Accounting Teacher,part:-23,24

Accounting Teacher,part:-23,24
Ritu Rosni
Part 23
.
.
—উহু,ধন্যবাদ যদি দিতেই হয়,তাহলে উনাকে দে।
এই সব কিছুই উনি এরেন্জমেন্ট করেছে।
আমরা তো শুধু তোকে এখানে মিথ্যে বলে নিয়ে এসেছি।(নুপু)
—সামনে তাকিয়ে তো আমি😱😱😱 পুরাই হা
আংকেলের ছেলে থুক্কু,জল্লাদের বংশ টা আমার সামনে দাড়িয়ে। নীল ব্লেজার সাথে ব্ল্যাক শার্ট😱 চোখে সান গ্লাস😎,খোচা খোচা দাড়িতে
পুরাই হিরো লুক।এই জল্লাদ টা এত্ত কিউট ক্যান😒।
খালি ক্রাশ খাই।
দেখতে যে এত্ত গুলুমুলু কিন্তু বিহাভ টা পুরাই জল্লাদ টাইপের।
আমার তো চোখের পলক পড়ছেই না উনার উপর থেকে আজ।মনে হচ্ছে এভাবেই চেয়ে থাকি,,আচ্ছা ছেলে মানুষের এত্ত সুন্দর হওয়ার কি আছে??
আমার খুব হিংসে হয় এই জল্লাদ টাকে দেখে,আচ্ছা উনি আসার সময় মনে হয় রাস্তার শাকশুঁটকি গুলা হা করে তাকিয়ে ছিল মনে হয়😡
হঠাৎ জল্লাদ টা আমার কানের কাছে এসে ফিস ফিস করে বলছে,
এভাবে তাকিয়ে থেকো না প্রেমে পড়ে যাবে।বলেই একটা শয়তানি হাসি দিলো।
শুভ্রের কথা শুনে ঋতু ব্লাশিং হচ্ছে।
—ইশশশ!!কি লজ্জা 😊
লোকটা এমন কেনো😒
আমি তো ভাবতেই পারছি না যে উনি এখানে আর আজকের সব আয়োজন উনিই করছে।
—তবে যাই হোক আজকে আমি খুব হ্যাপি!!
একটা থ্যাংকস তো পেতেই পারে।
,,
অনেকক এনজয় করলাম সবাই মিলে,সব কিছুর কৃতিত্ব উনারই।
সন্ধ্যা হয়ে আসছে সবাই যে যার মতো বাসায় চলে যাচ্ছে।খুব টেনশন হচ্ছে সন্ধ্যা ৬ টা অলরেডি বাজতে চললো এখনো আমি বাসায় যেতে পারলাম না।সবাই কত্ত টেনশন করছে না জানি।আজকে তো আম্মু আমায় নির্ঘাত শুড়ে চড়াবে😰
ভাবতেই ভীষণ কান্না পাচ্ছে।
গাড়ির জন্য ওয়েট করছিলাম ঠিক তখনি জল্লাদ টা এসে বললো,গাড়িতে যেতে হবে না আমিই ড্রপ করে দিয়ে আসছি চলো।
—নাা নাহহ,, আমি একাই যেতে পারবো।আপনাকে কষ্ট করতে হবে না আর।আপনি চলে যেতে পারেন।(আমি)
—এই মেয়ে!!আমি তোমার থেকে জানতে চেয়েছি যাবে কি না??কোনো কথা হবে না,
চুপচাপ গিয়ে বসে পড়ো।(শুভ্র)
—হুহহহহ,,জল্লাদ তো জল্লাদই।
বিড়বিড় করতে করতে গাড়িতে বসে পড়লো।

কিছুক্ষণের মাঝে বাসাতেও চলে এলাম।
খুব ভয় করছে না জানি ভেতরে আমার জন্য কি অপেক্ষা করছে।কারণ এর আগে কখনো এতো দেরিতে বাসায় ফিরিনি।
আল্লাহর নাম নিয়ে এক পা দু পা করে আগাতে লাগলাম।
কলিং বেল আর দেওয়া লাগলো না,দরজা খোলাই আছে দেখলাম।
উকি দিয়ে দেখলাম কাউকে দেখা যায় কি না,,নাহ আশে পাশে তো কাউকেই দেখছিনা।😎
চোরের মতো পা টিপে টিপে রুমের দিকে যাচ্ছিলাম হঠাৎ পেছন থেকে ঋতু বলে কেউ ডেকে উঠল।
যেখানেই বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যে হয়😰
–জ্বি আন্টি
—আজ এতো দেরি হলো কেনো আসতে??(অভি ভাইয়ার আম্মু)
–ইয়ে মানে আন্টি!!
