#প্রেম_ফাল্গুন
#পর্ব_১১,১২
#Nishat_Jahan_Raat (ছদ্মনাম)
ববি মাথা উঠিয়ে লিলির দিকে তাকাতেই হঠাৎ থমকে গেলো। লাল শাড়িতে লিলিকে সদ্য ফুটা লাল গোলাপের ন্যায় সুগন্ধিত, আকর্ষণীয়, প্রস্ফুটিত লাগছে। লিলির শরীর থেকে মাতাল করা একটা সুবাস আসছে। সেই সুবাসে সুবাসিত হয়ে ববি বেড ছেড়ে উঠে লিলি নামক ফুটন্ত গোলাপটার মুখোমুখি দাঁড়াল। নিষ্পলক দৃষ্টিতে ববি লিলির দিকে তাকিয়ে আছে। ববির এহেন ড্যাব ড্যাব চাহনীতে লিলির চোখ দুটো সংকুচিত হয়ে আসছে৷ লজ্জায় চোখ দুটো নিচে নামিয়ে নিতেই ববি আচমকা লিলির চুলের খোঁপা থেকে একটানে তোয়ালেটা খুলে দিলো। অমনি লিলির রেশমী, সুন্দর চুল গুলো কোঁমড় অব্দি ছড়িয়ে পড়ল। চুল থেকে সুন্দর একটা স্মেল ভেসে আসছে ববির নাকে। মন্ত্রমুগ্ধের মতো বিমোহিত হয়ে ববি চোখ জোড়া বুজে লিলির পেছনটায় দাঁড়িয়ে লিলির চুলের মাতাল করা স্মেল নিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল। আচমকা লিলি পিছু ঘুড়ে ফ্যাল ফ্যাল চোখে ববির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“কি করছেন ববি ভাই? এভাবে কি শুকছেন?”
লিলির কথার শব্দে ববির ধ্যান ভাঙ্গল। চোখ জোড়া ফট করে খুলে ববি আমতা আমতা করে বলল,,
“কিকিকিছু না। কিকিকি শুকব আমি?”
“আমি ও তো তাই বলছিলাম, কি শুকছেন ওরম ভাবে চোখ বুজে?”
ববি মাথা নিচু করে পেছনের চুল গুলো টেনে ছোট আওয়াজে বলল,,
“বললাম তো কিছু না। একচুয়েলি একটু টায়ার্ড লাগছে। তাই চোখ দুটো আপনা আপনি বন্ধ হয়ে আসছে।”
লিলি চোখে, মুখে উদ্বিগ্নতার ছাপ ফুটিয়ে বলল,,
“তাহলে আপনি একটু রেস্ট নিন ববি ভাই।দাঁড়ান, আমি বিছানাটা একটু গুছিয়ে দিচ্ছি।”
লিলি সামনে ঘুড়তেই খুব সজোরে লিলির উন্মুক্ত ভেজা চুল গুলো ববির সমস্ত মুখে ছিটকে পড়ল। তীব্র ঘোরে ডুবে গেলো ববি। নাক টেনে সে লিলির চুলের স্মেল নিচ্ছে। প্রতিবারই সে লিলির চুলের স্মেলে মাতাল হয়ে উঠছে। পৃথিবীতে এতো ভালো ভালো মাতাল করা জিনিস থাকতে আমি কিনা শেষ পর্যন্ত লিলির চুলের স্মেলে মাতাল হলাম? শুধু তাই নয়, লিলির শরীরের সুবাসে ও আমি কাত হয়ে যাচ্ছি! কেনো মেয়েটা আমাকে এভাবে মোহিত করছে? কেনো তার দিকে এভাবে আকর্ষিত করছে? হোয়াই লিলি? হোয়াই? এসব কল্পনা জল্পনা করতেই অমনি লিলি পিছু ঘুড়ে মুখটা কাচু মাচু করে ববির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“স্যরি ববি ভাই। আসলে আমি খেয়াল করি নি।”
ববি ঘোর কাটিয়ে অন্য পাশ ফিরে বলল,,
“ইট’স ওকে।”
“এবার বলুন, চুলের বাড়ি না ফুলের বাড়ি?”
ববি কপাল কুঁচকে লিলির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“হোয়াট?”
লিলি ম্লান হেসে বলল,,
“মানে আপনাকে বুঝতে হবে না। শুধু বলুন, ফুলের বাড়ি!”
ববি অধিক আশ্চর্যিত হয়ে বলল,,
“কিন্তু কেনো?”
