সেন্সলেস অবস্থায় এক সুন্দরী যুবতীকে বিছানায় দেখে লোভ সামলাতে পারছেনা জাবের। বয়স আঠারো-উনিশ হবে।
আজ দুপুরে এই সুন্দরী যুবতীকে বহুকষ্টে নিজের কব্জায় এনেছে। ছয়জন মিলে মেয়েটিকে কিডন্যাপ করেছে। অবশেষে সফল ও হয়েছে। শুধু শারীরিক চাহিদার জন্য মেয়েটিকে এভাবে নিয়ে আসেনি। মেয়েটিকে নিয়ে আসার পেছনেও রয়েছে গভীর রহস্য।
ধীরে ধীরে মেয়েটির কাছে এগিয়ে গেলো জাবের।
মেয়েটির পাশে বসে বাঁকা হাসলো। একটু ঝুঁকে মেয়েটির মুখে হালকা ফুঁ দিয়ে অট্রস্বরে হেসে ওঠলো। ডানহাতের শাহাদাৎ আঙুল দিয়ে কপাল থেকে ধীরে ধীরে গলা অবদি আলিঙ্গন করে আবার ওঠে পড়লো। নিজে নিজেই বলতে শুরু করলো- কন্ট্রোল জাবের কন্ট্রোল,,, এতো সুন্দরী মেয়ে দেখে লোভ সামলাতে পারছোনা,,,, পরের বউ এর প্রতি বরাবরই তোমার বেশ লোভ তাই বলে এতোটা কন্ট্রোলহীনতা তো কখনোই দেখিনি। সবটাই কি প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য??? নাকি মেয়েটির রূপ দেখে তোমার পুরুষত্ব জেগে ওঠেছে। হো হো করে হেসে ওঠলো জাবের । আর ভাবলো নাহ এভাবে নয়। ঘুমন্ত বাঘিনীর সাথে লড়াই করার থেকে জাগ্রত বাঘিনীর সাথে লড়াই করে বেশী মজা পাবো। জাবের আপন মনে হাসতে হাসতে বেরিয়ে গেলো।
এদিকে পুরো ঢাকা শহড় কাঁপিয়ে তুলেছে ইমন চৌধুরী। তার হৃদপিণ্ডে যে কারো অশুভ হাত পড়েছে। শুধু হৃদপিণ্ড নয় তার কলিজার টুকরোও যে আছে। এই দুইটা ছাড়া সে বাঁচতে পারবে না। তার পক্ষে বাঁচা সম্ভব না।
বিকেল হয়ে গেলো। চৌধুরী বাড়িতে যেনো শোকের পাহাড় তৈরী হয়ে গেলো। মোজাম্মেল চৌধুরী থানায় ইনফর্ম করে সবেমাএ বাড়ি ফিরেছে। তার পুএবধূ নিখোঁজ ।
ইরাবতী,দিপান্বীতা কেঁদে কেঁদে অস্থির হয়ে পড়েছে।
দিপক,ইমন,দিপু বাড়ি ফিরেনি। এশা দিপক কে ফোনের উপর ফোন করে যাচ্ছে কিন্তু দিপক ফোন ধরছে না।
মুসকান যে চৌধুরী বাড়ির মানুষ দের মনে কতোটা বিরাজ করছে। তার শূন্যতা প্রত্যেকটা মানুষ কে কতোটা কষ্ট দিচ্ছে সেটা তার নিখোঁজ হওয়ার পর সবাই খুব বেশী করেই টের পেলো।
ইরাবতী বললো- আমার ছেলেটাকে কি করে সামলাবো,,, আমার ছেলে যে শেষ হয়ে যাবে,,,
ভালো মেয়েটা ভার্সিটি গেলো আর ফিরলো না।
সারাজীবন আমরা ইমনের কাছে দোষী হয়ে থাকবো যদি মুসকান কে ফিরে না পাই বলেই হুহু করে কেঁদে ওঠলো।
মোজাম্মেল চৌধুরী ইরাবতীকে ধমক দিয়ে বললো- তুমি চুপ করবা,,, মুসকানকে আমরা ফিরে পাবোই,,, মইনকে ইমন ময়মনসিংহ পাঠিয়েছে,,, ওর যাকে যাকে সন্দেহ হচ্ছে সবার খোঁজ নেওয়া,হচ্ছে ফিরে পাবোই আমরা। মনে রেখ মুসকান এখন একা নয় ওর মাঝে আমার বংশধর ও রয়েছে। যে কোন মূল্য ওকে ফিরিয়ে আনবোই।
