Mr_innocent,পর্ব_২,৩
You_are_my_love_addiction
writer_ আশফিয়া_নুর_আরুশি
পর্ব_২
আরুশি দৌড়ে কেবিন থেকে বেরিয়ে গেলো।
-” দৌড়ে কোথায় পালাবে কাপকেক ঘুরেফিরে আবার তো তোমাকে সেই আমার কাছে আসতে হবে।”
বলেই Devil smile দিলো।
কিছুক্ষণ পর আরুশিসহ আরো চারজনকে আদ্রিয়ানের কেবিনে ডেকে পাঠানো হলো। আদ্রিয়ান আরুশিবাদে বাকি চারজনকে তাদের কাজ বুঝিয়ে দিলো। সবাই চলে গেলে।
আদ্রিয়ান রিসাদকে কিছু একটা ইশারা করতেই রিসাদ আরুশিকে একটা পেপার দিয়ে সেখানে সাইন করতে বলল। আরুশি এতোটাই এক্সাইটেড ছিলো যে পেপারটা না পরেই সাইন করে দিলো।আর আদ্রিয়ান ডেভিল স্মাইল দিয়ে রিসাদের দিকে তাকালো।
-“মিস.আরুশি আজ থেকে আপনি আদ্রিয়ানের পিএ।”
আজকে থেকেই আপনার কাজ শুরু।
-“এ্যাহ আমি ওনার পিএ। সিরিয়াসলি!!! স্যার আমাকে একটা চিমটি কাটবেন প্লিজ।”
আদ্রিয়ানের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়ে বললো।
আদ্রিয়ান খুব জোরে আরুশির হাতে চিমটি দিলো। আদ্রিয়ান চিমটিটা এতোই জোরে দিলো যে আরুশি ব্যাথা পেয়ে আহ বলে উঠলো।
-” এতো জোরে কেউ চিমটি কাটে?”
রাগি ভাব নিয়ে জিজ্ঞেস করলো আরুশি।
আদ্রিয়ান আরুশির প্রশ্নের জবাব না দিয়ে বললো,
-“সো মিস.পিএ আমার জন্য এক কাপ ব্ল্যাক কফি বানিয়ে নিয়ে আসুন।”
-” আমি আর ব্ল্যাক কফি!! আমি তো কখনো রান্না ঘরেই ডুকিনি।”
আরুশি মনে মনে বললো।
-“আপনার কল্পনা করা শেষ হলে আমার কফিটা নিয়ে আসুন জলদি।”
-” স্যার আমি কফি বানাতে পারি না।”
আরুশি ঠোঁট উল্টিয়ে মূখে কাদো কাদো ভাব নিয়ে বললো।
-“I don’t care. আপনি আমার পি.এ। তাই আমি যা বলবো আপনাকে সেটাই করতে হবে।”
-“ওকে স্যার।”
বলেই রাগে দাঁত কটমট করতে করতে
আরুশি কফি বানাতে চলে গেল।
-” আমি কিভাবে কফি বানাবো আমি তো বানাতে পারি নাহ।ওয়েট ওয়েট আরুশি তোর কাছে তো তোর সুইটি আছে। ”
বলেই অজান্তা ওর পেন্টের পকেট থেকে ওর ফোন বের করলো।
-” চলো সুইটি আমাকে কফি বানানোর নিয়ম দেখিয়ে দেও।”
তারপর আরুশি মোবাইল থেকে ভিডিও দেখে দেখে কফি বানানো শুরু করলো। কফি বানাতে গিয়ে আরুশির হাতের অনেক জায়গায় ছ্যাকা খেলো তবুও কফি বানিয়েই দম নিলো।
-” May i come in sir?”
-“ইয়েস।”
-“ধন্যবাদ স্যার”
বলে ঢুকেই আদ্রিয়ানের সামনে কফি মগটা রাখে চলে যেতে ধরলো।
আরুশিকে চলে যেতে দেখে আদ্রিয়ান বললো,
-“তোমাকে আমার কেবিনে ডুকার জন্য পারমিশন নিতে হবে না।”
-“ওকে স্যার।”
পেছন মুখ ঘুরে জবার দিয়ে আবার হাঁটা ধরলো।
-“আমার কথা শেষ হয় নি। তোমার জন্য আলাদা কোনো কেবিন ঠিক করা হয় নি। আমার কেবিনেই তোমার বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।তুমি সব সময় আমার সাথেই থাকবে।” এক নাগাড়ে বলে দিলো আদ্রিয়ান।
-“জ্বি স্যার।স্যার আপনার কফি টা ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।”
-“ওহ হ্যাঁ দাও।”
কফি নিতে গিয়ে আদ্রিয়ান খেয়াল করলো আরুশির হাতের অনেক জায়গায় পুড়ে গিয়ছে যা দেখে আদ্রিয়ান কিছুটা ঘাবড়ে গিয়ে চেয়ার থেকে উঠে তারাতাড়ি করে আরুশির কাছে গেলো। ওর হাত টেনে ধরে কোথায় কোথায় ব্যাথা পেয়েছে তা দেখতে লাগলো।
অন্যদিকে আরুশি একধেনে আদ্রিয়ানের দিকে তাকিয়ে আছে। নিজের অজান্তেই আরুশির মুখ ফসকে বেরিয়ে গেল,
-“#Mr_innocent.”
