ভালোবাসি_তাই❤,পর্ব:২৯ শেষ

ভালোবাসি_তাই❤,পর্ব:২৯ শেষ
মাহিয়া_তাহসীন_মেরিন

দূর থেকে মারিয়া অধরার দিকে বড় গাড়ি এগিয়ে আসতে দেখেই চোখ বন্ধ করে ফেলে। আর ঠিক তখনই…।

কেউ একজন হুট করে এসে অধরার হাত ধরে টান দিয়ে তাকে সরিয়ে এনে বুকের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে।
এদিকে মারিয়া সাহিল আর শাহিন চোখ বড় করে তাকিয়ে বলে উঠে..

— ” আশ্বিন..! ”

— মারিয়া স্তব্ধ হয়ে,, ” আশ্বিন কিভাবে জানলো আমরা এখানে? ”

— সাহিল জলদি গাড়ি স্টার্ট দিয়ে,, ” এসব কথা পরে হবে। আগে চলো এখান থেকে। ”

সাহিল দ্রুত গতিতে সেখান থেকে গাড়ি ঘুরিয়ে ফেলে।

🍁এদিকে…

আশ্বিন অধরাকে কোলে তুলে রাস্তার সাইডে নিয়ে আসে। এতক্ষণে যেন তার কলিজায় পানি এসেছে। মহিব দৌড়ে আশ্বিনের কাছে এসে..

— ” স্যার। আল্লাহর রহমতে ছোট মণিকে অবশেষে খুঁজে পেয়েছেন। ”

— ” মহিব আশেপাশে ভালো করে খোঁজো। তারা হয়তো এখানেই আছে। জলদি যাও।
আর অর্ণবকে ফোন করে দ্রুত হাসপাতালে আসতে বলো। কুইক। ”

— ” জি স্যার। ”

আশ্বিন আর কথা না বাড়িয়ে দ্রুত অধরাকে কোলে করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

— অধরা আবছা আবছা চোখে আশ্বিনের দিকে একবার তাকিয়ে,, ” আ..আশ্বিন ভ..ভাইয়া! ”

— আশ্বিন অধরার কপালে একটা চুমু খেয়ে,, ” অধরা ভয় নেই। আমি আছি তোর সাথে। সব ঠিক হয়ে যাবে। ”

আশ্বিন ডাক্তারের কেবিনে প্রবেশ করে অস্থির হয়ে..

— ” ডাক্তার আঙ্কেল,, আমার অধরা..। ”

— ডাক্তার চেয়ার থেকে উঠে এসে,, ” কি হয়েছে অধরার? জলদি এখানে নিয়ে এসো। ”

আশ্বিন অধরাকে বেডে শুইয়ে দিয়ে অধরার হাত শক্ত করে চেপে ধরে রাখে। ডাক্তার সাহেব অধরাকে ভালোভাবে চেকআপ করে..

— ” আমার মনে হয় অধরাকে একটা হাই ডোজের মেডিসিন দেওয়া হয়েছে। মেডিসিনের প্রভাবেই এমন হচ্ছে।
তবে ভয় নেই,, আমি একটা ইনজেকশন দিয়ে দিচ্ছি একটু পরেই স্বাভাবিক হয়ে যাবে। ”

ডাক্তার কথাটা বলেই অধরাকে একটা ইনজেকশন দিয়ে দেয়। ততক্ষণে অর্ণবও চলে এসেছে।

— ” অধরা,, আশ্বিন কি হয়েছে আমার বোনের? ”

— ” শান্ত হও অর্ণব। অধরা ঠিক আছে। ভাগ্য ভালো সময় মতো পৌছাতে পেরেছি। নয়তো আজ…। ”

— অর্ণব আশ্বিনের দিকে তাকিয়ে,, ” শাহিনকে তো আজ আমি মেরেই ফেলবো। সাহস কিভাবে হয় আমার বোনের ক্ষতি করতে চাওয়ার।
কোথায় তারা? ”

