#True_Love_Never_Breaks,Part_21,22,23
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_21
🌺🌺
গাড়ি থেকে নেমে একটা বিল্ডিং এর সামনে নামল পিউ আর তার বাবা।ঐটা বিল্ডিং বললে ভুল হবে ঐটা একটা হসপিটাল। হুম আপনারা টিকই ভেবেছেন আরিয়ানের এক্সিডেন হয়েছে।তাও তার গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে।মানে তার গাড়ির ব্র্যাক টিক ছিলনা।পিউ নেমেই দূর দিল হসপিটালের দিকে কাউন্টারে গিয়ে আরিয়ানের নাম বলে আরিয়ানের কেবিনে গেল।পিছু পিছু পিউর বাবা ও গেল।পিউর বাবা সেই মানুষ টার কাছে গেল যে আরিয়ানের খবর দিয়েছিল।উনার সামনে গিয়ে বলল
বাবাঃ আপনি কি কল করেছিলেন এই উয়ার্ডের পেশেন্টের।
ভদ্রলোকঃ জ্বি।আমি দিয়েছিলাম ওনার মোবাইল দিয়ে।
বাবাঃ আচ্ছা ও কে কোথায় পেলেন মানে এই অবস্থা কেমনে হল।
ভদ্রলোকঃ সেটা তো জানিনা,আমি আমার গাড়ি দিয়ে আসছিলাম তখন দেখলাম একটা গাড়ি একটা গাছের সাথে ধাক্কা লেগেছে।ধোয়া উড়তেছিল।কাছে গিয়ে দেখলাম দুজন মানুষ ভিতরে। ড্রাইভার এর অবস্থা গুরুতর। আর অপরজনের ও আঘাত কম লাগেনি।তখন আমি লোকজন ডেকে হসপিটালে আনলাম।আর ওনার পকেটে মানি ব্যাগ আর মোবাইল পেলাম।ওনার ফোন লক তো আমি জানিনা তাই সিম কার্ড বের করে উপরে যেই নাম্বার টা পেলাম ঐটাই কল দিলাম আর সেটা আপনার হবে মেবি।
বাবাঃ ঐটা আমার মেয়ের ফোন নাম্বার ছিল যাই হোক।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। কি বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করব জানিনা শুধু বলব আপনি একজন কে বাচাতে গিয়ে দুজন কে বাচিয়ে দিলেন আরিয়ানের কিছু হলে আমার মেয়ে বাচতোনা।Thanks Again..
ভদ্রলোকঃ ধন্যবাদ দিতে হবেনা এটা আমার একজন মানুষ হিসেবে দায়িত্ব ছিল অপর একজন মানুষের বিপদে পাশে থাকাটা।তাই আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র।
বাবাঃ আপনি যেটা করলেন সেটা বর্তমানে সবাই করেনা তাই ধন্যবাদ টা আপনার পাওনা।
,,
,
,
পিউ কেবিনে ডুকে আরিয়ানকে দেখে ডুকরে কেঁদে উঠল।হঠাৎ কারো কান্নার আওয়াজ শুনে আরিয়ান দরজার দিকল তাকালো সেখানে পিউ কে দেখতে পেল।কান্না করতে করতে কি হাল করেছে দেখলেই মন টা ভারি হয়ে যায়।পিউ আচতে আচতে আরিয়ানের লাছে গিয়ে শুধু ওর দিকে তাকিয়ে আছে কিছু বলছেনা।
পিউর চুপ থাকা দেকে আরিয়ান বলল
আরিয়ানঃ কি কিছু বলবানা।
পিউঃ চুপ একদম চুপ।বলছিলাম না যেতে শুনিসনি আমার কথা এখন দেখ কি অবস্থা হয়ে গেল।😭
আরিয়ানঃ ওরে বাপরে কি রাগ।এই দেখ আমার কিছু হয়নি আমি একদম ফাইন।
