স্কুল জীবনের প্রেম,পর্ব_৪
লেখা_জান্নাতুল নাঈমা
বাবা মায়ের ভালোবাসা ছিন্ন করে দিয়ে ভালোবাসার নাম করে অন্যকারো হাত ধরে চলে গেলে দুনিয়াতে যেমন বাবা, মায়ের অসন্তুষ্টির ফল ভোগ করতে হবে। তেমন পরকালেও কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে। আর যাই হোক নিজের জন্মদাতা জন্মদাত্রীর সাথে বেঈমানী করতে নেই। তাঁর ফল ইহোকাল এবং পরোকালে খুবই ভয়াবহ হয়।
এমনিতেও আমরা বিয়ের আগে এমন সম্পর্কে জরিয়ে অনেক পাপ করে ফেলেছি পাপের বোঝা আর বাড়াতে চাইনা। আমি চাই পরিবারের সম্মতিতে আমাদের বিয়ে হোক। এর জন্য যতোটা ধৈর্য্য ধারণ করা দরকার করবো৷ যতোটা কষ্ট সহ্য করা দরকার করবো। কথায় আছে সবুরে মেওয়া ফলে।
সবুর করো।তাতাতারি কাজ শয়তানের কাজ।
আর বিয়ের মতো একটা পবিএ বন্ধনে আমি শয়তানের প্ররোচনায় জরাতে চাই না। এখন আমাদের পড়াশোনা করা উচিত, জীবন গঠনের সঠিক সময় এটাই।
.
তাসমিয়া কথা গুলো বলে ফোন রেখে দেয়।
আমার এক মন ওর কথা মানতে চায় তো আরেক মন মানতে চায় না। ওর কথায় যৌক্তিকতা ছিলো কথার শেষে ও বলেছিলো “বিজয় এসব কথা এসব ভাবনা আমার মাঝে তৈরী করেছে আমার বাবা,মা। আশেপাশের অনেক মানুষ কে দেখে শিক্ষা অর্জন করেই এসব বলছি। আমাদের মাঝে ভালো গুণ খারাপ গুণ উভয়ই বিরাজ করে।”আমাদের এ বয়সটায় আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করা যতোটাই কঠিন বিবেক কে ধ্বংস করে দেওয়া ততোটাই সহজ”
আমি তোমাকে পর ভাবিনা আর না ভাবি আমার থেকে আলাদা কেউ। আমাদের ভালোবাসা টা পবিএ বিজয়। আমাদের মিলন অবশ্যই হবে তুমি চিন্তা না করে সঠিক পথে এগিয়ে যাও আমি আছি তোমার পাশে। মনে রেখো সত্যের জয় অনিবার্য”
.
তাসমিয়ার মাঝে ম্যাচিওরিটিটা কলেজে পা দেওয়ার পরপরই এসে গেছিলো। কিন্তু আমি আমি তখন একদম ম্যাচিওর ছিলাম না। তাই ওর ম্যাচিওরিটি টাও আমি হজম করতে পারতাম না৷ যখন বোঝাতো বুঝতাম কিন্তু দু একদিন পরই আবার আমি অবুঝের ন্যায় আচরণ করতাম৷ নানাভাবে চাপ প্রয়োগ করতাম। যেদিন থেকে তাসমিয়া বিয়ের ব্যাপারে নিষেধ করলো সেদিন থেকে ওর প্রতি আমার খুতখুতানি বেড়ে গেলো।
.
