Crush Villain,পর্ব ০৩
লাবিবা ওয়াহিদ
– আমার তো মন চাচ্ছে তোমায় চড় দিয়ে দিয়ে ফাটিয়ে ফেলি বেয়াদব মেয়ে! তোমাকে তো আমি দেখে নিবো। এই আয়াফকে চড় মেরেছো তুমি? জাস্ট ওয়েট এন্ড সি আমি কি করে তোমার লাইফ নরকে পরিণত করি ড্যামমম ইট!!(চিল্লিয়ে)
বলেই সেখান থেকে যেতে নিবে আমিও চরম রেগে তার পা ধরে টান দেই এবং সে নিজেও ফ্লোরে পরে যায় আর হিংস্র দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকায় যেনো এখনই আমায় কাচা গিলে খাবে। আমিও চরম রেগে বলি,”আপনি ঘোড়ার ডিম করবেন! নিজে মেয়েদের টিজ করেন আর আমাকে চড়!! আপনার হাত টা কি বেশি চলে যে কাল থেকে আমায় চড়ের উপ্রে চড় দিয়েই চলেছেন? আমি কি আপনার জিনিসপত্র বহন করার গাধা যে না বলে কয়ে চড় মারতে আসেন!”
– তোমার মতো মেয়েকে তো মেরে গুম করে দেয়া উচিত! আর কি বললে তুমি আমি মেয়েদের টিজ করেছি তো আমি কোন মেয়েকে টিজ করেছি বলো!(ধমক দিয়ে)
তার এমন ধমক যেনো কলিজা কেঁপে উঠে। এখন নিজেরই কেন জানি ভয় লাগা শুরু করেছে কিন্তু আমি তো যে-চে লাগতে যাইনি সে তো মেয়েটাকে… হ্যাঁ ওই মেয়েই এই আয়াফটার মুখোশ খুলে দিবে। ভাবতে ভাবতেই আশেপাশে তাকালাম। হ্যাঁ ওইতো সেই মেয়েটা যাকে এই আয়াফ টিজ করছিলো।
– ওয়েট আমি নিজেই না হয় দেখাচ্ছি।
বলেই উঠে মেয়েটার দিকে গেলাম। আয়াফ ততক্ষণে উঠে দাঁড়িয়ে নিজের প্যান্ট থেকে ধুলো ঝাড়তে শুরু করে। আমি মেয়েটাকে গিয়ে বলি,”আপু আপনাকে আয়াফ ভাইয়া টিজ করেছিলো না?”
মেয়েটা আমার কথায় হতভম্ব হয়ে যায়। কিছু বলতে নিলেই আমি তাকে থামিয়ে বলি,”কিছু হবে না আপু আজ আয়াফকে আমরা হাতেনাতে ধরবো।”
বলেই আপুটাকে টেনে আয়াফের সামনে আনি। আপুটা বারবার কিছু বলতে চাচ্ছিলো কিন্তু আমি বলতে দেইনি।
– দেখেন আপু ভয় পাবেন না উনি আপনার কিচ্ছু করতে পারবেন না আপনি শুধু বলুন এই আয়াফই আপনায় টিজ করেছিলো কিনা!
– এই মেয়ে তোমার মাথাটা কি খারাপ হয়ে গেছে? কে বলেছে তোমায় আয়াফ ভাইয়ের মতো পবিত্র একজন আমায় টিজ করেছে? আমায় তো আরেকজন টিজ করছিলো তার নাম মেয়বি নেহাল।
মেয়েটার কথায় আমি অবাক। ভয়ে ভয়ে একটা শুকনো ঢোক গিলে আয়াফের দিকে তাকালাম। আয়াফও কালো শার্ট আর সেই ছেলেটাও কালো শার্ট পরে ছিলো আর পেছন টা একদমই তার মতোই লাগছিলো। আয়াফ সেই ভয়ংকর ভাবেই তাকিয়ে আছে। তার চাহনী দেখে আমার যায় যায় অবস্থা! এখন কি করবো? অতিরিক্ত বুঝতে গিয়ে তো নিজেই ফেঁসে গেলাম হে আল্লাহ দড়ি ফেলো উঠে যাই। আয়াফ এক পা এগোতেই আমি ভয়ে উল্টো দিকে ফিরে দিলাম দৌড়! তবে যতোই হোক কালকের আর আজকের চড়টার শোধ তো নিতে পেরেছি এটাই অনেক হুহ! এদিকে আয়াফ রাগে বিড়বিড় করেই যাচ্ছে। তারপর সেই রাগি ভাবেই বলে,”কোন নেহাল তোমায় টিজ করেছে আমাকে জানিয়ে দিয়ো ব্রেক টাইমে!”