পিউঃ চুপ কুত্তা আমি কি অন্ধ নাকি দেখতে পাচ্ছি না।
আরিয়ানঃ এই অবস্থাতে তুমি আমাকে বকা দিচ্ছ আমি কিন্তু কান্না করব হু। চেহারা বেবি পেস করে।
পিউঃ আরিয়ানের এমন বেবি পেস দেখে কি আর রাগ করা যায়।হু আর ডং করতে হবেনা।দেখ সত্যি তুমি কতটা ব্যাথা পেয়েছো।আমি জানতাম তোমার বিপদ ও আমাকে বলেও ছিল কিছু করবে আর সেটা করে দেকালো।কান্না করে।
আরিয়ানঃ আরে জান কিছু হয়নাই তো।ও আমার কিছু করতে পারেনি আর পারবেওনা কারন তোমার ভালাবাসা সবসময় আমার কাছে আছে।আরররর এই টুকু কষ্ট তো মেনেই নেওয়া যায় বউয়ের সেবা আদর পাওয়ার জন্য।
পিউঃ বউ আসল কোত্থেকে তোমার বলো বলো।
আরিয়ানঃ কেন এই যে আমার সামনে কিউট সুইট একটা লক্ষী বউ।মিসেস আরিয়ান আবরার।
আরিয়ানের এমন কথায় পিউ লজ্জা পেয়ে গেল তা দেখে আরিয়ান বলল
আরিয়ানঃ দেখ এমন পেস করনা স্ট্রবেরি ভেবে খেয়ে পেলতে ইচ্ছে হয় কিন্তু আর এখন ভাঙ্গা পা নিয়ে তোমার কাছে যেতেও পারবনা।
পিউঃ হু।খেতে পারলেতো। শুয়েই থাকো এভাবে।
আরিয়ানঃ আচ্ছা আমি শুয়ে থাকবো।ওমমমমম তুমি এইদিকে এসোতো।
পিউঃ কেন এখানে টিক আছিত তোমাকে ভাল ভাবে দেখতে পাচ্ছি।
আরিয়ানঃ আরে ভাবা আমার পাশে এসোনা কতদিন কাছ থেকে দেখিনা তোমাকে।
পিউঃ হুম।
আরিয়ানের পাশে গিয়ে বসল পিউ।আরিয়ান একটু নড়তেই পায়ে ব্যাথা পেল আর আহ করে শব্দ করল।আরিয়ানের শব্দে পিউ বিচলিত হয়ে তড়িঘড়িৎ আরিয়ানের মুখের কাছে গিয়ে বলতে লাগল
পিউঃ কোথায় কষ্ট হচ্ছে বলো।কোথায় পায়ে,,,উমমমমমমমমমমমমম,,,,,,
আর বলতে পারলনা তার আগেই আরিয়ান তার তৃষ্ণা মিটাতো লাগলো হাজার ব্যাথার ঔষধ সেবন করতে লাগল।কিছুক্ষণ পরে ছেড়ে দিল।
আরিয়ানঃ আর ব্যাথা করতেছেনা।মলম পেয়ে গেছি।
আরিয়ানের এমন কথায় পিউ আবারো লজ্জায় পড়ে গেল।আচ্ছা ওয়েট তোমার জন্য খাবার কিছু নিয়ে আসি।
আরিয়ানঃ না কোথাও যাবেনা তুৃমি এখানে বসো।
পিউঃ তোমাকে যে কিছু খেতে হবে।আচ্ছা পাঁচ মিনিট যাবো আর আসব শুধু একটু সোপ আনবো।
আরিয়ানঃ কোত্থয়ও যাবানা এখন এখনে বসতে বলছি।
পিউঃ হু আচ্ছা বসতেছি।
,
,
,
,
,
বাবা তোমার না আমাকে আনতে যাওয়ার কথা ছিল হঠাৎ হসপিটালে কেন ভদ্রলোক কে উদ্দেশ্য করে বলল।
ও হ্যা ভদ্রলোক লোকের সাথে পিউর বাবার পরিচিতি হয়ে গেল ওনার নাম নাজিম রহমান ওনিও একজন বিজনেসম্যান।
নাজিমঃ মাইশা মা যেতে পারিনি। কারন দুইজন রোগিকে হসপিটালে আনতে হয়েছে তাই তোকে মেসেজ করে জানিয়ে দিয়েছিলাম।
মাইশাঃ ওহ আচ্ছা এখন ওনারা কেমন আছে?
