জ্বীন রহস্য (love story)❤,Part 22,23

জ্বীন রহস্য (love story)❤,Part 22,23
Writer Maishara Jahan
Part 22

যাক কালকে দেখামু, আজ ঘুমা আর আমার দিকে ফিরে ঘুমা।

,,,,,,,, আল্লাহ।

সকালে,,,,,,,

রোহান,,,,,,,,,, সর শালা, এমন ভাবে জরাইরা ধরছে যেনো আমি ওর বউ। ছাড় ছাড়

রিয়াদ রোহানকে শক্ত করে ধরে আছে।

,,,,,, মেহু বেবি i love u,, i love u so much.

,,,,,,,বাল ছার তাকিয়ে দেখ আমি কে,,, ওরে ছাড় আমার ইজ্জতের উপর হামলা। ওরে ছার আমি তোর ভাইয়ের মতো।

রোহান ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে এক লাথি দেয়।

রিয়াদ,,,,,,,,, আল্লাহ কি হয়ছে। বাঁচাও মেহুর নানি আমাকে উঠিয়ে নিয়ে গেলো।

রোহান,,,,,,,, চোখ খুল ( ধাক্কা দিয়ে )

রিয়াদ,,,,,,,, আমি কোথায়,, এটা কোন জায়গা।

,,,,,,, এটা যীন্নাতের ছাদ।

,,,,, মানে যীন্নাতের ছাদ মানে।

,,,,, সরি সরি মানে যীন্নাতের বাসার ছাদ, কাল ওর গায়ের হলুদ আর আজ তুই এভাবে ঘুমাচ্ছিস, সবাই উঠে কাজ শুরু করে দিয়েছে।

,,,,, সরি সরি চল নিচে যায়।

,,,,, চলেন সার।
,,,,,,

যীন্নাত,,,,,,, ওই তুই আমার মুখে এইসব কি লাগাছিস।

ফারা,,,,,,, আরে এটা একটা ফেস প্যাক,, এতে তোর মুখ আরো সুন্দর লাগবে। কাল তোকে সব চেয়ে সুন্দর লাগতে হবেতো।

আজ সবাই অনেক ব্যাস্ত, কাল গায়ের হলুদ আর আজকের মধ্যে সব অায়োজন করতে হবে। সবাই দৌড়াদৌড়ি করছে। রোহান ও কাজ করছে, রিয়াদ দুনিয়ায় সবচেয়ে বড়ো কাজ চোর সেও আজ অনেক কাজ করছে।

দেখতে দেখতে রাত হয়ে যায়। প্রায় সব কাজ শেষ কারন মুগ্ধ কিছু জ্বীন কাজের লোক হিসাবে পাঠায়, অনেক বড়ো করে হচ্ছে বিয়েটা। আমার বাবার ইচ্ছে তার একমাত্র মেয়ের দুমদাম করে বিয়ে দিবে।

তাই অনেক বড়ো করে আয়োজন করেছে। কাজ প্রায় শেষ তাই সবাই হল রুমে বসে আড্ডা দিচ্ছে। শুধু মা বাবা আর কিছু লোক নেয় তারা বাগানে কাজ করছে, কত জন লোক আসবে কি কি খাওয়াবে এসব আরকি।

আমি ফারা, রোহান আর রিয়াদ এসে বসি সবার মাঝে। সবাই অনেক আনন্দ ঠাট্টা করছে। মুগ্ধ আমার দেখা কিভাবে হলো এসব জিজ্ঞেস করছে সবাই আমি একটু বানিয়ে টানিয়ে বলে দিয়েছি।

,,,,,,, wow what a love story.

মামি,,,,,,, তা মুগ্ধের পরিবার বা মুগ্ধ কি জানে তোর সমস্যাটা।

যীন্নাত,,,,,,, আমার আবার কি সমস্যা।

মামি,,,,,,, তুই না পাগল, না মানে পাগলছিলি কিসব বলতি, করতি।

মামাতো বোন,,,,,,, মা জানলে কি এতো হেন্সাম রিস ছেলেকি ওকে বিয়ে করতো।

ফারা,,,,,, মুগ্ধের কপাল ভালো যে যীন্নাতের মতো একটা মেয়ে পাইছে।

বোন,,,,,, কি এমন আছে ওর মধ্যে।

ফারা,,,,,, যেটা তোমার মধ্যে নেয়।

বোন,,,,, মানে।

ফারা,,,,,,, কিছু মনে করেন না আমি একটু সত্যি কথা বেশি বলি। যীন্নাতের মতো এতো সুন্দর এখানে আমি আর কাওকে দেখছি না। আর রইলো গুনের কথা এটা তো দেখায় যাচ্ছে।

