জ্বীন রহস্য(love story)❤Season 2,Part 3,4
Writer Maishara Jahan
Part 3
,,,, হ্যালো বাবা আমি রিমি বলছি, আমি ভার্সিটিতে না ডাক্তার এ পড়তে চাই তার ব্যবস্তা করো। আর আমি আট বছর পর বাড়ি ফিরছি সবাইকে বলে দিয়ো, বাই।
,,,,,,,,,
রিমি,,,,,,,,,, মা বাবা কোথায় তোমরা আমি এসে গেছি৷
রিমান,,,,,,,,,, আরে আমার পেত্নী, রাক্ষসনী শাঁকচুন্নি কলিজার বোন আমার এসে পরেছিস 😁
রিমি,,,,,,,, হ 😐 তুই এখনো মরছ নাই
রিমান,,,,,,, না রে,, শকুনের দোয়ায় গরু মরে না😏
রিমি,,,,,,,, তুই কি নিজেকে গরু বলছিস 😂🤣
রিমান,,,,,,,, আমি কাওকে শকুনও বলেছি ঐটা শুনিস নি।
মা,,,,,,,,,, থাম, এসেই শুরু হয়ে গেছে।
রিমি,,,,,,,,, মা আমি তোমাকে কত্তো মিস করছি জানো ( নেকামি করে জরিয়ে ধরে )
মা,,,,,,,,, আমি ও 😥😥
বাবা,,,,,,,,, আমার রিমি মা এসে গেছে, আয় আমার বুকে আয় কতো দিন দেখি নি৷
রিমি,,,,,, বাবাই 😭😭
বাবা,,,,,,, আহারে আমার মাটা দিন দিন না খেয়ে কাঠির মতো হয়ে গেছে। ( জরিয়ে ধরে )
রিমান,,,,,, তো এতো তাড়াতাড়ি আসলেন যে আমার কনসেপ্ট অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে।
রিমি,,,,,,, সরি ভাইয়া অনেক জেম ছিলো।
রিমান,,,,,,,, ওওও আকাশে জেম ছিলো বুঝি তাই বিমানে আসতে দেরি হয়েছে।
রিমি,,,,,,,,, আচ্ছা বাদ দে তোর গান পরে শুনে নিবো। এখন যায় ফ্রেশ হয়ে আসি৷
রাতে,,,,,,,,,,,,
মেহেরিমা,,,,,,,,,,,, মা রিমি দেখ তোর সাথে কারা দেখা করতে এসেছে৷
,,,,,,,,,, আসছি
রিমি নিচে এসে দেখে তার সাথে দেখা করতে আরাব, ফারহান এসেছে। ফারহান চকলেট হাতে নিয়ে হা করে দাঁড়িয়ে আছে।
রিমি,,,,,,,,,, আরাব ভাইয়া কেমন আছো । ( হালকা জরিয়ে ধরে )
আরাব,,,,,,,,, আরে আমার ছোট্ট রিমি কতো বড়ো হয়ে গেছে। ( মাথায় হাত দিয়ে )
রিমান,,,,,,,,, এতো খন হয়েছে এসেছিস আমাকে তো জড়িয়ে ধরলি না।
রিমি,,,,,,,,, আমি ছাগল পছন্দ করি না।
রিমান,,,,,,,,,, নিজেকে ঘৃণা করতে নেয় 😁😁
রিমি,,,,,,,,, চুপ থাক৷
রিমি আস্তে আস্তে ফারহানের সামনে যায়, ফারহান এখনো হা করেই আছে।
রিমি,,,,,,,,, ফারহান,,,,,,,,,,,, ভাইয়া কেমন আছো
ফারহান,,,,,,,,, তুমি রি রি রিমি
