Accounting_Teacher,13,14

Accounting_Teacher,13,14
Written_by_Ritu_Rosni
Part 13
.
আল্লাহ গো,আমার যে কি হবে আজ😰😰
বাচাও তুমি আমারে এই জল্লাদের হাত থেকে।
বলতে বলতে আবার ফোনটা বেজে উঠলো।
ক্রিং ক্রিং….
ভয়ে তো আমার এখনি কাপাকাপি শুরু হয়ে গেছে।কি যে কপালে আছে আমার।😒ভাব ঋতু ভাব,,তোর তো আবার বুদ্ধির অভাব নাই😁
ইয়েসসসস😊পেয়েছি।
হ্যালো!!(ফোন টা রিসিভ করে নরম সুরে)
—ফোন রেখে কোথায় গেছিলে??রাত্রে কি বলেছিলাম সব ভুলে গেছো??😡
ফোন ধরতে এত সময় লাগে কেনো??😡(শুভ্র)
—আল্লাহ গো কি বলবো সব তো গুলিয়ে যাচ্ছে😰
না বলতে পারলে তো আমাকে শুকিয়ে আম শুটকি করে খাবে😰(মনে মনে ভাবছি)
–কি হলো?চুপ করে আছো কেনো????😡
—হু,সরিি স্যার!!আমি না আসলে বুঝতে পারিনি আপনি কল দিয়েছেন।ফোনের কাছে ছিলাম না তো।(অসুস্থের ভান করে)
—ঋতু!!তুমি ঠিক আছো তো??কি হয়েছে তোমার??তুমি এভাবে কথা বলছো কেনো?(অস্থির ভাব নিয়ে)
–হু,ঠিক আছি।একটু মাথা ব্যাথা আর জ্বর এসেছে তাই আরকি।(আমি)
—কিিিিহহহহ!!তোমার জ্বর এসেছে আর আমাকে জানাও নি??রাত্রে তো ভালোই ছিলে,এখন আবার জ্বর আসলো কোথা থেকে?(শুভ্র)
—স্যার!!সময় টা তো ভালা না,,ঋতুর পরিবর্তন ঘটছে তো তাই,সবারই হচ্ছে।(আমি)
—ডক্টর দেখাও নি?মেডিসিন নিয়েছ??ওয়েট আমি উপরে আসছি।(শুভ্র)
–আল্লাহ উপরে চলে এলে তো আমি ধরা খেয়ে যাবো।আমায় এই জল্লাদ টাকে আটকাতেই হবে যে করেই হোক।(মনে মনে)
নাাাাাআাাহহ!!স্যাররর আপনাকে আর কষ্ট করে উপরে আসতে হবে না।আমি মেডিসিন নিয়েছি ঠিক হয়ে যাবে আপনাকে এসব ভাবতে হবে না।আর তাছাড়া আব্বু বাসায় আছে এখন প্রবলেম হবে।(আমি)
—কিছুক্ষণ ভেবে,অকে।তুমি তাহলে রেস্ট নাও।পরে আবার কল দিবো নে।Take Care,bye.
—বাই।
😁😂😃যাক জল্লাদ টাকে তো বোকা বানাতে পারলাম।💃💃
যাও বাবু এখন বসে বসে আঙ্গুল চুষো😁
–কলেজে এসেছি, আজকে ক্লাসে মনোযোগ নেই।লেকচার দিতে ভালো লাগছে না।😒
কি যেনো নেই,,শূন্যতা কাজ করছে।কেমন যেনো বিরহ লাগছে।
ক্লাস নিতে গেলে মনে হচ্ছে ঋতু খিলখিলিয়ে হাসছে।
কিন্তু ও তো এখানে আসবে কিভাবে?
আমার কানের কাছে মনে হচ্ছে এসে বলছে জল্লাদ, ডেভিল ব্ল্যা ব্ল্যা….
