এলাকার বড় আপু,পার্ট:৭,৮

#নাম: এলাকার বড় আপু,পার্ট:৭,৮
#লেখক: Osman
#পার্ট:৭

👉 আমি তানহাকে সাদ দেখালাম। পুরো এলাকা দেখালাম। সন্ধ্যা হলে আমারা চলে আসি। রুমে ঢুকবো। কে জানি কানে ধরে আমাকে টানতে টানতে সবার আড়ালে মানে সাদে নিয়ে গেলো। আমি বুঝতে পারলাম নিলা।

আমি: আরে অনেক ব্যথা পাচ্ছি ছাড়ো?

নিলা: আজকে তকে ছাড়বো না।তর কান আমি ছেড়ে ফেলবো।

আমি: তাহলে আমিও তোমার ঠোঁট ছিঁড়ে ফেলবো।

নিলা: কি বললি?

আমি: কিছু না।

নিলা: বল বল নাহলে তর কান আমি আজকে ছিঁড়ে ফেলবো।

আমি: বলছি বলছি কান ছাড়ো।

নিলা আমার কান ছেড়ে দেয়‌।

নিলা: এবার বল কি বললি?

আমি: বলছি তোমাকে অনেক সুন্দরী দেখাচ্ছে।

নিলা: বাঁধ দে। এখন বল মেয়েটা কে? তার সাথে তর এতো মিল কি করে? কোন সাহসে তুই তাকে সাদে নিয়ে গেলি।বাড়িতে আর কেউ ছিলো না?

👉আমি নিলাকে সব বুঝিয়ে বললাম নিলা বলল।

নিলা: শুন এরপর থেকে যদি তকে ঐ মেয়ের সাথে তকে দেখি ।

আমি: তাহলে?

নিলা: তর এই কান কেটে আমি কুঁচি কুঁচি করে ভাজি করে খাবো।

আমি: অরেব বাবা।

নিলা: হুম।

আমি: তাহলে আমাকে বিয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে হবে।

নিলা: কেনো?

আমি: কারন এখানে থাকলে তার সাথে দেখা হবেই।

নিলা: তুই কোনো কথা বলবি না।

আমি: ওকে।

নিলা: তুই কি ভাবছস? একটু আগের কথা আমি শুনি নাই।

আমি: কি শুনছো?

নিলা: তুই বলছত তুই আমার ঠোঁট কামড়ে ছিঁড়ে ফেলবি।

আমি: না তুমি ভুল শুনছো।

নিলা আবার আমার কান ধরে বলল।

নিলা: বল আর মিথ্যা বলবি? বল বল?

আমি: না! না! জীবনেও না । কান ছাড়ো অনেক ব্যথা করছে।

👉নিলা আমার কান ছাড়ে। নিলা আস্তে আমার কাছে আসতে থাকে। নিলার লাল লিপস্টিক দেওয়া ঠোঁটটা দেখে আমি লোভ সামলাতে পারিনি। পিছনে হাত দিয়ে চুলের মুঠি ধরে মুখের কাছে এনে আমার ঠোঁটটা লাগিয়ে দিলাম। নিলার চোখ বন্ধ। আমি কোথায় যেনো হারিয়ে গেলাম।কত মিনিট হলো জানিনা নিলা দুই হাত দিয়ে আমার মাথা জড়িয়ে ধরলো। নিলা যেহেতু গায়ে হলুদের শাড়ি পরেছে। তাই তার কোমর খোলা আমি এক হাত দিয়ে আস্তে নিলার কোমড়ে হাত রাখলাম নিলা যেনো কেঁপে উঠলো। নিলা আমাকে ছাড়ছেই না। নিলার শ্বাস ভাড়ি হয়ে আসছে। কে যেনো মোবাইল কল দিচ্ছে?সেদিকে কোনো খেয়াল নেই আমারও না নিলারও না ।দুইটা কল দিয়ে ফেলেছে। নিলা আমাকে যেভাবে ধরছে ছাড়ার কোনো নাম নেই। যেনো এভাবে সাড়া রাত কাটিয়ে দিবে। এদিকে আমার অবস্থাও খারাপ। এখন কেউ যদি দেখে ফেলে? অবশ্য এখন কেউ এদিকে আসবে না। আমি আস্তে আস্তে নরমাল হলাম আমি বললাম।

আমি: নিলা এবার ছাড়ো কে জানি কল দিচ্ছে?

নিলা: না আজকে তকে সাড়া রাত এভাবে ধরে রাখবো।

👉আমি এই ফাকে পকেট থেকে মোবাইল বের করে দেখি মা। আমি রিসিভ করে বললাম।

আমি: মা আমি আসছি।

মা: কোথায় তুই?