“আমি ও জানি না। তবে আমাদের গ্রামে এই রীতিটা প্রচলিত। ভুলবশত হোক বা ইচ্ছেবশত, কারো গাঁয়ে চুলের ছিটকে পড়লেই তাকে ফুলের বাড়ি বলতে হয়। তাই আপনাকে ও এখন ফুলের বাড়ি বলতে হবে।”
ববি পিছু ঘুড়ে রাগী স্বরে বলল,,
“নো, নেভার। আমি পারব না এসব বলতে।”
লিলি অসহায় ভঙ্গিতে ববির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে বলল,,
“প্লিজ একবার বলুন ববি ভাই, প্লিজ। নতুবা আমার মন খচখচ করবে।”
লিলির কুঁড়ে মুখটার দিকে নিষ্পলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে ববি আনমনেই বলে উঠল,,
“ফুলের বাড়ি।”
লিলি বেশ খুশি হয়ে ম্লান হেসে ববির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“থ্যাংকস ববি ভাই।”
আচমকা ববি লিলির থেকে চোখ ফিরিয়ে মুখে গম্ভীর ছাপ ফুটিয়ে কাবার্ড থেকে শার্ট, প্যান্ট নিয়ে তাড়াহুড়ো করে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ল। হাতে থাকা ভেজা কাপড় গুলোর দিকে তাকিয়ে লিলি জিভ কেটে বলল,,
“ধ্যাত। কাজের কাজটাই হলো না। কথায় কথায় আসল কথাটা বলতেই ভুলে গেলাম। কাপড় গুলো এখন কোথায় নাড়ব আমি?
লিলি মুখটা ফুলিয়ে ভেজা কাপড়গুলো আর.এফ.এল এর একটা চেয়ারের উপর রাখল। জর্জেট শাড়িটা কোনো রকমে সামলিয়ে লিলি হাঁটু ভাজ করে অগোছালো বিছানাটা গুছিয়ে নিলো। পুরো রুমটায় চোখ বুলাতেই লিলি নাক ছিটকে বলল,,,
“ছ্যাঁ। কি অবস্থা উনার রুমটার। আলমারি, কাবার্ড, ড্রেসিং টেবিল, স্টাডি টেবিল সব অগোছালো। মেঝেতে পা রাখতেই বালি কড়কড়িয়ে উঠছে। সমস্ত শরীর শিউরে উঠছে। মনে হচ্ছে এক্ষনি রুমটা ঝাড়ু দিতে হবে।”
ভেজা চুল গুলো হাত দিয়ে ঝেঁড়ে লিলি চুল গুলো দু পাশে ছড়িয়ে শাড়ির আঁচলটা কোঁমড়ে বেঁধে দরজার পাশ থেকে ঝাঁড়ুটা নিয়ে পনেরো মিনিটের মধ্যে পুরো রুমটা ঝাড়ু দিয়ে নিলো। মেঝেতে থাকা বালি এবং আবর্জনা গুলো দরজার একপাশে কুঁড়িয়ে রাখল। তন্মধ্যেই ববি ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে এলো। ভেজা চুল গুলো টাওয়াল দিয়ে মুছে ববি দরজার সামনাটায় তাকাতেই হঠাৎ কপাল কুঁচকে ঝাঁড়ু নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা লিলির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“এসব কি হচ্ছে লিলি? তুমি রুম ঝাঁড়ু দিচ্ছ?”
ববির চুল থেকে টপটপ করে পানি পড়ছে। সে পানি সমভাবে ববির সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়ছে। বডি বিল্ডারদের মতো সুঠাম দেহটা লিলির চোখের দু কোটর জুড়ে আবদ্ধ। ববির মুখের আদলের সাথে পুরো বডিটা ও ধরধবে সাদা৷ উন্মুক্ত ফর্সা শরীরে ববি শুধুমাএ একটা টাউজার পড়ে লিলির সম্মুখে দাঁড়িয়ে আছে। এই নিয়ে দ্বিতীয় বার লিলি ববিকে উন্মুক্ত শরীরে দেখল। প্রথমবার যখন ববিকে উন্মুক্ত শরীরে দেখেছিলো, তখন তার মনে এতো শিহরণের অনুভূতি হয় নি, বরং জড়তা কাজ করছিলো। তবে আজ যখন ববিকে সিক্ত, স্নিগ্ধ, উন্মুক্ত শরীরে দেখল, তখনই তার মনে শিহরণের ঝড় উঠল। দৃষ্টি কিছুতেই সে সংযত করতে পারছে না। উল্টে দৃষ্টি ববির দিকে বিশেষভাবে ধাবিত হচ্ছে। লিলির মৌণতা দেখে ববি তেড়ে এসে লিলির হাত থেকে ঝাঁড়ুটা নিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে মেরে চোয়াল শক্ত করে বলল,,
“কে বলেছে তোমাকে রুম ঝাঁড়ু দিতে? এতো কাজ দেখাতে তোমাকে কে বলেছে?”