নিজে নিজেই হাসছি😂😂
এটা আমার মনের ভুল?ওকে নিয়ে একটু বেশিই ভাবছি আমি।
নাহহহ!!আজকে আমি ক্লাস করাতে পারবো নাহহহ।সব গুলিয়ে যাচ্ছে।(ঋতু)
—আজকে জল্লাদ কে মিথ্যে বলে পাঠিয়ে দিয়েছি।
অভি ভাইয়া এসেছিল বললো ঘুরতে যাওয়ার জন্য।আমারো ভালো লাগছিল না বাসায় একা একা।ভাবলাম ঘুরতে গেলে আর মন্দ হবে না।তাছাড়া অভি ভাইয়ার সাথে ঘুরতে আমার ভালই লাগে।একদম বোকা সোকা,,আমি যা বলি তাই করে হাসি মুখে।আমার সব আবদার পূরণ করে।
দেখতে একদম গুলুমুলু😍(উচ্চতা ৫.৯”, শ্যাম বর্ন😲,একদম ইনোসেন্ট,মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে জব করে)
,,
রেডি হলাম
ব্লু জিন্স,ওয়াইট কালারের লং জামা আর ম্যাচিং করে ওড়না।
সাথে হাল্কা মেকাপ।চুল গুলো খোপা করে।
আমি সাজতে পছন্দ করি তবে সব সময় না।
রেডি হয়ে নিচে গেলাম।
দেখলাম অভি ভাইয়া ওয়েট করছে আমার জন্য।
😲😲😱ব্লু জিন্স,ওয়াইট শার্ট,ক্রিম কালারের ব্লেজার।চোখে সানগ্লাস।
আমি তো পুরাই ক্রাশড।(আমি)
—আমি আবার নতুন করে আমার মায়াবতীর প্রেমে পড়ে গেলাম।আজকে নাহ লাগছে দেখতে।👌Just Owo..
বাব্বাহহ,দুজনেই ম্যাচিং😊😊
ভাবছি আর কতোদিন মনের মধ্যে চাপা দিয়ে রাখবো আমার না বলা ভালোবাসার কথা।
আজকে যে করেই হোক আমাকে আমার মনের কথা,,এতদিনের জমানো ভালোবাসার কথা ঋতুকে জানিয়ে দিতে হবে।নইলে দেরি হয়ে গেলে আমাকে সারাজীবন পস্তাতে হবে।(মনে মনে বলছি)
—ঐ ভাইয়া,কি হলো??কই হারিয়ে গেলে বলো তো?
সেই কখন থেকে ডাকছি তোমায়?(আমি)
—হু,কিছুনা।
—viya,আমি না তোমার উপ্রে ক্রাশিত😍😍
তোমাকে না আজকে লাগছে একদম👌👌ফাটাফাটি।(আমি)
—বলছিস??
–হু
—তো ম্যাম আপনি কি যাবেন?নাকি এখানেই দাড়িয়ে থাকার ইচ্ছে আছে??(অভি)
–হু,যাবো তো।তবে তোমার ঐ দু চাকার বাইকে চড়ে না।(আমি)
—তো?যাবি কি করে?(অভি)
—কেনো???রিক্সা করে।
–ওকে ম্যাম!!যথা আজ্ঞ।(অভি)
এই দাড়া তো এখানে
–কও
–মনে হচ্ছে কিছু একটা মিসিং😒উমমম,,
চুল ছেড়ে দিলেই তোকে ভালো লাগে।এখন একদম পারফেক্ট👌
—অভি ভাইয়া হঠাৎ দাড় করিয়ে আমার চুল গুলো ছেড়ে দিলো।
,,
রিক্সাতে……..
