বিয়াইন_সাহেবেটর_প্যারা,পর্বঃ ০৯ ও শেষ

গল্পঃ- #বিয়াইন_সাহেবেটর_প্যারা,পর্বঃ ০৯ ও শেষ
লেখকঃ- #Sazzad_KR

তারপর ইরা এমন কাজ করল সেটা আমার ভাবার সাথে পুরোপুরি মিলে গেল।

কারণ ইরা আমার সামনে…….???????

.


হাটুঁ গেড়ে বসে বলতে লাগল।

ইরাঃ তোমাকে একটা কথা অনেকদিন ধরে বলতে চাচ্ছি কিন্তু বলতে পারছি না..আজকে মনে ভেতর অনেক সাহস নিয়ে আজকে বলতে এসেছি,,যেদিন তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম সেদিন তোমাকে আমার প্রচুর ভালো লেগে যায়,, তারপর আস্তে আস্তে তোমার সাথে থাকতে থাকতে কখন তোমাকে ভালোবেসে ফেলেছি কিছুই জানিনা। অনেকসময় নানা ভাবে তোমাকে বুঝানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু তুমি এতই বোকা যে আমার কথা বুঝতে পারতে না। তাই আজকে আমি তোমাকে বলছি।। তুমি কি তোমার পাশে থাকার সুযোগ আমাকে দিবে। দিবে কি সারাজীবনের মতো তোমার পাশে থাকার অনুমতি। আমাকে কি তোমার জীবন সঙ্গী হিসেবে মেনে নিবে।। সবশেষে বলব অনেক ভালোবেসে তোমাকে,, এ জীবন থাকতে তোমাকে ছাড়া আমার বাচাঁ আমার সম্ভব না।।৷ ভালোবাসি ভালোবাসি ভালোবাসি

“” আমি ইরার কথায় কি বলব কিছুই ভেবে পাচ্ছি না সত্য বলতে আমিও এই কয়েকদিনে ইরাকে খুব ভালোবেসে ফেলেছি কিন্তু আমার পরিবার এই সম্পর্ক মেনে নিবে কিনা সেটা আমি বলতে পারব না।। তাই ইরাকে বললাম””

আমিঃ আমি রাজি হলে তো আর কিছু হবে না,,ভাইয়া ভাবীকেও রাজি করাতে হবে..!!

ইরাঃ তুমি সেই সব আমার উপর ছেড়ে দাও সেটা আমি দেখছি,,তুমি শুধু এটা বলো তুমি রাজি আছো নাকি..???

আমিঃ পরিবারের সবাইকে রাজি করাতে পারলে আমিও রাজি সমস্যা নেই

ইরাঃ আরে তোমার এত ভয় পাওয়া লাগবে না,, তোমার বাবা মা আগে থেকেই আমাদের বিয়ে ঠিক করে রেখে দিয়েছে।।

আমিঃ মানে (অবাক হয়ে)

ইরাঃ মানে আবার কি??আমার পরিবার আমাদের দুজনের বিয়ে আগে থেকে ঠিক করে রেখেছে।

আমিঃ আগে কবে থেকে..???

ইরাঃ সেটা আমি বলতে পারব না আপুর (ভাবী) কাছে থেকে জেনে নিও এখন চলো তাহলে বাসায় যাওয়া যাক..!!

তারপর ইরাকে নিয়ে বাসায় চলে এলাম।। কিন্তু বাসায় এসে তো আমি অবাক কারণ পুরো বাড়ি ফুল দিয়ে সাজানো হচ্ছে।

দেখে মনে হচ্ছে আজকে কারো বিয়ে হবে।।

বাসার ভেতরে ঢুকতেই দেখলাম আব্বু,,আম্মু,,ভাবী,,ভাইয়া বসে আছে৷ আমি আব্বু আম্মুর সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে ভাবীর কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম।

আমিঃ বাসা সাজানো হচ্ছে কি কারণে.??

ভাবীঃ কি কারণে মানে আজকে রাতে তোর বিয়ে.!!

আমার বিয়ে কথাটা শুনে অবাক হলাম।। আমি জানি বিয়েটা কার সাথে তবুও নিশ্চিত হওয়ার জন্য বললাম।

আমিঃ কিন্তু বিয়েটা কার সাথে.??

তারপর ভাবী যা বলল সেটা শুনে আমার পায়ের নিচে মাটি নেই হবার মতো অবস্থা।।

ভাবীঃ বিয়েটা তোর বাবার বন্ধুর মেয়ের সাথে।।

আমিঃ মানে তুমি এটা কি বলছো,, তুমি তো ইরাকে বলেছিলে যে আমার বিয়ে ইরার সাথে ঠিক করা আছে তাহলে এখন আবার অন্য কারো সাথে কেন..???

