জ্বীন রহস্য (love story)❤,Part 8,9
Writer Maishara Jahan
Part 8
,, আমাকে দুপুরে ডাকা হয় লাঞ্চ করার জন্য, উঠে দেখি সবাই আমাদের দিকেই তাকিয়ে আছে। থাকারি কথা আমি যেভাবে মুগ্ধের হাত ধরে ওর বুকে ঘুমাচ্ছিলাম। নিজের অবস্থা দেখে নিজেই লজ্জা পেলাম।
মুখে পানি দিয়ে খোলা জায়গায় বসে আছি বেশ ভালো লাগছে। ক্লান্তি আর ব্যাথ্যা কোনোটাই নেয়।
ফারাকে এখন বেশ হাশি খুশি লাগছে। ওকে দেখে মনেই হচ্ছে না যে রাতে ওর সাথে কিছু হয়েছে।
সব ঠিকি আছে তবে আমার এখনো ঘুম ঘুম পাচ্ছে। এতো ঘুম কোথায় থেকে এলো কে জানে। আমরা সবাই এক সাথেই বসে খাচ্ছি, সবাই এতো হাসা হাসি করছে তাও কেনো জানি আমার মনটা ভালো নেয়।
সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করে গাড়িতে বসি। এবার আমি ফারার সাথে বসি। শুরু হয়ে গেছে বকবক, আল্লাহ এই মেয়ে চুপ থাকেনা কেনো। আমি ঘুমে পড়ে যাচ্ছি। তারপর আর কি কানে এয়ার ফোন লাগিয়ে ওকে ধরেই ঘুমিয়ে পড়ি।
দিনটা আমার ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে গেলো কলেজে পৌঁছানোর বিশ মিনিট আগে ঘুম ভাঙে।
বাস কলেজে এসে থামে, ৬ টা বেঝে গেছে। আমাকে আমার বাবা নিতে এসেছে। এখনি আমরা সবাই যার যার বাসায় চলে যাবো, কিন্তু আমার ফারার জন্য বেশ চিন্তা হচ্ছে।
আমার হাতে একটা কালো ধাগা আছে, এটা খুলে কিছু দোয়া পড়ে ফারাকে পড়িয়ে দিয় যেনো কোনো জ্বীন ওর কাছে না আসতে পারে।
,,,,,, আমার হাতে এটা কি দিতাছস দুরর
,,,,, চুপ থাক আর শুন এটা তুই দুই দিন এর আগে খুলবি না। ( দুই দিন ওর কাছে না আসতে পারলে ঐ জ্বীন চলে যাবে )
,,,,,, পাগল নাকি এটা আমি দুই দিন রাখমু।
,,,,,, আমি তোর ভালোর জন্য বলছি পিল্জ খুলিস না।
,,,, ঠিক আছে,, ঠিক আছে।
,,,,, সত্যি খুলবি না তো।
,,,,, হো হো, খুলমু না।
বাবা গাড়ি নিয়ে আসে, আমি বসতে যাবো আর মুগ্ধের ডাক শুনে দাঁড়িয়ে যায়।
মুগ্ধ,,,,,, না বলে চলে যাচ্ছো।
যীন্নাত,,,,,, ঠিক আছে এখন বলে যাচ্ছি,,, মুগ্ধ আমি বাসায় যাচ্ছি।
মুগ্ধ,,,,,, সাবধানে যাবে, আর,,,,,
যীন্নাত,,,,,,, আর
বাবা,,,,,,,, যীন্নাত কে ও 😏
যীন্নাত,,,,,,, বাবা এইভাবে তাকানোর কিছু নাই, ও আমার ফ্রেন্ড।
,,,,,,, হ্যালো আংকেল,,, আমি মুগ্ধ।
বাবা,,,,,, হ্যালো,, তুমি কি ওর সাথে পড়ো।
,,,,,,, না আংকেল আমি ওর সিনিয়র।
বাবা,,,,,, সিনিয়র ফ্রেন্ড।
যীন্নাত,,,,,,,, আবার এই ভাবে কেনো তাকাচ্ছো 😒😒 সিনিয়র তো কি হয়েছে।
বাবা,,,,,, আচ্ছা মুগ্ধ, তুমি কোথায় থাকো তোমার মা বাবা,,,,,
যীন্নাত,,,,,, বাবা চলো,,,, চলোওওও
কোনো মতো জোর করে গাড়িতে বসালাম। মুগ্ধকে বাই বাই বলে চলে আসলাম।