ফার্স্ট ইয়ারের ফাইনাল এক্সাম শেষে ছুটি কাটাচ্ছি।
ঈদুল ফিতরের দশদিন ছুটি পেয়েছিলাম আমরা।
কিন্তু এই ছুটি তে ভীষণ বিরক্ত ছিলাম আমি। কিসের ঘুরাফুরা কিসের ঈদ ফুর্তি মনের ভিতর শুধু চলছিলো-তাসমিয়া কি করছে,ও কোথায় আছে।
সারাক্ষণ ফোন দিয়ে জ্বালাতন করতাম। যখন ওর কথা বলতে সমস্যা হতো তখন মেসেজিং করতাম।
দশমিনিট পর পরই ফোন, বা মেসেজ দিতাম।
বই চান্স কখনো ওর ফোন ব্যাস্ত পেলেই আমার মাথা খারাপ হয়ে যেতো। মেসেজ দিয়ে কখনো যদি শুনতাম ও বাড়ির বাইরে আছে পাগল হয়ে যেতাম। বকে,ধমকে যেভাবেই হোক ওকে বাড়ির ভিতরে ওর রুমে যেতে বাধ্য করতাম। রুমে গিয়ে ছবি ওঠিয়ে সেটা আমাকে পাঠাতে বলতাম। ছবি দেখেই আমি নিশ্চিন্ত হতাম। ওর বিষয়ে আমি প্রচুর সিরিয়াস হয়ে গিয়েছিলাম।” এক্সেস ইজ দ্যা ভেরী বেড ” কিন্তু তখন এটা আমার মাথায় বা মনে কাজ করতো না।
কাজ করতো শুধু তাসমিয়া আমার, যে কোন মূল্যে ওকে আমার করে পেতে হবে। ওর জীবনে ভুল করে হলেও কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া যাবে না। বা তাসমিয়া ভুল করে হলেও কারো দিকে মোহিত হবে না। আমি ছাড়া আর কারো প্রতি ওর ভালো লাগার ভ ও থাকা যাবে না। তাহলে নিজ হাতে গলা টিপে হত্যা করতেও দ্বিধা বোধ করবো না ওকে আমি। এমনটাই ছিলো আমার ভাবনা। মন, মস্তিষ্ক পুরোটা জুরেই ছিলো শুধু তাসমিয়া। আমি যেমন ওর ব্যাপারে সিরিয়াস ছিলাম তেমন তাসমিয়াও আমার ব্যাপারে বেশ সিরিয়াস ছিলো। মোটকথা দুজনই দুজনের জন্য প্রচুর পাগল ছিলাম।
.
সেকেন্ড ইয়ারের ঘটনা স্বভাবতই আমি কলেজ গেটে দাঁড়িয়ে ছিলাম। তাসমিয়ার জন্য অপেক্ষা করছিলাম।সেদিন আমি বাইক নিয়ে যাইনি। আমার বাইকটা এক বড় ভাই নিয়েছিলো তাঁর গার্লফ্রেন্ড কে নিয়ে ঘুরতে যাবে বলে। অথচ আমি আমার তাসমিয়াকে দুমিনিটের জন্যও কখনো বাইক ওঠাতে পারিনি। তাসমিয়া ভিতু ছিলো প্রচুর সাহস করে আমার বাইকে ওঠতে পারেনি কখনো। আমার ইচ্ছে থাকা সত্তেও ওর ভয় দেখে জোর করিনি। শুধু ওর ভয় না ওকে হারানোর ভয় টা ছিলো খুব।
না জানি কোনভাবে ওর পরিবার আমাদের ব্যাপারে জেনে গিয়ে ওর বিয়ে দিয়ে দেয় বা ওকে মারধর করে।তাই এসব ব্যাপারে খুবই সচেতন থাকতাম। বন্ধুরা তাদের গার্লফ্রেন্ডের সাথে কি কি করতো সব জানতাম কিন্তু আমি আমার তাসমিয়া কে তাঁদের কাছে গার্লফ্রেন্ড হিসেবে পরিচয় করিনি কখনো।
সব সময় বলেছি এটা আমার বউ তাই বউ নিয়ে কেউ আবল তাবল প্রশ্ন বা মন্তব্য করবি না।রেসপেক্ট দিয়ে কথা বলবি। বন্ধু রাও ওকে খুব সম্মান দিতো।
ভালোবাসায় সম্মান টা খুব জরুরি কিন্তু এই সম্মান টা আমি ওকে ১% না দিতে পারলেও বাকি সবাই যাতে ওকে ১% অসম্মান না করতে পারে সেদিকে ভীষণ সচেতন ছিলাম।
