My_Mafia_Husband❤,পর্ব:৪
লেখিকা: মিহু
নীল: 😁😁😁চল
।
“তারপর নীল আর মিহু বেরিয়ে গেল”
।
নীল: প্রথমে কোথায় যাবি?
।
মিহু: রেষ্টুরেন্টে😁
।
নীল: ওকে
।
“মিহু আর নীল রেষ্টুরেন্টে এসে বসলো। মিহু ওর পছন্দের কতগুলো আইটেম অর্ডার করলো। মিহুদের ঠিক সামনের টেবিলেই বসে ছিল মেঘ। মেঘ ড্যানির সাথে কথা বলছিলো,,,,তখনি ওর চোখ গেল সামনের টেবিলে বসে থাকা মিহুর দিকে। মিহু হাসছে আর খাবার খাচ্ছে। মেঘ ভাবছে ছেলেটাকি মিহুর বিএফ কি না”
।
।
নীল: ওই আমাকে নুডুলস্ দে
।
মিহু: না সর
।
নীল: তুই সবকিছু এক প্লেট করে অর্ডার করেছিস,,,,এত খাবার তো তুই একা খেতে পারবি না। তাই শেয়ার কর,,,,নুডুলস্ দে আমাকে
।
মিহু: নুডুলসটা আমি একাই খাব নজর দিবি না
।
নীল: একটু দে
।
মিহু: আচ্ছা আমি খাইয়ে দিব কজ প্লেটটা একবার তোর হাতে দিলে তুই আর আমাকে দিবি না আমি জানি
।
নীল: আচ্ছা আমার মা তুই ই খাইয়ে দে
।
“মিহু নীলকে নুডুলস্ খাইয়ে দিল। এদিকে মেঘ এটা দেখে মেঘের চোখ থেকে তো মনে হচ্ছে আগুন বের হচ্ছে। মেঘ ভাবছে নীল আর মিহু গার্লফ্রেন্ড-বয়ফ্রেন্ড”
।
।
মিহু: ওই শয়তান তুই আবার আমার প্লেটে নজর কেন দিচ্ছিস? তোর সামনে না কতগুলো খাবারের প্লেট রাখা আছে ওগুলা খা😡
।
নীল: হিহিহিহি তোকে জ্বালাতে আমার খুব ভালো লাগে
।
মিহু: বজ্জাত পোলা
।
নীল: (আবারও মিহুর প্লেটে হামলা করলাম)
।
মিহু: নীঈঈঈঈঈল😡
।
নীল: (ও চেচামেচি করছিল দেখে ওর মুখে বার্গার ঢুকিয়ে দিলাম)
।
মিহু: 😡😠😡😠
।
“নীলা আর মিহু খাওয়া শেষ করে বিল পে করে রেষ্টুরেন্ট থেকে বেরিয়ে গেল। মেঘও ওদের পিছু নিল। মিহু বলেছে ও এখন উইশিং রিভার দেখতে যাবে,,,,তাই নীল মিহুকে নিয়ে ওখানে গেল। মিহু তো ওখানে যেয়েই এক লাফ দিল”
।
।
নীল: (যাক ওর মন থেকে সেদিনকার ঘটনাটা দূর করতে পারলাম,,,,তোকে তো এভাবেই সবসময় হ্যাপি দেখতে চাই আমি)
।
মিহু: (যেয়ে ভাইয়ার গলা জরিয়ে ঝুলতে ঝুলতে) এই নীল নামক অপদার্থটার কপালে যেন একটা পদার্থ বউ জুটে আমিন। নে দোয়া করে দিলাম খুব শিঘ্রই ঘর-সংসার করবি
।
নীল: তবে রে……(বলে ওকে কাতুকুতু দিতে লাগলাম)
।
মিহু: ভাইয়া ছাড়😂😂😂
।
“তখনি মেঘ আর আরও কিছু কালো পোশাক পড়া লোকজন এলো। মিহু মেঘকে দেখে ভয়ে চুপসে গেল আর নীলের পেছনে লুকিয়ে পড়লো”
।
।
নীল: আপনারা কারা,,,,আর এভাবে কেন রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে আছেন?
