#ভালোবাসা_ফিরে_আসে,পর্ব ২
লেখা : মান্নাত মিম
ঢাকায় নিজের বোনের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে আছে লিলি। তারা দু’বোন মিলি আর সে লিলি। রিম্পি তার বোনের’ই মেয়ে। নানু বাসায় বেড়াতে এসেছিল বাবা-মা’র সাথে। শেষে লিলি তাকে রেখে দেয় নিজের কাছে। পরে দিয়ে আসবে সাথে সে নিজে গিয়ে কিছুদিন থেকেও আসবে সেই প্রতিশ্রুতিতে। একারণেই আজ রওনা দেওয়া বোনের বাসায়। কিন্তু যাত্রা আর শুভ হলো কই! মেজবাহ নামক ব্যক্তি যাত্রার আনন্দতম ক্ষণকে মাটি করার নামে ওঠে-পড়ে লেগেছে যে। তবুও সে মেজবাহর করা বাকি প্রশ্নের উত্তর দেয়নি। মুখে কাঠিন্যভাব এঁটে চুপ করে রয়েছে। এখন লোকটার কথার উত্তর না দিয়ে সে যাবে কোথায়? মেজবাহ যে তাদের সাথেই ঢাকা যাচ্ছে একই বাসে চড়ে!
প্রথম সাড়ির পরের সাড়িতে লিলি ও রিম্পি বসা। তার বরাবর সীটে বসা মেজবাহ। আস্তে আস্তে বাসে লোকজনে পরিপূর্ণ হতেই ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিলো সেটা। রাতের সময়ে বাসে চড়ে ঢাকা যেতে বেশ অস্বস্তিবোধ করছে লিলি। বর্তমানে রাস্তাঘাটের যা শোচনীয় অবস্থা। সেসব ভাবতেই ভয় লাগছে। বাসে তো নারী-রা ভুলেও নিরাপদ নয়, আর এমন জায়গাতেই সে অবস্থান করছে। তাও রাতকালীন সময়! তবুও মনকে আশ্বাস দিচ্ছে কিছু হবে না ভেবে। বাসে অবশ্য বেশি একটা মানুষ নেই। পথিমধ্যে অনেকে নিজ গন্তব্যে নেমে পড়ছে।
বাসের কন্ডাক্টর বেশ কয়েকবার ঘাড় ফিরিয়ে লিলিকে লক্ষ করছে, আর বাস চালকের কানে কিছু একটা বলছে। একমাত্র মেয়ে যাত্রী হিসেবে সে-ই রয়ে গেছে। লিলির-ও অবশ্য সেই চাহনি দৃষ্টিগোচরে এড়ায়নি। তাই তার নিদ্রামুদিত আঁখিদ্বয় উন্মুক্ত করে রেখে ঝাপটে ধরে আছে রিম্পিকে। তবে আরেকজন যে তাদের নিরাপত্তার জন্য জাগ্রতচিত্তে, সেদিকেই কেবল বেখেয়াল লিলি। এমন সময় কন্ডাক্টর এসে তাকে বলল,
‘তা আফা আন্নে কই নামবেন?’
‘জ…জি শামপুর মোল্লাবাড়ি।’
ভীত হওয়া কণ্ঠস্বর তুতলিয়ে গিয়ে কোনোরকমে লিলি গন্তব্য স্থলের নাম বলল।
‘তা ওই ভাইজান-ও কি আন্নের লগে যাইব?’
বাসে এবার শুধু লিলি, রিম্পি আর মেজবাহ রইল। খালি বাসে কন্ডাক্টরের বাড়তি কথা আর কুদৃষ্টি পূর্ণ চাহনিতে লিলির ললাট বেয়ে সূক্ষ্ম ঘামের মেলা বসেছে, না জানি আজ অদৃষ্টে কী দুর্ঘটনা’ই না আছে। মেজবাহ তো তাদের সাথে যাচ্ছে, কিন্তু পথিমধ্যে যদি সে-ও নেমে যায় তখন কি হবে? তা ভাবতেই কান্নারা যেন চোখে শ্রাবণ ঝরাতে চাচ্ছে। আর কিছু পথ যদি মেজবাহ তাদের সাথে যেত। অসময়ের এই সময়ে দেবদূতের মতো মেজবাহ তখন কন্ডাক্টর’কে উত্তর দিলো,
‘স্বামী তার স্ত্রী’র সাথে যাবে না তো কে যাবে? জীবনও কি এমনটা হতে দেখেছ মিয়া?’
