জীন রহস্য (love story)❤,Part 20,21
Writer Maishara Jahan
Part 20
,,,,,,,,,,ঠিক আছে টাটা
,,,,,,,,, হুমম টাটা টাটা
সকালে,,,,,,,,,
সকালে খুব তাড়াতাড়ি উঠে গেছি, আজ মুগ্ধ আসবে বিয়ের কথা বলতে, যদি না আসে তাহলে ওর এক দিন কি আমার এক দিন।
একটা হালকা মিষ্টি কালারের শারি পরেছি। পড়তে পারি বা মোবাইল থেকে দেখে দেখে চৌদ্দ ঘন্টা লাগিয়ে পরেছি, তাও কখন জানি পরে যায়।
জীবনের প্রথম শারি পরলাম আজ। শারির সাথে শুধু হালকা গোলাপি লিপস্টিক দিয়েছি, আর কিছু না।
তাড়াতাড়ি নিচে গেলাম, খুশিতে ভুলেই গেছি যে আমার বাড়িতে আমার একটা মা বাবাও আছে।
নিচে যেতেই মা বাবা হা করে আমার দিকেই তাকিয়ে আছে, আমার সে দিকে কোনো খেয়াল নেয়, আমি সোফায় বসতে বসতে দরজার দিকে তাকিয়ে আছি।
টেবিলে খাবার ছিলো, উঠিয়ে খাচ্ছি তাও আবার দরজার দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে।
বাবা,,,,,,,, মা কারো জন্য কি অপেক্ষা করছো।
যীন্নাত,,,,,,, হুমম,,,, না মানে কার জন্য অপেক্ষা করবো, কারো জন্য না।
বাবা,,,,, না মানে বার বার দরজার দিকে তাকাচ্ছো তাই বললাম।
যীন্নাত,,,,,,, এমনি দেখছিলাম দরজা লাগানো আছে কি না, আজ কাল চোরের যে উৎপত্তি বেরেছে অফফ।
বাবা,,,, তা তোমার কি মনে হয় চোর আমাদের সামনে চুরি করতে আসবে।
,,,,, বলা যায় না।
মা,,,,,,,,, যীন্নাত সত্যি করে বলতো কি হয়েছে আজ হঠাৎ শারি পরলি কি মনে করে।
,,,,,,, আসলে মা হয়েছে কি
,,,,, কি হয়েছে
,,,, ফারা এটা আমাকে গিফট করেছে তাই পরে দেখলাম৷
,,,,,,, তা ফারা তকে শারি গিফট করলো কেনো।
,,,,, ও এটা আমার জন্মদিনে দিয়েছে আজ হঠাৎ চোখে পরায় পড়লাম। কেনো ভালো লাগছে না।
বাবা,,,,,, খুব সুন্দর লাগছে আমার রাজকুমারীকে একদম পরীর মতো।
যীন্নাত,,,,,,, ( কেনো যানি আজ কাল কেও আমাকে পরী বললে সেটা তারিফ মনে হয় না )
কখন ধরে বসে আছি এখনো কেনো আসছে না, শারি পরে আর থাকতে পারছি না, কুচি বার বার ঠিক করছি বিরক্তিকর।
তখনি কলিং বেল বাজে আর আমি দৌড় দিতে গিয়ে পরতে পরতে বেঁচে যায়, গিয়ে দরজা খুলি, গিয়ে দেখি আমার তিন বন্ধু এসেছে।
ওরাও আমার দিকে তাকিয়ে আছে।
,,,, তোরা আয় ভিতরে 😕😕
সবাই ভিতরে এসে সোফায় বসতে না বসতেই
মা,,,,,, ফারা মা তোমার পছন্দ অনেক সুন্দর, যীন্নাতকে এতো সুন্দর শারী উপহার দিয়েছো।
ফারা,,,,,,, আমি নাতো।
রিয়াদ,,,,, ও দিবে শারী উপহার জীবনে চোখে দেখছে কিনা সন্দেহ।
যীন্নাত,,,,, চুপ কর তোরা ভুলে গেছিস তোরাই তো এটা আমার জম্মদিনে দিয়েছিস।
রিয়াদ,,,,,,,, তোর জম্ম দিন জীবনে ভুলার না, নিজেদের জান আর প্যান্ট বাঁচাতে বাঁচাতেইতো কাহিল আবার শারী।
যীন্নাত,,,,,,, হিহিহি কেনো মজা করছিস রিয়াদ তাও আবার মা বাবার সামনে ( ইশারা দিয়ে )
রোহান,,,,,,, ওর কথায় কান দিবেন নাতো আন্টি ও আমনি মজা করে।
মা,,,,, ওও আচ্চা কোনো ব্যাপার না।
আমি গিয়ে ওদের সাথে বসলাম সবাই খাওয়া নিয়ে ব্যস্থ।
যীন্নাত,,,,,, তোরা এখানে এই সময় কেনো ( আস্তে আস্তে )
রিয়াদ,,,,,,,, তোকে আজ দেখতে আসছে তাই আসলাম।
