লেডি_হ্যাকারের_সাইকোগিরি,১৪,১৫

#লেডি_হ্যাকারের_সাইকোগিরি,১৪,১৫
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১৪

অন্যদিকে পুলিশ জেমসকে থানায় এনে তাঁকে উল্টো ঝুলিয়ে মারতে শুরু করে।জেমস পুলিশের মাইর সহ্য করতে না পেরে শেষমেশ মুখ খুলে বসে।যে..

–“Z” আমি না।”Z”হলো অন্যকেউ।

–তুই “Z” না হলে বল কে সেই “Z”?

–নাহ সে তো আমি বলবো না।

–কিহ তুই বলবি না মানে,এই সাদিক তুই বেটাকে কেলাতে শুরু কর।আমি বের হচ্ছি….
.
পুলিশ অফিসার সাদিক নামক একজনকে পুলিশকে অর্ডার করে লাঠি চার্জ করার জন্য জেমসের উপরে।সে পুলিশ অফিসারের কথা মতন জেমসকে মারতে আরম্ভ করে।জেমসকে মারতে মারতে তার অবস্থা আরো খারাপ করে দিয়েছে পুলিশ।কিন্তু সে তার পরেও মুখ খুলেনি।যেই পুলিশ তার উপরে এতোটা সময় লাঠি চার্জ করেছে,সে নিজেও হাঁপিয়ে গেছে জেমসকে মারতে মারতে।শেষ মেষ না পারতে সেই পুলিশ লকআপ থেকে বেরিয়ে যায়।পরে গিয়ে বড় স্যারকে বলে….

–স্যার বেটাকে মারতে মারতে আধমরা করে ফেলেছি,কিন্তু সে কোনো মতেই মুখ খুলছে না।

–ঠিক আছে আমি দেখছি।
.
পুলিশ অফিসার জেমসের কাছে আসে।তারপর নরম সুরে বলতে থাকে…

–ভাই বল কে” Z”।দেখ তুই “Z”না হলে তোকে লকআপে আঁটকে রেখে লাঠি চার্জ করার কোনো ইচ্ছেই আমাদের নেই।সো প্লিজ বলে দে কে সেই “Z”।

–আমায় মেরে ফেললেও আমি” Z”এর আসল পরিচয় বলবো না।কারন সে জানতে পারলে নিজেই আমাকে মেরে ফেলবে।আর বড় কথা হলো আপনাদের এতো পাওয়ার থাকা সত্বেও কেন বার বার আমায় ফোর্স করছেন,যে কে “Z”তার পরিচয় বল।

–তাঁকে খুঁজে পাচ্ছি না দেখেই তো তোর কাছে এসেছি।
আর তাঁকে যদি একবার খুঁজে পাই,তাহলে মনে করে তার শরীরের সমস্ত হাড়গোড় আমি মেরে গুড়ো করে দিব?

–কেন সে কি করেছে?

–তুই নিজেই তো জানিস সে কি করেছে।সে গভমেন্টের ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে।তাই তার তালাশ করছি আমরা।

–স্যার আপনাকে তাহলে একটা কথা বলতেই হয়।শুনেন” Z”না কোনো মানুষ না!সে চাইলে আপনার মতন কয়েক শতাধিক পুলিশকে রাতের বেলায় তুলে নিয়ে গিয়ে মাটির নিচে চাপা দিয়ে দিতে পারে!তাঁকে এতো সস্তা মনে করিয়েন না।আর রইলো গভমেন্টের ওয়েবসাইট হ্যাক করার কথা!শুনেন সে এই রকমের পাবলিক না।সে আজ পর্যন্ত কখনো কোনো মানুষের ক্ষতি করেনি বিনা কারনে।আর সেখানে সে আপনাদের গভমেন্টের সাইট হ্যাক করবে সেটা অবিশ্বাস্য!আর যদি সত্যিই সে করে থাকে,তাহলে আজকে আমি এখানে থাকি না।কারনটা আগেই তো বললাম,যে “Z”কোনো সাধারণ মানুষ না!সে অন্ধকার জগতের অনেক বড় মাফিয়া!সে কখনো কাঁচা কাজ করে না।সমস্ত ডার্ক সাইটকে মুহূর্তের মাঝে তসনস করে দিয়েছে সে,এতো বড় ঘটনার পরেও তাঁকে কেউ ধরতে পারেনি।অথচ সে এখানে এসে এতো কাঁচা খেলা খেলবে,সেটা বিশ্বাস যোগ্য না স্যার।সো এই কাজ ” Z”করেনি।এই কাজ করেছে অন্যকেউ।আর কে করেছে আই থিংক সেটা হয়তো আমি জানি।

–তাহলে বল কে সে?”Z”যদি সত্যিই এসব না করে,আর তুই যেহেতু “Z” বাদে অন্য কারোর বিষয়ে জেনেই থাকিস,যে সে এমনটা করেছে।তাহলে বল তার নাম…

