বিয়াইন_সাহেবের_প্যারা পর্বঃ ০৬

গল্পঃ #বিয়াইন_সাহেবের_প্যারা
পর্বঃ ০৬
লেখকঃ #Sazzad_KR
.
এটা তোমার জন্য তোমাকে দিয়ে গেলাম আশা করি তোমার পছন্দ হবে””

আমি পেছনে তাকিয়ে দেখি……………..????

ইরা দাড়িয়ে আছে, ওর হাতে একটা ব্যাগ ছিল সেটা খাটের উপর রেখে দিল তারপর চলে যেতে লাগল.।

আমি অনেকবার ডাকলাম কিন্ডু আমার কথা শুনল না।

কি আর করার ব্যাগটা নিয়ে আলমারীতে তুলে রাখলাম তারপর ফ্রেশ হয়ে নিলাম।

রাতে…..???

সবার সাথে বসে ডিনার করছিলাম ভাইয়া আমাকে বলে ওঠল।

ভাইয়াঃ পড়াশুনা তো শেষ করলি তাহলে এবার অফিসে যাওয়া শুরু কর আমি একা কয়দিন দেখব..???

আমিঃ আমি এখন যাব না আমার একটা কাজ আছে সেটা শেষ করার পর যাব।

ভাইয়াঃ ঠিক আছে যত তাড়াতাড়ি পারিস কাজটা শেষ কর..।।

আমি আর কিছু বললাম না। খাবার খেয়ে রুমে চলে এলাম। পরেরদিন সকালবেলা ঘুম ভাংল ফোনের রিংটোনে

বুঝে গেলাম কেউ আমাকে কল করেছে তাই মোবাইলটা হাতে নিলাম।

হাতে নিয়ে দেখি সাকিব কল করেছে আমি কলটা রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে সাকিব বলতে লাগল

সাকিবঃ হ্যালো সাজ্জাদ কোথায় তুই..??

আমিঃ আমি এখন বাসায় আছি। কেন কি হয়েছে.?

সাকিবঃ তুই তাড়াতাড়ি নাস্তা করে কলেজ গেটে চলে আয় তোকে দিয়ে একটা কাজ আছে..।।

আমিঃ আমাকে দিয়ে কি কাজ আছে সেটা ফোনেই বল।

সাকিবঃ ফোনে বলা যাবে না তুই এখানে আসার পর বলব

আমিঃ আচ্ছা ঠিক আছে তুই থাক আমি আসতেছি।

বলে ফোনটা কেটে দিলাম। তারপর বিছানা থেকে নেমে ফ্রেশ হয়ে নিচে এসে ভাবীকে নাস্তা দিতে বললাম

নাস্তা করে ভাবীকে বলে বাসা থেকে বের হয়ে এলাম।

বাসা থেকে বের হওয়ার সময় ভাবী কিছু বলতে চেয়েছিল কিন্তু আমি পরে শুনব এটা বলে এসেছি।

বাইক নিয়ে কলেজ গেটে চলে এলাম। এসে দেখি অনেকে বসে আছে আমাকে আসতে দেখে আমার কাছে এসে বলল

সাকিবঃ তোর আসতে এত দেরী হলো কেন..??

আমিঃ তুই আমাকে যখন কল দিয়েছিলি তখন আমি ঘুম পারছিলাম।

সাকিবঃ ওওও আচ্ছা থাক এখন সেসব কথা তোকে যে কাজে এখানে ডেকেছি.।।

আমিঃ হুম বল কি সেই কাজ যেটা করানোর জন্য আমাকে ডেকে নিয়ে এলি..??

সাকিবঃ তুই মাহীকে চিনিস তো নাকি..??

আমিঃ কোন মাহী চিনলাম না..?

সাকিবঃ আমাদের ক্লাসমেট মাহি চিনিস না নাকি..??

অনেক চিন্তা ভাবনা করার পর মনে পড়ল আমার ক্লাসমেট মাহির কথা। তখন আমি বললাম

আমিঃ ওওও হ্যাঁ এবার চিনেছি এখন বল কি হয়েছে..?

সাকিবঃ সুজন(আমাদের আরেক বন্ধু) মাহী দুজন দুজন কে ভালোবাসে কিন্তু পরশু মাহীর বিয়ে। মাহী এই বিয়েতে রাজি না তাই আমরা ঠিক করেছি সুজন এবং মাহীর বিয়ে দিয়ে দিব..।।

আমিঃ বিয়ে দিয়ে দিবি ভালো কথা কিন্তু সুজনের ফ্যামিলি রাজি আছে কি..??

সাকিবঃ তারা সবাই রাজি আছে৷

আমিঃ আচ্ছা তাহলে আমাকে এটা বল এখন আমাকে কি করতে হবে..???