,,,,,, তোরা জানলি কেমনে।
রিয়াদ,,,,,,,, আমাকে মেহেরিমা বলেছে আর আমি সবাইকে।
যীন্নাত,,,,,,,,,, তুই মেহেরিমাকে কোথায় পেলি।
রিয়াদ,,,,,, কাল রাতে আমার সাথে দেখা করার জন্য এসেছিল।
যীন্নাত,,,,,,, চাপা
ফারা,,,,,,, আরে জানোস না আরো কতো চাপা মারছে আমাদের সামনে।
রিয়াদ,,,,,,,,,, ফারা সবাইকে নিজের মতো ভাবিস না।
ফারা,,,,,, কি কইলি তুই
রিয়াদ,,,,,,, বাদ দে, শুন মেহেরিমা আমাকে বলেছে আজ সবাই তোর বিয়ের কথা বলতে আসছে, তাই আমিও আসলাম।
যীন্নাত,,,,,, তোরা কতো ভালো আমার জন্য কতো ভাবস।
রিয়াদ,,,,,,,,,, এটা তোর ভুল ধারনা, আমি আসছি মেহেরিমাকে পটাতে। 😎😎
যীন্নাত,,,,,,,,,, শয়তান 😑😑
দরজায় আবার কলিং বেল বাজে, এবার মা গিয়ে দরজা খুলে।
মা,,,,,, আরে মুগ্ধ বাবা আসো ভিতরে আসো।
মুগ্ধের নামটা শুনতেই মনের ভিতরে কেমন করে উঠলো। আমরা উঠে দাঁড়ায়।
দেখি মুগ্ধ, নানু, মা, মেহেরিমা এসেছে। আজ মুগ্ধকে সেই পরিমানের হেন্সাম লাগছে, কালো কোর্ট প্যান্ট।
আসতেই আমি একটা চোখ টিপ মারি। ওরা সবাই বসে, মা বাবা কেমন আমাকে সন্দেহর নজরে দেখছে।
রিয়াদ,,,,,, হাই মেহু 😍😍
বলতেই সবাই রিয়াদের দিকে তাকায়,, এমনকি আমরাও
রোহান,,,,,,, মেহুওওও
রিয়াদ,,,,,,,, না মানে মেহেরিমা।
মেহেরিমা,,,,,,, হাই রিদু
এবার সবাই মেহেরিমার দিকে তাকায়।
রোহান,,,,,,,, রিদুওওও
রিয়াদ,,,,,,,, হয়ছে ভাই সবাই শুনছে তোর রিপিট করা লাগবো না কেও ভয়রা না এখানে। 😒
বাবা,,,,,, আপনারা,,,,,
নানু,,,,,,, আমি মুগ্ধের নানি,, ও মুগ্ধের মা আর ও বোন। আমরা সবাই মুগ্ধ আর যীন্নাতের বিয়ের কথা বলতে এসেছি।
মা,,,,,,, ওওও এবার বুঝেছি,, ( আমার দিকে তাকিয়ে )
বাবা,,,,,, তুমি জানতে যে ওরা।
যীন্নাত,,,,,,,, না বাবা একদমি না 😅😅
মা,,,,,, আমরা বুঝেগেছি মা।
বিয়ে সব পাকা পাকি হয়ে যায়, আগামী সপ্তাহ আমাদের বিয়ে। কিন্তু মা বাবা এটা জানেনা যে ওরা জ্বীন, মা বাবা জানে ওরা এখানেই থাকে। আর এখানে তো মুগ্ধের একটা বড়ো বাড়ি আছেই।
,,,,,
রোহান,,,,,, ফারা দেখো না সবাই বিয়ে করছে।
ফারা,,,,,,, হ্যাঁ তো
রোহান,,,,,,,,,, আমারো বিয়ে করতে মন চাইছে।
ফারা,,,,, তো করো।
রোহান,,,,,, চলো না বিয়ে করি।
ফারা,,,,,, এমন ভাবে বলছো যেনো আমি বললেই হয়ে যাবে, আমার মা বাবার ও মত থাকতে হবে।
রোহান,,,,,,, আমি আমার মা বাবাকে পাঠাবো তোমার মা বাবার কাছে,, এখন তুমি রাজি তো।
ফারা,,,,,,, আসলে বিয়েতে কতো মজা হয়, আমারো বউ সাজতে মন চাইছে, বউ সেজে পিক তুললে কি সুন্দর হবে।
রোহান,,,,,,,এ্যাঁ
ফারা,,,,,,, বিয়েতে যদি ছবি সুন্দর না হয় তাহলে কিন্তু আমি আবার বিয়ে করবো।
রোহান,,,,,, কিহহ,,, আমি বেস্ট ক্যামেরা মেন আনবো বিয়েতে। কিন্তু তুমি কি শুধু বউ সাজার জন্য বিয়েতে রাজি হয়েছো নাকি।
ফারা,,,,,,,,, শুধু তোমার বউ সাজার জন্য, মন কে অনেক বুঝিয়েছি কিন্তু মনে তোমার ছাড়া আর কারো জন্য বউ সাজার ইচ্ছে হয় না কি করবো।
রোহান,,,,,,, সত্যি ( উঠে দাঁড়িয়ে, অনেক জোরে বলে )
সবাই ওর দিকে তাকিয়ে আছে।
রিয়াদ,,,,,,, কি হয়ছে ভাই ব্যাঙের মতো লাফাচ্ছিস কেনো।
