My_Mafia_Husband❤,পর্ব:২

My_Mafia_Husband❤,পর্ব:২
লেখিকা: মিহু

কমিশনার: ন..না স্যার [ভয়ে ভয়ে]

স্যার: নেক্সট টাইম আমাকে কোয়েশ্চেন করার আগে ১০ বার ভাববেন নয়তো আপনার জন্য ভালো হবে না,,,,আন্ডারস্ট্যান্ড?😡 [একটু জোরে চেচিয়ে]

কমিশনার: জ..জ্বি স্যার😰

“রয়েল গোল্ডেন মাফিয়া গ্যান্গের লিডার চলে গেলেন”


“এদিকে মিহুর তো ভয়ে অবস্থা খারাপ,,,ও এখনো শকড্ হয়ে আছে”


মিহু: (আমি কখনো ভাবতেও পারি নি যে ওই লোকটাকে আমার আবার দেখতে হবে। যার কাছ থেকে ২ বছর আগে জাপান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছিলাম,,,,সেই লোকটাও বাংলাদেশে এসেছে। এখন কি করব আমি? না আমি ওই লোকটা ওই মাফিয়াটার সাথে কখনো ফেরত যাব না,,,,কখনো না)

নীল: (আমি মিহুর রুমে ঢুকে দেখি,,,মিহু বেডের এক কোনায় গুটিশুটি মেরে বসে কি যেন ভাবছে। আমি জানি মিহু তুই কি ভাবছিস,,,,আমি ওর কাছে যেয়ে ওর কাঁধে হাত রাখলাম) মিহু!

মিহু: ভাইয়া আমি ওই লোকটার সাথে যাব না,,,ওই লোকটা আমাকে দেখে ফেলেছে,,,,যে কোনো সময় ওই মাফিয়া আমাকে নিতে আসবে ভাইয়া,,,আমি যাব না। ২ বছর আগে যার কাছ থেকে এত কষ্টে পালিয়ে এসেছিলাম,,,,আবার তার কাছে আমি যেতে পারব না,,,,ওই জায়গাটা একটা নরক। আর ওই মাফিয়া একটা নরপিশাচ,,,,নরপিশাচ নাহলে এভাবে কোনো মানুষকে এত সহজে খুন করতে পারত না

নীল: তুই টেনশন করিস না,,,কেউ তোকে এখান থেকে নিয়ে যাবে না। তুই এখানেই থাকবি

মিহু: কিন্তু ও যে আমাকে দেখে ফেলেছে

নীল: কিছু হবে না,,,আমি দেখছি

“নীল চলে গেল,,,মিহু ঠিক আগের মতই আবার গুটিশুটি মেরে বসে পড়লো”


মিহু: (কেন সেই রয়েল গোল্ডেন মাফিয়া গ্যান্গের লিডার মেঘ চৌধুরী আবার আমার লাইফে আসলো?)

এদিকে____________
.
“মেঘ নিজের রুমে থাই গ্লাসে এক হাত রেখে আরেক হাতে ওয়াইনের গ্লাস নিয়ে দাড়িয়ে আছে,,,চোখ দু’টো লাল হয়ে আছে। আজকে সে ২ বছর পর মিহুকে দেখেছে,,,,যাকে সে ভালোবাসে তাকে দেখেছে। মিহু আগেও যেমন ওকে দেখলে ভয় পেত,,,,এখনো ভয় পায় সেটা আজকে ও মিহুর চোখ দেখে বুঝেছে। মেঘ ভাবছে কেন মিহু ওকে একটু বোঝার চেষ্টা করে না? কেন সবসময় পালিয়ে পালিয়ে বেরায় ওর কাছ থেকে? ও শুধু একজন মাফিয়া বলে কি ওর কোনো ফিলিংস নেই? ও কি কাউকে ভালোবাসতে পারে না? মেঘ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে এসব ভাবছিলো,,,তখনি মেঘের ছোট বোন মেঘের রুমে নক করলো”


মেঘ: ভেতরে আয় বোন

বোন: ভাইয়া আজকে তুই ছিলি ওই মাফিয়াটা তাই না,,,যাকে মিহু দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছে?