ঘরে ফিরার সাথে সাথে মা আমাকে জরিয়ে ধরলো, আমাকে পা থেকে মাথা পযর্ন্ত দেখছে আর বলছে।
মা,,,,,, একি অবস্থা তোর,,দুদিনে শুকিয়ে কাঠ হয়ে গেছিস, মুখের কি অবস্থা দেখেই মনে হচ্ছে কিছু খাসনি। আর এগুলো চুল নাকি কাকের বাসা।নিজের কোনো খেয়াল রাখিসনি। এই জন্যই বলেছিলাম যাওয়া লাগবে না।
যীন্নাত ,,,,,,, মা আমি একদম ঠিক আছি।
মা,,,,,, তা তো দেখায় যাচ্ছে।
বাবা,,,,,, আরে আসতে না আসতেই শুরু করে দিয়েছে। যা তো মা ফ্রেশ হয়ে আয়।
যীন্নাত,,,,,, তুমিই বুঝো একমাত্র আমার কষ্টটা।
মা,,,,, হো হো,, যা এবার।
আমি সাওয়ার নিয়ে খেয়ে শুয়ে আছি, ফারার জন্য অনেক চিন্তা হচ্ছে। একটা কল করি।
ফারা,,,,,,, কিরে এতো মিস করছিস আমাকে এতো তাড়াতাড়ি কল।
যীন্নাত,,,,,, ঐ ধাগা,,,,,
,,,,, হ হ আমার হাতেই আছে।
,,,,,, খুলবি না কিন্তু।
,,,,,,, ওকে,,, তুই এর পিছনে কেনো পড়ে আছিস।
,,,,, কারন আছে তাই বলছি,রাখি এখন।
,,,,,, হুমম।
ফোন রেখে দিয় এখন একটু নিশ্চিত লাগছে। জ্বীন রহস্য কিতাবে দেখি, যদি কোনো জ্বীন হয় তাহলে কিতাবে অবশ্যই থাকবে।
কিতাবটা বের করি। সেখানে লেখা,,,,
,,,,, ফারাকে ঐ জঙ্গল থেকে আকর্ষন করেছে এই জ্বীন। এর কোনো মেয়ের উপর এর নজর পড়লে তার সাথে শারিরীক সম্পর্ক করে থাকে।,,,,,,,
ফারার সাথে কিছু করার চেষ্টা করলে একে আমি ছাড়বো না। কাল দেখে নিবো।
শুয়ে আছি কিন্তু ঘুম ধরছে না। এতো দিন ধরে মুগ্ধের সাথে ঘুরছি অতথ তার ফোন নাম্বারটা নেয় আমার কাছে।
আমি এতো বোকা আজ জানলাম। ফোন নাম্বারটা নেয় নাই। নাম্বারটা থাকলেতো এখন আমি কথা বলতে পারতাম দুরর।
জানালায় দাঁড়িয়ে বাহিরে তাকিয়ে আছি, আর মুগ্ধের সাথে কাটানো দিন গুলোর কথা ভাবছি।
তুমি যতোই পালানোর চেষ্টা করো, আমি জানি তুমিই যীনহা। না চাইতেও তোমাকে ভালো ভেসে ফেলেছি। আর আমি যানি তুমি আমাকে অপছন্দ করো না।
হঠাৎ আমার পিঠে আবার ব্যাথ্যা শুরু হয়ে গেলো।প্রচন্ড সেই ব্যাথ্যা। আমি নিচে বসে পড়ি। খুব কষ্ট হচ্ছে, মনে হচ্ছে পিঠ আমার ফেটে যাচ্ছে। পুরো শরীর আমার কেমন করছে।
আমি কান্না করে দিয়। জোড়ে কাঁদতে পারবো না। মা বাবাকে জানানো যাবে না। আমি আর এই ব্যাথ্যা সইতে পারছি না। আমার পিঠ বেয়ে কি জেনো পড়ছে অনুভব করলাম।
পিঠে হাত দিয়ে দেখি রক্ত। পিঠ বেয়ে আমার রক্ত পড়ছে। আমি ব্যাথ্যায় অজ্ঞান হয়ে যায়।
কারো স্পর্শে আমার জ্ঞান ফিরে। আমি নড়তে পারছি না। কোনো চোখটা খুলি। আমি বিছানায় উল্টো করে শুয়া। কাওকে না দেখতে পেলেও কারো গরম হাতের ছুঁয়া ঠিকি অনুভব করছি আমার পিঠে। আমি বলে উঠি।
,,,,, আমি যানতাম মুগ্ধ তুমি আসবে।
বলে আবার আমার চোখ বন্ধ হয়ে যায়।