বাতাসে ওর চুল গুলো উড়ছে।কিছু চুল আমার মুখে এসে আছড়ে পড়ছে।
ওর চুল দিয়ে এক মাতাল করা ঘ্রাণ বের হচ্ছে।একদম নেশা লাগানো।না চাইতেও চোখটা বার বার ওর দিকে চলে যাচ্ছে।ওর হঠাৎ করে খিলখিলিয়ে হেসে উঠা,হাত নেড়ে নেড়ে কথা বলা।হুটহাট করে পাগলামি করা সব কিছুই আমার ভালো লাগে।
শুনেছি ভালোবাসলে নাকি ভালোবাসার মানুষের সব কিছুই ভালো লাগে।😍😍
মাঝে মাঝে হেসে হেসে আমার গায়ের উপর লুটিয়ে পড়ছে।আর আমি মুগ্ধ নয়নে ওর দিকে তাকিয়ে আছি।
ওর বলা কথা গুলো আমার মাথার উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে।আমার সেদিকে খেয়াল নেই আমি তো দেখছি আমার মায়াবতী কে।😍
,,
আজকে অভি ভাইয়ার আচরণ গুলো কেমন যেনো অদ্ভুদ অদ্ভুদ লাগছে।সারাক্ষণ আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
চোখ দুটি যেনো আমায় কিছু বলতে চাইছেে।কিন্তু আমি তো এ চোখের ভাষা পড়তে জানি না।
ভাইয়া..
–হুমম,কিছু বলবি?(অভি)
–তোমার কি কিছু হয়েছে?তুমি ঠিক আছো তো?(আমি)
–কেনো??আমি কি মেয়ে নাকি যে আমার হবে?😜(অভি)
–😂😂
,,
আরে আরে মামা রিক্সা রাখেন,,(আমি)
–কি রে কি হলো তোর আবার?রিক্সা থামালি কেন?(অভি)
—ফুসকা,আমি ফুসকা খাবো।😒
–কই ফুসকা?
—ঐ তো💃
—বিল মিটিয়ে ফুসকার দোকানে গেলাম পাগলির আবদার রাখতে।
,,
মামা,দুই প্লেট ফুসকা দাও তো…
–দুই প্লেট কি করবি?(অভি)
—কেনো?তুমি খাবে না?(আমি)
—নাহহ,তুই খা।
অকে,মামা তাহলে একটা ফুল প্লেট ফুসকা আমাকে দাও।আর ঝাল টা একটু বেশি করে দিবা যাতে আমার চোখ দিয়ে পানি পরে।(আমি)
—-আইচ্চা
—😲😲😲সে কিরে?এত্ত মরিচ নিলি কেন?
–কেনো?খাবো।
—খাইতে পারবি না রাখ।
,,
যা বলেছি তাই,,ঝালে একদম চোখের পানি নাকের পানি এক করে ফেলেছে বেচারি।যেটা খেতে পারিস না খেতে যাস কেনো তাহলে??(অভি)
—আমি কি জানতাম নাকি,যে এত্ত ঝাললল
ওমাাাগোোোো,,ঝালললল,,উউউউউ ঝালের চোটে দৌড়াচ্ছে।পানিিি,পানিিিিিিিিি(আমি)
—-দোকানদারকে পানির কথা বললে বললো নাই,আমি এখন পানি কোথায় পাবো এখানে😒দোকানদার বললো রাস্তার ওপারে নাকি পাওয়া যাবে।
তুই এখানে চুপটি করে বস আমি এখনি পানি নিয়ে আসছি।কোথাও যাবি না কিন্তু(অভি)
—কিছু না বলে মাথা ঝাকালাম😍
,,
বাসায় যাচ্ছিলাম কলেজ থেকে।গাড়ির ভেতর থেকে মনে হলো ঋতুকে দেখলাম।
গাড়ির ব্রেক কষে পিছিয়ে গেলাম।দেখলাম সেদিনের ঐ ছেলেটার সাথে ফুসকা পার্লারে এসেছে।যা দেখে আমার মাথা গরম হয়ে গেলো।
বজ্জাত, শয়তান মেয়েটার কত্তবড় সাহস😡😡আমি নিষেধ করার পরেও😡
আমাকে না বললো ওর জ্বর মাথা ব্যাথা।তাহলে এখানে কি করতে আসছে?😡
তার মানে আমাকে সকালে মিথ্যে বলেছিল?……
.
