#নাম: এলাকার বড় আপু,পার্ট:১০ শেষ
#লেখক: Osman
👉তানহা চলে যায়। আমি শুয়ে মোবাইল টিপছি। এমন সময় রিয়ান ভাই ঘরে ঢুকলো। রিয়ান ভাই এর যে অবস্থা। আমি নিশ্চিত গনধোলায় খেয়ে এসেছে। আমি বললাম।
আমি: ভাই আপনার এই অবস্থা কেনো?
রিয়ান: ছোট ভাই তর কথা শুনা উচিত ছিলো। এই মেয়েটা একটা ডাইনি। আমাকে ফোন দিয়ে বলল যাইতে । আমি ভাবছিলাম আমরা ঘুরতে যাবো। গিয়ে দেখি মেয়েটা আর অনেক ছেলে মেয়ে নিয়ে দাড়িয়ে আছে। তারপর আমাকে গনধোলায় দিলো। ছোট ভাই তর কথা উচিত ছিলো। আমি আর এক মুহূর্তও এখানে থাকবো না। আমাকে বলে আরেক বার এই এলাকায় দেখে তাহলে আমার পা ভেঙ্গে ফেলবে।
আমি: রিয়ান ভাই আমি আপনাকে প্রথমেই বলেছিলাম।
রিয়ান: হুম।
👉রিয়ান ভাই তাড়াতাড়ি রেডি হয়ে। গ্রামের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলো। আস্তে আস্তে সব মানুষ চলে যায়। আমিও ঘুমিয়ে গেলাম। কেমন যেনো একা একা লাগছে। নিলারও কোনো খুঁজ নাই। আমি ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে নিলার ডাকে ঘুম ভাঙ্গলো।
আমি চোখ খুলে দেখি নিলা।
নিলা: ওঠস না । আর কত ঘুমাবি?
আমি: তুমি এখানে কেনো?
নিলা: এতে অবাক হওয়ার কি আছে?
আমি: আমিতো ভাবছিলাম তুমি রিয়ান ভাই এর সাথে চলে গেছো।
নিলা: তর এই ভাইকে এমন ধোলায় দিয়েছি । আর এই ঢাকা শহরের নাম মুখে নিবেনা।
আমি: তারপরেও তুমি এখান থেকে চলে যাও।
নিলা: কেনো ?
আমি: গতকালের কথা মনে আছে।
নিলা: আমি রাত্রে বললাম কোনো মেয়ের সাথে কথা না বলতে। আর তুই সকালেই কি সুন্দর করে কথা বলছত। যেমন জামাই বউ।
আমি: ওকে দোষটা আমার ছিলো।সাথে সাথে মাফও চাইলাম। আর বাসার সবাই কাজে ব্যস্ত ছিলো। তানহা আমাকে জাস্ট হেল্প করেছে।
নিলা: ও।
আমি: আর তুমি আমাকে এতো বড় শাস্তি দিলা।
নিলা: শুন আমি জানি তর অনেক কষ্ট লাগছে। কিন্তু তর থেকে আমার আরো অনেক বেশি কষ্ট লেগেছে।
এখন বল অন্য কোনো মেয়ের সাথে কথা বলবি।
আমি: না।
নিলা: এখন ওঠ ।
আমি: আমার হাত ধরে টান দেও।
👉নিলা আমার হাত ধরে টান দিলো। আমি ওঠে গেলাম। তাড়াতাড়ি নাস্তা খেতে আয়। আমি ফ্রেশ হয়ে গেলাম নাস্তা খেতে। নাস্তা সেরে রুমে এসে পড়াত বসলাম। আমি পড়তেছি। নিলা এসে বলল
নিলা: তর মোবাইলটা দে?
আমি: বালিশের নিচে।
👉নিলা মোবাইল ধরে বলল।
নিলা: লক কি?
আমি: তোমার নাম।
নিলা: আমার নামে লক দিছত কেনো?
আমি : কারন তুমি আমার জান।
নিলা: হুম।
👉আমি আবার পড়াত মনোযোগ দিলাম। নিলা অনেকক্ষন আমার মোবাইল টিপলো। আমার পড়া শেষ হলে । আমি চেয়ার থেকে ওঠলাম। নিলা বলল।
নিলা: পড়া শেষ?
আমি: হুম।
নিলা: কি পড়ছত দেখি?
আমি: আরে ওসব তুমি বুঝবা না।
নিলা: বুঝবো না মানে। দে তর বই দে।
👉আমি বই দিলাম। এই ফাঁকে বিছানায় শুয়ে পড়লাম। নিলা আমার পাশে এসে বসলো। কয়েকটা প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলো । আমি একটাও পাড়ি নাই। আমি বললাম।
আমি: তুমি এসব প্রশ্ন কোথা থেকে জিজ্ঞেস করছো?
নিলা: এসব তো বেসিক নলেজ। তুইতো জানস না আমি ভার্সিটি পুরো শেষ করেছি। তার পরেই বিয়ে টিয়ে।
আমি: ও।
নিলা: এটা লাস্ট প্রশ্ন।এটা না পারলে তকে এমন মাইর দিবো । তুই চিন্তাও করতে পারবি না।
আমি: ওকে বলো।
👉নিলা প্রশ্ন করলো । আমি এটার উত্তর দিতে পারলাম না। নিলা বালিস নিলো আমাকে মারার জন্য। নিলা আমাকে দুইটা বারি দিলো। তিন নাম্বারটা দেয়ার জন্য বালিস উপড়ে তুলল। আমি হাত ধরে টান দিয়ে আমার বুকের উপর শুয়ে দিলাম। নিলার শ্বাস আমার নাকে লাগছে। আমি আস্তে আস্তে নিলার ঠোঁটে আমার ঠোঁট লাগিয়ে দিলাম। নিলা আস্তে আমার উপড়ে উঠতে থাকে। (ঠোঁটের সাথে ঠোঁট লাগাইলে হয়ে যায় না। এর ভিতর আরো অনেক কাজ থাকে সেগুলো ব্যাখ্যা করলাম না) । মার ডাক কানে আসছে।
মা : নিলা নিলা এই মুরাদ নিলা তর এখানে।
👉আওয়াজ শুনে নিলা সাথে দাঁড়িয়ে যায় বই নিয়ে ।আমি বললাম
আমি: হ্যাঁ মা নিলা আপু্ এখানে।
মা ঘরে ঢুকে বলল।
মা: এই বদমাইশটার এখানে তুমি কি করো?