-“কিছু কি বললে?”
-“না না কিছু না তো। ”
-” সোফায় বসো তোমার হাতের পোড়া জায়গায় মলম লাগিয়ে দিব।”
-“লেজ কাটা হনুমান এখন আমার কাটা ঘায়ে মলম লাগাবে ইচ্ছা করতে তোকে গরম পানিতে চুবাই”
মনে মনে বললো আরুশি।
-“আমাকে মনে মনে বকা শেষ হলে সোফায় গিয়ে বসো।”
-“না না sir মলম লাগালে বেশি জ্বালা করবে আমি লাগাবো না।”
-“তুমি চুপচাপ বসে আমি তোমার হাতে মলম লাগাবো যদি একটা কথাও যদি বলেছো তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেউ হবে না।”
আরুশি আদ্রিয়ানের কথায় ভয় পেয়ে চুপচাপ সোফায় গিয়ে বসে পড়লো।
আদ্রিয়ান ড্রয়ার থেকে মলম বের করে নিয়ে এসে পরম যত্নে আরুশির হাতে মলম লাগাতে শুরু করলো।
-” আপনি আসলেই অনেক ইনোসেন্ট স্যার #Mr_Innocent কিন্তু আপনি অনেক রাগিও প্রথম দিনই কফি বানাতে পাঠিয়ে দিলেনা না জানি পরে কি করবেন।”
বিরবির করতে করতে বললো আরুশি।
-“একটু সাবধানে কাজ করতে পারো না দেখলে তো কতো জায়গায় পু্ড়ে গিয়েছে।”
-“আমি তো কাজ করতে পারি না ইশু কখনোই আমাকে কাজ করতে দেয় নি।”
বাচ্চাদের মতো ফেস করে বললো আরুশি।
-“ওহ তাই নাকি। সে যাই হোক এখন থেকে কফি বানানো শিখে নিবে কারণ প্রতিদিন সকালে আমার কেবিনে ঢোকার আগে তোমাকে আমার জন্য কফি বানাতে হবে। মনে থাকে যেন।”
মলম লাগিয়ে দিয়ে আদ্রিয়ান আরুশির কপালে নিজের ঠোঁট ছুয়ালো। তারপর সেখান থেকে চলে গেলো।
আরুশি আদ্রিয়ানের কাজে অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে আর বুঝতে চেষ্টা করছে তখন কি হলো।
আদ্রিয়ান চেয়ারে বসতে বসতে বললো,
-“ছোট মাথায় এতো চাপ দিতে হবে না কি হয়েছে তা তোমার না জানলেও হবে। এদিকে আরো একটু।”
আদ্রিয়ানের কথা মতো আরুশি আদ্রিয়ানের টেবিলে কাছে গিয়ে দাঁড়ালো।
আরুশিকে দেখে আদ্রিয়ান তাকে অকেন কতোগুলো ফাইল ধরিয়ে দিয়ে বলল,
-“এগুলো আজকের মধ্যেই শেষ করে আমাকে দিবে। ”
-” ওকে স্যার।”
বলেই আরুশি নিজের ডেস্কে গিয়ে মনোযোগসহকারে কাজ করতে লাগলো আর আদ্রিয়ান নিজের ল্যাপটপে মুখ গুজে বসে রইলো।
আরুশির কাজ শেষ করতে করতে অনেক লেট হয়ে গেল।সে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ১০ টা বাজে আর আদ্রিয়ান এখনো ল্যাপটপে মুখ গুজে বসে আছে।
-“স্যার আমার কাজ শেষ আমি যাই আমার অনেক দেরি হয়ে গেছে।”
-“ওয়েট আমি তোমাকে ড্রপ করে দিয়ে আসবো।”
ল্যাপটপের টাইপিং করতে করতে বললো।
-” না স্যার আমি একা যেতে পারব”
আরুশির বলার সাথে সাথে আদ্রিয়ান আরুশির অনেক কাছে চলে আসলো। আদ্রিয়ানকে নিজের এতো কাছে দেখে আরুশি কিছুটা ভয় পেয়ে যায়।
-“Don’t worry cupcake আমি তোমাকে তেমন কিছু করব না। কিন্তু হ্যাঁ আমার কথার উপর যদি কোনো কথা বললে আমি অনেক কিছুই করব got it.”