নাজিমঃ একজনের অবস্থা সিরিয়াস আই সি ইউ তে রাখা হয়েছে অন্য একজনের পা ভেঙ্গে গেছে আর শরীরের কয়েক জায়গায় আঘাত পেয়েছে।
মাইশাঃ ওহহ ইনশাআল্লাহ ভাল হয়ে যাবে।তো এখন কি যাবানা।
নাজিমঃ হুম যাবো।আচ্ছা ভাইসাহেব এখন আমরা আসি আবার না হয় এসে দেখে যাবো।
বাবাঃ আচ্ছা ভাই সাহেব।
নাজিমঃ চল মা যাওয়ার আগে আর একটু দেখে যায় আর ভাইয়ের মেয়েটাও একটু দেখব।
মাইশাঃ আচ্ছা চল।
ওরা আরিয়ানের কেবিনে গেল।আরিয়ানের শরীর কেমন জিজ্ঞেস করল নাজিম রহমান।পিউর দিকে তাকিয়ে বলল তুমি পিউ তাইনা।
পিউঃ জ্বি আঙ্কেল।
নাজিমঃ দেখ মা তোমার বাগদত্তার কিছু হবেনা আল্লাহর কাছে চাও।
পিউঃ জ্বি আঙ্কেল। আপনাকি কি বলে ধন্যবাদ জানাবো তার ভাষা নাই।আপনি আমার জীবন কে ফিরিয়ে দিতে সাহায্য করেছেন।আপনার এই উপকার আমার চিরদিন মনে থাকবে।
নাজিমঃ হুম মা আল্লাহ তোমার প্রতি সদয় আছে তাই ওনি আরিয়ানের ক্ষতি করেন নি।
পিউঃ জ্বি আঙ্কেল। আঙ্কেল ও কে মাইশার দিকে ইশারা করে।
নাজিমঃ পরিচিত হও ও হচ্ছে পিউ এই দেখতেছো বেডে শুয়ে থাকা একজন ওনার জান প্রান।আর পিউ ও হচ্ছে আমার একমাত্র মা আমার চোখের মনি মাইশা রহমান।
পিউঃ হাই।
মাইশাঃ হ্যালো।
পিউঃ কেমন আছো।
মাইশাঃ আলহামদুলিল্লাহ। তুমি।
পিউঃ এইতো কোন রকম।জানের এমন অবস্থায় কি ভালো থাকা যায় বলো?
মাইশাঃ তাও টিক।চিন্তা করোনা সব টিক হয়ে যাবে।
পিউ আর মাইশা কথা বলতে বলতে একদম ক্লোজ হয়ে গেল ওরা তুমি থেকে তুই য়ে চলে গেল।কিছুক্ষণ আরো কথা বলে মাইশা আর নাজিম চলে গেল।যাওয়ার সময় মোবাইল নাম্বার আর বাড়ির এড্রেস জেনে নিল।
পিউ আরিয়ানের পাশে বসে আরিয়ানের ভাঙ্গা পাতে হাত বুলিয়ে দেখতেছে আর চোখ থেকে টুপটুপ পানি ফেলতেছে তখন তার ফোনে কল আসল।পিউ না দেখে রিসিভ করল।
পিউঃ হ্যালো।
আয়ানঃ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,।
#চলবে…………..!!
