আমার_অপ্রিয়_আমি,পর্বঃ১০
রিলেশন_সিরিজ
Ipshita_Shikdar (samia)
❤
আরাভ ইশানির থেকে ঠিকানা জেনে তাকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লো তার বাড়ির উদ্দেশ্যে। দুজনের মাঝেই পিন ড্রপ নিরবতা বিদ্যমান। একজন ভাবছে তার বিধ্বস্ত অতিত ও বর্তমান নিয়ে তো অপরজন অর্থাৎ আরাভ ভাবছে মেয়েটিকে নিয়ে প্রথম সাক্ষাতে কত দুর্ভাবনাই না পোষণ করে ফেলেছিলো সে। চোখের সামনে ভেসে উঠলো সেই সময়টা…
ঘন্টা তিনেক আগে,
অফিস থেকে আসতে দেরি হয়ে গিয়েছিলো, আবার আগামীকাল কাব্যর রিসিপশনের সেই উপহার কিনতে হলো। তাই তার মমতাময়ী মা কলের উপর কল দিয়ে যাচ্ছে। আরাভ বিরক্ত হয়ে গাড়ির ফ্রন্ট গ্লাস দিক থেকে চোখ সরিয়ে ফোন হাতে নিয়ে সামনে তাকাতেই দুর্ঘটনার সম্মুখীন হলো। এক নারী দৌড়ে তার গাড়ির দিকে আসছে, এমতাবস্থা দেখে মুহূর্তেই কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের তৈরি হলো। তাৎক্ষনিক ব্রেকে চাপ দেয় কিন্তু ততক্ষণে মেয়েটির অনেক কাছে এসে পড়েছে। তাই টেনশনে চোখজোড়া বদ্ধ করে দীর্ঘশ্বাস নিতে লাগলো। গাড়িটি থামতেই কোনোকিছু না দেখে না ভেবে বের হয়ে এসে দেখলো তার গাড়িতে লেগে মেয়েটির কপাল বেশ খাণিকটা কেটে গিয়েছে।
দ্রুত যেয়ে মেয়েটিকে উঠিয়ে নেয়। মেয়েটি ঢুলুঢুলু পায়ে দাঁড়িয়ে কিছু বলবে তার আগেই একদল লোক এসে বলতে শুরু করলো,
— ভাবছিলাম সুন্দরী মাইয়াটারে হারায় ফেলছি তয় কপালডা মনে হয় আজ ভালাই। নাহলে এতো রাইতে পরীর মতো একটা মাইয়া পাইলাম তাও আবার মাতাল মাইয়া।
— তা যা কইসোস ইমন! কিন্তু এই পোলাডা কে আমগো পরোর লগে? আইচ্ছা, যে-ই হও তুমি বাছা আমগো পরীটারে রাইখা তুমি এইখান থেকে যাও।
কথাটা বলতেই ইশা আতংকিত হয়ে আরাভের হাত খামচে ধরলো। আরাভ একপলক ইশার ভীতি মুখটার দিকে তাকিয়ে সেই লোকগুলোর দিকে তীক্ষ্মদৃষ্টিতে তাকালো। প্রায় সাতজনের মতো ছেলে আর সে একা। মনে মনে ভেবে উঠলো,
— নাহ, এটা কোনো মুভির সিন নয় বাস্তব জীবন, আর আমিও কোনো সুপারহিরো নই সাধারণ পুরুষ। তাই এতোগুলো লোকের সাথে লড়াই করা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। বরং আমায়ই ভর্তা করে ফেলবে!