ধ্যানের জগত থেকে লিলি টুপ করে বাস্তবে ফিরে এলো। ববির কড়া স্বরের আওয়াজে লিলি খানিক কেঁপে উঠে বলল,,
“কেকেউ বলে নি। আআমি নিনিনজে থেকেই…”
লিলিকে থামিয়ে ববি বেশ তেজী স্বরে বলল,,
“রুম ঝাঁড়ু দেওয়ার জন্য বাড়িতে কাজের বুয়া আছে। রুমের কোনো কাজই তোমাকে করতে হবে না। নেক্সট টাইম যেনো হাতে এসব ঝাঁড়ু ফাঁড়ু না দেখি। তোমার কাজ শুধু খাওয়া, ঘুম, আর পড়া। এর বাইরে আর কিছুই না। ওকে?”
লিলি মাথা নিচু করে বলল,,
“আমি এভাবে হাত, পা গুটিয়ে বসে থাকতে পারব না ববি ভাই। টুকটাক কাজ আমাকে ও করতে হবে। আর তাছাড়া আপনার পরিবারের লোকজন আমাকে এখনো মেনে নেয় নি। আমার সবকিছুতেই উনারা দোষ খুঁজবেন। মামানী তো বললেন, আমার অনেক পথ অতিক্রম করার বাকি আছে। এখন থেকেই আমাকে সেই দীর্ঘ পথ ধরে হাঁটতে হবে।”
ববি বেশ মেজাজ নিয়ে মনে মনে বিড়বিড়িয়ে বলল,,
“এসব সাংসারিক বিষয়, কুটনীতির বিষয়গুলো তো খুব ভালো ভাবেই বুঝো। শুধু আমার মনটাই বুঝলে না। অজান্তেই তুমি আমাকে অনেক হার্ট করেছ লিলি। আমার ভালোবাসাকে দয়ায় রূপ দিয়েছ। এই দুঃখ পৃথিবীর কোনো কিছুতেই আমার মুছবে না লিলি। এবার তুমি ও দেখবে লিলি, দয়া কাকে বলে। ববি তোমার ক্ষেএে কতোটা রূঢ় হতে পারে, কতোটা পাষন্ড হতে পারে।”
চোয়াল শক্ত করে ববি কাবার্ড থেকে কিছু নোংরা এবং কিছু পরিষ্কার শার্ট, প্যান্ট বের করে লিলির পায়ের কাছে ছুড়ে মেরে বলল,,
“নাও। আধ ঘন্টার মধ্যে আমার সমস্ত প্যান্ট, শার্ট ওয়াশ করে ছাদে নেড়ে আসবে। ইউর টাইম ইজ স্টার্ট নাও।”
লিলি শুকনো মুখে ববির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“এই সব ধুঁতে হবে? দেখে তো মনে হচ্ছে এখানে কিছু ক্লিন শার্ট, প্যান্ট ও আছে।”
“ক্লিন গুলো ও আবার ওয়াশ করে নিট এন্ড ক্লিন করতে হবে। ইজ দ্যাট ক্লিয়ার?”
“ঠিক আছে৷ বাট, আধ ঘন্টায় তো হবে না ববি ভাই। একচুয়েলি আমি এই জর্জেট শাড়িটা সামলে রাখতে পারছি না। গাঁ থেকে খসে পড়ছে। আপনি আমাকে এক ঘন্টা সময় দিন। আমি চেষ্টা করব এক ঘন্টায় সমস্ত শার্ট, প্যান্ট ওয়াশ করতে।”
ববি তেড়ে এসে লিলির ডান হাতটা চেঁপে ধরে বলল,,
“আমি আধ ঘন্টা সময় দিয়েছি। জাস্ট হাফ এন আওয়ার। এই হাফ এন আওয়ারের মধ্যেই তোমাকে সমস্ত প্যান্ট, শার্ট ওয়াশ করতে, ছাদে নেড়ে আসতে হবে। ব্যাস এটাই ফাইনাল। নো মোর ওয়ার্ডস।”
লিলি মুখটা ছোট করে গলা জড়ানো স্বরে বলল,,
“হাতটা ছাড়ুন ববি ভাই। ব্যাথা পাচ্ছি। আমি আধ ঘন্টাতেই সমস্ত কাপড় চোপড় ওয়াশ করে দিবো। প্লিজ হাতটা ছাড়ুন।”
লিলির হাতটা ছেড়ে ববি আয়নায় নিজের প্রতিবিম্বের দিকে তাকিয়ে সামনের ভেজা চুল গুলো টেনে লিলিকে উদ্দেশ্য করে চেঁচিয়ে বলল,,
“গেট আউট ফ্রম হেয়ার এন্ড কুইকলি ইনটু দ্যা ওয়াশরুম।”