।
মিহু: ভাইয়া এটা সেই লোকটা যে ওই দিন শপিংমলে ২ জনকে খুন করেছিল (ভয় পেয়ে ফিসফিস করে নীলের কানে বললাম)
।
মেঘ: মেয়েটাকে ছেড়ে দিয়ে এখান থেকে চলে যাও
।
নীল: মানেহ্? আর ইউ ম্যাড? আমি ওকে ছেড়ে কোথাও যাচ্ছি না,,,,গেলে ওকে নিয়েই যাব
।
মিহু: আমার ভয় করছে [আস্তে করে]
।
“মেঘ ওর লোকেদের চোখ দিয়ে ইশারা করতেই ওরা যেয়ে নীলকে ধরে ফেললো। নীল ছুটার জন্য লাফালাফি করছে কিন্তু পারছে না। ৪ জনের সাথে ১ জন কি করেই বা পারবে। মিহু এদিক থেকে সমানে চিৎকার করছে”
।
।
মিহু: ওকে ছেড়ে দিন,,,,ওকে কেন ধরেছেন?
।
মেঘ: তুমি ওর সাথে ঘুরবে আর আমি সেটা দেখব তা তো হতে পারে না
।
মিহু: মানে
।
মেঘ: মানে সেদিন শপিংমলে তোমাকে দেখে আমার চোখ আটকে গিয়েছিল। সেদিনই তোমার ওই নেশা ধরানো চোখ দু’টোর প্রেমে পড়ে গিয়েছি আমি। এখন যে কোনো মূল্যে আমার তোমাকে চাই। তোমাকে ছাড়া যে আমার নেশা হবে না। তোমাকে দেখার পর থেকে আমি এখন পর্যন্ত একটা কাজও ভালোভাবে করতে পারি নি। সব কিছুর জন্য তুমি দায়ি,,,,তাই আমার ক্ষতি পূরন হিসেবে আমি তোমাকে চাই। তোমাকে সেই একবার দেখাতে ভালোবেসে ফেলেছি আমি
।
“মেঘ মিহুর সামনে যেয়ে দাড়িয়ে মিহুর গালে এক আঙ্গুল দিয়ে স্লাইড করে কথাগুলো বলল। মিহু কিছুক্ষণ অবাক চোখে তাকিয়ে থাকার পর হঠাৎ ওর হুস ফিরলে ও দেখলো মেঘ একদম ওর অনেক কাছে এসে দাড়িয়ে আছে। সাথে সাথেই মিহু এক ধাক্কা দিয়ে মেঘকে সরিয়ে দেয়। হঠাৎ এরকম পরিস্থিতির জন্য মেঘ মোটেও প্রস্তুত ছিল না তাই ব্যালেন্স সামলাতে না পেরে পরে যেতে লাগলো,,,,তখনি ড্যানি এসে মেঘকে ধরে ফেললো। মেঘ এই ধাক্কাটা খাওয়ায় খুব ইনসাল্ট ফিল করলো। নীলকে যারা ধরে রেখেছিল মেঘ তাদের চোখ দিয়ে ইশারা করলে তারা নীলকে দুহাটু গেড়ে বসিয়ে দিল আর নীলের মাথায় গান ধরলো”
।
।
মিহু: ভাইয়া!!!! [চেচিয়ে]
।
মেঘ: ভাইয়া???
।
মিহু: প্লিজ আমার ভাইকে ছেড়ে দিন
।
মেঘ: ও তোমার আপন ভাই?
