ঘৃণার মেরিন part : 13 season : 2

ঘৃণার মেরিন
part : 13
season : 2
writer : Mohona

.

নীড় : বুঝেছো?
মেরিন : না… আর বুঝতে চাইও না। কিছু জিনিস না বোঝাই ভালো।
বলেই মেরিন উঠতে চাইলো। কিন্তু নীড় আরও শক্ত করে জরিয়ে ধরলো।
মেরিন : দেখি ছারুন আমাকে। ঘুমাবো।
নীড় : তোমার exactly কোথায় problem বলবে? always আমার সাথে চিপকে থাকো but আমি নিজে থেকে তোমার কাছে আসলে আবার দূরে পালাও। তোমার কাহিনিটা কি বলবে?
মেরিন : আর চিপকাবো না। ছারুন আমাকে ঘুমাবো।
নীড় : ছারবোনা। সমস্যা?
মেরিন : আপনার সমস্যা হচ্ছে…
নীড় : আমার কথা তোমাকে ভাবতে হবেনা। ঘুমাও।
মেরিন : এভাবে আমার ঘুম হবে না।
নীড় : আচ্ছা…. আমি বুক থেকে সরালে লাগে আপনার ঘুম হবে?
মেরিন : হ্যা…
নীড় : ভালো দেখি কিভাবে ঘুমান…
বলেই নীড় মেরিনকে নামিয়ে দিলো।

.

নামানো ২সেকেন্ডের মাথায় মেরিন ধপ করে নীড়ের বুকের ওপর উঠে শুয়ে পরলো।
নীড় : মানে কি?
মেরিন : আমি আমার মতো করে আপনাকে জরিয়ে ধরবো।
বুঝেছেন?
বলেই মেরিন নীড়ের শার্টের বুকের কাছের ২টা বোতাম খুলে বুকে ২টা কিস করলো। নীড় মুচকি হাসলো।
নীড় : তোমাকে কি কখনোই আমি বুঝতে পারবোনা?
মেরিন : সেটা আপনার ওপর নির্ভর করে।

.

কিছুদিনপর…
জন : ম্যাম আমি কি করেছি যে আপনি আমার সাথে এমন করছেন? কি ভুল করেছি আমি? আমি তো জবটা ছারতে চাইনা।
মেরিন : কিন্তু আমি তো তোমাকে কাজটা আর করতে দিবোনা। infact কাউকেই না।
জন : ম্যাম কি এমন হয়েছে যে এমন কথা বলছেন? আর এমন ১টা সময়ে…? নীরার প্রতিশোধের যে সময় হয়ে এলো।
মেরিন : মেরিন নিজের কাজ নিজেই করতে পারে। তোমাকে মাথা ঘামাতে হবেনা।
জন: ম্যাম আমার অপরাধটা কি?
মেরিন : আমি কি বলেছি তোমার অপরাধ ?
জন: তাহলে? ম্যাম রিতা কি কিছু বলেছে?
মেরিন : বেশি কথা বলা আমি পছন্দ করিনা জন। এই নাও টাকা । তুমি এখন আসতে পারো।
জন : ম্যাম আমি এই টাকা নিতে পারবোনা।
মেরিন : টাকা নিবেনা তো খাবে কি? এই টাকা দিয়ে ছোটোখাটো ব্যাবসা করো।
জন : sorry ম্যাম… আপনি আমাকে কাজে রাখতেন তবে এর ১০গুন টাকা নিতেও আমার আপত্তি থাকতোনা।
মেরিন : তোমার সাহস কিভাবে হয় আমার ওপর কথা বলার?
জন: ক্ষমা করবেন ম্যাম। আপনি জীবন দিতে বললে হাসতে হাসতে দিয়ে দিবো। কিন্তু এটা নিতে পারবোনা।
মেরিন : ভালো। এখন চোখের সামনে থেকে দূর হও।
জন : জী ম্যাম। কিন্তু ম্যাম এই জন আপনার জন্য সবসময় প্রস্তুত। আমি আপনার ছায়া হয়েই থাকবো।
বলেই জন বেরিয়ে গেলো ।
মেরিন : sorry জন… কিন্তু তোমাকে আমি আর এভাবে আমার অভিশপ্ত জীবনের অংশীদার হতে দিবোনা। তোমার কিছু হয়ে গেলে তোমার পরিবারকে কি জবাব দিবো?

