বিয়াইন_সাহেবের_প্যারা পর্বঃ ০৮

গল্পঃ #বিয়াইন_সাহেবের_প্যারা
পর্বঃ ০৮
লেখকঃ #Sazzad_KR
.
আমিঃ আমি এখন চোখ বন্ধ করতে পারব না

ইরাঃ দাড়াও।

বলে ইরা আশে পাশে দেখে নিল কেউ আছে কিনা কাউকে না দেখতে পেয়ে ইরা মনে মনে কি ভাবল সেটা জানি না

কিন্তু তারপর ইরার এমন একটা কাজ করবে যেটার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না।




কারণ ইরা হঠাৎ করে ওর ঠোট আমার ঠোটের সাথে মিশিয়ে দিল। ইরার এমন কাজে আমি কি করব ভেবে পাচ্ছি না

কারণ তখনো আমার ঝাল কমেনি।

৪ মিনিট পর ইরা আমাকে ছেড়ে দিয়ে বলল।

ইরাঃ এবার তোমার ঝাল কি কমেছে..???

এদিকে আমার ঝাল কমে গেছে তাই আমি বললাম।

আমিঃ হুম কমে গেছে কিন্তু তুমি এমন করলে কেন..???

ইরাঃ তোমার ঝাল কমানোর জন্য এটা করতে হয়েছে!! কেন ভালো লাগেনি নাকি..???

আমিঃ আরে না খুব ভালো লেগেছে (আমিও কম যায় নাকি)

ইরাঃ তাহলে আবার দিব নাকি..??

আমিঃ সেটা করার দরকার নেই এখন চলো বাসায় যাওয়া যাক.!!

তারপর ভাবীর জন্য কয়েকটা ফুচকা কিনে ইরাকে নিয়ে বাসায় চলে এলাম।

বাসায় আসার পর কলিংবেল বাজালাম। একটু পর ভাবী এসে দরজা খুলে দিল।

দরজা খুলার পর ভাবীর দিকে তাকিয়ে দেখি ভাবী আমার দিকে তাকিয়ে থেকে হাসছে।

ইরার দিকে তাকালাম দেখলাম ইরাও হাসছে তাই আমি বললাম।

আমিঃ কি ব্যাপার তোমরা সবাই হাসছো কেন.???

ভাবীঃ তুই কি আজকাল লিপস্টিক দেওয়া শুরু করেছিস নাকি.??

আমিঃ কি বলো আমি ওইসব কেন দিতে যাব!! কেন কি হয়েছে..???

ভাবীঃ নিজেকে একবার আয়নায় দেখ..??

ভাবীর কথা মতো আমি আয়নার সামনে গেলাম৷ আয়নার নিজের দিকে তাকাতেই অবাক হয়ে গেলাম কারণ আমার ঠোটে লিপস্টিক লাগানো

সাথে সাথে দৌড়ে সেখান থেকে ওয়াশরুমে গেলাম। ওয়াশরুমে গিয়ে ভালো করে মুখ ধুয়ে বাইরে বের হলাম

এবং ভাবতে লাগলাম আমার ঠোটে লিপস্টিক কোথা থেকে এলো। তখনি আমার মনে পড়ল ইরা আমাকে কিস করেছিল।

এবং এই লিপস্টিক এর কালার এবং ইরার ঠোটে থাকা লিপস্টিক এর কালার পুরো এক।

তারমানে ইরার ঠোটে থেকে আমার ঠোটে লিপস্টিক লেগে গেছে।

ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে দেখি ভাবী এবং ইরা দাড়িয়ে থেকে হাসছে।

আমি কিছু না বলে সেখান থেকে নিজের রুমে চলে এলাম।

রুমের আসার কিছুক্ষণ পর ইরা আমার রুমে এলো এসে বিছানার উপর বসতে বসতে বলল।

ইরাঃ একটা কথা জানার ছিল বলবে..???

আমিঃ কি কথা বলো..??

ইরাঃ আচ্ছা তোমার কেমন মেয়ের পছন্দ.??

আমিঃ আজকে হঠাৎ এই প্রশ্ন করছো কেন..??

ইরাঃ আরে বলো না কেমন মেয়ে পছন্দ..??

আমিঃ আমার যেমন মেয়ে পছন্দ সেটা বলতে পারব না

ইরাঃ আরে বলো না..!!