#True_Love_Never_Breaks
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_22
আয়ানঃ কেমন লাগল বেবি জান কে এই ভাবে দেখে।
পিউঃ তোর কখনো ভাল হবেনা দেখিস।
আয়ানঃ তুমি আমার কাছে চলে আসো তাহলে আমার ভাল কেউ আটকাতে পারবেনা।
পিউঃ তোর আশা কখনো পূরণ হবেনা শয়তান।
আয়ানঃ তাহলে তোমাকেও যে সুখে থাকতে,দিবনা।
পিউঃ হাজারো কষ্টে থাকলেও আরিয়ানের সাথে জীবন কাটাবো।তোর কাছে হারবোনা দেখে নিস।
আয়ানঃ ওকে আমিও দেখব।এখন তো শুধু পা তে আঘাত লাগল পরের বার এক্কেবারে শেষ করব।
তোকে তোো কিছু বলার আগে আরিয়ান পিউ কে ডাক দিল।পিউ কল কেটে আরিয়ানের কাছে গেল।
সন্ধ্যায় সাদু আর মনির আসল আরিয়ান কে দেখতে।
সাদুঃ কেমন আছ ভাইয়া এখন।
আরিয়ানঃ আলহামদুলিল্লাহ ভাল তুমি।
সাদুঃ আমিও ভাল আছি।
মনিরঃ সাদু তুমি বস এখানে দাড়িয়ে থেকনা কষ্ট পাবে বেবি।
পিউঃ বেবি মানে কি।
মনিরঃ ওমমম সাদু প্রেগন্যান্ট।
পিউঃ হোয়াট।সাদু তুই প্রেগন্যান্ট আমাকে বললিনা।
সাদুঃ আরে মাত্র কালকেই জানতে পারলাম যখন বলব বলে ভাবছি তখনি আরিয়ানের কথা শুনলাম।তাই আর বলিনি।
পিউঃ হুম।এখন থেকে সাবধানে থাকবি নিজের যত্ন নিবি।জিজু ওকে দেখে রেখ যেন বেশি তিড়িং বিড়িং না করে।আর বেশি ঘুরাবাও না।
সাদুঃ তুই কি আমাকে শিকল দিয়ে,আটকে রাখতে বলছিস নাকি।
পিউঃ সেটা ভাবলে সেটাই বাট কোন রিক্স নেওয়া হবেনা ওকে।বেবির প্রতি খেয়াল রাখবি দেখ তুই এখন একা না সাথে ছোট্ট একটা জান ও কিন্তু আছে তোর সাথে।
সাদুঃ ওকে মা সব মেনে চলব। হ্যাপি।
পিউঃ হুম অনেক।
সাদুরা আরো কতক্ষণ সময় কাটিয়ে,চলে গেল।রাত্রে মিম আর আরিয়ানের মা বাবা ওদের জন্য ডিনার নিয়ে এসেছে।সবাই খাওয়া শেষে আরিয়ানের মা থাকতে চাইলে ওনাকে বারন করে দেয় পিউ আর মিম।
ওনি পেসার রোগি না ঘুমালে ওনার জন্য ক্ষতি হবে তাই ওনাকে বাড়ি পাটিয়ে দিলেন বাবার সাথে মিম আর পিউ আছে হসপিটালে।পিউর বাবা কেও পাটিয়ে দিল তারা।
একদিন পর।
মিম তার পরের দিন চলে গেছিল আর পিউর বাবাও অফিসের কাজে একটু অফিসে গেল।হসপিটালে এখন পিউ আর আরিয়ান শুধু।
কেমন দিন কাল কাটতেছে মিস্টার আরিয়ান
হঠাৎ এমন কথা শুনে পিউ চমকে উঠল।পিছনে ফিরে আয়ান কে দেখেই ভয় আর রাগ দুটাই চড়াগ দিয়ে উঠল।
আরিয়ানঃ অনেক ভাল আছি।ইনফেক্ট তুমি আমাকে এক্সিডেন করিয়ে ভালই করেছ।এমন না করলে পিউর এমন নরম হাতের আদর মিস করে ফেলতাম।