।
মিহু: হ্যা আমরা টুইন
।
মেঘ: ওউউউ তাই বলো (সাথে সাথে নীলকে যারা ধরে রেখেছিল তাদের মধ্যে একজনে সুট করে দিলাম)
।
মিহু: (ভয়ে চোখ বন্ধ করে ফেললাম)
।
মেঘ: আসলে তোমার ব্যাপারে ওইদিন খোঁজ নিতে বলেছিলাম ওকে। ও আমাকে তোমার ব্যাপারে সব ডিটেইলস দিয়েছিল কিন্তু এটা বলে নি যে তোমার একটা ভাই আছে তাই ওকে সুট করে দিলাম
।
মিহু: প্লিজ ওকে ছেড়ে দিন,,,প্লিজ আমি আপনার কাছে হাত জোর করছি
।
মেঘ: ছাড়ব সুইটহার্ট তার আগে আমার পরিচয়টা জেনে নাও। আমি হলাম রয়েল গোল্ডেন মাফিয়া গ্যান্গের লিডার মেঘ চৌধুরী
।
মিহু: প্লিজ আমার ভাইকে ছেড়ে দিন
।
মেঘ: কিন্তু তার আগে যে একটা কাজ করতে হবে তোমাকে
।
মিহু: ব..বলুন কি ক..কাজ
।
মেঘ: বিয়ে,,,,বিয়ে করতে হবে আমায়
।
মিহু: ইম্পসিবল,,,,আপনার মত একটা নরপিশাচকে বিয়ে কখনো করব না আমি
।
মেঘ: তাহলে তো,,,,,(বলে চোখ দিয়ে ইশারা করলাম নীলকে মারতে)
।
“মেঘ চোখ দিয়ে ইশারা করার সাথে সাথেই ওর লোকেরা ইচ্ছে মত নীলকে মারতে লাগলো”
।
।
মিহু: প্লিজ লিভ হিম [কান্না করতে করতে]
।
মেঘ: আগে বলো বিয়ে করবে আমাকে আজ আর এখনি
।
মিহু: (ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি ভাইয়ার অবস্থা খুব খারাপ) হ..হ্যা আ..আমি রাজি
।
মেঘ: গুড ডিসিশন সুইটহার্ট
।
মিহু: প্লিজ এবার তো ওকে ছেড়ে দিন
।
মেঘ: ওকে নিয়ে তোরা হসপিটালে যা
।
ড্যানি: বাট স্যার,,,,বিয়েতে তো সাক্ষী লাগবে। আপনার পক্ষ থেকে দু’জন আর ম্যাম এর পক্ষ থেকে দু’জন
।
মেঘ: তাহলে ওকে নিয়ে চল বাড়িতে,,,,আর ডক্টরও বাড়িতেই ডাক
।
“মেঘ মিহুকে নিয়ে নিজের বাড়িতে আসলো। ড্যানি কল দিয়ে কাজীকে আসতে বললো। মিহু চুপচাপ নিঃশব্দে কান্না করছে আর একপাশে নীলকে নিয়ে বসে আছে আর নীলের মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। মেঘের লোকেরা নীলকে জানোয়ারের মত করে পিটিয়েছে। এত মেরেছে যে নীল এখন আর সেন্সে নেই”
।
।
মিহু: ড..ডক্টর কখ..কখন আসবে? [ভয়ে ভয়ে]
।
মেঘ: ড্যানি!
।
ড্যানি: স্যার ডক্টর ইজ অন দা ওয়ে
।
মেঘ: ওখেই
।
“কিছুক্ষণ পরেই ডক্টর আর কাজী একসাথে এসে পৌঁছালো। ডক্টর নীলকে দেখে ওকে কিছু মেডেসিন আর একটা ইনজেকশন দিয়ে গেল,,,,যাতে তাড়াতাড়ি নীলের জ্ঞান ফিরে আসে। তারপর ডক্টর চলে গেল। কিছুক্ষণ পর নীলের জ্ঞান ফিরে আসলো। নীল পাশে মিহুকে দেখতে পেয়েই ওকে জড়িয়ে ধরলো”
।
।
নীল: মিহু তুই ঠিক আছিস?
।
মিহু: ভ..ভাইয়া আমি ঠিক আছি
।
মেঘ: মিহু সাইন করো
।
নীল: কি এটা?