.
.Accounting_Teacher
Part___14
Written_by_Ritu_Rosni
.
.
আমাকে না বললো ওর জ্বর মাথা ব্যাথা।তাহলে এখানে কি করতে আসছে?
তার মানে আমাকে সকালে মিথ্যে বলেছিল?কত্ত বড় বেয়াদব আমাকে মিথ্যে বলা।মন চাচ্ছে মাথার উপরে তুলে আছাড় দেই।
গিয়ে সোজা ওকে ধরে গাড়িতে বসিয়ে দিলাম।
—অভি ভাইয়া পানি আনতে কোথায় যেনো গেলো।এদিকে আমার ঝালের চোটে চোখ দিয়ে অনরবত পানি পড়ছে।কেনো যে পাগলামি করি এতো।
হঠাৎ মনে হলো পেছন থেকে কেউ আমার হাত ধরে টান দিলো।খুব ভয় করছে,পাগল টাগল নয়তো? আমি আবার পাগল দেখে খুব পাই।
একি রে,আমার হাত ধরে তো টেনে নিয়ে যাচ্ছে।
পেছনে ঘুরে তো আমি আৎকে উঠলাম।এ আমি কাকে দেখছি??সয়ং যমরাজ আমার সামনেই দাড়িয়ে আছে।
জল্লাদ টা কে দেখে আমার কলিজার সব পানি শুকিয়ে গেছে।
কোথায় ঝাল সব নিমিষেই ভয়ে উধাও।
আজকে নিশ্চিত আমার জান টা কবজ করে দেবে।
টানতে টানতে গাড়িতে বসিয়ে লক করে দিল।
–একিিিিিিি!!আপনি আমাকে এখানে নিয়ে এলেন কেনো???অভি ভাইয়া এসে তো আমাকে খুজে না পেলে টেনশন করবে।
——–
কি হলো??কথা বলছেন না কেনো???আমি আপনাকে কিছু বলছি।চুপ করে থাকবেন না।আমি কিন্তু চিল্লাবো।
—এতক্ষণ অনেক কষ্টে নিজের রাগ টাকে কন্ট্রোল করে রেখেছিলাম কিন্তু এই মেয়েটা বক বক করেই যাচ্ছে।
—এতক্ষণে খেয়াল করলাম জল্লাদ টার চোখ মুখ একদম লাল হয়ে আছে।যেভাবে তাকিয়ে আছে মনে হয় আমাকে ঐ চোখের আগুনেই ভস্ম করে দেবে।
কোনো কথা না বলে একদম ফুল স্পিডে গাড়ি চালাচ্ছে।আমার তো ভয়ে একদম……
.
