জ্বীন রহস্য (love Story)❤Season 2,Part 5

জ্বীন রহস্য(love Story)❤Season 2,Part 5
Writer Maishara Jahan

,,,,,,, কার কথা বলছে,,,আমি মনে হয় একটু বেশি ভাবছি।

আরাব গিয়ে শুয়ে পরে।

সকালে,,,,,,,,,,

আরাব অফিসে গিয়ে বসে বসে ভাবছে,,,

,,,,,,, কার কথা বললো ওরা,,, অফফ একটু শান্তিতে থাকতেও পারবো না, যে ভুল আমি আগে করেছি তা আর করতে চাই না।

এই সব ভাবতে ভাবতে সামনে তাকিয়ে দেখে মুন আসছে আরাবের চোখ ওখানেই আটকে যায়।

মুন সাদা প্লাজু আর কামিজ পরেছে, ঠোঁটে একটু গাড় লিপস্টিক দিয়েছে। বেশ অন্য রকম সুন্দর লাগছে।

আরাবের নীল চোখ যেনো আরো উজ্জ্বল হয়ে গেছে। মুন আরাবের এমন চাওনি দেখে একটু লজ্জা পায়।

আরাবের মুগ্ধ ভরা নয়ন মূহুর্তে রাগে লাল হয়ে যায়। কারন অফিসের প্রায় সব ছেলেই তাকিয়ে আছে।

কয়েক জন তো বলছে

,,,,, মুন আজ তোমাকে সত্যি সেই লাগছে অফফ। অনেকে কু নজর দিচ্ছে।

আরাব রাগে মুনকে ডাকে।

আরাব,,,,,,,,,, মুন come here তাড়াতাড়ি।

মুন তাড়াতাড়ি আসে। মুন আসতেই আরাব উঠে দরজার দিকে যায়, মুন দরজার সাথেই দাড়িয়ে ছিলো,

আরাব রাগে এক হাত দিয়ে দরজা বন্ধ করে। আরাব এক হাত দরজায় রেখে দাঁড়িয়ে আছে আর তার সামনে মুন।

আরাবের চোখ দেখে এখন মুনের ভয় লাগছে।

মুন,,,,,,,,, কি হ হ হয়েছে স স স্যার।

,,,,,,,,,,, কি হয়েছে দাঁড়াও

আরাব পকেট থেকে একটা রুমাল বের করে ঠোঁট মুখ মুছতে থাকে, এক হাত দিয়ে থুতনিতে ধরে অন্য হাত দিয়ে মুছছে।

,,,,,, কি করছেন কি,আমার ব্যাথা লাগছে ( ধাক্কা দিয়ে )

,,,,,,,,, আর কোনোদিন যাতে এভাবে না দেখি।

,,,,,,,,, মানে কি বলতে চাইছেন আপনি।

,,,,,,, বুঝতে পারছো না, আর যদি কোনো দিন এতো সাজ দিয়ে অফিসে আসতে দেখি তাহলে আমার থেকে খারাপ আর কেও হবে না।

,,,,,,,,,, কেনো কি করবেন আপনি, আমি যেমন মনে চাই তেমন ভাবে সেজে আসবো তাতে আপনার কি।

,,,,,,,,, আরেক দিন এভাবে এসো দেখাবো আমি কি।

,,,,,,, আপনি সাইকো নাকি।

,,,,,,, হুমম তাই,, যাও এখন মুখ ধুয়ে আসো।

,,,,,,, যাবো না আমি।

,,,,,,,, ওকে এখানেই থাকো আমার কোনো সমস্যা নেয়।

,,,,,,,,, ( ডেবিল একটা ) মুন যেতে নেয়

,,,,,, এভাবে কোথায় যাচ্ছো। ( কুরছিতে বসে )

,,,,,,, কেনো বাহিরে মুখ ধুতে এতেও আপনার সমস্যা আছে নাকি।

,,,,,,,, এই অবস্থায় আমার কেবিন থেকে বের হলে সবাই কি মনে করতে পারে ভেবে নিয়ো।

,,,,,,,, কেনো আপনার মান সম্মান চলে যাবে বুঝি।

,,,,,,,,, আমার কিছুই হবে না আরো ভালো হবে তোমার কোনো প্রবলেম না থাকলে যেতে পারো।

,,,,,,,,, ( মনে চাচ্ছে একটা আছার দিয় ) তো এখন কি করবো।

,,,,,,,, আমার ওয়াশ রুমে যেতে পারো।

মুন রাগে ওয়াশ রুমে গিয়ে আয়নায় নিজেকে দেখে নিজেই চমকে যায়, পুরো মুখ লিপস্টিক কাজল দিয়ে মেখে গেছে৷