।
মেঘ: তোমার বোন আমাকে বিয়ে করছে,,,তাই এখানে ওর সাইন লাগবে আর তুমি ওর হয়ে সাক্ষী দিবে শালাবাবু
।
নীল: হুয়াট???ইম্পসিবল
।
মেঘ: মিহু তুমি কিন্তু এখন নিজের কথার খেলাপ করছো
।
মিহু: প্লিজ এই বিয়ে আমি করব না
।
মেঘ: চার্লস!!![রেগে]
।
“চার্লস যেয়ে নীলের মাথায় গান ধরলো”
।
।
মেঘ: সাইন করো নাহলে তোমার ভাইয়ের মাথায় এখনি একটা বুলেট ঢুকে যাবে
।
মিহু: ন..নাহ্ আমি সাইন করছি দিন
।
নীল: মিহু প্লিজ সাইন করবি না তুই
।
মিহু: আ’ম সরি ভাইয়া (বলে সাইন করে দিলাম)
।
মেঘ: নীল নাউ ইট’স ইওর টার্ন। সাক্ষী হিসেবে সাইন করো নাও
।
নীল: কখনো না
।
মেঘ: তোমার তো দেখছি নিজের প্রতি কোনো মায়া দয়াই নেই। আচ্ছা ঠিক আছে মানলাম তোমার নিজের প্রতি কোনো মায়া দয়া নেই। কিন্তু নিজের বোনের প্রতি তো মায়া দয়া আছে তাই না?
।
নীল: মানে?
।
মেঘ: (আমি মিহুর মাথায় গান ধরলাম) আশা করছি মানেটা নিশ্চই এখন আর তোমাকে বলে বোঝাতে হবে না
।
নীল: ছিঃ আপনি এতটা নিচ মানুষ? আপনার মত নিচ মানুষও এই দুনিয়াতে আছে? আপনি তো পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট
।
মেঘ: চুপচাপ সাইনটা করো নাহলে কিন্তু……..
।
নীল: না আমি সাইন করছি
।
“নীল সাইন করে দিল। মেঘ আর মিহুর বিয়েটা হয়ে গেল। মেঘের সাক্ষী হিসেবে সাইন করলো ড্যানি। নীলকে একটা রুমে থাকার ব্যাবস্থা করে দেওয়া হলো। মেঘ ড্যানিকে বলল মিহুকে নিয়ে ওর রুমে এগিয়ে দিয়ে আসতে। ড্যানি যেয়ে মিহুকে মেঘের রুমের সামনে পৌঁছে দিয়ে চলে গেল। মিহু রুমে যেয়ে দেখলো রুমটা বেশ বড়। রুমের সব কিছু অনেক সুন্দর করে গোছানো। রুমের সাথে একটা এটাচ করা ছোট মিনি ছাদের মত বেলকনি আছে। মিহু থাই গ্লাসটা সরিয়ে বেলকনিতে চলে গেল। বেলকনিতে একটা ছোট টেবিল আছে দু’টো চেয়ার আছে পাশে। বেলকনির আরেক সাইডে দোলনা রয়েছে। মিহু যেয়ে দোলনায় বসলো,,,আর ভাবতে লাগলো ওর লাইফে কি থেকে কি হয়ে গেল। এক নিমিষেই পুরো লাইফটা পাল্টে হেল হয়ে গেল। ভাবতেই ওর চোখ থেকে পানি পরতে লাগলো। ও চোখ বন্ধ করে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কাঁদতে লাগলো। এদিকে মেঘ রুমে এসে পুরো রুমে একবার চোখ বুলিয়ে মিহুকে না দেখতে পেয়ে ভ্রু কুঁচকে তাকালো। ওর চোখ গেল বেলকনির দিকে,,,দেখলো থাই গ্লাসটা খোলা। তাই ও বেলকনিতে চলে গেল,,,,যেয়ে দেখলো মিহু দোলনার উপরে পা উঠিয়ে,,,,দু’পায়ের উপর মুখ গুঁজে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কান্না করছে”
।
।
মেঘ: মেলোড্রামা যত্তসব [বিরবির করে] মিহু!