মেয়েটা ভয়ে থরথর করে কেঁপে বলে,”জজজজ্বী!”
আয়াফ একমুহূর্তও সেখানে না দাঁড়িয়ে হলরুমের দিকে চলে গেলো৷ রাগে যেনো আয়াফের সারা শরীরে, রক্তের শীরায় শীরায় আগুন জ্বলছে। এইটুকুনি একটা মেয়ে কিনা তাকে চড় মারলো নাকানিচুবানি খাওয়ালো? এর শোধ তো আয়াফ নিয়েই ছাড়বে!!
★
ছুটে ক্লাসে এসে হাঁপাতে লাগলাম বুকে হাত দিয়ে। জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছি। আমাকে এভাবে দৌড়ে আসতে দেখে মিথিলা পাশ থেকে বললো,”কি সানিয়া কি কুকাম করে ফিরেছো?”
বলেই হেসে দিলো মিথিলা।মেজাজ বিগড়ে গেলো আমার মিথিলার কথায় তবুও চুপ থাকলাম কিছু বললাম না কারণ কথায় কথা বাড়বে আর এই মিথিলা তো পুরোই অসভ্যের সর্দারীনি। এর সাথে তর্ক করা বোকামি ছাড়া কিছুই না। আমাকে চুপ থাকতে দেখে মিথিলা আবার ব্ললে,”কি কথা কেন বলছো না এর মানে সত্যি সত্যি-ই কিছু করেছো! এরকম থার্ডক্লাস মেয়ে আর কি-ই বা করতে পারে। কোন ক্ষেত থেকে যে উঠে আসে আর ভার্সিটিতে এসে আকাম কুকাম করে বেড়ায় ইয়াক!”
মেজাজ এতো খারাপ হয়ে আছে যে মেয়েটার চাপায় কয়েকপ্টা থাপ্রা দিতে মন চাচ্ছে। এই ছ্যাসড়াগুলা কই থেকে আসে আল্লাহ ভালো জানে। মিথিলা আবার বলা শুরু করে,”তাইতো আমার ক্রাশ এন্ড লাভকে গেছে প্রপোজাল দিতে হাহা! বেশ করেছে কাল চড় দিয়ে। আমি তো বেশ খুশি হয়েছি এভাবেই সবগুলো ছ্যাসড়া মেয়েকে থাপ্পড় দিতে পারতো আমাদের লাইন ক্লিয়ার হয়ে যেতো!”
আরেকটা মেয়ে হেসে হেসে বলে,”তুমি নিজেই নামকরা ছ্যাসড়া আবার আমাদের বলো হাহ! থাপ্পড় তো তুমি-ই প্রথমে খাবা আমরা নই!”
মিথিলা রেগে মেয়েটার দিকে ফিরে বলে,”জাস্ট শাট আপ! আমি যথেষ্ট ম্যাচিউর ওকে? এন্ড আমি লাভ হিম সো মাচ আর আমি তাকে ডিজার্ব করি নট ইউ অর আদার্স!”
মেয়েটা হেসে বলে,”ইয়েস হি ডোন্ট ডিজার্ব ইউ!”
আমি পিছে তাকিয়ে দেখি হ্যাঁ সেই মেয়েটা যাকে ওই নেহাল না ফেহাল টিজ করেছিলো। কিন্তু সে আমার ক্লাসে যে? তাহলে কি আপুটা আমাদেরই ক্লাসের?? আরও কিছুক্ষণ তর্কাতর্কি হয় আয়াফকে নিয়ে। রোজকার এই ঝগড়াঝাঁটি তাও ওই আয়াফকে নিয়ে আর ভালো লাগেনা। ওদের আলিজা এসে থামালো তারপর সানিয়া আমার পাশে এসে বসলো। আমি আলিজার দিকে না তাকিয়ে ওই আপু মানে মেয়েটাকে ডেকে বলি,”তুমি কি এই ক্লাসের?”