রিমি,,,,,,, হুমম আমিই রি রি রিমি,,,,,, এই চকলেট কি আমার জন্য ধন্যবাদ ( জরিয়ে ধরে )
ফারহান কোনো মতে ছাড়াই।
রিমি,,,,,,,,, তোমরা সবাই কতো হেন্সাম হয়ে গেছো।
ফারহান,,,,,,,,, আমেরিকায় তো অনেক আনন্দেই কাটিয়েছো তাই না, সেখানে থেকে অনেকটা ওদের মতোই হয়ে গেছো, একটু লজ্জা কম।
রিমি,,,,,,,,, জ্বী না,, এটা আমি বাবার কাছে পেয়েছি বেশরম হওয়াটা এতো লজ্জা পেয়ে কি করমু৷ আর রইলো আনন্দে দিন কাটানো, আমেরিকায় আমি যেতে চাইনি আমাকে জোর করে পাঠানো হয়েছে, কিন্তু কি জন্য সেটা বলা হয়নি৷
মা,,,,,,,,,, আচ্ছা বাদ দাও সবাই এসো খেতে বসবে।
সবাই খেতে বসে, খেতে বসে ফারহান কোনো কথা বলেনি,এমন কি রিমির দিকে এক বারও তাকায়নি।
রিমি,,,,,,,,,, ( এতটা কীভাবে বদলে গেলে )
সবাই খেয়ে কিছু খন বসে তারপর চলে যায়।
সকালে,,,,,,,,,,,,,,,
আরাব অফিসে যায়, গিয়ে বসে আর বার বার দরজার দিকে তাকায়।
মি.সেন,,,,,,,,, স্যার আপনার কি কিছু লাগবে।
আরাব,,,,,,,,, না কেনো।
মি.সেন,,,,,,,, না মানে বার বার দরজায় দিকে চুকি দিচ্ছেন।
,,,,,,,, এমনি তেমন কিছু না।
কিছু খন পর দরজায় নক করার আওয়াজ পাওয়া যায়।
,,,,,, স্যার আসবো।
আরাব,,,,,,,,,, yes come in…
মি.সেন,,,,,৷৷৷ আপনি কে
মুন,,,,,,,,, জ্বী আমি মুন৷
মি.সেন,,৷৷ এখানে কেনো।
আরাব,,,,,,,, ও আমার এসিস্ট্যান্ট
মি.সেন,,,,,,, তাহলে আমি কে।
আরাব,,,,,,,,, চিন্তা করেন না আপনার চাকরি যাবে না, আপনার বয়স হয়েছে তাই সব কাজ করতে পারবেন না৷
মি.সেন,,,,,,,,, কিন্তু স্যার এসিস্ট্যান্ট এর জন্য তো কোনো ইন্টারভিউ নেওয়া হয়নি।
মুন,,,,,,,, আমি এক অফিস থেকে টান্সফর্ম হয়ে এ অফিসে এসেছি।
মি.সেন,,,,,,, এসিস্ট্যান্ট টান্সফ্রম হয় প্রথম দেখলাম।
মুন,,,,,,,, আমিও
আরাব,,,,,,,, কথা শেষ হয়ে থাকলে কাজের কথায় আসি৷
মুন,,,,,,,, জ্বী স্যার।
আরাব,,,,,,, পুরো নাম কি তোমার।
মুন,,,,,,,,, মুনতাহা জাহান মুন।
,,,,,,,,, বাসায় কে কে আছে।
,,,,,,,, মা বাবা আর আমি।
,,,,,,,, কোথায় থাকো।
,,,,,, এখান থেকে ১ ঘন্টা দূরে মোরের দিকে বাড়ি।
,,,,,,,,, bf আছে
,,,,,,,, জ্বী স্যার??? না মানে নেয়।
,,,,,,, good.