।
“মিহু মাথা উঠিয়ে মেঘের দিকে তাকালো। মেঘ যেয়ে মিহুর পাশে বসে,,,মিহুকে নিজের দিকে ঘুরিয়ে চোখের পানি মুছতে যাবে ওমনি মিহু মেঘের হাত ঝাড়া দিয়ে সরিয়ে দিয়ে উঠে দাড়ালো”
।
।
মিহু: প্রবলেম কি আপনার? একে তো জোর করে হুমকি বিয়ে করেছেন আর এখন স্বামীর অধিকার ফলাতে এসেছেন? দেখুন আমি আপনাকে আমার হাসবেন্ড হিসেবে মানি না। আর মনে হয় আপনি এইটা মাথায় রাখবেন গট ইট?
।
“মেঘ মিহুর কথাগুলো শুনে অনেক কষ্টে নিজের রাগ কনট্রোল করে ছিল। কিন্তু মিহু চুপ হওয়ার সাথে সাথেই ওকে টান দিয়ে ওর হাত বাকিয়ে পেছনে ধরলো। মেঘ চোখ লাল করে মিহুর দিকে তাকিয়ে আছে,,,মিহুও চোখে রাগ নিয়ে মেঘের দিকে তাকিয়ে আছে আর হাত ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছে”
।
।
মেঘ: হাউ ডের ইউ টক্ টু মি লাইক দিস্?
।
মিহু: আপনার সাথে এর থেকে ভালোমতো আমি কথা বলতে পারব না
।
মেঘ: তোমার মনে হচ্ছে আমি তোমার কাছে স্বামীর অধিকার ফলাতে এসেছি?
।
মিহু: তা নয় তো কেন এসেছেন আমার কাছে? আমার লাইফটা তো হেল করে দিলেন। তাও কি আপনার শান্তি হচ্ছে না? সত্যি কথা বলতে কি আপনাকে আমার মেনে নিতে একটুও সমস্যা হত না। কিন্তু আপনি মানুষ খুন করেন তাই আমি আপনাকে মেনে নিতে পারব না
।
মেঘ: মিহু তুমি আমাকে ভুল ভাবছো। হ্যা এটা ঠিক যে আমি একজন মাফিয়া, আমি মানুষকে মারি। বাট আমি মাফিয়া হলেও কখনো অকারনে কাউকে খুন করি নি
।
মিহু: আমি আপনার কাছ থেকে কোনো এক্সপ্লেইনেশন চাই নি। প্লিজ দূরত্ব বজায় রেখে কথা বলুন,,,,আর আমার হাত ছাড়ুন আমার লাগছে
।
মেঘ: চুপ তোর সাথে এতক্ষণ অনেক ভালোভাবে কথা বলেছি কিন্তু এখন আর না। তুই ভালো কথা শোনার মানুষই না। তুই এখন আমার বউ আমার যা ইচ্ছে আমি তাই ই করব আর তাতে তুইও কিছু বলতে পারবি না বুঝলি
।
মিহু: কি করবেন আপনি আমার সাথে? মেরে ফেলবেন তাই তো? তো৷ প্লিজ মেরে ফেলুন আমাকে
।
মেঘ: তোকে মারার জন্য আমি বিয়ে করি নি
।
মিহু: তাহলে কেন করেছেন?
।
“মেঘ মিহুর ঠোঁট পরম আবেশে নিজের ঠোঁটের মধ্যে নিয়ে নিল। মিহু কিছু করতেও পারছে না কারন ওর হাত দু’টো মেঘ এক হাত দিয়ে শক্ত করে ধরে রেখেছে। মিহুর চোখ দিয়ে শুধু নোনা জলগুলো গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে। মেঘ আরেক হাত দিয়ে মিহুর কোমড় ধরে আরও নিজের কাছে টেনে নিল”
।
।
বিকালে__________
.