নিলা: কিছু না মা । সরি আন্টি। তার পড়াটা দেখছিলাম।
মা: তুমি তার পড়া বুঝো । তাহলে তাকে একটু দেখাও।
নিলা: ওকে আন্টি।
মা চলে যায়। আমি নিলাকে আবার ধরলাম। নিলা বলল।
নিলা: ছাড়! ছাড় বলছি। একটুর জন্য তর মা দেখে নাই।
👉আমি ছেড়ে দিলাম। নিলা আবার বলল।
নিলা: কিরে আমাকে বিয়ে করবি না।
আমি: কেনো নয়?
নিলা: কবে আমি বুড়ি হয়ে গেলে।
আমি: না এখন কি করে করবো?আমারতো চাকরি নাই।
নিলা: তুই শুধু বল । তুই রাজি কিনা।
আমি: হুম ( কোনো চিন্তা না করেই)
নিলা: আমি তর মা বাবার সাথে কথা বলে ।তকে এক মাসের মধ্যে বিয়ে করতাছি।
আমি: এতো তাড়াতাড়ি।
নিলা: হুম। আমি যাই।
👉নিলা চলে যায়। আমি দিলাম এক ঘুম।
👉নিলার মাথায় হাজারো চিন্তা। এক মুরাদকে তাড়াতাড়ি বিয়ে করতে হবে। সামনে নির্বাচন তাড়াতাড়ি নির্বাচনে দাঁড়াতে হবে। নিলা বাসায় গিয়ে তার মাকে বিয়ের কথা বলল। তার মা খুশি হলো। বলল বাবাকে বলবে। এখন দরকার মুরাদের বাবা মাকে। নিলা পরদিন মুরাদের মার সাথে দেখা করলো। মুরাদের মাকে বলল।
নিলা: আন্টি আমি যদি আপনাদের সাথে সারাজীবনের জন্য থাকি তাহলে অসুবিধা হবে।
আন্টি: না । (খুশি হয়ে বলল)
নিলা: আন্টি মুরাদকে আমার অনেক ভালো লাগে।
আন্টি: সত্যি। আমি তো বিশ্বাসই করতে পারছি না।
এই বদমাইশটাকে কিভাবে তোমার পছন্দ হলো।
নিলা: সে অনেক ভদ্র।
আন্টি: মুরাদ কি বলছে? সে রাজি
নিলা: হুম। (লজ্জায় মাথা নিচু করলো)
আন্টি: তাহলে তোমার মা বাবাকে কবে নিয়ে আসবা।
নিলা: আপনি যেদিন বলেন।
আন্টি: সামনে শুক্রবার নিয়ে এসো।
নিলা: ওকে আন্টি।
👉নিলা আমাকে বলছে সামনে শুক্রবার যে তার বাবা মা আসবে। ঠিকই শুক্রবার তাদের মা বাবা আসলো। তারা অনেকক্ষন কথা বলল। কারন আমি বিয়েতে রাজি নিলাও রাজি। বিয়ের তারিখ ঠিক হইছে। যেহেতু আগে বিয়ে নিয়ে ঝামেলা হয়েছে আর মেয়ের বয়স বেশি । তাই প্রতিবেশের পাঁচ কথা না শুনার জন্য বাবা সিদ্ধান্ত নিলো এতো আয়োজন না করে । বাসার মধ্যে বিয়ে দেয়া হবে। আমাদের বিয়ে ঠিক হয় এক সপ্তাহ পর। আমার মনের ভিতর কেমন জানি করছে। মনে হচ্ছে কোথাও জানি ভুল হচ্ছে। নিলাও কেনো জানি আগের মতো আমার সাথে বেশি কথা বলে না। জিজ্ঞেস করলে বলে বিয়ের কাজে ব্যস্ত।
আমি ভাবলাম হতে পারে। যাইহোক বিয়ের দিন আসে । বিয়ে হয়। নিলাকে যেভাবে সাজানো হয়েছে। মন চাইবে শুধু তাকিয়ে থাকতে। আমার কেমন জানি লাগছে। কারন নিলার শেষ কয়দিনের আচরন ভালো লাগে নাই। নিলাকে আমার বাড়িতে নিয়ে আসা হলো। আমার রুমে নিয়ে বসানো হলো। আমি কেমন জানি লজ্জা বোধ করছি।
👉আপু আর দুলাভাই ধাক্কা দিয়ে বাসর ঘরের ভিতর প্রবেশ করালো। আমি ঢুকে নিলার দিকে তাকিয়ে যা দেখলাম তা বিশ্বাস করার মতো না। দেখি নিলা সিগারেট টানছে। নিলা বলল
নিলা: জামাই বাবু কি খবর? সামনে ইলেকশন ভোট কিন্তু আমাকে দিতেই হবে।
আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো।
সমাপ্ত