শুধু তুমি চাও যদি 🥀 #পর্ব – ০১

#শুধু তুমি চাও যদি 🥀
#পর্ব – ০১
#লেখনীতে – Aloñe Asha (ছদ্ম নাম)
#Kazi_Meherin_Nesa

হসপিটাল থেকে ক্লান্ত হয়ে সবে বাড়িতে ফিরলো আদিত্য, ডক্টর আদিত্য আশরাফ চৌধুরী… ডাক্তার হওয়া যে কত বড় দায়িত্বের ব্যাপার সেটা হয়তো ব্যাখ্যা করে বোঝানো যাবে না..নিজেকে ভুলে অন্যদের কথা ভাবা, মানুষের জীবন বাঁচানোটাই তো চিকিৎসকের মূল লক্ষ্য তাইনা? ছোটো থেকেই আদির স্বপ্ন ছিলো ডাক্তার হবার আর সে স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে সে..শুধু তাই নয়, ওর বাবা ওর জন্যে একটা হসপিটাল ও খুলে দিয়েছে..আদির বাবা আশরাফ সাহেব অবশ্য বিদেশে থাকেন, আদি নিজের মায়ের সাথে থাকে..বাবা মায়ের একমাত্র ছেলে হওয়ায় আদির বাবা ছেলের স্বপ্নের সকল পথ মসৃণ করার জন্যে যা যা করা দরকার সব করেছেন..শেষমেশ আদিও নিজের স্বপ্ন পূরণে সফল হয়েছে..আজকে হসপিটালে পরপর ২ টে অপারেশন ছিলো, তাছাড়াও আরো অনেক ব্যস্ত সময় পার করে বাড়িতে ফিরেছে আদি..মায়ের সাথে দেখা করে সোজা রুমে গিয়ে বিছানায় ওপর এপ্রন রেখে সোফায় গা এলিয়ে চোখ বন্ধ করে বসেছিলো..তখনই কেউ একজন বলে ওঠে…

” মায়ের সাথে দেখা করে এলে আর কারো খোঁজ নেবার দরকার বোধ করলে না? রুমে ঢুকেই শুয়ে পড়লে? This is not fair..!!”

কথাটা শোনামাত্র আদি চোখ খুলে তাকায়, ভ্রু কুঁচকে তাকায় নিজের সামনে দাড়ানো মেয়েটার দিকে..দু হাত ভাঁজ করে অভিমানী দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে মেয়েটা আদির দিকে..মেয়েটা হলো আদির স্ত্রী, সবে দেড় মাস হলো বিয়ে হয়েছে ওদের আর তার মধ্যে ২১ দিন দিয়া পরীক্ষার জন্যে নিজের বাপের বাড়িতে কাটিয়ে এলো.. স্বামী স্ত্রীর সম্পর্ক ছাড়াও আদি আর দিয়ার আরো একটা সম্পর্ক আছে..আদির মা মিসেস শেফা চৌধুরী আর দিয়ার মা মিসেস কেয়া মির্জা, তারা দুজনে ছোটবেলার বন্ধু..তাদের বন্ধুত্বকে আরো মজবুত করার জন্যে নিজেদের ছেলেমেয়ের বিয়ে দিয়েছে তারা..আদি এক প্রকার বাধ্য হয়ে দিয়াকে বিয়ে করেছে, কোনো এক অজানা কারণে আদির দিয়াকে ওর একদম পছন্দ না অবশ্য সেটা কি কারণ আদি নিজেও ঠিক করে জানেনা..তবে দুজনের মধ্যে একদম ইদুর বেড়ালের সম্পর্ক!

আদিত্য — তুই কখন এলি?

দিয়া — আমি তো সেই দুপুরে এসেছি!

আদিত্য — ভালো করেছিস!

দিয়া — কি ভালো করেছি? আমি পুরো ৩ সপ্তাহ বাড়িতে ছিলাম না, কই তুমি একবারও আমাকে একটা ফোন দাওনি! তোমার জানতে ইচ্ছে হলো না তোমার ছোট্ট বউটা কেমন আছে?

দিয়ার কথা শুনে আদি হেসে দেয়..

আদিত্য — তুই ছোটো..? ইয়ার্কি করার আর জায়গা পাস না আমার সাথে?

