ভালোবাসি_তাই❤,পর্ব:২২,২৩

ভালোবাসি_তাই❤,পর্ব:২২,২৩
মাহিয়া_তাহসীন_মেরিন

তিশার কথা শুনে অধরা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।। এমনটা হবে কখনও স্বপ্নেও ভাবেনি সে।।

— তিশা অধরার হাত টেনে ধরে,,,,””কি হলো?? দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?? চল…।।।

দেখ অধরা,,,অর্ণব ভাইয়া আমাকে সব বলেছে।। একটা এক্সিডেন্টে জানি তোদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গিয়েছে।। কিন্তু এখানে তো কারো দোষ নেই।। তারা সবাই তোর ভালোর জন্যই তোর সত্য গোপন করেছিলো।।

তাই এভাবে নিজেকে কষ্ট দিয়ে তো লাভ নেই।। ভুলে যা এসব অসুখ,,,রিপোর্ট এর কথা।।
আর,,,কয়েকদিন ক্লাসে না আসলে দেখবি সবাই এসব ভুলে যাবে।।
তাই বলছি এখন বাসায় চল।।।””

— অধরা হাত ছাড়িয়ে নিয়ে শান্ত কণ্ঠে,,,,””আমি ক্লাসে যাবো তিশা।। যার যা ইচ্ছা হয় বলুক।। চল।।””

অধরা তিশাকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ক্লাসের দিকে যেতে শুরু করে।। এদিকে তিশা বারবার তাকে যেতে নিষেধ করলেও অধরা তা পরোয়া করছে না।।।

অধরা সোজা ক্লাসরুমে গিয়ে একটা বেঞ্চে বসে পড়ে।। আশেপাশের অনেকেই অধরার দিকে অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে কানা ঘুষা করছিলো কিন্তু অধরা সেদিকে খুব একটা পাত্তা দিলো না।। সে চুপচাপ ঘাপটি মেরে বসে আছে।। হঠাত তার ক্লাসের কয়েকজন অধরার সামনে এসে…

— “”কিরে অধরা।। যা শুনছি তা কি সত্যি নাকি?? তুই কি সত্যিই মানসিক ভারসাম্য হীন??””

— অন্য একজন তার কথায় তাল মিলিয়ে,,,””আরে এভাবে বলছিস কেনো??
রিপোর্টগুলো তো আর মিথ্যা বলছে না।।
বেচারি অধরা,,,শুনে সত্যিই খারাপ লাগলো রে।। তবে চিন্তা করিস না,,,আমরা তোকে যথেষ্ট সাহায্য করবো।। হাজার হলেও আমাদের ফ্রেন্ড বলে কথা।।
আর এখন থেকে আমরা দুজন তো তোর মতো সকল মানসিক ভারসাম্য হীনদের সাহায্য করার চিন্তা ভাবনা করছি।।””

কথাটা বলেই দুজন মুখ টিপে হাসতে শুরু করলো।।

অধরা এতক্ষণ চুপচাপ তাদের কথাগুলো শুনছিলো।। তাদের এমন খোঁচা মেরে কথাগুলো অধরা ঠিকই বুঝতে পারছে।।
অধরা একটা মুচকি হাসি দিয়ে…

— “”অনেক ধন্যবাদ।।
আমি তো জানতামই না তোমরা দুজন মিলে সমাজ সেবা করা শুরু করেছো।। শুনে অনেক ভালো লাগলো।।
কিন্তু কি বলো তো,,,আমার জন্য তোমাদের এতো চিন্তা না করলেও চলবে।। কারণ আমার অর্ণব ভাইয়া আছে আমাকে নিয়ে ভাবার জন্য।।””

“”তোমরা বরং নিজেদের নিয়েই ভাবো।। আর কতো বছর ধরে এক ক্লাসেই পরে থাকবে?? প্রায় দুই বছর তো হলো…।।””

অধরার এমন জবাবে দুজনের মুখ বন্ধ হয়ে গেল।। তারা আর কিছু না বলে মুখটা বাকিয়ে চলে গেলো।। তাদের এভাবে যাওয়া দেখে তিশা মুচকি হেসে অধরার পাশে বসে পড়লো।।

🍁এদিকে….