মেয়েটি হেসে বলে,”হুম আমি এই ক্লাসেরই কিছুদিন অসুস্থতার জন্য ছিলাম না তাই হয়তো দেখোনি।”
– তোমার নাম কি?
– সামিয়া রোজা আমার নাম।(মুচকি হেসে)
– ওয়াও তোমার নামটা তো বেশ সুন্দর।
– ধন্যবাদ আর তোমার নাম কি?
– সানিয়া ইবনাথ।
– ওওও তোমারও সুন্দর নাম আচ্ছা তুমি তখন আয়াফের সাথে কি করছিলে?
আয়াফের সাথে শুনে আলিজা অবাক হয়ে গেলো। আলিজা আমাকে বলে,”কিরে তুই আয়াফের সাথে ছিলি নাকি?”
আমি তার কথার কোনো জবাব দিলাম না মুখ ভার করে রইলাম। আলিজা টেনে তার দিকে ফিরিয়ে বলে,”দোস্ত প্লিজ এভাবে আর থাকিস না কথা বল! কেন আমাকে এভাবে ইগনোর করছিস আমি তো তোর কাছে ক্ষমা চেয়েছি তবুও কেন সানিয়া? প্লিজ এভাবে আমায় দূরে ঠেলে দিস না!”
– ওহ রিয়েলি তা তোকে ইগনোর কেন করবো না বলতে পারিস? তোর জন্য আমি এতোগুলো মানুষের সামনে অপমানিত হলাম চড় খেলাম কেন তখন দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করে বললি না চিঠিটা আমি তাকে দেইনি তুই দিয়েছিস! আমি কি কখনো তোর খারাপ চেয়েছি নাকি তোর বিপদে তোকে ফেলে চলে গিয়েছি উত্তর দে!
আলিজা অপরাধীর মতো মাথা নিচু করে ফেলে। আমি আর কিছু বললাম না। কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে রাগ কমানোর চেষ্টা করে বলি,”ঠিক আছে বাদ দে কি বলবি বল!”
আমার কথা শুনে আলিজার চোখে মুখে খুশির ঝলকানি দেখা গেলো। আমিও মুচকি হাসলাম। রোজা আমাদের দুইজনের দিকে তাকিয়ে বলে,”তোমরা দুজন কি বেস্টফ্রেন্ড?”
আলিজা আর আমি একসাথে মাথা নাড়াই।
★
– ভাই প্লিজ কুল হওয়ার চেষ্টা কর এভাবে আর কতো জিনিস আছাড় মারবি?(যাহির)
– তুই চুপ কর!! কি বলেছি বুঝিস নি? ওইটুকুন মেয়ে আজ আমার গায়ে হাত তুলেছে আমায় ল্যাঙ মেরে ফেলেছে কি করে ভাবলি আমি চুপ করে বসে থাকবো? নো ওয়ে আমি ওর হাত ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিবো! দুইদিনের মেয়ের এতো সাহস কই থেকে আসে!(হুংকার ছেড়ে)
আয়াফের এমন রাগ দেখে তার সব ফ্রেন্ড চুপসে আছে তার উপর একেকটা হুংকারে তো মনে হচ্ছে যেনো ঘুমন্ত হায়নাকে কেউ জাগিয়ে তুলেছে। নিশি আয়াফের হাত থেকে ফ্লাওয়ারভাস টা নিয়ে সাইডের একটা টেবিলে রেখে আয়াফকে শান্ত হতে বলে সোফায় নিয়ে বসালো।
– আয়াফ প্লিজ কুল। এভাবে জিনিসপত্রে রাগ কেন ঝাড়ছিস শুধু শুধু! রাগটা দমিয়ে রাখ আর ঠান্ডা মাথায় ভাব মেয়েটাকে কি করে শায়েস্তা করবি! এভাবে তো আর চলেনা তাইনা। রিলেক্স আয়াফ রিলেক্স।
আয়াফের মুখে কোনো শব্দ নেই। সে শুধু জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। রাগে আয়াফের কপালের কয়েকটা রগ স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে। চোখ মুখ আর চেহারা এতোটাই লাল হয়েছে যে আয়াফের দিকে তাকানো যাচ্ছে না। কোনো মানুষের মধ্যে এতো রাগ আসে কোথা থেকে তাই ভাবছে মানিশা। তিনয় তখনই হলরুমে এসে বলে,”আরে কই তোরা আজ প্লানিং করলাম সবাই মিলে স্পাইসি নুডুলস খাবো আর তোরা এখানে জট পাকিয়ে বসে আছিস? আরে আমি তো…..”