রোহান,,,,,,, সরি, আসলে আসলে
রিয়াদ,,,,,, তুই বোস ভাই বুঝছি তোর মুখ দিয়ে এখন কোনো কথা বাহির হয়বো না। সবাই ওরে মাফ করে দেন ও আমার মতো এতো সাহসি না, তাই ভয়ে কিছু বলতে পারবে না।
ফারা,,,,,,, কিছু কমু।
রিয়াদ,,,,,,,, না থাক বড়োদের সামনে এতো কথা বলা ঠিক না৷
যীন্নাত,,,,, রিয়াদ
রিয়াদ,,,,,,, চুপ থাকনা ভাই, তোর বিয়া ঠিক হয়ছে কই লজ্জায় ঘর থেকে বাহির হবি না,, তা না এখানেই খুঁটি মাইরা বইসা রয়ছে।
ওর কথা শুনে একটু লজ্জা হলো কিন্তু কি করে বলি বেশি নড়াচড়া করলে শাড়ী খুলে যেতে পারে।
যীন্নাত,,,,,, রিয়াদের বা
রিয়াদ,,,,,,,, মুগ্ধ যাওতো ওরে নিয়া যাও এখান থেকে,, আন্টি ওদের একটু আলাদা কথা বলা দরকার।
মা,,,,,, হুমম যাও তোমরা উপরের ঘরে যাও।
আমি আর মুগ্ধ উপরে আসি, অনেক কষ্টে শারীর কুচি ধরে ধরে এসেছি।
,,,,,
রিয়াদ,,,,,,, এখানের বাগানটা অনেক সুন্দর, আমি মেহেরিমাকে দেখিয়ে আনি।
মেহেরিমা,,,,,,, হ্যাঁ চলো দেখি এখানে বসে থাকতে ভালো লাগছে না। আমি যায় নানু।
রিয়াদ,,,,,,,, ( এই বুড়ি এভাবে আমার দিকে তাকায়া আছে কেনো, এই বুড়ি যাইতে দে না হলে কিন্তু,,,,,,, কি আর করতে পারমু বরো জোর আয়তুল কুরছি পরতে পারমু )
মুগ্ধের মা,,,,,,, যাও গিয়ে ঘুরে আসো।
রিয়াদ,,,,,, ঠিক আছে আন্টি,, ( বু্ড়ি এখনো তাকায়া আছে শরম করে না নিজের নাত্নীর হবু স্বামীর দিকে এভাবে তাকাতে ) চলো মেহেরিমা।
আমরা বাগানে চলে গেলাম।
রোহান,,,,,,,, এই শুনো এদের মাঝে আমরা থেকে কি করবো, চলো ছাদে যাই।
ফারা,,,,,,, আসলেও আন্টিরা কি বোরিং কথা বার্তা বলছে।
রোহান,,,,, আন্টি আমরা একটু উপরে যাই দেখি যীন্নাতের কি অবস্থা।
আন্টি,,,,, ঠিক আছে যাও।
আমরাও চলে গেলাম ছাদে।
,,,,,,,
মুগ্ধ,,,,,,, অনেক সুন্দর লাগছে তোমায় শারীতে।
যীন্নাত,,,,,, thanks ( কিভাবে পরে আছি আমিই জানি )
মুগ্ধ,,,,,,, প্রথম শারী পরেছো বুঝি।
,,,,,,, কিভাবে বুঝলে।
,,,,,,৷ না মানে যেভাবে কুচি ধরে ধরে হাটছো।
,,,,,,,, হুমম মনে হচ্ছে এখনি খুলে যাবে।
,,,,,,, এক কাজ করো শারী পাল্টিয়ে অন্য কিছু পড়ে নাও।
,,,,,,,, এখন
,,,, হুমম।
,,,,,,, তোমার সাথে উপরে আসলাম শারী পরে এখন যদি শারী চেন্স করি তাহলে সবাই কি ভাববে।
,,,,,,, কি ভাববে ( আমার কাছে এসে )
আমি দেওয়ালের সাথে ঠেকিয়ে গেছি, হাই এই চোখে তাকিয়ে আমি ঘায়েল হয়ে যাবো,, না না এখন ক্রাস খেলে হবে না নিচে সবাই আছে।
,,,,,,, কি হলো বলো কি ভাববে।
,,,,,,,,, না মানে মানে
,,,,,৷ মানে ( আমার ঠোঁটের কাছে এসে )
আমি মুগ্ধর হাতের নিচ দিয়ে বেরিয়ে আসি, যেতে নিয় আর মুগ্ধ আমার হাত ধরে টান দেয়, পায়ের সাথে বেঝে আমার সারীর কুচি খুলে যায়।
মুগ্ধ আমার পেটের দিকে তাকিয়ে আবার অন্য দিকে চোখ ঘুরায়।
আমি তাড়াতাড়ি করে আবার কুচি করতে গিয়ে প্রায় অর্ধেক শারী খুলে যায়, বলতে গেলে আমার অর্ধেক শরীর দেখা যায়।
আমি চেষ্টা করছি কিন্তু হচ্ছে না,, উপর দিকে মা ডাক দিচ্ছে, কিছু করা লাগবে না হলে মান সম্মান থাকবে না।
,,,,, এখন কি করবো।