শাহিন হাসাদ সকাল সকাল মিটিংয়ে এসেই ক্লায়েন্টদের কাছে অধরার রিপোর্ট দেখিয়ে দিলেন।। সেই সাথে আকাশ চৌধুরী আর শাহেদকে নিয়ে মিথ্যা অনেক কথাই ছড়িয়ে দিলেন।।

ক্লায়েন্টরা সবটা শুনেই আকাশ চৌধুরীকে বিভিন্ন কথা শুনিয়ে প্রোজেক্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়।।
আশ্বিন আর অর্ণব দূরে দাঁড়িয়ে তাদের কার্যকলাপ দেখছিলো।।

এদিকে প্রোজেক্ট বাতিলের কথা শুনে শাহিন হাসাদের মুখে বিশ্ব জয়ের হাসি ফুটে ওঠে।।

🍁🍁

ক্লাস শেষ হতেই অধরা আর তিশা একসাথে হেটে গেইটের কাছেই এগিয়ে আসছে।। হঠাত রকি আর তার সহযোগীরা তাদের পথ আটকে ফেলে….

— তিশা অধরার কানের কাছে ফিসফিস করে,,,,””এই ছিঁলা মুরগী নিশ্চিত তোর সাথে ঝগড়া করতেই এসেছে।। চল পাশ কাটিয়ে চলে যাই।।””

অধরা এক নজর তিশার দিকে তাকিয়ে আবার রকির দিকে তাকিয়ে…
— “”কি চাই?? এভাবে পথ আটকে রেখেছো কেনো??””

— রকি একগাল হেসে,,,,””তোর কাছে আমি কি চাইবো??
তোর সব কাজ কর্ম দেখে আমি এতদিন ভাবতাম হয়তো তোর মাথায় কোন সমস্যা আছে।।। দেখ আজকে প্রমাণ হয়ে গেল তোর মাথায় আসলেই সমস্যা আছে।। তুই একজন মানসিক রোগী,,,যাকে পাগল ও বলা যায়।। তবে প্রতিবন্ধী বললেই বেস্ট হবে,,,,কি বলিস??””

— তিশা রাগী কণ্ঠে,,,,””রকি,,,খবরদার।। মুখ সামলে কথা বলো।।
মানছি অধরা একটু অসুস্থ,,,,তাই বলে তুমি এভাবে কথা বলতে পারো না।।””

— রকি তিশার কথায় ব্যাঙ্গ করে,,,,””ওহ হ্যা হ্যা।। এই তোরা ((সহযোগীদের উদ্দেশ্যে)) অধরার সাথে এভাবে কথা বলিস না।। আমাদের কলেজের একমাত্র পাগল তো উনি।। তাকে তো আমাদের সবার সাহায্য করা উচিত।। অধরা,,,তুই ভাবিস না।। আমি আছি তোর পাশে,,,,ঠিক আছে??””

কথাগুলো বলে রকি আর তার সহযোগীরা একসাথে হেসে ওঠে।। অধরা এতোক্ষণ নিরবে তাদের কথাগুলো শুনছিলো।। অন্যদিন হলে হয়তো এতক্ষণে রকির বারোটা বাজিয়ে দিতো অধরা।। কিন্তু আজ তার কিছুই বলার নেই।

— অধরা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে,,,,””তোদের আরো কিছু বলার আছে?? তাহলে বলে ফেলো।। নয়তো পথ থেকে সরে দাঁড়াও।।””

— রকি অধরার দিকে তাকিয়ে তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে,,,,””হুহহ যাচ্ছি।।। তোর মতো পাগলের সাথে কথা বলার কোন ইচ্ছা আমার নাই।। এই চল সবাই।।””

রকি কথাটা বলেই তার সহযোগীদের নিয়ে চলে গেল।। অধরা আশেপাশে তাকিয়ে দেখে অনেকেই তাদের দিকে তাকিয়ে আছে,,,মানে তারা এতক্ষণ ধরে তামাশা দেখছিলো।।