.

৩দিনপর…
মেরিন: আজকে ৩তারিখ। তার মানে আর ২দিন পর রবিবার,,, নীরা ওর plan আন্জাম দিবে। সেদিন নীড়কে কিছুতেই বাসা থেকে বের হতে দেয়া যাবেনা।

ভেবেই মেরিন বড় বড় সকল gangদের, shooteদের, killerদের সাথে মেরিন contact করলো। নীরা ওদের hire করেছে কিনা জানার জন্য। কিন্তু না। নীরা করেনি। এরপর মেরিন সকল ধরনের poison এর খবর নিলো । নীরা সেগুলোও কিনেনি….
মেরিন : plan টা কি নীরার? ও তো নিজে shoot করতে পারবেনা। ওর planটা কি?

.

নীড় : hello…
নীরা : hello baby.
নীড় : বলো..🙄…
নীরা : plan কেমন এগোচ্ছে?
নীড় : দারুনভাবে। aeroplane এর গতিতে…
মনে মনে : always আজিরা প্যাচাল…
নীরা : oh good… আচ্ছা বেবি শোনো।
নীড় : বলো…
নীরা: রবিবার একটু লেকে আসতে পারবে?
নীড় : কেন?
নীরা : বলো না…
নীড় : একটু কাজ আছে।
নীরা : প্লিজ একটু আসবে? খুব জরুরী কাজ আছে।
নীড় : আরে আমার কিছু কাজ আছে।
নীরা : আরে বাবা… its urgent … about মেরিন… please …
নীড় : ok… i’ll try to come…
কথাটা বলতে বলতে নীড় রুমে ঢুকলো। মেরিন নীড়ের দিকে ঘুরলো। নীড় ফোনটা রাখলো।
মেরিন : কোথায় যাবেন? কেন যাবেন? কবে যাবেন?
নীড় : আরে কিছুনা…
মেরিন : না বলুন না…
নীড় : আরে তেমন কিছুনা….
মেরিন : নীরার ফোন ছিলো?
নীড় : ….
মেরিন : বববলুন না…
নীড় : ….
মেরিন : কি হলো? বলুন…
নীড় : হামম।
মেরিন : ও কি বলল?
নীড় : ২জন প্রেমিক যুগলের কথা জেনে তুমি কি করবে হামম…😁..
মেরিন : বলুন না…
নীড় : আমমম…. বলা যাবেনা…
মেরিন : ববববলুন না… ও কি আপনাকে রবিবার যেতে বলেছে?
নীড় :তুমি কি করে জানলে?
মেরিন : সেটা আপনার জানতে হবে না। আপনি আজকে থেকে আগামী ৭দিন বাসা থেকে বের হবেন না।
নীড় : মানে? কেন?
মেরিন: না মানে না।
আমি যখন বলেছি না তখন না…
বলেই মেরিন রান্নাঘরে চলে গেলো।
নীড় : তুমি আসলেই অদ্ভুদ…
মেরিন বাসার security ১০গুন বারিয়ে দিলো।

.

