবে কার এতো বড় সাহস যে এই আয়াফ জুরাইজকে চড় মারে। সামনে তাকিয়ে দেখি কালকের সেই মেয়েটি। আরও মাথা গরম হয়ে গেলো। আমি কিছু বলতে নিতেই আমায় থামিয়ে মেয়েটি বলতে শুরু করে,”ছিহ আপনি তো দেখছি সেইরকম চরিত্রহীন! নিজেকে কি মনে করেন আপনি? এই ভার্সিটির অওনারের ছেলে বলে যা নয় তাই করে বেড়াবেন আর কেউ আপনাকে কিছু বলার সাহস পাবে না? ক্ষমতা হাতে বলে মেয়েদের সম্মানও আপনার হাতে? ছি ছি ছিহ! আপনাকে কতো ভালো ভেবেছিলাম আর আপনি কিনা আজ নিজের আসল রূপ দেখিয়ে দিলেন বাহ!”

মেয়েটার কথায় মেজাজ সপ্তম আসমানে উঠে বসে। কিছু না জেনে বুঝে এভাবে আমার চরিত্রের সার্টিফিকেট দিচ্ছে!!

আয়াফকে আরও কিছু বলার আগেই আমাকে তার শরীরের যতো শক্তি আছে তা দিয়ে আমায় জোরে চোর মারলো। আমি টাল সামলাতে না পেরে ফ্লোরে পরে গেলাম!!

চলবে!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here