অধরা আর কিছু না বলে তিশাকে নিয়ে নিজের বাসায় চলে আসে।।

🍁🍁

অর্ণব আর আশ্বিন তাদের অফিসে বসে আছে।। আশ্বিন চেয়ারে বসে মাথায় হাত রেখে চোখ বন্ধ করে কিছু একটা ভাবছে।। একটু দূরে অর্ণব ফোনে কথা বলছে।।

— কথা শেষ করে অর্ণব একটা চেয়ারে বসে,,,””যে কোনভাবে মিডিয়ার কানে এই খবর না পৌঁছালেই হয়।।
সবাই মিলে,,,আমার বোনের জীবন নষ্ট করতে এভাবে উঠে পড়ে লেগেছে কেনো??? কি এমন ক্ষতি করেছে আমার বোন তাদের??””

কথাগুলো বলতেই অর্ণবের ফোন বেজে উঠলো।। ফোন হাতে নিয়ে দেখে তিশা ফোন করেছে।। অর্ণব কোন কিছু না ভেবেই ফোন কেটে দেয়।। কিন্তু পরপর কয়েকবার ফোন করায় বাধ্য হয়ে ফোন রিসিভ করে…

— “”তিশা আমি তোমাকে পরে কল করবো।। এখন একটু ব্যস্ত আছি।। রাখছি।””

— “”আরে শুনো।। অর্ণব ভাইয়া,,,,অধরা…!!””

— অধরার নাম শুনে একটু সিরিয়াস কণ্ঠে,,,,””অধরা?? কি হয়েছে অধরার?? সব ঠিক আছে তো??””

তিশা প্রথম থেকে একে একে কলেজের ঘটনাগুলো অর্ণবকে খুলে বললো।। সবটা শুনে অর্ণব পুরো স্তব্ধ হয়ে গেল।।

— অর্ণব শান্ত কণ্ঠে,,,,””অধরা এখন কোথায়??””

— “”মাত্রই আমি তাকে বাসায় পৌঁছে দিয়েছি।।””

— “”ঠিক আছে।।””

অর্ণব ফোন রেখে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে।। আশ্বিন অর্ণবের দিকে শান্ত দৃষ্টিতে তাকিয়ে…

— “”কি হয়েছে??””

— “”কি হয়নি সেটা বল।।
তোর বোনের আমার বোনের সাথে কিসের এতো শত্রুতা একটু বলবি??””

— “”এতো ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে না বলে সরাসরি বল আবার কি করেছে মারিয়া??””

— “”পুরো কলেজে অধরার রিপোর্টের ছবি ছড়িয়ে দিয়েছে।। সবাই মিলে আজ আমার বোনকে নানাভাবে অপমান করেছে।।””

“”এই সবকিছু তোর ভুলের জন্য হয়েছে আশ্বিন।। আমার তোর কাছে অধরার রিপোর্টগুলো রাখাই ঠিক হয়নি।। কি যেনো বলেছিলি তুই?? ওহ হ্যা,,,মারিয়া একটু উচ্ছৃঙ্খল হলেও তাকে বিশ্বাস করা যায়।। এখন হয়েছে তোর বিশ্বাস??
একটা কথা মাথায় রাখিস,,,,আজ তোর খামখেয়ালীর জন্য আমার বোনের এই দিন দেখতে হচ্ছে।।।””

অর্ণব রেগে কথাগুলো বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো।। আশ্বিন এখনও চুপচাপ বসে আছে।।

— “”অর্ণব ঠিকই বলেছে।। আমার ভুলেই এসব হয়েছে।। এখন আমাকেই এর সমাধান করতে হবে।।””
মনে মনে কথাগুলো বলে ফোন হাতে নিয়ে একটা মহিবকে কল দেয় সে।।।

🍁দুদিন পর….