মেঘ: হুম

বোন: কিন্তু ভাইয়া তুই কেন ওকে বলছিস না যে তুই কোনো খারাপ লোক নয়,,,তুই সবার কাছে মাফিয়া হলেও তুই একজন ভালো মানুষ

মেঘ: ও তো আর আমার কোনো কথা বিশ্বাস করে না রে

বোন: এখন কি করবি?

মেঘ: ওকে নিয়ে আসব

বোন: কিন্তু ও কি আসবে?

মেঘ: ও বাধ্য আমার সাথে আসতে

বোন: ও আজকে প্রচন্ড ভয় পেয়ে গিয়েছে

মেঘ: আমি জানি ও বরাবরই ভিতু [মুচকি হেসে]

বোন: হুমমম ওতটাও ভিতু না তুই যতটা ভাবিস,,,আমি ওকে দেখছি তো গত ৪ টা মাস ধরে,,,,তাই আমি জানি

মেঘ: তোর সাথে ওর অনেক মিল আছে তাই না?

বোন: হুম অনেক

মেঘ: আমি যে কি করলে ও আমার ভালোবাসা বুঝবে তা আল্লাহ্ জানে

বোন: হুমমম,,,,চিন্তা করিস না একদিন না একদিন ঠিকই বুঝতে পারবে ও

মেঘ: তাই যেন হয়,,,,আমি আর ধৈর্য রাখতে পারছি না

বোন: কিন্তু ও যদি একবার জানতে পারে যে আমি তোর বোন তাহলে?

মেঘ: জানবে না কজ আমি জানতে দিব না

বোন: তাই যেন হয়,,,ওকে বাই,,,গুড নাইট

মেঘ: গুড নাইট

“তোমাকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমি নিয়ে আসব,,,আগামীকালই যাব তোমাকে আনতে মিহু। আর তুমিও আমার আসতে বাধ্য,,,তুমি না চাইলেও তোমাকে আমার সাথে আসতে হবে,,,মেঘ এসব ভেবে এক ঢোকে পুরোটুকু ওয়াইন খেয়ে নিল”


সকালে_______________
.
মম: মিহু খেয়ে নে মা তারপর কলেজেও তো যেতে হবে না কি?

মিহু: না

ড্যাড: কিন্তু এভাবে ঘরে কতক্ষনই বা থাকবি? আর না খেলে তো অসুস্থ হয়ে পড়বি মা

নীল: মম-ড্যাড তোমরা যাও আমি দেখছি

ড্যাড: দেখ ওকে বুঝাতে পারিস কি না

নীল: হুমম আমি দেখছি তোমরা যাও

“মম-ড্যাড চলে গেল,,,নীল যেয়ে মিহুর পাশে বসলো”


নীল: কলেজ যাবি না?

মিহু: (মাথা নাড়িয়ে না করলাম)

নীল: আচ্ছা খেয়ে নে আগে,,,আয় আমি খাইয়ে দিচ্ছি

মিহু: (আবার মাথা নাড়িয়ে না করলাম)

নীল: আমাকে ভালোবাসিস?

মিহু: কেন তুই জানিস না?

নীল: তাহলে খাচ্ছিস না কেন?

মিহু: ভালো লাগছে না

নীল: একটু খেয়ে নে,,,,অল্প একটু বেশি না

মিহু: আচ্ছা খাইয়ে দে

নীল: ওখেই,,,দ্যাটস লাইক এ গুড গার্ল

“নীল মিহুকে খাইয়ে দিয়ে,,,মিহুর সাথে গল্প করছিল,,,,তখনি নিচ থেকে অনেক কথার আওয়াজ আসছিলো,,,তাই নীল আর মিহু তাড়াতাড়ি নিচে নেমে গেল। মিহু তো নিচে নেমেই থ,,,কারন ওর সামনে মেঘ দাড়িয়ে,,,মিহু যেয়ে নীলের পেছনে লুকিয়ে পড়লো”


নীল: আপনি এখানে কেন?😡 [রেগে]

মেঘ: তোমার বোনকে নিতে আসলাম😊

নীল: ও আপনার সাথে কোথাও যাবে না😡

মেঘ: ও আমার সাথে যেতে বাধ্য সেটা ভুলে যেও না😏

নীল: না ও যাবে না,,,,দেখছেন তো ও আপনাকে সহ্য করতে পারে না

মিহু: ভাইয়া আমি যাব না [ভয় পেয়ে]

নীল: কমিশনার আংকেল আপনি কেন ওনাকে কিছু বলছেন না?

