#EX গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম 💖,পর্বঃ ১,২
#লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
#পর্বঃ ১ম
সাহিদ বাবা উঠ।আর কতো ঘুমাবি। কলেজে যাবি না।আজকে তো তোর কলেজের প্রথম দিন।
আমিঃ ওমমম,,, আম্মু তুমি যাও। আমি ফ্রেশ হয়ে আসতেছি।( ঘুম ঘুম চোখে)
এবার পরিচয় দেই, আমি হলাম সাহিদ হাসান সাহি। এবার অনার্স ফার্স্ট ইয়ারে। বাবা মায়ের দ্বিতীয় সন্তান। আমার বড় ভাই আছে নাম হচ্ছে সাইম আহম্মেদ। আমার বাবা হলেন এদেশের টপ বিজনেসম্যান দের একজন। বাবা আর ভাইয়া মিলে আমাদের বিজনেস দেখা শুনা করেন।
আর একটু আগে যিনি আমার ঘুম ভাঙানো তিনি হলেন আমার কলিজার টুকরা আম্মু এবং বেস্ট ফ্রেন্ড।
ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করতে গেলাম। খাবার টেবিলে বসতেই আম্মু এসে খাবার বেড়ে দিল।আমি আম্মুকে
জিজ্ঞাসা করলামঃ আম্মু ভাইয়া আর আব্বু কে তো দেখতেছি না।
আম্মুঃ তোর আব্বু আর ভাইয়া অফিসে গেছে।আজকে নাকি জরুরী মিটিং আছে তাই সকালে গেছে।
আমিঃ ওহহ।
নাস্তা শেষ করে আম্মুকে বলে কলেজে যাওয়ার জন্য বের হলাম। বাসা থেকে বের হয়ে আমার বন্ধু রাফিকে ফোন দিলাম,,,,
আমিঃহ্যালো, কোথায় আছিস?
রাফিঃ বাসা থেকে বের হয়েছি। তুই কোথায়?
আমিঃ আমি রাস্তায় আছি।
রাফিঃ আচ্ছা ওয়েট কর।
আমিঃ তাড়াতাড়ি আসিস।
এরপর সিফাত কে ফোন দিয়ে আসতে বললাম।
সিফাত রাফি এবং আমি এই তিন জন হলাম বেস্ট ফ্রেন্ড। ফ্রেন্ড বললে ভুল হবে আমরা তিনজন হলাম একেঅপরের ভাইয়ের মতো।
আমাদের তিনজনের মধ্যে যদি কারো সমস্যা হয় তাহলে আমরা তিনজন মিলে সমাধান করি।
এছাড়া আমাদের তিনজনের একটি সংগঠন আছে। যেটার মাধ্যমে গরিব,এতিম, ভিক্ষুক দের সাহায্য করি।
যাইহোক, তিনজন একত্রে হওয়ার পর একটা রিকশা ডাকলাম। রিকশায় তিনজন ধরবেনা। এজন্য সিফাত আমাকে কোলে নিলো।
তাদের তুলনায় আমার ওজন কম হওয়াতে আমি আর না করিনি। আমাদের বাসা থেকে কলেজ বেশি দুরে নয়।
রিকশা করে আসলে আধাঘণ্টা সময়ের মধ্যে আসা যায়।
কলেজের গেটের সামনে রিকশা দাঁড় করালো। আমি নামিয়ে ভাড়া দিলাম। কলেজে ঢুকে দেখলাম বেশ ভালোই কলেজ।
যাজ্ঞে, আমরা এখানে লেখাপড়া করতে এসেছি। কলেজে দেখতে নয়।
তিনজন মিলে ক্লাসে গেলাম।যাইয়ে সামনের একটি বেঞ্চে বসে পড়লাম। আসলে আমার প্রথম বেঞ্চ ছাড়া ভালো লাগেনা।
একটু পর স্যার আসলেন। স্যার এসে সবার সাথে পরিচিত হয়ে আমাদেরও পরিচয় নিলেন।এভাবে প্রতিটা স্যারের সাথে পরিচিত হওয়ার পর ক্লাস থেকে বের হয়ে ক্যান্টিনে গেলাম কিছু খাওয়ার জন্য।অতঃপর তিনজন কলেজ থেকে বাসায় আসলাম।
বাসায় আসার পর,,,,,
(চলবে,,)
#EX গার্লফ্রেন্ড যখন ইংলিশ ম্যাম 💖
#লেখকঃ Sahid Hasan Sahi
#পর্বঃ ২য়
বাসায় এসে গোসল করে যোহরের নামাজ পড়লাম। নামাজ পড়ে লাঞ্চ করে ঘুমিয়ে গেলাম।
সন্ধ্যায় উঠলাম। আমি আসলেই একটা ঘুম পাগল😏😏
ঘুমানোর সময় পাশ থেকে কেউ যদি আমর বউকে নিয়ে চলে যায়, তবুও বলতে পারবোনা।তাই বলে আপনারা যেনো চান্স নিয়েন না।আসে লাভ হবেনা।কারণ, এখনো আমি বিয়ে করিনি 😜😜😜😜
যাইহোক, একটু ছাদে গেলাম।তারপর নিচে এসে হালকা নাস্তা করে পড়তে বসলাম।
রাতে পরিবারের সবাই একসাথে ডিনার করলাম। ডিনার শেষে আব্বু আমাকে জিজ্ঞাসা করল,,,
আব্বুঃ প্রথম দিন কেমন কাটলো?