—ওতো মানে মানে করছিস কেনো??আমি বাঘ নাকি ভাল্লুক?ভয় পাচ্ছিস আমায়,,
ঠিক আছে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে বিশ্রাম নে।(আন্টি)
—জ্বি আচ্ছা।😊
কি ব্যাপার!! আংকেল-আন্টি,বোকারাম😍
সবাই আসছে দেখি।ডাল মে কুচ কালা হেয়😊
আগে গোসল টা দিয়ে নেই,তারপরে অন্যকিছু।
,,
রাত্রে বই নিয়ে নাড়াচাড়া করছিলাম, হঠাৎ আব্বু আম্মু দুজনেই একসাথে আমার রুমে আসলো।
সচরাচর আব্বু আমার রুমে আসে না খুব একটা,দুজনকে একসাথে দেখে আমার একটু খটকা লাগলো।
সবকিছু ঠিক আছে তো????
—কি করছে আমার মা টা?(আব্বু)
—বই পড়ছিলাম আব্বু,,
আজ হঠাৎ তোমরা আমার রুমে??সব কিছু ঠিক আছে তো আব্বু??(আমি)
–হুমমম,,সবকিছু ঠিক আছে মা।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে।হয়তো কি বলবে সে কথাগুলো গুছিয়ে নিচ্ছে।
মারে তোকে না জানিয়ে আমি একটা বড় সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি।তুই রাগ করবি না তো বাবার ওপরে??(আব্বু)
–আব্বু কি সিদ্ধান্ত নিয়েছ,আর রাগ করবো কেনো??
কি বলছো আমি কিছুই তো বুঝতেছি না।
–হুমম,আমি তোকে না জানিয়ে অভির সাথে তোর বিয়ে ঠিক করে ফেলেছি।
–কিইইইহহহ😱বিয়ে??তাও আবার অভি ভাইয়ার সাথে😱(আমি)
–হুমম!!বাবার ওপরে খুব রাগ করেছিস মা??অবাক হচ্ছিস যে??
দেখ মা মেয়ে হয়ে জন্মেছিস, সব মেয়েকেই একদিন পরের ঘরে যেতে হয়।এটাই নিয়ম।।কাল ক্রমে তোর মা দাদি।
আর অভি খুব ভালো ছেলে।ওর মতো ছেলেই হয় না।
দেখিস তোকে রাজরানি করে রাখবে ও।
তারপরেও যদি তোর পছন্দের কেউ থেকে থাকে তো আমাদের বলতে পারিস।
—না নাহহ!!বাবা কি বলছো তুমি।
আমি তোমার ওপরে কি রাগ করতে পারি।
আমি জানি আমার বাবা যা করবে আমার ভালোর জন্যই করবে।তুমি নিশ্চিন্তে থাকতে পারো আব্বু।আমি তোমার পছন্দের #হিরের_টুকরো_অভি কেই বিয়ে করবো।😆😆
বলেই হেসে দিলাম।
—আমি জানতাম,,
দেখেছো ঋতুর আম্মু,আমি বলেছিলাম না।আমার মা আপত্তি করবে না।আমার মা আমার সিদ্ধান্তই মেনে নিবে।
আমি আজকে খুব খুশি রে মা।😍
কপালে একটা চুমু একে বুকে জরিয়ে কিছুক্ষণ রাখলেন।
—অনেকদিন পরে আব্বুর মুখে এই হাসিটুকু দেখলাম।
