#সৎ বোন
#পর্বঃ ০৫
#লেখকঃ জুনায়েত
ওরা সবাই মিলে আমাকে খুব মারলো
আমি বুঝতেই পারছি না। রানি কেন আমার সাথে এমন করলো। আমি রানীর দিকে তাকিয়ে আছি!! কিন্তু রানী আমার
দিকে একবার তাকিই নি। সেদিন কেন জানি খুব বেশি কষ্ট হচ্ছে!! চোখ দিয়ে অঝর দ্বারাই পানি পড়ছে!! মায়ের পায়ে ধরে বলেছিলাম মা আমার মাথায় এতো বড় কলঙ্কের বুঝা চাপিয়ে দিও না!! আর বলেছিলাম আমি এই বাড়ি ছেড়ে চলে যবো। আর কখনো এখানে আসবো না!!
রানীকে বললাম!! বোন এত বড় অপবাদ দিলি আমাকে।। তার থেকে যদি আমাকে মেরে ফেলতি তাহলে বেশি ভাল হতো।রানী কিছু বলছে না।শুধু মাথাটা নিচু করে আছে!! হয়তো একটু খারাপ লাগছে,, নয়তো এটাও ওর অভিনয়!!
ওরা মারার পর আমাকে বেধে রাখলো।কিছুক্ষণ পর পুলিশ আসলো।পুলিশের একজন বলে উঠলো জুনায়েত তুই??মাথা তুলে দেখলাম রাজিব!!
ও আমার বেস্ট ফ্রেন্ড ছিল!! কিছু দিন হলো পুলিশে জয়েন করেছে। রাজিব বললো জুনায়েত তুই এই কাজ করেছিস?? এ আমার বিশ্বাস হয় না!! ওরা আমাকে থানায় নিয়ে এলো!! থানায় এনেই রাজিব বললো বন্ধু সবাই বিশ্বাস করলেও আমি রাজিব বিশ্বাস করি না
যে তুই এই নুংরা কাজটা করতে পারিস। তখনো আমার চোখ দিয়ে জল পড়ছিলোই। রাজিব বললো বন্ধু বলত কী হয়েছিলো??
রাজিব কে সব খুলে বললাম!! রাজিব বললো এটা অনেক বড় চক্রান্ত মনে হচ্ছে। তুই চিন্তা করিস না দেখি তুর জন্য কি করতে পারি?? আমি জেল খানার দেয়ালে হেলাম দিয়ে অঝর দ্বারায় কাদছিলাম।আর শুধু উপর ওয়ালার কাছে আমার মৃত্যু কামনা করছিলাম!! দুই একবার ভেবেও ছিলামএখান থেকে বেরিয়ে আত্মহত্যা করবো।কিন্তু মৃত বাবাকে কথা দিয়েছি বলে তাও করতে
পারছি না!!
পরক্ষণেই নীলা মানে আমার গালফ্রেন্ড
থানায় আসলো!! আর এসেই বললো ছি
জুনায়েত ছি!! তুমার মানসিকতা এতো জঘন্য!! ছি! আমি বললাম আমার কথাটা শুনো নীলা!! নীলা বললো আর কিছু বলার বাকী আছে কী?? নীলা বললো তুমার মতো এতো বাজে একটা মানুষের সাথে আমার কোন সম্পর্ক থাকতে পারে না!!ভাল থেকো।এই বলে যেই নীলা চলে আসতে চাইলো ঠিক তখনি রাজিব নীলার হাতটা ধরে ফেললো!!
আর বললো যাকে ভাল বাস তাকে বিশ্বাস করো না?? আরে রাজিব তুমি??
নীলা আমার আর রাজিব এর বন্ধত্ব সম্পর্কে জানতো!! আর জিজ্ঞেস করলো ঠিক বুজলাম না রাজিব??
রাজিব নীলাকে সব খুলে বললো। নীলা সব ঘটনা শুনে কেঁদে ফেললো!!নীলা
আমার দিকে এগিয়ে গেল আর বললো আমাকে ক্ষমা করে দাও জুনায়েত!! আমি তুমাকে ভুল বুঝেছি। আমি কিছু বলছি না। শুধু পিছন দিকে মুখ ফিরিয়ে
উপর এর দিকে তাকিয়ে কেদে কেদে
বলছি আজ রানী যদি আমার আপন বোন হতো ও কি পারতো আমার সাথে এমন করতে।
৩ মাছ পর আমি থানা থেকে ছাড়া পেলাম। বের হয়েই দেখলাম নীলা আমার জন্য দাড়িয়ে আছে!! ও বললো ওর সাথে ওর বাড়িতে যেতে!! ও ওর বাবাকে সব বলেছে!! আমি নীলাদের বাড়ি চলে আসলাম। পুনরায় পড়া শুনাটা শুরু করলাম!! আর মনে মনে প্রতিঙ্গা করলাম যে করেই হউক আমি আমার মৃত বাবার শেষ ইচ্ছেটা পুরন করবই!!
চলবে….