সকালে ঘুম থেকে উঠি শরীরে কোনো ব্যাথ্যা নেয়। জামা কাপড়ে কোনো রক্ত নেয়। তবে কি আমি স্বপ্ন দেখছিলাম। না না এটা স্বপ্ন ছিল না। আমি আমার জামা চেক করে দেখি পিছনে ছিড়া তার মানে এটা স্বপ্ন না। কি হচ্ছে আমার সাথে।
আজ তো কলেজ নেয়। এতো ক্ষন বসে বসে মার সাথে গল্প করেছি। আজ দিনটা ভালোই কাটছিলো।
কিন্তু আংকেল মানে ফারার আব্বুর ফোন আসে।
,,,,, আসসালামু আলাইকুম আংকেল।
,,,, আলাইকুম আসসালাম। ফারা কি তুমার সাথে।
,,,, না কেনো।
,,,,,,, আসলে উকে আমরা পাচ্ছি না, আন্টির বাসায় যাবে বলেছিলো কিন্তু এখনো পৌঁছায় নি। ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না। সবাই কে ফোন করেছি কেও জানে না।
,,,,,, কি বলছেন আংকেল,কতো ক্ষন হলো পাওয়া যায় না।
,,,,,, ওর আন্টির বাসায় যেতে ২০ মিনিট লাগে এখন প্রায় ৩ ঘন্টা হতে চললো।
,,,,,, আংকেল আপনি চিন্তা করবেন না আমি ওকে নিয়ে আসবো।
ফোন রেখে দিয়। এখন কি হবে না জানি ফারা কোথায় আছে। আমি দৌড়ে বের হয়। আমার সাথে রোহান ও রিয়াদ ও ওকে খুজতে বের হয়। আমরা আশেপাশে সব খুজি কিন্তু পায় না। কি করবো কিছু বুঝছি না।
আমরা তিন জন পাগলের মতো খুঁজছি। তখনি মুগ্ধ আসে আর বলে ও নাকি ফারাকে সাতঁ তলা বিল্ডিং এ যেতে দেখেছে। ওকে কিছু জিজ্ঞেস করার মতো সময় নেয়।
ওর কথা শুনে আমরা সবাই ওখানে যায়। ভোর দুপুর। কোথাও না পেয়ে ছাদে যায়। সেখানে গিয়ে দেখি ফারা ছাদের একদম কিনারে উঠে বসে আছে। একটু নড়চড় হলেই ফারা পড়ে যাবে।
আমাদের সবাইকে দেখে ফারা জোরে আসতে থাকে। আমরা ভয়ে ভয়ে সামনে এগোই একটি কিছু হলেই ফারা নিচে পড়ে যাবে।
রোহান,,,,,,, ফা ফা ফারা পিল্জ এদিকে চলে আসো,কি করছো।
রিয়াদ,,,,,, ফারা ওখান থেকে সরে আয়।
ফারা শুধু জোরে জোরে হাসছে।
ফারা,,,,,, আমার অনেক ইচ্ছে এখান থেকে লাফ দিয়ে দেখার কি হয়।
যীন্নাত,,,,,,, চুপচাপ ওকে ছেড়ে দে,, না হলে আমার থেকে খারাপ আর কেও হবে না।
ফারা,,,,,, এই ভাবে কি ভাবে ছেড়ে দিবো, এখনো তো কিছুই করি নি।
যীন্নাত,,,,, কিছু করতেও পারবি না।
ফারা,,,, তাহলে একে বাচিয়ে রেখে কি লাভ।
রোহান,,,,,,, ও কি বলছে যীন্নাত, আর তুই বা কি বলছিস।
যীন্নাত,,,,, পড়ে বলবো।
মুগ্ধ,,,,,,, চুপচাপ ওকে ছেড়ে না হলে,,
ফারা,,,,,, ছেড়ে দিবো ঠিক আছে ছেড়ে দিলাম।
ফারা ছাদ থেকে নিচে পড়ে যেতে নেয়। আমি আর কোনো উপায় না পেয়ে আমার তালোয়ারে উঠে ফারাকে ধরি। ফারা জ্ঞান ফিরে এমন উড়তে দেখে বোবার মতো হয়ে যায়।
আমি ফারাকে নিচে নামিয়ে ঐই জ্বীনের সাথে লড়াই করি। সবাই দেখছি আমি হাওয়াতে তালোয়ার চালাচ্ছি।
জ্বীন পিছন থেকে আমাকে আঘাত করতে আসলে, মুগ্ধ বলে উঠে।