মামি,,,,,, আমার মেয়ে যেমনি হোক ওর মতো পাগল না।

রোহান,,,,, যীন্নাতকে পাগল লাগছে কিনা জানি না তবে আপনার মেয়েকে অসভ্য অবশ্যই লাগছে।😊

মামি,,,,, কিহহহ

রিয়াদ,,,,,, আর মামি যীন্নাতের কথা জানি না তবে আমি একটু পাগল টাইপের, আমার বন্ধুদের কেও কিছু বললে জানি না আমার কি হয় পাগলের মতো হয়ে যায়।তারপর,,,, 😈😈💀

মামি,,,,, মানে

রোহান,,,,, হ্যাঁ মামি,, একবার তো একজন যীন্নাতকে শুধু একটু দমক মারছিলো তাতেই রিয়াদ তাকে কামরে মাংস তুলে দেয়, বাকি ছেলে হিসেবে ভালো।

রিয়াদ,,,,,, এখন জানি আমার কেমন লাগছে, আমার দাতঁ কটকট করছে ( দাঁত দেখিয়ে মামির সামনে যাচ্ছে )

মামি,,,,,, ও মা এই ছেলে বলে কি,, আল্লাহ ( মামি আর তার মেয়ে এখান থেকে দৌড়ে চলে যায় )

যীন্নাত,,,,,, দুরর একটু বেশি হয়ে গেলো।

ফারা,,,,,,, কম হয়া গেছে, কামরে দিলে ঠিক হতো।

রিয়াদ,,,,,, ছিঃ এদের কে কামর দিবে গোসল করে কিনা কে জানে। আমি আমার মুখ নষ্ট করতে চাই না।

অনেক খন পরে আমরা ঘুমাতে যায়।

রোহান,,,,,,, আজ তুই আমার সাথে ঘুমাবি না।

রিয়াদ,,,,,, তাইলে কই যামু আমি।

রোহান,,,,,, ছাদ অনেক বড়ো যেখানে খুশি ঐখানে যা কিন্তু আমার সাথে ঘুমাবি না বেছ।

রিয়াদ,,,,,,,,,,, দোস্ত এমন করিছ না, একটু বুঝার চেষ্টা কর।

,,,,,, না মানে না,,, দুন্তার নয় আকার না।

,,,,,,, শুয়তে দিবি না তো।

,,,,, না দিমুনা।

,,,,, ভেবে নে। 😏😏

,,,, ভাবছি,, কি করবি তুই।

,,,,, কি করমু অভিশাপ দিমু, যে তোর যাতে কোনো দিন ফারার সাথে ঘুমাইতে না,,,,,,

,,,,,,, (মুখ চেপে ধরে) চুপ শালা,,,, তুই একটা কুফা বদদোয়া দিলে লাইগ্গা যা।

,,,,,,, দেখছস শুধু আমার না আমার মুখেরো পাওয়ার আছে😎😎। এখন ক শুতে দিবি কিনা।

,,,,,, শু আমার উপরে এসে শু কিছু কমুনা, আজ আমি তরে জরাইয়া ধইরা শুমু আয় শালা।😠

,,,,,, এতো ভালোবাসা দেখানোর দরকার নাই,, আর এই লুঙ্গি পরাইছস কেন আমারে, আমার প্যান্টই ভালো।

,,,,,,, আন্টি দিছে গরমের দিন তাই।

,,,,,,, আমি লুঙ্গি পড়ে থাকতে পারি না।

,,,, কেন।

,,,,,, এক দিন লুঙ্গি পড়ে ঘুমাই ছিলাম পরের দিন সকালে আর খুঁজে পাই নাই। কাল সকালে যদি এমন কিছু হয়।

,,,,,, চুপ এমন কিছু হবে না।

,,,,, আল্লাহ বরসা।

সকালে,,,,,,,,,

যীন্নাত,,,,
আমাকে এতো তাড়াতাড়ি উঠিয়ে দিছে কেনো, ভালো লাগে না।

মানুষের কথার জালায় ঘুমাতে পারবো না দেখি।
সবাই খুব ব্যাস্ত। বাড়িটা বেশ সুন্দর করে সাজানো হয়েছে।

পুরো বাড়ি গাধা আর গোলাপ ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে৷ চারদিকে লাল নীল বাতি,, রাতে খুব সুন্দর লাগবে। দৌড়ে গেলাম বাগানে যেখানে আমার হলুদ লাগানো হবে।