আয়ানঃ সালা আমার লোকজন ভুল করে ফেলছে তাই নিছক বেচে গেলি না হলে এতক্ষণে উপরে।
আরিয়ানঃ সে তো হলাম না তোমার জন্য এক বালতি আপসোস।
আয়ানঃ তোকে আমি,দেখে নিব।শুনে রাখ পিউ আমার শুধু আমার।
এই বলে আয়ান চলে গেল।কাউন্টার ফেরিয়ে যেই সিঁড়ির দিকে পা বাড়ালো ওমনি কারো সাথে ধাক্কা খেয়ে দুজনেই ফ্লোরে।ওমা ফ্লোর এত নরম কেন ভাবতেছে আয়ান চোখ খুলে,তাকাতে দেখতে পেল একটা মেয়ে তার নিচে চুল সব মুখের উপর।আয়ান সাথে সাথে উঠে গেল।হাত বাড়িয়ে দিল মেয়েটির দিকে।মেয়েটি একধ্যানে,আয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে।হাত টা যেন তার চোখে পড়লনা।আয়ান আবারোও বলল হেই এক্সইউজ মি।হাত টা ধরেন উঠেন।তবুও মেয়েটির কোন ভাবান্তর নাই সেত সামনের ছেলেটাকে দেখতেই ব্যস্ত এত্ত কিউট ছেলে,যেন তার দেখায় প্রথম।এবার আয়ানের রাগ উঠে গেল হেই ইউ বয়রা নাকি চোখে দেখনা হাত দিলাম উঠ না হলে বল আমি,চলে যাই।আয়ানের ধমক শুনে মেয়েটি হুশে আসল।আর আরিয়ানের হাত ধরে উঠল।উঠেই বলতে লাগল।
হাই হ্যান্ডসাম আমি মাইশা ইউ।
আয়ানঃ তুমি মাইশা না কি তাতে আমার কি সত্তসব।বলে চলে যেতে লাগল।একটু গিয়ে আবার থেমে পিছনে ফিরে বলল ভবিষ্যতে চোখ খুলে হাটবেন হাতে নিয়ে না গট ইট।
মাইশাঃ হাই হাই এমন কিউট সুইট হ্যান্ডসাম পোলা দেখলে কি আর চোখ টিক থাকে নাকি।আমি তো তোমার প্রেমে,পড়ে গেলাম চান্দু।ইস কি হাটার স্টাইল।কি কথা বলার স্টাইল উফ কি দাড়ানোর পিছে মোড করার স্টাইল প্রত্যেক টা সেকেন্ড এ যেন প্রত্যেক টা কাজে যেন প্রেমে পড়ে গেলাম।আয়ানের কথা ভাবতে ভাবতে পিউর কাছে গেল।পিউ দেখল মাইশা আপনা আপনি হাসতেছে।হাসি দেখে পিউ মাথায় একটা টোকা দিয়ে বলতে লাগল।
পিউঃ কিরে ভুতে ধরল নাকি হাসতেছিস কেন।
মাইশাঃ হ্যান্ডসাম ভুত রে কি কিউট।উফ মে মার যাওয়া।
আরিয়ানঃ তা ভুত টা কয় সামনে আনেন।
মাইশাঃসামনে আনব কি করে তারে কি আমি আনছি নাকি।
পিউঃ তো কোথায় তিনি ভুত মহারাজা।
মাইশাঃ চলে গেল এখন।
আরিয়ানঃ কে,সে বলতো।
মাইশাঃ চিনি না তো।
পিউঃ তো প্রেমে পড়লি কি করে না চিনলে।
মাইশাঃ আরে বাবা এখন তো মাত্র দেখা হল তারপর মাইশা পিউদের সব বলল।
পিউঃ তো ওকে এখন খুজবি কই।
মাইশাঃ জানিনা তবে খুজে বের করবই।
মে হাজির হো গিয়া ফ্যান্স
পিছনে ফিরে তাকাতেই দেখে পেল ঈশান আর ইসু।
আরিয়ানঃ তোরা আই।
ঈশানঃ কেমন আছিস এখন।