–এই কাজ করেছে লেডি-হ্যাকার।মানে “M.B.Z”।
সে এই কাজ করে”Z” কে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।কারন “Z” এর সাথে তার দাঙ্গা রয়েছে।সে কোনো না কোনো ভাবে “Z” কে ঘৃণা করে।তাই সে এসব চাল চেলেছে ” Z”এর বিরুদ্ধে।
.
জেমসের কথা শুনে পুলিশ অফিসার এবার চুপচাপ হয়ে যায়!কারন সে ভিতরে ভিতরে কিছু একটা রিয়েলাইজ করতে থাকে।কিছুক্ষণ চুপচাপ থেকে সে নিজেই জেমসের সাথে আবার কথা বলতে শুরু করে…

–আসলে দুঃখীত আমি!আমারো কেন জানি মনে হচ্ছিলো”Z”এটা করতে পারে না!কারন এতো কাঁচা খেলা সে খেলবে না!কিন্তু কি করবো বল,আজ সকাল থেকে নিয়ে শুরু করে শতাধিক কল এসেছে উপর থেকে।তারা ফোন দিয়ে অতিরিক্ত পরিমাণে প্রেশার দিচ্ছে,যে গভমেন্টের ওয়েবসাইট যে হ্যাক করেছে,তাঁকে তাড়াতাড়ি পাকড়াও করতে।তাই প্রেশারে গিয়ে এতো সব করেছি।না হয়”Z”এর হ্যাকিং সম্পর্কে আমারো অজানা নয়।আমি বহু আগ থেকেই জানি,যে সে কতোবড় মাফিয়া।
.
পুলিশ অফিসার”Z”এর নামে জেমসের কাছে কীর্তন গাইছে,তখনি তার কাছে একটা ফোন আসে।যে গভমেন্টের ওয়েবসাইট তারা আবার ফিরে পেয়েছে।
পুলিশ অফিসার এই খবর পেয়ে তাড়াতাড়ি করে জেমসকে লকআপ থেকে মুক্ত করে দেয়।পরে তাঁকে সে নিজেই ধরে তার কক্ষে নিয়ে যায়।আর বলে…

–গভমেন্ট ওয়েবসাইট ফিরে পেয়েছে।তাই আপনাকে ছেড়ে দিচ্ছি আমি।আর দুঃখীত আপনার সাথে অন্যায় আচরণ করার জন্য।আমার আসলে নলেজ ছিলো না লেডি-হ্যাকারের সম্পর্কে।

–অফিসার সাহেব গভমেন্ট ওয়েবসাইট এমনি এমনি ফিরে পায়নি।”Z”এই হয়তো ওয়েবসাইট ঠিক করে দিয়েছে।
.
বাস্তবে কিন্তু সেটাই ঠিক।আকাশ লেডি-হ্যাকার থেকে গভমেন্টের হ্যাক করা ওয়েবসাইট আবার সে নিজে হ্যাক করে,পরে তাঁদেরকে ফিরিয়ে দেয়।

–আচ্ছা আপনাকে একটা কথা বলবো?

–হুম বলুন।

–আপনি কি সত্যিই”Z”কে চিনেন?
বা তাঁকে কখনো দেখেছেন?

–নাহ,তাঁকে চিনি না।আর কখনো দেখিও নি।কিন্তু দুই একবার তার সাথে আমার চোখাচোখি হয়েছে।তবে সেটা বাস্তবে নয়।সেটা হয়ছে অনলাইনে।কারন আমার বেস্ট এলিভেনের কম্পিউটার হ্যাক হওয়ার পর তার কাছ থেকেই আমরা সাহায্য নিয়েছি।
.
পুলিশ অফিসার থতমত খেয়ে যায় জেমসের কথা শুনে!কারন সে এতোটা সময় কাকে তুলে এনে মেরেছে সে নিজেই জানে না!সে জেমসের আসল পরিচয় জানে না।

–ভাই আপনি কে?আর বেস্ট ইলেভেনের সাথে কি সম্পর্ক আপনার?

