Accounting_Teacher,Part 11,12

Accounting_Teacher,Part 11,12
Written_by_Ritu_Rosni
Part 11
.
–কলিংবেল দেয়ার সাথে সাথেই ঋতু ঝাড়ু হাতে তেড়ে এলো।
—এমাাা,,ও তো ঝাড়ু হাতে তেড়ে আসছে😰😰
খুব ভয় করছে।(শুভ্র)
😲😲😲স্যার আপনি?আমি তো ভেবেছিলাম…
—তুমি তো কি ভেবেছিলে??😒
—কে এসেছে রে ঋতু?ওমাাা শুভ্র বাবা যে।তা বাইরে দাড়িয়ে আছো কেনো?ভেতরে এসো।(ঋতুর আম্মু)
–আম্মুকে দেখে তাড়াতাড়ি ঝাড়ু টা লুকিয়ে ফেললাম।নইলে কেলেংকারি বেধে যেতো।😊
আসলে কে যেনো দুষ্টুমি করে বার বার কলিংবেল দিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।তাই তো এমন ঝাড়ু পেটা করতে গেছিলাম।আমি কি আর জানতাম যে ঐ সময়েই এই জল্লাদের বংশ থুক্কু আংকেলের ছেলে এসে হাজির হবে।😰😰
,,
কিরে তুই ঐখানে দাড়িয়ে কি এতো ভাবছিস?যা শুভ্রর জন্য নাস্তার ব্যবস্থা কর গিয়ে।(আম্মু)
—হু যাচ্ছি।
–তুমি দাড়িয়ে আছো কেনো?বসো।(আম্মু)
–জ্বি আন্টি বসি।(শুভ্র)
—তা তোমার বাসার সবাই কেমন আছে বাবা?
–জ্বি আন্টি সবাই ভালো আছে।
,,
হুহহহহ,,আম্মুর সাথে দেখো কি সুন্দর করে কথা বলছে।দেখে মনে হয় নাদান বাচ্চা কিছুই বোঝেনা।
আর আমার সাথে কথা বলতে গেলেই জল্লাদের মতো করে।
মনে হয় আগের জন্মে আমি ওর চীর শত্রু ছিলাম।
,,
কি রে ঋতু তোর হলো?শুভ্রকে কিছু খেতে দিবি তো নাকি?
বেচারা এই প্রথম আমাদের বাসাতে এসেছে খালি মুখেই বিদায় করবি নাকি?
এত বড় মেয়ে যদি কোনো কাজ পারে,খালি পারে খাইতে আর ছোট বোনের সাথে ঝগড়া করতে।😡(আম্মু)
,,
😡😡😡আজ এই জল্লাদের বংশ টার জন্য আমাকে এত্ত কথা শুনতে হলো।দ্বারা তোকে আমি খাওয়াচ্ছি,এমন খাওয়ার খাওয়াবো না বাপের জন্মে ভুলে যাবি খাওয়ার কথা😂😂
ইচ্ছে মতো মরিচ দিলাম জল্লাদের খাবারে।এবার বুঝবা চান্দু কত ধানে কতো গম😁
,,
কি রে??আর কতক্ষণ লাগবে তোর?(আম্মু)
—এই তো আম্মু হয়ে গেছে।আসছি😍
,,
আন্টির সাথে অনেকক্ষণ গল্প করলাম।আন্টি তো না খাইয়ে ছাড়বেই না।
যেভাবে আপ্যায়ন করছে মনে হচ্ছে আমি এ বাড়ির জামাই😎হু,জামাই তো।এ বাড়ির হবু জামাই বলে কথা।😎
,,
ঋতুকে দেখলাম খাবার সাজিয়ে আনলো আমার জন্য।দেখতে একদম বউ বউ লাগছে।