,,,, যীনু পিছে,,,,
আমি পিছনে তাকিয়ে জ্বীনের বুক বরাবর আঘাত করি বাস খেল খতম।
এখন প্রশ্ন হলো কেও জ্বীনকে দেখতে পারছে না মুগ্ধ কি ভাবে দেখলো। আর এখন আমি ওদের কি বলবো এটা বড়ো সমস্যা।
ফারা,,,,, কি ছিলো এগুলো
যীন্নাত,,,,,, তার আগে বল আমার দেওয়া দাগা কই।
ফারা,,,,, আন্টির বাসায় এই ধাগা পড়ে যাবো তাই
যীন্নাত,,,,, তকে বলে ছিলাম না না খুলতে, এখন যদি ঐ জ্বীন তোর কিছু করে ফেলতো।
ফারা,,,, জ্বীন।
রিয়াদ,,,,,, যীন্নাত সত্যি সত্যি বল কি হচ্ছে এসব।
রোহান,,,,, জ্বীন হলে তুই জানলি কিভাবে।
কোনো উপায় না পেয়ে আমি ওদের সব খুলে বলি। সবাই হা করে আছে। মনে হয় শোক খায়ছ। সবাই বিশ্বাস করলো আমার কথা।
মুগ্ধ,,,, সবাইকে বলে ঠিক করো নি।
এবার আমার মনে পড়লো আমি যাদের এই কথা বলি তারা সবাই কোনো ভাবে মারা যায়। এখন কি হবে। আমার কারনে কি আমার ফ্রেন্ডরা না না।
আমর জীবন থাকতে এটা আমি হতে দিবো না।কিন্তু কি করবো আমি,,,, আমি তো এই ব্যাপারে কিছুই জানি না।
তাহলে কি সবার মতো আমি এদের ও হাড়াবো,,,,
চলবে,,,,,,,,
জ্বীন রহস্য (love story)❤
Writer Maishara Jahan
Part 9
তাহলে কি আমি সবার মতো এদের ও হাড়াবো,,
,,,,,,,এটা আমি কি করলাম।
ফারা,,,,,,, চিন্তা করিস না আমরা সবাই তোর কথা বিশ্বাস করেছি। আর এটা মনে করিস না যে,এটা জানার পর আমারা তকে ছেড়ে চলে যাবো।
যীন্নাত,,,,,,, আ,ম সরি,, সরিরিরি ( জোরে কান্না করে )
রিয়াদ,,,,,,, আরে তুই কান্না করছিস কেনো। আচ্ছা এবার থাম আর বল কি হয়েছে।
যীন্নাত কান্না করেই যাচ্ছে সবাই ওকে শান্ত করে।
ফারা,,,, এবার বল কেনো কান্না করছিস।
যীন্নাত,,,,,,, তদের এই কথা জানানো আমার উচিত হয় নি। কারন আমি যাদের এই কথা বলি তারা নাকে মুখে রক্ত উঠে মারা যায়।
সবাই চুপ হয়ে যায়।
রিয়াদ,,,,,, মিথ্যা হাসি দেওয়ার চেষ্টা করে বলে,,,,, মজা করছিস তাই না,, এমন হলে তো তোর মা বাবা কবে মরে যেতো, তুই ওদের এ কথা বলিসনি এটাতো হতে পারে না।
যীন্নাত,,,,,, হ্যাঁ বলেছি কিন্তু ওরা কেও আমার কথা বিশ্বাস করেনি। ওরা মনে করতো এই সব কিছু আমার কল্পনা।
রোহান,,,,, বিশ্বাস কর আমরা কেও তোর কথা বিশ্বাস করেনি। কে কেও বি বিশ্বাস ক ক করেনি।
যীন্নাত,,,,,,, তোরা বললেই তো আর হবে না তদের মুখ দেখে সব বুঝা যাচ্ছে।
ফারা,,,,,, এবার কি হবে,, আমরা সবাই কি মরে যাবো নাকি। আমার কতো শক ছিলো বিয়ে হবে বাচ্চা হবে,,, কিছুই তো হলো না 😭😭
রিয়াদ,,,,,,,,, এটা আমার জীবনের লাস্ট দিন 😨
মুগ্ধ,,,,,,,,,, তোমরা চিন্তা করো না, কোনো না কোনো রাস্তা ঠিক বের হবে। এমন কোনো না কোনো রাস্তা তো আছেই, কিন্তু কি।
