অনুভূতিরা শীর্ষে 💗দ্বিতীয়ধাপ,পর্ব-১২,১৩

অনুভূতিরা শীর্ষে 💗দ্বিতীয়ধাপ,পর্ব-১২,১৩
লেখনিতে_সুমাইয়া ইসলাম মিম
পর্ব-১২
.
.
.
সাদাদ সুবাহ সন্ধ্যের দিকে সাদিয়ার বাসায় গেলো। সাদাদ সুবাহকে দেখে সাদিয়া একটা মলিন হাসি দিলো। সুবাহ সাদিয়াকে হালকাভাবে জড়িয়ে ধরে বললো,
–চিন্তা করে না ভাবী! ভাইয়া চলে আসবে। তাও তো এখন বউ বাচ্চার জন্য বলে যায় নয়তো আমাদের তো আগে বলেও যেতো না। তার কারণটা অবশ্য আমি! কান্নাকাটি করে সবাইকে অস্থির করে তুলতাম! এখন অভ্যেস হয়ে গেছে। ভাইয়া ফোন করে তো প্রতিদিন?

সাদিয়া হালকা হাসলো।
-তোরা বস! আমি হালকা নাস্তা নিয়ে আসি। খেতে খেতে গল্প করবো!

–মোটেই না। তোমাকে এই অবস্থায় কিছু করতে হবে না। আমি এই বাড়ির মেয়ে না! আমি নিজেই নিয়ে খেতে পারবো।
কথাটা বলেই সুবাহ রান্নাঘরে নাস্তা আনতে চলে গেলো। এদিকে সাদিয়াকে আলতো করে ধরে সাদাদ খাটে বসিয়ে নিজে মেঝেতে বসে সাদিয়ার কোলে মাথা রাখলো। সাদিয়াও হালকা হেসে তার ভাইয়ের মাথায় হাত বুলাতে শুরু করলো।
-কি হয়েছে আমার ভাইটার? মনটা ভালো?
–দি! কেনো যেনো খুব ভালো অনুভূত হচ্ছে। ভালো লাগছে।

সাদিয়া আবার হাসলো। তারও ভালো লাগছে সাদাদকে খুশি দেখে।

–দি! সুবাহ প্রেগন্যান্ট!

সাদিয়া চমকে সাদাদের দিকে তাকালো।
-কনফার্ম?
–হুম! তুমি সত্যিই বলেছিলে, সুবাহ অনেক খুশি এই বেবীকে নিয়ে। একদম প্রাইমারী স্টেজ!

-আমি তোকে বলেছিলাম না সাদ!

–হুম।

তাদের কথার মাঝেই আগমন ঘটে সুবাহর। সাদিয়ার প্রায় পাঁচমাস প্রেগন্যান্সির। তবুও কেমন যেন নেতিয়ে পড়েছে মেয়েটা। আর এখন রুবায়েত এর অনুপস্থিতিতে আরো বেশি। রুবায়েত প্রতিদিনই তাকে ফোন দিয়ে খোঁজখবর রাখে। ভিডিও কল দিলেই সাদিয়া কেঁদে কেটে ভাসিয়ে ফেলে।

–ভুল টাইমে এন্ট্রি নিলাম না তো?

সাদিয়া হাত দেখিয়ে বললো,
-মার খাবি? আয় আমার কাছে!

সুবাহ হালকা হেসে সাদিয়া কাছে গেলো। নিচে বসতে নিলেই সাদিয়া সাদাদ দুজনেই একসাথে বলে উঠলো,
“নিচে না!”

সুবাহ হকচকিয়ে গেলো। অবাক চোখে তাকাতেই সাদিয়া তাকে টেনে নিজের পাশে বসালো। কিন্তু সুবাহর অস্বস্তি হচ্ছে বুঝতে পেরে সাদাদ নিজেও উঠে সাদিয়ার অন্যপাশে বসলো।

সাদিয়া সুবাহর পেটে আলতো করে হাত রেখে বললো,
-ইশ! এই বাবুটার পেটে নাকি আরেকটা বাবু আছে! ভাবতেই গা শিউরে ওঠে!