–আমি বেস্ট ইলেভেনের লিডার জেমস।
.
এবার পুলিশ অফিসার আর চুপচাপ বসে থাকতে পারে না!সে সম্মানের খাতিরে চেয়ার থেকে উঠে দাঁড়ায়!তার কাছে ব্যাপক লজ্জা লাগছিলো জেমসকে মেরে!কারন সে না জেনে এমন নামি-দামি ব্যাক্তির শরীরে প্রহার করেছে!সে খপ করে জেমসের হাত চেপে ধরে মাফ চাইতে শুরু করে।

–স্যার আমাকে মাফ করে দিন।আমি না জেনে আপনার সাথে এমন বাজে ব্যবহার টা করেছি!যেখানে আপনারা আমাদেরকে সুরক্ষা দেন,সেখানে আমি সন্দেহ জনক ভাবে আপনাকে তুলে এনে বাজে ব্যবহার করেছি।

–অফিসার সাহেব সমস্যা নেই।আইন সবার জন্য সমান।

–তাও স্যার আমার নিজের কাছেই নিজেকে এখন ছোট লাগছে।

–আরেহ স্যার বাদ দিন ওসব কথা।আর এখন পারলে আমায় যেতে দিন।আমি একটু হসপিটাল যাবো।
.
জেমসের কথা শুনে পুলিশ অফিসার সেই সাদিক নামক পুলিশটাকে ডাক দেয়।তারপর তাঁকে ডাক দিয়ে বলে….

–স্যারকে গাড়ি করে এখুনি হসপিটাল নিয়ে যাবি।পরে স্যারকে চেকআপ করে গাড়ি করেই বাসায় পৌঁছে দিয়ে এসে থানায় ফিরবি।আর এই নে পাঁচ হাজার টাকা।স্যারের যেনো পথে কোনো অসুবিধা না হয়।সব কিছুর খেয়াল রাখবি তুই।

–আরেহ অফিসার সাহেব এসবের দরকার নেই।

–স্যার প্লিজ আপনি বারন করিয়েন না।এমনিতেই পাপের বোঝা মাথায় উঠিয়ে রেখেছি।এখন অন্তত আপনার জন্য কিছু করে পাপের বোঝা কমাতে দিন।
.
পুলিশ অফিসারের রিকোয়েস্টে জেমস আর কিছু বলে না।কারন সে বুঝতে পেরেছে,যে পুলিশ অফিসার তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত।তাই সে সাদিক নামক পুলিশের সাথে হসপিটাল যায়।ডক্টর দেখানো থেকে শুরু করে সমস্ত ঔষধ পাতির খরচ সেই সাদিক দেয়।পরে জেমসকে সুন্দর করে বাসায় এসে নামিয়ে দিয়ে যায়।
.
অপরদিকে আকাশ চোখ লাল করে কম্পিউটারের সামনে বসে আছে!কারন তার রাগে পিত্তি ফেটে যাচ্ছে!যদিও সে লেডি-হ্যাকার থেকে গভমেন্টের ওয়েবসাইট হ্যাক করে তাঁদেরকে আবার ফিরিয়ে দিয়েছে,কিন্তু তার রাগটা উঠে আছে লেডি-হ্যাকার তার নামটা খারাপ করছে সেই জন্য!

–লেডি-হ্যাকার মায়ের দুধ খেয়ে থাকলে তুই একবার আমার চোখের সামনে আসিস খালি,তারপর তোর কি হাল হয় তুই নিজেও ভেবেচিন্তে কুল করতে পারবি না তখন।মনে কর আজকের পর থেকে তোর দূর দিন শুরু।তোর পিছনে মনে কর আমি হাত-পা বেঁধে নেমেছি।তুই এবার পালিয়ে কোথায় যাস,সেটাই খালি আমি দেখবো।
.
তৎক্ষনাৎ তার মনে পড়ে,যে লেডি-হ্যাকার গভমেন্টের যেই ওয়েবসাইট হ্যাক করেছে,সেখানে তার ডিভাইসের নেম থাকবে।তাই সে তাড়াতাড়ি গভমেন্টের ওয়েবসাইটে ঢুকে লেডি-হ্যাকারের ডিভাইস নেম তালাশ করতে থাকে।সে তালাশ করতে করতে লেডি-হ্যাকারের ডিভাইস পেয়ে যায়।সে সাথে সাথেই লেডি-হ্যাকারের ডিভাইসে এট্যাক করে।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সে কোনো ভাবেই লেডি-হ্যাকারের ডিভাইস হ্যাক করতে পারে না।কারন হলো লেডি-হ্যাকার অনেক কড়া সিকিউরিটি দিয়ে রেখেছে তার ডিভাইসে।সে এবার চৌকান্ন হয়ে গিয়েছে।

–বাছাধন সমস্যা নেই।কতো ভাবে তুই নিজেকে সেভ করবি,একভাবে না একভাবে তো আমি তোর কাছ অব্দি পৌঁছাবোই।তারপর দেখবো তোর শরীরে কত পদের কারেন্ট আছে।যতো কয় পদের কারেন্ট থাকবে সব উপড়ে বের করে ফেলবো একদম।
.
অন্যদিকে লেডি-হ্যাকার খুশিতে লাফাচ্ছে “Z” কে নাকানি চুবানি খাইয়ে!কিন্তু সে জানে না,যে কার মাথার রক্ত উঠিয়ে দিয়েছে সে!সে খুশিতে এতোই আত্মহারা,যে”Z”কে অন্য ভাবে আবারো নাড়া দিবে বলে মাথায় প্লান সেট করে।পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য লেডি-হ্যাকার প্রিপারেশন নিচ্ছে।
.
এদিকে আকাশ কম্পিউটার ছেড়ে রুমে এসে শুয়ে আছে।তখনি জেমস তাঁকে ফোন করে…