আরিয়ানঃ অনেক ভাল।
ঈশানঃ ভাল কি করে থাকলি দেখতেছিত পায়ে ব্যান্ডেজ হাতে ব্যান্ডেজ।মাথায় ব্যান্ডেজ।
আরিয়ানঃ সব ব্যাথা এক নিমিষেই শেষ হসে যায় যখন ঐ কোমল নরম হাত দিয়ে আদর করে দেয় যত্ন নেই আমার।
আরিয়ানের এমন কথা শুনে সবাই মিটি মিটি হাসতেছে আর ওদের হাসি দেখে পিউ লজ্জা পেয়ে গেল।
পিউঃ আচ্ছা এসব ছাড়।টোর কেমন হল বল।
ইসুঃ পাটাপাটি অনেক ভাল লাগছে।বাট তোর কথা শুনে মন মানতেছিলনা তাই চলে আসলাম।
আরিয়ানঃ আমি তো টিক আছি তা ছাড়া পিউ আছে তোরা চলে আসলি কেন।
ঈশানঃ আরো বেড়ানোর অনেক সময় আছে।তুই আমাদের কাছে সব থেকে উর্ধ্বে তাই তোকে এভবে রেখে কোন মতে আনন্দ নেওয়া পসিবল না তাই চলে আসছি।
পিউঃ আচ্ছা তোমরা বস।
ঈশানঃ একরা সুসংবাদ আছে তোদের জন্য।
আরিয়ানঃ কি সুখসংবাদ বল।
ঈশানঃ আমার রিলেশন বাবা মা মেনে নিছে
আরিয়ানঃ মাশাল্লাহ এটা তো ভাল খবর।
পিউঃ আসলেই অনেক বড় খুশির সংবাদ।আমি অনেক খুশি।
ইসুঃ আমিও খুশি।
ঈশানঃ বাট আমি খুশি না।
ইসুঃ সত্যি তুমি খুশিনা কান্না করে।
ঈশানঃ আরে বাবা ফান করলাম ডোন্ট ক্রাই।
পিউঃ হুম ইসু ঈশান তো সেটা ফান করেছে।
ইসুঃহুম।আচ্ছা ও কে পিউ।
(কয়েকদিন গল্প না দেওয়ার জন্য দুঃখিত)
পিউঃ ওহ বলতে ভুলে গেছি ও হচ্ছে মাইশা আমার নিউ বেস্টু।
ইসুঃ হাই মাইশা।
মাইশাঃ হাই।কেমম আছিস।দেখ মাইন্ড করলে আমার কিছু করার নাই পিউর যখন বেস্টু তখন আমার ও বেস্টু।
ইসুঃ ব্যাপার না।আমি ভাল আছি তুই।
মাইশাঃ আমিও ভাল আছি।
পিউঃ ও তো আজ হেব্বি ভাল আছে তাইনা মাইশা।
ইসুঃ কেন কেন।
পিউ একটু আগে হওয়া সব বলল।
ইসুঃ তা হ্যান্ডসাম ভুত টাকে কই পাবি।
মাইশাঃ জানিনা।
ইসুঃ হাহাহ।প্রথম দেখায় প্রেম আর প্রথম দেখায় ছ্যাখা।
মাইশাঃ হুর না ওরে তো আমি খুজে বের করবই।
তখনি ডাক্তার আসল সবাইকে বাইরে অপেক্ষা করতে বলল একজন ছাড়া। পিউ ব্যতীত সবাই
বাইরে গেল।ডাক্তার আরিয়ানে কে চেকাপ করে বলল।
ডাক্তারঃ ,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,
#True_Love_Never_Breaks
#Writer_Fayeja_Sultana_Piu
#Part_23
ডাক্তারঃ ওনি এখন মোটামুটি সুস্থ বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন।
পিউঃ থ্যাঙ্কস ডক্টর।
ডাক্তারঃওয়েলকাম।আচ্ছা আপনি আসুন রিলিজ ফরম পূরণ করুন আর সব কাগজ পত্র বুঝে নিবেন।
পিউঃ ওকে চলুন।