এই হাসির জন্য সবকিছুই করতে পারি আমি।আব্বু তুমি কিছু ভেবো না।আমি বেচে থাকতে এমন কিছুই করবো না যে সমাজের চোখে তুমি নিচু হও।😍
,,
সকালে,,,,,,,
অভি ভাইয়া তার বাইকে করে ভার্সিটিতে দিয়ে গেলো।
সারারাস্তা দুজন খুনসুটি পাগলামো করতে করতে এসেছে।
কেউ না দেখলেও এক জোড়া চোখ ওদেরকে ঠিকই ফলো করেছে।
রবি সীমের মতো জ্বলছে আর লুচির মতো রাগে ফুলছে😡😡
,,
ক্লাস রুমে আজ সবাই নিরাবতা পালন করছে😰😰
কারণ এতক্ষণ ক্লাসের উপ্রে দিয়া #শুভ্র ঝড় বয়ে গেছে।😰😰
রাগে শুভ্রের সাড়া শরীর জ্বলে যাচ্ছে।যতই ভাবি রাগ দেখাবো না,কিচ্ছু বলবো না ততই মেয়েটা মাথায় চড়ে বসে।
কত্তবার নিষেধ করছি ঐ ছেলের সাথে যেনো আর না মিশে, 😡😡এত্তবড় সাহস আমার কথা অমান্য করেেেে,,
মনে হচ্ছে,মনে হচ্ছে ফাজিল মেয়েটাকে ১০তলা বিল্ডিং এর উপর থেকে ধাক্কা দিয়া ফালাই,তবে যদি আমার গায়ের জ্বালা মিটতো।
এত্তো শখ অন্য ছেলের বাইকে ঢলাঢলি করতে করতে আসে।😈
হাত মুষ্টিবদ্ধ করে রাগ কমানোর চেষ্টা করছে শুভ্র,তবে তাতে কাজ হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে না।
কে জানে আজ ঋতুর উপ্রে দিয়া কোন সুনামি বয়ে যায়।😰
ক্লাস শেষে ঋতুকে তার কক্ষে দেখা করে আসতে বলছে শুভ্র।
,
—আল্লাহ গো,গতকাল তো ভালই ছিল আজ হঠাৎ কি হলো??
এই লোকটা গিরগিটির মতো রং বদলায়।পারেও বটে।
আস্ত একটা বিটকেল😆😆
দেখা করে যেতে বলছে কেনো কে যানে।😰
ক্লাসে আজ যা করলো সবাইকে।(আপনারা আবার কাউরে কইয়েন না😜সব কয়টা রে নীল ডাউন দিয়ে রাখছে।)
রাগে চোখ দিয়ে আগুন জ্বলছে শুভ্রের।ফর্সা মানুষ রেগে একদম গাল লাল হয়ে আছে।
যেইভাবে দরজার দিকে তাকিয়ে আছে,দেখে তো ঋতুর কলিজায় পানি শুকিয়ে গেছে।
মনে হয় আজকে চোখ দিয়ে গিলে খাবে রাক্ষস টা।😰
—আসুন,আসুন মিস #ড্রামাকুইন
আপনার জন্যই তো এতক্ষণ অপেক্ষা করছিলাম আমি।(দাঁতে দাঁত চেপে)
—স,,,সস্যা,,,,রররর আ,,াাামাাায়য় ডেেেকেেছেেেনন কেেেনোোো???(ঋতু)
—-আপনাকে তো ডেকেছি আমি মাথায় তুলে নাচবো বলেেে(কিছুটা চিল্লিয়ে)
—-স্যা,,ররররর কিিি বলছেেেন আাাপনিিিিি!!আর এদিকেে আসছেন কেনো???প্লিজজ সরে যান,,(আমি)
—কেনো??আমি কাছে আসলে কি গায়ে ফোসকা পড়ে যায়???আমাকে বললে কি আমি বাইকে করে আনতে পারি না নাকি????