আর কিছু বলার আগেই যাহির তিনয়ের মুখ চেপে ফিসফিস করে বলে,”আরে ভাই চুপ কর ঘুমন্ত সিংহ জেগে গেছে, এরে আগে সামলা তারপর তোর খাওয়ার রেসিপি দিস আমাদের।”
বলেই ছেড়ে দিলো। তিনয় যাহিরের কথার মানে বুঝতে পেরে চুপ করে রইলো। আয়াফের মাথায় শয়তানি বুদ্ধি নাড়া দেয়। সে শয়তানি হাসি দিয়ে বলে,”নীল!”
– হ্যাঁ বল!
– স্পাইসি খেলা হবে।
– আব মানে?(ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে)
– মাই রিভেন্স ইজ স্টার্ট!
নীল বা বাকিরা কেউ কিছুই বুঝতে পারেনা আয়াফের কথায়। আয়াফ সকলকে এখানে থাকতে বলে চলে গেলো এক কাজে।
★
আলিজা আর আমি কথা বলতে বলতে আসছিলাম এমন সময়ই রোজা এসে বলে,”আরে সানিয়া যে শুনো আমাদের একটা কাজ এসেছে!”
– কাজ মানে? কিসের কাজ?
– আরে আজ দেখলা না ফিজিক্স স্যার কতোটা হার্ড একটা ম্যাথ দিয়েছে। ওইটার জন্য তো আর প্রাইভেট পড়িনা আর পড়লেও বুঝতাম না। এখন আমার ভাইয়া বলেছে সে করে দিবে তবে শর্ত আছে।
আমি খুশি হয়ে বলি,”সিরিয়াসলি! ওয়াও তোমার ভাইটা তো অনেক ভালো কিন্তু কিসের শর্ত গো?”
– আমি সঠিক জানিনা তবে বললো হলরুমের দিকে যেতে।
– ওহ তাহলে চলো ফ্রিতে ম্যাথ টা সলভ করে ফেলি!(দাঁত কেলিয়ে)
আমি ছোট থেকেই প্রাইভেট কোচিং পছন্দ করিনা। তাই জন্য আমার বাসায় টিচার রাখা হতো বাট এতো সাব্জেক্ট এখকার দুনিয়ার একজন টিচার পড়ায় না। তাই নাইন থেকেই আমার বিভিন্ন প্রাইভেটে দৌড়াদৌড়ি শুরু আর ইন্টারে এসে শেষ। এই কয়েকমাসে একবারের জন্যেও কোনো টিচারের কাছে যাইনি। এখন যেহেতু কোনো সিনিয়র করে দিবে তাহলে তো এটা এডভান্স চান্স আমার জন্য। এসব ভাবতে ভাবতেই হলরুমের দিকে গেলাম। হলরুমে গিয়ে দেখি আয়াফের সব ফ্রেন্ড একসাথে। আমি তাদের দেখে ভ্রু কুচকালাম। সব এক জট কেন এখনে কোনো মতলব আছে নাকি? কে জানে, যাইহোক সেসব ভেবে কাজ নেই আপাতত আমার ম্যাথ টা হলেই হবে। রোজা বললো সোফায় এসে বসতে আমিও মুচকি হেসে গিয়ে বসলাম আর আমার পাশে রোজা আর আলিজা। তবে একটা বিষয় খেয়াল করলাম হলে অনেক কাচের জিনিস ভেঙে এদিক সেদিক পরে আছে। মানিশা ফিসফিসিয়ে নিশিকে বলে,”এরা আমাদের এখানে কি করছে রে?”