আমি: নিলা আপুর সাথে সাদে।

মা: এক মিনিটের ভিতর নিচে আস।

আমি: ওকে আসছি।

👉নিলা তখনো আমাকে জড়িয়ে ধরে রাখছে। নিলা বয়সে বড় হলে কি হবে ? উচ্চতায় আমার থেকে ছোট। আমি বললাম।

আমি: এবার ছাড়ো।

নিলা: কেনো জানি তকে ছাড়তে মন চাচ্ছে না?

আমি: আমি জানি।

নিলা: তর ঠোঁটের ভিতর কি? মন চায় শুধু লাগিয়ে রাখী আমার ঠোঁট।

আমি: ওকে এখন এসব কথা বাদ দেও। মা এক মিনিটের টাইম দিয়েছে। তাড়াতাড়ি যেতে হবে।

নিলা: জানিস তুই যখন আমার কোমড়ে হাত দিলি। তখন শরীরের প্রতিটি শিরায় শিরায় একটা উত্তেজনা ভয়ে যায়। সে জন্য আমার সাড়া শরীর মোচড় দিয়ে ওঠে।

আমি: সেটা আমি বুঝতে পারছি। এখন চলো।

নিলা: এই ধর টিস্যু ঠোঁট মুছে নে।

আমি: হুম।

👉দুজনে হাত ধরে নিচে আসি। এসে দুজন ভাগ হয়ে যাই। আমি মার সাথে দেখা করি। মা কিছু কাজ দিলো। কিছুক্ষণ পর নিলার সাথে দেখা। দেখলাম নিলা নতুন করে লিপিস্টিক দিয়েছে। আর আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসে। সেই হাসিটা কেনো জানি সব কিছুর ঊর্ধ্বে। আমি সোফায় এসে বসলাম। ভাগিনার সাথে মজা করতে লাগলাম। আমার আব্বুরা দুই ভাই‌ । তানহার বড় ভাই এসেছে বিয়েতে।
সে আমার থেকে বড়। কিন্তু এখনো বিয়ে করে নাই।
আমার কাছে এসে বলল। তার নাম রিয়ান। আমি রিয়ান ভাই বলে ডাকি।

রিয়ান: ছোট ভাই কি অবস্থা পড়া লেখা কেমন চলছে?

আমি: এইতো ভাই আলহামদুলিল্লাহ ভালো। পড়া লেখা মোটামুটি।

রিয়ান: মোটামুটি না আরো ভালো হওয়া চাই।

আমি: ওকে ভাই।

রিয়ান ভাই আমার কানে কানে এসে বলল।

রিয়ান: বাড়ির মধ্যে দেখি ছেলেদের থেকে মেয়েদের সংখ্যা বেশি।

আমি: ভাই অধিকাংশ আপুর বান্ধবী আর আমরা এক মাস হয়েছে এই এলাকায় আসছি। তাই আপুর অনেক প্রতিবেশী বান্ধবী হয়ে যায়। এই আর কি?

রিয়ান: ওও। তো কাওকে পছন্দ হয় না।

আমি: ভাই এরা সবাই আমার থেকে বড়। তাদের কিছু বললে শুধু মাইর।

রিয়ান: আরে ভাই ভয় পাও কেনো?কবি বলেছেন “যেখানে দেখিবে ছাই উড়াইয়া দেবি তাই পাইলেও পাইতে পারো অমুল্য রতন”।

আমি: দেখি কাওকে পাই কিনা?

রিয়ান্না: কেও আছে নাকি?

আমি: না।

👉আমি একটা জিনিস খেয়াল করলাম রিয়ান ভাই এদিক ওদিক কাকে জানি খুঁজছে। একটু পর নিলা আমাদের সামনে দিয়ে হেটে যাচ্ছে। দেখলাম রিয়ান পাই লোভাতুর দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে আছে। তাড়াতাড়ি পকেট থেকে একটা কাগজ বের করে।
আমাকে দিয়ে বলল ।

রিয়ান: ছোট ভাই এখন যে গায়ে হলুদের শাড়ি পরা একটা মেয়ে গেছে তাকে দেখছো?

আমি: হুম দেখছি।

রিয়ান: কে এটা চিনো?

আমি: হুম।

রিয়ান: কি হয় তোমাদের?

আমি: তেমন কেও না। তার নাম নিলা।

রিয়ান: দেওতো কাগজটা।

আমি কাগজ দিলাম। কি জানি ঠিক করলো? মনে হয় নাম লেখলো। আবার দিয়ে বলল।

রিয়ান: এই লেটারটা তাকে নিয়ে দিবা।

আমি: কাকে এই নিলা আপুকে? অসম্ভব ভাই।

রিয়ান: কেনো?