ইশশশশ!!😍😍
আমার বউটা দেখছি ভালোই রান্না জানে মনে হয়।খাবারের ঘ্রাণে চারিদিক মৌ মৌ করছে।বিয়ের পরে বউয়ের হাতের সুন্দর সুন্দর রান্না খেতে পারবো ভাবতেই অবাক লাগছে।
,,
নিন স্যার খেয়ে নিন(আমি)
—হু।
—নে,,খা।জনমের মতো স্বাদ করে খা ব্যাটা।তুই কি ভেবেছিস আমি তোর মতো আফ্রিকান জলহস্তী কে খাওয়াবো রান্না করে?😂খাবি আর ব্যাঙের মতো করে লাফাবি😁(আমি)
—খাবার যেই না মুখে দিয়েছি😭😭বুকের মধ্যে মনে হয় আগুন জ্বলছে।বাড়িতে যতো মরিচের গুড়া ছিলো মনে হয় সব ঢেলে দিয়েছে।তাকিয়ে দেখলাম ঋতু মিটিমিটি হাসছে।
আমার আর বুঝতে বাকি নেই যে কাজ টা কার😒
—কি ব্যাপার জল্লাদ টা তো খেয়েই যাচ্ছে রাক্ষসের মতো কোনো কথাই বলছে না।ঝাল কি কম হয়ে গেলো নাকি??😲
,,
—তোমাকে এর জন্য প্রস্তাতে হবে #মিস_ঋতু তুমি কাজ টা মোটেও ঠিক করলে না।
—জল্লাদটার চোখ দুটো একদম লাল আগুনের ফুলকির মতো ভয়ানক দেখাচ্ছে।
–আন্টি কিচেনে চলে গেলো চুলায় সম্ভবত কিছু দিয়ে এসেছে।
আস্তে আস্তে উঠে ঋতুর কাছে চলে গেলাম।
–স,স্যারর ক কিছু কি লাগবে??এদিকে আাাসছেন কেেেনোো??
–কই পালাচ্ছো??
–কককইই পালাচ্ছি?? আাাপনিই তো এদিকে আসছেন।(আমি)
–তুমিই তো পিছিয়ে যাচ্ছো।
–স্যাররর!!!আম্মু চলে আসবে তো!আপনি প্লিজ সরে দাড়ান।এই বলে সরে যাচ্ছিলাম আমি।(আমি)
—পালিয়ে কোথায় যাবে?(দাঁতে দাঁত চেপে ধরে)
—সসসরিিিি স্যার!!আর এমন ভুল কোনো দিন ও করবো না।প্লিজজজ আজকের মতো মাফ করে দেন।
–সরি?মাফ?জেনেশুনে এমন করেছো আর মাফ চাইছো??কাজটা করার সময় মনে ছিলো না??এর
শাস্তি তো তোমাকে পেতেই হবে।
এই বলে জোর করে হাত দুটি চেপে ধরে ৫ মিনিট ধরে লিপ কিস করে ছেড়ে দিলাম।
এতক্ষণে মনে হলো ঝাল টা কিছু টা হলেও কমলো।
—লুইচ্চা,খচ্চর,বদের হাড্ডি,আফ্রিকান জলহস্তী, ডেভিল, জল্লাদের বংশ আমার ঠোঁট টা কামড় দিয়ে একদম রক্ত বের করে দিয়েছে।মনে হয় কতদিন খায়না।রাগে দুঃখে আমার চোখ দিয়ে পানি পড়ছে।
—ইশশশ!!আমি একটু বেশিই কররে ফেলছি।ওর ঠোঁট ফুলে কেমন হয়ে গেছে।
আন্টিকে বলে বাসায় চলে এলাম।
.
.
.
(চলবে)

Accounting_Teacher
Part__12
Written_by_Ritu_Rosni
.
.
