তুমি আমার অধিকার ( সিজন 2),পার্টঃ10
লেখক_সাব্বির আহাম্মেদ
সন্ধ্যায় হয়ে যাচ্ছে
হ্দয়কে খুটির সাথে বেধে রাখা হয়েছে।
আচ্ছা তর প্লানটা কি আবির।
আবির চা টা শেষ করে বলে, শুন তাহলে!!
নিলয়ঃ- ওয়াও দারুন আইডিয়া বের করছত। কিন্তু এটা শুনলে তো অন্তী পুরো পাগল হয়ে যাবে।
আবিরঃ- আরে ব্যাটা হতে দেয় তাকে, মেয়েরা একটু বেশি অভিমানি তাদের অভিমান না ভাঙ্গানো পযন্ত তারা কখনো নিজ থেকে এসে কথা বলবে না তাই অনেক ভেবে চিন্তে এই আইডিয়াটা বের করলাম।
নিলয়ঃ- আচ্ছা ঠিক আছে তাহলে কাজ শুরু কর কল দেয় অন্তীকে
আবিরঃ- ওয়েট দিচ্ছি
আবির ফোন নিয়ে অন্তীর ফোনে কল করলো
দুই তিনবার রিং হওয়ার পর কলটা কেউ ধরলো না। কিরে নিলয় কল তো ধরছে না..
আরে ধরবে ধরবে তুই আরেকবার কল দেয়, এইবার দেওয়াতে অন্তী কল ধরলো।
“হ্যালো কে ??
-হ্যালো অন্তী আবির শুনতে পারছো তুমি
” হুম শুনতে পারছি আবির ভাইয়া, কি হয়েছে কিছু বলবেন
– নিলয়, নিলয় ( দুই তিনবার নিলয়ের নাম নিলো তোতলিয়ে তোতলিয়ে আবির )
আবিরের কন্ঠে থেকে নিলয়ের নাম এমন শুনে অন্তী ভয় পেয়ে যায় নিলয়ের কিছু হলো না তো আবার সে খুব ভয় নিয়ে জিজ্ঞাসা করে কি হয়েছে নিলয়ের
আবিরঃ- খুব সাবধানে বলল, নিলয় এক্সিডেন্ট করেছে তুমি যত তাড়াতাড়ি পারো চলো ওমুক হাসপাতালে এইবলে সে ফোন কেটে দেয় ।
নিলয় অনেক কষ্টে হাসি থামিয়ে বলে তুই যেরকম অভিনয় করছত তোকে তো নোবেল দেওয়া উচিত রে, তবে এক্সিডেন্ট কথাটা না বললে পারতি অন্য কথা বলে মেয়েটা এখন পাগল হয়ে যাবে ।
– আবিরের মুখ থেকে এমন কথা শুনে, অন্তী ও আল্লাহ বলে চিৎকার করে উঠে অথৈয়ের নাম্বারে কল করে সে। অথৈ আগে ভাগে নিলয় আর আবিরের প্লানটা জানে তাই সে না জানার ভান করে অন্তীকে সান্তনা দিতে লাগলো।
আচ্ছা ঠিক আছে আমি তর বাসার সামনে আসতাছি তুই তাড়াতাড়ি বের হয়।
আবিরঃ- আচ্ছা শুন ওইদিকে অথৈ অন্তীকে নিয়ে আসতাছে মনে হয় তার আগে চল আমরা নিরার ব্যাপারটা খোলাসা করি তার আগে আমাদের মন্টুকে ধরতে হবে মন্টুর খোজ পেলে নিরার খোজ পাওয়া যাবে ।
নিলয়ঃ- হুম চল আর সাথে নিহাদকে নিয়ে নেই বেচারা কালকে সারাদিন আমাদের সাথে ছিলো ??
আবিরঃ- হুম নিতে পারিস তবে তাকে দিয়ে একটা কাজ করানো যায় কেনো ঝামেলা ছাড়াই
নিলয়ঃ- কি কাজ
আবিরঃ- যেতে যেতে বলি !!
অনেকক্ষণ হয়ে গেলো মন্টুর কেনো হদিস পাচ্ছে না তারা
আচ্ছা আপনারা অনুমতি দিলে আমি একটার জায়গার নাম বলতে পারি ( নিহাদ)
আবিরঃ- অব্যশই বলেন
এয়ারপোর্ট থেকে আসার সময় আমার ব্যাগপত্র সে ছিনতাই করতে চেয়েছিলো কিন্তু আমি বুদ্ধি খাটিয়ে তখনকার মতো তাত হাত থেকে বেছে গেছি
আবির বলে উঠে, ওকে চলেন সেখানে যাইইইই
ওই মামা এক কাপ চা বানাও তো চিনি ছাড়া, আরেকটা সিগারেট দেও..