আমি: ওনিকে আপনাকে বলে নেই। ওনি হলো এই এলাকার লিডার মানে বস। তার কথায় এই এলাকা চলে।এমন কোনো ছেলে বিচাইরা পাবেন না তার হাতের মাইর খাইছে না। আমিও একবার মাইর খাইছি। এখন যদি ওনাকে আমি এই লেটার দিতে যাই। আমার আবার মাইর খেতে হবে। ভাই আমি না অন্য কাওকে দিয়ে ট্রাই করেন।

রিয়ান: ছোট ভাই বড় ভাইয়ের জন্য রিস্ক নিতেই হয়।
প্লিজ একটু হেল্প করো ছোট ভাই।

আমি: তারপরেও ভাই মাইর খাইলে।

রিয়ান: যা তকে দুইটা বেনসন খাওয়াবো।

আমি: যে মাইর দিবো ভাই। দুইটা কি পাঁচশত খেলে হবে না😭। আমি বলি কি ভাই অন্য কাওকে দেখেন ভালো লাগে কিনা। আর ওনি তো আপনার থেকে বড়।

রিয়ান: ধুর বেটা বড় দিয়া কে কি করছে? বড়রাইতো বেশি রোমান্টিক হয়।

👉আমি ভাবলাম ঠিক আমার মতো। কিন্তু এতো মেয়ে থাকতে নিলাকেই কেনো ভালো লাগলো? আসলে নিলা অনেক সুন্দরী হাঁটার স্টাইল ভালো কথা বলে সম্পুর্ন স্পষ্ট। সবচেয়ে বড় কথা হলো তার ভিতর এক অমৃত আছে যেটা কিস করে হারে হারে টের পেয়েছি। আমি বললাম।

আমি: ওকে ভাই দেখা যাক। দুইটা বেনসন কিন্তু।

রিয়ান: নো টেনশন। আর ছোট ভাই তুমি তো জানই কারো লেটার দেখতে নাই।

আমি: হুম।

👉আমি আমার রুমে এসে বসে মোবাইল টিপতাছি। দেখি নিলা রুমে প্রবেশ করছে খাবার নিয়ে। খাবার দিয়ে বলল।

নিলা: শুন রাত হয়ে যাচ্ছে।আমাকে বাসায় চলে যেতে হবে।

আমি: হুম আজকে থেকে যাও।

নিলা: তর সাথে থাকতে দিবি তাহলে ।

আমি: অসম্ভব।শুনো তুমি আর আধঘন্টা পর ঐ যায়গায় দেখা করবে।

নিলা: রাত হয়ে যাচ্ছে।

আমি: জরুরি বিষয়।

নিলা:ওকে।

👉নিলা চলে যায়। আধঘন্টা পর‌ আমি সাদে যাই। গিয়ে দেখি নিলা এসে বসে রয়েছে।

চলবে…..

#নাম: এলাকার বড় আপু
#লেখক: Osman
#পার্ট: ৮

👉নিলা চলে যায়। আধঘন্টা পর‌ আমি সাদে যাই। গিয়ে দেখি নিলা এসে বসে রয়েছে।। আমি যাওয়ার সাথে সাথে বলল।

নিলা: কি বলবি তাড়াতাড়ি বল?

👉আমি পকেট থেকে চিঠিটা বের করে দিলাম। নিলা বলল।।

নিলা: এটা কি আমাকে দিচ্ছস কেনো?

আমি: আমার কাজিন দিয়েছে।

নিলা: কি আছে এটাতে?

আমি: জানি না খুলে দেখো?

নিলা: ওকে।

👉নিলা পুরুটা পড়লো। আর হাসতে লাগলো। আমি বললাম

আমি: হাসো কেনো?

নিলা: তুই পরে দেখ কি‌ লেখছে?