—পানি এনে দেখলাম ঋতু নেই।এত করে বলে গেলাম যেনো কোথাও না যায় এখানেই চুপ করে বসে থাকে।আর ও
কোথায় গেলো ফাজিল মেয়েটা?এক জায়গায় যদি একটু শান্ত হয়ে বসে।
আমি এখন কোথায় খুজবো ওরে?(অভি)
,,
—খেয়াল করে দেখলাম ঋতু ভয়ে একদম এক কোনায় জড় সড় হয়ে বসে আছে।
দেখেই বুঝা যাচ্ছে অনেক ভয় পাচ্ছে।
ওর এই ভিতু মুখটা দেখে আমার সমস্ত রাগ যেনো নিমিষেই হারিয়ে গেলো।
কেমন বাচ্চাদের মতো চুপ করে আছে।
গাড়িটা ফার্ম হাউজে গিয়ে পার্ক করলাম।বিকেল বেলার মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশ।বিকেল বেলা এখানে ছোট বড় সবাই আসে।আমার মন খারাপের সময় টাতে আমি এখানেই আসি।এটা সাধারণ পার্কের মতোই আমরা ফার্ম হাউজ বা হটি কালচার বলে থাকি।
জায়গা টা পাবনা জেলায় টেবুনিয়া বাজারের পরেই।
পাশেই আছে রেল স্টেশন।
বিকেল বেলা সব কাপল,কপোত কপোতী রা সময় কাটাতে এখানে আসে।চারিদিকে নারিকেল সুপারি গাছের সারি।মাঝখানে আম,জাম,কাঠাল,বর
ই,লিচু সব ফলের বাগান।
পাশে ফুলের বাগান ও আছে।ফুটে আছে হরেক রকমের হরেক প্রজাতির ফুল।Just OWo (Shuvrro)
,,
গাড়িটা এনে ফার্ম হাউজে পার্ক করলো জল্লাদ টা।
আমার সব চেয়ে পছন্দের জায়গা এটা।সময় পেলেই ঘুরতে চলে আসি।
গ্রীষ্মঋতুতে আরো সুন্দর লাগে ফার্ম হাউজ কে।
আমি ইচ্ছে মতো সেল্ফি তুলেই যাচ্ছি।আমি না আবার একটু সেল্ফি পাগলি।(আমি)
—ঋতুকে দেখে মনে হচ্ছে এখানে আনায় খুব খুশি হয়েছে।বাচ্চাদের মতো খালি দৌড়ে বেড়াচ্ছে।
ওর খুশি দেখে মনে হচ্ছে যাক এখানে আনাটা আমার সার্থক হয়েছে।
বাতাসে উড়ছে ওর দীঘল কালো ঘন চুল।
মনে হয় রবীন্দ্রনাথ থাকলে নিশ্চিত এতক্ষণে ওকে নিয়ে একটা কবিতা লিখে ফেলতো।
ওর অজান্তেই ওর কিছু পিক তুলেছি।(শুভ্র)
— হাওয়াই মিঠাই
এখানে হাওয়াই মিঠাই পাওয়া যায় জানতাম না তো।
লোকটাকে দাড় করিয়ে ২টা প্যাকেট নিলাম।
কিন্তু একিিিিিি??? টাকা দিতে গিয়ে দেখি আমার পার্স টা তো সাথে আনি নি।
হয়তো কোথাও পড়ে গেছে।এখন কি করি???
—হাওয়াই মিঠাই ওয়ালাকে দাড় করিয়ে হাওয়াই মিঠাই নিলো।
মুখে চিন্তার ভাব ফুটে উঠেছে।মাত্রই তো হাসি খুশি দেখলাম হঠাৎ কি হলো???
কি হয়েছে?চুপ করে দাড়িয়ে আছো যে??(শুভ্র)
—আমার ট্যাহা ডা দিয়া দেন খালা,,আর কতক্ষণ খাড়ায় থাহুম এহেনে।(মিঠাই ওয়ালা)
—দেখলাম মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে ঋতু।বিষয় টা খুব ভাবাচ্ছে।
কি হলো ঋতু?ওনার টাকা টা দিয়ে দাও,উনি আর কতক্ষণ দাড়িয়ে থাকবে বৃদ্ধ মানুষ? (শুভ্র)
—স্যারর!!আসলে আমার পার্স টা হয়তো কোথাও পরে গেছে।এখন আমি….(আমি)
—বিষয় টা এখন ক্লিয়ার হয়ে গেলো।হাওয়াই মিঠাইয়ের টাকা পরিশোধ করে দিয়ে আসতে গেলে ঋতু যা করলো তার জন্য আমি মোটেও প্রস্তুত ছিলাম না।আমার তো চোখ কপালে।ও যে এটা করবে ভাবতেও পারি নাই।
.
.
.
(চলবে)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here