আন্টিকে বলে বাসায় চলে এলাম।একটু বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি।রাগ হলে তো কখন কি করে বসি আমি খেয়াল থাকে না।😒ঝাল কমানোর জন্য এর থেকে ভালো কোনো উপায় ও জানা ছিলো না।অবশ্য যদি এমন মিষ্টি পাওয়া যায় তাহলে তো এমন ঝাল খাওয়া যেতেই পারে।😜😜
,,
রাগে আমার শরীর জ্বলে যাচ্ছে।লুইচ্চা ব্যাডা আমার ঠোঁট টা কামড়ে কি করে ফেলছে।
বাথরুমে ঢুকে বার বার সাবান লাগিয়ে ঠোঁট ধুচ্ছি।খচ্চর ব্যাডা আমার ঠোঁট ডারে লজেন্স এর মতো করে চুষছে😰
তখন তো মনে হচ্ছিল আমার ঠোঁট টা খেয়েই ফেলবে।রাক্ষস কোথাকার।😡
ইশশশশ!!এখন আমি আম্মুর সামনে যাই কি করে??যদি আম্মু জিজ্ঞাসা করে কিছু?😒
–কি রে তোর ঠোঁট কাটলো কিভাবে??একটু আগে না ভালোই তো দেখলাম।(আম্মু)
—-একটু আগে তো ঠিকই ছিলো,তয় তুমি যাওয়ার পরেই তো😰😰অবশ্য দোষ টা আমারি বেশি ছিলো।
যেই পরিমাণে মরিচের গুড়া খাবারে মিশিয়েছিলাম।😲(মনে মনে বলছিলাম)
—কি রে??কি এতো ভাবছিস?তোকে কিছু জিজ্ঞাস করেছি আমি।(আম্মু)
—হু,কি?
–তোর ঠোঁট ফুলে গেছে কিভাবে?(আম্মু)
–নাা,ইয়েে মানেে মা
–কি মানে মানে করছিস এতো?(আম্মু)
–কি করে বলি যে ঐ ব্যাটা ইতর…
ইয়ে মানে আম্মু,আসলে হয়েছে কি??
–হু,কি?
—আম্মু!!তুমি না চুলায় তরকারি বসিয়ে এসেছো।কেমন পোড়া পোড়া গন্ধ পাচ্ছি,দেখে আসো তো তাড়াতাড়ি।(কথা ঘুরানোর জন্য বললাম)
,,
😁😃😂সকালে তো একদম ভয় পাইয়ে দিয়েছিল বজ্জাৎ মেয়েটা।যেই ভাবে ঝাড়ু হাতে তেড়ে আসছিল।😲পুরাই ডাইনি লুক।ওকে দেখে তো ভয়ে কলিজার পানি সব শুকিয়ে গিয়েছিল।
ওর কথা ভাবছি আর একাই হাসছি।অনার্সে পড়ে কিন্তু স্বভাব টা একদম বাচ্চা দের মতো।
,,
রাত ১০ টা,
কেবলি ঘুমিয়ে পড়েছি তখনি হঠাৎ ফোন টা বেজে উঠলো।
হুররররররর,,বাজুক ফোন।আমি ঘুমাই।
আমি আবার খুব ঘুম পাগলি।আগে আমার ঘুম তার পরে সব।😂
নাহহহ,,এই ফোনের জ্বালায় তো ঘুমাতেও পারছি না।
ফোন রিসিভ করেই,,
ঐ কোন বজ্জাতের হাড্ডি,কারেন্টের খাম্বা,বিলাতি চামচিকে, ধলা ইন্দুর,শাকশুঁটকির বররে😡😡
আমার কত্ত সুন্দর একটা ঘুম ডারে তুই নষ্ট করলি।বাসায় কি তোর মা বোন নাই?রাত দুপুরে মেয়ে মানুষদের ডিস্টার্ব করিস।
তোদের উপ্রে ঠাডা পড়ে না ক্রে?(একদমে সব বলে থামলাম)
—😡😡ঋতুউউউহহহ
—ঐ কে কেেেে??জল্লাদ টার গলা না?কিন্তু জল্লাদ এখানে আসবে কিভাবে?😒
আমি বিছানার নিচে,বাইরে,রুমের আনাচে কানাচে সব জায়গায় খুজলাম কিন্তু পেলাম না।😰
তাইলে জল্লাদ টা কই?নাকি আমার মনের ভুল?হবে হয়তো।(আমি)
—বজ্জাৎ মেয়ে সাহস কতো বড় আমাকে বলে কি না যে ধলা ইন্দুর😡বিলাতি চামচিকে।
পুরাই একটা মেন্টাল।😂(শুভ্র)
—-কি রে??কথা কস না ক্যা?নাকি আমার মুখের বকা শুনে তোর সব কথা ফুস?আরো শুনবি?😁(আমি)
–Oh,Really!! বলো তো শুনি।দেখি তুমি কতো বকা দিতে পারো।(দাঁতে দাঁত চেপে)
—😲😲সসস্যাররর,আাাপনিিিি???