সে ইশার হাতটা আলতো করে সরিয়ে ধীর পায়ে নিজের গাড়িতে উঠে বসলো এবং গাড়ি স্টার্ট দিয়ে কিছুটা পিছনে নিয়ে গেলো তার চলে যাওয়ার দিকে ব্যথাতুর দৃষ্টিতে তাকালো ইশা এবং মাতাল লোকগুলোর বিশ্রী হাসি দেখে পিছাতে লাগলো। কিন্তু ঢুলুঢুলু পায়ে আর কতটুকুই বা পারবে? এক গুণ্ডা খপ করে তার হাতটা ধরবে তার আগেই কেউ একজন টান দিয়ে তাকে কারে বসিয়ে দ্রুতগতিতে ছুটলো সামনের দিকে।
অবাক হয়ে পাশে তাকাতেই আরাভকে দেখে কিছুটা হচকচিয়ে গেলো এবং বিড়বিড় করে বললো,
— আপনি না আমার হাত ছাড়িয়ে গুণ্ডাদের মাঝে রেখে চলে গিয়েছিলেন?
প্রশ্নটা কানে আসতেই আরাভ নির্লিপ্ত ভঙ্গিমায় বললো,
— সবসময় ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্যই হাত ছাড়িয়ে নেওয়া হয় না, কখনো কখনো নতুন জীবন দিতে কিংবা নতুনভাবে সবটা শুরু করতেও হাত ছেড়ে দিতে হয়।
ইশার চতুর মন আরাভের কথার মানে খুব সহজেই বুঝে নিলো। আসলে আরাভি এতোগুলো ছেলে দেখে বুঝে গিয়েছিল এই লড়াইয়ে তার হার নিশ্চিত তাই বলের জায়গায় বুদ্ধি খরচ করলো। আরাভ ড্রাইভ করতে করতে পাশে তাকাতেই এতক্ষণে খেয়াল করলো মেয়েটার বাম হাতে ছোট্ট একটা শ্যাম্পেইনের বোতল যা সে একটু পরপর মুখে দিচ্ছে। যা দেখে ভেবেই নিলো মেয়েটি বড়লোক বাপের বিগড়ে যাওয়া সন্তান। তবে চোখের কোণে একফোঁটা জলও যে দৃশ্যমান তা আর চোখে পড়লো না তার।
আরাভ সামনের দিকে তাকিয়েই জিজ্ঞেস করো উঠলো,
— আপনার বাড়ি কোথায়? আই মিন ঠিকানা বলেন নাকি আগে হাসপাতাল যাবেন ব্যান্ডেজ করাতে?
ইশা জানালার বাইরের দিকেই দৃষ্টি স্থীর রেখে উত্তর দিলো,
— না হাসপাতাল না বাড়ি যেখানে মন চায় সেখানে নিয়ে যান। আসলে বাড়ি ফিরার কোনোরুপ ইচ্ছে নাই তাছাড়া আপনাকেও বেশ সুবিধার মনে হচ্ছে… এট লিস্ট কোনো ফায়দা তো নিবেন না। অবশ্য যদি না নিতে চান তাহলে সামনে কোথাও নামিয়ে দিয়েন।
আরাভ হতভম্ব হয়ে তাকিয়ে আছে মেয়েটার দিকে। কারণ কিছুক্ষণ আগেই যে মেয়ের সাথে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটতে যাচ্ছিলো সে কি করে আবারও নির্জন রাস্তায় নেমে পড়তে চায়… পরক্ষণেই আবার ভেবে নিলো এমন বিগড়ানো ও উড়নচণ্ডী মেয়ের পক্ষ এসব অসম্ভব কিছু নয়। তাই কিছুটা চেঁচিয়ে বলে উঠলো,
— আপনি কি পাগল নাকি! কিছুক্ষণ আগেই এক বিপদে পড়েছিলেন আমি আসায় বেঁচে গিয়েছেন সে যাত্রায়। তবে এটা তো কোনো স্ক্রিপ্টেড নাটক বা মুভি নয় যে প্রতিবার আমি নাহলে অন্যকেউ এসে বাঁচাবে। কতটা দুঃসাহস থাকলে মানুষ নিজের মানসম্মানের ভয় হারায়! অবশ্য আপনাদের মতো উড়নচণ্ডী ও টাকাওয়ালা বাপের বদ সন্তানদের কাছে এটা সাধারণ ব্যপারই! হাহ!