– জানিনা দেখিস না রোজা এসেছে মনে তো হচ্ছে এরা তার বান্ধুবিরা। সে যাইহোক আপাতত চুপ থাক আয়াফ আসুক আয়াফ ভালো বুঝবে।।
মানিশা আর কথা বাড়ায় না। কিছুক্ষণ পর আয়াফ আসলো। আয়াফকে দেখে আমার চোখ চড়কগাছ! এই ভিলেইন টা এখানে কি করছে? আল্লাহ এখন কি হবে আমায় এসে মেরে ফেলবে না তো? যেভাবে চোখ রাঙিয়ে তাকাচ্ছে যেনো চোখ দিয়েই গিলে খাবে। আয়াফ আমার দিকে একবার রাগি চোখে তাকিয়ে রোজার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হাসে। রোজারও সেই একই হাসি। বুঝলাম না এদের এতো হাসি কই থেকে আসছে আর রোজার ভাইটা-ই বা কোথায় মরেছে? ওনার ম্যাথ করানো যতো দ্রুত শেষ হবে ততোই তো আমি নিস্তার পাই।
—
আমি মেয়েটার দিকে তাকিয়ে ভিলেইনি হাসি দিচ্ছি। নিশ্চয়ই আমার হাত থেকে পালানোর পরিকল্পনা করছে। কিন্তু এতোই কি সোজা মেয়ে আমার হাত থেকে রেহাই পাওয়া। আজ তোমার একদিন কি আমার ২দিন।
ভেবেই রোজার কাছে আসলাম৷ রোজা আমাকে দেখেই বলতে লাগে,”ভাইয়া তুমি বলেছিলে না আমায় ম্যাথ করাতে হেল্প করবা।”
– হুম বলেছিলাম তবে শর্ত আছে আগে এই রুম তোমরা ক্লিন করতে হেল্প করো!
—
আয়াফের কথা আমি হতবাক হয়ে উঠে দাঁড়াই এবং বলি,”আমাদের কি আপনার চাকর পেয়েছেন যে আপনি বলবেন আর আমরা নাচতে নাচতে আপনার হুকুম পালন করবো?”
– বাব্বাহ যে দুইদিন আগে আমাকে লাভ লেটার দেয় তার আবার এতো তেজ?
বলেই হাসতে থাকে সাথে তার বন্ধুরাও। আলিজা চোখ গরম করে নীলের দিকে তাকাতেই নীক হাসি থামিয়ে ফেলে। আর রোজা অবাক হয়ে একবার আমার দিকে তো আরেকবার আয়াফের দিকে তাকাচ্ছে। হয়তো বেচারী কিছুই বুঝতে পারেনি। আমি রেগে বলি,”আপনার মতো লেজ কাটা হনুমানকে আমি লাভ লেটার দিবো হা হা হাসালেন! আপনার থেকেও দিপু কাকিমার পোকাও ঢের ভালো!”
সানিয়ার কথায় মুহূর্তেই আয়াফের হাসি রাগে রূপান্তরিত হলো। রেগে বলে,”কি বললা তুমি?”
– কেন কানে শুনতে পাননা? আপনার কানের সামনে কি মাইকিং করে বলতে হবে যে “হেই লেজ কাটা বানর আপনে আমার যোগ্য নন!”
আয়াফ এবার চরম রেগে ধমক দিয়ে বলে,”ওই চুপপপ!!! ডেম ইট!! ফালতু থার্ড ক্লাস মেয়ে এতো সাহস কোথা থেকে আসে তোমার। এই আয়াফ জুরাইজকে এভাবে অপমান করার সাহস কোথায় পাও? হাউ ডেয়ার ইউউউউ!”..
আয়াফের ধমকে আমার কলিজা শুকিয়ে যাচ্ছে। বুঝতে পারছি রাগের মাথায় অতিরিক্ত বলে ফেলেছি কিন্তু আমাকে যে কাল চড় মেরেছে কোনো ভুল না করা সত্ত্বেও? তবুও যাইহোক বেশি বেশি উচিত হয়নি। আমার ক্রাশ টাযে এখন ভিলেইনে রূপান্তরিত হয়েছে। সানিয়া আজ তোর আর রক্ষা নেই। ভেবেই দু-একবার ঢোক গিলি।
চলবে!!!