আমি: না তুমি পরো। তুমি পরো পছন্দ হলে উত্তর দেও । আমি পড়তে পারবো না অন্যার চিঠি।

নিলা: ভাব ধরস পর বলছি।

👉আমি পড়তে লাগলাম লেখেছে।

প্রিয় নিলা…

কেমন আছেন? আশা করি ভালো আছেন। আমি রিয়ান। মুরাদের কাজিন। আর আমাকে ভয় পাবেন না আমি সিমপল একজন মানুষ। সবচেয়ে বড় কথা হলো তুমি কে?সরি তুমি করে বলে ফেললাম। কোন দেশ থেকে এসেছো? আমার মনে হয় তুমি এই পৃথিবীর মানুষ না। তুমি এমন এক গ্রহের মানুষ যেখানে শুধু রুপের চর্চা হয়। সত্যিকথা গুলো বলেই ফেলি। আসলে তোমাকে দেখার পর থেকে আমার জানি কি হয়েছে? তোমাকে ভুলতে পারছি না ‌। এমন একটা মানুষ এখনো কিভাবে একা বাস করে। তোমার হাসি থেকে যেনো মুক্ত জড়ে। তুমি সত্যিই অপুর্ব। চিঠিটা পরার সময় ভাববে তুমি আমার স্বরনে আছো। আমি আমার কথা বলে দিলাম। আমি একজন সিমপল মানুষ। আমি তোমাকে কখনো হতাশ করবো না।

আর কি বলবো? তোমার যদি আমার প্রতি বিন্দুমাত্র ইন্টারেস্ট থাকে। তাহলে প্লিজ চিঠির উত্তরে হ্যাঁ বলে দেও। মরে গেলেও তোমাকে ছেড়ে যাবো না। আই প্রমিজ।

ইতি: রিয়ান আহমেদ।।

👉আমি চিঠি পরে বললাম

আমি: ভালইতো লেখলো কি করবা এখন?

নিলা: আমি কি বলবো তুইই বল?

আমি: দেখো চিঠি তোমাকে দিয়েছে আমাকে না‌ । বলছেতো বিন্দুমাত্র ইন্টারেস্ট থাকলে হ্যাঁ করে দিতা। তোমার সম্পুর্ন ইচ্ছা। তুমি যদি হ্যাঁ বলো তাহলে কালকেই সে তোমাকে বিয়ে করে ফেলবে। আর আমি আরো দুই বছর। কেনো জানি নিজেকে অনেক তুচ্ছ মনে হচ্ছে? তোমার সাথে দেখা হওয়ার পর শুধু ঝগড়া লেগেই আছে আমার। পারলাম না তোমার একটু প্রসংসা করতে। আমি তোমার যোগ্য না । (বললাম দ্বীর্ঘ এক শ্বাস ফেলে)

👉আমি পকেট থেকে কলম বের করে দিয়ে বললাম।

আমি: হ্যাঁ করে….…

👉নিলা ঠাস করে চড় মারলো আমাকে। বলল

নিলা: আর একটা কথা বলবি। চড়াইয়া দাঁত সবগুলো ফালায় দিবো।

আমি: না ।

👉নিলা আমার হাত থেকে কলম নিয়ে ‌। চিঠির মধ্যে লেখলো। “Don’t interesting”। লেখে বলল

নিলা: এটা নিয়ে তাকে দিবি। তর কাজিন না হলে এতক্ষনে সে হাসপাতাল থাকতো। তাকে গিয়ে বলবি যেনো আমার আশেপাশে না আসে। এই নিলা শুধু তর। বল নিলা তুমি শুধু আমার। বল বলছি বল?

আমি: নিলা তুমি শুধু আমার।

নিলা: হুম ঠিক আছে। আমাকে বাড়িতে দিয়ে আসবি না।

আমি: আজকে থেকে যাও।

নিলা: কোথায় থাকবো?

আমি: জোৎস্নার কাছে থাকো।

নিলা: এই বুদ্ধিটা আমার মাথায় আসে নাই। দাঁড়া বাড়িতে ফোন করে বলে দেই।

আমি: হুম।

👉নিলা ফোন করলো। কথার স্টাইল দেখে বুঝলাম বাড়ি ফিরে যেতে হবে নিলাকে। নিলা এসে বলল

নিলা: নারে আজকে থাকা হবে না।

আমি: ওকে। তুমি নিচে গিয়ে রেডি হও। আমি আসছি।

নিলা: ওকে।

👉নিলা চলে গেলে । আমি রিয়ান ভাইয়ের সাথে দেখা করি। আমি চিঠি দিয়ে বললাম।

আমি: তাড়াতাড়ি দুইটা বেসনের টাকা দেন।

রিয়ান: আরে দাড়া দেখি কি লেখছে?

👉রিয়ান ভাই খুলে দেখলো । আমি বললাম

আমি: আমার গালের দিকে তাকান।

👉রিয়ান ভাই আমার গালের দিকে তাকিয়ে বলল

রিয়ান: তরে দেখি আসলেই মারছে। তুই কাজ কর এক পেকেট বেনসন নিয়ে আস আজ রাতে দুজনে খাবো।

আমি: এতো গুলো আব্বা দেখতে পারলে। বাড়ি থেকে বের করে দিবে।

রিয়ান: ওকে। এইনে টাকা আমার জন্য অন্তত একটা নিয়ে আয়‌।

আমি: ওকে।

👉আমি চলে আসলাম।এসে নিলার সাথে দেখা করলাম।

আমি: চলো। মাকে বলছো?