কমিশনার: সরি নীল আমি কিছু করতে পারব না

নীল: কিন্তু কেন?

মেঘ: কজ তোমার বোন এখনো আমার লিগাল ওয়াইফ

নীল: কিন্তু ও আপনাকে নিজের হাসবেন্ড হিসেবে মানে না

মেঘ: কমিশনার আমি আমার ওয়াইফের সাথে একটু একান্তে কথা বলতে চাই

কমিশনার: আপনার ওয়াইফ আপনি বলতেই পারেন

“মেঘ নীলের পেছনে যেয়ে মিহুর হাত ধরে উপরে নিয়ে যেতে চাইলে নীল মিহুর হাত ধরে ফেললো”


মিহু: ভাইয়া আমি যাব না

নীল: ও যাবে না

মেঘ: কমিশনার!!!

“কমিশনার কনস্টেবলদের বলল নীলকে ধরতে,,,ওরা নীলকে ধরতেই মেঘ মিহুকে টেনে উপরে নিয়ে এলো। মিহুর রুমে ঢুকে গেট লাগিয়ে ওকে দেওয়ালের সাথে লাগিয়ে ধরলো,,,মিহুর চোখ দিয়ে পানি পড়ছে আর মেঘের চোখ লাল হয়ে আছে”


মেঘ: তোর সাহস কি করে হলো আমার কাছ থেকে পালিয়ে আসার😡

মিহু: প্লিজ ছাড়ুন,,,আমি আপনার মত একটা নরপিশাচের সাথে থাকতে চাই না

মেঘ: এই নরপিশাচটাই তোর অতীত ছিল,,,,বর্তমানে আছে,,,,আর ভবিষ্যতও থাকবে বুঝলি। আমি তোকে এত ভালোবাসি তারপরও তোর গায়ে লাগে না তাই না? ভেবেছিলাম তোকে রাজরানি করে রাখব,,,কিন্তু না তুই আমার কাছ থেকে আমার ভালোবাসার কাছ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য পালিয়ে গেলি। এবার আমি তোর এমন হাল করব যাতে তুই আর কখনো আমার কাছ থেকে পালাতে না পারিস। তুই আজকে এই মুহূর্তে আমার সাথে আমার আমার বাসায় যাবি

মিহু: কখনো না

মেঘ: তুই কি চাস যে আমি তোর ফ্যামিলিকে শেষ করে দেই

মিহু: নাহ্ [চেচিয়ে]

মেঘ: তাহলে চুপচাপ নিচে যেয়ে সবাইকে বল যে তুই আমার সাথে যাবি বুঝলি?

মিহু: আ..আচ্ছা😭

“মেঘ আলতো করে মিহুর ঠোঁটে নিজের ঠোঁট ছুঁইয়ে দিল। তারপর মিহুর হাত ধরে নিচে নিয়ে গেল,,,,নীল দৌড়ে যেয়ে মিহুকে জড়িয়ে ধরলো”


নীল: মিহু তুই ঠিক আছিস?

মিহু: আ..আমি ঠিক আছি

মেঘ: কমিশনার মিহু আমার সাথে আমার বাড়ি যাবে

নীল: কিহ্?

মিহু: হ্যা ভ..ভাইয়া আমি যাব ওনার সাথে

নীল: মিহু!!! কি হয়েছে বল আমাকে? ওনি কি কোনোভাবে তোকে কোনো হুমকি দিয়েছে?

মিহু: না আমাকে কেউ কিছু বলে নি,,,আমি নিজ ইচ্ছেতে ওনার সাথে যেতে চাইছি

নীল: কিন্তু মিহু…..

মেঘ: আর কোনো কিন্তু না,,,মিহু চলো

মিহু: হু..হুম চলেন

“মেঘ কাউকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে মিহুকে টেনে ওর গাড়িতে নিয়ে বসিয়ে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বেরিয়ে গেল”

চলবে,,,,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here