–হু,আমিই
—আাাপনি আমার নাম্বার কই পেলেন?
–যেখানেই পাই না কেনো।তোমাকে বলতে যাবো কেনো??
এই মেয়ে তুমি এতো কথা বলো কেনো??চুপ থাকতে পারো না??
সব সময় ছাগলের মতো শুধু ভ্যা ভ্যা করো😡😡
——
—কি হলো?এখন চুপ করে আছো কেনো?
–আপনিই তো বললেন আমি নাকি ছাগলের মতো ভ্যা ভ্যা করি।(আমি)
—ও আল্লাহ দড়ি ফালাও!!এই মেন্টাল টাকে তুলে দেই।(শুভ্র)
—-😡😡
–আগামীকালকে সকালে রেডি হয়ে থাকবা,আমি ঠিক ৯.০০ টায় নিচে দাড়িয়ে থাকবো।
পিক করে নিয়ে আসবো।
–আমি যাবো নাহহহহ,,রেডি হয়ে থাকতে পারবো না হুুুুহহহহ😡
—তুমি থাকবা,তোমার ঘাড়সহ রেডি থাকবে।(শুভ্র)
–স্যার!!তাইলে আমার ঘাড়কেই নিয়ে যাইয়েন।😂
–😡😡এক মিনিট লেট হলে কিন্তু আমি সোজা উপরে চলে যাবো।আর উপরে গেলে কিন্তু নিজ হাতে রেডি করিয়ে দুপুরের কাজ টা আবার রিপিট করবো।😁😁
বলেই লাইন কেটে দিলো শুভ্র।
,,
বজ্জাত হাড্ডি,লুইচ্চা,মেনি মুখো বিড়াল,ধলা ইন্দুর,কারেন্টের খাম্বা,আফ্রিকান জলহস্তী তুই কি পেয়েছিস আমায়?😡যখন যা বলবি তাই করতে হবে নাকি??
মেসেজ টোন বেজে উঠলো।
এখন আবার মেসেজ দিলো কে??
–আমাকে বকা না দিয়ে ঘুমিয়ে পড়ো শুভ্র পাঠিয়েছে।
–😲😲😲 বুঝলো কেমনে?যে আমি ওরে বকা দিতাছি।
আবার মেসেজ টোন বেজে উঠলো…..
এবারো শুভ্রই পাঠিয়েছে…
কিভাবে বুঝলাম না ভাবলেও চলবে।আর এটুকু জানতে কমন সেন্সের দরকার যা তোমার গোবর ভরা মাথায় ঢুকবে না।😂😂
,
—😡😡আমার মাথায় গোবর ভরা??
শালা লুইচ্চা তোর উপ্রে ঠাডা পড়বো ঠাডা।
,
সকাল বেলা….
😲😲😲৯.৫০ টা বাজে।
ফোনে দেখলাম ১৩ টা মিসড কল উঠে আছে।
আল্লাহ গো আজ আমার যে কি হবে।😰😰……
.

.
To Be Continue…….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here