১৮,১৯বছরের এক গর্ভবতী মেয়েকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে যাচ্ছে জাবের। মেয়েটা নিজেকে এবং নিজের সন্তান কে বাঁচানোর জন্য প্রানপনে চেষ্টা করে যাচ্ছে। তিন মাসের গর্ভাবস্থায় একটা মেয়েকে খুবই সাবধানে থাকতে হয়। কিন্তু তাকে একজন হিংস্র পুরুষের সাথে লড়াই করে যেতে হচ্ছে। অবশেষে কোন উপায় অন্তর না পেয়ে একটা কাঁচের গ্লাস ছুঁড়ে দিলো জাবের এর দিকে। কিন্তু সে ব্যার্থ হলো জাবের সরে গেছে তার লাগে নি।
আবারো তার দিকে এ্যাটাক করতে যাবে এমন সময় মেয়েটা এক ধাক্কা দিয়ে দরজা খুলতে গেলো। এবং সে সফল ও হলো। দরজা খুলে পালানোর চেষ্টা করতে লাগলো। কিন্তু জাবের তাকে পিছন থেকে ধরে ফেললো। মেয়েটা কি নিজেকে রক্ষা করতে পারবে?? বা কেউ কি তার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবে?? মেয়েটা আর কেউ নয় মুসকান।
রাত আটটা বাজে রাস্তার মাঝখানে হাঁটু গেড়ে বসে দুহাত দুদিকে মেলে মুসকান বলে এক চিৎকার দিলো ইমন।
দিপক, দিপু গিয়ে পাশে দাঁড়ালো কি বলবে তারা কিছু বলার ভাষাও যে তাদের জানা নেই।
ইমন দুদিনের জন্য সিলেট গিয়েছিলো। মুসকান কে নিয়ে যায় নি কারন মুসকান তিনমাসের প্র্যাগনেন্ট।
যাওয়ার সময় বার বার বলে গিয়েছে মুসকান যেনো বাড়ির বাইরে না যায়। দিপক অফিসে ছিলো।
মুসকান জোর করেই ভার্সিটি গিয়েছে ইরাবতী আর দীপান্বিতা কে ম্যানেজ করে। দিপু গিয়ে রেখে এসেছে ভার্সিটিতে। দিপু বলেছিলো আপু তুই যখন বের হবি তার দশমিনিট আগে ফোন দিবি। মুসকান দিপুকে ফোন দেয় নি। ভার্সিটি তে এসেও মুসকান কে পায় নি। ইমন দুটোর সময় বাড়ি ফিরে জানতে পারে এসব কথা। সাথে সাথে বাড়ির সবাইকে ধমকে বেরিয়ে যায়।
মুসকানের সব বন্ধু -বান্ধব এর বাসায় খোজ নেয়।
হেনা এখন মুসকানের সাথে একি ভার্সিটিতে পড়ে না তবুও তার বাসায় খোজ নেয়। প্রত্যেকটা স্যার ম্যাডামের বাসায় খোজ নেয়। কেউ কিছু বলতে পারেনা।
বাড়ির সবাই নিজেদের মতো খোঁজ নিচ্ছে। পুলিশ ও তাদের মতো চেষ্টা করছে।
ইমন হঠাৎ শান্ত হয়ে ওঠে দাঁড়ালো দিপক কে বললো- চল আমরা ভার্সিটিতে যাবো সিসি ক্যামেরা চেক করা হয়নি।
দিপক আর দিপুর মুখ উজ্জ্বল হয়ে গেলো।দিপক বললো- ইয়েস তারাতারি চল।
জাবেরের সাথে মুসকান বেস ধস্তাধস্তি শুরু করে দিয়েছে। এক পর্যায় জাবের মুসকানের ওড়নাটা টেনে নিচে ফেলে দিলো। লোভাতুর মুখ করে মুসকানের দিকে এগিয়ে যেতে নিলেই মুসকান ঠাশশ করে জাবের এর গালে এক থাপ্পড় দিলো।জাবের রেগে মুসকানকে এক থাপ্পড় দিয়ে নিচে ফেলে দিলো।