হতবিহ্বল চিত্তে মুখে রা-টুকুও যেন তলিয়ে গেছে গলার নিচে। এ-কি উত্তর! কোন আক্কেলে মেজবাহ এমন কথা বলল। স্বামী শব্দটা তার জন্য কি একবার সে যদি জানতো তাহলে এই কথাটা বলতে পারত না। লিলির ভাবনার বাক্যগুলো আর মুখ নিঃসৃত হতে পারল না, এক নিদারুণ কষ্টের দলা পাকিয়ে গলায় আঁটকে বসে রইল।
‘না দেখি নাই। তয় বৌ’য়ের লগে একখানে না বইয়া, আরেক সীটেও বইতে দেখি নাই কোন স্বামী’রে।’
কন্ডাকটরের মন-মেজাজ গরম গরম, কারণ নরম মাল সামনে পেয়েও মুখে কুলুপ এঁটে উপোস থাকতে হলো। তা বেজায় ভালোভাবে মেজবাহর নজরে এলো। তাই জানালার পাশের সীটে মেজবাহ নিজে বসে কন্ডাক্টর’কে পাশের সীটে বসতে দিয়ে বলল,
‘মিয়া তুমি মনে হয় বিয়া-সাদি কর নাই। করলে বুঝতা বউদের রাগারাগির তীর সহ্য করা কতো কঠিন ব্যাপার!’
খালি করে দেওয়া মেজবাহর পাশের সীটে বসে বিগলিত হাসি দিয়ে কন্ডাক্টর বলল,
‘নাহ করি নাই এখনো। তয় বৌ না থাকলে কি হইব, ঝগড়ার লেগা আছে গালফেরেন্ড। তা পিচ্চিডা কি আন্নের নাকি?’
‘ভাই এটা কোন কথা বললেন, বিয়া করলে বাচ্চা হইব না!’
‘আরেহ ভাই জিগাইলাম কারণ হইল মানুষ আন্নেরা দুইজন এখনো জোয়ান। এতো তাত্তাড়ি পোলাপান লইয়া লাইলেন। মিয়া যৌবনের মজাডা আরো বাড়ানের দরকার আছিল।’
মেজবাহর রানে একহাতে চাপড় মেরে এপ চোখ টিপ দিয়ে বলল কন্ডাক্টর। মেজবাহর মন চাচ্ছে কন্ডাক্টরের মাথাটা ফাটিয়ে দিতে। ব্যাটার মুখের কী শ্রী! স্বাভাবিকই এদের মুখের ভাষা জঘন্যতম হয়, যারা হরহামেশাই বাসে চলাফেরা করে তাদের কাছে ইহা ডালভাত, উপায় নাই এসব কেন আরে যৌন হয়রানির শিকার হয়ে মুখ বুজে সহ্য করেই গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিতে হয় প্রতিনিয়ত। সেসব ভেবেই দমন করে মুখে জোর করে ঠোঁট টেনে হাসির রেশ দেখায় মুখের কোণে মেজবাহ। পাশের সীটে বসে লিলি সম্পূর্ণ কথোপকথন সম্পর্কে অবগত। তাকে রেগে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু তার নিষ্পলক মুখ দেখে বুঝায় যায় সে আপাতত বেশ শান্ত। সেটার কারণ অবশ্য আছে। মেজবাহ কন্ডাক্টরের কাঁধের দিকে হাতে ইশারা করেছে তাকে কোন বিরূপ প্রতিক্রিয়া করতে। তাতেই লিলি বুঝতে পেরেছে ; যা হচ্ছে ভালোর জন্যেই হচ্ছে। নিজেকে অন্তত শ্লীলতাহানি হতে হয়নি। একজন নারীর কাছে নিজের সম্মান আগে তা জীবনের চেয়েও।
_______
ভোরের দিকে এসে পৌঁছেছে তারা। বাস থেকে নেমে লিলি রিকশা নিলো বোনের বাড়ির উদ্দেশ্যে। কিন্তু তার আগে মেজবাহর সামনে গিয়ে বলল,
‘কীভাবে ধন্যবাদ দিব আপনাকে বুঝতে পারছি না? আসলে তখন বুঝিনি আপনি ওই কথাটা বলেছেন কেন। পড়ে বুঝলেও আমার কাছে কথাটা ভালো লাগেনি। তবে কোনো কোনো সময়ে মিথ্যার আশ্রয় নেয়ার প্রয়োজন হয়।’
মেজবাহ প্রতিবারের মতো অমোঘ দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে আছে লিলির দিকে। কিন্তু লিলি নিজের অবনত দৃষ্টির কারণে সেটা চক্ষুগোচর করল না।
‘কোনটার কথা বলছেন?’
দ্বিতীয়বার চোখাচোখি হলো প্রেয়সীর নজরে যেখানে বাঁধা পড়ল একেবারেই মেজবাহ। অবাক দৃষ্টি নিয়ে ঘনপল্লবিত চোখের পাপড়ি একবার ঝাপটিয়ে পিটপিট করে বলল,
‘কিহ্! আপনার সত্যিই কথাটা মনে নেই?’