সেটা তো আরো সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, মনে হচ্ছে এখনি গিয়ে বসে থাকি,, আমাদের বাগানটা অনেক বড়ো।

দাদি,,,,,, কিরে এখন এখানে কি করিস তর সইছে না বুঝি৷

,,,,,, এমব কিছু না দাদু,, এমনি দেখতে এলাম।

,,,,,, দেখা হয়েছে এবার যা, না হলে মানুষ কি বলবে।

,,,,, হুমমম।

আমি ঘরের দিকে যাচ্ছি এমন সময় আমার চাচাতো ভাই মামুন ডাক দেয়।

,,,,,, জ্বী ভাইয়া।

,,,,, তোর বন্ধু এমন কেন।

,,,, কোন বন্ধু

,,,,, ঐ যে রিয়াদ না কি যেন ঐটা।

,,,, কেনো কি করছে।

,,,,, সকালে উঠে ও ওর লুঙ্গি খুঁজে পাই না,, এটা দেখে সবাই হাসা হাসি করছে, আমি পাশে দাঁড়ানো ছিলাম,, সে আমার লুঙ্গি টান দিয়ে খুলে পড়ে দৌড় দেয়।

এখন যদি আমি কিছু না পড়া থাকতাম তখন কি হতো।

,,,,, কি আর হতো ইজ্জতের ফালুদা। 🤣😂🤣

,,,,,৷ কিহহহ।

,,,,,,, কিছু না আমি রিয়াদকে ভালো করে বকে দিবো।

,,,, হো ভালো করে দিবি,, আস্তা একটা বেয়াদব ছেলে।

,,,,, এখন আমি যায়।

,,,,, যা

আমি ঘরে যায়, কোনো জায়গা বসে শান্তি নেয়, সব জায়গা মানুষ আর মানুষ। আর কাল থেকে যে গান বাজনা চলছে মনে হচ্ছে আমার মাথা ফেটে যাবে।

গিয়ে দেখি সবাই আমার ঘরেই বসে আছে।

,,,,, কিরে রিয়াদ তুই বলে মামুন ভাইয়ের লুঙ্গি খুলে নিছস।

,,,,,, আমি তো রোহানের নিতে চাইছিলাম কি বেটা আগেই লুঙ্গি ধইরা দৌড় দিছে, আমি কি করমু।

,,,, হো তোর জন্য আমি আমার লুঙ্গি খুলে দিয়া দিমু।

,,,,, বন্ধুর জন্য একটু করতে পারবি না।

,,,,,,,, না পারমু না। আমার এতো শক নাই আমার ইজ্জত সবাইকে দেখানোর।

,,,,,,,

এই ভাবেই বিকেল হয়ে যায়। আমাকে অনেক সুন্দর করে সাজানো হয়েছে, মুগ্ধের দেওয়া শারী পরেছি, গোলাপ আর রজনী গন্ধা ফুল দিয়ে সাজিয়েছে৷

আমার নিজেকে আয়নায় দেখে লজ্জা লাগছে, কোনো দিন এভাবে সাজিনি। কিন্তু কি লাভ যার জন্য সেজেছি সেইতো দেখতে পারবে না।

কারন স্বামীর বাসা থেকে হলুদ নিয়ে অনেকে আসলেও তো আর সে আসবে না।

ফারা আমাকে নিচে নিয়ে যায়,,৷ ছেলেরা সবাই হলুদ পাঞ্জাবি পরে আর মেয়েরা হলুদ লেহেঙ্গা, আমিও লেহেঙ্গা পরবো তবে গোসলের পর।

আমি বসে আছি, গান বাজনা হচ্ছে আমার সামনে অনেকে নাচছেন,আসল নাচতো শুরু হবে রাতে।

সন্ধ্যা হয়ে আসে, ছেলের পক্ষ থেকে অনেকে আসে।

মেহেরিমা আরো অনেকে যাদের আমি বেশি চিনি না।

রিয়াদ দৌড়ে যায় মেহেরিমার কাছে।

রিয়াদ,,,,,,, মেহু কতো দিন পরে দেখলাম তুমাকে ( কান্না কান্না ভাব নিয়ে)

,,,,,, আমিও

,,,,, আজ তো তোমাকে সেই লাগতাছে, প্রথমবার তোমায় শারী পড়া দেখলাম, হলুদ শারীতে হলুদ পরী লাগতাছো। 🤤🤤😍😍