মুসকানের ঠোঁট কেটে রক্ত ঝড়তে শুরু করলো।
মুসকান দুহাত জোর করে ক্ষমা চাইলো কান্না করতে করতে বললো- প্লিজ আমাকে ছেড়ে দিন। আমার কোন ক্ষতি করবেন না প্লিজ।
জাবের এগিয়ে গেলো মুসকান দুহাত ফ্লোরে ভর করে পিছিয়ে গেলো। মুসকানের খুব কষ্ট হচ্ছে এই অবস্থায় এতো নড়াচড়া করতে সেই সাথে ভয়ে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়ে গেছে। পেটের ভিতর কেমন মোচড়ামোচড়ি শুরু হচ্ছে তার।
হাহাহাহা তোকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তো ধরে আনিনি সুন্দরী। তুই আমার শরীরের ক্ষুদা মিটাবি এখন। তারপর তোকে নিয়ে যা করবো তুই ভাবতেও পারবিনা বলেই জাবের মুসকানের একদম কাছে চলে গেলো।
মুসকানকে স্পর্শ করতেই মুসকান জাবেরের হাতে এক কামড় দিলো। জাবের আহ করে হাত ধরলো মুসকান সেই সুযোগে পেটে ধরে ওঠে দাঁড়ালো। আর এক দৌড়ে রুমের বাইরে গিয়ে বাহির থেকে রুমের সিটকেরি আটকিয়ে দিলো।
অচেনা জায়গা। কোথায় এসেছে কোনদিকে রাস্তা কিছুই বুঝতে পারছে না মুসকান। তার বমিও পাচ্ছে খুব। ক্ষুধার যন্ত্রণায় তার পেটে মোচড়ামুচড়ি শুরু করে দিয়েছে। সেই সকালে খেয়েছিলো আর কিছু পড়েনি পেটে। কোনদিক যাবে সোজা গেলো দৌড়ে কিন্তু বুঝতে পারলো বাইরে বেশকয়েকজন লোক আছে । সিগারেট খাচ্ছে আর বাজে বাজে কথা বলছে লোকগুলোও যে খারাপ বেশ বুঝতে পারলো।
এদিকে জাবের চিৎকার করছে আর দরজায় শব্দ করছে।
এখন কি হবে কোন দিকে যাবো আমি,,,
বাইরের লোক গুলো জাবেরের কন্ঠ পেয়ে ভিতরে দৌড়ে এলো মুসকান পাশের অন্ধকারে চুপ মেরে বসে রইলো। লোক গুলো ঘরের দিকে যেতেই মুসকান ডান পাশে সিঁড়ি দেখতে পেলো।
ধরা পড়ে যাবে সেই ভয়ে ধীরে ধীরে সিঁড়ি বেয়ে একদম উপড়ে ওঠে গেলো।
এদিকে ছেলে গুলো জাবেরকে বের করলো।জাবের বাজে ভাষায় গালি দিলো আর বললো – শালী পালাইছে বাড়ির বাইরে যেতে পারেনাই খোঁজ তরা।
সবাই মুসকানকে খুঁজতে লাগলো।
মুসকান সিঁড়ি বেয়ে ছাদে ওঠে গেলো । অন্ধকারে কিছু দেখতে পারছে না মুসকান। খুব ভয় হচ্ছে শরীর ও অসার হয়ে আসছে কি করে বাঁচাবে নিজেকে। সারাজীবনতো ইমন তাকে আগলে রেখেছে এই বিপদ থেকে কিভাবে ইমন তাকে বাঁচাবে। কি করে জানবে তার প্রানপাখি কোথায় আছে।
মুসকান কান্না করতে করতে হাঁপাতে লাগলো।
ইমন তুমি কোথায়। আমাকে প্লিজ এখান থেকে নিয়ে যাও আমার শরীর খুব খারাপ লাগছে ইমন খুব। তোমার আমার পুচকিটাও যে খুব কষ্টে আছে। মুসকান ডুকড়ে কেঁদে ওঠলো।