দিয়া — তো আমি ছোটো না? তুমি জানো আমি বয়সে তোমার থেকে গুনে গুনে ৭ বছরের ছোটো..তুমি এত নিষ্ঠুর কিভাবে হতে পারলে আদিত্য?

আদিত্য — আমি সব পারি বুঝেছিস? কিন্তু তুই আমার রুমে কি করছিস শুনি?

দিয়া — অদ্ভুত কথা বললে, আমি আবার কোথায় যাবো? এখন তো এখানেই থাকবো আমি তাইনা? তাছাড়া এটা আমারও রুম

আদিত্য — wrong! তোকে আমি প্রথমদিন বলে দিয়েছিলাম যে এটা শুধু আমার রুম, তোর না

দিয়া — ঈশ! কি হিংসুক গো তুমি! রুম নিয়েও এতো possessiveness? কই আমাকে নিয়ে তো সেসবের বালাই দেখি না

আদিত্য — তোকে নিয়ে possessive হবার কি আছে?

দিয়া আদির এপ্রোণটা স্বযত্নে বিছানা থেকে তুলে গুছিয়ে রাখতে রাখতে বলে..

দিয়া — ওমা! আমি তোমার বউ না?

আদিত্য — কি বউ বউ শুরু করেছিস? আমাদের বিয়ে হয়েছে ঠিকই কিন্তু তুই সবসময় আমার কাছে কেকা আন্টির মেয়েই থাকবি.. that’s it!

আদিত্য — By the way আমি হসপিটাল থেকে ফেরার পর থাকবি না এই রুমে..মাত্র হসপিটাল থেকে ফিরলাম, I’m very tired.. তোর ফালতু বকবক শুনতে চাইনা (বিরক্ত হয়ে)

দিয়া — তুমি সবসময় আমার সাথে এরকম করো কেনো বলোতো? আর এখনও তুই তোকারি করো কেনো? তুমি বলতে পারো না?

আদিত্য — তোকে তুমি বলতে যাবো কেনো আমি? আমার আর খেয়েদেয়ে কাজ নেই নাকি?

দিয়া — কোন husband কে দেখেছো তার wife কে তুই বলে ডাকতে? তোমার বন্ধুরা সবাই তো married কই কেউ তো এভাবে কথা বলে না তার wife দের সাথে

আদিত্য — কারণ তাদের wife রা তোর মত না, নিজেকে তাদের সাথে তুলনা করিস না

দিয়া — আদিত্য প্লিজ, এতদিন পর আমি এলাম আর তুমি আমার খোঁজ খবর না নিয়ে এরকম behave করছো? Patient দের সাথে তো মনে হয় এমন করো না, নাহলে তারা তো পালিয়েই যেতো

আদিত্য — শোন..! আমি আজকে অনেক ক্লান্ত, তোর সাথে কথা বলার মত এইটুকু শক্তি নেই আমার..এখন যা এখান থেকে (বিরক্ত হয়ে)

এবার দিয়াও কিছুটা রেগে যায়, কারণ আদি সবসময় ওর সাথে এভাবে চলতে বলে..ভালোভাবে শেষ যে কবে কথা বলেছে সেটা ওর মনেই নেই..

দিয়া — আচ্ছা তোমার কী সমস্যা বলতো? আমি সামনে এলেই তোমার যতো রাজ্যের সমস্যা শুরু হয়? কই আমি এতদিন বাড়িতে ছিলাম না তাতে তো তোমার কোনো সমস্যা হয়েছে বলে শুনিনি..

আদি এবার সোফা থেকে উঠে কাবার্ড থেকে টি – শার্ট আর তোয়ালে বের করে, তারপর ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাড়িয়ে হাতঘড়িটা খুলতে খুলতে বলে..

আদিত্য — তুই বাড়িতে না থাকলে একটু শান্তিতে থাকতে পারি আমি, নাহলে তোর সেই বকবক তো continue চলতেই থাকে..হসপিটাল থেকে এসেও শান্তি পাই না

এবার আদির কথা শুনে দিয়ার অনেক খারাপ লাগে, অশ্রুজলে সিক্ত হয়ে যায়..

দিয়া — তুমি বলতে চাইছো আমি তোমাকে disturb করি তাইতো?