পিউ ডাক্তারের সাথে গিয়ে সব চুকে আসল।দুপুরের দিকে আরিয়ান কে বাসায় নিয়ে আনা হল।বাসাতেই ওর যত্ন নিচ্ছে পিউ।
🌺🌺
ঈশান ইসুর সাথে ওর বাড়িতে গেল বাবা মাকে নিয়ে। ইসুর বাড়িতে গিয়ে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে ওদের বিয়ের সকল কথা বার্তা শেষ করল।বিয়ে দুজনের এক সাথে একটা সেন্টারে হবে তাই হল বুক করেছে কেনা কাটা করতে লেগে পড়েছে।বিয়েটা তাড়াতাড়ি করে ফেলতে হচ্ছে কারন ঈশানের লন্ডনের ভিসা আসল সেখানে যেতে হবে বিয়ে করলে বউ সহ নিতে পারবে তাই বিয়ে করে ফেলতেছে যাতে ইসুকে নিয়ে যেতে পারে।এর মধ্যে মিশু অনেক প্রবলেম করতে চেয়েছিল কয়েকটা কাজ করে।ইসু কে গুন্ডা দিয়ে কিডনাপ করিয়ে খারাপ করা,ইসু কে গাড়ি দিয়ে এক্সিডেন্ট করা,এমনকি অন্য মেয়ে দিয়ে ঈশান কে ভুল বুঝানো অনেক কিছু করেছে কিন্তু সবটাই মিশুর হাত আছে জেনে গেছিল আর ওদের মধ্যে সেই সব নিয়ে কোন প্রভাব ও ফেলেনি। এমনকি মিশু ইসুর বাবা কে ঈশান নামে অনেক কিছু বলেছিল কিন্তু ইসুর বাবা হাজার হলেও মেয়ে খারাপ ছেলের সাথে তো আর বিয়ে দিতে পারেনা তাই ঈশান সম্পর্কে খুজ নিল।ঈশান নিয়ে কোন খারাপ রেকর্ড না পাওয়ায় ঐ মেয়ের কথা ভিত্তি হীব আর বানোয়াট প্রমানিত হয়ে ঈশানের হাতে ইসুকে তুলে দেওয়ার পণ করেছে। আর সেই সুবাদে ইসু আর ঈশানের বিয়ে এত্ত তাড়াতাড়ি।
মাইশা কলেজে যাচ্ছিল রাস্তা পার হতেই জ্যামে একটা গাড়িতে আয়ানকে দেখতে পেল ও কাছে গিয়ে গাড়ির গ্লাসে টোকা দিতে লাগল।আয়ান বিরক্ত দেখে গাড়ি থেকে ড্রাইভার বের হয়ে মাইশা কে তাড়ানোর চেষ্টা করলে মাইশা ড্রাইভার কে একটা ধমক দিয়ে চুপ করিয়ে দেয়।মাইশার এমন কাজ দেখে আয়ান রেগে বম হয়ে গাড়ি থেকে বের হল।যেই না আয়ান বের হল মাইশা তার হাত ধরে নিয়ে যেতে লাগল।
আয়ানঃ এই মেয়ে তোমার প্রবলেম কি হুম।আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছ। আমাকে চিন আমি কে।আর তুমি কে বলত। এই মেয়ে কথা বলতেছ না কেন আনসার দাও ডেমেড।
মাইশা এতক্ষণ একটা কথাও না বলে সোজা একটা দোকানের টোলে বসালো।
আয়ানঃ হেই তোমার সাহস তো কম না একেতো আমাকে টেনে নিয়ে আসলা তার উপর টোলের উপর বসালা।
মাইশাঃ তু।
আয়ানঃ তু মানে কি।তুমি কে এমন বেয়াদব এর মত বিহেব করতেছ।
মাইশাঃ I Love You
আয়ানঃ মাইশার কথা শুনে চোখ বড় করে কি বলছে সেটা মনে পড়তেই।What তুমি কি বললে।
মাইশাঃ I Love you.
আয়ানঃ হেই মেয়ে তোমার মাথা টিক আছে কি আবোল তাবোল বকতেছ।
মাইশাঃ আবোল তাবোলের কি দেখলে I এবার চটপট আনসার দিয়ে দাও তো।
আয়ানঃ এই মেয়েকে পাগলা গারদ থেকে কে আনছে বলতে পারিস।সালা হাতে বন্দুক আছে তবুও বকরবকর করেই আছে।একদম সব ডুকাই দেব মাইশার মুখের ভিতর বন্দুক ধরে।
মাইশাঃ তুমি যা করনা কেন আমি তোমাকে ভালবাসি ভালবাসি ভালবাসি।সেই প্রথম দেখায় ভালবেসেছি।
আয়ানঃ আমি কে জানো তুমি।
মাইশাঃ তুমি কে সেটা ভালবাসার পরে জানতে পারব আগে বল আমাকে ভালবাস কি না।
আয়ানঃ আমার নাম শুনলে ভালবাসা চলে যাবে।
মাইশাঃ আমার ভালবাসা এত টুঙ্কো নই যে চলে যাবে হু
আয়ানঃ আমি আয়ান চৌধুরী মাফিয়া বুঝলে।
মাইশাঃ wow great মাইশা।তুর চয়েস তো সেই ভালা তুই মাফিয়া কে চোস করলি বাহ বাহ তোকে নিয়ে গর্ব হচ্ছে।
আয়ানঃ তোমার ভয় হচ্ছে না মাফিয়া শুনার পরেও।
মাইশাঃ একদম না।ভালবাসাই ভয় থাকতে নাই।আর আমি তোমাকে ভালবেসেছি মাফিয়াকে না।সো I Love you.
আয়ানঃ উফ গড কার পাল্লায় পড়লাম।আর আমিও এতক্ষণ দাড়িয়ে আছি কেন।শুন মেয়ে,আমি একজন কে ভালবাসি তো তুমি চলে যাও।
মাইশাঃ আচ্ছা তো সেই মেয়ে কই দেখি একটু।
আয়ানঃ সে আমাকে ভালবাসে না।
মাইশাঃ ইয়াহু ইয়েস ইয়েস।
আয়ানঃ এই মেয়ে এমন কর কেন।
মাইশাঃ আমার পথ ক্লিয়ার তাই।
আয়ানঃ মানে।
মাইশাঃ মানে একদম সহজ।তুমি অন্য কাউকে ভালবাস আর সে তোমাকে ভালবাসেনা তো আমার পথ ক্লিয়ার আমি জানি তুমি ও আমাকে ভালবাসবে।কারন আমি তোমাকে সত্যি অনেক ভালবাসি আর অনেক হ্যাপি রাখব।
আয়ানঃ ও আমাকে ভাল না বাসলেও সে আমার হবে।
মাইশাঃ কাইকে জোর করে নিজের করে পেলেও কখনো জোর করে ভালবাসা পাইনা।তাই ওর কথা বাদ দিয়ে আমার ভালবাসা গ্রহন কর।
আয়ানঃ সেটা কখনো সম্ভব না বলে চোখে সানগ্লাস লাগিয়ে চলে গেল।
মাইশা চিৎকার দিয়ে বলল অসম্ভব কে সম্ভব করবে এই মাইশা হু।বলে সেও কলেজে চলে গেল।
একমাস পর,,,,,,,,,,
চলবে,,,,,,,,,,,,,,,,
Lamisha Iftinan Piu