২দিনপর…
আজকে রবিবার…
মেরিন ঘুম থেকে উঠে দেখলো নীড় রেডি হচ্ছে। মেরিন ধরফরিয়ে উঠে বসলো।
মেরিন : আআপনি কোথায় যাচ্ছেন?
নীড়: কাজ আছে।
মেরিন : নীরার কাছে?
নীড় : হামম।
মেরিন : আপনি যাবেন না।
নীড় : মেরিন… সবকিছুতে বাধা ভালো লাগেনা।
মনে মনে : আমি তো যাবোনা হুদ্দাই একটু মজা নিচ্ছি… যেন তুমি এসে romance করো… 😜..
মেরিন : দেখুন নীড় আপনি কোথাও যাবেন না…
নীড় : কেন যাবোন কেন?
মেরিন : না বলেছি তো ।
নীড় : কারন টা বলো। কারন বললে যাবোনা।
মেরিন : কারনটা আমি আপনাকে বলতে পারবোনা। কিন্তু please যাবেন না…
নীড় : কারন বলো…
মেরিন : গেলে আজকে নীরা আপনাকে মেরে ফেলবে…
নীড় : মেরিন… 🤬… সবকিছুর লিমিট থাকে।
মেরিন : আমি সত্যি বলছি নীড়… বিশ্বাস করুন…
নীড় : shut up… just shut up… লজ্জা করেনা কারো নামে এমন মিথ্যা বলতে?
মেরিন : আমি সত্যি বলছি….
নীড় : ভেবেছিলাম যাবোনা। কিন্তু এখন যাবোই…. নিজে খুনী বলে তুমি অন্যদেরও খুনী বলবে বা ভাববে তা কিন্তু ঠিক না….
মেরিন : নীড় আমি সত্যি বলছি।
নীড় : রাখো তোমার সত্য… সরো যেতে দাও…
মেরিন : কোথাও যেতে দিবোনা আমি আপনাকে…
নীড় : সরতে বলেছি।
মেরিন : না…
নীড় ঠাস করে মেরিনকে থাপ্পর মারলো।
মেরিন : আমাকে মেরে ফেললেও আপনাকে যেতে দিবোনা।
নীড় : আমিও যাবো….
মেরিন নিজের গান নিয়ে নীড়ের দিকে ধরলো।
মেরিন : যাবেন না আপনি…
নীড় : দেখিয়ে দিলে নিজের আসল রূপ…

.

মেরিন : …
নীড় : মারো আমাকে…
মেরিন গানটা নামিয়ে নিলো । নীড় বেরিয়ে যেতে নিলো ।
মেরিন : দারান নীড়…
নীড় : আবার কি?
মেরিন বুলেট প্রুফ জ্যাকেট টা নীড়কে দিলো।
মেরিন : এটা পরে নিন…
নীড় : have you lost it…
মেরিন : হ্যা…. পরলে তো অসুবিধা নেই। আপনি যাবেন। যেতে না করবো না। কিন্তু এটা পরুন… আর এই গানটাও রাখুন…
নীড় : বারাবারি করছো …
মেরিন : করছি… এতোটুকুই না। অনেক গার্ডও থাকবে আপনাকে দূর থেকে protect করার জন্য…
নীড় : আচ্ছা সব কথা মানলাম… যদি তোমার কথা মিথ্যা হয় ? তবে?
মেরিন : যেই শাস্তি দেবেন মাথা পেতে নিবো।
নীড় : মনে থাকবে? পরে আবার না করবে না তো?
মেরিন : না…
নীড় : ok প্রস্তুত থেকো…

.

লেকে…
নীড় : নীরা…
নীরা : বেবি….
বলেই নীরা নীড়কে জরিয়ে ধরলো। সকল গার্ড আর মেরিন লুকিয়ে আছে। নীড় নিজেকে ছারিয়ে নিলো।
নীড় : কেমন আছো?
নীরা : এখন তো সেদিনই ভীলো থাকবো যেদিন আমার উদ্দেশ্য হাসিল হবে…. তোমাকে পাওয়ার….
নীরা কোনো কিছুই করলো না… কথা টথা বলে নীড় চলে গেলো। মেরিন তো অবাক।

.

বাসায়….
মেরিন মাথা নিচু করে বসে আছে । সামনে নীড় বসে আছে। মেরিন জানে যে নীড় শাস্তি স্বরূপ divorce এর কথাই বলবে… তাই ১দিকে মেরিনের হাতপা জ্বমে ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে ঘামের ওপর ঘাম দিচ্ছে।
জীবনে এই প্রথম মেরিন এমন situationএ। তাই situationটা মেনে নেয়ার জন্য ওরনার নিচে হাতের মুঠোয় ১টা ছুরি নিয়ে রেখেছে। যেটা চেপে ধরে রেখেছে। যারজন্যে মেরিনের হাতকেটে রক্ত বের হচ্ছে।
নীড় : কিছু বলবে….
মেরিন : ….
নীড় : তুমি আমাকে স্পর্শ করবে না…. আমার সামনেও আসবেনা…
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো। মেরিন কথাটা শুনে চোখ বন্ধ করে নিলো।

.