ভাবীঃ হুম আমি বলেছিলাম,, এবং সেটাই হওয়ার কথা ছিল কিন্তু জানিনা কি কারণে আজকে তোর বাবা এসে এই কথাটা বলল

আমিঃ আমি এই বিয়ে করব না আমি ইরাকে ভালোবাসি বিয়ে করলে ইরাকেই করব।

ভাবীঃ দেখ এইসব কথা এখন বলিস না তোর বাবা যেটা করবে সেটাই করতে হবে তার কথা বাইরে আমরা কেউ কিছু করতে পারব না৷

আমার কথা বলার মতো কোনো ভাষা নেই তাই ওখান থেকে রুমে চলে এলাম৷

রুমের দরজা খুলে ভেতরে তাকিয়ে দেখি ইরা বিছানার উপর বসে আছে। তখন আমি ইরাকে কিছু বলব তার আগে ইরা আমাকে বলতে লাগল।

ইরাঃ দেখ কি হয়েছে সেটা আমাকে বলতে হবে না আমি আপুর কাছে থেকে শুনেছি,, তোমার বাবা এখন অন্য কারো সাথে বিয়ে ঠিক করেছে তাহলে তাকেই বিয়ে করে নাও

আমিঃ তুমি এইসব কি বলছো তোমার মাথা কি ঠিক আছে

ইরাঃ আমি ঠিক কথায় বলছি তুমি তোমার বাবা পছন্দ করা ছেলেকে বিয়ে করে নাও।।

তারপর ইরা আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে গেল। আমি বুঝলাম না হঠাৎ করে ইরা এমন হয়ে গেল কেন আমার সাথে ভালোভাবে কথা বলছে না।।

এদিকে এইসব ভাবার কারণে আমার মাথা ব্যথা শুরু হয়ে গেছে। হঠাৎ করে দরজায় কেউ নক করল।

দরজা খুলে দেখি সাকিব দাড়িয়ে আছে।।

সাকিবঃ দাড়িয়ে আছিস কেন তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে নে অনেক কাজ আছে.!!

আমিঃ আমার এই বিয়ে করার কোনো ইচ্ছা নেই আমি বিয়েটা করব না.!!

সাকিবঃ মজা করা বাদ দিয়ে যা রেডি হয়ে আয়

বলে সাকিব আমাকে ওয়াশরুমে ঢুকিয়ে দিল আজকে কেউ আমার কোনো কথা শুনতে চাচ্ছে না৷

আমি কি করব সেটাও বুঝতে পারছি না৷ ইরাও বলল বিয়েটা করে নিতে তাহলে কি করব বিয়েটা করব

আবার না করলে আব্বুর সম্মান নষ্ট হবে।৷ যেটা আমি কোনো ভাবেই চায় না৷

তাই ঠিক করলাম বিয়েটা করে নিব৷ সেটা শুধু মাএ আব্বুর সম্মান রক্ষা করার জন্য

এইসব ভাবতে ভাবতে ফ্রেশ হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হলাম৷ তারপর রেডি হয়ে বসে থাকতে লাগলাম

সন্ধ্যা বেলা কাজি এসে বিয়ে পড়িয়ে দিয়ে গেল।।

রাত ১২ টার দিকে আমি আমার রুমে প্রবেশ করলাম আপনাদের বলে রাখি মেয়েকে আমি এখনো দেখেনি।

রুমে ঢুকার পর আমার বউ এসে আমাকে সালাম করল তখন আমি বললাম৷

আমিঃ দেখুন আমি আপনাকে আমার স্রী হিসেবে মেনে নিতে পারব না কারণ আমি অন্য কাউকে ভালোবাসি।

এটা বলার পর ইরার কথা ভাবতে লাগলাম। কিন্তু আমার বউ অবাক করে দিয়ে তার ঘোমটা তুলে দিয়ে কলার ধরে বলল

ইরাঃ তুই আবার কাকে ভালোবাসিস বল??

অন্য মেয়ের জায়গায় ইরাকে দেখে অবাক হলাম। সাথে খুশি হয়ে ইরাকে জড়িয়ে ধরে বললাম।

আমিঃ তুমি এখানে কেন..?

ইরাঃ আমি থাকব না তো কে থাকবে শুনি আমার ভালোবাসার মানুষটাকে অন্য কারো হতে দিব কেন।।

আমিঃ কিন্তু সবাই যে বলল আব্বুর বন্ধুর মেয়ের সাথে আমার বিয়ে দিবে।

ইরাঃ তোমার আব্বুর বন্ধুর মেয়েটা আর কেউ না আমি।

আমিঃ মানেটা আমাকে খুলে বলো এবং তুমি এখানে কেন সেটাও বলো।।

ইরাঃ আচ্ছা তাহলে শুনো। তোমার সাথে এখন পযন্ত যা ঘটেছে সবকিছু আমার সাজানো নাটক। এতদিন তোমাকে পটাতে আমার অনেক কষ্ট হয়েছে তাই সবাই মিলে ঠিক করে ছিলাম যে তোমাকে হালকা একটু কষ্ট দিব।৷ তাই এই নাটক করা আর কি.??

আমিঃ আমি কিছু বুঝলাম না

ইরাঃ বুঝতে হবে না তুমি চুপ করে থাক আমি লাইট অফ করে আসছি।

আমিঃ ঠিক আছে যাও আসো।।

তারপর আর কি ইরা লাইট অফ করে আসব।৷ তারপর তারা তাদের কাজ করতে লাগল।৷ আমার বিয়ে হয়নি তাই জানিনা লাইট নিভিয়ে কি করে

#সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here