প্রতিশোধ নাকি ভালোবাসা
শেষ পর্ব
সিজন 2
জাহান আরা
মেয়েটা আমার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছে।
একপাশে রাফি বসে আছে, আরেক পাশে এক লোক।
আমি কিছুই বুঝতেছি না,আমি এই কোথায় এলাম???
রাবেয়া বেগম অনিতাকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলেন,অনিতা হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে কি হচ্ছে।
রাবেয়া বেগমঃ আমার নিশি,আমার হারানো রাজকন্যা। আমার চোখের তারা,মা কতো খুঁজেছি তোরে,কতো কেঁদেছি তোর জন্য। আল্লাহ তোরে আমাকে ফিরিয়ে দিবে আমি জানতাম,২১ বছর ধরে এই দিনের অপেক্ষায় ছিলাম আমি।
কবে আমার বুকের মানিক ফিরে পাবো।
ইমরান সাহেবঃ তুমি কি একাই মেয়েকে আদর করবে নাকি আমি একটু আমার মা’টাকে বুকে নিবো।
বলেই ইমরান সাহেব অনিতা কে বুকে টেনে নিলেন।
আমি কিছুই বুঝতেছি না এরা কারা???
কি হচ্ছে এখানে এসব।
আমিঃ আপনারা কারা,আমি আপনাদেরকে চিনি না।
ইমরান সাহেবঃ আমি তোর বাবা,এই তোর মা,এই তোর বোন রাত্রি,তুই আমার হারানো মেয়ে নিশি রে মা
আমিঃ না আপনারা আমার বাবা মা না,আমার মা আছে,বাবা মারা গেছে,আমার বোন তো অনু,উনি কিভাবে আমার বোন হয়।
রাফি এরা কারা,আমাকে এখানে এনেছো কেনো,আমি বাড়ি যাবো,মায়ের কাছে যাবো।
রাবেয়াঃ আমিই তো তোর মা,তুই আমার মেয়ে,আমার হারিয়ে যাওয়া মেয়ে তুই।
আমিঃ না আমি আপনাকে চিনি না,আমি আপনার মেয়ে না।
রাফিঃ উনি ঠিক বলছে অনিতা,তোমার নাম নিশি,ওনারাই তোমার আসল মা বাবা।
আমিঃ তুমি মিথ্যা বলছো।
রাফিঃ দাঁড়াও,আমি মা’কে কল দিচ্ছি।এখনি সব প্রমাণ পাবে
রাফি মাকে কল দিয়ে স্পিকার অন করে দিলো।
মাঃ হ্যালো।
রাফিঃ আসসালামু আলাইকুম মা কেমন আছেন??
মাঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো, তোমরা কেমন আছো বাবা,আমার অনিতা কেমন আছে??
রাফিঃ আলহামদুলিল্লাহ ভালো।
মা আমি একটা গোপন কথা জেনেছি,মা আমাকে আপনি সত্য কথাটা বলবেন প্লিজ???
মাঃ কি বাবা বলো??
রাফিঃ অনিতা কি আপনার নিজের মেয়ে???
নাকি দত্তক নেয়া???
মাঃ কি বলছো তুমি এসব,আমি অনিতার মা,অনিতা আর মেয়ে,আমার বড় মেয়ে,তোমাকে এসব কে বলেছে আমার অনিতা কোথায়??
রাফিঃ অনিতা অনিতার আসলে মায়ের কাছেই আছে মা,অনিতা সব জেনে গেছে, প্লিজ মা এখন আর কিছু লুকোচুরি করার সময় নেই,দয়া করে বলেন সব সত্যি,কিভাবে অনিতাকে পেয়েছেন আপনি??
মাঃ রাফি আমার অনিতাকে কি আমি আর পাবো না,আমাকে কি আর মা বলে ডাকবে না আমার মেয়ে??
রাফিঃ অবশ্যই ডাকবে মা আপনি সত্যি টা বলুন,আপনি সত্যি বল্লেই আমি অনিতাকে নিয়ে আসতে পারবো এখান থেকে ….