লিলি ভয়ে খানিক কেঁপে উঠে ফ্লোরে পড়ে থাকা সমস্ত শার্ট, প্যান্ট নিয়ে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ল। শাড়িটা কোনো রকমে গাঁয়ে পেঁচিয়ে লিলি ওয়াশে লেগে পড়ল। এই মুহূর্তে লিলির মধ্যে কোনো রূপ রাগ, দুঃখ, কষ্ট, খারাপ লাগা কিছুই কাজ করছে না। কেবল একটু আধটু অস্থিরতা কাজ করছে। আর তা হলো, শাড়ি সামলানোর অস্থিরতা।
ঐদিকে ববি রাগে গজগজ করে উন্মুক্ত শরীরে পুরো রুম জুড়ে পায়চারী করছে। লিলির সাথে রূঢ় আচরণ করে সে আপাত দৃষ্টিতে মোটেও শান্তি পাচ্ছে না। ভিতরটা জ্বালা পোঁড়া করছে। লিলিকে যে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসতে বলবে, তা বলার ও জোর পাচ্ছে না। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে ববি টাইম কাউন্ট করছে৷ আধ ঘন্টা সময় পাড় হতেই ববি এক ছুটে ভেজানো দরজা দিয়ে ওয়াশরুমে উঁকি দিলো। লিলির অবস্থা দেখে ববি মুখটা হা করে দাঁড়িয়ে পড়ল। লিলির গাঁয়ে শাড়ির লেশ মাএ দেখা যাচ্ছে না। কাপড়ের স্ট্যান্ডে শাড়িটা ঝুলছে। কেবল ব্লাউজ আর পেটিকোট পড়ে লিলি জান, প্রাণ দিয়ে বালতি থেকে ববির ভেজা শার্ট, প্যান্ট গুলো নিংড়ে তুলছে। উন্মুক্ত চুল গুলো সর্বক্ষণ লিলিকে জ্বালাতন করছে। বিরক্তি নিয়ে লিলি চুল গুলো পেছনের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। পেটিকোটের নিচের অর্ধ অংশ অলরেডি ভিজে গেছে। পেটিকোটটা পায়ের গোড়ালির সাথে চিপকে লেগে আছে। ববির দৃষ্টি কিছুতেই লিলির অর্ধ নগ্ন ভেজাক্ত শরীর থেকে সড়ছে না। উল্টে আরো বেশি আকর্ষিত হচ্ছে। লিলি এক প্রকার ববিকে তার দিকে সম্মোহিত করছে। ক্ষনিকের মধ্যে চরম ঘোর কাটিয়ে ববি ওয়াশরুমের দরজাটা খুলে দুচোখে হাত দিয়ে ঝাঁঝালো স্বরে লিলিকে বলল,,
“কি হচ্ছে কি এসব লিলি? তোমার শাড়ি কোথায়? এভাবে অর্ধ উলুঙ্গ অবস্থায় থেকে তুমি কি প্রমাণ করতে চাইছ? তুমি খুব বেশি সুন্দুরী? আমাকে ইমপ্রেস করতে পারো? ভাগ্যিস আমি সবটা দেখার আগেই চোখ জোড়া বুজে নিয়েছিলাম।”
তৎক্ষনাৎ লিলি হাতে থাকা শার্ট টা বালতিতে ছুড়ে মেরে দুহাত দিয়ে তার শরীরটা ঢেকে ববির বিপরীতে দাঁড়িয়ে মুখটা কাঁচু মাচু করে ছোট আওয়াজে বলল,,
“বাঁচালেন ববি ভাই। আপনি কিছু দেখেন নি। তবে এক জায়গায় আপনি আমাকে ভুল বুঝছেন ববি ভাই। শাড়িটা আমি সামলাতে পারছিলাম না। তাই খুলে রেখেছি। টাইম ও লিমিটেড ছিলো। তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে…
“শাট আপ। জাস্ট শাট আপ। শাড়িটা তাড়াতাড়ি গাঁয়ে জড়িয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে এসো। ইউর টাইম ইজ অলরেডি ওভার।”
“আর পাঁচ মিনিট সময় দিন না ববি ভাই। পাঁচ মিনিটে হয়ে যাবে। সবে মাএ আর দুটো প্যান্ট নিংড়ানো বাকি আছে।”
“আমি তোমাকে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসতে বলেছি। এক্ষনি শাড়িটা পড়ে বের হয়ে এসো। নো মোর এ্যানি ওয়ার্ডস।”
“ঠিক আছে। আপনি সরুন। আমি আসছি।”
“ওকে৷ কাম আউট ইন ফাইভ মিনিটস।”
ববি চোখ থেকে হাত সরিয়ে লিলির পেছনের দিকটায় তাকিয়ে বাঁকা হেসে বলল,,
“বের হয়ে এসো না একবার। এরপর দেখো কি শাস্তি দেই!”