আমিঃ ভালো।
ভাইয়াঃ যাওয়ার সময় অসুবিধা হয়নি তো?
আমিঃ না ভাইয়া।
আব্বুঃ তোমাকে কতো করে বলি গাড়ি ব্যবহার করবে।
আমিঃ না আব্বু ।আমাকে এভাবেই ভালো লাগে।
আব্বুঃ আচ্ছা,,যা ভালো বুঝো।যাও ঘুমিয়ে পড়।
আমিঃ ঠিক আছে।
রুমে এসে একটু ফেসবুক লগইন করলাম।
আসলে আসলে আব্বু আমাকে খুব ভালো বাসে। রিকশা করে যেতে যদি অসুবিধা হয় তাই গাড়ি নিয়ে যাতে বলতেছে।
কি করব বলেন, আমার এসব ভালো লাগে না। সাধারণ ভাবে চলাফেরা করতে পছন্দ করি।
ঘুমিয়ে পড়লাম।ফজরে ওঠে না নামাজ পড়ে আবার ঘুমিয়ে গেলাম।আজকেও আম্মু এসে ডেকে তুলে দিয়ে গেলেন। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে তিনজন একসাথে কলেজে গেলাম।
গেট দিয়ে ঢুকতে যাবো তখন ধাক্কা খেয়ে পড়ে গেলাম। ওমা আমার সাথে একটা মেয়েও পড়ে আছে। তারমানে এর সাথেই ধাক্কা খেয়েছি।
দেখতে তো মাশাআল্লাহ। ক্রাশ খেলাম।
যাইহোক, মেয়েটি কে তুলে বললামঃ সরি।দেখতে পাইনি।
মেয়েটিঃ ইটস্ ওকে। কোন ইয়ার?
আমিঃ ফাস্ট ইয়ার। আপনি?
মেয়েটিঃ সেকেন্ড ইয়ার। সিনিয়র সম্মান দিবে। বলেই একটা মুচকি হাসি দিয়ে চলে গেল।
আমি তো তার ব্যবহার দেখে মুগ্ধ।মনে করেছিলাম, কয়েকটা চড় দিবে। তা না কর কত সুন্দর করে কথা বলল। আমি আবার ক্রাশ খেলাম। আমি একধানে মেয়েটি র চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছি।
রাফিঃ কি যে মামা কি হয়েছে?
আমিঃ ক্রাশ খাইছি মামা।
সিফাতঃ কস কি মামা। এই রাফি আমাকে চিমটি দেতো। আমি কোনো স্বপ্ন দেখছি না তো।
সিফাতঃ আহহ,,,
আমিঃ কি হলো রে।
সিফাতঃ ঐ শালা তোকে আমি এতো জোরে চিমটি দিতে বললাম।(রাফি কে বললো)
রাফিঃ তুই বলেছিস ধিরে দিতে।
আমিঃ তোরা পারিসও বটে।
রাফিঃ মামা ট্রিট দিবি কখন?
আমিঃ পরে দিবো আগে ক্লাসে চল।
ক্লাস করার পর ক্যান্টিনে তিনজন মিলে নাস্তা করতেছি।
এমন সময়,,,,,
( চলবে,)