মুগ্ধ সামনে ফিরে,, একবার আমার দিকে তাকাচ্ছে আরেক বার অন্য দিকে।
,,,, দাও আমি ঠিক করে দিচ্ছি।
,,,,,, না থাক আমি করে নিবো।
,,,,, দেখায় যাচ্ছে,,
বলে আমার হাত থেকে সারী ছাড়ায়, আমি নিজের মাঝে নেয়। প্রথম আমার এতো লজ্জা করছে, মনে চাচ্ছে মাটি ফাঁক করে ভিতরে ডুকে যেতাম।
,,,,, এতো লজ্জা পাওয়ার কিছু নেয় এমনি তেও কয়েক দিন পরে সব আমিই দেখবো।
এবার মনে হচ্ছে কোনো এক পাহারের ভিতরে ডুকে যেতে পারলে ভালো হতো।
মুগ্ধ শারী নিয়ে কুচি করে দিচ্ছে, কুচি করে দিয়ে আমার হাতে ধরিয়ে দেয়। আমি কুচি ঠিক করি।
মুগ্ধ নিচে বসে আমার শারীর কুচি ঠিক করে দিচ্ছে।
মুগ্ধ,,,,,,,, তিলটা খুব সুন্দর।
,,,,,,, কিসের তিল
,,,,,,, নাভীর কাছে যে তিলটা আছে খুব সুন্দর লাগছে।
,,,,,, কিহহহ
শারী দিয়ে ডাকতে নিলে মুগ্ধ আমার হাত ধরে ফেলে, ঐ দিকেই তাকিয়ে আছে, তার ঠোঁট ধীরে ধীরে আমার পেটে এগুতে থাকে, আমার পেটে গরম নিশ্বাস অনুভব করে চোখ বন্ধ করে ফেলি।
একটু পর আমার কপালে ঠোঁটের স্পর্শ পেয়ে চোখ খুলি।
,,,,,,, নিচে চলো, বিয়ে হওয়ার আগ পর্যন্ত আমাদের এক ঘরে একা বেশি খন থাকা ঠিক হবে না।
,,,,, হুমম
,,,,,,,,,,
রিয়াদ,,,,,,, মেহু আজ না তোমাকে অনেক সুন্দর লাগছে।
,,,,,,, তাই ধন্যবাদ
,,,,,,,, বাগানটা সুন্দর না, দেখো কতো প্রজাপতি,, এমন প্রজাপতি দেখেছো।
,,,,,, আমাদের এখানে মানুষ থাকেনা এর থেকে সুন্দর সুন্দর প্রজাপতি পাখি সব আছে।
,,,,,, ওওও সাথে সাথে পেত্নী ও আছে।
,,,, হুমম আছেই তো তোমাকে আমি দেখাবো ঠিক আছে।
,,,,,,, না পাগলি এতো সুন্দর জিনিস আমার চোখ সহ্য করতে পারবে না।
,,,,, আরপ দুরর ওদের দেখে তোমার খুব ভালো লাগবে। বড়ো বড়ো লাল চোখ, ইয়া বড়ো দাঁত, অনেকের চোখ উঠানো।
,,,,,, নাউজুবিল্লাহ ( এর বিয়ার আগে বিদবা হওয়ার এতো সক কেনো )
,,,,, তারপর
,,,,,,, থাম পাগলি জান নিয়েই ছারবি নাকি।
,,,,,৷ মানে,
,,,,,,, দেখো তোমাকে একটা কথা বলি, একবার বলেছি আবার বলি,,,, আমি আমার মা বাবার একমাত্র ছেলে, আমি সাহসী হলেও আমার হার্ট একটু দুর্বল।
তাই আমার মা বাবাকে এতিম করতে না চাইলে এই ধরনের কথা বলো না হুমম।
,,,,,,,৷ দুর্বল জিনিস রাখো কেনো বের করে ফেলে দাও না পারলে আমাকে বলো।
,,,,,,,, আস্তাগফিরুল্লাহ কই কি,,,, ও মা তুমি কই,, আমার মাথা ঘুরতাছে।
,,,,, কি হলো
,,,, এখন আমার সব এক্স এর কথা মনে পরতাছে,, সবগুলা আমার টাকায় খায়া আমারে অভিশাপ দিয়া গেছে।
,,,,, কি অভিশাপ
,,,,,, আমার কপালে এমন মেয়ে ঝুটবো যাকে দেখো আমি কেনো আমার চৌদ্দ গুষ্টি ভয় পাবে।
,,,,, এখন কি হলো।
,,,,,,, শয়তান্নি গুলির কথা সত্যি হয়া গেলো 😭😭
দেখিস সব গুলোর কপালে সরকারি চাকরি ওয়ালা বুড়া আংকেল ঝুটবো। আর ঐ মায়ার কপালে টাক ওয়ালা চাচা ঝুটবো। এ্যাঁ এ্যাঁ 😭😭
,,,,,,, কি হয়েছে।
,,,,, এই মুহূর্তে আমার একটা গান মনে পরছে
,,,, কি গান
,,,,,, আমি মরে যাবো, বিষ খাবো, বাঁচাতে চাইলে বাঁচাতে পারো আপত্তি নাই।
,,,,,, তোমার কন্ঠ ভালো না।
,,,,,,, বাহহহ কষ্ট না দেখে কন্ঠ দেখছে,, তোমার সা-রে-গা-মা-পা এই সোয়ের জর্জ হওয়া উচিত ছিলো৷