–ভাই কিছু বলার ছিলো আপনাকে।

–স্যার যা বলবেন বলেন,কিন্তু আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখীত আপনাকে এসবের মাঝে জড়ানোর জন্য।আপনি খামোখা আমার জন্য এসবের মাঝে ফেঁসে গেলেন।

–আকাশ ভাই ও নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই।পুলিশ আমায় অনেক প্রহার করেছে আপনার পরিচয় জানার জন্য।কিন্তু আমার মুখ তারা খুলতে পারেনি।
উল্টো আরো মিথ্যা বানিয়ে বলেছি তাঁকে,যে আপনার সাথে অনলাইনে কয়েকবার চোখাচোখি হয়েছে।এছাড়া আর কিছুই জানি না আমি।

–যাক ভালোই হয়ছে।আচ্ছা বলেন আপনার কি অবস্থা?

–আকাশ ভাই ভালো খারাপ কিছু বলার হালতে নেই আমি!কারন যতোদিন না লেডি-হ্যাকারের কিছু একটা করা যাচ্ছে,ততদিন আমার সুদিন আসবে না।

–জেমস স্যার আমারো একই জিনিস নিয়ে মাথা খারাপ হয়ে আছে!লেডি-হ্যাকার আমার নাকের ডগায় ঘুরছে অথচ তাঁকে আমি ধরতে পারছি না।

–ভাই আমার মাথায় একটা জিনিস ঘুরপাক খাচ্ছে!তবে আমি শিওর না,যে সেটা দিয়ে কোনো কাজ হবে হবে।

–কি জিনিস?

–ভাই লেডি-হ্যাকারের সাথে কি আপনার ভয়েস মেইলে কথা হয়েছে কখনো?

–হুম হয়েছে।কিন্তু কেন?

–কথা হলে অবশ্যই সে মেকানিক্যাল টোন ব্যবহার করেছে।

–হুম সেটা করেই সে আমাকে ভয়েস মেইল করেছে।

–ভাই কোনোকিছুর মাধ্যমে কি মেকানিক্যান টোন সরিয়ে আসল ভয়েস শোনার কোনো অপরচুনিটি নেই?
.
জেমসের কথা শুনে আকাশের মাথার টনক নড়ে উঠে!
কারন এই জিনিসটা তার মাথায় কাজ এই করেনি এতোদিন!তার কাছে এমন একটা সাইট আছে,যেখানে মেকানিক্যাল ভয়েস দিলে অর্জিনাল টোন বেরিয়ে আসে।সে এই সাইটটা বহু আগে বাহিরের এক হ্যাকার থেকে ডলার দিয়ে কিনেছিলো।সে জেমসকে বলে…..

–স্যার আমি একটু রাখছি পরে কথা হবে।
.
আকাশ ফোন রেখে দিয়ে দৌড়ে কম্পিউটার রুমে চলে যায়।পরে সে লেডি-হ্যাকারের ভয়েস গুলা সেই সাইটে দেয়।যদিও লেডি-হ্যাকার ব্লাংক জিমেইল থেকে তাঁকে ভয়েস পাঠিয়েছিলো,আর সে সেটা পরবর্তীতে নষ্ট করে দিয়েছে।যার ফলে ভয়েস ইরোর হয়ে যাওয়ার কথা।কিন্তু আকাশ আগেই চালাকি করে লেডি-হ্যাকারের ভয়েস আলাদা ফোল্ডার করে সেভ করে রেখেছিলো।আর সে সেখান থেকে ভয়েস নিয়ে সেই সাইটে দিতেই মেকানিক্যাল ভয়েসের পিছনের আসল বার্তাবাহকের গলার শব্দ শুনতে পায়!যেটা শুনে তার শরীরে কাঁপুনি ছুটে যায়!কারন সেই মানুষটা আর অন্য কেউ নয়….

চলবে…?

ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।

#লেডি_হ্যাকারের_সাইকোগিরি
#লেখক_আকাশ_মাহমুদ
#পর্ব_১৫

কিন্তু আকাশ আগেই চালাকি করে লেডি-হ্যাকারের ভয়েস আলাদা ফোল্ডার করে সেভ করে রেখেছিলো।আর সে সেখান থেকে ভয়েস নিয়ে সেই সাইটে দিতেই মেকানিক্যাল ভয়েসের পিছনের আসল বার্তাবাহকের গলার শব্দ শুনতে পায়!যেটা শুনে তার শরীরে কাঁপুনি ছুটে যায়!কারন সেই মানুষটা আর অন্য কেউ নয়,সেই মানুষটা হলো বেহরোজ!আকাশের মাথা চড়কির মতন ঘুরপাক খাচ্ছে!তার যেনো মাথায় কিছুই কাজ করছে না!সে চুপচাপ মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে!তখনি জেমস আবার আকাশকে ফোন করে…

–ভাই মেকানিক্যাল ভয়েসের পিছনে আসল ভয়েসটা কার,সেটা জানতে পেরেছেন কি?