সুবাহ লজ্জায় মাথানত করলো। সাদাদ বলেও দিয়েছে সাদিয়াকে।
-ইশ! দেখো! আবার লজ্জাও পায়!

–ধ্যাত!
সুবাহ সাদিয়াকে জড়িয়ে ধরলো আর এদিকে সাদিয়া সাদাদ দুজনেই হেসে দিলো।

.
অস্থির ভাবে নিজের রুমে পায়চারি করছে শিশির। যখন থেকে সে সুবাহকে দেখেছে তখন থেকেই এই অস্থিরতা। এ কি বিপদ? নাহ! এইভাবে তো আর থাকা যায় না। সে যদি সুবাহর প্রতি এতোটা দুর্বল হয়ে পড়ে তবে যে তিথিকে ধোকা দেওয়া হবে! মেয়েটা তার জন্য এতোটা বছর ধরে অপেক্ষা করছে। সেই ডাক্তারি জীবন থেকে শিশিরকে সে ভালোবাসে। শিশির জানে, তবুও এতোদিন তিথিকে সে কোন উত্তর দেয় নি। আর তিথিও যথেষ্ট বুদ্ধিমতী, সেও কখনো শিশিরকে জোর করে নি। কিন্তু অপেক্ষা করেছে, করছে। শিশির নিজের ফোনটা নিয়ে তিথিকে কল করলো।

এদিকে তাজরিন তিথি। শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। সে শিশিরের জুনিয়র ছিলো। পড়াশোনা চলাকালীনই শিশিরকে সে ভালোবাসে। সে শিশিরের উত্তর জানে না। জানে না তার ভালোবাসার শেষ পরিনতি কি তবুও সে অপেক্ষা করছে তার ভালোবাসার মানুষের। নিজের কেবিনে বসে সারাদিনের ক্লান্তির পর সে একটু সময় পেয়েছে, আর তখনই শিশিরের স্মৃতি মন ঝেঁকে উঠেছে। আর অপ্রত্যাশিতভাবে তার ফোনের স্ক্রিনে নামটাও উঠেছে শিশিরের। সে অবাক হলো। ঘড়িতে সময় বলছে রাত বারোটা ছুঁই ছুঁই। এইসময় শিশিরের ফোন। তার মনে পড়ে না শিশির শেষ কবে তাকে ফোন করেছে! কিন্তু সে ইনিয়েবিনিয়ে শিশিরের খোঁজ প্রতিদিনই রাখতো। হঠাৎ তিথি খেয়াল করলো অনুভূতির তাড়নায় তার হাত কাঁপছে। অজানা এক উত্তেজনা অনুভব করছে সে।

-হ্যালো!

-আসসালামু আলাইকুম! আমি তিথি বলছি!

-তিথি, আমি শিশির! তোমার মিস…

-আমার মিস্টার সিনিয়র!

শিশির চোখ বন্ধ করে হালকা হাসলো। নাহ! সে পেয়েছে! তার অনুভূতিগুলোর আসল মালিককে সে পেয়েছে।
-আমায় বিয়ে করবে তিথি?

.
রাগে গমগম করছে এক মানুষ। তার একটাই কারণ রাগের!

-সাদাদ রহমান সাদ! এই নামটা পৃথিবীতে আসার সাথে সাথেই আমার জীবনটা বিষিয়ে দিয়েছে! এতো সহজে তো আমি তাকে ছাড়বো না। ইলেকশনের জন্য তাকে মারতেও পাড়ছি না। তাই তো বারবার আমাদের টোপ হিসেবে সুবাহ আর সাদিয়া চলে আসে। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। কতবার বাঁচাবে বউ আর বোনকে?

বলেই বিশ্রী ভাবে হাসি দিলো সে।

(চলবে)..