মুন কতো খন আরাবকে গালা গালি করে ফ্রেশ হয়ে আসে৷

,,,,,,,, এখন সুন্দর লাগছে।

মুন মুখ ফুলিয়ে বাহিরে চলে যায়, সবাই মুনের দিকেই তাকিয়ে আছে।

মুন,,,,,,,,, আসলে আমার ভালো লাগছিলো না তাই মুখে পানি দিতে গিয়ে সব উঠে গেছে।

,,,,,,,, তাও তোমাকে অনেক ভালো লাগছে।

,,,,,,,,Thanks

,,,,,,,,,,,,

রিমি সকাল থেকে ফারহানকে এদিক ওদিক খুজছে, খুজতে খুজতে অপারেশন রুমে ডুকে যায় ভুলে৷

সেখানে ফারহান একজনের হার্টের অপারেশন করছিল। সবাই রিমির দিকেই তাকিয়ে আছে।

,,,,, সরি সরি আসলে দেখতে এলাম আংকেল কেমন আছে।

ফারহান,,,,,,,,, গেট আওট

,,,,,,, ওকে কেরিঅন

রিমি তুইও না একটা পাগল, দেখে তো নিবি কোথায় যাচ্ছিস, যায় হোক পেয়ে তো গেছি।

রিমি অপারেশন রুমের বাহিরে অপেক্ষা করছে, ফারহান অপারেশন শেষে বের হয়ে রিমির হাত ধরে এক কোনায় নিয়ে যায়।

ফারহান,,,,,,,,, প্রবলেম কি তোমার এভাবে কেও,,,

রিমি,,,,,,,,, আরে আমি খেয়াল করিনি। সকাল থেকে তোমাকে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিলো না।

,,,,,,,,, কেনো খুঁজছিলে।

,,,,,,,,, চলো না কোথাও যায়।

,,,,,,,,,, না কোথাও যাবো না।

,,,,,,, আরে আমার না অনেক ক্ষুধা লাগছে সকালে কিছু খেয়ে আসি নি,চলো না কোনো রেস্টুরেন্টে।

,,,,,,, কেন্টিনে খেয়ে নাও।

,,,,,, না কেন্টিনের খাবার ভালো লাগে না।

,,,,,,, আমি যেতে পারবো না।

,,,,,,,, ঠিক আছে তাহলে আজ আমার না খেয়েই থাকতে হবে, অনেক ক্ষুধা লাগছে তাতেই বা কি 😌😌

,,,,,,,,, হয়েছে আর এক্টিন করা লাগবে না, চলো।

,,,,, ইয়েএএএ

রিমি আর ফারহান একটা রেস্টুরেন্টে যায়।

,,,,,,, জ্বী মেম আপনি কি খাবেন।

রিমি,,,,,,,, বাবু কি খাবে।

ফারহান,,,,,,,,,, কে বাবু কার বাবু।

,,,,,,,,,, ফারহু আমি তুমাকেই বলছি কি খাবে বলো না।

,,,,,,,,,, এভাবে কথা বললে আমি চলে যাবো।

,,,,,,, এই না না,,, এখানে সবাই এভাবেই কথা বলছে তাই আমিও একটু বলে দেখলাম।

,,,,,,,, চুপচাপ কি খাবে তা অডার দাও।

,,,,,,, ঠিক আছে।

রিমি আর ফারহান খাবার খেয়ে যেতে নেয় কিন্তু বৃষ্টি শুরু হয়ে যায়।

ফারহান,,,,,,,,,, বৃষ্টি হচ্ছে এখন কি করবো।

রিমি,,,,,,,, আরে এখান থেকে মাত্র দু মিনিট দূরে গাড়ি দৌড়ে গিয়ে বসে পড়ি তাহলেই হবে।

,,,,,,,,, একদম না,,, তোর আবার ঠান্ডা লাগার অভ্যাস আছে, যদি ঠান্ডা লেগে যায় তখন।

,,,,,,, আরে কিছু হবে না।

,,,,,,,, তুই এখানে দাঁড়া আমি গাড়ি থেকে ছাতা নিয়ে আসছি।

বলেই দৌড় দেয় গাড়ির দিকে।

রিমি,,,,,,,,, হঠাৎ আবার আগের মতে তুই বলছে ব্যাপারটা কি, যাই হোক ভালো লাগছে।

ফারহান গিয়ে ছাতা নিয়ে আসে, ছাতা মেলিয়ে রিমির হাত ধরে নিয়ে যাচ্ছে।

,,,,,,,,, ( আমার এতো চিন্তা, কিছু তো আছে তোমার মনের ভিতরে, ইশশ এই পথটা যদি না শেষ হতো কতো ভালো হতো। )