হঠাৎ সিঁড়ি তে শব্দ শুনতে পেলো। জাবেররা আসছে। মুসকান কি করবে কোনদিক যাবে বুঝতে পারছে না। হাতদিয়ে হাতরিয়ে হাতরিয়ে ছাদের একদম কিনারে চলে গেলো।
জাবের ছাদে এসে মুসকানের দিকে লাইট ধরতেই মুসকান ভয়ে ভয়ে পিছিয়ে যেতে যেতে সেখান থেকে পড়ে গেলো।
জাবের এই দৃশ্য দেখে ভয়ে দু পা পিছিয়ে গেলো তার সাথে ছেলে গুলো কে নিয়ে তারাতারি এই বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেলো।
ছাদের সাথেই আম গাছ ছিলো আম গাছের ডাল ধরেই চিৎকার করছে মুসকান। হাতে জোর নেই তার তবুও বাঁচার জন্য কষ্ট করে ধরে আছে। আশে পাশের সীমানায় কোন মানুষ আছে বলে বোঝা গেলো না।
মুসকান কাঁদতে কাঁদতে অস্থির হয়ে পড়লো খুব বমিও পাচ্ছে তার। হাজার চেষ্টা করেও বমি আটকাতে পারলো না। বমি করতে গিয়ে হাতে অবশ হয়ে এলো। ডাল ছেড়ে দিতেই একদম নিচে পড়ে গেলো মুসকান। পড়ার সময় ইমন বলে শুধু এক চিৎকার দিলো। ইটের উপড়ে পড়ায় মাথায় আঘাত পেলো মাথা ফেটে গলগলিয়ে রক্ত মাটিতে পড়লো।
পাজামা ভেদ করে রক্ত পা দিয়ে বেয়ে বেয়ে পড়তে লাগলো সেখানেই জ্ঞান হারালো মুসকান। রাত তখন এগারোটা।
একতলা থেকে পড়ে মুসকান বা মুসকানের সন্তান কি সুস্থ অবস্থায় ফিরতে পারবে ইমনের কাছে।
নাকি এখানেই সমাপ্তি ঘটবে মুসকানের জীবনের???
জাবের ভেবেছে মুসকান পড়ে গিয়ে হয়তো মরে গেছে। ইমনকে জব্দ করার প্ল্যান শেষ হয়ে গেলো তার। তবুও যা ক্ষতি করতে পেরেছে এতেই অনেক ভেবেই সেখান থেকে চলে গেলো জাবের।
এবার দূর থেকে ইমনের জীবনের করুন পরিনতি দেখবে আর মজা নিবে সে। ভেবেই খুশিতে গদগদ হয়ে গাড়িতে ওঠে চলে গেলো।
ইমনের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়লো। সে স্পষ্ট দেখতে পারছে ছয়জন কালো কাপড়ে মুখ ঢাকা পুরুষ লোক মুসকানের মুখ চেপে গাড়িতে ওঠাচ্ছে। ঘটনাটা ভার্সিটির পিছন গেইটের সামনে। কিন্তু মুসকান কেনো ভার্সিটির পেছন গেইট দিয়ে বের হতে গেলো??তার সাথে আর কেউ কেনো ছিলো না। সব প্রশ্নের উত্তর মেলাতে পারছে না ইমন। এই ছয়জনই বা কে?? সবটাই কি প্ল্যান মাফিক করা?? পরিচিত কেউ না কি অপরিচিত?? ইমন ল্যাপটবটা এক ঢিল দিলো রাগে দেয়ালের সাথে লেগে ফ্লোরে পড়ে গেলো।
দিপক ইমনকে শান্ত করার চেষ্টা করলো। পুলিশকে ইনফর্ম করে রাতেই তারা বেরিয়ে পড়লো। মুসকানকে নিয়ে কিডনাপার রা গাড়ি নিয়ে যেদিকে গেছে তারাও সেদিকে উদ্দেশ্য করে বেরিয়ে পড়লো।
ইমনের বুকের ভিতর ঝড় বয়ে চলেছে। একটু একটু করে গড়ে তোলা জিনিসে এইভাবে কেউ হানা দিবে সে কল্পনাও করতে পারেনি। বুক চেপে তার কান্না আসছে।