অনুভূতিরা শীর্ষে 💗
দ্বিতীয়ধাপ
লেখনিতে_সুমাইয়া ইসলাম মিম
পর্ব-১৩
.
.
.
অনুভূতি! এমন এক জিনিস যা সবাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। যখনই এই অনুভূতি কোন নিষিদ্ধ ক্ষেত্রে চলে আসে ঠিক তখনই জন্ম নেয় ক্ষোভের, লালসার। বিষয়টা শিশির জানে তাই ক্ষণিকের ভালোলাগার অনুভূতির উপর চারটা জীবন কোনভাবেই নির্ভর করতে পারে না। সুবাহর প্রতি অনুভূতিকে সে ধামাচাপা দিয়ে আপন করে নিলো তিথিকে। সে জানে তিথির প্রতি তার অনুভূতি না থাকলেও তিথি তাকে প্রচন্ড ভালোবাসে। আর সেই ভালোবাসাকে প্রেক্ষি করেই সে বলতে পারে তার জীবনে আসার হলে তিথিই আসবে। হোক না তার প্রেমটা বিয়ের পরে। তবে সে চায় তিথির প্রতি তার অনুভূতিগুলো যেন থাকে একদম শীর্ষে যাতে করে সে চাইলেও আর এই অনুভূতি থেকে নিস্তার না পায়। তিথি তার প্রস্তাবে কিছুক্ষণ থম মেরে বসে ছিলো। তারপর ধীরেসুস্থে একটা কথাই বললো,
-বাড়িতে প্রস্তাব পাঠাও!

ব্যস শিশিরের কোন কথা না শুনেই সে ফোনটা কেটে দিলো। তিথির এমন আকস্মিক আচরণে শিশির হতভম্ব হয়ে রইলো কিছুক্ষণ! পরে হঠাৎই হেসে দিলো সে।

ওদিকে তিথি চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ জোরে জোরে শ্বাস নিলো। এ কি বলে দিলো সে শিশিরকে? শিশিরের মুখে বিয়ের কথা শুনে হঠাৎই হতবিহ্বল হয়ে পড়েছিলো সে। ছিঃ! কি ভাবছে শিশির তাকে? ভাবতেই লজ্জায় শেষ হয়ে যাচ্ছে তিথি! ইশ! কি লজ্জা! তিথি আবার ফোন দিলো শিশিরকে!

-হ্যালো?

-আস..লে মানে আমি ত..খন ভুলেভালে কথা বলে ফেলেছি! সরি!

-ভুলভাল কথা বলেছো? তবে কি তোমার বাসায় প্রস্তাব পাঠাবো না?

-না না! আমি তা বলি নি!

-তারমানে বাসায় প্রস্তাব পাঠাবো?

-আমি ওভাবেও বলি নি!

শিশিরের কথার জালে ফেঁসে গেলো তিথি। কি বলতে কি বলছে তার নিজেরই কোন হুশ নেই। শিশির বুঝতে পেরে বললো,
-এবার না করলেও শুনবো না! আজ বুধবার! আগামী শুক্রবার রেডি থেকো। হয়তো একেবারেই আমার করে নিয়ে আসবো।

তিথি শিশিরের কথার পিঠে কিছু বলার মতো পেলো না। সে তো এখনো হা করে আছে। এ কি সেই শিশির? যে তিথির অনুভূতি বুঝেও না বুঝার ভান করে থাকতো?

.
সাদিয়ার বাসা থেকে আসার সময় রাস্তায় এক গ্যাঞ্জামে ফেঁসে গেলো সাদাদ আর সুবাহ। একা থাকলে হয়তো সাদাদ ভয় পেতো না। কিন্তু এখন সাথে সুবাহ আছে! তাই না চাইতেও তার মনে ভয় ঠুকেছে। গাড়ি থেকে বের হতে চাইলে সুবাহ তার হাত ধরে বলে,
–যেও না! আমার ভয় করছে!

–কিছু হবে না সুবাহ। আমি আছি তো! বের হয়ে দেখি কি সমস্যা!

–প্লিজ সাদাদ! তুমি যেও না। সত্যি ভয় পাচ্ছি!