— আশ্বিন শান্ত কণ্ঠে,, ” পেয়ে যাবো। ধৈর্য ধরে বসে থাক।
এই মুহূর্তে অধরার পাশে থাক তুই। বাকিটা আমি সামলে নিবো। ”

অর্ণব অধরার দিকে একবার তাকিয়ে মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়।

🍁🍁

শাহিন সাহিল আর মারিয়া মিলে একটা পুরনো বাড়িতে বসে আছে। তারা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছে আশ্বিনের লোক তাদের সব জায়গাতেই খুঁজে বেড়াচ্ছে।

— শাহিন রেগে গিয়ে,, ” প্রোজেক্ট তো হাত করতে পারলাম না আবার অধরাকেও তারা পেয়ে গেলো। ধুরর। ”

— সাহিল এক কোণে দাঁড়িয়ে,, ” ড্যাড। আশ্বিন কিন্তু সহজে আমাদের ছাড়বে না। এর আগে আশ্বিন আমাদের খুঁজে বের করুক,, আমাদেরই কিছু একটা করতে হবে। ”

— মারিয়া উঠে দাঁড়িয়ে,, ” আপনারা যা খুশি করেন। আমি আর আপনাদের সাথে নেই। একটু পর আমার ফ্লাইট। সো এখন লুকিয়ে হলেও আমাকে যেতে হবে। ”

— শাহিন একটা ধমক দিয়ে,, ” কোথাও যাবে না তুমি। জানি এই সবকিছু তুমি করেছো। নয়তো আশ্বিন কিভাবে জানতে পারলো আমরা কোথায় আছি? ”

— ” এক্সিউজ মি,, আমি করেছি মানে? আপনার কি মনে হয় আমি আশ্বিনকে এই খবর দিয়েছি? আর ইউ মেড? ”

— ” শাট আপ। ড্যাড আর মারিয়া তোমরা দুজনেই চুপ থাকো।
এখন ঝগড়া না করে কি করবো এটা ভেবে দেখো। ”

সাহিলের কথাটা বলতেই কেউ একজন অন্ধকারে ছায়ার মতো দেখতে ধীরে ধীরে শিস বাজিয়ে তাদের রুমের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে।

হঠাত শব্দ শুনে সবাই চমকে উঠে পিছনে ফিরে অবাক হয়ে যায়।
আশ্বিন তাদের দিকে মুচকি হেসে তাকিয়ে আছে।

— ” সাহিল,, এখন আর সবাই মিলে ভেবেও কোন লাভ নেই।
কারণ এখন আমার হাত থেকে তোমাদের কেউ বাঁচাতে পারবে না। ”

কথাটা শুনেই শাহিন সাহিল দাঁড়িয়ে পরে। শাহিন একটা ভাব নিয়ে..

— ” কি করবে তুমি? আমাদের মেরে ফেলবে? হুহহ,, বলো কি করবে? ”

— আশ্বিন একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে,, ” আমার হাতে সেই ক্ষমতা থাকলে তো এতক্ষণে আপনারা কথা বলার জন্যও সুযোগ পেতেন না।
কিন্তু না,, আমি আইনকে নিজের হাতে তুলে নিবো না। ”

— শাহিন একটা বিকট হাসি দিয়ে,, ” তো কি করবে? জেলে বন্দি করবে আমাকে? কোন অপরাধে? কোন প্রমাণ আছে কি তোমার?? ”

— আশ্বিন মুচকি হেসে,, ” আশ্বিন প্রমাণ ছাড়া কোন কাজ করে না। আপনার কি ধারণা,, আপনি আমার বোনকে আমার বিপক্ষে ব্যাবহার করবেন আর এতো সহজে জিতে জাবেন? আপনার ধারণা ভুল। প্রমাণ সহই আমি আপনাকে আইনের হাতে তুলে দিবো। ”

— সাহিল এগিয়ে এসে,, ” কি এমন প্রমাণ আছে তোমার কাছে আশ্বিন? আমাদেরকেও বলো শুনি। ”