,,,,,,, তুমিও অনেক হেন্সাম লাগছো।

,,,,,,, আসো আমরা বসে কথা বলি।

,,,,,

রোহান,,,,,,, ফারা একটু আমার সাথে আসোতো তোমার সাথে কথা আছে।

ফারা,,,,,, হুমম,,,

,,,,, আজ না তোমায় অনেক সুন্দর লাগছে।

,,,,,, ধন্যবাদ,,, তোমাকেও।

,,,,,,,,, বিশেষ করে তোমার ঠোঁট।

,,,,,,, মতলব কি আপনার।

,,,,,, আসলে আসলে।

,,,,, কি চাই

,,,,, একটা কিস

,,,,,,, কিহহহ

,,,,,, না থাক লাগবে না।

,,,,,, ছিঃ ছিঃ এতো ভিতু তুমি,, আমি তোমার গাল ফ্রেন্ড, এতো ভয় পাও তুমি৷

বলার সাথে সাথে আমাকে ধরে দেওয়ালের সাথে ঠেকিয়ে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে দেয়, আমার চোখ বড়ো বড়ো হয়ে যায়।

ছাড়ানোর চেষ্টা করছি কিন্তু না পেড়ে চোখ বন্ধ করে নিয়, আমিও কিস করতে লাগলাম।

কিছু খন পর আমাকে ছেড়ে দেয়, কারো মুখে কোনো কথা নেয়, আমি তো বেশি লজ্জা করে না তবে আজ ভিষণ লজ্জা করছে।

রোহান,,,,,,, আমি ভয় পাই না শুধু তোমায় সম্মান করি তাই,,

রোহান চলে যেতে নেয়।

ফারা,,,,,,, শুনো ঠোঁট মুছে যাও লিপস্টিক লেগে আছে। ( নিচের দিকে তাকিয়ে )

,,,,,, তুমিও নিজেকে একটু ঠিক করে নাও।

,,,,,, হুমম ( এ আল্লাহ আমার এতো লজ্জা লাগছে কেনো )

,,,,,,,,

সবাই চলে আসে এখন হলুদ লাগানো হবে আর তখনি লাইট চলে যায়। পুরো অন্ধকার তখনি কেও আমাকে ধরলো, মনে হয় আমি যানি এটা কে।

কয়েক সেকেন্ডে আমি অন্য জায়গা চলে আসি৷ সেখানে মুগ্ধ আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

,,,,, আমাকে এখানে আনলে যে, যদি সবাই জানতে পারে আমি ঐখানে নেয় তখন।

,,,,,,,,, কেও জানবে আমার অনেক বন্ধু আছে তারা সামলে নিবে।

,,,,,,, ও ওও তা কেনো আনলেন।

,,,,,, আমার পরীকে দেখতে,,, এতো সুন্দর লাগছে বলে বুঝাতে পারবো না।

,,,,,, ইশশ তোমাকেও কম লাগছে না, মনে যাচ্ছে এখনি খেয়ে ফেলি,, পাঞ্জাবিতে যা লাগছে না আর তোমার চোখে তাকালে তো আমি শেষ।

,,,,,,, আচ্ছা ( জরিয়ে ধরে )

,,,,,,, আচ্ছা দেখা হয়ে গেলে এখন আমি যায়।

,,,,,, আরে আজ গায়ের হলুদ না তো হলুদ না লাগিয়ে কোথায় যাবে।

,,,,,,, তুমি কি আমাকে হলুদ লাগাবে।

,,,,, হুমম।

,,,, কিন্তু,,,

,,,,,, সুুসস,,, আমার ঠোঁটে আঙ্গুল দিয়ে

তারপর আমার গালে হলুদ লাগায় তারপর আমার হাতে তারপর পিছন থেকে জরিয়ে ধরে পেটে হলুদ লাগায়। মুগ্ধের প্রতিটা স্পর্শ মাতাল করার মতো।

তারপর আমার ঠোঁটে ছোট করে একটা কিস করে। চোখ খুলে দেখি আমি আমার জায়গা বসে আছি, আলো এসে গেছে।

শয়তান আমাকে বলেও দিয়ে গেলো না। এখন সবাই আমাকে জিজ্ঞেস করছে আমার গায়ে হলুদ কে লাগালো এখন কি বলি।

মা,,,,,, কি রে বোল।

,,,,,,, মা ফারা লাগিয়েছে

ফারা,,,,, আমি কখন লাগালাম

,,,,, তুইয়ি তো লাগিয়েছিস (একটা চোখ টিপ মারলাম)