অধরা নিজের রুমে চুপচাপ বসে আছে।।
হলরুম থেকে সবার কথা একটু আধটু শোনা যাচ্ছে।। কাল তাদের প্রোজেক্ট শাহিন হাসাদকে হস্তান্তর করা হবে।। এই বিষয়েই একটা ছোটখাটো আলোচনা চলছে।।

অধরার কাছে এসব খুব খারাপ লাগছে।। সব কিছুর জন্য তার নিজেকেই দোষী মনে হচ্ছে।। বাবার কতো স্বপ্ন ছিলো তাকে নিয়ে অথচ সে এইসব স্বপ্নের যোগ্যই না।।
কথাগুলো ভাবতেই চোখগুলো ঝাপসা হয়ে আসছে তার।।

হঠাত সামনে কারো উপস্থিতি টের পেলো অধরা।। ঝাপসা চোখেই সেদিকে তাকিয়ে দেখে আশ্বিন দাঁড়িয়ে আছে।।।
আজ দুদিন পর আশ্বিন তার কাছে এসেছে।। সেদিনের ওই কথাটা বলায় আর একবার তার সামনেও আসেনি সে।।

— অধরা কান্না মিশ্রিত কণ্ঠে,,,,””আ..আশ্বিন ভাইয়া…!!!””

— আশ্বিন অধরার হাত ধরে শান্ত কণ্ঠে,,,,””চল।। তোর সাথে কথা আছে।।””

— অধরা হাত ছাড়িয়ে নিয়ে,,,,””আমি যাবো না।। আমি তোমার কোন কথাই শুনতে চাই না।।””

— আশ্বিন চোখ বন্ধ করে একটা বড় নিশ্বাস ফেলে,,,,””আমার মনে হয়না অধরা তুই এখনও এতটাও বড় হয়ে গিয়েছিস যে আমার মুখের উপর সরাসরি না বলে দিবি।।
ভালোয় ভালোয় বলছি চল,,,কথা আছে।।।””

অধরা আর কথা না বাড়িয়ে এক প্রকার বাধ্য হয়েই আশ্বিনের পিছু পিছু বাসা থেকে বের হয়ে আসে।।।

রাতের তারা ভরা খোলা আকাশের নিচে পাশাপাশি হেঁটে যাচ্ছে অধরা আর আশ্বিন।। কারো মুখেই কোন কথা নেই।। অধরা চুপচাপ আলতো করে আশ্বিনের শার্টের হাতা ধরে আছে।। মাঝে মাঝে মৃদু বাতাসের ঝাপটা তাদের গায়ে এসে লাগছে।। মুহূর্তটা অধরার কাছে খুব ভালো লাগছে।।।

— আশ্বিন হঠাত থেমে গিয়ে গাছের আড়াল থেকে একটা ছোট বক্স এনে অধরার হাতে দিয়ে,,,,””ধর,,,,এটা তোর জন্য।। খুলে দেখ।।””

অধরা আশ্বিনের দিকে একবার তাকিয়ে বক্সটা হাতে নিয়ে খুলে দেখে একটা ছোট্ট বিড়াল ছানা।। হয়তো দুই তিন সপ্তাহ বয়স হবে।।

— অধরা অবাক হয়ে তাকিয়ে,,,,””ভাইয়া,,, এটা….!!””

— আশ্বিন অধরার দিকে তাকিয়ে,,,,””এই ছোট্ট বিড়ালটাকে কাল বিকেলে রাস্তায় আহত অবস্থায় পেয়েছি।। মা নেই তার।। তাই তোর কাছে দায়িত্ব দিলাম তাকে দেখে রাখার।। পারবি তো??””

— অধরা মুচকি হেসে বিড়াল ছানাটা কোলে তুলে নিয়ে,,,,””তুমি চিন্তা করো না ভাইয়া।। আজ থেকে আমিই ওকে দেখে রাখবো।।””

অধরা কথাটা বলেই একটা মিষ্টি হাসি দিলো।। আজ দুদিন পর প্রিয় মানুষটার মুখে হাসি দেখতে পাচ্ছে আশ্বিন।। এক ধ্যানে অধরার দিকেই তাকিয়ে আছে সে।। কতটা নিষ্পাপ তার চাহনি,,,,কয়েক মুহূর্তেই বিড়ালটাকে কিভাবে আপন করে নিলো সে।।

— “”জানিস অধরা??? একটা সময় ছিলো যখন আমি খুব চুপচাপ স্বভাবের ছিলাম।।
কোনদিন কোন বাচ্চা দেখলেই আমার খুব বিরক্ত লাগতো।। ছোট থেকেই অর্ণব আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড,,,,,তাকে ছাড়া আর কারো সাথেই আমি কথাও বলতাম না।। ইভেন,,,মারিয়াকে দেখলেও আমার বিরক্ত লাগতো।। মমের কাছে আমার এই বিষয়টা খুব খারাপ লাগতো।।””