মাঃ আমার বড় মেয়েটা নিউমোনিয়ায় মারা যায় হাসপাতালে,বিয়ের ৮ বছর পর আমার বড় মেয়ে হয়,আমার অনেক আদরের ছিলো আমার মেয়ে তাই,কিন্তু নিউমোনিয়া তে মারা যাওয়া আমি মেনে নিতে পারি নি,পাগলের মতো হয়ে যাই আমি।
তখনই আমার কান্না দেখে হাসপাতালের এক নার্স অনিতা কে এনে আমার কোলে দেয়,আমার মেয়েটার নাম অনিতা ছিলো,আমি তখন ওর নাম ও অনিতা রাখি,আমার মৃত মেয়ের শোক ভুলে যাই আমি অনিতাকে পেয়ে,আমি জানি না অনিতা কার মেয়ে,কিন্তু এটা জানি যে আমি অনিতার মা,অনিতা আমার কলিজার টুকরা।
মায়ের কথা শুনে আমি কান্না করে দিলাম।আমার মা কে,আমি কার কাছে যাবো এখন????
বাবা আমাকে শক্ত করে বুকের ভিতর জড়িয়ে ধরে রেখেছে।সবাই কান্না করছে,মা ফোনে কান্না করে চলছে।
কিছুক্ষণ পরেই অনু আমাকে ডাকতে লাগলো।অনুর কান্না আমার সহ্য হয় না কখনো।
আমিঃ রাফি আমি এখানে থাকবো না,আমার অনু কান্না করছে,আমার বোনের কাছে যাবো আমি।
রাত্রিঃ নিশি,আমি কি তোর বোন না,আমার কান্না কি তোকে একটু ও ছুঁয়ে যায় না নিশি??
অনুঃ আপু,তুমি কই,তুমি চলে আসো আপু,আমি তোমার কাছে যাবো।
রাত্রিঃ ২১ বছর তো ছিলি অন্য কাউকে বোন ডেকে,আমি যে ২১ বছর ধরে নিজের বোনের অপেক্ষা করছি নিশি সেটা একবার ভেবে দেখ,অনুর এই দু’দিনের কষ্ট তোর সহ্য হয় না নিশি,আমার যে কষ্ট ২১ বছরের।
মাঃ তোমরা আমার অনিতাকে ফিরিয়ে দাও,আমার অনিতা ছাড়া আমার আর কেউ নাই।
রাবেয়াঃ আমার নিশিকে আমি কোথাও যেতে দিবো না,আমার নিশি আমার,আমার হারানো মানিক,আমার বুক থেকে আমি আর যেতে দিবো না।
আমি এখন কি করবো,এরা সবাই যে আমার, এরা আমার নিজের মা বাবা বোন।
কিন্তু ওরা???
ওরা আমাকে ছোটবেলা থেকে আদর যত্নে মানুষ করেছে,আমার অসুখে আমার মা কতো রাত জেগেছে,আমার অনু আমার সাথে কতো অভিমান করেছে,আমি কাকে রেখে কার কাছে যাবো?
আমি রাফির দিকে তাকিয়ে রইলাম।
আমিঃ আমি জানি না আপনারা আমার কি হন,তবুও এটুকু বলবো আপনারা দয়া করে আমাকে যেতে দিন আমার মায়ের কাছে।
রাবেয়াঃ আমি কি তোর মা না নিশি???
আমিঃ হ্যাঁ আপনি ও আমার মা,কিন্তু আমি আপনার আদর পাই নি কখনো,আমার সকল ব্যথায় আপনি ব্যথিত হন নি,হয়েছে আমার মা,আমার অসুখে আপনি রাত জাগেন নি,জেগেছে আমার মা,আমি আপনাকে মা হিসেবে মানতে পারি না তাই আপনি আমার মা হলেও
মাঃ যা চলে যা তুই,এতোদিন আশায় ছিলাম আমার নিশি বেঁচে আছে ফিরে আসবে,আজ ভেবে নিবো নিজের হাতে নিশিকে কবর দিয়েছি।
বাবাঃ মা রে আমাকে ছেড়ে চলে যাবি তুই???