দুজনে গিয়ে গাড়িতে বসি।

,,,,,,,,, কোথাও ভিজে যাসনি তো, ঠান্ডা লাগছে এসি বন্ধ করে দিবো।

আমি ভিজে গেছি নাকি ফারহান যেভাবে সব জায়গা দেখছে, অদ্ভুত একটা ফিল হচ্ছে।

,,,,,,, কিরে বল।

,,,,,,, আমি ঠিক আছি।

আমরা আবার মেডিকেল এ যায়।

,,,,,,,,,,,,,

মাহুয়া ঘুম থেকে উঠে দেখে, সে বিছানায় শুয়ে আছে, আর রিমান টেরা বেকা হয়ে সোফায় শুয়ে আছে৷

,,,,,,, আমি বিছানায় আসলাম কিভাবে। স্যার স্যার,, রিমান স্যার।

রিমান কোনো মতে চোখ খুলে, উঠে বসে

রিমান,,,,,,,,, আআআআ

,,,,, কি হলো স্যার।

,,,,,,,,, আমার ঘার।

,,,,,,, স্যার আমার দিকে তাকিয়ে কথা বলুন।

,,,,,,, আরে আমার ঘার কোনো দিক ঘুরছে না।

,,,,,,, স্যার আপনি বাম দিকে কি দেখছেন এদিকে দেখুন৷

,,,,,,,,, আমার মার কথা সত্যি হয়ে গেছে।

,,,,,,,, কি কথা স্যার।

,,,,,,, আমার মা বলতো আমি যেমন তার ছিঁড়া আমার কপালেও জুটবো তার ছিঁড়া।

,,,,,,,, মানে।

,,,,,, মানে আমার ঘার বেকা হয়ে আটকে গেছে।

,,,,,,, কেমন ঘার আপনার।

,,,,,,,, কি করবো বলো আমার গাড় বেহাইয়া তাই বেইক্কা গেছে এটা বাদ দাও, ব্যাথা করছে।

,,,,,,, ডক্টরকে কল দিয়৷

,,,,,,, কিছু খনের মধ্যে ঠিক করতে হবে সন্ধ্যায় আমার কনসেপ্ট আছে।

,,,,,,,, হুমম,, ঠিকি আছে সোফায় শুতে কে বলছিলো আপনাকে। ডাক্তারের কাছে চলেন।

,,,,, আমি নড়তেও পারবো না। আর আমার কাছে সময়ও নাই একটু পরে বের হতে হবে।

,,,,,,, আমি টিভিতে দেখছি গাড় বেকে গেলে জোরে অন্য দিকে বেকালে ঠিক হয়ে যায়, আমি এখনি করে দেখছি।

,,,,,,,,, না থাক পড়ে দেখা যাবে আমার ঘাড় আছে কিন্তু মাথা নেয়। মাথা ছাড়া কেমন লাগবে দেখতে।

,,,,,,, আমি ঘাড় ঠিক করার কথা বলছি কাটার কথা না।

,,,,,,,,,, তোমার কথা শুনে দুটো একি কথা মনে হচ্ছে।

,,,,,,,, তাহলে বসে থাকুন এভাবে।

,,,,,,,, আমি ওয়াশ রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে আসি।

,,,,,,, পারবেন তো

,,,,,, হুমম৷

কিছু খন পরে ফ্রেশ হয়ে আসে। তারপর মাহুয়া যায়।

মাহুয়া এসে দেখে ব্যাথায় মা মা করছে।

,,,,,,,,, বেশি ব্যাথা করছে।

,,,,,, নড়াতে পারছি না গান গাবো কিভাবে।

,,,,,,,,, আমি এক কাজ করি আপনার ঘাড়ে তেল মালিশ করে দিয়। ভালো হয়ে যাবে।

,,,,,,,আমি বেঁচে থাকতে চাই,আমাকে বেঁচে থাকতে দাও। ( গান গেয়ে৷)