আদিত্য — yes! বুঝেছিস তাহলে?

দিয়া — you’re very rude aditya..খুব খারাপ তুমি!

কথাটা বলেই দিয়া দৌড় দিয়ে রুম থেকে বেরিয়ে আসে, আদির বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে দিয়া already কান্না করে দিয়েছে..তাতে অবশ্য আদির কিছু যায় আসেনা..

আদিত্য — ব্যস! কিছু বললাম না অমনি কান্না শুরু করে দিলো, ছিচকাদুনে কোথাকার! মায়ের কাছে গিয়ে এবার আমার নামে objection করবে, I’m sure about that!

আদি আর বিলম্ব না করে ফ্রেশ হতে চলে যায়, একটু পর ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে রুম ফাঁকা, দিয়া আসেনি আর এখানে..সস্তির নিঃশ্বাস ফেলে ও..

আদিত্য — দিয়া রুমের মধ্য না থাকলে কতোটা শান্তি থাকে, আর ও এলেই ত আসবে একদম সাইক্লোন এর মত তারপর সব উড়িয়ে নিয়ে যাবে! Rediciulos!!

কথাগুলো ভাবতে ভাবতে আদি ওর ল্যাপটপ নিয়ে বসে, কিছু রোগীর রিপোর্ট চেক করার জন্যে..যেই একটু শান্তিতে বসেছে অমনি দরজায় নক পড়ে, আদি চোখ তুলে তাকিয়ে দেখে দিয়া মুখ ভার করে দাড়িয়ে আছে..

আদিত্য — ( ইয়া আল্লাহ..! কেনো যে আবার তুমি ফেরত পাঠাল মেয়েটাকে? ২১ টা দিন..! খুব শান্তিতে ছিলাম, এখন আবার এসে গেছে টেপ রেকর্ডার, বাজতেই থাকবে..!) কি হয়েছে আবার?

দিয়া — মা ডাকছে..!!

আদিত্য — ডাকবেই তো, আমার নামে বানিয়ে বানিয়ে এত্তোগুলো objection করে এসেছিস তো!

দিয়া কোনো উত্তর দিলো না, চুপ করে চলে গেলো..আদি জানে এখন নিচে গিয়ে মায়ের কাছে এতগুলো কথা শুনতে হবে, তাও ভালো ওর কাছে অন্তত দিয়ার কথা শোনার থেকে ঢের ভালো..
.
.
খাবার টেবিলে বসে মায়ের একগাদা কথা শুনলো আদি, সামনেই মুখ ভার করে বসে আছে দিয়া..আদি বারবার রাগী চোখে দেখছে ওর দিকে.. হঠাৎ দিয়া বলে ওঠে..

দিয়া — ও অ্যান্টি! দেখো তোমার ছেলে আমাকে চোখ পাকিয়ে ভয় দেখাচ্ছে! তুমি ওকে বলো না কিছু

শেফা — এসব কি হচ্ছে আদি? তোকে আমি এতক্ষণ ধরে যে এতগুলো কথা বললাম এতকিছু বোঝালাম তারপরও তুই এরকম করছিস?

আদির ইচ্ছে করছে দিয়ার মাথা ফাটিয়ে দিতে, মেয়েটা বরাবরই এরকম! আদি মনে করে ইচ্ছে করে ওর মায়ের সামনে ভালো সাজার জন্যে এমন করে..

আদিত্য — দেখো মা আমি ওর আচরণের জন্যেই এমন করতে বাধ্য হই, তুমি জানো আমার কেমন স্বভাবের মেয়ে পছন্দ আর দিয়া একদম তার উল্টো..

দিয়া — হ্যা তো? তুমি তো সব জেনেই বিয়ে করছিলে আমাকে তাহলে এখন অভিযোগ কেনো করছো?

আদিত্য — দিয়া..! আমি তোমার সাথে কথা বলছি না, আমার মায়ের সাথে কথা বলছি তুমি কেনো আমাদের মাঝে কথা বলছো? (রেগে)

শেফা — আমি সামনে বসে আছি তারপরও তুই ওর সাথে এভাবে কথা বলছিস? আর এগুলো কোন ধরনের ব্যবহার?