-“yes sir”
ভয় কাপতে কাপতে বললো৷ আরুশি।
বলেই আরুশি আর আদ্রিয়ান অফিস থেকে বের হয়ে ডিরেক্ট গাড়িতে গিয়ে বসলো। গাড়িতে আরুশি চুপচাপ থাকলেও আদ্রিয়ান ওকে অনেক বার জ্বালিয়েছে। আরুশিকে বাড়ি ড্রপ করে দিয়ে আদ্রিয়ানও বাড়ি চলে যায়। বাড়িতে এসেই কাউকে দেখে আদ্রিয়ান দৌড়ে গিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে।
-“তুমি কখন এলে?? আর আমাকে জানাও নি কেন যে তুমি আসবে? আমাকে জানালে আমি নিজে গিয়ে তোমাকে নিয়ে আসতাম এয়ার্পোট থেকে তোমাকে কষ্ট করে টেক্সি দিয়ে আসতে হতো না। খুব মিস করেছি তোমাকে বড়আব্বু।”
-“বলে আসলে তোমাকে এভাবে সারপ্রাইজ দিতাম কিভাবে My boy. আমিও তোমাকে অনেক মিস করেছি।”
মি.আকরাম আদ্রিয়ানকে নিজের সামনে দাঁড় করিয়ে বললেন।
-” কখন এলে বড়আব্বু?”
-“কিছুক্ষন আগেই।”
-” আদ্রিয়ানকে পেয়ে তো তুমি আমাকেই ভুলে গেলে পাপা।”
পেছন থেকে রিংকি বললো।
{পরিচয়ঃ মি.আকরাম রেজওয়ান। আদ্রিয়ানের বড়আব্বু মানে আদ্রিয়ানের বাবার বড় ভাই এবং রিংকির আব্বু। এতো দিন business এর কাজে USA তে ছিল}
-“তোমাকে কিভাবে ভুলে যাব my dear princess & where is my little princess.”
-” I am here বড়আব্বি। যাক আমাকে তাহলে তুমি ভুলো নি।”
আজমিরা সিড়ি থেকে নামতে নামতে বললো।
-” ওহ My little Princess আমি কি তোমাকে ভুলে যেতে পারি।।আর আমার little Princess তো অনেক বড় হয়ে গেছে। তোমাকে তো এখন বিয়ে দিতে হবে দেখছি তুমিই বলো পাত্র কি দেখব???”
– নাহহহহহহহহ আমি বিয়ে করব না। ভাইয়া তুই বড়আব্বুকে কিছু বলআমি বিয়ে করব না।”
ইনোসেন্ট ফেস করে বললো আজমিরা।
-“আচ্ছা বাবা আচ্ছা তোকে এখন বিয়ে করতে হবে না। তোর যখন ইচ্ছে করবে তখন করিস। বড়আব্বু আমি উপরে যাচ্ছি ফ্রেশ হতে। রাতে ডিনার সবাই একসাথে করবো।
-“ওকে যাও।”
{ পরিচয়ঃ আজমিরা চৌধুরী । আদ্রিয়ানের আদরের ছোট বোন। আদ্রিয়ান ভালোবেসে কখনো মিরা কখনো কাজুবাদাম আবার কখনো আজু করে ডাকে। আজমিরা inter 2nd year এ পড়ে, অনেক ভালো স্টুডেন্ট। গায়ের রঙ ফর্সা, উচ্চতা ৫”, চোখের মণি হালকা নীল,চুলগুলো পিঠে পরে তাই সব সময় ছেড়ে রাখে,আজমিরা খুব ভালো গান পারে }
-“ওকে বড়আব্বু তুমিও যাও ফ্রেশ হয়ে নাও”
-“Ok my boy”
বলে মি.আকরাম চলে গেলে।
আদ্রিয়ানে যেতে ধরলেই রিংকি পেছন থেকে বলে উঠে
-“আদ্রি বেবি আমার সাথে কথা বলবে না তুমি? রাগ করেছ বুঝি আমার সাথে?”
-“আমি কেন তোমার সাথে রাগ করতে যাব।”
কপট রাগ দেখিয়ে বললো আদ্রিয়ান।
-“আরে বেবি রেগে যাচ্ছ কেন?? আচ্ছা বল তোমার দিন কেমন কাটলো?? আমাকে ছাড়া নিশ্চয় খারাপ কেটেছে তাই না বেবি?”