সাদাদ সুবাহর হাতে হাত রেখে তাকে আশ্বাস দিলো। তারপর গাড়ি থেকে বের হতেই তাকে চারপাঁচজন মিলে ঘিরে ধরলো। সাদাদ কৌশলে তার ফোন দিয়ে কাউকে মেসেজ করে তারপর গাড়ি থেকে বের হয়! সে সেই লোকদের উদ্দেশ্য করে বলে,
–কি সমস্যা? রাস্তা আটকে ঝামেলা করছেন কেন আপনারা?

এক লোক সাদাদকে বললো,
-আপনার যে একটু আমাদের সাথে যেতে হচ্ছে বস!

–কেনো?

এরমধ্যে আরেকটা লোক বলে উঠলো,
-এতো কেনো ফেনোর উত্তার দিতে ফারবো না! যাইতে বইলছি যাইবেন! নাহইলে তুইলে নিয়া যাবো!

–গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টাও করিয়েন না! ভালো হবে না!

একজন গা জ্বালা হাসি দিয়ে ঠেস মেরে বলে,
-নিজে বাঁচে কি না তার কোন ঠিক নাই সে আইছে ভালো হবে কিনা দেখাইতে! হাহাহা!

সাদাদ বুদ্ধি করে সাইডে চাপলে লোকগুলো তাকে ঘেরাও করে সাইডে চেপে যায়। সে কথার ফাঁকে ইশারা দিতেই ড্রাইভার গাড়ি নিয়ে চলে যায়। এদিকে গাড়ির মধ্যে সুবাহ চেঁচামেচি শুরু করে দেয়।
–একি করছেন? গাড়ি থামান! সাদাদ রয়ে গেছে! সাদাদ!

সুবাহ কান্না করছে। এদিকে ড্রাইভার তাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলছে,
-ম্যাডাম! আমি স্যারের কথাতেই গাড়ি চালাচ্ছি! স্যার ঠিক এসে যাবে। আপনি টেনশন করিয়েন না।

–আপনি গাড়ি থামান! সাদাদকে ফেলে কিছুতেই যাবো না।

-সরি ম্যাডাম! স্যারের নির্দেশ আছে বাড়ি পৌঁছে তবেই গাড়ি থামবে। রাস্তায় যাই হোক না কেন গাড়ি থামাতে বারণ করেছেন উনি!

–সাদাদ!

সুবাহ কান্না করতে করতেই গাড়িতে শুয়ে পড়লো।

.
–ভালোয় ভালোয় বলছি! কি চান আপনারা? আমার পথ আটকেছেন কেন?

-কারণ…..ওই গাড়ি চলে যাচ্ছে ধর!

লোকটির চিৎকারে দলের অন্য সদস্যেরা হইহই করে সেদিকে ছুটতেই সাদাদ দিলো ভোঁ দৌড়! হঠাৎ একটা বাইক আসতেই সাদাদ তার পিছে উঠে পড়ে। এদিকে লোকগুলো সাদাদের দিকে তাকাতেই দেখে সাদাদ নেই। তাতের হইচই আরো বেড়ে গেলো। সাদাদ যাওয়ার আগে একবার লোকগুলোর দিকে তাকিয়ে দেখে চলে গেলো।

.
বাইক আর গাড়ি একসাথেই বাসায় পৌঁছালো। বাইক থেকে সাদাদ নেমে দেখে গাড়িতে সুবাহ অজ্ঞান হয়ে আছে। সে আতংকিত হয়ে সুবাহকে কোলে তুলে ঘরে এলো। সুবাহকে অজ্ঞান দেখে রুবাইয়া দৌড়ে এলো।

-কি হয়েছে সুবাহর? ভাইয়া কিছু বলছেন না কেনো?