যাইহোক, তাসমিয়া ৯টায় এলেও সেদিন ৯টা ৪৫ বেজে গেলো তবুও এলো না। মেসেজ করে পেলাম না তাই ফোন করা শুরু করলাম বাট রিসিভ হলো না। টেনশনে পড়ে গেলাম ভীষণ। ঘুম ভাঙার পর যখন কথা হয়েছিলো তখন বলেছিলো ফ্রেশ হয়ে রেডি হয়ে বের হবে। তারপর আর কথা হয়নি কলেজ এসে ফোন দিচ্ছিলাম বাট পাচ্ছিলাম না।
একগাদা টেনশন,বিরক্তি এসে ভর করলো আমার চোখে, মুখে।
আবারো কল দিতে নিতেই গেটের সামনে অটো এসে থামলো৷ তাসমিয়া অটো থেকে নামলো খুব হাসি হাসি মুখে তারপরেই নেমে এলো অচেনা এক ছেলে।
আমাদের কলেজের ড্রেস পড়া,তার মুখেও বেশ হাসির ঝলক ভাড়াটা ছেলেটাই দিলো। যা দেখে আমার পায়ের রক্ত মাথায় ওঠে গেলো।
স্বভাবতই আমি ক্ষেপাটে টাইপ, ভীষণ রাগি তারওপর অল্প বয়স ছিলো রক্ত গরম। বার বার ফোন করছি হেলদোল নেই আমার সামনে অন্যছেলের সাথে অটো থেকে নামছে আর এদিকে আমি টেনশনে মরছি। মেজাজটা এমন মাএায় গরম হলো যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারলাম না। সোজা গিয়ে তাসমিয়ার কাঁধ ধরে টেনে ঠাশ করে গালে এক থাপ্পড় লাগালাম। চিৎকার করে বললাম,
“এই কুত্তার বাচ্চা কখন থেকে ফোন দিচ্ছি ফোন ধরস না কেনো”
ওর পাশের ছেলেটাকেও একটা থাপ্পড় দিয়ে কলার চেপে ধরলাম। বাজে ভাষায় গালাগাল শুরু করলাম।
কলেজের বড় ভাইরা এসে আমাকে থামাচ্ছিলো। এদিকে তাসমিয়ার চোখ, মুখ লাল হয়ে গেছে।চোখ দিয়ে সমানে পানি ঝড়ছে। কিছু একটা বলতে চাচ্ছে পারছে না। আমার বন্ধু রা এসে ছেলেটা কে চেপে ধরলো। ছেলেটা ভয়ে কেঁদে দিলো আর বললো,
“তাসমিয়া আপু এরা কারা আমাদের মারছে কেনো?বকছে কেনো”?
তাসমিয়া কোন কথা বলছে না মাথা নিচু করে কেঁদেই চলেছে। এদিকে ওর মুখে আপু শুনে আমি যেনো আমার দুনিয়ায় ফিরে এলাম। বন্ধু দের ইশারা করলাম যাতে ছেড়ে দেয়। গেটের সামনে প্রচুর ভীর বড় ভাইরা ধমকে ধমকে ভীর কমালো। আর আমি জোরে কয়েকদফা শ্বাস নিয়ে তাসমিয়ার হাতটা চেপে ধরে কলেজের পিছন দিকে নিয়ে গেলাম। বন্ধু রা ছেলেটাকে ম্যানেজ করতে লাগলো যাতে তাসমিয়ার বাড়িতে কিছু না বলে।কারন ছেলেটা তাসমিয়ার আপন চাচাতো ভাই ওর থেকে দের বছরের ছোট।
.
তাসমিয়া কেঁদেই যাচ্ছে সেই কান্না থামার নাম নেই।
আমার খুব বড় একটা ভুল হয়ে গেছে তা নিয়ে নিজের কাছে অপরাধী লাগলেও আমি সেটা ওকে বুঝতে না দিয়ে কড়া গলায় জিগ্যেস করলাম ” ফোন ধরছিলে না কেনো, মেসেজ করছিলাম ফোন কোথায় তোমার”??
তাসমিয়া কেঁদেই যাচ্ছে কিছু বলছে না। তাই ধমকে বললাম “কি হলো উত্তর দাও”
তাসমিয়া ভাঙা আওয়াজে বললো, “কাকি আর আম্মু বললো নাজিমের আজ কলেজে প্রথম দিন৷ তাই আমি যেনো ওকে কলেজে নিয়ে আসি। সকালেই বললো রেডি হয়ে বের হয়েছি তখন তাই নাজিমের সামনে ফোন বের করতে পারিনি।ওর সামনে কথা বললে সমস্যা হতো সেই ভয়ে”
কথাটা শুনে আমার রাগ হলো তাই বললাম,”কেনো তুমি একটা মেসেজ করতে পারতে না” মেসেজ করলেও কি ও দেখতো আর ছেলেটা কি বাচ্চা একা কলেজ আসতে পারেনা তোমাকে নিয়ে আসতে হবে কেনো??
