সৎ বোন,পর্বঃ ০৬

#সৎ বোন,পর্বঃ ০৬
#জুনায়েত

যে করেই হউক মৃত বাবার শেষ ইচ্ছা পূরন করতেই হবে! নয়তো আব্বুর আত্বা শান্তি পাবে না!! তাই আমি পড়াশোনা টা পুনরায় ভাল করে শুরু করলাম। আমার পুরটা দুঃসময়ে নীলা সব সময় আমার পাশেই ছিলো!! আমি রাত জেগে পড়া শুনা করতাম আর ও আমার পাশে বসে থাকতো!! আমি আমার সবোচ্চ দিয়ে পড়া শুনা করলাম।প্রায় ৩ বছর কেটে গেল আমার পড়াশোনা শেষ করতে!! পড়া শোনা শেষ করলাম আর শেষ করেই ভাল একটা।জব পেলাম!!
জবটাতে জয়েন করলাম। ভাল সেলারি ও পাচ্চিলাম জবটা থেকে!!

নীলার বাবা বললো এবার উনি নীলাআর আমার বিয়েটা দিয়ে দিতে চান!! কিন্তু বিয়েরকথাটা শুনা মাএই আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। আমি বিয়ে করবো আর সে বিয়েতে আমার বোন থাকবে সে কথা ভেবেই আমি খারাপ লাগছে!!আজ রানির কথা আমার খুব মনে পড়ছে। আর আমার চোখ দিয়ে অঝর দ্বারায় পানি পড়ছে!!নীলা আমার রোমে আসলো!! আর বললো কি হয়েছে তুমার?? তুমি কাদছ কেন?? তুমি কি এই বিয়েতে খুশি নও!!আমি নীলাকে জড়িয়ে ধরে বললান নীলা বিয়েটা করতে আমার কোন সমস্যা নেই!!

!
!
কিন্তু আজ রানির কথাটা খুব মনে পড়ছে!! আজ ৩ বছর হলো ওদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই!! আমি জানি না ওরা কেমন আছে??নীলা বলে উঠলো যে বোন তুমার বিরুদ্ধে এত বাজে একটা অভিযোগ তুলেছে তার জন্য ভাবার প্রশ্নই উঠে না!! আমি নীলাকে বললাম আমি আমার মৃত বাবাকে কথা দিয়েছি আমি কখনো আমার মা আর বোন কে কখনো কষ্ট দেব না!!আমি নীলার হাত দুটো ধরে বললাম নীলা আমি আমার মা আর বোনকে ফিরিয়ে আনতে চায় প্লিজ তুমি মানা করো না!!

নীলা বললো আমি তুমাকে ভালবাসি আর আমি তুমার জন্য সব করতে পারি!! নীলাকে বললাম কাল আমরা দুজনে আমাদের ওই বাড়িতে যাব ওদের ফিরিয়ে আনতে!! নীলা ও রাজি হলো!!পরের দিন সকালে আমি আর নীলা আমাদের বাড়ির উদেশ্যে রওনা দিলাম!! গাড়িতেবসে বসে ভাবছি!! আজ তিন বছর পর আমি আমার বোনকে দেখব!!এ কথা ভাবতেই আমার চোখ দুটো জলে ভরে গেল! হয়তো বাড়িটাও সেই আগের মতই আছে!! আমি আর নীলা দুজনেই বাড়িটাতে পৌছে গেলাম!! আমরা বাড়িটার দরজায় দাড়ালাম!! আর আমি কলিং বেল বাজালাম!! কিন্তু একি এতো অন্য কেউ!! বাড়িটা ঠিক আগের মতই আছে শুধু বদলে গেছে বাড়ির মানুষ গুলো।
!
!.
!
ওই বাড়ির লোকটাকে জিজ্ঞেস করলাম আপনারা এই বাড়িতে কেন?? ওনারা বললেন ওনারা নাকি এই বাড়িটা কিনেছেন!! আমি জিজ্ঞেস করলাম আগে যারা ছিল তার কোথায় গেছে!!? ওনারা জানেন না ওরা কোথায় গিয়েছে!! আমি মাটিতে বসে পড়লাম!! আর কাদতে থাকলাম!! কোথায় খুজবো আমি ওদের?? কি করে পাবো ওদের!! নীলা আমাকে শান্ত না দিয়ে বললো আল্লাহর উপর ভরসা রাখ!!আমি আর নীলাওখান থেকে চলে আসলাম! আমি আর নীলা রানিকে অনেক খুজলান কিন্তু কোথাও পেলাম আমি খুবই ভেঙে পড়েছিলাম!!

প্রায় এক সপ্তাহ পরের কথা আমি গাড়িতে করে
অফিছে যাচ্চিলাম আর দেখতে পেলান রানির মতো একটা মেয়ে!! ছেড়া শাড়ি পড়ে বাজার করছে!! একটু কাছে গিয়ে খেয়াল করলাম এটাতো সত্যি রানি!! আমি তৎক্ষনাৎ গাড়ি থেকে নেমে পড়লাম।আমি পিছন থেকে রানিকে ডাকলাম বোন!! রানি পিছন দিকে তাকিয়ে অবাক হলো!!

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here