ওয়াশরুমের দরজা থেকে ববি সরে দাঁড়ালো। লিলি স্ট্যান্ড থেকে শাড়িটা নামিয়ে বুকে শাড়িটা গুজে পিছু ফিরে তাকালো। দরজায় ববিকে না দেখে লিলি স্বস্তির শ্বাস ছেড়ে তাড়াহুড়ো করে শাড়িটা পড়ে নিলো। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই লিলি শাড়িটা কোনো রকমে গাঁয়ে পেঁচিয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে ববির সম্মুখে দাঁড়ালো। ববি খড়তড় দৃষ্টিতে লিলির দিকে তাকাতেই আপনা আপনি লিলির কাঁধ থেকে শাড়িটা খসে ফ্লোরে ছিটকে পড়ল। ববির রাগী চোখ দুটো খনিকের মধ্যে তীব্র ঘোরে ডুবে গেলো। লিলি চোখ দুটো প্রকান্ড করে তাড়াহুড়ো করে ফ্লোরে ধপ করে বসে শাড়িটা গাঁয়ে জড়িয়ে লজ্জায় মাথাটা নিচু করে ফেলল। ববি আনমনেই বলে উঠল,,
“আর কি কি দেখাবে এই মেয়ে গড নৌজ!”
লিলি কাঁপা কাঁপা চোখে ববির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“আমি ইচ্ছে করে কিছু দেখাই নি ববি ভাই। সত্যি বলছি, শাড়িটা আমি সামলাতে পারছি না।”
বসা থেকে উঠে লিলি ফ্যাল ফ্যাল চোখে ববির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“আচ্ছা আপনি কি এবার সব দেখে নিয়েছেন ববি ভাই?”
ববি ঘোর কাটিয়ে গলা খাঁকারি দিয়ে বলল,,
“চোখ তো উপর ওয়ালা দিয়েছেন, সৃষ্টির সমস্ত কিছু দেখার জন্যই। এই জায়গায় আমি কি করতে পারি? দেখার জিনিস ছিলো, দেখে নিয়েছি। ব্যাস এটুকুই।”
লিলি চোখ দুটো প্রকান্ড করে কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল,,
“সত্যিই আপনি সব দেখে নিয়েছেন?”
ববি লিলির দিকে একটু ঝুঁকে বাঁকা হেসে বলল,,
“তুমি যতোটুকু দেখিয়েছ, আমি ও ঠিক ততটুকুই দেখেছি। যদি তুমি নিজে থেকে আমাকে অসব দেখাতে চাও, তাহলে আমি কেনো চোখ বুজে রাখব?”
লিলি মাথাটা নিচু করে ববিকে পাশ কাটিয়ে বেডের এক কোণায় বসল। চোখের জল ছেড়ে লিলি ছোট আওয়াজে ববিকে বলল,,
“এই প্রথম কেউ আমাকে এই অবস্থায় দেখল। আমার খুব খারাপ লাগছে ববি ভাই। আপনি হয়তো আমাকে খুব খারাপ ভাবছেন। বিশ্বাস করুন, আমি ঐ রকম মেয়ে নই, যে স্ব-ইচ্ছায় ছেলেদের অসব লজ্জাকর জায়গা দেখাব!”
ববি ভীষণ ক্ষুব্ধ হয়ে লিলি সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল,,
“তুমি এতো বোকা কেনো লিলি? তুমি তো বাইরের কোনো ছেলেদের তোমার পার্সেনাল জায়গা গুলো দেখাও নি। তোমার হাজবেন্ডকেই দেখিয়েছ। এবার তা ইচ্ছাকৃত হোক বা অনিচ্ছকৃত হোক। তোমার সমস্ত পার্সোনাল জায়গা দেখার অধিকার আছে আমার।”
লিলি চোখ তুলে কান্নাজড়িত স্বরে ববির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“আমাদের বিয়েটা তো নামে মাএ হয়েছে ববি ভাই। আমার প্রতি আপনার না আছে কোনো ফিলিংস, না আপনার প্রতি আমার আছে কোনো ফিলিংস। দুজনই বাধ্য হয়ে বিয়েটা করেছি। আপনি বিয়েটা করেছেন আমাকে দয়া করে, আর আমি করেছি বাধ্য হয়ে, নিজেকে বাঁচাতে, নিজের স্বপ্ন পূরণ করতে। আমার উপর আপনার কোনো অধিকারই নেই ববি ভাই। এই মুহূর্তে আপনি আমার কাছে একজন পরপুরুষ ই!”