তাসমিয়া বললো,” সেটা কি আমি কাকি কে বলতে পারতাম। এক বাড়ির ছেলে, মেয়ে ছোট ভাই আমার আমরা একসাথে আসতেই পারি”
আমি চিৎকার করে বললাম,”না পারো না। তুমি একাই আসবে অন্যকারো সাথে আসা যাবে না”
তাসমিয়া বললো,” বিজয় প্লিজ সকলের সামনে অপমান করেছো মেনে নিয়েছি। তোমার সব বাঁধা মেনে নিয়েছি।সব কথা শুনে চলেছি এবার প্লিজ পরিবার থেকে আলাদা করো না।
আমি বললাম,” পরিবার মানে ও তোমার পরিবার কিভাবে হলো চাচাতো ভাই নিজের ভাই তো না”
তাসমিয়া অবাক চোখে চেয়ে বললো,” চাচাতো ভাই আর নিজের ভাই একি হলো৷ একসাথে বড় হয়েছি আমরা ও আমার নিজের ভাইয়ের মতোই। তুমি প্লিজ আমি আমার পরিবারে কার সাথে মিশবো না মিশবো এ বিষয়ে নাক গালাবে না।
বেশ কথা-কাটাকাটি হলো আমাদের। সকলের সামনে থাপ্পড় দিয়ে, বাবা,মা তুলে বকে যে ভুল টা করেছি যে অপমানটা করেছি তাঁর জন্য ক্ষমা তো চাইলামি না বরং আরো ইচ্ছে মতো রাগারাগি করে ওকে ক্লাস অবদি পৌঁছে দিয়ে চলে গেলাম। রাগ ঝগরা যতোই হোক কলেজ আসলে সর্বক্ষণ ওর সাথে সাথেই থাকতাম। সেদিনও তাই করলাম কিন্তু একটা কথাও বললাম না। ছুটির পর তাসমিয়া ফিসফিস করে বললো,
“বিজয় প্লিজ রেগে থেকো না একটু বোঝার চেষ্টা করো। আমার জায়গায় নিজেকে বসিয়ে দেখো তোমার ভুল টা বুঝতে পারবে”
কিন্তু আমি ওর কথা কানে দিলাম না৷ তাসমিয়া বাড়ি পৌঁছে আমাকে রোজ ফোন করে জানিয়ে দেয়। সেদিনও তাই করলো আর আমি বললাম,
“আমাকে ফোন দিয়েছিস কেনো? তোর গায়ে হাত তুলেছি আজ আমিতো খারাপ ছেলে। তাহলে আমাকে কেনো ফোন দেস, আর জীবনে কোনদিন আমাকে ফোন দিবিনা৷ তোর আদরের চাচাতো, ছোট ভাইকে নিয়েই থাক।
আমার কথা শুনে তাসমিয়া কেঁদে দিলো। আর বললো,বিজয় এমন করছো কেনো?? আমি কি ভুল করেছি বলো?? আজকে আমাকে কতো শক্ত মার দিলে। জানো খুব ব্যাথা পেয়েছি তারপরও শুধু ধমক আর ধমক দিয়েছো। এতেও তোমার রাগ কমেনি।
আচ্ছা আমি তোমার পায়ে ধরে ক্ষমা চাইছি প্লিজ এমন টা করো না প্লিজ বিজয়। আমার ভুল গুলো প্লিজ ক্ষমা করে দাও। আমি আর তুমি কি আলাদা নাকি যে এমন করো। তুমি ভুল করলে কি আমি ক্ষমা করে দেই না নাকি। এই যে তুমি আমাকে বকার নাম করে আমার বাবা,মা কে বকেছো। আমাকে বকার,মারার অধিকার থাকলেও তো আমার বাবা মা কে গালাগাল করার অধিকার তোমার নেই। তবুও আমি তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছি।
আর সব থেকে বড় কথা এই যে আমাকে মেরেছো তোমার অধিকার আছে বলেই তো আমি কি কিছু বলেছি বলো??নিজেদের মধ্যে ভুল, রাগারাগি হবেই তাই বলে তুমি আমাকে ফোন দিতে নিষেধ করবে?? বিশ্বাস করো এতো ধমকেছো আজ, থাপ্পড় দিয়েছো একটুও ব্যাথা পাইনি বুকে কিন্তু এখন যে ফোন দিতে নিষেধ করলে এখন খুব ব্যাথা পেয়েছি।
.