ফারা,,,,,,,, চোখ টিপ মারছিস কেন।

,,,, বাল,,,,,,,, ফারা বুঝার চেষ্টা তুইয়ি দিছোস৷

,,,,,,, ও হ্যাঁ আমিই দিছি ভুলে গেছি।

আমাকে হলুদ দিয়ে গোসল করিয়ে লেহেঙ্গা পরিয়ে এনে বসাই।।।

,,,,,,,

রিয়াদ,,,,,,, কিরে রোহান মেহেরিমা কার সাথে এতো হেসে হেসে কথা বলছে ।

রোহান,,,,, গিয়ে দেখ,, এ তো ওদের সাথেই এসেছে বেশ হেন্সাম কিন্তু।

,,,,,, চুপ থাক,, ও আল্লাহ দেখ কি হেঁসে হেঁসে কথা বলছে আমার বুকে ব্যাথা করছে।

দৌড়ে গেলাম ঐখানে।

,,,,, মেহু কি করো এখানে আর ও কে

,,,,, এ হলো আবরাম।

আবরাম,,,,,,, মেহু কে

,,,, আমি ওকে ভলোবেসে মেহু বলে ডাকি।

,,,,, ওও

,,,,, মেহু একি তোমার কোনো ভাই লাগে।

আবরাম,,,,,,, ভাই কেনো হবো,,, মেহেরিমার সাথে আমার বিয়ের কথা চলছে।

,,,,,, ( আল্লাহ আমি হার্ট এট্যাক করমু ) কি কয় এই সব।

,,,, ঠিকি বলছি।

,,,,,,, মেহু একি জ্বীন নাকি ( আস্তে করে )

,,,,, হুমমম

,,,,, ( শালা ঘরের শালা শুধু জ্বীন দেখে কিছু বলছি না,,,, না হলে তোর চৌদ্দ গুষ্টি ওধদার করতাম, কিছু তো করা লাগবো)

চলবে,,,,,,,

জ্বীন রহস্য (love story) ❤
Writer Maishara Jahan
Part 23

(শালা ঘরের শালা শুধু জ্বীন দেখে কিছু বলছি না, না হলে তোর চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার করতাম, কিছু তো করা লাগবো)

,,,,,, কি ভাবছো এতো।

,,,, কিছু না। চলো না আমরা ঐদিকে গিয়ে কথা বলি৷

আবরাম,,,,,,, ও এখন আমার সাথে কথা বলবে, আমরা একটা জরুরি বিষয়ে কথা বলছি। আর যাও না মানুষের সাথে কথা বলো।

রিয়াদ,,,,,,,, (আমি কইতাম না কথা কি করবি) ও আমার বন্ধু তাই কথা বলতাম আরকি 😅😅

আবরাম,,,,,,,, এক বার বলছি না ওর সাথে কথা আছে 🤨

রিয়াদ,,,,,,, ( আল্লাহ এখান থেকে কেটে পরাই ভালো ) ঠিক আছে বলেন কথা। ( শালার জ্বীন দেইখা নিমু )

রিয়াদ মন খারাপ করে চলে যায়। দূরে গিয়ে বসে।

,,,,, হুহহ দেখ কি হেসে হেসে কথা বলছে, মনে তো চাচ্ছে ঐ শালারে বোতলে ভরে ড্রেনে ফেলে দিয়।

রোহান,,,,,,,, কি হয়েছে দোস্ত, এইভাবে মন খারাপ করে বসে আছস কেন।

,,,,, দেখ না আমার পরীরে নিয়া গেলো 😭😭 এখন আমি কি করমু,,, ও মেহুরেএএএ 😭😭

,,,,,,, ঐ চুপ এমন নেকা কান্না মেয়েদেরই ভালো লাগে। তুই যদি এমনি বসে থাকস তাহলে তো ঐ বেটা সহজে নিয়া যাইবো,,, তুই তো মেয়ে পটানোর উস্তাদ বুলিস না।

,,,,,, ঠিক,, আমার মেহুরে এতো সহজে নিয়া যাইতে দিমু না, না না কখনোই না।

,,,,,, সাব্বাশ।

নাচ গান শুরু হয়,,, অনেকে নাচছে,,, ফারাতো ইস্টেজে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে,,, তারপর আবার রোহান আর ফারা মিলে একটা গানে নাচে সেই।

ফারা আমাকে নিয়ে একটা নাচে। তারপর আসে রিয়াদ,, আর কিছু পারুক আর না পারুক ডান্স সেই লেবেলের করে।

মেহেদি লাগাকে রাখনা, ডলি সাজাকে রাখনা,,,, গানে ডান্স করে,, পরে ও আর রোহান মিলে ডান্স করে। রিয়াদের চোখ শুধু ঐ মেহেরিমার দিকেই ছিলো৷