একটুপর…
মেরিনের মোবাইলে ১টা call এলো। unknown number …
মেরিন বুঝতে পারলো যে এটা নীরা।
মেরিন ধরলো।
মেরিন: ফোন করার কারন?
নীরা : কি ভেবেছিলি…?নীড়কে আজকে মেরে দিবো?
মেরিন : …
নীরা : plan change রে…. নীড়ের charmএ আটকে গেছিরে। তাই নীড়কে মারা cancel … ওকে তোর কাছে থেকে ছিনিয়ে নেবো।
মেরিন কোনো জবাব না দিয়ে কেটে দিলো।

.

রাতে…
নীড় বাসায় ফিরলো। রুমে ঢুকলো
ঢুকে দেখে রুমে কোথাও মেরিন নেই। fresh হতে ঢুকলো। বেরিয়ে দেখে ওর জুস রাখা। যেটা রোজ ও বাইরে থেকে এলে খায়। নীড় খানিকটা অবাক হলো। রাতে খাওয়ার সময়ও নীড় মেরিনকে দেখলো না। নীড় কিছু বুঝলোনা।

.

রাত ১১টা…
নীড় : কি ব্যাপার?
মেরিন কোথায় গেলো। তখন ১টা servant এলো। কফি নিয়ে। নীড় ঘুমানোর আগে কফি খায়।
servant: স্যার আপনার কফি…
নীড় নিলো।
নীড় : তোমাদের ম্যাডাম কোথায়?
servant : না মানে ম্যাম গেস্টরুমে।
নীড় : what?
servant : জী স্যার।
নীড় : আচ্ছা তুমি আসো…
servant চলে গেলো।
নীড় : পাগল নাকি? গেস্টর… oh no… তখন তো আমিই বললাম… ধ্যাত… কি যে করি….
মেরিন আর নীড়ের সামনে এলোনা। নীড় ছটফট করতে লাগলো। কিছুতেই ঘুমাতে পারছেনা। মেরিন ঘরে বসে cctv তে নীড়কে দেখছে।
মেরিন: আমি জানিনা নীরার কি উদ্দেশ্য ? কিন্তু ও যে ওর plan change করেনি সেটা জানি… ওর plan বের তো আমি করবোই…
আর নীড় আপনি…. মানুন না মানুন মেরিনের মায়ায় আপনি পরে গেছেন… মেরিনের ঘৃণার জালে জরিয়ে গেছেন। আপনার থেকে দূরে থেকে যতোটা আমার কষ্ট হবে তার কিছুটা আপনারও হবে।
আপনি কি ভেবেছেন আপনার দেয়া শাস্তির জন্য আমি দূরে… না নীড়… আমি চাইলে আপনাকে বাধ্য করতে পারি শাস্তি বাতিল করাতে… কিন্তু করবোনা। একটু আপনিও দেখুন যে আপনি আমার ঘৃণার জালে আটকে গেছেন।

সারারাত নীড়-মেরিন না ঘুমিয়েই কাটিয়ে দিলো।

.

সকাল ৭টা….
একটু আগে নীড়ের চোখ লাগলো। মেরিন নীড়ের রুমে ঢুকলো। ইচ্ছা মতো নীড়ের চোখে মুখে কিস করলো। এরপর নীড়ের হাতে সবসময় থাকা ব্রেসলেট টায় ১টা tracker লাগিয় বেরিয়ে গেলো।

.

বেলা ১০টা…
নীড় office গেলো। বুক ভরা আশা নিয়ে। মেরিনকে দেখার…. কিন্তু সেখানে গিয়ে জানতে পারলো মেরিন খান office …. সারাটা দিন নীড়ের just জঘন্য গেলো।

.