,,,,,,,, তোমার কথা আমি কিছু বুঝছি না, আমি গেলাম। বলেই হাওয়া হয়ে গেছে।
,,,,, ওআম্মাগোওওওওও কই গেলো,,, আল্লাহ বাঁচাও, এই মেয়ে কোনো দিন আমারে সত্যি সত্যি সক দিয়া মাইরা ফেলাইবো।
তাড়াতাড়ি উল্টা পাল্টা দৌড় দিয়া ঘরের ভিতরে ডু্কি, ভয় লাগতাছে পুরো বাগানে আমি একা।
চলবে,,,,,,,
জ্বীন রহস্য (love story)❤
Writer Maishara Jahan
Part 21
তাড়াতাড়ি উল্টা পাল্টা দৌড় দিয়া ঘরে ডুকি,ভয় লাগতাছে পুরো বাগানে আমি একা।
যীন্নাত,,,,,,,,, কীরে তুই এমন ভাবে দৌড়ে এলি কেনো, যেনো ভুত দেখছোস।
রিয়াদ,,,,,,,,,,, চোখের সামনে জ্বীন দেখতাছি এখন আর ভুত দেখলেই কি হয়বো। (আস্তে )
যীন্নাত,,,,,,,,,, কিছু বলছোস,,,,
রিয়াদ,,,,,,,, বলতাছি যে তোর বিয়ের খুশিতে দৌড়াতে মন যাইছে কি আনন্দের কথা।
রোহান,,,,,,,,, আমি মনে হয় ছাদ থেকে অন্য কিছু দেখলাম 😏😏
যীন্নাত,,,,,,, কও দেখছিস 😃😃
রিয়াদ,,,,,,, তুই ছাদে কেনো গেছস, কার সাথে গেছস। 🤨🤨
মা,,,,,, ফারার সাথে গেছে।
রিয়াদ,,,,,,,, এখন আমি কি কিছু কমু 😎😎
রোহান,,,,,,,,, ভাই এখানে এসে বস,, কি আর কবি।
মেহেরিমা এসে চুপচাপ বসে আছে, মানুষ কে ভয় দেখিয়ে দেখো কি সুন্দর করে চুপচাপ বসে আছে যেনো বাঝা মাছ উল্টে খেতে পারে না।
নানু,,,,,,, এখন আমরা আসি, কাল থেকে তো আসা যাওয়া লেগেই থাকবে।
মা,,,,,,, ঠিক আছে।
সবাই চলে যায়, দুদিন পরে গায়ের হলুদ তারপর বিয়ে, ভালো লাগছে তবে বাবা মার একটু মন খারাপ সেটা দেখে কষ্ট ও হচ্ছে।
মা সবাইকে ফোন করে বলেদিয়েছে, এখনো করছে, অনেক জন কাল থেকে এসে যাবে। আজকে বাড়িটা যেমন শান্ত লাগছে কাল থেকে শান্তিতে ঘরে থাকা যাবে না।
অনেক রাত হয়েছে মনে মাঝে যেনো কেমন খালি খালি লাগছে, এখন মনে হচ্ছে মা বাবাকে ছেড়ে কিভাবে থাকবো।
কি অদ্ভুত আমি যে ওদের সন্তান নয় এটা আমাকে একটুও বুঝতে দেয়নি। মুগ্ধ না বললে আমি যানতেও পারতাম না।
এই সব ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়ি।
,,,,,,,,,
রিয়াদ,,,,,,,,, রাত তো অনেক হলো,, ডাকবো কি ডাকবো না, আমার তো ভয় করতাছে। দুরর রিয়াদ তোর মতো সাহসী কেও আছে নাকি। এখন ভয় পাইলে পরে বিয়ার পরে কি করবি।
সাহস রাখ সাহস, ডাকি। এক মিনিট ডাকার আগে সূরা পরে বুকে ফু দিয়া নেয় যাতে ভয় কম লাগে।
,,, হুমম হয়ছে এখন এখন ডাকি আল্লাহ
ম ম মেহেরিমা,,,, মে মেহেরিমা মে মে মেহেরিমা।
আসে না কেনো,, মেহেরিমা
আর হঠাৎ করে রিয়াদের সামনে চলে আসে।
,,,, ও আম্মামামামা বলে খাটের ওপরে উঠে যায়।
বুকে হাত দেয়ে জোরে জোরে শ্বাস নিতে নিতে
,,, এভাবে কে আসে হুমম,,, তুমি দেখি আমার জান নিয়েই ছারবা, আমার একটা মাত্র জান।
মেহেরিমা,,,,,,, সবার দশটা থাকে নাকি।
,,,,,,,, যাই হোক আগের বার আসলে একটু বলে আসবা।
,,,,, অফফ ঠিক আছে,,, এবার বলো কেনো ডেকেছো।
,,,,,,,, কথা বলার ছিলো।
,,,,,,, বলো
,,,,,,, তুমি আগে বসো,, পরে আমরা কথা বলি।
,,,, হুমম,, বসছি এবার বলো।
,,,, আচ্চা তোমার কি করতে ভালো লাগে।
,,,,,,,, রাতের বেলা সবাইকে ভয় দেখাতে সেই ভালো লাগে।