মি.সেন,,,,,, ( এমন ইন্টারভিউ প্রথম দেখলাম )
আরাব,,,,,,,, মি.সেন মুনের জন্য আমার কেবিনের একদম সামনে যে কেবিনটা আছে, ঐ যেটা দেখা যাচ্ছে ঐটা খালি করে একে দাও।
,,,,,, ঠিক আছে স্যার।
আরাব,,,,,,,,, ততো ক্ষন মুন তুমি এখানে বসো।
মুন,,,,,,,, এখানে বসে কি করবো স্যার।
,,,,,,, বসতে বলছি প্রশ্ন করতে বলি নি।
মুন চুপচাপ বসে পড়ে।
মুন,,,,,,,,,,,( এটা তো কালকের ছেলেটা, কি রাগরে বাবা, নীল চোখ দেখতে যতটা কিউট রাগলে কেমন যানি ভয় ভয় লাগে )
,,,,,,,,,,,
হসপিটালের ফারহান রোগী দেখে তার কেবিনে যাচ্ছিলো।
রিমি,,,,,,,,,,,, হ্যালো ফারহান।
পিছনে তাকিয়ে দেখে রিমি।
,,,,,,,, তুমি এখানে এ সময় কেনো।
,,,,,,, তোমাকে দেখতে আসলাম।
,,,,,,,,, মানে কি এটা আমার কাজের জায়গা যাও এখান থেকে।
,,,,,,,, যাবো না কি করবে।
,,,,,,, তোমার বাবার কাছে বিচার দিবো।
,,,,,,, দিন,, বাবাই তো আমাকে এখানে দিয়ে গেছে।
,,,,, মানে কেনো৷
,,,,,, আমাকে ভালো করে দেখুন আগে।
,,,,,,, এই তুমি ডাক্তারের পোশাকে কেনো।
,,,,, এতো দেখেছেন, আমি এখানে ডাক্তার হতে এসেছি, এখানে পড়ার জন্য ভর্তি হয়েছি। এখন আমি সারা খন তোমার সাথে থাকবো।
,,,,,,,, আল্লাহ,,, ঠিক আছে ক্লাসে যাও।
,,,,,,,, ওকে বাই ফারহান।
,,,,,, এই ফারহান মানে ফারহান ভাইয়া বলো।
,,,,,, পারবো না।
,,,,,,, রিমান, আরাব কে ভাইয়া ডাকো না তাহলে।
,,,,,৷ কারন ওদের আমি ভাইয়ার মতো দেখি।
,,,,,,, আর আমাকে।।।
,,,,,,,,, bf,, lover,, husband
,,,,,,,, চুপ করো লজ্জা করে না।।।
,,,,,, না করে না,,, আর তাছাড়া আপনি ও তো আমাকে রিমান আর আরাব ভাইয়ার মতো বোন মনে করেন৷
,,,,,,,, মানে কে বলেছে করি না।
,,,,,, রিমান ভাইয়া আর আরাব ভাইয়া আমাকে তুই বলে ডাকে্,শুধু তুমি ছাড়া। তাহলে কি বুঝা যায়।
,,,,,, এই ক্লাসে যাও।।।
,,,,,,, ওকে বাই । ( যেতে যেতে পিছনে তাকিয়ে একটা দূর থেকে কিস দেয়৷)
ফারহানের তাশকি খেয়ে যায়।
,,,,,,,,,
রিমান,,,,,,,, ঐ চশমিশ।।
,,,,,,, মাহুয়া
,,,,,, ঐ একি হলো,,, শুনো মাহু
,,,, আমার নাম মাহুয়া মাহু না।
,,,,,,, কি অদ্ভুত একটা নাম মুখ দিয়ে আসে না, মাহু বলতেই ভালো লাগে,, আচ্ছা শুনো আজি আমাদের এক জায়গায় যেতে হবে আজ রাত ঐখানে হোটেলে থাকতে হবে বাড়ি ফোন করে বলে দাও৷
,,,,,, মানে কি এক দম এভাবে। আমি কোনো প্রস্তুতি নিয়োও আসি নি।
,,,,,,, বিয়ে করতে যাচ্ছো না, বাড়িতে ফোন করে বলে দাও।