,,,,,,, এই সময় কেও গান গায়,,, দাঁড়ান আমি তেল নিয়ে আসছি।

,,,,,, এখানে তেল কোথায় পাবে৷

,,,,,, আরে দূররর পাওয়া যাবে।

কিছু খন পর মাহুয়া তেল নিয়ে আসে।

,,,,,, পেয়ে গেছি তেল৷

,,,,, কোথায় পেলে৷

,,,,,, হোটেলের রান্না ঘরে, বাবুর্চি থেকে নিয়ে এসেছি।

,,,,,,, তুমি কি আমাকে চিকেন মনে করেছো নাকি যে রান্নার আগে তেল মালিশ করবে। রান্নার তেল দিয়ে কে মালিশ করে মুরগি ছাড়া।

,,,,,,,, আরে দূরর সরিষার তেল এটা।

,,,,,,, ওওও

মাহুয়া রিমানের পিছনে গিয়ে বসে।

,,,,,,, আপনি সামনে তাকান আমি মালিশ করে দিয়।

,,,,,,,, সামনে তাকাতে পারলে তুমাকে দিয়ে মালিশ করাতাম।

,,,,,,,, এটাও কথা , ঠিক আছে শুরু করলাম।

,,,,,,,, হে আল্লাহ আমার ওপর তোমার রহমত রেখো। যাতে আমার মাথা আমার গাড়ে থাকে, এতো সুন্দর মাথাটা আমার আমি হারাতে চাই না।

,,,,,,,, একটু বেশি হয়ে গেলো না৷ একটু চুপ থাকুন।

মহুয়া আস্তে আস্তে করে গাড়ে তেল দিয়ে মালিশ করছে।

,,,,,,,, কি ব্যাথা লাগছে।

,,,,,,, আহাআআ ভালোই লাগছে, করো করো।

মাহুয়া তেল মালিশ করতে করতে হঠাৎ করে মাথা বাম দিক থেকে নিয়ে ডান দিকে ঘুরিয়ে দেয়। রিমান এতো জোরে চিৎকার দেয় যে পুরো হোটেল কাঁপিয়ে ফেলাইছে।

এখনো বিছানায় শুয়ে এদিক থেকে ঐদিক পযন্ত গোঁড়াচ্ছে আর চিৎকার করছে।

,,,,,,, ওওও মা তোমার ছেলে আজ শেষ, তোমার ছেলের মাথা তোমার ছেলের সাথে নেয়। এখন মাথা ছাড়া কিভাবে যাবো তোমাদের সামনে। ওও ফারহান আরাব কই তোরা মাথা লাগিয়ে দিয়ে যা 😭😭

,,,,,, স্যার আপনার মাথা ঠিক আছে,,, স্যাররর

রিমান এখনো চিল্লাচ্ছে। মাহুয়া রিমানের কাছে গিয়ে ঝাঁকাতে থাকে, রিমান যে পরিমান গড়াগড়ি করছে তাতে মাহুয়া তাল ঠিক রাখতে না পেরে রিমানের ওপর পরে যায়।

আর একটুর জন্য মাহুয়ার ঠোঁট রিমানের ঠোঁটে লাগেনি থুতনিতে লাগে।

রিমান হা করে থাকে, মাহুয়া মাথা তুলে রিমানের চোখের দিকে তাকায়। রিমানও তাকিয়ে আছে, এই মূহুর্তে মাহুয়ার চশমা খুলে রিমানের চোখে পড়ে যায়।।

মাহুয়া তাড়াতাড়ি উঠে বসে,

,,,,, এই নাও তোমার চশমা।

মাহুয়া চশমা নিয়ে পড়ে নেয়।

,,,,, এখন আপনার গাড় কেমন আছে।

,,,,,,, আমার গাড় কোথায়,,,,, ও হ্যাঁ ঠিক আছে।ব্যাথা করছে না, Very good, very good.

,,,,,,,, নাস্তা করে বের হতে হবে হুমমম।

রিমান আর মাহুয়া বেরিয়ে যায় গাড়ি নিয়ে, কনসেপ্ট অনেক ভালো হয়।

রাত হয়ে গেছে, তাড়া গাড়ি নিয়ে আসছিলো, সামনে একটা সুন্দর জায়গা পড়ে, চারপাশে মাঠ মাঝখানে ঝিল।

মাহুয়া,,,,,,,, গাড়িটা থামান না দেখেন কি সুন্দর জায়গা, চাঁদনী রাত যেনো জায়গাটা আরো সুন্দর করে তুলেছে।