,,,,, ( দেখ কই কি ) আচ্ছা কি খেতে ভালো লাগে।
,,,,,, খেতে?? অমম 🤔🤔
,,,,, ( আল্লাহ মানুষ টানুষ আবার না বলে ফেলে তাহলে আমি এখানেই শেষ )
,,,,, সবি ভালো লাগে।
,,,,, সবি বলতে তোমরা কি খাও।
,,,,, কি খাই মানে তোমরা যা খাও তাই খাই।
,,,,,,, ওও আল্লাহ বাঁচাইছে।
,,,,, কিছু বললা।
,,,,,, না,,, আচ্ছা আমাকে তোমার কেমন লাগে,,
,,,,,,,, হাস্যকর লাগে 😂😁
,,,,,,, তুমি কি আমাকে জোকার বললা 😐😐
,,,,,,, না তা বলি তবে ওদের থেকে কম লাগে না 🤡তুমি না অনেক ফানি আর,,,
,,,,,, হয়ছে বুঝছি আর তারিফ করা লাগবো না 😑
তুমি জানো রোজ কতো মেয়ে আমার পিছে ঘুরে😎😎
,,,,, কতো মেয়ে
,,,,,, 😶😶 সেটা বড়ো কথা না বড়ো কথা হলো তাদের কাওকে আমি পাত্তা দিয় না।
,,,,,,, তুমি এ রাতের বেলা আমাকে এগুলা বলার জন্য ডাকছো। আমি গেলাম।
,,,,,,,, পাত্তা কেনো দিয় না এটা তো শুনে যাও। দুররর চলে গেলো।
ওও আমার পরী তুই কবে আমার হবি ( জোরে গান গেয়ে, কোল বালিশ জরিয়ে ধরে )
বাবা,,,,,,, এই গাধা গরুর মতো হাম্বা হাম্বা করা বন্ধ কর, কোনো কাছের না একটা গাধা জম্ম দিছি।
,,,,, আমি গান গায় নায়, আমি ঘুমিয়ে গেছি।
,,,,,, তাহলে আমার সাথে কথা বলে কে তোর ভুত, আমি কি গাধা।
,,,,, আমি কি বলবো তুমিতো নিজেকে বলছো।
,,,,, দারা জুতা দিয়া আজ তরে
,,,,, বাবা এখন না এখন মাইর খাওয়ার ইচ্ছে নাই কাল দিয়।
,,,,, আল্লাহ
,,,,,,,
সকালে,,,,,
সকালে ঘুম থেকে উঠেই, এক জন না এক জনের কল আসেই চলেছে।আর মানুষ তো একের পর এক আসছেই, দরজা খুলতে খুলতে আমি শেষ।
আবার কে জেনো আসলো, অফফ ভালো লাগেনা। আমার বিয়েতে আমারি কাজ করা লাগতাছে। আর আমার চাচতো বোন গুলা আরামে বসে রয়ছে।
গিয়ে দরজা খুলে দেখি, রিয়াদ,রোহান আর ফারা। তাও আবার বেগ নিয়ে।
,,,, তোরা বেগ নিয়ে।
ফারা,,,,,, তোর বিয়েতে কয়েক দিন আগেই চলে আসলাম। যতো দিন না তুই এই বাড়ি ছেড়ে যাচ্ছিস, ততো দিন আমরা এখানেই থাকবো।
,,,,, ভালো করেছিস এসেছিস, আমার বিয়েতে যারা যারা এসেছে তাদের সাথে তো আমি বেশি কথাই বলি নি। আগে কেমন চুপচাপ থাকতাম জানিস তো, তোদের সাথে এখন কথা বলতে পারবো।
রিয়াদ,,,,,,, তা এখানেই দাঁড় করিয়ে রাখবি নাকি।
,,,,, ভিতরে আয়।
রোহান,,,,,,, এতো মানুষ, বিয়ে টিক হলো কালকে আর আজি এতো মানুষ।
রিয়াদ,,,,,,,, মনে হয় তোরে এই ঘর থেকে ভাগানোর জন্য সবাই তাড়াতাড়ি এসে পরছে।
যীন্নাত,,,,, চুপ থাক, আরো মানুষ আসার বাকি আছে।
রিয়াদ,,,,,,, ভাই আমরা থাকার জায়গা পাবো তো।
যীন্নাত,,,,,,, হুমম,,, ফারা আর আমার কিছু বোন আমার ঘরে থাকবে। আর বাকি ঘর গুলোতে বড়োরা থাকবে।
রিয়াদ,,,,,,,, আমরা কি বাহিরে থাকমু 😒😒😕
,,,,,, না না তোরা আমার বন্ধু তোদের কি বাহিরে রাখতে পারি৷
রিয়াদ,,,,, যানতাম আমার গুলগুলি তুই অন্তত আমার কথা অবশ্যই ভাববি। তো আমি কোন ঘরে থাকবো, ঘরটা বড়োতো।
,,,,, বিশাল বড়ো।
রোহান,,,,,, আমরা ঠিক কোথায় থাকবো বলতো 🤨🤨
,,,,, কেনো
রিয়াদ,,,,,,,, কি আমি ছাদে থাকমু, এটা তুই বলতে পারলি, রাতে যদি কোনো জ্বীন ভুত আমাকে উঠিয়ে নিয়ে যায় তখন 😰