,,,,,, ফোন করা লাগবে না,আমি যাবো।
,,,, ফোন না করলে মা বাবা চিন্তা করবে।
,,,,,,, আমার মা বাবা বা চিন্তা করার মতো কেও নেয়, তাই কাওকে বলা লাগবে না।
,,,,,,,, আম সরি আসলে আমি জানতাম না।
,,,,,,,,, নো প্রবলেম স্যার, এখন শুধু শুধু দয়া দেখাতে আসবে না৷
,,,,,,,,,, দয়া কেনো দেখাবো, আচ্ছা যাই হোক মাহু চলো আমাদের যেতে হবে।
,,,,,, হুমম চলেন।
প্রায় সন্ধা হয়ে আসেছে। রিমান আর মাহুয়া হোটেলে আসে।
রিমান,,,,,,,,,, দুটো রুম লাগবে৷
,,,,,, সরি স্যার একটাই রুম আছে।
,,,,,,,, ওওওও ঠিক আছে,, বলে মাহুয়ার দিকে তাকায় দেখে মাহুয়া এক ব্রু উঠিয়ে তাকিয়ে আছে।
রিমান,,,,,,,,, না মানে ঠিক নেয়,, আরেকটা রুম লাগবে৷
,,,,,, স্যার আর কোনো রুম খালি নেয়, আর এদিকে আর কোনো হোটেল ও নেয়৷।
রিমান,,,,,,,৷ ওওও তাহলে আর কি করার।
মাহু,,,,,, আপনার কি মনে হয় আমি আপনার সাথে এক ঘরে থাকবো ☺
রিমান,,,,,,,,, তাই তো লাগছে 😅😅
মাহু,,,,,,,, আমাকে কি পাগলা কুত্তা কামরায়ছে 🤬🤬 ( জোরে )
রিমান,,,,,,,,,৷ না কুত্তারো তো জানের ভয় আছে।
,,,,,, কিহহহহ।
,,,,,,, কিছু না,,, দেখো আর কোনো রাস্তা নেয়, আর তুমি চিন্তা করো না আমি শপথ নিছি যে বউকে ছাড়া আর কারো দিকে কু নজর দিবো না।
,,,,,,, তার মনে বউয়ের দিকে কু নজর দিবেন৷
,,,,,,,,, হহহ 😁😁
,,,,,,, ছিঃ লজ্জা করে না বউয়ের দিকে কু নজর দিতে৷
,,,,, এই বলো কি বউয়ের দিকে কু নজর দিবো না তো আর কার দিকে দিবো। বউয়ের দিকে কু নজর না দিলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আসবে কি ভাবে।
,,,,,, পৃথিবীর সব পুরুষ এক লুচ্চা, হোটেলের চাবি নিয়ে আসেন।
,,,,,, এ দেখি আমার থেকে বড়ো পাগল।
,,,,,,,,
রিমি,,,,,,, ফারহান গেডের সামনে কি করছেন আমার অপেক্ষা।
ফারহান,,,,,,,,,,, জ্বী না,,,,
,,,,,,, তাহলে যান এখান থেকে।।
,,,,, কেনো যাবো না আমি।
,,,,,, ঠিক আছে তাহলে আমি যাই।
,,,,,,, দাঁড়াও তোমাকে কেও নিতে এসেছে
,,,,,, না, আমি একাই যেতে পারবো।
,,,,,,,, গাড়িতে বসো।
,,,,,,,, ঠিক আছে চলো।
চলবে,,,,,,,,
জ্বীন রহস্য (love story)❤
Season 2
Writer Maishara Jahan
Part 4
,,,,,,, না, আমি একাই যেতে পারবো।
,,,,,,,,, গাড়িতে বসো
,,,,,,,, ঠিক আছে চলো।
ফারহান আর রিমি গাড়িতে গিয়ে বসে।
ফারহান,,,,,,,,,, রিমি সিট বেল লাগাও।
,,,,,,,,, আমি পারি না লাগিয়ে দাও পিল্জ।