যীন্নাত,,,,,,, জ্বীন রহস্য,,,,, হ্যা হ্যা এই কিতাব থেকেই কিছু না কিছু জানা যাবে।
মুগ্ধ,,,,, যা করার তাড়াতাড়ি করো।
যীন্নাত,,,,, আমি এখনি কিতাব আনছি।
যীন্নাত চোখ বন্ধ করে হাত বাড়িয়ে কিতাবের কথা সরণ করলো,, কিতাব যীন্নাতের হাতে এসে গেলো।
ফারা,,,,,,, wow কি মেজিক করিস তুই।
যীন্নাত,,,,,,, একদম চুপ কোনো কথা বলবি না বলে দিলাম।
মুগ্ধ,,,,,,,, কিতাব খুলো।
,,,,, হুমমম
যীন্নাত কিতাব খুলে, আর জিজ্ঞেস করে এর থেকে বাঁচার উপায় কি।
,,,,,, এই তো লেখা উঠেছে আমি পড়ছি তোরা শুন।
রিয়াদ,,,,, পাগল ভাবস এখানে তো কিছুই লেখা নাই 😒😒
,,,,,, এটা শুধু আমিই দেখতে পায়।
,,,, ওওও
এখানে লেখা আছে।
,,,,
যার কারনে তোমার ফ্রেন্ডরা বিপদে সে হলো তোমার রক্ষী জ্বীন। এটা শুধু তখনি আসে যখন তুমি কাওকে তোমার সম্পর্কে বলো। একে থামানো অনেক কঠিন এখন। কারন যে একে আদেশ দিয়েছিলো যে, কোনো মানুষ তুমার সত্যটা জানলে তাকে মেরে ফেলতে সে এখন এই দুনিয়াতে নেই।
তুমি বিশ বছর বয়সে পা রাখলে একে থামাতে পারবে,, ও তুমার আদেশ শুনবে,, কিন্তু এখন না।
এখন একটাই উপায়,, যতো ক্ষন পর্যন্ত তোমার বয়স বিশ না হয়, ততো ক্ষন,, ওদের বলো ওদের সামনে যায় আসুক না কেনো ওরা যাতে স্বাভাবিক থাকে, আর কোনো তরল পদার্থ জেনো না খায়।
এই ভাবে কিছু খনের জন্য ওরা বেঁচে যাবে।,কারন রক্ষি জ্বীনকে শুধু তাড়াই দেখতে পারে যারা তোমার কথায় বিশ্বাস করে। ওরা যদি একে দেখেও না দেখার বান করে তাহলে জ্বীন ভাববে ওরা তোমার কথায় বিশ্বাস করে নি। ,,,,,,,,,,
ফারা,,,,,,,,, কিছুই তো বুঝলাম না।
রোহান,,,,,,, ভাই এর মানে কি।
মুগ্ধ,,,,,,,, শুনো তোমরা, এখন থেকে তোমাদের সামনে যায় আসুক না কেনো কোনো রিয়েক্ট করবা না। এমন ভাবে থাকবা জেনো কিছুই দেখোনি।
রিয়াদ ,,,,,,, আমাদের সামনে কি আসতে পারে কেও কি একটু ধারণা দিতে পারবা।
যীন্নাত,,,,,,, কোনো জ্বীন
ফারা,,,,,,, জ্বীন-ভূত
রিয়াদ,,,,,,, ওরা দেখতে মানুষের মতোই তো হবে তাই না। কি তাই তো 🙁☹
যীন্নাত,,,,,, হ্যাঁ,,, তবে ঐই হরর মুভির ভুতের থেকেও একটু বেশি ভয়ংকর দেখতে হতে পারে।
ফারা,,,,,, ও,,,, আর তোর কি ধারনা ওকে দেখে আমরা হাসবো 😐😐
যীন্নাত,,,,,,,, 😶😶 এটাই করতে হবে আসলে।
রোহান,,,,,,,, আমরা কেও বাঁচবো বলে মনে হয় না।
যীন্নাত,,,,,, পিল্জ এমন ভাবে বলিস না। তদের কিছু হলে আমি নিজেকে কোনো দিন ক্ষমা করতে পারবো না। দরকার লাগলে নিজের জান দিয়ে দিবো তাও তদের কিছু হতে দিবো না। ( কান্না করতে করতে )
ফারা,,,,,,,, কাঁদিস না,, আমরা জানি এতে তোর কোনো দোষ নেয়। আমরা সবাই চেষ্টা করবো। চিন্তা করিস না এতো তাড়াতাড়ি আমরা তোর পিছন ছাড়বো না।