মেজবাহ তার কথাটা বুঝতে পারল না। মনে তো আছেই, তবুও তার প্রেয়সীর মুখে কথাটা শুনে মনের খোরাক মিটাতে চায় অবাধ্য মন। অবুঝের ন্যায় মাথা নাড়িয়ে না বোধক বুঝালে মিষ্টি হাসি হেসে লিলি বলল,
‘যাক ভালোই হল বেশ। কিছু মনে রাখবেনও না। আসি ধন্যবাদ সাহায্য করার জন্য।’
ইশ! একদিকে মনের দু’টুকরো করল মেয়েটা ভুলে যাওয়ার কথা বলে। আরেকদিকে মিষ্টি হাসি দিয়ে মলম লাগিয়ে দিয়ে গেল মনের ক্ষততে।
________
ভোর সকালে ঈশানকোণে মেঘ জমেছে। বৃষ্টি নামবে বেশ দেখেই বুঝা যাচ্ছে। বৃষ্টি নামার আগে যে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহমান তা লিলির খুব ভালো লাগে। যেমন, এই যে এখন বারান্দায় দাঁড়িয়ে সে বাতাস গায়ে মাখছে। বেশ লাগছে কিন্তু তা খুবই পরিমিত সময়ের জন্য। ঢাকা বোনের বাড়ি এসেছে আজ একসপ্তাহ হলো। এরমধ্যে বাইরে বেরিয়েছে সে হাতেগোনা দু’তিন দিন, তাও সল্প সময়ের জন্য। নিচে তাকিয়ে দেখতে পেল মেজবাহ তার দিকেই তাকিয়ে আছে। এরজন্যেই তার বাইরে বের হওয়া হয় না। যে কয়েকদিন বাইরে বের হয়েছিল তারমধ্যে একদিন পার্কে গিয়েছিল রিম্পি’কে নিয়ে, বেশ দূরে নয় সামনেই পার্কটা। সেখানে এসে বান্দা হাজির।
পার্কের বেঞ্চের একপাশে বসে আছে লিলি। দূরে তাকিয়ে রিম্পির দৌড়াদৌড়ি দেখে ঠোঁটের কোণে হাসি মেখে আছে তার। আর সে হাসি একজন মনোমুগ্ধতা নিয়ে দেখছে। এর যেন শেষ নেই মেয়েটা সবসময় এমন হাসিখুশি থাকতে দেখতে ব্যক্তিটির ভালো লাগে। কিন্তু মেয়েটি হাসি দিতে যেন কার্পণ্য করে, ঠিক কম কথা বলার মতো করে।
‘আপনার হাসিটা বেশ সুন্দর!’
আলগোছে পাশে বসে থাকা মেজবাহকে দেখে মুখের হাসিতে ভাঁটা পড়ল লিলির। হতবাক ও বিরক্তিকর দৃষ্টিতে একবার তার দিকে রিম্পির খেলার দিকে আবার মনোনিবেশ করল লিলি। তা দেখে মেজবাহ বলল,
‘আপনি বোধহয় রেগে আছেন। তা রাগের কারণটা কি আমি?’
তাও লিলির কাছ থেকে কোন সদুত্তর পেল না সে। আচ্ছা মেয়েটা এমন কেন? কোন উত্তর তো দূরে থাক একটা শব্দও উচ্চারণ করে না। উত্তর জানা তবুও ভেতরে ভেতরে কষ্ট পায় সে। দু’টুকরো কথা যেন তার দু’বেলার আহার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক দেখাই ভালোবাসা এতদূর পর্যন্ত হতে পারে, জানা ছিল না মেজবাহর। দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে সে ভাবানুবাদ করতে পারল না মনের কথাগুলোর। তবুও ক্ষীণ আশা নিয়ে আবার প্রশ্ন ছুড়ল লিলির পানে।
‘আচ্ছা আপনি এতো চুপচাপ থাকেন কেন? মানে কথা কম বলেন আরকি! কীভাবে পারেন কথা কম বলে থাকতে? আমাকে-ও একটু শিখান। আসলে আমার বন্ধুমহলের সবাই আমাকে বাঁচাল বলে অ্যাখ্যায়িত করে।’
মেজবাহর কথা বলার ভঙ্গি দেখে ফিক করে হেসে ফেলে লিলি। আর তার হাসি যেন মেজবাহর মনে প্রশান্তি এনে দেয় তার মুখেও হাসি ফুটায়। তার একলা জীবনে সুখ সুখ অনুভব হচ্ছে। এই মেয়েকে পেলেই যেন সব না পাওয়ার খাতায় পরিপূর্ণতা আসবে। তাকে একধ্যানে তাকিয়ে থাকতে দেখে লিলির মুখের হাসি মুছে গিয়ে নেমে আসে একঝাঁক মেঘের ছায়া।