“মিহু একা একা বেলকনিতে চুপচাপ বসে আছে। এমন সময় নীল আস্তে আস্তে লুকিয়ে এসে মিহুর কাঁধে হাত রাখলো। মিহু চমকে উঠে পেছনে তাকিয়ে দেখে নীল। লাফ দিয়ে নীলকে জরিয়ে ধরলো মিহু”
।
।
মিহু: ভাইয়া তুই ঠিক আছিস?
।
নীল: হ্যা আমি ঠিক আছি,,,তুই ঠিক আছিস তো?
।
মিহু: হুম [আস্তে করে]
।
নীল: কি হয়েছে মিহু? ওই লোকটাকে তোর সাথে কোনো বাজে বিহেভ করেছে?
।
মিহু: (ভাইয়াকে এসব কিছুই জানতে দেওয়া যাবে না) না ভাইয়া। কিন্তু তুই এখানে আসলি কিভাবে? বাহিরে গার্ডস্ আছে
।
নীল: সে অনেক কাহিনি করে এসেছি। সেসব কথা বাদ দে। এখন এখান থেকে পালানো যায় কিভাবে সেটা ভাবতে হবে
।
মিহু: ভাইয়া মম-ড্যাড এগুলো জানতে পারলে কি হবে,,,,ভাবতে পারছিস?
।
নীল: মম-ড্যাডকে এসব কিছু জানানোর কোনো প্রয়োজন নেই
।
মিহু: কিন্তু…..
।
নীল: কোনো কিন্তু না,,,,যা বলছি তাই ই করবি
।
“নীল যেয়ে বেলকনির আশেপাশে দেখছে পালানোর কোনো পথ আছে কি না। মিহু হঠাৎ খেয়াল করলো মেইন গেট দিয়ে মেঘের গাড়ি ঢুকছে। মিহু তাড়াতাড়ি নীলকে নিয়ে রুমের ভেতরে এলো”
।
।
মিহু: ভাইয়া তুই তোর রুমে যা। মেঘ চলে এসেছে,,,,ও এসে তোকে দেখলে অনেক বড় কোনো প্রবলেম করতে পারে
।
নীল: কিন্তু মিহু…
।
মিহু: প্লিজ যা ভাইয়া (বলতে না বলতে দেখি কে যেন গেট খুলছে। আমি তাড়াতাড়ি ভাইয়াকে বেলকনিতে লুকিয়ে পড়তে বললাম। ভাইয়া বেলকনিতে চলে গেল। আর আমি স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করছি। তখনি মেঘ রুমে ঢুকলো। মেঘ রুমে ঢুকে আমার দিকে ভ্রু কুঁচকে তাকালো। তারপর পুরো রুমে একবার চোখ বুলিয়ে নিল)
।
মেঘ: কে এসেছিল রুমে? [রাগী কন্ঠে]
।
মিহু: ক..কোথায় ক..কে..কেউ না তো
।
মেঘ: কি হলো তুমি এই এসির মধ্যেও ঘামছো কেন?
।
মিহু: এ..এমনি
।
মেঘ: কিছু লুকোচ্ছো?
।
মিহু: ন..না তো
।
মেঘ: নীল কোথায়?
।
মিহু: (সাথে সাথে চোখ বড় বড় করে ওনার দিকে তাকালাম) ম..মানে?
।
মেঘ: নীল কোথায়? [ঠান্ডা মাথায়]
।
মিহু: আ..আমি জ..জানি না
।
মেঘ: [দাঁতে দাঁত চেপে] বলো (ধমক দিয়ে)
।
মিহু: বললাম তো জানি না (জোরে চেচিয়ে)
।
“মেঘ বেলকনিতে চলে গেল। মিহু ভয়ে চুপসে গিয়েছে। মেঘ বেলকনিতে যেয়ে দেখলো_______
।
চলবে,,,,,,,,,,