“”একদিন শুনতে পেলাম অর্ণবের একটা ছোট্ট বোন হয়েছে।।
অর্ণব সেদিন অনেক বেশি খুশি হয়েছিলো।। কারণ ছোট থেকেই তার ইচ্ছে ছিলো তার একটা বোন থাকবে।।
কিন্তু বিষয়টা আমার কাছে একটুও ভালো লাগেনি।।””

“”মমের জোরাজুরিতে যেদিন তাকে প্রথম দেখতে গিয়েছিলাম। তখন জানিনা আমার কি হয়ে গিয়েছিলো…।।
আমি এক ধ্যানে একটা ছোট পরির দিকে তাকিয়ে ছিলাম।। আর সেই পরিটা তার ডগর ডগর মায়ার সাগর চোখ মেলে আমার দিকে ড্যাবড্যাব করে তাকিয়ে মুচকি হাসছিলো।। ছোট ছোট হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে সে খেলা করছিলো।।””

“”বিশ্বাস কর অধরা,,,,আমি সেদিন জীবনে প্রথম কোন বাচ্চার মায়ায় পরে গিয়েছিলাম।।
আর তখন থেকেই আমার প্রতিটি মুহূর্ত তাকে ঘিরেই কাটতে থাকলো।। বাচ্চাটাও ধীরে ধীরে বড় হতে থাকলো।। সবাই তাকে খুব ভালোবাসে,,,,সবার জান সে।।
তারপর হঠাত করেই এক ঝড় এসে সবকিছু এলোমেলো করে দিলো।। কিন্তু এতে তার প্রতি কারো ভালোবাসা কমে গেলো না উল্টো আরো বেড়ে গেলো।।””

“”সে এক মায়ের পরিবর্তে আরও দুজন মা পেলো ছোট মা আর মামুনি রুপে।। ছোট আব্বু আর বাবাই পেলো আর শ্রাবণের মতো একজন ভাই পেলো।। তবে সবচেয়ে বড় যেটা পেয়েছে সে হলো অর্ণবকে।। অর্ণবের মতো একজন ভাই পাওয়া সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।।
নিজে একটা বাচ্চা হয়েও সে তাকে নিজের বাচ্চার মতো করে বড় করেছে।। তার মতে বড় মা তার বোনকে তার কাছে আমানত হিসেবে রেখে গিয়েছে।।।
কিন্তু আপসোস দিন শেষ সেই পিচ্চি বাহিরের মানুষের কথাবার্তা শুনে মনে করে সে সত্যিই তার পরিবারের কাছে বোঝা হয়ে আছে।।””

একদমে কথাগুলো বলে একটু থামলো আশ্বিন।। অধরা এতক্ষণ আশ্বিনের দিকে তাকিয়ে চুপচাপ কথাগুলো শুনছিলো।। সত্যিই তো!! অন্য একজনের কথার ভিত্তিতে সে তো তার পরিবারের মানুষকেই ভুল বুঝে আছে।। অথচ এতোগুলো বছর ধরে এই পরিবারই তাকে বুকে আগলে রেখেছে।।

— আশ্বিন অধরার কোলের বিড়ালটার মাথায় হাত বুলিয়ে দিয়ে,,,,””অধরা,,,তুই না একদম এই বিড়াল ছানার মতো,,,অবুঝ।।””

“”যাকে একবার ভালোবাসলে আরো ভালোবাসতে ইচ্ছা করে।।
দিনশেষে যাকে দেখলে মনে ভালো লাগা কাজ করে।।
যার ছোট খাটো অভিমান গুলো আমার মন ছুঁয়ে যায়।।
যার মুখের পানে চেয়ে রাত দিন পার হয়ে যায়।।
হাজারো মেয়ের ভিড়ে আমি শুধু তোকেই খুঁজে বেড়াই,,,,,

কারন,,,ভালোবাসি_তাই❤ আমার শুধু তোকেই চাই।””

—চলবে❤

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here