—কি বলছেন এসব স্যার??আপনার মাথা ঠিক আছে তো???
—-কি বলছি তুই বুঝিস না??তোকে কতবার নিষেধ করছি তোর ঐ কাজিনের সাথে মিশবি না??
আমার কথা কি তোর গায়ে লাগে না???😡😡(দেয়ালের সাথে হাত দুটি চেপে ধরে)
—স্যাররর,,লাগছে আমার প্লিজজ ছাড়ুন😰
—নাহহ ছাড়বো নাহহ,আমার ভেতর টা জ্বলে পুরে ছাই হয়ে যাচ্ছে সেটা কি তুই দেখতে পাস না???(শুভ্র)
—স্যারর😒কি বলছেন এসব আবুল তাবুল??
আপনার মাথা ঠিক আছে তো??
—কিচ্ছু ঠিক নেই,,তুই কেনো বুঝিস না আমি তোকে ভালোবাসি??কেনো বার বার তোর কাছে আসি।
কেনো তোর সাথে অন্য কাউকে সহ্য করতে পারিনা।
–কি বলছেন আপনি??ভুলে যাবেন না আপনি আমার টিচার।
—কেনো টিচার তাতে কি??টিচার বলে কি আমি কাউকে ভালোবাসতে পারবো না??
—পারবেন না কেনো??আপনি আমার টিচার,আমার গুরুজন।টিচার তো বাবার মতো।😜
—What Nonsense😡😡
–স্যার!!আমি তো ঠিকি বলছি।
আমার মনে হয় কি স্যার!!আপনার মাথায় কোনো গন্ডগোল আছে।নইলে কি আর এমন ভাবনা মাথায় আসে???
আপনি বরং পাগলের ডাক্তার দেখান আগে।😜
—U ediot,Stupid😡😡বলে ঋতুর দিকে তেড়ে যেতে গেলে….
—স,,,স্যাাারররর আপনার পেছনে ঐ টা কি??😱😱
—যেই শুভ্র ঘুরছে ওমনি ঋতু ফুরুৎ😆😆


পর্ব :- ২৪


—U ediot,Stupid😡😡বলে ঋতুর দিকে তেড়ে যেতে গেলে….
—স,,,স্যাাারররর আপনার পেছনে ঐ টা কি??😱😱
—যেই শুভ্র ঘুরছে ওমনি ঋতু ফুরুৎ😆😆
ঋতুকে আর পায় কে??😆😆
এক দৌড়ে গেটের বাইরে চলে এসেছে।😎
লুচু ব্যাটা,শয়তানের হাড্ডি,কান কাটা পেত্নি,নাগিনী সাপিনীর বর কুনহানকার,লজ্জাশরম কিচ্ছু নাই😉বলে কি না ভালোবাসে।
কোন মুখপুরা তোরে ভালোবাসতে যাবে রে,,তার কি খায়ে দায়ে আর কাম নাই শিয়েলের কাছে মুরগি বর্গা দিবো😰
জল্লাদের বংশটার মাথায় মনে হয় গন্ডগোল আছে,নইলে কি আর😱😱
যাই হোক আমায় এই লুচুর কাছ থেইক্কা দূরে থাকতে হইবো।
,
—😡😡ফাজিল, বদমাইশ মেয়ে বলে কিনা টিচার বাবার মতো।কত্ত বড় ফাজিল হলে এমন কথা বলতে পারে।😈
রাগে আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে আমার সামনে পাইলে থাডিয়ে দুইটা চড় দিয়ে কানের নিচে গরম করে দেই।
দিন দিন সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যাচ্ছে।এমন থার্ড ক্লাস ভাবনা ওর মাথায় আসে কি করে😡কবে বুদ্ধি শুদ্ধি হবে কে জানে😰