এমন নাচ গান তো সারা রাত ধরেই হবে।

মেহেরিমা,,,,,, আমি জানতাম না যে তুমি এতো সুন্দর ডান্স ও পারো।

রিয়াদ,,,,,,, আরো অনেক কিছু পারি, তুমি একবার বলে তো দেখো৷

,,,,,,,, আচ্ছা আর কি পারো।

,,,,, পারি তো অনেক কিছু ,, তবে আমার মতো রোমান্টিক আর পাবে না। 😎😎

,,,,, তাই নাকি,,, তবে আবরাম কিন্তু অনেক রোমান্টিক।

,,,,,,, আয় হাই কই কি তুমি জানলা কেমনে 😐😣

,,,,,,,, জানছি।

,,,,,, কেমনে, কিভাবে, কখন, আর কিছু করছে নাকি তোমার সাথে,, আল্লাহ কি সর্বনাশ হয়ে গেলো আমার 😭😭

,,,,,, কি বলছো এই গুলা।

,,,,, আরে ছারো সব আগে বলো কেমনে জানলা ও রোমান্টিক।

,,,,,, কথায় বুঝছি।

,,,,,,, কিছু করে নাতো।

,,,,, দুররর না।

,,,,,, আল্লাহ বাঁচাইছে,,,, এক মিনিট এমন কি কথা বলছে।

মেহেরিমা মুশকি হাসি দিয়ে চলে গেলো,, এখন এই হাসির মানে আমি কি বুঝমু, আল্লাহ কেও আমার মাথায় পানি ডাল, আমার মাথা ঘুরতাছে।

ওরা সবাই চলে যাই,,, যাওয়ার সময় কথাও বলতে পারলাম না ঐ বেটার জন্য।

রোহান,,,,,, কি হয়েছে

রিয়াদ,,,,,,, এক খুন মাফ থাকলে আমি ঐ বেটারে খুন করতাম।

রোহান,,,,,,, এক খুন কেনো দশ খুন মাফ থাকলেও তুমি কিছু করতে পারতা না কারনটা কি জানো,,,

,,,,,, হয়ছে আর বলা লাগবো না বুঝছি।

সব অনেক ভালো মতে হয় শুধু রিয়াদের মনটা একটু খারাপ ছিলো। সকাল হয়ে গেছে যে যেখানে পাইছে ঐখানেই ঘুমাইছে।

সকালে সবাই তাড়াতাড়ি উঠলেও আমি অনেক লেইট করে উঠছি, কেও ডাকে নায়। আমার মনেই নেয় যে আজ আমার বিয়ে।

যাই হোক আজ আমার বাবা আমাকে নিজের হাতে খায়িয়ে দিয়েছে, মা লুকিয়ে কান্না করছে। এখন আমার বিয়ে করার ইচ্ছেই চলে গেছে।

সকাল থেকে ঘরে বসে আছি, বাহিরে গেলেই সবাই বলে আজ বিয়ে আর যীন্নাত ডেং ডেং করে ঘুরে বেড়াচ্ছে।

কিছু খন পর পার্লার থেকে লোক আসে, আমি তাদের বাগিয়ে দিয়।

মা,,,,,, ওদের বাগিয়ে দিলি কেনো।

যীন্নাত,,,,,,, ফারা আমাকে সাজিয়ে দিবে, এতো ভারি সাজ আমার ভালো লাগে না পার্লার থেকে সাজলে চার ইঞ্চি মেকাপ লাগাবে।

মা,,,,,,,, যা ভালো বুঝিস কর।

,,,, হুমম,,,,, ফারা তুই আমাকে সাজাতে পারবি না।

,,,,, এমন সাজিয়ে দিবো যে দুলাভাই নজরি সরাতে পারবে না৷

,,,,,,,, তাহলে দেরি কেনো শুরু হয়ে যা।

যীন্নাত,,,,,, কিরে রিয়াদ তুই চুপ করে আছিস ভাবা যায়।

রিয়াদ,,,,,,, মনডা ভালো নারে 😌😌

,,,,, কেন কি হয়ছে।

রোহান,,,,,,, ওর তোতিরে তোতা উরাইয়া নিয়া গেছে। 🤣😂

রিয়াদ,,,,,,,,, অভিশাপ দিমু 😐😐

রোহান,,,,,,, না ভাই মাফ করইরা দে 😫😫

যীন্নাত,,,,,,,, আরে চিন্তা করিস কেন আমি আছি না।

রিয়াদ,,,,,,, সত্যি ( লাফ দিয়ে )