আমিঃ হ্যাঁ, চলে যাবো।রাফি চলো।
রাফিকে নিয়ে বের হয়ে আসছি ওই বাড়ি থেকে।
গেইটের সামনে আসতেই পিছনে ফিরে দেখি মা বাবা রাত্রি বাহিরে এসে দাঁড়িয়ে আছে।
আমি এখন কি করবো???
পারলাম না যেতে এদের ছেড়ে। জানি না কিসের টান,কিসের মায়া,আমাকে আবার ফিরিয়ে নিয়ে গেলো।
ছুটে গিয়ে মা’কে জড়িয়ে ধরলাম।
মা অঝোরে কান্না করছে আমাকে পেয়ে।
আমিঃ চলো আমরা সবাই মিলে ঢাকায় যাই,সেখানে আমার মা আছে বোন আছে,আমি সবাইকে চাই।
বাবাঃ ঠিক আছে চলো,আমাদের ঢাকার বাড়িটা তো পরেই আছে।
বাবা ড্রাইভার কে গাড়ি বের করতে বললো।
পুরো পথ মা আমাকে জড়িয়ে ধরে রেখেছে।
”
”
”
”
বাড়ি গিয়ে কলিং বেল চাপলাম।
আমি আড়ালে সরে গিয়ে রাত্রিকে বললাম আমার জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকতে দেখি মা কি করে।
অনু দরজা খুলে দিয়ে রাত্রি কে দেখে আপু বলে জড়িয়ে ধরলো, ততক্ষণে মা ছুটে এলো।
মা ও এসে রাত্রি কে বুকে টেনে নিলো।
রাত্রি ও মা বলে মাকে জড়িয়ে ধরলো
কিন্তু এক মুহুর্তে মা রাত্রিকে বুকে থেকে সরিয়ে দিলো।
মাঃ তুমি কে?? তুমি আমার অনিতা না।
রাত্রিঃ মা কি বলছো তুমি আমি তোমার অনিতা।
মাঃ না আমি আমার অনিতার গায়ের ঘ্রাণ চিনি,তুমি আমার মেয়ে না,আমার মেয়ে কই।
আমি আর আড়ালে থাকতে পারলাম না,ছুটে গিয়ে মা’কে জড়িয়ে ধরলাম।
মা আমাকে বুকে পেয়ে কান্না করে দিলো।
মা বাবা ও ভিতরে এলো।
মা (রাবেয়া বেগম)ঃ এতো বছর তো আপনাকে মা বলেছে এবার কি আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া যায় না আপা??
আমার মাঃ না, আমাকে ভিক্ষা দিন,আমার অনিতা ছাড়া আমার কেউ নাই আর।
মাঃ আমার কে আছে বলেন??
নিজের পেটের সন্তানকে কেউ এভাবে ছেড়ে দিতে পারে??
আমার মাঃ ২১ বছর যার মুখে মা ডাক শুনেছি,জীবনে যে প্রথম আমাকে মা বলে ডেকেছে,কিভাবে তাকে আপনার হাতে তুলে দিবো আমি??
আমিঃ তোমরা কেউই যাবে না,সবাই আমরা একসাথে থাকবো।
অনুঃ আপু,আমি তো তোমাদের ২ জনকে চিনি না,কেমন গোলমেলে লাগে,কাকে কি বলবো??
আমার বড় বোন কে??
রাত্রিঃ পুচকি,আমি ও আজ থেকে তোর বড় বোন।
আমার মা সবার জন্য খাবার আয়োজন করলো,রাফি আমার বাবাকে (শ্বশুর) কে ও চলে আসতে বললেন।
সবাই ড্রয়িং রুমে বসে আছি।
বাবা এসে আমাদের ২ জনকে দেখে কনফিউজড।
বাবাঃ একি হলো, আমার পুত্রবধূ কে??