তখনি ভাবী ডিনার করার জন্য ডাক দিল তাই আমি বললাম।

আমিঃ সেটা তোমার না জানলেও চলবে এখন চলো ভাবী ডিনার করার জন্য ডাকছে..!!

ইরাঃ ঠিক আছে চলো যাওয়া যাক..।।

তারপর দুজনে একসাথে নিচে এসে খাবার টেবিলে বসলাম।

ভাবী আমাদের খাবার দিল আমরা খাবার খেতে লাগলাম।

হঠাৎ করে ইরা ভাবীকে বলে ওঠল!!

ইরাঃ আপু (ভাবী) তোমাকে একটা কথা বলার ছিল..??

ভাবীঃ কি বলবি তাড়াতাড়ি বল???

ইরাঃ ওকে (আমাকে) অনেকবার বলেছি তোমার কেমন মেয়ে পছন্দ।। কিন্তু আমার কথার উওর দিচ্ছে না তুমি একটু ওকে বলতে বলো না ওর কেমন মেয়ে পছন্দ

ভাবীঃ ইরা যেটা বলল সেটা কি সত্যি.?( আমাকে বলল)

আমিঃ হ্যাঁ সেটা সত্যি কিন্তু আমি ওকে এইসব কথা কেন বলব এটা তুমিই বলো!!

ভাবীঃ আচ্ছা তোর বলতে হবে না ওকে আমি পরে বলে দিব কি বলিস .??

আমিঃ তোমার জানা থাকলে তুমি বলে দিও আমার সমস্যা নেই..!!

তারপর ভাবী বা ইরা কিছু বলল না।। তারা কিছু বলল না দেখে আমিও কিছু বললাম না।

তারপর ডিনার শেষ করে নিজের রুমে চলে এলাম তারপর ঘুমিয়ে গেলাম।

এখন আমার কাজই হলো খাওয়া ও ঘুম৷ অন্য কোনো কাজের চাপ আমার নেই।

বিছানায় শুয়ে থেকে মোবাইল চালাতে চালাতে অনেক রাত হয়ে গেল।

হঠাৎ দেখলাম কেউ আমার দরজা খুলার চেষ্টা করছে।

একটু ভালো করে তাকিয়ে দেখলাম ইরা আমার রুমে এসেছে।

আমি অনেক অবাক হলাম যে ইরা এত রাতে আমার রুমে কেন আসবে..?

আমি দেখতে চাই ইরা কি করে কিন্তু দেখলাম ইরা আমার কাছে এলো।

আমি ঘুমের ভান করে চোখটা বন্ধ করে রাখলাম৷ অনুভব করলাম ইরা আমার পাশে এসে বসল।

তারপর আমার কপালে চুমু দিয়ে বলতে লাগল।

ইরাঃ পাগল একটা মরার মতো ঘুমাচ্ছে সে তো আর জানেনা তার হবু বউ ওর তাকে দেখার জন্য এত রাতে চুপি চুপি রুমে আসে৷ এভাবে আর মাএ কয়েকদিন দেখব বাসা থেকে আগে ই আমাদের বিয়ে ঠিক করে রেখেছে এখন শুধু তুমি রাজি হলেই আমরা বিয়ে করে নিব। তুমিতো আর জানো না আমি তোমাকে কত ভালোবাসি কিন্তু সাহস করে বলে ওঠতে পারি না,, তবে চিন্তা করো না খুব তাড়াতাড়ি তোমার নিজের মনের কথাগুলো বলে দিব, তোমাকে ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না।৷ মন বলছে তোমার বুকে মাথা রেখে ঘুমিয়ে থাকি। কিন্তু সেটা এখন চাইলেও সম্ভব না কারণ এত রাতে আমাকে তোমার সাথে দেখলে সবাই খারাপ ভাববে তাই তুমি থাকো আমি আমার রুমে যায়।

কথাগুলো বলে ইরা আমার ঠোটে একটা চুমু দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেল।

ইরা যাওয়ার পর আমি চোখ খুললাম। আমি সত্যি বুঝতে পারিনি ইরা আমাকে এত ভালোবাসে।।

ভালোবাসে এটা বুঝলাম কিন্তু বিয়ে ঠিক করে রেখেছে এটা কিছুই বুঝলাম না৷৷ এখন আমার কাজ হলো যেভাবে হোক খবর লাগাতে হবে