,,,,,,,, যে গাড়ি চালাতে পারে সে সিট বেল লাগাতে পারেনা এইটা মানা যায়, আর মিথ্যা কথা বলতে হবে না৷
,,,,,,,, না মানে আমাকে গাড়ি চালানো শিখানো হয়ছে কিন্তু সিট বেল লাগানো শিখানো হয় নি।
,,,,,,,, সিট বেল লাগালে লাগাও না লাগালে নাই আমি পারবো না।
,,,,,,, ঠিক আছে আমি লাগাবো না, আর শুনো আমি যদি মরে টরে যায় তাহলে আমার মা বাবাকে বলে দিয়ো আমি তাদের অনেক ভালোবাসতাম 😢😢
,,,,,,,,,, উফফ এই মেয়ে,,,, আমি লাগিয়ে দিচ্ছি।
ফারহান সিট বেল লাগাতে গিয়ে তার চেহেরা রিমির খুব কাছে চলে আসে। রিমির নিশ্বাস ফারহানের গালে পড়ছে, ফারহান একবার রিমির চোখের দিকে তাকিয়েও আবার চোখ ফিরিয়ে নেয়।
রিমি এই সুযোগে ফারহানের গালে কিস করতে যায় আর ফারহান সরে যায়, আর রিমি পরে যেতে নিয়েও পরে না।
ফারহান,,,,,,,,, পাগল হয়ে গেলে নাকি,,তুমি তোমার মার মতো হতে পারলে না লজ্জা বতী।
,,,,,,,,, কোন মার মতো।
,,,,,,, কেনো তোমার মেহেরিমা মা ছাড়াও আরো মা আছে নাকি।
,,,,,, হুমমম
,,,,,,,, কিহহহ,,, কে।
,,,,,,,, ফারা মা
,,,,,,, কিন্তু ওটা তো আমার মা।
,,,,,, হ্যাঁ মেহেরিমা,রিয়াদ হলো আমার আসল মা বাবা আর ফারা, রোহান হলো আমার শশুর শাশরী। তারাও আমার মা বাবা।
,,,,,,,, আল্লাহ তুমি আংকেল এর মতো কেনো হয়ছো আন্টির মতো হতে পারলা না।
,,,,,,,,, তুমি তোমার বাবার মতো কেনো হয়ছো ফারা আন্টির মতো রোমান্টিক হতে পারলে না।
,,,,,, আমার মা রোমান্টিক তুমি কীভাবে জানলা।
,,,,,,, ফারা আন্টি তাদের প্রেমের কাহিনি বলেছে আমাকে।
,,,,,,,, কিহহহ।
,,,,,, এতো অভাক হওয়ার কিছু নাই।
,,,,,,,, যাও তোমার বাসা এসে গেছে।
,,,,,, এতো তাড়াতাড়ি ভালো লাগে না দূররর।
,,,,,, হুমম যাও।
,,,,,,,, ঐ যে দেখো ঐটা কি
ফারহান অন্য দিকে তাকাতেই রিমি গালে কিস করে দেয়৷
রিমি গাড়ি থেকে বেরিয়েই দেয় দৌড়। ফারহান এখনো শকে আছে৷
,,,,,,,,,,,,,,
রিমান আর মাহুয়া রুমের ভিতরে ডুকে হা করে থাকে, মাহুয়া হাত দুটো ভাজ করে এক ব্রু উঠিয়ে তাকিয়ে বলে।
,,,,,,,, এটা কি
,,,,,,, হি হি কি হয়েছে বিছানায় ফুলের পাপড়ি আর ঘরে মম বাতি জ্বালানো আর কি। 😅😅
,,,,,,, কেনো
,,,,,, কারন এটা একটা হানিমুন করার হোটেল। 🙃
,,,,,,,,, আমি আর আপনি এই রুমে থাকবো। 🙂
,,,,,,,, হুমম 😊😊
,,,,,,,, কচু থাকবো, ভাবলেন কি করে আমি আপনার সাথে এখানে একা থাকবো গেলাম আমি 😤😤
,,,,,,, কোথায়??