ওরা সবাই সবাইকে জরিয়ে ধরে।
মুগ্ধ,,,,,,, Excuse me,,, আপনাদের হয়ে গেলে এখন কি করা যায় এটা ভাববেন,,, একটু পর সন্ধ্যা হয়ে যাবে।
যীন্নাত,,,,,,, আমরা সবাই আজ এক সাথে থাকবো। কিন্তু কোথায়,,সবার বাড়িতেই তো মা বাবা থাকবে।
মুগ্ধ,,,,,,, আমার বাসা খালি,, আমরা আজ ঐখানেই থাকবো।
যীন্নাত,,,,,, ঠিক আছে,, তোরা সবাই মা বাবাকে ফোন করে বলেদে।
ফারা,,,,,, কি বলবো, থাকতে দিবে না।
যীন্নাত,,,,,,, যা বলার বল কিন্তু আজ আমাদের ঐখানেই থাকতে হবে।
ফারা,,,,,, এই সব তোর জ্বীন রক্ষীর জন্য হচ্ছে। আর সেফটির জন্য কয়েকটা বডিগার্ড রাখতি, জ্বীন কে রাখে ইয়ার।
যীন্নাত,,,,,, এক মিনিট,, আমার জন্য জ্বীন রক্ষী কে রাখলো আর কেনো। আর যে রাখছে সে মারা গেছে।
মুগ্ধ,,,,,, এটা নিয়ে পরেও ভাবা যাবে।
যীন্নাত,,,,, ঠিক,,, চলো সবাই মুগ্ধের বাসায়।
আমরা সবাই মুগ্ধের বাসায় আসি। ওর বাসাটা অনেক সুন্দর। তার থেকে বেশি সুন্দর বাগানটা। কিন্তু এখন এটা দেখার সময় না।
বাসার ভিতরে যায়,, সবাই আমরা সোফায় বসি। সন্ধ্যা হয়ে গেছে, অন্ধকার নেমে এসেছে।
রিয়াদ,,,,,, ভাই আমার অনেক ভয় করছে।
ফারা,,,,,, আমারো।
যীন্নাত,,,,,, পিল্জ সাহস রাখ,, আর কিছু দেখলে স্বাভাবিক থাকবি।
হঠাৎ রোহান জোরে জোরে হাসা শুরু করলো। দেখে বুঝা যাচ্ছে জোর করে হাসছে। হাসতে হাসতে আমার কাছে এসে বসলো।
যীন্নাত,,,,,,, কি হলো,,
রোহান,,,,,,, আমার সামনে একটা ভয়ংকর জিনিস দাঁড়িয়ে আছে, আমার দিকে যেভাবে তাকিয়ে আছে যেনো খেয়ে ফেলবে। ( আমার কানে কানে )
যীন্নাত,,,,,, পিল্জ সাহস রাখ।
আমি সবাইকে ইশারা দিলাম সবাই বুঝতে পারছে,, রোহান ছাড়া আর কেও দেখতে পারছে না। ফারা ভয়ে আমার হাত শক্ত করে ধরেছে।
আমরা সবাই ফানি জোক বলা শুরু করলাম,, ভালো কোনো জোকও মনে পড়তাছে না।
তাও রোহান হাসছে, তার মাথা দিয়ে ঘাম ভের হচ্ছে।
জ্বীন রোহানের একদম সামনে এসে দাড়িয়ে আছে। রোহান ঐখান থেকে উঠে ফারা পাশে বসে। জ্বীন এবার রোহানের পাশে এসে বসে। রোহানের অবস্থা খারাপ।
ফারা,,,,,, কি হয়েছে।
রোহান,,,,,, আমার পাশে এসে বসেছে আমি আর পারছি না।
যীন্নাত,,,,,, ফারা কিছু কর ধীরে ধীরে ওর চেহেরার অঙ্গি ভঙ্গি বদলে যাচ্ছে। এইভাবে তো জ্বীন বুঝে যাবে।
ফারা,,,,,,, রোহান যানো আমি না তোমাকে অনেক ভালোবাসি,, অনেক আগে থেকে কিন্তু বলতে পারিনি।
রোহান,,,,, শুনতে ভালো লাগছে কিন্তু জানি তুমি এটা কেনো বলছো।
ফারা,,,,,, সত্যি বলছি।
জ্বীন ওর কাঁধে হাত রাখতে যায়। রোহান না চাইতেও ওর মুখ দিয়ে চিৎকার বের হতে নেয় আর ফারা রোহানকে ধরে ওর ঠোঁটে ফারা নিজের ঠোঁট লাগিয়ে দেয়।