আমি বুঝি না,কেমনে ওর মতো মেয়েকে ভালোবাসলাম আমি।
জীবনেও আমার ভালোবাসার মুল্য দিবে না ঐ বদমাইশ।
,
—বাসায় এসে খেয়েদেয়ে একটা লম্বা ঘুম দিলাম।ঘুম ভাঙ্গলো মাগরিবের আযান শুনে।
উঠে অযু করে নামায টা পড়ে নিলাম।অনেক দিন পরে নামায পড়লাম।নামায যে পড়িনা তা না,আসলে একবার যদি নামায পড়া মিস দিয়ে ফেলি,পড়ে কেমন যেনো অলসতা(শয়তানে ধরে)নামায পড়া হয় না তখন।
নামায পড়ে মনটাও এখন একদম ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছে।
এক মগ কফি করে বেলকনিতে গিয়ে বসলাম।
বেশ ভালই লাগছে এখানে বসে থাকতে।
কিছুক্ষণ বসে থেকে নিচে গেলাম ডিনার করার জন্য বর্ষা ডেকে গেছে এসে,দেরি হলেই আম্মা আবার তার ননস্টপ রেডিও চালু করে দিবে।
তবে আমার শুনতে কিন্তু মন্দ লাগে না😂😂
,
ডিনার করে এসে শুয়ে পড়লাম।চোখে ঘুম ঢুলু ঢুলু করছে।আমি আবার খুব ঘুম পাতলি থুক্কু পাগলি।
এত্ত ঘুম মোর কইত্তে আহে বুঝি না😊
আপনাগো কারো ঘুম ধার লাগলে বইলেন,আমি আবার খুব মহৎ😎কাউরে না কইত্তে পারি না😊
আমি ঘুমের মধ্যে সাঁতার কাটছি তখনি মনে হলো কেউ মোরে স্মরণ করছে মানে ডাকছে বার বার।(ফোন বাজছে)
ধুরররর!!তাতে আমার কি??আমি তো এখন ঘুমে বিজি😊
নাহহহহ রিসিভ না করলে ছাড়বে না মনে হয় এই ব্যাটা😂
–ফোন রিসিভ করেই,(ফোনের ও পাশের ব্যক্তির কথা না বুঝলেও ঋতুর কথা)সরি রং নাম্বার😃
এখানে ঋতু নামে কেউ থাকে না😎
—ঋতুকে কল দিলাম,,
কোনো কাজেই মন বসছে না,আজকাল খুব ভয় করছে।
সেটা ঋতুকে হারানোর ভয়।
ভয় হয় যদি ওকে হারিয়ে ফেলি।মেয়েটা এতো পাগলি কেনো??ওর কাছে সব কিছুই ফানের মতো মনে হয় নাকি??
কখনোই কি বুঝবে না আমার ভালোবাসা টা।😰
অনেকক্ষণ ধরে রিং হচ্ছে বাট রিসিভ করছে না।কি কাজ করছে শুনি যে ফোন রিসিভ করার সময় টা অন্তত পায় না😡
আবার কল দিলাম, এবার রিসিভ না হলে একদম ওর বাসায় চলে যাবো তার পর দেখ কেমন লাগে।ফাজিল মেয়ে😆
ফোন রিসিভ করে ও পাশ থেকে যা বললো 😱
সরি রং নাম্বার😱
আজব তোহহ!!রং নাম্বার হবে কেনো??নাম্বার ভালো করে মিলিয়ে দেখলাম😎
নাহহ সব তোহহ ঠিকই আছে।
তাহলে রং নাম্বার আর ঋতু বলে এখানে কেউ থাকে না বললো কেনো??😡
আমায় পাগল পেয়েছে নাকি???