,,,,,,, জাহান্নামের চৌরাস্তায় যাবেন অাপনি। 😡😡
,,,,,,,, না আমার জাহান্নাম অনেক ভয় করে।
,,,,,,, 😶😶,,,, আমি আপনার সাথে থাকতে পারবো না, গেলাম আমি।
,,,,,, আরে শুনো শুনো,, ফুলের পাপড়ি আমি এখনি সরিয়ে দিচ্ছি আর মম বাতিও নিবিয়ে দিয়ে লাইট জ্বালাচ্ছি।
,,,,,,,, ঠিক আছে তাড়াতাড়ি করুন,আমি ফ্রেশ হতে যাচ্ছি এসে যাতে এগুলো না দেখি।
,,,,,,,, ঠিক আছে।
মাহুয়া ফ্রেশ হতে যায় আর ততো ক্ষনে রিমান তাড়াতাড়ি করে ঘরটা স্বাভাবিক করে ফেলে।
মেহুয়া ফ্রেশ হয়ে আসে৷
,,,,,, হুমম এখন রুমটা ঠিক লাগছে। যান আপনিও ফ্রেশ হয়ে আসেন।
,,,,,,, আমি তো সাওয়ার নিবো।
,,,,,, আপনার ইচ্ছা।
রিমান সাওয়ার নিয়ে বাহিরে আসে শুধু প্যান্ট পরে শার্ট ছাড়া।
এই মুহুর্তে লাইটের আলো চলে যায় পুরো রুম অন্ধকার হয়ে যায়। মাহুয়া দেওয়ালের সাথে মিশে চিৎকার দিয়ে বলছে।
,,,,,,,,, মাআআ আমার অন্ধকারে ভয় লাগে বাতি জ্বালাওওওওও।
রিমান মাহুয়ার কাছে গিয়ে দেওয়া এক হাত রেখে দাঁড়ায় ( রিমান যেহেতু জ্বীন তাই সে অন্ধকারে ও স্পষ্ট দেখতে পারে )
মাহুয়ার গাড়ে মুখে রিমানের চুলের পানির ফোঁটা পড়ছে।
,,,,,,, কে??
,,,,,,, আমি ভয় পেয়ো না।
মাহুয়া তার দুই হাত দিয়ে রিমানকে ছুঁয়ে দেখছে, অন্ধকারে কিছু দেখা যাচ্ছে না, তাই মাহুয়া তার হাত দিয়ে রিমানের বুকে ধরে রেখেছে।
হঠাৎ কারেন্ট চলে আসে আর মাহুয়ার চোখ প্রথমে যায় রিমানের সিক্স প্যাকে সাদা শরীর তার উপর ভিজা।
মাহুয়া তাকিয়ে কয়েকটা ঢোক গিলে।
রিমান,,,,,,,,,, একা একটা ছেলেকে পেয়ে তার সম্মান নিয়ে এভাবে টানাটানি মেনে নেওয়া যায় না।
,,,,,,,, মানে ( অবাক হয়ে )
,,,,,,,,, মানে আপনার হাত ( ইশারা করে )
মাহুয়া তাড়াতাড়ি তার হাত রিমানের বুক থেকে সরিয়ে ফেলে।
রিমান,,,,,,,,, দয়া করে আমার সাথে কিছু করো না, না হলে আমি এই মুখ কাওকে দেখাতে পারবো না।
,,,,,,,,, শেষ হয়ছে আপনার।
,,,,,,,,,, শুরুই তো করলাম না শেষ হবে কীভাবে। 😁
,,,,,,,, চুপ থাকুন
,,,,,,,, ওকে, এখনো খাবার নিয়ে আসে নি।
,,,,,, হুমম আসছে ঐ যে ঐখানে,,, কিন্তু আপনি শুধু একজনের খাবার কেনো আনলেন।
,,,,,,,, এতো গুলো একজনের খাবার, তুমি খেতে পারবে সব গুলো৷
,,,,,,, কোনো ব্যাপারি না।
,,,,,,,,, আচ্ছা তাহলে খাও।
,,,,,, আপনি খাবেন।
,,,,,,, আগে তুমি খাও
মাহুয়া খাওয়া শুরু করে আর রিমান তাকিয়ে দেখছে। এক এক করে মাহুয়া সব খাবার একাই খেয়ে ফেলে৷
রিমান হা করে আছে, আর মাহুয়ার পেটের দিকে তাকিয়ে আছে।
,,,,,, কি হলো আমার পেটে নজর দিচ্ছেন কেনো।