-“হ্যাঁ জানু তোমাকে ছাড়া আমর দিন অনেকর চেয়েও অনেক বেশি খারাপ কেটেছে।”
-“আমি জানি বেবি তুমি তো আমাকে ছাড়া থাকতেই পারো না।”
আদ্রিয়ানের কাছে এসে ওর গালে স্লাইড করতে করতে বললো।
-“হুম জানু তুমি ঠিক ধরেছ।”
বলেই আদ্রিয়ান ডেভিল স্মাইল দিয়ে রিংকিকে কোলে তুলে নিলো।
-“আদ্রি বেবি কি করছো ছাড়া আমাকে। পাপা দেখে ফেললে কি বলবে।ছাড়া আমাকে।”
-“সত্যি ছেড়ে দিবো জানু? তুমি ভেবে বলছো তো?”
আদ্রিয়ান শয়তানি হাসি দিয়ে জিজ্ঞেস করলো রিংকিকে।
-“হুম হুম।”
রিংকির জবাব পাওয়ার সাথে সাথে আদ্রিয়ান রিংকিকে ছেড়ে দিলো। আর রিংকি ধপাস করে নিচে পড়ে গেলো।
-“আহ বেবি তুমি এটা কি করলে? ফেলে দিলে কেন আমায়?”
-“ফেলে কোথা দিলাম তুমিই তো বললে ছেড়ে দিতে।”
আদ্রিয়ানের কথা শুনে রিংকি আদ্রিয়ানের দিকে রাগি দৃষ্টি নিক্ষেপ করে।আদ্রিয়ান সেদিকে পাত্তা না দিয়ে সেখান থেকে চলে আসে।
আদ্রিয়ানকে চলে যেতে দেখে রিংকি পিছন থেকে বলে,
-” তোমার জন্য একটা গুড নিউজ আছে আমি কাল থেকে অফিসে করছি বাপিও রাজি হয়ে গেছে।”
আদ্রিয়ান পেছনে না ঘুরেই জবাব দেয়,
-“অফিসে যাবে ভালো কথা কিন্তু আমার থেকে দূরে থাকবে”
বলেই আদ্রিয়ান সেখান থেকে চলে যায়
-“আদ্রি বেবি তোমার কাছে থাকার জন্যই তো অফিসে জয়েন করছি আর তুমি বলছো তোমার থেকে দূরে থাকতে তা কি কখনো হয় তুমিই বল”
বলেই একটা শয়তানি হাসি দিলো রিংকি।
রিংকি কোনো রকমে কোমড় ধরে উঠে নিজের রুমে চলে গেল।
______________
অন্যদিকে
আরুশি বাড়ি আসতেই ইশিতা দৌড়ে এসে আরুশিকে জড়িয়ে ধরে বলতে শুরু করল,
-” তুই কোথায় ছিলি এতোক্ষণ জানিস আমার কত টেনশন হচ্ছিল।আর একটু হলে আমার জান বেরিয়ে যেত।তুই তো এভাবে লেট করে বাড়ি ফিরিস না তাহলে আজকে এতো লেট কেন। কোথাও ব্যাথা পাসনি তো বল বল।”
-“আরে ইশু ইশু শান্ত হ আমি একদম সহিসালামতে তোর সামনে দাড়িয়ে আছি দেখ আমি একদম ঠিক আছি। আমার কিছু হয় নি।তোর জন্য একটা গুড নিউজ আছে।”
-“কি গুড নিউজ শুনি?”
-“আমার জব হয়ে গেছে এবং আমি ওই অফিসের বসের পি.এ।
-“ভালে কথা কিন্তু আসতে এতো দেরি হলো কেন?”
-“আসলে আমার কাজ করতে করতে এতো লেট হয়ে গেছিল। তাই এতো লেট হয়ছে। কিন্তু স্যার আমাকে বাড়ি drop করে দিয়ে গেছে।”
সোফায় বসতে বসতে বললো আরুশি।
আরুশিকে ইশিতাও আরুশির পাশপ বসলো। তারপর আরুশি ইশিতাকে সব ঘটনা বলল আর ইশিতা সব শুনে হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি খাওয়ার মতো অবস্থা হলো ইশিতার।
-“ইন্টারভিউ দিতে লেট করে গেলি দেখে দাড় করে রেখেছিল আর এখন তো জব করবি ওনার আন্ডারে তাহলে ভেবে দেখ লেট করে গেলে কি কি শাস্তি দিবে বুঝতে পারছিস আরু বেবি।”
আরুশির পেটে হালকা গুতা দিয়ে বললো ইশিতা।
ইশিতার কথা শুনে আরুশি ঢুক গিলে বললো,
-“বেবি ভয় দেখাস না প্লিজ।”
-” কিন্তু আমি একটা জিনিস বুঝলাম না তোর বস তোকে kissকরল কেন ভালো টালো বাসে নাকি তোকে?”