কি অদ্ভুত তাইনা মেয়েটার কোন ভুল না থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মাথা নত করে আমাকে বুঝিয়েছে।
ইশ সেদিন যদি আজকের মতো করে বুঝতাম ঐ মেয়েটাকে মাথায় করে রাখতাম। আজ চিৎকার করে বলতে ইচ্ছে করে,”তাসমিয়া ভালোবাসি খুব ভালোবাসি, তাসমিয়া ক্ষমা করো আমায় সকল ভুলের ক্ষমা করে দাও। আমাকে আরেকবার বোঝাও তাসমিয়া বোঝাওনা আর একটি বার।
তোমার মতো করে কেউ যে বোঝায় না, তোমার মতো করে কেউ যে ভালোবাসে না,তোমার মতো এক বুক ভালোবাসা কেউ যে দেয় না।
.
তারপর থেকে তাসমিয়াকে দেখতাম ও ওর কাজিনের সাথে একসাথে কলেজ আসেনা৷
আমি পছন্দ করতাম না রাগারাগি করতাম তাই হয়তো যে করেই হোক ম্যানেজ করেছে। করবে না কেনো মেয়েটা যে বড্ড ভালোবাসে আমায়। যেসব কাজে রেগে যাই সে সব থেকে যে কোন মূল্যেই হোক দূরে থাকার চেষ্টা করতো।
মাঝে মাঝে এক, দুদিন একসাথেই আসতো। তা অবশ্য কারনে ওর মা, কাকি যখন অটোতে ওঠিয়ে দিতো তখন একসাথেই আসা লাগতো। আর আমাকে হাজারবার মেসেজ করে সরি বলতো। আমাকে মানানোর চেষ্টা করতো। কিন্তু আমি মানতাম না ওর সাথে কথা বলা অফ করে দিতাম।
প্রচুর ইগনোর করতাম ওকে প্রচুর রাগ দেখাতাম। যাতে ভয় পেয়ে কষ্ট পেয়ে আমি যা অপছন্দ করি সেসব না করে। কিন্তু আমার সে সময়ের আচরনে আমি আজ নিজেই বিরক্ত হয়ে যাই।অথচ ঐ মেয়েটা কতো কি না সহ্য করেছে হায় খোদা,,এতো ধৈর্য্যশীল মেয়ে আজকাল কি আদেও পাওয়া যায়।
“সৌভাগ্য ধরে রাখার ক্ষমতা সকলের হয় না।
তামা কোনদিন সোনার মূল্য বুঝতে পারে না”
নিজের চাচাতো ছোট ভাইয়ের সাথে মিশলে কি এমন হবে। কি বুঝে তখন তাসমিয়াকে এ বিষয় নিয়ে টর্চার করতাম কে জানে।
.
কিছু পুরুষ যেমন কিছু মেয়েকে প্রচুর পরিমান ভালোবাসার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়,,
ঠিক তেমনি কিছু পুরুষ কিছু মেয়েদের চরম পর্যায়ে ইগনোর করার ক্ষমতা নিয়ে জন্মায়,,
আর আমি ছিলাম সেই পুরুষ যে তাসমিয়ার মতো মেয়েকে ইগনোর করার বিষাক্ত ক্ষমতা নিয়ে জন্মিয়েছিলাম। কিন্তু সেই জন্মেরও মৃত্যু ঘটেছে আমার আবার নতুন করে জন্ম হয়েছে। যে জন্মের পর তাসিময়া নামক ভালোবাসাময় নারীটা আমার নাগালের বাইরে চলে গেছে।
“একজন মানুষ জন্মের পর দুনিয়াতে বসবাস কালে তাঁর অসংখ্য বার মৃত্যু হয় অসংখ্য বার জন্ম হয়।
কিন্তু সেগুলো হয় নাম হীন জন্ম,মৃত্যু।
প্রতিটি মানুষের জন্মানোর খবড় এবং মৃত্যুবরণ করার খবড় একবার করেই ঘোষিত হয়। অথচ দুনিয়াতে বসবাস কালে তাঁর যে কতোবার জন্ম হয় কতোবার মৃত্যু ঘটে তা সকলের অজানাই রয়ে যায়”
চলবে।