রাফিঃ বাবা দেখি আপনি চিনেন কিনা এটা আপনার একটা পরীক্ষা।
বাবাঃ যদি আমি পাস করি তাহলে কি হবে??
রাফিঃ তাহলে আজকে আমি রান্না করে খাওয়াবো রাতে সবাইকে।
বাবাঃ ঠিক আছে, ৫ মিনিট সময় দে আমাকে।
বাবা উপরের দিকে তাকিয়ে রইলেন এই কথা বলে।
৫ মিনিট পর আমাদের দিকে তাকালেন,কিন্তু বাবার চোখে পানি।
কেনো জানি বাবার চোখে পানি দেখে আমার চোখেও পানি চলে এলো।
বাবাঃ এই যে,এই আমার পুত্রবধূ।ঠিক হয়েছে কিনা বলো??
রাত্রিঃ কিভাবে বুঝলেন আংকেল???
বাবাঃ আমার চোখে পানি দেখলে যে আমার বুড়ি মায়ের চোখে ও পানি এসে যায়,তাই বুঝে গেছি মা।
সবাই মিলে অনেক আড্ডা দিলো এক সাথে।
সবাই মিলে রাতে বাহিরে খেতে গেলাম যেহেতু রাফির রান্না করার কথা ছিলো, বেচারা রান্না না জানায় বাহিরে খাওয়াতে নিয়ে গেলো।
অনেকদিন পরে মন ভরে হাসলাম যেনো।
রাতে সবাই মিলে বাড়ি ফিরছি,তখনি আবার সেই মিষ্টি ঘ্রাণ টা ভেসে আসতে লাগলো।
আমি চমকে উঠে রাফির দিকে তাকালাম।
রাফিঃ কি হলো??.
আমিঃ সে আসছে রাফি,আমি তার ঘ্রাণ পাচ্ছি,সে আশেপাশে আছে কোথাও।
রাফিঃ কি বলছো তুমি,কই থেকে আসবে সে??
আমিঃ রাফি আমি ভুল বলছি না,সত্যি সে আসছে।
রাফির চোখ অশ্রু টলটল করছে।
বাড়ি গিয়ে আমি মা’কে বললাম সব।
সবাই শুনে হতভম্ব সে কেনো আবার ফিরে আসছে।
সারাদিনের আনন্দ আমার হাওয়ায় মিশে গেলো,কিন্তু তবু কেনো জানি আমি এক ধরনের প্রশান্তি অনুভব করছি।
রাতে সবাই শুয়ে পড়লো।
রাফি আর অনিতা এক রুমে,রাফির বাবা আর অনিতার বাবা এক রুমে,আরেকরুমে অনিতার ২ মা,রাত্রি,অনু।
সবাই ঘুমিয়ে পড়ে,কিন্তু অনিতার মা ২ জনের চোখে ঘুম নেই।কে জানে কিসের আশংকায় ২ জন জেগে আছে।
২ জনের মনেই ভয় মেয়ে যদি সে না পায়।
মাঝরাতে প্রচন্ড ঝড় শুরু হলো।
সব যেনো ভেঙে যাচ্ছে চারদিকে।
রাফি অনিতা কে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে রাখছে বুকের ভিতর,অনিতার তপ্ত নিশ্বাস রাফিকে পাগল করে তুলছে।
রাফি অনিতার সাথে আরো ঘনিষ্ঠ হলো,বাহিরের ঝড়ের উন্মাদনা ওদেরকে ও ছুঁয়ে যায়,উন্মাদ হয়ে উঠে ২ জন,রাফির ২ হাত অনিতার ২ হাত কে চেপে ধরে,ভালোবাসার গভীর পরশ এঁকে দেয় রাফি অনিতা ‘কে। হারিয়ে যায় অনিতার গভীরে।
আর চোখের আড়াল করবে না রাফি অনিতাকে,১ মুহুর্তের জন্য ও না।