ইশিতার কথা শুনে আরুশি কিছুটা রাগ দেখিয়ে বলল,
-” আমি কিভাবে জানবো ওই হনুমানের মনে কি আছে।আমার তো এটা ভেবেই ভালো লাগছে যে আমি the best fashion designer & business man এর পি.এ। কিতনা কিউট হে।”
-” হুম কিতনা কিউট হে। এখন যা ফ্রেশ হয়ে নিচে আয় ডিনার করবি না। তোর জন্য অপেক্ষা করতে করতে আমার ক্ষুদা লেগে গেছে।”
-“ওকে বেবি। মে ইউ গেয়া ইউ আয়া।”
-“হুম যা।”
আরুশি রুমে এসে নিজের বিছানা গা এলিয়ে দিল, হঠাৎ তার মনে পরল আদ্রিয়ান ওকে cupcake বললো কিন্তু কেন বললো।ভাবতে ভাবতে আরুশি বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে ঢুকে পরলো।
__________________
অন্যদিকে
আদ্রিয়ান নিজের ঘরে এসে ওর মম এর ছবির সামনে দাড়ালো।
“চলবে”
#Mr_Innocent
#You_are_my_love_addiction
#writer_ #আশফিয়া_নুর_আরুশি
#পর্ব_৩
________________
অন্যদিকে আদ্রিয়ান ঘরে এসে ওর মমের ছবির সামনে দাড়িয়ে বলতে লাগলো,,,
-“জানো মম আজকে আমি আমার কাপকেককে অনেক কাছ থেকে দেখেছি ওকে ছুয়েছি আগে তো সবসময় ওকে দূর থেকে দেখতে হতো ওকে ছুতেও পারতাম না।”
বলেই নিচে বসে একটা বাচ্চা মেয়ের ছবি হাতে নিয়ে নিজের বুকে চেপে ধরে বসে রইলো।
আদ্রিয়ান কিছুক্ষণ ওভাবে বসে থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে ডিনার করতে চলে যায়।
_____________
আরুশি জলদি ফ্রেশ হয়ে ডিনার করতে চলে যায়। ডিনার শেষ করে ইশিতার সাথে কিছুক্ষণ গল্প করে নিজের ঘরে আসে আরুশি অবাকের উপর অবাক হয়ে যায়। কারণ কেউ তার ফোনে বার বার অনবরত ফোন করছে আর ফোনে না পেয়ে মেসেজও পাঠাচ্ছে।আরুশি ফোনটাকে হাতে নিয়ে দেখলো একটা অপরিচিত নাম্বার কিন্তু সে অবাক হলো না কারণ এই নাম্বারটা থেকে প্রায় কল আসে। কল ব্যাক করতে গেলেই আবার কল আসে এভাবে আচমকা ফোন আসায় আরুশি কিছুটা চমকে যায়। ফোন রিসিভ করে সালাম দিয়ে হ্যালো হ্যালো করতে থাকে কিন্তু ওপাশ থেকে কোনো উত্তর এলো না এটা আরুশির কাছে অবাক হওয়ার মতো কিছুই না কেননা প্রতি রাতে এমনই হয় এই নাম্বার থেকে কল আসে ঠিকই কিন্তু কেউ কথা বলে না। তাই আরুশি প্রতিবারের মতো কল কেটে দিল।কল কেটে দিয়ে আরুশি বারান্দায় চলে গেলো।
বারান্দায় এসে দেখলো প্রতিরাতের মতো আজও একটা ব্যাগ আর ওর প্রিয় ফুল কালো গোলাপ ও অর্কিড ফুল রাখা বারান্দার দোলনায়। আরুশি একটুও অবাক হলো না কারণ এঘটনা প্রতিরাতেই ঘটে ওর সাথে কেউ একজন সব সময় বারান্দায় কিছু না কিছু রেখে যায় আর সাথে ওর প্রিয় ফুলও দিয়ে যায়।
হুট করে আরুশির ফোনের ম্যাসেজ টুন বেজে উঠলো।আরুশি ফোনটি হাতে নিয়ে দেখলো,
-” আমি কে সেটা তোমার না জানলেও হবে কিন্তু তুমি চিন্তা করো না আমি তোমাকে বলব আমি কে তোমাকে কেন ফোন দেই সময় হলে সব বলব তোমাকে আই প্রমিস আরুশি।
-“এসব জিনিস এখানে কেন আর এগুলো কার?”
-“ঘরটা কার?”
-“আমার।”
-“তাহলে জিনিসগুলো কার ”
-“আমার।”
আরুশি নিজের অজান্তেই বলে ফেললো আর নিজেই অবাক হয়ে গেলো।
-“তাহলে জিজ্ঞেস করছো কেন সুইটহার্ট যে এগুলো কার”
-” কিন্তু ওগুলো আপনি আমাকে কেন দিলেন আমার এসব চাই না।”
-“আমার এগুলো পছন্দ হয়েছে আমি তোমাকে দিয়েছি আর কোনো প্রশ্ন না।”
-“আমি এগুলো নিব না আপনার জিনিস আপনি ফিরিয়ে নিয়ে যান। আমি আপনার জিনিস কেন নিব কে হন আপনি আমার?”