–হুম জানতে পেরেছি।

–কে ভাই সে?তাঁকে কি আপনি চিনেন?
যদি না চিনে থাকেন তাহলে বাকিটা আপনি আমার উপরে ছেড়ে দিন।আপনি শুধু আমায় আসল ভয়েস গুলো মেইল করুন,আমি কল সেন্টারে ভয়েস গুলো পাঠিয়ে তাঁদের কাছ জেনে নিচ্ছি ভয়েসটা কার।কারন অবশ্যই লেডি-হ্যাকার ফোনে মানুষের কথাবার্তা বলে,যার দরুন তাঁদের কাছে সবার এই ভয়েস রেকর্ড থাকবে।যার ফলে তাঁকে খুঁজে বের করা একদম সহজ হবে।

–নাহ তার কোনো দরকার নেই।কারন মানুষটাকে আমি নিজেই চিনি।আর এই মেয়েটাই সেই মেয়ে,যে কিনা আপনার সাথে রমনার সামনে কথা বলেছিলো।

–কিহহহ!তার মানে সেই মেয়েটা সেদিন আমায় মিথ্যা বলেছিলো!মেয়েটাকে তো আমি ছাড়বো না।সোজা জেলের ভাত খাইয়ে ছাড়বো।

–নাহহ তার কোনো প্রয়োজন নেই।কারন মেয়েটা আমার খুব কাছের কেউ একজন।সো আপনি চুপচাপ থাকুন।ওর বিষয়টা আমি দেখছি।

–ঠিক আছে ভাই।

জেমস আকাশের কথায় সম্মতি জানায়।পরে একটা হাসি দিয়ে কল কেটে দেয়।
.
এদিকে আকাশের এখনো বিশ্বাস হচ্ছে না,যে বেহরোজ এই লেডি-হ্যাকার!কারন মানুষটা তার খুব কাছের কেউ!আকাশের মনে নানান ধরনের প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে!

–সত্যিই কি বেহরোজ রয়েছে এসব কিছুর পিছনে!কিন্তু সে এমনটা কেন করবে!তার এমনটা করে ফায়দা কি!নাকি তাঁকে কেউ ফাঁসানোর চেষ্টা করছে!নাহ আমার এসবের পিছনের আসল রহস্য খুঁজে বের করতে হবে,যে কি জন্য সে এমনধারা করেছে!নাকি তাঁকে কেউ ফাঁসানোর ট্রাই করছে!কয়েকটা ভয়েস দিয়ে শুধু তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না।কারন পৃথিবীতে একই রকমের ভয়েস অনেকের এর রয়েছে।আর তাছাড়া লেডি-হ্যাকার তো তাঁকে আগেই টার্গেট করেছে।কারন দুনিয়ায় এতো মানুষ থাকতে বেহরোজকেই কেন রমনার সামনে পাঠিয়েছে সে!আর বেহরোজ তো সেদিন নিজেই বললো,যে কেউ একজন তাঁকে হুমকি ভরা পার্সেল পাঠিয়েছিলো।তার মানে হয়তো এর পিছনে অন্য কারো চক্র চলছে!না হয় বেহরোজ নিজেই এই সমস্ত চাল চালছে!নাহ আমার এবার মাথা খাটিয়ে কাজ করতে হবে।
.
দিনটা কেটে যায়।সেদিন আর বেহরোজের সাথে আকাশের কোনো কথা হয় না।আকাশ সারাদিন ফোন বন্ধ করে রাখে।পরেরদিন সকাল বেলায় আকাশ ফোন ওপেন করে সেটাকে সাইলেন্ট করে পকেটে ঢুকিয়ে ক্লাসে চলে যায়।সে বসে বসে স্যারের লেকচার শুনছে,তখনি তার পকেটে থাকা ফোনটা বেজে উঠে।সে পকেট থেকে ফোনটা লুকিয়ে বের করে।পরে সে দেখতে পায় বেহরোজ তাঁকে ফোন করছে।বেহরোজের ফোন দেখে আকাশ ফোনটা কেটে দিয়ে আবার পকেটে ঢুকিয়ে রাখে।কারন একে তো ক্লাস চলছে।দ্বিতীয়ত বেহরোজের সাথে কথা বলার ইচ্ছে নেই তার।কারন বেহরোজকে চরম সন্দেহ জনক মনে হচ্ছে তার কাছে!কিন্তু বেহরোজ ও নাছোরবান্দা।সে আকাশকে ফোন দিয়েই যাচ্ছে।কিন্তু আকাশ ও কম কিসে।সে ও ফোন রিসিভ করবে না বলে জেদ ধরে আছে।কিছুক্ষণ পর ত্রিশ মিনিট ব্রেকের ঘন্টা বাজে।বেহরোজ আকাশকে এখনো ফোন দিচ্ছে।আকাশ পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে বেহরোজের ৬১+ মিসকল।সে এবার ফোনটা রিসিভ করে।