ইশা চোখজোড়া বন্ধ করে ঢাকার নিশিরাতের সতেজ হাওয়ার স্পর্শ পেতে ব্যথাতুর কণ্ঠে বলে উঠো,
— প্রিয় তোমার বিদায়ে আলো ছেড়ে, আধার পথের গহিনে চলে যাচ্ছি।
দোষটা নাহয় আমারই ছিলো, তবে অপেক্ষা তো তুমিও করেনি।
অবশ্য ছিলাম যে তোমার ভালোবাসার নয়, শুধু প্রেমখেলার সাথী।
তাই তো আজ দুপথে দুজন যেয়ে, খারাপ হয়েছি দুনিয়ার সম্মুখে আমি।
কথাগুলোর মাঝে আরাভের ভালোবাসা হারানোর তিক্ত ও কষ্টদায়ক অনুভূতির স্পর্শ পেতে বেশি একটা বেগ পেতে হলো না। কারণ এ ব্যথার অংশীদার তো সে নিজেই, তাই কথা না বাড়িয়ে ইশাকে নিয়ে নিজের পার্সোনাল ফ্ল্যাটে চলে আসে। আরাভের বাবা-মা যখন ঢাকা থাকতো না তখন আরাভ এখান থেকেই পড়ালেখা কন্টিনিউ করতো। এখনো প্রায়শয়ই আসে যখন ইপশিকে হারানোর যন্ত্রণা তীব্র হয়ে উঠে।
আরাভ ইশাকে সোফায় বসিয়ে ব্যান্ডেজ করে দিলো আর শান্ত গলায় বলে উঠে,
— কিভাবে পেয়েছিলে তাকে? আর হারিয়ে ফেলেছোই বা কি করে? জিজ্ঞেস করো না কি করে বুঝলাম। কারণ উত্তর খুব সাধারণ একই অসুখে আমি আক্রান্ত, একই যন্ত্রণায় আমি কাতরাই। তাই চলো আজ একে অপরের না পাওয়ার গল্পটাই শুনে নাহয় রাতটা পাড় করি!
ইশার ধাক্কাধাক্কিতে বর্তমান সময়ে ফিরে আসে আরাভ। মেয়েটার দিকে তাকিয়ে খাণিকটা বিচলিত হয়ে জিজ্ঞেস করে,
— কি হলো, ধাক্কাচ্ছেন কেনো?
— আমার বাড়ির সামনে এসে পড়েছি। তাই কষ্ট করে গাড়িটা থামান প্লিজ…
আরাভ নিজের মূর্খতার জন্য নিজেকে বেশ কয়েকটা গালি দিতে দিতে গাড়ি থামায়। অমনি মেয়েটা এলোমেলো পা ফেলে বাড়িটাতে ঢুকে যায়। তার যাওয়া দেখে আরাভের ম্লানমুখে কিছুটা হাসির ঝলক আসে। কিন্তু কেনো এমন হলো তা আরাভের জানা নেই। আর সে জানতেও চায় না।
কখনো কখনো খুশি ও আনন্দটাকে অনুভব করতে হয়। তার পিছনের কারণ খুঁজতে হয় না অন্যথায় আনন্দ হয় ফুরিয়ে যায় নয় হারিয়ে যায়।
সকাল আটটা, পাখির কিচিরমিচির শব্দ নয় বরং কাকের বাজখাঁই চেঁচামেচিতে ঘুম ভাঙে ইপশির। খাণিকটা বিরক্ত হয়েই চোখ মেলে সে। তবে চোখ খুলতেই সামনের দৃশ্য তার সমস্ত বিরক্তি ঘুচিয়ে হাসি ফুটে ওঠে তার মুখে। কাব্যর দিকে কাত হয়ে ঘুমানোয় এবং ঘুমের মাঝে তার মুখটা কাব্যর মুখের সামনে এসে পড়ায় চোখ খুলতেই প্রিয়তমের মুখশ্রীর দর্শন পায় সে। শুষ্ক ঠোঁটজোড়ার আলতো ছোঁয়া দিয়ে যেই না উঠতে যাবে তখনই ঘুমন্ত ব্যক্তিটির একটি হাত সাপের মতো বেয়ে তাকে টান দিয়ে বিছানায় ফেলে তাকে চেপে ধরে বুকের মাঝে।