যীন্নাত,,,,,, এতো ভয় পাওয়ার কিছু নাই, তোদের সাথে আমার অনেক চাচাতো মামাতো ভাই ও থাকবে। আর রিয়াদ তোর জন্য তো ছাদে এসি লাগানো৷
রিয়াদ,,,,,, ছাদে এসি কি তোর বাপে না মানে আংকেলে ধরে রাখবো। 🤬🤬
যীন্নাত,,,,,,, আরে রাতে ছাদে ঘুমাতে যা দেখবি এসির বাতাস আসছে৷ 😁😁
রিয়াদ,,,,,, কিছু কইলাম না।
,,,, আগে আমার রুমে চল।
ফারা,,,,, চল চল
,,,,,,
যীন্নাত,,,,,,,,, বিকালে আমরা মার্কেটে যাবো ঠিক আছে।
ফারা,,,,, কতো দিন হলো মার্কেটে যাই না মজা হবে।
রিয়াদ,,,,,, এবার বুঝলাম আংকেল কেনো আর বাচ্চা নিলো না।
ফারা,,,,,, মানে,, কেনো নিলো না।
রিয়াদ,,,,,, ভিক্ষা করার ভয়ে।
সবাই হেসে দেয়।
ফারা,,,,,,, শয়তান। আর রোহান তুমি ও হাসছো, মনে থাকে যেনো।
রোহান,,,,,,, কে হাসছে আমি তো হাসি নাই, রিয়াদ ফারার নামে এই সব উল্টো পাল্টে কিছু বলবি না।
এভাবেই হাসতে হাসতে সকাল কেটে যাই। আমরা সবাই মিলে মার্কেটে যায়, সবাই এমন ভাবে শপিং করে যেনো আমার ওদের বিয়ে।
ফারা আর আমার বোনদের মাঝে তো ঝগড়া লেগে যায় ফারা আমার জন্য একটা লেহেঙ্গা পছন্দ করেছে আর আমার বোন আরেকটা।
আমি শুধু এমনি ঘুরার জন্য গেছি মনে হচ্ছে, শেষ মেষ ঝগড়ায় বিজয়ী হয়ে ফারা পছন্দ করা লেহেঙ্গা কেনা হয়েছে৷
ফারা জিতে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেনো কি না কি করে ফেলেছে।
রিয়াদ,,,,,, সাব্বাশ বাগের বাচ্চা। এ নাহলে আমার ফ্রেন্ড, শুন তুই আমার ফ্রেন্ড কিছুতেই হারবি না সেটা ঝগড়া হোক বা অন্য কিছু।
রোহান,,,,,,, কপাল আমার,, আল্লাহ শক্তি দিও সামলানোর।
আমরা বাসাই ফিরে আসি, ফিরে এসে দেখি মুগ্ধ এসেছি, অনেক খন আগেই নাকি এসেছে। মুগ্ধকে দেখে আমার বোনরা যেভাবে দেখছে যেনো এখনি খেয়ে ফেলবে।
যীন্নাত,,,,,, তুমি কখন এলে।
মুগ্ধ,,,,, অনেক খন আগে, তোমার জন্যই বসেছিলাম।
,,,, কেনো।
,,,,, এই নাও ( একটা প্যাকেট ধরিয়ে দিয়ে )
,,,, এটা কি
,,,,,,,,পরে খুলে দেখো। এখন আমি আসি।
রিয়াদ,,,,,, আর কেও আসেনি তোমার সাথে।
মুগ্ধ,,,,,, না আমি একা এসেছি।
রিয়াদ,,,,,,, লজ্জা করে না নিজের শশুর বাড়ি একা আসতে, নিজের বোনকে নিয়ে আসতে পারতাতো, খবরদার যদি এমন ভুল আর হয়। কি এই সব মানুষের কষ্ট বুঝে না।
,,,,,, পাপ হয়ে গেছে আর হবে না এবার আসি।
,,,, এমন চরম ভুল আর করবা না, মাফ করলাম যাও।
মুগ্ধের চোখ দেখে মনে হলো আরো কথা বলতে চাইছে একা আমার সাথে কিন্তু সম্ভব না। মুগ্ধ চলে গেলো৷
রুমে যেতেই সবাই আমাকে ঘিরে ধরেছে, প্যাকেটে কি আছে দেখার জন্য।
আমি প্যাকেটটা খুলি, এতে একটা হলুদ, লাল লেন্স লাগানো সুতির কাজ করা শারী, চুরি পায়েল, চকলেট এর প্যাকেট, এক গুচ্ছ গোলাপ আর একটা কাগজ।
কাগজটা নিয়ে ফারা পড়া শুরু করলো।
শারীরে তোমায়,খুব সুন্দর লাগে, এই সারিটা তোমার জন্য, এটা পরে হলুদ দিতে আসবে খুব সুন্দর লাগবে।
আর চকলেট হলো আমাদের বিয়ের উপলক্ষে মিষ্টি মুখ করার জন্য, আর গোলাপ হলো আমার ভালোবাসার চিন্হ। খুব যলদি আসবো তুমায় নিতে।
I love u so so much……
ইতি
তোমার মুগ্ধ………..