যীন্নাত,,,,,,,, আরে আমার বিয়ের পরে বাপের বাড়ি থেকে তো কেও না কেও যাবে আর আমার তো আর ভাই বোন নাই তোরা যাবি আমার সাথে, তখন পটিয়ে ফেলবি।

রিয়াদ,,,,,,,, বুদ্ধিটা তো সুন্দর।

,,,,,, রিয়াদ যাক আমরা যাবো না।

,,,,,, তুই যাবি তোর ঘার যাইবো,,, বাল একা একা গেলে আমি ঐখানেই পরে মরে থাকবো।

যীন্নাত,,,,,,, আরে ওরা সবাই যাইবো।

আমার সাজ শেষ,,, মুগ্ধের পছন্দ আছে বলতে হবে, এতো সুন্দর লাল সারীলেহেঙ্গা এনেছে আমার জন্য।

যীন্নাত,,,,,, নিজেকে না বউ বউ লাগছে।

রিয়াদ,,,,, বউ সেজেছিস তো বউই লাগবে জামাই জামাই তো আর লাগবে না। 😒😒

যীন্নাত,,,,,,,, ভুলে যাস না মেহে,,,,,

রিয়াদ,,,,,, আল্লাহ তরে এতো সুন্দর লাগছে আর বলার মতো না, প্রথম দেখলাম কাওকে বউ সাজলে বউ বউ লাগে। তরে একদম নতুন বউ বউ লাগছে,,,,,,,, হয়ছে না আরো বলা লাগবো 😕😓

যীন্নাত,,,,,, হয়ছে।,,, এই মুগ্ধ কখন আসবো।

ফারা,,,,,, তর সইছে না বুঝি,,, বসে থাক একটু পরেই চলে আসবো।

আমি বসে আছি মামি চাচিরা এসে আমার গহনা, সারী এগুলো দেখছে,,,, আর ভাবছে ঝগড়া কি নিয়ে বাজাবে। কারন মুগ্ধ সব জিনিস দামি দামি দিয়েছে দেখেই বুঝা যাচ্ছে।

আর আমার মা বাবাকে বলে দিয়েছে এখান থেকে জেনো দোয়া ছাড়া আমার সাথে আর কিছু না যায়।

সবাই হিংসে ঝলে যাচ্ছে এতো ভালো ছেলে কোথায় থেকে পেলাম যেকিনা সব দিক দিয়ে পার্ফেট।

অপেক্ষার বাদ ভাঙ্গে মুগ্ধ এসেছে আমায় নিতে। সবাই দৌড়ে বর দেখতে যায়, আমাকে একা ফেলে। আমি ও বারান্দা দিয়ে দেখি অনেক গাড়ি এসেছে, তাদের মধ্যে একটা গাড়ি সাজানো।

ঐটা দিয়ে মুগ্ধ বের হয়,,, হাই আমার স্বামীটাকে কি সুন্দর লাগছে,,,একদম আমার রসগোল্লা। আর রসগোল্লার মধ্যে মাছি আমার বোন গুলা মনে হচ্ছে।

যাযা নিয়ম আছে সব পালন করে,, মুগ্ধকে বসানো হয়। আমার বোন গুলো মন খারাপ করে আসে।

,,,, কি হয়েছে তোদের।

,,,,,, আরে ওদের কাছে যাই টাকা চেয়েছি তাই দিয়ে দিয়েছে।

,,,,,, এতে তো খুশি হওয়ার কথা।

,,,,,, একটু ঝগড়া ও করলো না,, এতে মজা আছে। ঝগরা করলে ভালো লাগে, দুররর।

,,,,, আল্লাহ এটাও শুনার বাকি ছিলো।

আমাকে নিয়ে মুগ্ধের পাশে বসানো হয়,,, আমাকে যখন নিয়ে আসা হয় তখন মুগ্ধ হা করে তাকিয়ে ছিলো,, ওর তাকানো দেখে আমার ভিষন লজ্জা লাগে।।

রোহান,,,,,, কিরে চুপচাপ দাড়িয়ে আছিস,, কারো সাথে কথা বলছিস না কেনো।

রিয়াদ,,,,, ভাই ভয় লাগতাছে কার সাথে কথা কমু,, কোনটা জ্বীন কোনটা মানুষ কে জানে, মুগ্ধ তার সাথে এতো গুলো জ্বীন নিয়ে আসছে।

রোহান,,,,,, আমার তো মনেই ছিলো না।

রিয়াদ,,,,,,, দেখ সবাই কেমনে হাসি খুশি কথা বলছে সবাই যদি জানতো এখানে জ্বীনও আছে তাহলে কয় জন থাকতো।