ঘটনার আকস্মিকতা আমি থ হয়ে গেলাম। হুশ আসতেই নিজেকে ছাড়ানোর তীব্র প্রচেষ্টায় মেতে উঠলাম কিন্তু তাতেই কি সব সম্ভব হয়? নাহ, এতো বিশাল দেহি পুরুষের আমি ছোট্ট একজন মেয়ে কি করে শক্তিতে পারবো। ব্যর্থ প্রচেষ্টায় ক্লান্ত হয়ে তার বুকেতেই মিশে রইলাম এবং রাগ কমাতে তার আলতো করে নখ দিয়ে খামচে দিতে লাগলাম। কারো সাথে আমি না পারলে তাকে খামচি দেয়া ছোটকালের স্বভাব।
কাব্য ব্যথা পেয়ে চেঁচিয়ে বলতে লাগলো,
— উফফ! ইপশি কি করছো ব্যথা পাচ্ছি তো আমি। দেখো! দেখো! কেমন লাল হয়ে গিয়েছে বাই চান্স কেউ দেখে ফেললে তোমাকেই টিজ করবে জঙ্গলি বিল্লি বলে।
সে তার মতো বলে যাচ্ছে আমি আমার মতো নখের আঁচড় দিয়ে যাচ্ছি। অবশেষে সে সহ্য না করতে পেরে আমার হাত জোড়া বিছানার সাথে চেপে ধরে চোখে চোখ রেখে জিজ্ঞেস করলো,
— এবার কি করবে বলো তো সামি বেবি? ইশ! কি অবস্থা করেছে আমার বুকের, তাকানোই যাচ্ছে না কোনোভাবে। এখন এর শাস্তি তো পেতেই হবে সাথে চুরি করার শাস্তিও পেতে হবে।
চুরি করার শাস্তি শুনে আমি খাণিকটা ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেলাম। কারণ আমি তো কিছু করিনি তাহলে… অবাক হয়ে তার দিকে তাকাতেই সে ঠোঁট কামড়ে হেসে দিলো এবং বললো,
— সকাল সকাল যে আমার কপালে চুমু খেয়েছেন, আমার পার্সোনাল প্রপার্টিতে হাত উপস ঠোঁট লাগিয়েছেন তার জন্য কি আমার থেকে অনুমতি নিয়েছিলেন? নেননি তো তাই এটা চুরির কাতারেই পড়ে। তাহলে শাস্তি তো পেতেই হবে, তাই না?
— ক-কোথায় তোমাকে চুমু খেয়েছি আমি? আমি স্বপ্নে বুরাক ডেনিজকে দেখে ছিলাম তাই সে ঘোরেই চোখ খুলে তোমাকে চুমু দিয়ে বসেছি। ইন শর্ট চুমুটা বুরাকের জন্য ছিলো নট ফর ইউ।
কথাটা তাকে রাগাতে যথেষ্ট ছিলো হয়তো। আমার ছোটছোট হাতজোড়া তার একহাতের মাঝে গুঁজে নিয়ে আরেক হাত দিয়ে আমার গাল চেপে ধরলো। ইশ! মনে হচ্ছে আমার দাঁতের দ্বারাই আমার গাল আহত হবে। সে ঝাঁঝালো কণ্ঠে বলে উঠলো,
— পরপুরুষকে চুমু খাওয়ার খুব সখ না তোর? নে এখন এবং মুহূর্তে আমায় নিজে থেকে চুমু দিবি আর ভুলেও চোখ বন্ধ করে দিবি না। নাহলে শাস্তির পরিমাপ আরও বৃদ্ধি পাবে!