–“আই এম ইয়োর মেড লাভার এন্ড You_are_my_love_addiction বুঝতে পেরেছো আমার মনে হয় তুমি ভালো করে বুঝতে পেরেছো।”
প্রথম দিন মেসেজের রিপলাই দেওয়ায় এইসব বলেছিলো তাই আরুশি আর কোনোদিন এসব জিঙ্গাস করে নি।
_________________
★সকাল বেলায়
-“আরুশি উঠ অফিসে যাবি না?”
-” উঠছি মেরি মা, উঠছি। আর মাত্র পাচ মিনিট ঘুমাতে দে প্লিজ।”
-“যা ইচ্ছা তাই কর অফিসে যেতে দেরি হলে আমাকে কিছু বলতে পারবি না কিন্তু।”
বলেই ইশিতা চলে গেল।
ইশিতা চলে যাতেই আরুশি লাফ দিয়ে উঠে পরলো।তারপর ফ্রেশ হয়ে এসে ঘাঢ় বেগুনি রঙের একটা টপ এবং জিন্স পরলো সাথে উঁচু করে ঝুটি করে চোখে কাজল লাগিয়ে নিলো। আরুশিকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে যে কেউ দেখলেই প্রেমে পরে যাবে।
আদ্রিয়ান মনের আনন্দে গুনগুন করছে আর রেডি হচ্ছে আজকে আদ্রিয়অন কেউও অনেক হ্যান্ডসাম লাগছে।
আদ্রিয়ান সাদা রঙের শার্ট পরে তার সাথে কালো কালারের কোর্ট এবং টাই পরেছে। হাতে বেন্ডের ব্লু কালারের ঘড়ি।
___________
★ ইন দ্যা রেজওয়ান ইন্ড্রাস্টি,
আদ্রিয়ান অফিসে এসেই নিজের কেবিনে ডুকে কাউকে খুজঁতে লাগলো কিন্তু তাকে না পেয়ে রিসাদকে ফোন করে কেবিনে আসতে বললে।
-“রিয়াদ আমার কেবিনে আয় ফাস্ট।”
-” ওকে।”
রিসাদ কেবিনে আসতেই আদ্রিয়ান জিজ্ঞেস করলো,
-” মিস. আরুশি আসেনি এখনো?”
আদ্রিয়ানের কথাশুনে রিসাদ মিটিমিটি হাসছে।
-” মিস.আরুশি এসেছে কিন্তু আমি শুনলাম আপনি ওকে আপনার জন্য কফি বানানোর দায়িত্ব দিয়েছেন তাই কফি বানাতে গিয়েছে। ”
রিসাদের কথা শুনে আদ্রিয়ান রাগে কটমট করা শুরু করে। তাও নিজে রাগ কন্ট্রোল করে রিসাদকে নিজের কাজে যেতে বলে। রিসাদ চলে যেতে কেউ এসে আদ্রিয়ানকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরলো। পিছনে অবস্থিত ব্যাক্তির উপস্থিতি টের পেয়ে আদ্রিয়ান দ্রুত সরে দাড়ালো
-” তুৃমি আমার কেবিনে কেন এসেছো আমার পারমিশন ছাড়া?”
-“আমি অফিস জয়েন করেছি সবসময় তোমার পাশে থাকবো বলে আর তুমি এরকম করছো তোমার তো হ্যাপি হওয়ার কথা।”
-‘ আমি হ্যাপি হবো তোমার আসাতে ওএমজি তুমি ভাবলে কিভাবে যে তুমি আসলে আমি হ্যাপি হবো।”
-“কিহহহহহহ তুমি হ্যাপি হও নি?”