আবার কল দিলাম,,,,,
—কোন মুখ পোরা হনুমান,নেংটি ইদুর,আফ্রিকান কালা গরুরে তুই
আমার সাধের ঘুম টা নষ্ট কইরা দিলি?তোরে সামনে পাইলে আমি কাইট্টা কুচি কুচি কইরা ল,,,,,,,,,,
—-Stop it Nonsense😡
অনেকক্ষণ ধইরা তোমার এই 3rd class বকবক শুনে যাচ্ছি।
কিছু বলতে গিয়ে……..অসহ্য একটা বলেই ফোন কেটে দিল
(Shuvrro)
😱😱জল্লাদ টা কল দিছিলো??
যাক,কথা শুনে মনে হয় রেগে গেছে😃😃
,
—অনেকক্ষণ ধরে নিজের রাগকে কন্ট্রোল করার চেষ্টা করছে শুভ্র।
ওর ওপর রাগ করে থেকে লাভ নেই।রাগ করা মানে নিজেরই লস।
কিছুক্ষণ পরে আবার কল দিল,,,,
এবার ঋতু আর কিছু বললো না,জানে শুভ্রই কল দিয়েছে।
–হ্যালো!জানু কেমন আছো??
—😱😱janu
কে জানু?কার জানু??
–তুমি জানু,আর আমার জানু।কি করছো ময়নাপাখি? নিশ্চয়ই আমার কথা ভাবছিলে তাই না??(শুভ্র)
–স্যার!!রাত দুপুরে এসব কি বুলছেন আবুল তাবুল😰
–কেনো জানু?প্রেম করছি তো,তুমি দেখছো না।
আর প্রেম তো রাত দুপুরেই করে মানুষ😜
নইলে তো প্রেম জমে না।
—স্যার!!আমি আপনার বোনের মতো।আপনি আমার বড় ভাইয়ের মতো।আর আপনি কি কন এগুলা??😰
—What the hell 😡😡
Ediot তুমি কি বললে??😡তুমি আমার বোন?আমি তোমার বড় ভাই??😡
এই মেয়ে,এই মেয়ে আমি তোমার কোন জনমের ভাই??
শোনো না আমি তোমার ভাই না তুমি আমার বোন।
এই আলতু ফালতু কথা যদি তোমার মুখে আর একবার শুনি তো😡
তুলে একদম ইছামতির পচা পানিতে ডুবামু তোমারে।
সবাই যদি বোন হয় তাইলে বউ হবে কেডা😜
হ্যালো!!হ্যালো!!
ঋতু,এই মেয়ে কথা বলো না ক্যানো??
কি হলো??,,……..
ঋতু কথা বলবে কি,ঘুমিয়ে পড়ছে তো আবার।
—😡ঘুমিয়ে গেছে নাকি??
আমাকে না বলেই ঘুমিয়ে পড়ছে কত্ত বড় বেয়াদব😡😡
এই মেয়েকে দিয়ে কিচ্ছু হবে না,এই মেয়ে কখনোই আমার ফিলিংসের দু ফোটা দাম ও দিবে না।😰
কি আর করার😰কপাল আমার
,
এভাবেই চলছে ওদের দিন।
এদিকে ঋতু অভির বিয়ের দিন ও ক্রমশই এগিয়ে আসছে সামনে।
শুভ্র একদিনে অনেকবার,অনেকভাবে ঋতুকে বোঝাতে চেয়েছে তার ভালোবাসার কথা,তার ফিলিংসটাকে ঋতুকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করেছে কিন্তু বার বার ব্যর্থ।
এটা হয়তো শুভ্রেরই ব্যর্থতা।সে ঋতুকে বোঝাতে পারছে না যে কতোটা ঋতুকে ভালোবাসে।
আচ্ছা ঋতু কি কখনোই সিরিয়াস হবে না??যতোবারই শুভ্রই ঋতুকে বুঝাতে চেয়েছে যে ভালোবাসে ঋতুকে,ততোবারই ঋতু কোনো না কোনো ভাবে শুভ্রকে রাগিয়ে দেয়।😰
শুভ্রের ভাষায় থার্ড ক্লাস কথা বার্তা বলে।

চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here