– কি সিগারেট
“বেনসন দেও.!!
মন মেজাজ ভালো না আজকে
“কেন,
অনেকদিন ধরে বড় করে কেনো ধাউ মারতে পারছি না । তুমি বলো তাহলে এই জিন্দেগী রাইখা লাভ কি ? মামা কই লাইটারটা দেও..
নেন ভাই ।
মন্টু লাইটারটা নিয়ে ধন্যবাদ!!
– দিয়ে মাথা তুলে ওপরের দিকে তাকিয়ে দৌড় দিবে তার আগে নিহাদ মন্টুর কলার চেপে ঠাস ঠাস করে মন্টুর চিকন গালে থাপ্পড় বসিয়ে দিলো !! গালে গোস্ত না থাকায় আওয়াজ হয় নি.
চুপচাপ আমাদের কথা শুনবি তাহলে তুইইই ছাড় পাবি আর না হলে হাড্ডিগুড্ডি ভেঙ্গে আবার তার পুনরায় তর শরীরে লাগানো হবে ।
মন্টু এমনভাবে ধরা খাবে সে জিবনে কল্পনা করতে পারে নি, তবে বিপদের সময় মাথা গরম করলে হবে না কৌশলে এদের হাত থেকে তাকে বাচঁতে হবে । চা ওয়ালা মামা এর মধ্যে বলে উঠে আপনারা কারা মন্টুকে মারছেন কেন
নিলয়ঃ- মামা মন্টু অনেক বড় অন্যায় করছে আপনি তা বুজবেন না । আপনি ভালো করে তিন কাপ চা বানান তো মন্টু টাকা দিবে !!
চা ওয়ালাঃ- এহহ, এইই সালা গত চার পাচঁদিন বাকি খাচ্ছে আমার দোকান থেকে এক টাকাও দিচ্ছে না আরো উল্টা আমাকে হুমকি ধুমকি দেয় ।
নিলয় মন্টুর দিকে তাকিয়ে বলে- তাই নাকি বাজান তাহলে তো তুমাকে আজকে কড়া করে ধোলাই দিতে হয় ।
আবিরঃ- শুন তর সাথে এতো সময় কথা বলার সময় নেই আমার চা খেতে খেতে কথা গুলো শুনবি তারপর চা শেষ হলে কাজ শুরু করবি , ওই মামা এই মন্টুকে চা দেও
মন্টুঃ- মামা চিনি ছাড়া দিয়ো “”
নিলয়ঃ- দেখ আমরা এতো ঝামেলা করে নিরাকে ধরতে চাচ্ছি না আর নিরা কোথায় আছে তুই জানিস তাই নিরাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নিহাদের কথা বলে লেকের ধারে নিয়ে আসবি পারবি তো
মন্টু চায়ে চুমুক দিয়ে বলে যদি পারি তাহলে আপনারা কি আমাকে পুলিশে দিবেন নাকি ??
আবিরঃ- পারলে তোকে পুলিশে দিবো না, তবে ভালো হওয়ার জন্য একটা সুযোগ দিবো তোকে
মন্টুঃ- ওকে ঠিক আছে বিকালের মধ্যে আপনারা সবাই ওইখানে থাইকেন আমি নিয়ে আসবো তাকে..
নিহাদঃ- আবার পালিয়ে যাবি না তো
মন্টুঃ- ভাইসাব আমরা খারাপ হতে পারি কিন্তু কথা দিয়ে কথা রাখি চলি আসসালামু ওয়ালাইকুম
নিলয়ঃ- ওয়ালাইকুম আসসালাম যা যা । ভাই আপনাকেও নিরার সাথে কিছুটা বুজাপোড়া করে নিতে হবে কারণ এইখানে আপনার শুদ্ধ ভালোবাসা লুকিয়ে আছে । আপনাকে আপনার আবেগটাকে কন্টোল করতে হবে যেনো নিরার সামনে আপনি দুর্বল হয়ে না পড়েন ।
নিহাদঃ- ওকে ভাই সমস্যা নেই
চলবে