বোনরা,,,,,, wow so romantic. আর কি হেন্সাম, চুপচাপ থেকে এমন একটা ছেলে ফাঁসালি কিভাবে, আমাদেরও কিছু বল।
ফারা,,,,,,,, এমন ছেলে পেতে হলে এমন চেহেরা লাগে আর সবচেয়ে বড়ো কথা বড়ো একটা মন লাগে, যা এখন তোমাদের দারা সম্ভব না।
বোনেরা,,,,, তোমার ফ্রেন্ড এমন কেনো।
রিয়াদ,,,,, ওর তরফ থেকে আমি মাফ চাইছি আসলে ও একটু সত্যি কথা বলে আর কি, আপনারা অনেক সুন্দর,, ফারা তো আমার মতো মিথ্যা কথা বলতে পারে না তাই বেশি কেও ওকে ভালো পায় না। 😏😏😁
বোনেরা,,,,,, অপমান করলেন না তারিফ।
রিয়াদ,,,,, দেখ মাথার মধ্যে গিলুও নাই,, তারিফ করলাম 😊
আমরা হাসতে হাসতে শেষ।
রোহান,,,,,, ভাই তোর কি হলো, এখানপ এতো মেয়ে, তাদের তুই ঘুরেও দেখছিস না তুই রিয়াদতো
রিয়াদ,,,,,, সত্যি কারের ভালোবাসা পেয়ে গেছিরে ভাই তাই।
যীন্নাত,,,,, কার কপাল পুরলো
রিয়াদ,,,,, তোর নোনদের 😌😌,,, মানে কি কইতে চাস৷
যীন্নাত,,,, কিছু না, তুই কি সত্যি ভালোবাসিস নাকি।
,,,,, হুমমম
রাত অনেক হলেও আমরা ছাদে সবাই গোল করে বসে আছি, গানের কলি খেলছি, আমার অনেক চাচাতো ভাইরা আফসোস করছে আগে কেনো আমাকে দেখলো না।
আমরা সবাই অনেক আনন্দ করি, অনেক দিন পর সবাই একসাথে আর আমি তো সব সময় আলাদা থাকতাম।
গিয়ে ঘুমিয়ে পড়ি, আজতো মুগ্ধের আসার কোনো চান্স নেয়। কারন খাটে, সোফায় নিচে সব জায়গা বনেরা ঘুমিয়ে আছে আর ফারাতো আমাকে জরিয়ে ধরে ঘুমিয়ে আছে।
,,,,,,,,
রিয়াদ,,,,,, রোহান ভাই আমার থেকে দূরে যাবি না, দরকার পরলে আমাকে জরাইয়া শু আমি কিছু কমুনা 😨😨
রোহান,,,,, সর শালা আমাকে কি তোর গে মনে হয়।
রিয়াদ,,,,,, তোর কি মনে হয় আমি গে, আমার সব পাট ঠিক আছে। দেখ এটা ছাদ আর ছাদে জ্বীন বেশি থাকে, এখন যদি একটা আমাকে উরাইয়া নিয়া যায় তখন।
রোহান,,,,,, দেখ এখানে কতো জন শুয়ে আছে।
,,,, তাও ভয় লাগতাছে।
,,,,,, হুহহ আশেপাশে এতো জন তাও ভয় পায় আবার জ্বীনের সাথে বিয়ে করতে চাই।তুই বাসর রাতে ভয়ে দৌড় দিবি।
৷,,,,,,, তোর মতো ভাবছ, ঐ রাতে যা করে তাই করমু। আমার সাহস দেখতে চাস তুই।
,,,, হো দেখা।।
,,,,, যাক কালকে দেখামু আজ ঘুমা আর আমার দিকে ফিরে তারপর ঘুমা।
,,,,,,,,,, আল্লাহ।
ভাবছি গল্পটা এরেকটু বড়ো করে লিখবো,, কি বলেন আপনারা।
চলবে,,,,,,,