রাফিদের সংসার সুখেই কাটছিলো,অনিতা প্রেগন্যান্ট হয়,৩ পরিবারের জন্যই এটা খুশীর কারন।
অনিতার ডেলিভারির দিনে সবাই বিপদে পড়ে যায়,বাহিরে প্রচন্ড ঝড় বৃষ্টি, অনিতার পেইন উঠে।
রাফি অনিতার বাবা অনিতার শ্বশুর ঝড় বাদলার মধ্যেই অনিতাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
অনিতার জমজ বাচ্চা হওয়াতে নরমাল ডেলিভারি সম্ভব না,হাসপাতালে আনতেই অনেক দেরী হয়ে যায়,ইতিমধ্যেই অনেক ব্লিডিং হয়।
ডাক্তার এসে জানায়,এক্ষুনি “ও নেগেটিভ” রক্ত লাগবে অনিতার জন্য অনিতার অবস্থা ভালো না।হাসপাতালে রক্ত নাই।
রাফি বের হয়ে যায় রক্তের খোঁজে,রাফির বাবা আর অনিতার বাবা থেকে যায় হাসপাতালে। পুরো শহর ঘুরে কোথাও “ও নেগেটিভ” রক্ত খুঁজে পায় না।
রাফি আর হাসপাতালে ফিরে আসার সাহস পায় না,মাঝরাস্তায় বসে পড়ে।
ঝড় থেমে যায়, কিন্তু রাফির বুকের ভিতর ঝড় উঠে প্রবল হয়ে।
”
”
”
মিষ্টি ঘ্রাণ পেয়ে অনিতার জ্ঞান ফিরে আসে,অনিতা বুঝতে পারে সে এসেছে,আবার ফিরে এসেছে।
অনিতা চারদিকে তাকিয়ে খুঁজতে থাকে,তখন শুনতে পায় কেউ বলছে,”কিছু হবে না অনিতা ভয় পেও না,তোমার রক্তেই তো আমি মিশে আছি,আমাকে বন্দী করার ক্ষমতা কারো নেই,আমি সেদিন ই মুক্ত হয়ে গেছিলাম।আড়াল থেকে তোমাকে দেখছিলাম,আমার জন্য তোমার চোখে পানি দেখেছিলাম।আমি বুঝে গেছি আমি ভুল কাউকে ভালোবাসি নি।সব ভালোবাসার মিলন দরকার হয় না।আমার ও তা লাগবে না তাই,তুমি ভালো থাকলেই আমি খুশি ”
একটু পরেই ডাক্তার নার্সরা “ওটি”তে ঢুকে।
”
”
”
রাফির ফোন বেজে উঠে,ফোন নিয়ে দেখে বাবার ফোন।
রাফি জানে কি দুঃসংবাদ রাফির জন্য অপেক্ষা করছে,কাঁপা কাঁপা হাতে রাফি ফোন ধরে।
বাবাঃ তাড়াতাড়ি হাসপাতালে আয়,আমাদের যে একটা রাজপুত্র আর একটা রাজকন্যা হয়েছে।
রাফিঃ বাবা,রক্ত????
বাবাঃ দূর গরু,ডাক্তার রা রক্ত খুঁজে পেয়েছে হাসপাতালেই,অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে কেউই জানে না কোথা থেকে এসেছে এই রক্ত।
তুই তাড়াতাড়ি আয়,অনিতা তোকে খুঁজছে জ্ঞান ফেরার পর থেকে।
রাফি হাসপাতালে চলে যায় তক্ষুনি।
অনিতার পুরো কেবিন কামিনী ফুলের ঘ্রাণে মৌ মৌ করছে।
রাফি বুঝে গেছে রক্ত এসেছে কই থেকে,আজ আর রাফি কষ্ট পাচ্ছে না,অদৃশ্য কাকে যেনো বললো,”ধন্যবাদ তোমাকে,অনেক অনেক ধন্যবাদ”
(সমাপ্ত)