আমরা সবাই হা করে তাকিয়ে আছি। রোহান চোখ বড়ো বড়ো করে তাকিয়ে আছে। কিছু খন পর ফারা রোহানকে ছেড়ে দেয়। বেচারা এখনো সকে আছে, এখন ওর সামনে জ্বীন এসে নাচলেও রোহান ফারাকেই দেখতে পাবে।
বেশ অনেক খন হয়ে যায় রোহান ঐ হা করেই আছে। রিয়াদ গিয়ে ঝাকি দেয় তবে রোহানে হোশ ফিরে। রোহান মুশকি মুশকি হাসছে।
ফারা,,,,,, যীন্নাত ওকে বলে দে না হাসতে।
যীন্নাত,,,,,,,,, জ্বীন কি চলে গেছে।
রোহান,,,,, ও জ্বীন ওর কথা তো ভুলেই গিয়ে ছিলাম কোথায় ও দেখতে পারছি না তো।
যীন্নাত,,,,, তার মানে চলে গেছে।
রিয়াদ,,,,,, চলে তো গেছে এখন না জানি কার চোখে বাসে। আমার সামনে আসলে তো, ফারা কেনো সানি লিওনি কিস করলেও ভয়ে মরে যাবো।
ফারা,,,,,,, তরে কেনো কিস করবো।
রোহান,,,,,, হ্যাঁ ও আমাকে ভালোবাসে তাই করছে।
ফারা,,,,, কে বলছে ভালোবাসি আমি তো তোর জান বাঁচানোর জন্য বললাম।
রিয়াদ,,,,,, তুই কি বলতে চাস আমার জানের কোনো মূল্য নেয় তোর কাছে 😑😑
ফারা,,,,, 😶😶😶 আমি এটা বলিনি।
যীন্নাত,,,,, চুপ থাক তোরা,,,, রিয়াদ শোন তুই না বড়ো হয়ে নায়ক হতে চাস।
রিয়াদ,,,,,, আর কতো বড়ো হমু 😐😕😤
যীন্নাত,,,,,, না মানে হতে তো চাস নাকি। তো আজ দেখিয়ে দে তোর এক্টিন।
রিয়াদ,,,,,,, পারমু না ভাই, তুই ফিলমি ডাইলগ ছাড়া বন্ধ কর 😒😒
যীন্নাত,,,,,,, রোহান ঠিকি বলে তোর থেকে ভালো এক্টিন আমাদের অপু ভাই করে।
রিয়াদ,,,,,,, কিহহহ,,, রোহান তুই আমাকে এই ভাবে অপমান করিস।
রোহান,,,,, ঠিকি তো বলছি।
রিয়াদ,,,,,, আজ দেখবি এক্টিন কাকে বলে।
অনেক খন পর রিয়াদ রোহানের মতো হাসা শুরু করে। আমাদের আর বুঝতে বাকি রইলো না।
জ্বীন এসে রিয়াদের পাশে বসে। রিয়াদ গোল গোল হাটছে। জ্বীন ও রিয়াদের পিছে পিছে যায়। কিছু ক্ষন পর রিয়াদ আমার পাশে বসে।
রিয়াদ ,,,,,, কিরে এই জ্বীন কখন যাবে।
যীন্নাত,,,,,,,, যাবে যাবে একটু পরি যাবে।
রিয়াদ,,,,,,, ততো ক্ষনে যদি আমার পেন্ট ভিজে যায়।
যীন্নাত,,,,,, দেখিয়ে দে তর প্রতিভা।
রিয়াদ গিয়ে মুগ্ধের পাশে বসে।
মুগ্ধ,,,,,, চোখ বন্ধ করে রাখো।
রিয়াদ,,,,, চোখ বন্ধ করলে ভয়ে মরে পড়ে থাকবো।
জ্বীন রিয়াদের গলায় হাত দিতে নেয় আর রিয়াদ জোরে কুত্তি বলে চিৎকার করে উঠে দাঁড়ায়।
আমরা সবাই ভয়ে লাফ দিয়ে উঠি। বিচারা জ্বীন ও মনে হয় ভয় পেয়ে গেছে।
রিয়াদ,,,,,, কুত্তি শয়তান্নি ও নিজেকে ভাবে কি, ও আমাকে ছেড়ে চলে গেলে কি আমি মরে যাবো, আমি একটা না আরো দশটার সাথে প্রেম করবো ও কি করবে।
আঙ্গুল দেখিয়ে কাপিয়ে কাঁপিয়ে বলছে। হাত যে কেনো কাঁপছে তা আমরাই জানি।
ফারা,,,,,,,, কার কথা বলতাছস।