দুর্নিমিত্ত চাহনি তীর্যকভাবে হৃদয়াঙ্গন ফালা-ফালা করে দিচ্ছে লিলিকে। এ চাহনি যে তার কাছে অশুভ। জীবনে সে একজনকে’ই ভালোবেসে মন দিয়েছে। মন তো বিলানোর জিনিস নয়, যে যাকে-তাকে বিলাতে থাকবে।
দ্রুততার সাথে লিলিকে ওঠে দাঁড়াতে দেখে মেজবাহ উদ্বিগ্নতার সঙ্গে তাকে কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে, কিন্তু রিম্পিকে নিয়ে লিলির পার্ক থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে বাঁধা প্রাপ্ত হয়। তখন থেকেই লিলির বাইরে বের হওয়া প্রায় বন্ধই। তাই এখন মেজবাহর অস্তিত্ব লিলির বোনের বাড়ির নিচে দেখা যায়।
বৃষ্টির পানির ঝাঁপটায় ভাবানায় ভাঁটা পড়ায় নিচে তাকিয়ে দেখে মেজবাহর নির্নিমেষ দৃষ্টি এখনো তাকে দেখছে। ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টিতে অতোটা ভিজেনি মেজবাহ তা দেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে রুমে ফিরে আসে। বিছানায় ঘুমন্ত রিম্পিকে দেখে মৃদু হেসে এগিয়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে ঘুমের দেশে পাড়ি দেয় লিলি৷
_________
তীব্র বর্ষণ শেষে আকাশটা যেমন পরিষ্কার থাকে, রাস্তার অবস্থাও তেমন ফকফকা। মিলি এসে বার কয়েক ডেকে গেছে তার মেয়ে ও বোনকে। অথচ দু’টোই ঘুমে বিভোর। তাই আর ডাকেনি তাদের। বেশ জাঁকালো ঘুম শেষে হাই দিয়ে বিছানা ছেড়ে লাগোয়া ওয়াশরুমে গেল লিলি ফ্রেশ হতে। টাওয়াল দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বারান্দায় গিয়ে দাঁড়াল সে। তার বারান্দা খুব পছন্দের। তবে পছন্দের খাতায় সেটা তেমন একটা ছিল না। অন্যের পছন্দে সেটা তৈরি হয়েছে। একেবারে গোসল সেড়ে বের হয়েছে বিধায় কোমর সমান চুলের পানিতে পিঠের অধিকাংশই ভিজে গেছে। সৌন্দর্যের উপঢৌকন আছড়ে পড়ছে তার গা থেকে, আর তা অবলোকন করছে নিমাংশে দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি। লিলির ষষ্ঠ ইন্দ্রিয় বলছে কেউ তার দিকে তাকিয়ে। হঠাৎ করেই নিচে তাকালে বৃষ্টিতে ভিজে চুপসে যাওয়া মেজবাহকে দেখতে পেল। তার জীবনে যে ঝড়ের আশংকা ধেয়ে আসছে সেটার অস্তিত্ব সে খুব ভালো করে টের পাচ্ছে।
‘আপনার সমস্যা কি? এটা একটা ভদ্র ফ্যামিলি’দের বাসা। আপনার এমন দেবদাস’গিরির জন্য কি এখানে থাকা যাবে না। আপনি চাইছেন কি বলুন তো?’
ওপর থেকে দেখে তাৎক্ষণিকভাবে নিচে নেমে এসেই মেজবাহর সম্মুখীন হয়ে দাঁড়িয়ে কথাটা বলে লিলি। তার মনে ভয়ে, আতংকে সাথে রাগের অদ্ভুত মিশ্রণে ঢিপঢিপ করছে। এই বুঝি, কেউ দেখে তাকে মন্দ বলে, বোনের কাছে নোংরা কথার বুলি ছাড়ে। আর সাথে তাদের’কে সমাজ থেকে দূরীভূত করে।
‘আমি আপনাকে ভালোবা….।’
মুখের কথা মুখেই রয়ে যায় মেজবাহর।লিলির কোমল হাতের শক্ত থাপ্পড় পড়ায়।
‘আর কখনো যেন না দেখি আমার পিছু নিতে।’
রুষ্ট হয়ে শাসানো ভঙ্গিতে কথাটা বলেই লিলি ত্রস্ত পায়ে হেঁটে চলে গেল দোতলা অট্টালিকার বাড়ির ভেতর।
চলবে……..