আদিত্য — মা, আমি আর কিছুই বলব না তুমি সুধু ওকে বলো ও যা করছে সেগুলো বন্ধ করে দিতে..

দিয়া — কি করেছি আমি?

আদিত্য — তুই আমাকে disturb করিস দিয়া, সবসময় করিস..in fact তুই যেদিন বাড়ি গেলি তার আগের রাত অব্দি আমাকে জ্বালিয়ে মেরেছিস! এতো কথা কেউ বলে?

দিয়া — এটাও একটা talent, সবার মধ্যে থাকে না বুঝেছ?

আদিত্য — তো তোর ওইসব talent আমার সামনে show করিস না প্লিজ!

শেফা — থাম এবার তোরা দুজনেই..! কি করছিস তোরা? তোরা দুজনে যে husband wife সেটা কে বলবে? এইভাবে ঝগড়া করে যাচ্ছিস..!

দিয়া — অ্যান্টি, আমি তোমার ছেলের সাথে ঝগড়া করি না..ওই আমার পায়ে পা বাঁধিয়ে ঝগড়া করতে আসে

আদিত্য — হ্যা, আর তুই তো চুপ করে থাকিস, সব fault আমার!

শেফা — আরেহ! আর একটা কথা বলবি না তোরা..! আমি যা বলছি সেটা শোন..দুজনে একটু মিলেমিশে থাকার চেষ্টা কর, ঝগড়া করতে যেনো আর না দেখি তোদের দুজনকে আমি

দিয়া — ঠিক আছে, আমি করবো না কিন্তু তোমার ছেলেকে বলে দাও আমার সাথে যেনো এরকম না করে

আদিত্য — আর তুইও শুনে রাখ, আমার সামনে যদি তোর ওই টেপ রেকর্ডার এর মত মুখ on করিস তাহলে তোর খবর আছে

দিয়া — একশোবার করবো, কি করবে তুমি হ্যা? (রেগে)

তখনই দিয়ার ফোন বেজে উঠলো, ওর মা ফোন করেছে..মায়ের ফোন দেখে দিয়া একটু শান্ত হলো তবে আদির ওপর আজকে বেজায় চোটে গেছে ও.. ওই মুহূর্তে আর কথা না বাড়িয়ে দিয়া খাবার টেবিল থেকে উঠে এসে ওর মায়ের সাথে কথা বলতে শুরু করলো..ওদিকে আদিকে ওর মা বলে..

শেফা — আদি, তুই কেনো মেয়েটার সাথে এমন করিস বলতো?

আদিত্য — দেখো মা, শুধু তোমার খুশির জন্যে আমি দিয়াকে বিয়ে করেছি, but I don’t like her সেটা তো জানো! আমার ওর স্বভাব একদম পছন্দ না মা!

শেফা — জানি আমি সব..কিন্তু তুই একজন ডাক্তার, আর দেখ নিজের স্ত্রীর সাথে কিভাবে বাচ্চাদের মত ঝগড়া করছিস এসব তোকে মানায়? তাছাড়া ও তো বাচ্চা মেয়ে একটু তো ওরকম করবেই তাইনা?

আদিত্য — ওর বোঝা উচিত যে ওর এখন বিয়ে হয়ে গেছে..আমি যেগুলো পছন্দ করি না সেগুলো তো ওর বদলে ফেলা উচিত.. ওর lifestyle, behavior Change করা উচিত..আর ও দেখো কি করছে?

শেফা — ও যাই করুক তাতে আমার অভিযোগ নেই, কিন্তু তোকে যেনো ওর সাথে এমন আর না করতে দেখি..! তোদের বিয়ের সময় আমি ওর মাকে অনেক বড় মুখ করে বলেছিলাম যে ও অনেক ভালো থাকবে এই বাড়িতে..সেটা যেনো সত্যি হয়..!