চুমুর কথা শুনেই আমার সব রাগ জানালে দিয়ে পালিয়ে একরাশ লজ্জানুভূতি ঘিরে ধরলো আমায়। তাই আমতাআমতা করে বলে উঠি,
— চ-চুমু কেনো দিতে যাবো আমি? এটা তো কোনো শাস্তির কাতারে পড়ে না। আমাকে ছাড়ো আমি ফ্রেশ হবো আবার নিচে যেতে দেরি হলো তোমার ফুপি কথা শুনাবে।
— তুমি আসলেই সোজা কথার মানুষ না। তোমাকে ভালোভাবে বলে কোনো কথাই শোনানো যাবে না তা আমি বুঝে ফেলেছি।
এটুকো বলেই আমার গলায় মুখ ডুবিয়ে কুট করে এক কামড় দিয়ে বসলো। আমার চোখ অশ্রুতে জলজল করছে। কারণ সে এমনভাবে কামড় দিয়েছে যেনো মাংসই উঠিয়ে ফেলবে। আমার দুচোখে ঠোঁটের আলতো স্পর্শ দিয়ে শয়তানি হাসি দিয়ে বললো,
— বুঝছোই তো আমার কথা না শুনলে কেমন ধরনের শাস্তি পেতে পারো। ডু ফাস্ট হোয়াট আই সেইড নাহলে পুরো গলায় দাঁতের চিহ্ন দ্বারা অলংকৃত হবে।
আমি বুঝে গিয়েছি আমার কাছে আর কোনো পথ বাকি নেই। তাই একটু একটু করে তার দিকে এগুচ্ছি তখনই বেডে শায়িত থাকা তার ফোনে কল আসলো। তাকাতেই যার নাম দেখলাম তাতে প্রেমানুভূতি মুহূর্তেই রাগ ও অনিশ্চয়তায় রূপ নিলো। কাব্যও কিছুটা হচকচিয়ে গিয়েছে ইশানির নাম দেখে। একপলক আমাকে দেখে ফোনটা নিয়ে তড়িঘড়ি করে ব্যালকনির দিকে ছুটলো। আমিও এক সুদীর্ঘ নিঃশ্বাস ফেলে শাওয়ার নিতে গেলাম। মনে মনে ভেবে উঠলাম,
— আমাদের সম্পর্ক কি কখনো স্বাভাবিক হবে না? কি এমন সত্য তোমার জীবনে বিদ্যমান যার জন্য তুমি আমাকে হারিয়ে ফেলতে পারো। একবার বিশ্বাস করে বলেই দেখোনা হয়তো মানতে না পারলেও মানিয়ে নেয়ার প্রচেষ্টা করবো, তবে ছেড়ে যাবো না কখনো। আমার ভালোবাসা যে এতোটাও ঠুনকো নয়…
মুখে বললেই কি সব হয়! ইপশি কি পারবে সত্যটা জানলে মেনে নিতে নাকি তার ভালোবাসার পরাজয় হবে ভাগ্যর এই দুর্দান্ত খেলার কাছে… কাব্য কি পারবে নিজের ভালোবাসাকে ইপশিকে বিশ্বাস করে নিজের বিষাদময় অতিতি তাকে জানাতে নাকি ধোঁয়াশার মাঝেই রেখে যাবে সম্পর্ককে? ইশার পক্ষে সম্ভব অতিতের অন্ধকারাচ্ছন্ন জীবন থেকে বের হয়ে বর্তমানের আলো তো উজ্জ্বলিত হতে কিংবা আরাভ কি নিজের শান্তি খুঁজে পাবে একই যন্ত্রণায় কাতার আরেকজনের মাঝে? প্রশগুলোর মাঝে আবদ্ধ জীবনগুলোর ভবিষ্যৎ কি আছে কে জানে… কে হবে কার অপ্রিয় আমি কিংবা প্রিয় আমি সেটাও ভাবারই বিষয়।
চলবে…