-” না।”
বলেই আদ্রিয়ান নিজের চেয়ারে বসে পড়লো।
আদ্রিয়ানকে বসতে দেখে রিংকিও আদ্রিয়ানের কোলে বসে পরে।
অন্যাদিকে আরুশি কফি বানাচ্ছে আর আদ্রিয়ান এবং ওই অজানা লোককে ওর বিখ্যাত বকাগুলো দিচ্ছে।
কফি বানানো শেষ হলে আরুশি আদ্রিয়ানের কেবিনের দিকে আসতে থাকে তখনি ওর একটা মেয়ের সাথে ধাক্কা লাগে কিন্তু কেউ পরে নি
-“সরি”
দুজনই হেসে দেয়
-“বিংঙ্গ। হাই আই এম মিশমি। সবাই আমাকে মিশ বা মিশু বলে ডাকে। আমি এই অফিসের ডেকোরেশন ম্যানেজার এর দায়িত্বে আছি। আর তুমি।”
-” আমি আরুশি। আদ্রিয়ান স্যারের পি.এ।
-“ওহ তুমি আদ্রিয়ান স্যারের পি.এ সাবধানে থেকো স্যার কিন্তু খুব রাগি। এখন পর্যন্ত স্যারের একটা পি.এও বেশি দিন টিকে নি।”
-“ওহহহ। আচ্ছা আমি যাই নাহলে স্যার আবার ওনার অদ্ভুত পান্সিমেন্ট গুলো দিয়ে দিবে।”
-“ওকে বাই।”
-“নাইস টু মিট ইউ মিশু।”
-“ইউ টুু।”
{{পরিচয়ঃ মিশমি ইসলাম নাবিলা।দেখতে হলুদ ফর্সা চোখগুলো টানা টানা কোমড় অবদি লম্বা চুল উচ্চতা ৫.৬” বাবা লন্ডনে থাকে বাংলাদেশ ওদের বিসন্যাস আছে কিন্তু ওই নিজে কিছু করতে চায়,তাই জব করে। মাকে ছোটবেলায় হারিয়েছে}}
আরুশি আদ্রিয়ানের কেবিনের দিকে এসে বলে,
-“মে আই কাম ইন স্যার?”
-“তোমাকে বলেছি নাহ আমার কেবিনে আসতে তোমার পারমিশন নিতে হবে না।”
-“সরি স্যার।”
-‘মনে থাকে যেনো। আর এতো লেট হলো কেন? ”
-“আপনার জন্য কফি বানাতে গিয়ে লেট হয়ে গেছে।”
-“কাল থেকে এসে আমার সাথে আগে দেখা করবে তারপর কফি বানাতে যাবে”
-“ওকে স্যার।”
-“ভাগ্গিস আজ ও লেট করে এসেছে তা নাহলে তো ও আমাকে আর রিংকিকে একসাথে দেখে ফেলতো।
মনে মনে বললো আদ্রিয়ান।
-” স্যার আপনি কি কিছু ভাবছেন?”
আরুশির কথায় আদ্রিয়ানের ধ্যান ভাঙে,
-” আভ না না। তোমাকে আজ অনেক সুন্দর লাগছে একদম পরির মতো।”
আদ্রিয়ানের কথা শুনে আরুশির গাল লজ্জায় লাল হয়ে যায়,
-“আর লজ্জা পেতে হবে না আমর কফিটা দাও।”
-“এই নিন স্যার।”
আরুশি কফিটা আদ্রিয়ানের হাতে দিতেই আদ্রিয়ান আরুশিকে কোলে নিয়ে ওর চেয়ারে বসে পরলো এবং বললো
-” তুমি খাও।”
-“এটাতো আপনার কফি! ”
-“জানি কিন্তু আমি যেটা বলছি সেটা করো। খাও।”
রাগি কন্ঠে বললো আদ্রিয়ান।
আরুশি ভয় পেয়ে বাধ্য মেয়ের মতো কফি মগে এক চুমুক দিল।
আরুশি চুমুক দিতেই আদ্রিয়ান ওর কাছ থেকে কফি মগ নিয়ে নিলো আর খেতে শুরু করলো তা দেখে আরুশি বললো,
-” স্যার আপনি আমর এটো খাচ্ছেন কেন দারান আমি আপনার জন্য আবার বানিয়ে দিচ্ছি।”
-“উহহহ আমাকে শান্তিতে খেতে দেও তো আর কফিটা অনেক টেস্টি হয়েছে। কালতো খেতেই পারলাম না ঠিক মতো।”
-“……..”
-“নেও রেখে আসো।”
কফি মগটা আরুশিকে ধরিয়ে দিয়ে বললো।
-” ওকে স্যার।”
-” হুম। ”
বলে আরুশি চলে যায়।
আরুশি চলে যেতেই আদ্রিয়ান একজনকে ফোন দিল।
-“পেয়েছো?”
-” স্যার একজন কে খুঁজে পেয়েছি কিন্তু সে মুখ খুলছে না। কি করব এখন?”
-” ওয়েট আমি আসছি। ”
বলেই আদ্রিয়ান ফোন কেটে অফিস থেকে বেরিয়ে গেলো।
অন্যদিকে আরুশি কেবিনে এসে দেখে আদ্রিয়ান নেই। তাই সে বাহিরে বের হয়ে রিসাদকে জিঙ্গাস করলো,
-“রিসাদ স্যার আদ্রিয়ান স্যার কোথায় গিয়েছে?”