— আশ্বিন একটা ফাইল দেখিয়ে,, ” এখানে আপনাদের সকল অপকর্মের প্রমাণ আছে। অমিত রহমানের এক্সিডেন্টে যে আপনার হাত ছিল তারও প্রমাণ এখানে আছে।

আর সব থেকে বড় প্রমাণ হলো,, আপনার নিজের জবানবন্দি। যেটা মারিয়া রেকর্ড করেছে,, যেখানে আপনি নিজে স্বীকার করেছেন কিভাবে আপনি টপ বিজনেসম্যান অমিত রহমানকে হত্যা করে তার প্রোজেক্ট ছিনিয়ে নিয়েছেন।
আরও কোন প্রমাণ চাই আপনার? ”

— শাহিন স্তব্ধ হয়ে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রেগে মারিয়ার দিকে ফিরে,, ” তুমি আমাদের সাথে বেইমানি করেছো। আমি আগেই বুঝতে পেরেছি আশ্বিন কিভাবে আমাদের তথ্য সব জেনে যাচ্ছে। তোমাকে আমি ছাড়বো না। ”

কথাটা বলেই শাহিন মারিয়ার দিকে তেড়ে আসতেই মারিয়া দৌড়ে আশ্বিনের পিছনে লুকিয়ে,,

— ” আমি বেইমানি করিনি। শুধু আমার ফ্যামিলি সাপোর্টে কাজ করেছি। অধরার সাথে আমার হাজার শত্রুতা থাক,,, দিন শেষে সে আমার বোনের মতোই।

মানছি আমি একবার অধরার ক্ষতি করতে চেয়েছিলাম,, কিন্তু সেটা রাগের মাথায়।
আর সাহিল আমাকে অধরার রিপোর্ট দিতে বাধ্য করেছে,,, পুরো কলেজে অধরার রিপোর্ট সাহিল নিজে ছড়িয়ে দিয়ে আমার নাম দিয়েছে। আমি সব মেনে নিয়েছি,, কিন্তু আর না। তাই শেষে আশ্বিনের কথায় আমি এই নাটক করি। ”

শাহিন আর সাহিল মিলে মারিয়ার উপর রেগে তেড়ে আসেতে নিতেই রুমে পুলিশ প্রবেশ করে তাদের চারপাশে ঘিরে ধরে। সকল প্রমাণ হাতে পাওয়ার পর পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে যায়।

— শাহিন আশ্বিনের সামনে এসে,, ” আমি শীঘ্রই ফিরে আসবো। আর এর প্রতিশোধ নিবো। ”

— আশ্বিন বাঁকা হেসে,, ” নো চান্স।
আই উইল মেক শিওর,, আপনারা যেনো কোনভাবেই মুক্তি পেতে না পারেন। শাস্তি তো পেতেই হবে। ”

কথাটা বলতেই শাহিন আর সাহিলকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।

🍁🍁

অধরা জ্ঞান ফিরতেই নিজেকে হাসপাতালের বেডে আবিষ্কার করে। তার পাশেই তার হাত ধরে অর্ণব বসে আছে। আশ্বিন একটু দূরে দাঁড়িয়ে আছে।

— অধরা কোনভাবে উঠে বসে,, ” ভাইয়া ওই শাহিন,, বাবা মাকে…। ”

— ” আমি জানি বোন। ভয় নেই,, পুলিশ তাদের ধরে নিয়ে গিয়েছে। এদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে। ”

অধরা এতক্ষণে খেয়াল করে একটু দূরে মারিয়া দাঁড়িয়ে আছে। অধরাকে দেখে ধীর পায়ে তার সামনে এসে চেয়ারে বসে..

— ” আমি জানি অধরা,, তুমি হয়তো আমার উপর রেগে আছো। কিন্তু আমি নিরুপায় ছিলাম। আমি সব সময়ই তোমাকে হিংসা করতাম,, তাই সেদিন রাগের বশে তোমাকে লেকে ফেলে দিয়েছিলাম। এটাই আমার কাল হয়ে দাঁড়ায়।

সাহিল আমাকে এসব করতে বাধ্য করেছিলো। তারপর আশ্বিনের কথায় তোমার সাথে নাটক করি। কিন্তু বিশ্বাস করো,, তুমি যখন বলেছিলে,,
আমি তোমাকে ছোট থেকেই বোন ভেবে এসেছি। তুমি বলেছো দেখে সবার থেকে লুকিয়ে তোমাকে দেখতে এসেছি।

কথাগুলো শোনার পর আমার মনেও দাগ কাটে। আমি সত্যিই ইগো দেখিয়ে তোমার সাথে অনেক বাজে ব্যবহার করেছি অধরা। ক্ষমা চাওয়ার মুখ আমার নেই,,, তবুও পারলে মাফ করে দিও।
আমি চলে যাচ্ছি,, হয়তো আর দেখা হবে না। তবে আমি চাই,, তুমি সবসময় ভালো থাকো। ”

কথাগুলো বলে মারিয়া কিছুক্ষণ চুপ করে বসে। অধরা এতক্ষণ মাথা নিচু করে মারিয়ার কথাগুলো শুনছিলো। মারিয়া এক নজর অধরার দিকে তাকিয়ে তারপর উঠে দাঁড়িয়ে চলে আসতে নিতেই অধরা তার হাত ধরে ফেলে। মারিয়া পিছনে ঘুরতেই..

— ” মারিয়া আপু,, প্লিজ যেও না।
তুমি চলে গেলে আমি কাকে আপু ডাকবো? ”

অধরার কথাটা শুনেই মারিয়া খুশি হয়ে এসে অধরাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে।
আশ্বিন মুচকি হেসে অর্ণবের দিকে তাকিয়ে তার কাধে হাত রাখে। অর্ণবও অধরার আচরণে অনেক খুশি হয়।

🍁পরদিন…

প্রতিটি টিভি চ্যানেলে শাহিন হাসাদের সকল অন্যায় দেখানো হচ্ছে। এতো বড় বিজনেসের পিছলে মুখোশ উন্মোচন করা হয়েছে তার। মুহূর্তেই এতদিনের নাম ডাক সুনাম মাটিতে মিশে গিয়েছে তাদের।
সকলের একটাই দাবি এর বিচার হোক।

এদিকে…

অধরা আর আশ্বিন এসেছে অমিত আর দিয়ার কবর জিয়ারত করতে।

অধরা বাবা মায়ের কবরের সামনে বসে তার মনের কথাগুলো একে একে বলছে আর চোখ মুছে যাচ্ছে। আশ্বিন দূর থেকে দাঁড়িয়ে অধরাকে দেখছে। আজ তার ইচ্ছে নেই অধরাকে থামানোর।

আশ্বিন তাদের দিকে তাকিয়ে মনে মনে..

— ” বড় আব্বু,,
আমি জানি,, অধরা অন্যদের থেকে একটু আলাদা। হয়তো মানসিক ভাবে সে কখনো সম্পূর্ণ স্বাভাবিক হতে পারবে না। তবুও আমার তাকেই চাই।
আমি আজ থেকে তোমাদের মেয়ের দায়িত্ব নিচ্ছি। তোমরা আমার উপর বিশ্বাস রাখতে পারো,, আমি সবসময় তোমাদের মেয়েকে আগলে রাখবো। তার হাত কখনোই ছেড়ে যাবো না। তার বিপদ আপদে আমি পাশে থাকবো।
তোমরা শুধু আমাদের জন্য দোয়া করো। ”

কথাগুলো বলতেই দেখে অধরা তার দিকেই এগিয়ে আসছে। অধরা আসতেই আশ্বিন তাকে নিয়ে বাহিরে আসে।

অধরা হাসি খুশি মনে একে একে গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ করছে আর আশ্বিন দূরে দাড়িয়ে মুচকি হেসে তার দিকে তাকিয়ে আছে। মনে মনে..