আমার বিয়ে ঠিক করা আছে কিনা।

এবং ইরা মেয়েটা খুব ভালো।৷ ওকে চোখ বুঝে বিশ্বাস করা যায় কিন্তু তার আগে ওর ভালোবাসা দেখে নেই।

আপনারা আবার ভাবছেন আমি ইরাকে ভালোবাসি কিনা।। এতক্ষণ শুধু ওকে আমার ভালো লাগত কিন্তু এখন ইরা কথাগুলো শুনে ওকে আস্তে আস্তে ভালোবেসে ফেলছি।

ঘড়ির দিকে তাকালাম দেখি রাত ১ টা বাজে আর দেরী করা ঠিক হবেনা তাড়াতাড়ি করে ঘুমাতে হবে।

তাই ঘুমিয়ে পড়লাম!!!!!

সকালবেলা ঘুমের ঘোরে মনে হলো কেউ আমাকে ডাকছে।

আমি চোখ খুলে দেখি ইরা আমার সামনে খাবারের প্লেট নিয়ে দাড়িয়ে আছে!!আমার চোখ খুলা দেখে ইরা বলতে লাগল।

ইরাঃ এই যে মিস্টার আর কত ঘুমাবেন এবার ঘুম থেকে ওঠুন৷ এবং নাস্তা করে নিন.??

আমিঃ তুমি এত সকাল সকাল আমাকে ডাকছো কেন বলোতো.??

ইরাঃ সকাল সকাল মানে ১০টা বেজে গেছে এখন তাড়াতাড়ি ওঠে নাস্তা করো তোমাকে নিয়ে আমি এক জায়গায় যাব..!!

আমি শুয়া থেকে ওঠে বসতে বসতে বললাম৷

আমিঃ আমাকে নিয়ে আবার কোথায় যাবে.??

ইরাঃ তুমি আগে নাস্তা করে নাও তারপর বলব কেমন..!!

আমিঃ ঠিক আছে আমি ফ্রেশ হয়ে আসছি.!।

বলে ওয়াশরুমে ঢুকে ফ্রেশ হয়ে বাইরে এসে দেখি ইরা তোয়ালে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।

আমাকে বের হতে দেখে তোয়ালে আমার হাতে দিল৷

তারপর নাস্তা করছিলাম৷ নাস্তা করার সময় ইরা হঠাৎ করে আমার হাত থেকে প্লেট কেড়ে নিয়ে বলল।

ইরাঃ তোমাকে আর খেতে হবে না। আমি তোমাকে খাইয়ে দিচ্ছি হা করো..!!

আমিঃ তোমার খাইয়ে দিতে হবে না আমি নিজেই খেয়ে নিচ্ছি.।।

ইরাঃ না আমি খাইয়ে দিব হা করো।

তারপর ইরা এক প্রকার জোর করে আমাকে খাইয়ে দিতে লাগল।

খাওয়া শেষে ইরা প্লেট নিয়ে চলে যেতে লাগল এবং বলতে লাগল।

ইরাঃ তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে নাও তোমাকে নিয়ে এক জায়গায় যাব.??

আমিঃ ঠিক আছে হচ্ছি তুমি যাও

ইরা চলে গেল। আমি রেডি হতে লাগলাম৷ প্রতিদিন এইরকম প্যারা আমার আর ভালো লাগে না।

যাই হোক রেডি হয়ে বাইকে করে ইরাকে নিয়ে বাসা থেকে বের হলাম।

প্রথমে ইরা একটা ফুলের দোকানে যেতে বলল।

ইরার কথামতো ফুলের দোকানে নিয়ে গেলাম।। সেখান থেকে ইরা কয়েকটা গোলাপ ফুল কিনল তারপর আমাকে ফাকা কোনো জায়গায় নিয়ে যেতে বলল।

আমিও ইরাকে নদীর শেষ কিনারে নিয়ে এলাম এখানে তেমন কেউ আসেনা।

তারপর ইরা বাইক থেকে নেমে আমাকে বলল!!

ইরাঃ বাইক থেমে নামো এবং এখানে দাড়াও..!! তোমাকে কিছু বলার আছে!!

আমি বুঝে গেলাম ইরা আমাকে কি বলতে চাইছে৷ বাইক থেকে নেমে ইরার সামনে দাড়ালাম।




তারপর ইরা এমন কাজ করল সেটা আমার ভাবার সাথে পুরোপুরি মিলে গেল।

কারণ ইরা আমার সামনে…….???????

#চলবে..??

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here