মায়ের কথার কোনো প্রতি উত্তর দিলো না আদি, ও ভালোভাবেই বুঝতে পারছে ওর মা কি বলছে ওকে কিন্তু ঐযে মন থেকে কিছু না চাইলে জোর করে কি সেটা করা সম্ভব?
.
.
রাত ১১.৩০ মিনিট…

আদি বারান্দায় দাড়িয়ে কফি খাচ্ছিলো, মাথাটা ধরেছে ওর তার ওপর ঘুম আসছে না, সাথে ওর মায়ের বলা কথাগুলো মাথায় ঘুরপাক খাচ্ছিলো হঠাৎ ওকে পেছন থেকে কেউ একজন শক্ত করে জড়িয়ে ধরে..আদির বুঝতে অসুবিধা হয়নি যে এটা দিয়া কারণ বিয়ের পর একদিন রাতে স্বপ্ন দেখে ভয় পেয়ে দিয়া এভাবেই ওকে জড়িয়ে ধরেছিল, পার্থক্য শুধু এইটুকুই আদি সেদিন চমকে উঠেছিল আর আজকে একদম শান্ত হয়ে আছে..দিয়া আদির পিঠের মধ্যে মুখ গুজে নাক ঘষতে শুরু করে..

আদিত্য — আজকেও ভয় পেয়েছিস নাকি? আবার কোনো খারাপ স্বপ্ন দেখেছিস?

দিয়া — না তো..!

আদিত্য — তাহলে উঠলি কেনো?

দিয়া — এমনি..!

আদিত্য — এমনি আবার কি? তোর মতলব কি বলতো? এতক্ষণ শুয়ে শুয়ে মাথায় কোনো কুবুদ্ধি এসেছে সেটাই apply করতে এসছিস এখানে?

দিয়া — রোগীদের বেলায় তো ঠিকই be positive থাকো তাহলে শুধু আমার বেলাতেই সবসময় negative thinking করো কেনো?

আদি দেখলো দিয়া ওকে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরার চেষ্টা করছে, আদির এবার কিছুটা suffocating লাগছে, আদির এক হাতে তো কফি কাপ, আরেক হাতে ও দিয়াকে ছাড়িয়ে ঘুরে দাঁড়ায় দিয়ার দিকে..

আদিত্য — আরে, what are you doing..!

দিয়া — I’m sorry!

হঠাৎ দিয়ার মুখে সরি শুনে আদি বেশ অবাক হয়..

আদিত্য — একটু আগেই তো ঝগড়া করছিলি এখন আবার সরি কেনো? আর এভাবে আমাকে hug করে আবার নতুন কি ড্রামা শুরু করলি?

দিয়া — একটা কথা কি জানো তো আদিত্য, তোমাকে অনেক মিস করছিলাম.. জানি তুমি অনেক ব্যস্ত থাক তবে একটা ফোন তো দিতেই পারতে তাইনা?

আদিত্য — to be honest তোকে call করতে ইচ্ছে না আমার, এমনিতেও আমি অনেক busy ছিলাম আর তোর exam চলছিল so..

দিয়া — এতটা ignore করো না আমাকে আদিত্য, look I know you don’t like me, তুমি এখনও আমাকে শুধু তোমার মায়ের friend এর মেয়ে হিসেবে treat করো.. it’s ok তবে একটু তো care expect করতে পারি আমি তোমার থেকে তাইনা?

আদিত্য — এসব কথা তোকে মা শিখিয়ে দিয়েছে? নাহলে তোর মাথায় এসব কথা তো আসার কথা না! (ভ্রু কুচকে)

দিয়া মুচকি হাসে আদির কথা শুনে, ছেলেটা ওকে এত বুদ্ধু ভাবে সেটা জানাই ছিলো না..!!

দিয়া — তোমার কি মনে হয়? আমি এতটাই duffer যে নিজের জন্যে কিছু বলতে গেলেও আমাকে আন্টির থেকে শিখে আসতে হবে? হতে পারে তোমার মত brilliant না তাই বলে এতটা বোকাও নই

আদিত্য — রাতের বেলা আমার সামনে তোর এই বুদ্ধি না দেখিয়ে exam hall এ দেখাস, তাহলে নাম্বার ভালো আসবে!

আদি দিয়াকে সরিয়ে যেতে যাচ্ছিলো তখন হুট করে দিয়া কিছুটা উচু হয়ে দু হাতে ওর গলা জড়িয়ে ধরে, আদি কিছু বলবে তার আগেই টুপ করে নিজের আদির ঠোঁটে নিজের ঠোঁট জোড়া ডুবিয়ে দেয়…❤️

চলবে….??

[ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন..!!]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here