,,,,,,, ঠিক আছে নামো, কাল তো চলেই যাবো তো আজ ঘুরে দেখি।

তারা দুজনে নামে, একটা বেঞ্চে গিয়ে বসে।

রিমান,,,,,, তোমার চশমা আনতে ভুলে গেছো দাঁড়াও আমি গিয়ে নিয়ে আসি।

,,,,, লাগবে না।

,,,,,, চশমা ছাড়া ভালো করে দেখতে পারবে।

,,,,,, আমার চোখে কোনো সমস্যা নেয়, এমনি পরি চশমা।

,,,,,, চশমা ছাড়া তোমাকে আরো অনেক বেশি সুন্দর লাগে।

,,,,,, জ্বী

,,,,, হুমম তোমার চোখ অনেক সুন্দর।

মাহুয়া উঠে যায়, উঠে চারপাশটা ভালো করে দেখছে, আর মুশকি মুশকি হাসছে।

,,,,,,,, ( চাঁদের আলো থেকেও আজ তোমায় অনেক বেশি সুন্দর লাগছে, এই হাসি দিয়ে দুনিয়ায় সব কষ্ট ভুলা যায়। )

,,,,,, ঐখানে বসে কি করছেন এখানে আসেন দেখেন কি সুন্দর।

রিমান উঠে মাহুয়ার কাছে আসে,

,,,,,, দেখেন কি সুন্দর।

মাহুয়া রিমানকে ঝিল দেখাচ্ছে কিন্তু রিমান মাহুয়াকে দেখছে, হঠাৎ করেই রিমান মাহুয়ার গালে দুই হাত রেখে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়।

হঠাৎ এমন হওয়ায় মাহুয়া চোখ বড়ো বড়ো করে ফেলে, কিছু বুঝতে না পেরে দাঁড়িয়ে থাকে, একটু পরেই রিমান মাহুয়াকে ছেড়ে দূরে দাঁড়িয়ে থাকে।

মাহুয়া এখনো হা করে আছে। কিছু খন পরে মাহুয়া চুপচাপ গাড়িতে গিয়ে বসে, সাথে রিমানও।

দুজনে একটা কথাও বলে না, এসে চুপচাপ শুয়ে পড়ে,রিমান নিচে চাদর বিছিয়ে শুয়ে পরে।

দুজনে শুয়ে শুয়ে একি কথা ভাবছে।

,,,,,,,,,,,

আরাব বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে কখন মুন বের হবে।

মুন বের হতেই

আরাব,,,,,,,,, গাড়িতে গিয়ে বসো।

,,,,, কেনো।

,,,,,, দেখছো না কতো বৃষ্টি হচ্ছে বসো আমি পৌঁছে দিচ্ছি।

,,,,,,, আমি যেতে পারবো আপনাকে কষ্ট করার কোনো দরকার নেয় ( কি মনে করেছে সকালের কাহিনি ভুলে গেছি। )

,,,,,,,,, তুমি উঠবে কি না বলো।

,,,,,,, না উঠবো না না না না

,,,,,, আরেক বার বলছি উঠো না হলে কোলে করে উঠাবো সেটা ভালো লাগবে।।

,,,,,,, সবার সামনে আপনি এটা করতে পারেনা।

,,,,,,,, আমি সব পারি করে দেখাবো।

,,,,,, কিহহহ

,,,, তোমার মনে হয় আমার কোলে উঠতে মন চাচ্ছে দাঁড়াও।

বলে সামনে যেতেই মুন তাড়াতাড়ি দৌড়ে গাড়িতে বসে। আরাব মুশকি হেসে গাড়িতে বসে।

,,,,,,, ( সাইকো ডেবিল একটা )

আরাব গাড়িতে উঠে হঠাৎ করে মুনের অনেক কাছে চলে আসে। মুনের হার্ট বির্ড বেড়ে যায় নিশ্বাস ভারি হয়ে যায়।

মুন আরাবের নীল চোখে যেনো হারিয়ে গেছে।

,,,,,, ক ক কি করছেন

,,,,,,,, সিট বেল বাধঁছি।

,,,,,,,, আমি বাধতে পারি।

,,,,,, তাহলে আগে বাঁধোনি কেনো, আমার জন্য অপেক্ষা করছিলে নাকি।

,,,,,,, একদমি না,, সামনে থেকে সরেন।

আরাব গাড়ি চালাতে থাকে।

,,,,,,,,,, ( এটা কি হচ্ছে আমার, না না এই সব ভাবলে হবে না, নিজেকে সামলাতে হবে, মুন তুই ওর জন্য কিছু ফিল করতে পারিস না )

গাড়ি থামাতেই মুন তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে বাড়ির ভিতরে যায়।

আরাবও চলে যায়।

চলবে,,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here