রিয়াদ,,,,,,, আর কার কথা আমার এক্স মায়ার কথা। ও কি ভাবে ও ব্রেকআপ করলে কি আমি আর মেয়ে পাবো না।
রিয়াদ ভয়ে মুখ দিয়ে যা আসছে তাই বলছে। এমন কোনো গালি নাই যা ও তার এক্সকে দিতাছে না। এই প্রথম আমি এতো গালি এক সাথে শুনলাম। অনেক নতুন গালিও শুনলাম।
রিয়াদ চিল্লিয়ে চিল্লিয়ে মায়াকে চোখ বন্ধ করে গালি দিচ্ছে আর আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে শুনছি। মায়া যদি এই সব শুনতো তাহলে এখনি বিশ খায়তো নিশ্চিত।
রিয়াদ এতো ভয় পাইছে যে ও কি বলতাছে ও নিজেও জানে না। কিছু খন পর হাঁপাতে হাঁপাতে সোফায় বসে।
ফারা,,,,,, তুই কি গালি দেওয়ার কোর্স করছস।
রোহান,,,,,, ভাই থামলি কেন, যতো রাগ আছে আজকেই বের কর তকে কেও থামাবে না।
রিয়াদ,,,,,,,, জ্বীন চলে গেছে ( হাঁপাতে হাঁপাতে )
মুগ্ধ,,,,,,, তোমার গালি শুনে লজ্জায় জ্বীনও চলে গেছে। আর কে এই বেচারি মায়া যার ব্যাপারে এতো বিস্তারিত বলেছো,,,
রিয়াদ,,,,, আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড, যাক কোনো কাজে তো আসলো। যাক বল আমার এক্টিন কেমন ছিলো।
ফারা,,,,,,, এক্টিন জানি না তবে গালি দেওয়ার জন্য তোর মুখে নোবেল ছুড়ে মারা উচিত।
যীন্নাত,,,,,,, এখন কার পালা।
মুগ্ধ,,,,,,, ফারার
ফারা,,,,,,, কেনো আমি কেনো তুমিও তো হতে পারো।
যীন্নাত,,,,,, না এখন তোরি পালা।
ফারা এটা শুনেয় ভয়ে শেষ। এখন কি হবে কারন ফারা অনেক ভিতু। যদি উল্টো পাল্টে কিছু করে ফেলে।
ফারা ভয়ে পাশে থাকা পানি খেয়ে ফেলে। আর কিছু ক্ষন পর ওর নাক মুখ দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে।
আমরা সবাই ফারাকে ধরি।
যীন্নাত,,,,,,, তুই পানি কেনো খেতে গেলি। এখন কি হবে। ( কান্না করে )
রোহান,,,,,,, না না আমি তুমার কিছু হতে দিবো না। ওকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে নিয়ে যাবো।
ওমনি জ্বীন হাজির হয়। ফারা চোখ বড়ো বড়ো করে হাত দিয়ে ইশারা করে দেখায়।
কিন্তু আমরা কেও কিচ্ছু দেখতে পারছি না। হঠাৎ ফারা উপড়ে উঠে হাওয়াতে ঝুলছে। জ্বীন ওর গলা ধরে উপড়ে উঠিয়ে রেখেছে।
আমরা কেও ফারাকে হাতের নাগালে পাচ্ছি না। আমরা সবাই চিৎকার করছি।
যীন্নাত,,,,,,,, ঐ তুই কে ফারাকে ছাড় বলছি দরকার হলে আমার জান নিয়ে নে।
রোহান,,,,,,,, আমার ফারাকে ছাড় ওর কিছু হলে আমি তোকে ছাড়বো না।
মুগ্ধ জানি না কি পাউডারের মতো এনে ছিটিয়ে দেয়। কিন্তু তাও কোনো কাজ হয় না। আমি আমার তালোয়ার দিয়ে আনতাজে আঘাত করছি তাও কিছু হচ্ছে না।
আমরা সবাই অনেক চেষ্টা করেও ছাড়ানো যাচ্ছে না। আমরা সবাই কাঁদতে থাকি। এখন কি আর কোনো উপায় নেয়। ফারাকে কি আর বাঁচাতে পাড়বো না।
চলবে,,,,,,,,,,