চোখের জল আড়াল করে ববি তাড়াহুড়ো করে লিলির বিপরীত পাশে ঘুড়ে দাঁড়ালো। চোখের কোণে জমে থাকা জলগুলো মুছে ববি তীক্ষ্ণ মেজাজে বিড়বিড় করে বলল,,
“তুমি আমাকে আবারো হার্ট করলে লিলি। এবার দেখো আমি তোমাকে কতোটা হার্ট করতে পারি।”
পিছু ঘুড়ে ববি লিলির মুখোমুখি দাঁড়িয়ে চোয়াল শক্ত করে বলল,,
“আজ থেকে আমার রুম এবং বাড়ির সমস্ত কাজ তুমি করবে। সকালের নাশতা থেকে শুরু করে রাতের ডিনার অব্দি টাইম টু টাইম সব কাজ তুমি করবে। মামানীকে আমি আজই বলব, বাড়ির সমস্ত কাজের বুয়াদের ছাঁটাই করে দিতে। দয়া করে তো আমি তোমাকে পায়ের উপর পা তুলে খাওয়াতে পারি না! তাই না?”
লিলি একটু ও বিচলিত হলো না। উল্টে এক গাল হেসে বসা থেকে উঠে ববির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“ওকে ডান ববি ভাই। তবে কাল সকাল থেকেই আমার কাজ শুরু। বাড়ির সমস্ত কাজ আমিই করব৷ বাড়ির সবার খুব যত্ন আত্তি করব। আমি এমনি এমনি কারো দয়া নিতে চাই না ববি ভাই। কাজ করে খেটে এরপর নিজের ষোল আনা বুঝে নিবো। বিনিময়ে আপনি শুধু আমার পড়ালেখার খরচ টা চালাবেন। পারলে আমাকে একটু আধটু গাইড ও করবেন।”
ববির হতভম্ব হয়ে লিলির দিকে তাকিয়ে আপন মনে বিড়বিড় করে বলল,,
“এই মেয়েকে তো কোনো কিছুতেই হার্ট করা যাচ্ছে না। উল্টে দাঁত কেলিয়ে হাসছে। এর বিপরীতে আমি কেনো এই মেয়ের দেওয়া কষ্টগুলোতে এতো হার্ট হচ্ছি? কেনো কাঁদছি? অসহনীয় যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছি? আই থিংক এবার থেকে আমার ও যথেষ্ট স্ট্রং থাকার চেষ্টা করতে হবে। হাসি মুখে ওর দেওয়া প্রতিটা কষ্ট মেনে নিতে হবে। ভেতরে ভেতরে আমি ঠিকি একে জ্বালাবো। একদিন তুমি ও আমার দেওয়া কষ্টে হার্ট হবে লিলি। আমার মতো যন্ত্রণায় কাঁতড়াবে৷ ঐদিন আর হাসি মুখে সব কষ্ট মেনে নিতে পারবে না। কষ্টের অনলে দ্বগ্ধ হবে, জ্বলবে, পুড়বে, ছাই হবে৷ আর আমি ঠিক সেই দিনটার অপেক্ষাতেই থাকব।”
লিলির হাতটা শক্ত করে চেঁপে ধরে ববি রাগে গজগজ করে এক নিশ্বাসে বলে উঠল,,
“এক ঘন্টার মধ্যে তুমি পুরো রুমটা গুছিয়ে, ঝেঁড়ে, মুছে একদম ঝকঝকে, তকতকে করে তুলবে। এরপর আমার পা টিপবে, এই যে আমার গালে চড়ের দাগ গুলো দেখছ বরফ ঘঁষে চড়ের দাগগুলো ঠিক করবে। মাথা টিপে দিবে সাথে হাত ও টিপে দিবে। ওয়াশরুমের বাকি শার্ট, প্যান্ট গুলো ওয়াশ করে ছাঁদে মেলে আসবে। ক্লিয়ার?”
“সব করব ববি ভাই। হাতটা ছাড়ুন প্লিজ।”
লিলির হাতটা ছেড়ে ববি বেডের উপর পা তুলে বসে দেয়াল ঘড়ির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“ইউর টাইম ইজ স্টার্ট নাও। আমি কাউন্ট করছি তুমি কাজে লেগে পড়ো।”
লিলি শুকনো মুখে শাড়ির আঁচলটা কোঁমড়ে গুজে এক এক করে কাবার্ড, আলমারি, ড্রেসিং টেবিল, স্টাডি টেবিল সব গুছিয়ে নিলো। ওয়াশরুম থেকে পানি ভর্তি বালতি এনে পুরো রুমটা ধুঁয়ে মুছে ঝকঝক করে তুলল। আধ ঘন্টার মধ্যেই রুমের সমস্ত কাজ শেষ হয়ে এলো লিলির। খানিক ক্লান্ত হয়ে লিলি বেডের উপর পা তুলে বসে থাকা ববির দিকে তাকিয়ে ছোট আওয়াজে বলল,,
“ডান ববি ভাই???”