–চিন্তা করো না রুবাইয়া! টেনশনে অজ্ঞান হয়ে গেছে। এক্ষুনি ঠিক হয়ে যাবে।

সাদাদ সুবাহকে রুমে শুইয়ে দিয়ে ফ্যামিলি ডাক্তারকে ফোন করে আসতে বলে।

ডাক্তার সুবাহকে চেক করে কিছু ভিটামিন আর স্যালাইন দিয়ে যায়। আর তাকে একজন ভালো গাইনি ডাক্তারের পরামর্শ নিতে বলে যেহেতু সে প্রেগন্যান্ট। সাদাদও কথায় সম্মতি দিয়ে সুবাহর পাশে বসে। সে একটা বিষয় নিয়ে চিন্তিত। যা ভাবছে তাই যদি হয় তবে উক্ত ব্যাক্তিকে খুব পস্তাতে হবে।

.
সুবাহর জ্ঞান ফিরতেই সাদাদকে ডেকে উঠলো। সাদাদ পাশেই ছিলো বিধেয় সে তাড়াতাড়ি সুবাহকে ধরে বলে,

–এই তো আমি! সুবাহ!

–সাদাদ! তুমি কই চলে গেছিলে?

–আমি তো তোমার সাথেই আসলাম কিন্তু তুমি অজ্ঞান হয়ে গেলে! আমি বাইকে করে তোমার সাথে করেই এসেছি।

–কিন্তু ওই লোকগুলো?

–আরে কিছু না। অন্য পার্টির লোক ছিলো। তুমি চিন্তা করো না। এমনি কথা বলে চলে এলাম। এবার তুমি ওঠো। খেয়ে ঔষধ নিতে হবে তোমার।

–তুমি খেয়েছো?

–নাহ! তোমার অপেক্ষায় ছিলাম। এখন একসঙ্গে খাবো, চলো।

–হুম!

.
সাদাদ সুবাহকে খাইয়ে দিচ্ছে। বেচারি স্যালাইন দেওয়ার জন্য হাতটা বলতে গেলে অবশ হয়ে আছে। এদিকে সুবাহর শ্বশুর ছেলে আর ছেলের বউকে দেখে তৃপ্তির হাসি দিলো। হঠাৎ মস্তিষ্কে পুরোনো স্মৃতির ভীড় জমলো। মিষ্টি মুহূর্ত মনে করে সে হালকা হাসলো। সবাইকে উদ্দেশ্য করে বললো,
-কালকে আমার ছোট ভাই আসছে, তোমাদের ছোটকু।

সবার আগে উচ্ছ্বাসের সাথে আরফান বলে উঠলো,
-ছোটকু আসছে! ইয়েস! এবার মজা দ্বিগুন হবে!

সবাই হাসলো। রুবাইয়া কৌতুহলের সাথে বললো,
-আরফান? উনি তো তোমার ছোট মামা হয় তো তুমি ছোটকু বলো কেন?

আরফান বলার আগেই সাদাদের বাবা বললো,
-সাদকে ছোট থেকে ছোটকু ডাকতে শুনে সেও ছোটকুই ডাক শিখেছে। কেউ আর বদলায়ও নি। কিন্তু আমাকে সে বড় মামা বলেই ডাকে।

সাদাদ অবশেষে মুখ খুললো,
–খুব ভালো হলো। অবশেষে তার বাড়ি ফেরার সময় হলো! রীতিও আসবে বাবা?

সাদাদের বাবা মুখ গোমড়া করে বললো,
-হ্যাঁ সাদ! রীতিও আসবে!

এদিকে সুবাহ কিছু না বুঝে হা করে রইলো! রুবাইয়া সুবাহ দুজনের জন্যই মানুষগুলো নতুন। তাই তারা চেষ্টা করেও কিছুই বুঝতে পারছে না। সুবাহর মাথায় একটাই কথা রীতিটা কে? হয়তো সাদাদের কোন কাজিন হবে!

এদিকে সাদাদের মনে চলছে সুবাহ রীতির মুখোমুখি হলে ঠিক কিভাবে রিয়েক্ট করবে! তা ভেবেই তার মুখটা পাংশুটে আকার ধারণ করলো।

(চলবে)..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here