–আকাশ কি সমস্যা তোর হ্যা?এতো সময় ধরে তোকে ফোন দিচ্ছি,কিন্তু তুই আমার ফোন উঠালি না কেন?

–স্যার ক্লাসে লেকচার দিচ্ছিলো,তাই ফোন রিসিভ করিনি।সো এখন বল কি হয়েছে?এতোবার ফোন দেওয়ার কারন কি?

–আকাশ তুই কি ভুলে গেছিস,যে আজ রাতে আমি চট্টগ্রাম ফিরে যাবো?

–চট্টগ্রাম চলে যাবি তো কি হয়েছে চলে যা,তার জন্য কি আমায় এতোবার ফোন করতে হয় নাকি?

–আরে আজিব তো,তুই কি আজকে আমাকে সময় দিবি না?

–নাহ আজ সময় দিতে পারবো না।কারন আমার ক্লাস আছে।আর দুপুরে বাসায় ও একটু কাজ আছে।

–বেয়াদব একদম থাপড়ে গাল লাল করে দিব তোর।অনেকক্ষণ ধরে শুনছি তোর অদ্ভুত কথাবার্তা গুলো!
তুই এখন ব্যাগ নিয়ে কলেজ থেকে বের হ।আমি তোর কলেজের সামনেই অপেক্ষা করছি।তারপর দুজন মিলে রিক্সায় ঘুরে কিছুটা সময় একসাথে কাটাবো।

–না আমি যেতে পারবো না তোর সাথে কোথাও।
কারনটা তো বললাম এই যে আমার গুরুত্বপূর্ণ ক্লাস আছে।

–জানোয়ার তোর ক্লাসের গুষ্টি মারি আমি।তুই এখন বের হবি তো হবিই।না হয় আমি কিন্তু আজ সারাদিন তোর কলেজের সামনে দাঁড়িয়ে থাকবো।

বেহরোজের জেদের কাছে আকাশ হার মেনে নেয়।আর তাছাড়া বেহরোজ আজ চলে যাবে,সেটা নিয়ে তার ভিতরেও কেমন যেনো এক ধরনের খারাপ লাগা কাজ করছে!কিন্তু অন্যদিকে আবার সংশয় ও কাজ করছে বেহরোজকে নিয়ে!

–আচ্ছা ঠিক আছে দাঁড়া আমি বের হচ্ছি।
.
তারপর আকাশ কাঁধে ব্যাগ নিয়ে ক্লাস রুম থেকে বেরিয়ে পরে।সে ক্লাস রুম থেকে বের হতেই বেহরোজকে দেখতে পায়।যে বেহরোজ কলেজের গেইটের সামনে দাঁড়িয়ে তার জন্য অপেক্ষা করছে।
সে বেহরোজের দিকে এগিয়ে যেতে থাকে তার সাথে কথা বলার জন্য।তখনি হুট করে অনেক কয়টা পুলিশের গাড়ি এসে বেহরোজের পিছন বরাবর দাঁড়ায়!
পুলিশের গাড়ি দেখে আকাশের মাথার টনক নড়ে উঠে!
সে বেহরোজের দিকে এগিয়ে না গিয়ে চুপচাপ জায়গার মধ্যে দাঁড়িয়ে পড়ে।
.
অন্যদিকে পুলিশ গুলো গাড়ি থেকে নেমে এসে বেহরোজকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে।আকাশ দূর থেকে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এই সমস্ত দৃশ্য দেখছে।অন্যদিকে কলেজের সমস্ত স্টুডেন্ট ও জড়ো হয়ে গিয়েছে পুলিশের গাড়ি দেখতে পেয়ে।একজন পুলিশ অফিসার গাড়ি থেকে নেমে এসে বেহরোজকে তাঁদের কাছে আত্মসমর্পণ করতে বলে।আকাশ দেখতে পায় সেই পুলিশ অফিসারের গাড়ি থেকে আরো একজন ব্যাক্তি নেমে এসেছে।সে এসে পুলিশ অফিসারকে বলছে..