“নট ডান! কিচ্ছু হয় নি এখনো। ওয়াশরুমের ভেজানো শার্ট,প্যান্ট গুলো কে ধুঁবে? ছাঁদে যাবে কে? আমার পা টিপে দিবে কে, গালে বরফ ঘঁষবে কে? হাত টিপে দিবে কে? মাথা টিপে দিবে কে?”
“একটা একটা করে সব করছি তো ববি ভাই। একটু সময় লাগবে।”
“আর আধ ঘন্টা সময় আছে তোমার হাতে। যা করার কুইকলি করো।”
লিলি এক ছুটে ওয়াশরুমে ঢুকে পড়ল। বালতিতে ভেজানো বাকি কাপড় গুলো ধুঁয়ে লিলি আর.এফ.এলের বড় বালতিতে পুরে সমস্ত কাপড় গুলো নিয়ে শুকনো, ঘর্মাক্ত মুখে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে ববির সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল,,
“ডান ববি ভাই। কাপড় গুলো কি আমিই ছাদে নেড়ে দিয়ে আসব?”
“এই কাজটা স্কিপ করলাম। তোমাকে ছাদে যেতে হবে না। এদিকে এসো। আমার পা টিপে দাও। মাথা টিপে দাও।”
“আর বরফ?”
“ওটা ও স্কিপ করলাম। আজ রুম থেকে তোমার বের হওয়া চলবে না। বাড়ির সবাই খুব গরম হয়ে আছে। তোমাকে সামনে দেখলে আরো বেশি হাইপার হয়ে যাবে।”
কাপড়ের বালতিটা নিচে রেখে লিলি ক্লান্ত, শ্রান্ত, মিইয়ে আসা শরীর নিয়ে ববির পাশে বসল। লিলির থেকে চোখ ফিরিয়ে ববি লম্বা হয়ে শুয়ে চোখ জোড়া বুজে মুখে রাগী ছাপ ফুটিয়ে বলল,,
“দাও। মাথাটা মাসাজ করে দাও।”
“আপনি তো বলেছিলেন আগে পা টিপে দিতে।”
ববি প্রখর রেগে শোয়া থেকে লিলির মুখোমুখি বসে বলল,,
“যা বলছি তাই করো। মুখে মুখে এতো তর্ক করছ কেনো?”
তাৎক্ষনিক লিলি মাথা নিচু করে মুখটা কালো করে ফেলল। কপাল বেয়ে, গলা বেয়ে লিলির ঘাম ঝড়ছে। পাখার নিচে থেকে ও সে ঘামছে। খোঁপা থেকে খসে আসা কয়েকটা ছোট চুল লিলির কপালে কাছটায় দোল খাচ্ছে। ববি আনমনে ফুঁ দিয়ে লিলির কপালের কাছ থেকে চুলটা সরিয়ে দিলো৷ লিলি কিছুটা অবাক হয়ে চোখ তুলে ববির দিকে তাকালো। ববি বিচলিত হয়ে আবার লম্বা হয়ে শুয়ে পড়ল। চোখ বুজে আঙ্গুল দিয়ে কপালটা মাসাজ করে বলল,,
“মাথাটা মাসাজ করে দাও। কুইকলি।”
কপালে জমে থাকা বিন্দু বিন্দু ঘাম গুলো মুছে লিলি ববির মাথার কাছটায় বসল। ববির দিকে একটু ঝুঁকে লিলি খানিক ইতস্তত বোধ করে ববির কপালে আলতো হাত ছোঁয়াতেই ববি ফট করে চোখ জোড়া খুলে লিলির দিকে তাকালো। লিলি সাথে সাথে ববির থেকে চোখ নামিয়ে কপালটা আলতো হাতে মাসাজ করতে লাগল। ববি নিষ্পলক দৃষ্টিতে লিলির দিকে তাকিয়ে আছে। ঘর্মাক্ত অবস্থাতে ও লিলিকে এতো স্নিগ্ধ, সুন্দর লাগছে যা ভাষায় প্রকাশ করার মতোন না। সব অবস্থাতেই লিলিকে এতোটাই আকর্ষণীয় লাগে যা ববির হার্টবিটকে নাড়িয়ে দেয়। মন চায় একই দৃষ্টিতে কেবল লিলির দিকে তাকিয়ে থাকতে। লিলির শুভ্র গাঁয়ে লাল রঙ্গটা খুব বেশি মানিয়েছে। একদম রূপকথার লাল পরীদের মতোন লাগছে। লিলির রূপ সম্পর্কে