হে আল্লাহ তুমি আমার মুসকান কে সুস্থ অবস্থায় আমার কাছে ফিরিয়ে দাও। সারাজীবনে যদি একটু ও পূন্য করে থাকি তার বিনিময়ে হলেও মুসকানকে ফিরিয়ে দাও আমার কাছে। আমার বউ আমার সন্তান কে সুস্থ ভাবে ফিরে পেতে চাই। যার উপর একটা ফুলের টোকাও পড়তে দেইনি এতোগুলা বছর। তার উপর আজ যে বিপদ এসেছে সেই বিপদ থেকে তুমি তাকে রক্ষা করো আল্লাহ।
সারাটাদিন কোথায় আছে কিভাবে আছে কে জানে।
ওর তো এখন খুব তারাতারি ক্ষিদে পায় বাবু যে খুব জ্বালায় কিছু খেয়েছেতো। জানোয়ার গুলা ওকে না খাওয়িয়ে রাখেনিতো। বাবুর ও কি খুব কষ্ট হচ্ছে,,,
জানোয়ার গুলা আমার মুসকানের কোন ক্ষতি করেনিতো,,,আমার বাবুর মা ঠিক আছে তো। চোখ দুটো বন্ধ করে ফেললো ইমন। চোখ বেয়ে পানি গড়িয়ে পড়লো। আর কিছু ভাবতে পারছে না সে।
মুসকানকে ফিরে না পাওয়া অবদি তার শরীরে আগুন জ্বলতেই থাকবে। আর সেই আগুনে পানি একমাএ মুসকান ই দিতে পারবে।
ইমন চোখ খুলে তাকালো। চোখ দুটো রক্ত বর্ন ধারন করেছে। ছাড়বোনা আমি,,, ছাড়বোনা,,, আমার হৃদপিণ্ডে যে হাত দিয়েছে তাকে আমি ছাড়বোনা বলেই দুহাত শক্ত করে মুঠ করলো।
দিপক ইমনকে শান্ত করার চেষ্টা করলো।
ইমন বললো- শয়তানগুলো কি চায়,,, মুক্তি পন চাইলে তো সেটা এতোখনে চেয়ে ফেলতো। তাহলে কি চাইছে কি? উদ্দেশ্য কি ওদের? মুসকানের ক্ষতি করবেনা তো,,,
না,,,,এতো বড় বুকের পাটা কারো হতে পারেনা যে আমার জিনিসে হাত দিবে। আর যে এই ভুল করেছে তার পরিনতি যে কতোটা ভয়ংকর হতে পারে সেটা কেউ কল্পনাও করতে পারবেনা।
ইমন শান্ত হ ভাই আমার মাথা ঠান্ডা রেখে আগে মুসকান কে খুঁজে বের করতে হবে। তারপর এসব নিয়ে ভাবা যাবে।
হ্যাঁ। ওকে খুঁজে বের করা অবদিই আমি চুপ থাকবো। তারপর আমার ধ্বংস লীলা থেকে কেউ রক্ষা পাবে না কেউ না,,,।
সকাল সাতটায় স্কুল পড়া পাঁচ সাতটা ছেলে মেয়ে যাচ্ছিলো গ্রামের রাস্তা দিয়ে। তাদের মধ্যে শিপন নামের এক ছেলে বললো- ঐ দেখ দেখ একজন মহিলা মাটিতে শুয়ে আছে ঐ ভাঙা বাড়ির পিছনে দেখ। সব বাচ্চারা তাকালো। মুসকান কে দেখে তারা এগিয়ে এলো।
একজন বললো- এই শিপন রক্ত,,, বাচ্চারা সবাই হায় হায় করতে লাগলো। কেউ কেউ ভয় পেতে লাগলো।
শিপন বললো বড়দের কাউকে ডেকে আনা দরকার রে,,, তোরা থাক আমি আসছি,,,
চলবে…
ভুলত্রুটি ক্ষমা করবেন।
বউ চুরি
সিজন-২
পর্ব ঃ ১
লেখিকা ঃ জান্নাতুল নাঈমা
যারা বউচুরি সিজন -১ পড়েন নি তারা পড়ে নিবেন। আশা করছি সিজন -২ সবার ভালো লাগবে।