১৫দিনপর…
নীড় পুরাই দেবদাস হয়ে গেছে। মেরিনেরও হাল নাজেহাল। কিন্তু ও তো তবু নীড়কে altime দেখেছে। গেস্টরুমে গিয়ে যে দেখবে তারও উপায় নেই। কারন মেরিন জানালা দরজা সব বন্ধ তো করে রাখেই সেই সাথে পর্দাও দিয়ে রাখে। নীড় আজকে office যাওয়ার সময় হাতের ব্রেসলট টা খুলে পরে যায়। office থেকে ফেরার পথে নীরার সাথে দেখা হয়। নীড় ignore করে চলে আসতে নেয় নীরা পথ আটকায়।
নীরা : কোথায় যাচ্ছো নীড়?
নীড় : দেখছোনা বাসায় যাচ্ছি?
নীরা : হামম। যাও। বলো তো পরশু কি?
নীড় : কি?
নীরা : এটা ভুলে গেলে? আমাদের relationship এর anniversary ৩বছর পূরন হলো। ভোর ৪টা বাজে এসে আমাকে propose করেছিলে…
নীড় : …
নীরা : এরপর থেকে তো গত ৩বছর ধরেই ৪টা বাজে আমাকে নানা ভাবে i love you বলে আসছো… আর এবার নাকি ভুলেই গেছে…
নীড় : …
নীরা : আচ্ছা এবার আমি তোমাকে surprise দিবো… আর promise … এবার কোনো দুষ্টুমি করবো না… আর করতেও বলবেনা। চলে এসো। কেমন ?
নীড়: দেখো নীরা গত ৩বছর আর এবার না। এখন আমি married … তাই তোমার সাথে আর কোনো সম্পর্ক রাখতে পারবোনা…
নীরা : অভিনয় করতে করতে কি সত্যি তুমি মেরিনের প্রেমে পরে গেলে…
নীড় : যেটা ভাবো…
নীরা : নাকি মেরিন কিছু করেছে?
নীড় : কেউ কিছু করেনি…
নীরা চোখে পানি বের করে
বলল : বেশ… যদি তুমি মেরিনের সাথে সুখী হও তবে সেটাই হোক। তোমার সুখের থেকে বড় আমার কাছে কিছুই নেই। তবে ৩বছরের সম্পর্কের বদৌলতে ছোট্ট ১টা আবদার করতে পারি?
নীড় : করো…
নীরা : এবার ভোর ৪টায় শেষ বারের মতো একটু আসবে? কসম আল্লাহর ভালোবাসার দাবি করবোনা… আর না কখনো তোমার কাছে কোনো কিছু চাইবো… আর না কোনো সম্পর্ক রাখবো…
আসবে?
নীড় : …
নীরা : আল্লাহর কসম খেয়ে বললাম… তাও বিশ্বাস হলো না?
নীড় : …
নীরা : ১বার এসো… না হলে এই নীরা… চিরনিদ্রায় চলে যাবে…
বলেই নীরা যেতে নেয়
নীড় : দারাও নীরা…
নীরা দারালো।
নীড় : আসবো।
নীরা হাসি দিয়ে চলে গেলো।

.

পরদিন….
রাত ১২টা…
নীড় জেগে আছে। কিন্তু কেন যেন মেরিনের ভীষন খুব ঘুম পাচ্ছিলো। তাই ঘুমিয়ে পরেছে। বাকী সবাইও ঘুম। বাইরে প্রচন্ড বৃষ্টি পরছে। আর বাজ পরছো। হঠাৎ ই মেরিন নীড়কে নিয়ে খুবই বাজে ১টা স্বপ্ন দেখলো। আর নীড় বলে চিল্লানি দিয়ে উঠলো। নীড় শুয়ে শুয়ে মেরিনের পাগলামো গুলো কল্পনা করছিলো। মেরিনের চিৎকার শুনতে পেয়ে ছুটে মেরিনের রুমে গেলো। দরজায় নক করতে লাগলো।
নীড় : মেরিন… মেরিন…
মেরিন : no response ….
নীড় দরজা ভেঙে ফেলল। ঢুকে দেখে যে মেরিন চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছে। ছুটে মেরিনের কাছে গেলো।
নীড় মেরিনের কাধে হাত রাখলো।
নীড় :কি হয়েছে?
মেরিন চোখ মেলল। নীড়কে দেখে জরিয়ে ধরতে গিয়েও থেমে গেলো। নীড় বিষয়টা বুঝতে পেরে নিজেই মেরিনকে খুব শক্ত করে জরিয়ে ধরলো….

.

চলবে…

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here