নিলা: হুম।

👉আমি আর নিলা একসাথে এক রিকশায় ওঠে নিলার বাসার সামনে নামলাম। আমি বললাম।

আমি: তাহলে আমি যাই।

নিলা: শুন আমার প্রতি যদি তর বিন্দুমাত্র ইন্টারেস্ট থাকে তাহলে অন্য কোন মেয়ের সাথে কথা বলিস না।

আমি: হুম।

👉আমি চলে আসলাম। একটা বেনসন খেয়ে।
আরেকটা কাজিনের জন্য নিয়ে আসলাম। রাতে দুজন একসাথে শুইলাম। রিয়ান ভাই বলল।

রিয়ান: ছোট ভাই আমি নিলাকে পটিয়ে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে যাবো।

আমি: দেখেন ভাই আমাকে এসবের মধ্যে জড়িয়েন না। এই আপু যেই চড় দিয়েছে দাঁত মনে একটা লড়তাছে।

রিয়ান: তার চড়ও অনেক ভালো লাগবে আমার।

আমি: ভাই পরে মাইর খাইলে আমি কোনো হেল্প করতে পারবোনা।

রিয়ান: তরা মেয়েদের এতো ভয় পাস?

আমি: ভাই এটা গ্রামনা যে ছেলেদের দেখে মুখে ঘোমটা দিয়ে চলে যাবে।

রিয়ান: দেখা যাবে।

আমি: হুম দেখেন । আমি ঘুমাই । অনেক ঘুমে ধরছে।

👉আমি ঘুম থেকে উঠে দেখি রিয়ান ভাই এখনো ঘুমাচ্ছে। কে জানি দরজায় টোকা দিচ্ছে। আমি জিজ্ঞেস করলাম কে। ওপার থেকে বলল আমি তানহা দরজা খুলো। আমি বললাম আধঘন্টা পর।
আর টোকা দেয় নাই। আমি ওয়াশরুমে গেলাম।
বের হয়ে দেখি রিয়ান ভাই এখনো ঘুমাচ্ছে। রিয়ান ভাইয়ের ভবিষ্যতের চিন্তা করে আমার অনেক কষ্ট হচ্ছে। তার কপালে মনে হয় মাইর আছে। নিলাকে যদি আর কিছু বলে সে তাহলেই মাইর আছে তার কপালে। আমি আগেই কথা বলে আমার দোষ ভেঙে ফেলেছি। আমার উপর কোনো দোষ দিতে পারবেনা। আমি রিয়ান ভাইকে ডাক দিয়ে নতুন কাপড় পরে ঘর থেকে বের হলাম। টেবিলে গিয়ে বসলাম। ওমা কেউ খাবার দিচ্ছে না। সবাই যার যার কাজে ব্যস্ত। আমার দিকে কেউ তাকাচ্ছে ও না। নিলাও আসে নাই। হঠাৎ কোথা থেকে জানি তানহা আমার জন্য খাবার নিয়ে আসলো।

আমি: ধন্যবাদ।

তানহা: আমি এটা এমনিতেই করতাম। তুমি এতো কম কথা বলো কেনো?

👉আমি মনে মনে ভাবতাছি এখন যদি নিলা আপু দেখে ফেলে তাহলে শেষ আমি। মাইর খেতে খেতে জান শেষ তারপর আবার তাকে হারিয়ে ফেলবো।
আমি প্লেটের মধ্যে খাবার নিলাম চলে আসবো রুমে। টেবিল থেকে ওঠলাম । তানহা আমার হাত ধরে ফেলল ।বলল

তানহা: কোথায় যাও?

আমি: রুমে।

তানহা: এখানে বসে খাও।

👉তানহা আমার হাত ধরে জোড় করে টেবিলে বসালো। আমি এদিক ওদিক তাকিয়ে দেখলাম নিলা দেখেছে নাকি। যেটা ভাবছিলাম সেটাই। নিলা দরজায় দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমাদের কাহিনী দেখছে।
তার মুখ কালো। আমি তানহাকে বললাম পানি আনতে। তানহা চলে গেলো পানি আনতে। আমি নিলার দিকে দুই হাত নত করে মাফ চাইলাম। কিন্তু নিলা মাথা নাড়িয়ে চলে যাই।

চলবে…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here