–স্যার এই আতংবাদিকে শুট করে মেরে ফেলুন।
এই মেয়ে অনেক ডেঞ্জারাস একটা মেয়ে!অনেক অনিষ্ট করেছে এই মেয়ে দেশের।
.
লোকটা আর কেউ না।লোকটা হলো জেমস।
আকাশ জেমসকে দেখে যা বুঝার বুঝে নেয়।যে জেমস তার কথা শুনেনি।জেমস তার সাথে চাল চেলেছে।
আকাশের চরম রাগ উঠে যায় জেমসের এই গুটিবাজি দেখে!সে সাথে সাথে পকেট থেকে ফোন বের করে একটা টেক্সট পাঠায়।তারপর ফোন পকেটে ঢুকিয়ে রেখে বেহরোজের দিকে এগিয়ে যায়।কলেজের সবাই জড়ো হয়ে সমস্ত কিছু উপভোগ করছে।মনে হচ্ছে যেনো কোনো সিনেমা চলছে কলেজের সামনে।কিন্তু আকাশের তো চরম পরিমাণে রাগ উঠে গেছে জেমসের আচরণে!সে সোজা গিয়ে গিয়ে মানুষের ভীড়ের মধ্যে দাঁড়ায়।পুলিশ অফিসার বেহরোজকে বলছে…

–এই লেডি-হ্যাকার বা “M.B.Z”তুমি নিজকে আমাদের কাছে সমর্পণ করো।না হয় কিন্তু অনেক খারাপ কিছু হবে তোমার সাথে।
.
বেহরোজ ভয়ে চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছে!কোনো কথা বলার মতন সাহস পাচ্ছে না সে!পুলিশ অফিসার বেহরোজের কাছে এসে কপালে গুলি ঠেকিয়ে তার চুলের মুঠি চেপে ধরে!যার ফলে বেহরোজ ব্যথায় চেঁচাতে শুরু করে!আর পুলিশ অফিসারকে বলতে থাকে…

–স্যার আমি লেডি-হ্যাকার না।আপনাদের কোথাও ভুল হচ্ছে।
.
বেহরোজের কথার প্রতিত্তোরে জেমস বলে উঠে…

–স্যার এই মেয়ে মিথ্যা বলছে।এই মেয়েই লেডি-হ্যাকার।
.
জেমসের কথা শুনে সেই পুলিশ অফিসার বেহরোজের গালে ঠাসস করে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়।যার ফলে বেহরোজ সাথে সাথে কান্না করে দেয়!
.
এদিকে বেহরোজের গায়ে পুলিশ অফিসারের হাত উঠানো দেখে আকাশের মাথায় আগুন জ্বলছে!সে সোজা ভীড় থেকে বেরিয়ে গিয়ে পুলিশ অফিসারের সামনে দাঁড়ায়।তারপর পুলিশ অফিসারকে বলে…

–অফিসার কি সমস্যা আপনার?আপনি কিসের অপরাধে তাঁকে গ্রেফতার করতে চাইছেন?আর কোন সাহসেই বা একজন নারীর গায়ে আপনি হাত দিয়েছেন?
.
পুলিশ অফিসার আকাশের কথা শুনে রেগে যায়!সে বেহরোজকে ছেড়ে দিয়ে সোজা ঘুরে আকাশের গালের মধ্যে কোষে একটা থাপ্পড় লাগিয়ে দেয়।
.
–এই বেটা তুই কোন জায়গার দানবীর আবার,যে এই মেয়ের হয়ে কথা বলতে আসছিস?
.
আকাশের রাগের সীমা এবার ছাড়িয়ে গেছে!সে এবার সবার সামনেই পুলিশ অফিসারের কলার চেপে ধরে!যেটা দেখে জেমস দৌড়ে পুলিশের গাড়িতে উঠে পরে!
আর কলেজের সবাই অবাক চোখে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে!অন্যদিকে পুলিশ ফোর্স বেহরোজকে বাদ দিয়ে আকাশের দিকে নিশানা লক করে।কিন্তু আকাশের মনে কোনো ধরনের ভয়ভীতি নেই।সে পুলিশ অফিসারের কলার চেপে ধরে বলতে থাকে…

–আমায় মেরেছিস তো মেরেছিস,কিন্তু এই মেয়ের গায়ে হাত তুললি কেন তুই?
.
আকাশের আচরণে পুলিশ অফিসার থতমত খেয়ে যায়!কারন আকাশ এমন করে বসবে,সেটা পুলিশ অফিসার কল্পনাও করতে পারেনি।অন্যদিকে তার প্রেস্টিজেও খুব লেগেছে!

–এই ছেমরা,তোর বুকেরপাটা কত্তো বড় যে তুই আমার গায়ে হাত দিস?