,,,,,,, না দেখছি পেটের সাইজ ঠিক আছে কিনা।
,,,,,,, জ্বী একদম ঠিক আছে।
,,,,,,, পেট ভরছে না কি আরো লাগবে।
,,,,,,, না আজকে এটুকু খেয়েই রাত কেটে যাবে।
,,,,,,, এটুকু,,,, ( তিন জনের খাবার একাই খেয়ে এটুকু বলছে )
,,,,,, কি ভাবছেন।
,,,,,,,, ভাবছি এই খাবার খেয়েও তোমার কাঠির মতো শরীর কীভাবে সম্ভব।
,,,,,,,, কিহহ,,,,, যাই হোক আমার অনেক ঘুম পেয়েছে, আপনি খাবেন না৷।।
,,,,,,,, না আমার পেট ভরে গেছে। চলো শুয়ে পড়ি।
,,,,,,, কি 🤨🤨
,,,,,,৷ না মানে তুমি শুয়ে পরো আমি সোফায় যায়।
রিমান সোফায় শুয়ে বার বার নড়াচড়া করছে।
মাহুয়া,,,,,,,,,কি হলো এমন করছেন কেনো।
,,,,,,,,,, না মানে নড়াচড়া করা যাচ্ছে না।
,,,,,, বুঝেছি উঠুন।
,,,,,,, মানে৷
,,,,,, মানে আপনি বিছানাতে ঘুমান আমি সোফায় ঘুমাচ্ছি।
,,,,,,, তুমি সোফায় ঘুমাবে কীভাবে।
,,,,,,, আমার ছোট জায়গাই ঘুমানোর অভ্যাস আছে কিন্তু আপনার নেয় , আসেন।
,,,,,,, না থাক আমি ঘুমাতে পারবো।
,,,,,, দূরর বলছি না পারবেন না।
বলে কোনো মতে রিমানকে ধাক্কিয়ে ফেলে দিলো আর নিজে গিয়ে শুয়ে পরে।
রিমান,,,,,,,, আমি কি কোনো ময়লা আবর্জনা নাকি যে এভাবে ফেলে দিলে। এতো বড়ো গায়ক কোনো সম্মানি নেয়।
,,,,, দেখেন আমার অনেক ঘুম পেয়েছে আমও ঘুমাচ্ছি আপনিও ঘুমান।
রিমান গিয়ে বিছানায় শুয়ে মাহুয়াকে দেখছে। কিছু খন পরে রিমান মাহুয়াকে কোলে তুলে বিছানায় শুয়িয়ে দেয়।
,,,,,, তুমি কি জানো ঘুমের মধ্যে তোমার চেহেরা আরো বেশি সুন্দর আর নিষ্পাপ লাগে। অমমম আমার কিউটি টা ( নাক টেনে )
এমনি মাহুয়া নড়ে উঠে আর রিমান এক দৌড়ে সোফায় গিয়ে শুয়ে পরে।
,,,,,,,,,,,,,
রাত অনেক হয়েছে মুন দাঁড়িয়ে আছে বাসের জন্য আরাব দেখে তার কাছে যায়।
আরাব,,,,,,,,, এখনো এখানে দাঁড়িয়ে আছো যে।
মুন,,,,,,,,,,, স্যার আপনি,,, না মানে এখনো বাস পায়নি।
,,,,,,, এতো রাতে একটা মেয়ের এভাবে দাঁড়িয়ে থাকা সেফ না।
,,,,,,, আমার কিছুই হবে না।
,,,,,,, মানে
,,,,,, না মা মা মানে আমার সাথে আল্লাহ আছে তো।
,,,,,,, বুঝলাম, গাড়িতে উঠো আমি তোমাকে পৌঁছে দিয়ে আসছি।
,,,,,, না স্যার লাগবে না।
,,,,,,, লাগবে উঠো এখানে তোমার জন্য সেফ না।
,,,,, আপনার সাথে যে সেফ থাকবো তার কি গেরান্টি।
আরাব মুনের একটু কাছে গিয়ে
আরাব,,,,,,,,,,, আমার কিছু করার হলে অনেক আগেই করতাম আর কেউ কিছু করতে পারতো না বুঝলে এবার গাড়িতে উঠো।
,,,,,,,, আপনি সব সময় মুখ ভার করে কথা বললে ভয়তো লাগবেই।
,,,,,, হয়েছে এবার গাড়িতে উঠো।
,,,,,, কিন্তু