বর্ণনা দিতে গেলে হয়তো ববির একযুগ সময় ও কম পড়ে যাবে। এই মুহূর্তে ববির খুব ইচ্ছে করছে লিলিকে ঝাপটে ধরে বুকের সাথে মিশিয়ে নিতে৷ আদরে আদরে লিলিকে ভরিয়ে দিতে। বিয়ে করা বউ হওয়া সত্ত্বে ও, লিলিকে অফুরন্ত ভালোবাসা সত্ত্বে ও ববি লিলির উপর কোনো অধিকার খাঁটাতে পারছে না। কাছে পেয়ে ও নিজেকে দমিয়ে রাখতে হচ্ছে। নিজেকে এভাবে দমিয়ে রাখার যন্ত্রণাটা ববির কাছে পৃথিবীর সব’চে নিকৃষ্ট যন্ত্রণা মনে হচ্ছে।
লিলির আলতো হাতের ছোঁয়ায় ববির মনে প্রবল উত্তেজনার সৃষ্টি করছে। কিছুতেই নিজের চাওয়া পাওয়া গুলোকে দমিয়ে রাখতে পারছে না সে। ব্যাকুল হয়ে লিলিতেই মত্ত হয়ে উঠছে। তন্মধ্যেই রুমের দরজা ঠেলে খাবারের প্লেইট হাতে নিয়ে জিনিয়া আহমেদ রুমে প্রবেশ করলেন। লিলি এবং ববি চোখ ফিরিয়ে দরজার দিকে তাকালো। জিনিয়া আহমেদকে দেখা মাএই ববি হুড়মুড়িয়ে শোয়া থেকে উঠে দাঁড়িয়ে পড়ল। লিলি ও তাড়াহুড়ো করে বসা থেকে উঠে শাড়িটা ঠিকঠাক করে মাথা নিচু করে দাঁড়ালো। জিনিয়া আহমেদ লজ্জামাখা হাসি দিয়ে গলাটা ঝাঁকিয়ে বললেন,,
“রং টাইমে চলে এলাম। এই সময়টাতে এসে তোমাদের ডিস্টার্ব করা আমার মোটে ও উচিত হয় নি।”
ববি পেছনের চুল গুলো টেনে আমতা আমতা করে বলল,,
“না মামানী। তুমি ঠিক টাইমেই এসেছ। আসলে মাথাটা খুব ধরেছিলো, তাই লিলিকে বললাম একটু মাসাজ করে দিতে।”
“তো বউয়ের হাতের ছোঁয়ায় মাথাটা এবার শান্ত হয়েছে?”
ববি মাথা নাঁড়িয়ে হ্যাঁ বুঝালো। জিনিয়া আহমেদ মুচকি হেসে বললেন,,,
“তোমাদের জন্য খাবার নিয়ে এসেছি। খাবারটা এবার দুজনই খেয়ে নাও।”
ববি কপাল কুঁচকে বলল,,
“বুয়া থাকতে তুমি কেনো খাবার আনলে মামানী?”
“তোমাদের দেখতে এসেছিলাম ববি। ভাবলাম খাবারটা ও নিয়ে আসি।”
ববি প্রশ্নবিদ্ধ চোখে বলল,,
“আম্মু, আপু, মামু সবাই খেয়েছে মামানী?”
“কেউ এখনো খায় নি ববি। জোর করে ও কাউকে খাওয়াতে পারছি না।”
ববি ম্লান হেসে বলল,,
“আমি না গেলে ওরা কেউ খাবে না মামানী। পরিস্থিতি আমাকেই কন্ট্রোল করতে হবে। জোর করে সবাইকে খাইয়ে আসতে হবে।”
“আমার ও তাই মনে হচ্ছে ববি। তোমার একবার ওদের কাছে যাওয়া উচিত। সবাইকে মানানো উচিত।”
লিলির দিকে তাকিয়ে ববি ব্যতিব্যস্ত হয়ে বলল,,
“লিলি। তুমি রুমেই খাবারটা খেয়ে নাও। আমি আম্মু, আপু এবং মামুকে খাইয়ে আসছি। এসে যেনো দেখি তোমার খাওয়াটা কমপ্লিট হয়ে গেছে। ওকে?”
লিলি মুখটা কাচু মাচু করে ববির দিকে তাকিয়ে বলল,,
“আপনাকে ছাড়া আমি কি করে খাবো ববি ভাই? আপনি ফিরলেই না হয় দুজন একসাথে খাবো।”
ববি রাগান্বিত হয়ে কিছু বলার পূর্বেই জিনিয়া আহমেদ লিলির পাশে দাঁড়িয়ে ম্লান হেসে বললেন,,
“বোকা মেয়ে। স্বামীকে কেউ ভাই বলে ডাকে?”
#চলবে….?