–বুকেরপাটার এখনো দেখেছিস কি তুই?সবে তো মাত্র তোর শরীরে হাত দিয়েছি।একটু পর তো তোর বুক ছিঁড়ে কলিজা বের করে নিব।তোর কত বড় সাহস যে তুই বেহরোজকে থাপ্পড় মারিস!
.
আকাশের এমন ভয়ানক আচরণ দেখে সেই পুলিশ অফিসার নিজে আর কিছু করে না,কিন্তু সে সবাইকে আদেশ করে আকাশকে ধরে মারার জন্য।তার কথা মতন সবাই এসে আকাশকে মারতে শুরু করে!তারা আকাশকে মারতে মারতে মাটিতে শুইয়ে দিয়েছে।
অন্যদিকে বেহরোজ ভয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কান্না করছে!সে এখন কি করবে কোনো কিছুই ভেবে কুল করতে পারছে না!ঠিক তখনি সেখানে ওভার পাওয়ারের বিশাল একটা দল চলে আসে।আর তারা এসেই সবাইকে উড়াধুড়া মারতে আরম্ভ করে।মারতে মারতে সবাইকে মাটির সাথে শুইয়ে দিয়েছে ওভার পাওয়ারের ছেলেপেলে।এই দৃশ্য থেকে সেই পুলিশ অফিসারের কলিজা পুরোপুরি শুখিয়ে যায়!সেই পুলিশ অফিসার যেনো কোনো কিছুই বুঝে উঠতে পারছে না,যে কি হচ্ছে এখানে!এর মধ্যেই সেখানে আইসিটি প্রধান,যে কিনা বেহরোজের আংকেল এবং সেন্ট্রাল মিনিস্টার চলে আসে।দুজন একই গাড়িতে করে এসেছে।কারন তারা দুজন বেস্ট ফ্রেন্ড।সেন্ট্রাল মিনিস্টার আকাশের সম্পর্কে সব কিছুই জানে।কারন আকাশের ওভার পাওয়ারের ছেলেপেলে তাঁকে প্রটেক্ট করে।সেন্ট্রাল মিনিস্টার সোজা এসে সেই পুলিশ অফিসারকে গণহারে থাপ্পড় মারতে শুরু করে…

–এই জানোয়ারের বাচ্চা তুই কাকে মারার জন্য পুলিশ ফোর্স সাথে করে নিয়ে এসেছিস?তুই কি জানিস এই ছেলে কে?আর তাঁকে যারা প্রটেক্ট করতে এসেছে তারা কারা?
.
সেন্ট্রাল মিনিস্টারের কথা শুনে পুলিশ অফিসার থতমত খেয়ে যায়!সে অবাক চোখে সেন্ট্রাল মিনিস্টারের দিকে তাকিয়ে আছে!

–জানোয়ার তোর কি একটুও বুক কাঁপলো না এই ছেলের গায়ে হাত তুলার আগে?যেখানে এই ছেলের জন্যই আমি সব সময় বুক ফুলিয়ে বাঁচতে পারি,আর তুই কিনা সেই ছেলের গায়েই হাত তুলেছিস?তোর তো সাত জন্মের ভাগ্য,যে তার ছেলেপেলে এখনো তোকে কিছু করেনি।অবশ্য কিছু করলেও কারোর বাপের সাধ্য নেই,যে তাঁদের হাত থেকে কেউ তোকে বাঁচাবে।তারা যদিও বেতনভুক্ত হয়ে আমার জন্য কাজ করে,কিন্তু এখন তো তারা আর আমার কথাও শুনবে না।কারন তুই মৃত্যুর ফেরেস্তার গায়ে হাত তুলেছিস।আর সেই ফেরেস্তার অনুমতি ছাড়া এই রক্তচোষা গুলো শান্ত হবে না কোনোদিন।সো তাড়াতাড়ি ওর পায়ে ধরে মাফ চা।
কারন তোরা যাকে মেরেছিস,সে আর কেউ না,সে হলো ইন্টারনেট জগতের সব চাইতে বড় মাফিয়া”Z”।যার ইশারায় পুরো ইন্টারনেট জগৎ চলে।যাকে প্রটেক্ট করার জন্য ডার্ক ওয়েবের সমস্ত বড় বড় কিলার টিম কাজ করে।আর তুই তাঁকে মারার জন্যই পুলিশ ফোর্স নিয়ে এসেছিস?
.
সেন্ট্রাল মিনিস্টারের কথা শুনে উপস্থিত যারা ছিলো,তাঁদের সবার হুঁশ উড়ে যায়!বিশেষ করে সেই পুলিশ অফিসারের!সে যেনো মৃত্যুকে খুব নিকট থেকে দেখতে পাচ্ছে!আকাশের আসল পরিচয় জেনে সেই পুলিশ অফিসারের উত্ত্যক্ত মেজাজ মুহূর্তের মধ্যেই শান্ত হয়ে যায়!সে থরথর করে কাঁপতে আরম্ভ করে….
.
অন্যদিকে আকাশ সেই পুলিশ অফিসারের দিকে ভয়ানক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে!

চলবে?

ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমার নজরে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here