,,,,, যাও উঠো ( ধমক দিয়ে )
মুন এক পলকে গাড়িতে উঠে যায়।
আরাব ও গিয়ে বসে, গাড়ি চালাতে থাকে।
মুন,,,,,,,,, স্যার আপনার চোখে কি লেন্স লাগানো।
,,,,,,,, না কেনো
,,,,,,,, না মানে আপনার চোখ অদ্ভুত নীল।
,,,,,,,, আমার বাবার মতো হয়েছে।
,,,,,, কোথায় থাকে আপনার বাবা।
,,,,,,, দেশের বাহিরে থাকে নাম
,,,,, মুগ্ধ
,,,,,,, তুমি কীভাবে জানলে।
,,,,,,,,, কী স্যার
,,,,,,, আমার বাবার নাম।
,,,,,,,, আমি বললাম মুগ্ধ করা পরিবেশ।
,,,,,,, এই জঙ্গল তোমার মুগ্ধ করা পরিবেশ লাগে।
,,,,,,,, আমার জঙ্গল ভালো লাগে।
রাস্তা দিয়ে যাচ্ছি একটা সাদা কাপড় পড়া জ্বীন অদ্ভুত ভাবে তাকিয়ে আছে, দূর থেকে দেখা যাচ্ছে।
আমি জ্বীন তাই একে দেখতে পারছি কিন্তু মুন ও ঐ দিকেই তাকিয়ে আছে, ওর তো দেখার কথা না।
আরাব,,,,,,,,,, তুমি কি কিছু দেখতে পারছো অদ্ভুত কিছু।
মুন,,,,,,,,, না কি দেখবো।
,,,,,,,,, কিছু না।
কিছু খন পর মুনের বাড়ির সামনে এসে পরে। মুন গাড়ি থেকে নামে।
,,,,,,, ওকে স্যার আমি এখন আসি।
,,,,,, ঠিক আছে।
মুন তার বাসায় চলে যায় আর আরাব তার বাসায়। আরাব শুয়ে শুয়ে মুনের কথায় ভাবছে।
,,,,,, প্রথম কাওকে দেখে এমন লাগছে, চোখে তাকে দেখতে চাওয়া নেশা প্রথম লাগছে।
আরাব বারান্দায় গিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। হঠাৎ একটা গরম বাতাস মুখ ছুঁয়ে যাচ্ছে।
,,,,,,,,, কে,,, কে এখানে
দূরে কিছু একটা দেখলাম মনে হলো। আর আমার এমন কেনো মনে হচ্ছে যে কেউ বা কারা আমাকে ফলো করছে।
এক বার ঐ জঙ্গলে গিয়ে দেখি। আরাব এক লাফ দিয়ে জঙ্গলে যায়। চারপাশে কেমন জানি একটা অন্য রকম গন্ধ পাচ্ছি।
,,,,, সাহস থাকলে সামনে আয়, আর না থাকলে বাড়ি যা।
সাথে সাথে অনেক গুলো কালো ধোঁয়ার মতো বেশে উঠে৷
,,,,,, অনেক দিন হলো আমার তালোয়ারে কারো রক্ত লাগেনি।
বলে হাত উপর দিকে তুলে তালোয়ার আনে।
সবাই আসে হামলা করতে সবাইকে একে একে তালোয়ার দিয়ে আঘাত করে। সবাই আঘাত পেয়ে ক্লান্ত হয়ে যায়।
,,,, একটা কথা বল তোদের পাঠায় কে, কিছু দিন পর পর কাওকে না কাওকে পাঠিয়ে দেয় আর তারা আমার হাতে মার খেয়ে চলে যায়। আর ভালো লাগে না।।
বল কে তোদের পাঠায় তাকে গিয়ে শেষ করে আসি কাহিনি শেষ।
একটা জ্বীন,,,,,,,, এবার যাকে পাঠিয়েছে সে তোর শেষ করেই ছাড়বে, সুচ হয়ে ডুকবে ফাল হয়ে বের হবে, আর তুই টেরও পাবি না।
আরাব কিছু বলার আগেই ওরা সবাই ঘায়েব হয়ে যায়।
,,,,,,, কার কথা বলছে,,,,, আমি মনে হয় একটু বেশি ভাবছি।
আরাব গিয়ে শুয়ে পরে।
চলবে,,,,,,,,