সাকিবঃ তুই গিয়ে মাহীকে বাসা থেকে নিয়ে আসবি..।।

আমিঃ আমার সাথে তাই আসবে নাকি..??

সাকিবঃ মাহীকে সবকিছু খুলে বলা আছে তুই শুধু ওর বাসার সামনে যাবি তোর আর কিছু করা লাগবে না

আমিঃ ঠিক আছে তুই তাহলে ওর বাসার ঠিকানা বল

সাকিব আমাকে বাসার ঠিকানা বলল। আমি দেরী না করে ঠিকানা অনুযায়ী যেতে লাগলাম।

ঠিকানায় এসে দেখি মাহী দাড়িয়ে আছে। মাহীর সামনে গিয়ে বাইক থামাতে মাহী বাইকে ওঠে পড়ল

তারপর আমাকে বলল

মাহীঃ এখানে আর দেরী করা যাবে না চল তাড়াতাড়ি..।

আমিও দেরী না করে বাইক নিয়ে সেখান থেকে চলে এলাম কারণ আমি জানি সেখানে থাকলে আমাদের সমস্যা হবে।

একটু দূরে এসে সাকিব মাহী সাকিবকে কল দিয়ে বলল কোথায় যাব তখন সাকিব বলল সোজা কাজি অফিসে চলে যেতে

তাই কাজি অফিসের দিকে যেতে লাগলাম৷ কাজি অফিসের সামনে এসে বাইক থামিয়ে দুজন ভেতরে গেলাম।।

সবাই ভেতরে বসে আছে আমার মনে হয় সব আগে থেকে রেডি করা ছিল।।।

তারপর আর কি ওদের বিয়েটা হয়ে গেল। তখন আমি বললাম।

আমিঃ তাহলে তোমরা থাকো আমি বাসায় চলে যায়..???

মাহীঃ কেন ভাইয়া বাসায় যাবেন কেন..??

আমিঃ তাছাড়া কি করব।

মাহীঃ আমাদের সাথে চলুন আপনাদের সবাইকে আজ ট্রিট দিব.।।

আমিঃ না তুমি ওদের খাইয়ে দাও আমি আজকে আর কোনো কিছু লাগবে না।

বলে ওখান থেকে চলে এলাম।। সোজা বাসায় এসে কলিংবেল বাজালাম

একটু পর ভাবী দরজা খুলে দিল। আমি ভেতরে ঢুকে নিজের রুমের দিকে যাচ্ছিলাম তখন ভাবী বলল।

ভাবীঃ সাজ্জাদ ওখানেই দাড়া তোর সাথে আমার কথা আছে..।

আমিঃ হুম বলো কি বলবে.?

ভাবীঃ তোকে একটা মেয়ের সাথে দেখলাম বাইক থেমে কাজী অফিসের ভেতরে ঢুকতে তুই ওই মেয়েটার সাথে কি করছিলি..??

আমিঃ ভাবী ওটা পরে বলব

ভাবীঃ কোনো পরে চলবে না এখুনি বলে যা

ভাবীকে সবকিছু খুলে বললাম।।

আমিঃ কিন্তু তোমরা দেখলে কিভাবে…???

ভাবীঃ আমি এবং ইরা একটা কাজে মাকের্টে গিয়েছিলাম তখন দেখেছি।।

আমিঃ ওও আচ্ছা তাহলে থাকো আমি রুমে যায়

ভাবীঃ ঠিক আছে যা।

আমি আর কিছু বললাম না নিজের রুমে দিকে যেতে লাগলাম। রুমের দরজা খুলে দেখি

ইরা খাটের উপর শুয়ে আছে মাথা বালিশ এ চাপা দিয়ে।।

মনে মনে একটা সন্দেহ জাগল ইরা এভাবে শুয়ে আছে কেন।

ইরার কাছে গিয়ে ডাক দিলাম ইরা৷ ইরা আমার কন্ঠ শুনা মাএই শুয়া থেকে ওঠে আমার কলার ধরে ফেলল।

ইরার এমন কাজে আমি অবাক ওর মুখের দিকে তাকিয়ে দেখলাম ইরা কান্না করছে।

আমিঃ একি ইরা তুমি কান্না করছো কেন..???

ইরাঃ আমাকে কষ্ট দিতে ভালো লাগে তাই না..।।

আমিঃ তোমাকে আবার কষ্ট দিতে যাব কেন এবং তার আগে বলো তুমি এত রেগে আছো কেন…???

তারপর ইরা যেটা বলল সেটা শুনে আমি অবাক

ইরাঃ তুই কিছু বুঝিস না তাই না আমি তোকে……?????

#চলবে

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here