রোহান,,,,, শুধু জ্বীন থাকতো।

,,,, না ভাই ওরাও থাকতো না কারন ভয়ের চুটে অনেক জন সূরা পরা শুরু করে দিলো হয়লে।

,,,,, এটাও ঠিক।,,, ঐ দেখ তোর তোতা কথা বল গিয়ে।

,,,, যাইতে তো মন চাইছে কিন্তু দেখনা ওর সাথে আরো কতো জান বসে আছে, এই জন্য একটু।

,,,,বুঝছি।

,,,,,,,,,,

বিয়েটা অনেক সুন্দর ভাবে হয়ে যায়। এবার বিদায়ের পালা, সবাই কান্না করছে। মা বাবা নানু দাদু কান্না করছে বুঝলাম।

কিন্তু এদের থেকে জোরে আমার আরো কয় জন আত্মীয় কান্না করছে যাদের সাথে আমার ভালো করে কথাও হয়না। ওরা কেনো কান্না করছে।

রিয়াদ,,,,,, ভাই এরা কষ্টে কান্না করছে নাকি খুশিতে গান গাইছে। এমন গান গেয়ে গেয়ে কান্না করার ব্যাপারটা রহস্য জনক।🤔🤔

রোহান,,,,,, চুপ থাক।
,,,,,,,

মা বাবা কান্না করছে, বাবা একটু লুকিয়ে লুকিয়ে কান্না করছে সত্যি বলতে এখন ছেড়ে যেতে ইচ্ছে করছে না।

চোখ দিয়ে অনাবরত পানি পড়ছে, গাড়িতে গিয়ে বসি, বুকের মধ্যে খালি খালি লাগছে। গাড়ি ছাড়া শুরু করলেই অদ্ভুত একটা কষ্ট লাগে যা হয়তো সবারি হয়।

একটা গাড়িতে শুধু আমি আর মুগ্ধ,, আর সামনে আরেকজন গাড়ি চালাচ্ছে।

মুগ্ধ আমাকে জরিয়ে ধরে সান্ত্বনা দিচ্ছে। কিছু খন পর শান্ত হলাম।

যীন্নাত,,,,,,, আমার বন্ধুরা কোথায়।

,,,,, ওরা অন্য গাড়িতে।

,,,,,
গাড়ির সামনে দুটো জ্বীন,, তার পিছনে রোহান আর ফারা,, তাদের সাথে আরো দুজন। আর আমি মানে রিয়াদ কোথায় বসেছি জানেন।

অন্য গাড়িতে,,, আমি তো মেহুকে দেখে এই গাড়িতে উঠেছিলাম,, উঠার পর রোহান বা ফারা কেও এটাতে বসতে পারলো না।

আমার আগে পিছে পাশে জ্বীন আর জ্বীন। আমি মাঝে বসেছি,, আমার এক সাইডে আবরাম আরেক সাইডে মেহু।

সবাই আমার দিকে কেমন কইরা জেনো তাকিয়ে আছে। আরেক গাধা আমাকে জিজ্ঞেস করে আমার ভয় লাগছে কিনা।

বাল আগে পিছে জ্বীন থাকলে কার না ভয় লাগবো। প্যান্ট ভিজিয়ে দেওয়ার মতো অবস্থা। হাটু সেই লেভেলে কাঁপছে,, মুখে হাসি তাই কেও বেশি পাত্তা দিচ্ছে না।

কিছু খন পর

রিয়াদ,,,,,, আচ্ছা আমরা কি উড়ছি ( বাহিরে তাকিয়ে )

মেহু,,,,, হুমম৷

,,,,,, আল্লাহ কই কি,, ( মেহেরিমার হাত ধরে পারছি না ওর কোলে উঠে যেতে। )

পাশে থাকা আবরাম কাশি দিয়ে আমার কাধে হাত রাখে,, কলিজায় আমার পানি নাই।

,,,,,,, জ্বী ভাই ( মেহুর হাত ছেড়ে দিয়ে )

আবরাম,,,,,,,,, ভালো করে তারপর বসো।

রিয়াদ,,,,,,,, ( বসতাম না ভালো করে কি করবি তুই,, মেহুর কোলে উঠে বসমু কি করবিটা কি,,, ইশশ যদি এটা জোরে কইতে পারতাম। )

অপর দিকে ফারা রোহানকে জরাইয়া ধইরা রাখছে, রোহানের তো ভালোই লাগছে ওর আর কোনো দিকে হুশশ নাই।

চলবে,,,,,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here