— ” অধরা…
তোকে ভালোবাসি,,
তোর ছবি দেখে আমি কল্পনাতে ভাসি।
তোর হাসির শব্দে মনে প্রশান্তি কাজ করে,,
তোর মায়াবী মুখে যেনো স্নিগ্ধতা কাজ করে।

অধরা…

ভয় নেই,, আমি আছি তোর সাথে।
তোর অপূর্ণতায় পূর্ণ হবো আমি।
তোর মন খারাপে ভালো লাগা হবো আমি।
তোর বিপদে ঢাল হবো আমি।
তোর জীবনে সুখের ওহী নিয়ে আসবো আমি।

কারণ,, হাজারো নারীর ভিড়ে মন তোকেই খুঁজে পেয়েছে।
সকল বিপদ উপেক্ষা করে মন তোকেই ভালোবেসেছে।
তাই তোকে নিয়েই আমি বাকি পথ চলতে চাই,, তোর হাত ধরেই আমি সামনে এগিয়ে যেতে চাই।
জানি তুই থাকবি পাশে,,, আমায়ও পাবি তোর পাশে..
সব সময়। ”

আশ্বিন কথাগুলো বলেই দেখে অধরা তার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিচ্ছে। আশ্বিনও মুচকি হেসে অধরার হাতের পিঠে একটা চুমু খেয়ে একসাথে হাটতে শুরু করে।

🍁চার বছর পর…

তিশা আর নিধি মিলে অধরাকে নিজ হাতে সাজিয়ে দিচ্ছে। আজকে বাসায় গিজগিজ মেহমান। বংশের একমাত্র মেয়ের বিয়ে বলে কথা।

— তিশা অধরাকে সাজিয়ে দিয়ে,, ” আরে আমার নন্দিনীকে তো খুব সুন্দর লাগছে। দেখতে হবে না আমার বরের ছোট বোন। ”

— নিধি তিশাকে আলতো করে ধাক্কা দিয়ে,, ” তোর আর অর্ণব ভাইয়ার বিয়েতেও অধরাকে খুব সুন্দর লাগছিলো। আর আজ তো কথাই নেই। হিহি। ”

— ” আচ্ছা চল চল। নিচে যাওয়ার সময় হয়েছে। ”

আশ্বিন অর্ণব আর শ্রাবণকে নিয়ে স্টেজে বসে আছে। বর সাজে আশ্বিনকে দেখলে যে কেউ ক্রাশ খাবে।

ঠিক তখনই তিশা নিধি মারিয়া মিলে অধরার মাথার উপর একটা লাল ওড়না ধরে তাকে স্টেজের দিকে নিয়ে আসছে। অধরাকে দেখে আশ্বিন হা করে তাকিয়ে আছে।

অধরা সেদিকে তাকিয়ে লজ্জা মিশ্রিত একটা হাসি দিয়ে নিচের দিকে চোখ নামিয়ে ফেলে। চারদিকে গান বাজছে…

🎶 ধুলিভিত আমি..
তোমার মুখে হাসি।
আমার গাওয়া গানে..
তোমাকে ভালোবাসি।
আসো আবারও কাছে..
হাতটা ধরে পাশে।
আমায় নিয়ে চলো..
তোমার পৃথিবীতে। 🎶

আশ্বিন অধরার দিকে হাত বাড়িয়ে দিতেই অধরা তার হাত ধরে স্টেজে উঠে। সবাই তা দেখে খুশিতে হাত তালি দিতে থাকে। অধরা লজ্জা পেয়ে আশ্বিনের বুকে মাথা রাখে। আশ্বিনও মুচকি হেসে তাকে বাহু জোরে আবদ্ধ করে নেয়।। আর কানের কাছে মুখ নিয়ে বলে..
ভালোবাসি_তাই❤
আমার শুধু তোকেই চাই।

সমাপ্ত

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here