-“আদ্রিয়ান তো একটু বাহিরে গেছে জরুরী একটা কাজ আছে বলল।”
-“ওকে স্যার।”
-“আরুশি আমি তোমার ভাইয়ের মতো সো আমাকে প্লিজ ভাইয়া করেই ডেকো স্যার শুনতে ভালো লাগে না।”
-“ওকে স্যার উপস ভাইয়া।”
-“হুম আর আমি তোমাকে কিউটিপাই ডাকবো।”
-“ওকে ভাইয়া।”
-“তুমি কি এখন চলে যাবে নাকি থাকবে? ”
-“কিছুক্ষণ থাকি পরে যাব।”
-“ওকে কিউটিপাই বাই।”
-“বাই ভাইয়া।”
বলেই আরুশি ওখান থেকে চলে এসে কেবিনে বসে কিছু ডিজাইন করতে থাকে।
হঠাৎ আরুশির অনেক পানি পিপাসা পায় আর পানি খেতে এসে ওর মিশমির সাথে দেখা হয়।
-“হাই আরুশি ।”
-“হাই।”
-” তুমি কি এখন ফ্রি আছো?”
-“হুম কিন্তু কেন?”
-“চলো না শপিং এ যাই। ”
-“ওকে।”
আরুশি আর মিশমি শপিংমলে চলে গেল।
_________________
আদ্রিয়ান একটা লোকের সামনে চেয়ারে বসে আছে। আদ্রিয়ানকে দেখে যেকেউ বলবে ও খুব রেগে আছে। রেগে থাকার কারণে ওর ফর্সা মুখ লাল হয়ে গেছে। তার সামনে বসে থাকা লোকটি হাত মুখ বেধে রাখা হয়েছে।
-“বল উনি কোথায়? কোথায় লুকিয়ে আছে ওই খুনিকে বল বল কোথায় লুকিয়ে আছে?
হুৎকার দিয়ে বললো আদ্রিয়ান।
আদ্রিয়ানের হুৎকারে সবাই কেপে উঠলো।
-“আমি সত্যি বলছি আমি জানি না মি.রেজওয়ান কোথায় আমাকে ছেড়ে দিন দয়া করে আমি সত্যিই জানি না।”
-” বুঝেছি তুই ভালো কথা শুনবি না।রনি আমার অস্ত্র প্রস্তুত আছে তো? ”
বলেই বাঁকা হাসলো আদ্রিয়ান।
-” জ্বি স্যার।”
রনি আদ্রিয়ানকে একটা গরম রড দিল, সেই রড দিয়ে আদ্রিয়ান লোকটির পুড়ো শরীরে ছ্যাকা দিতে লাগলে।
ব্যাথায় কাতর হয়ে লোকটি অজ্ঞান হয়ে গেলো। লোকটির জ্ঞান ফিরলে আদ্রিয়ান লোকটির ক্ষত স্থানে লবণ মরিচে গুড়ো ঠেলে দিলো।লোকটি জ্বালা যন্ত্রনায় কাতরাতে থাকলো।লোকটিকে কাতরাতে দেখে আদ্রিয়ান জোড়ে জোড়ে হাসতে শুরু করলো।
আদ্রিয়ান হাতে পিস্তল নিয়ে পিস্তলের সব গুলি দিয়ে লোকটির শরীর ঝাযরা করে দিলো।
-“লাশটাকে এমন জায়গায় গুম করবে যেন এর টিকিটিও খুঁজে না পাওয়া যায়”
-“ওকে স্যার।”
আদ্রিয়ান সেই স্থান থেকে চলে গেল
________________
★ ইন দ্যা শপিংমল
-“হেই আরু দেখ ওই শাড়িটা কতো সুন্দর তোকে খুব মানাবে।”
-“তোকেউ অনেক সুন্দর লাগবে তুই নে”
-“না আমি না তুই নিবি।”
-“আরে না আমি নিব না।”
-“না তোকে নিতেই হবে।”
-“আচ্ছা বাবা আচ্ছা নিবো এখন খুশি তো তুই। ”
-” এখানে একটা জায়গা খুব মজার ফুচকা বিক্রি হয়। তুই খাবি?”
-“হুম চল”
শপিংমল থেকে বের হওয়াট সময় একটা শোপিসের উপর আরুশির চোখ আটকে গেল।
সোপিসটা দেখতে অনেক সুন্দর একটা ছেলে একটা মেয়েকে কোলে বসিয়ে ভ্যাওলিন{বেহালা} বাজাচ্ছে
আরুশির সোপিসটি খুব পছন্দ হওয়ায় ও সেটা কিনে নিলো তারপর তারা শপিংমল থেকে বেরিয়ে গেলো। শপিংমল থেকে বের হয়ে ওরা জমিয়ে ফুচকা খেলো।
মিশমির বাসা কাছেই তাই মিশমি হেটেই চলে গেলো আরুশিকে সাথে যেতে বললে আরুশি মানা করে দেয়। রিকশা না পাওয়ায় আরুশি রাস্তা দিয়ে হাঁটতে থাকে। কিছু দূর আসতেই…..
To be continue
ভুল ত্রুটিগুলো তুলে ধরবেন এবং ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন