Crush Villain,পর্ব ০৪

Crush Villain,পর্ব ০৪
লাবিবা ওয়াহিদ

আমি এসব ভাবতে ভাবতেই সকলের চোখে ফাঁকি দিয়ে পালালাম। আয়াফ আমায় জাস্ট ১সেন্টিমিটারের জন্য ধরতে পারলো না আর আমি বেচে যাই। আয়াফ দাঁতে দাঁত চেপে বলে,”ধ্যাতত! পালালো। যাইহোক দেখিনা কতোদিন পালিয়ে পালিয়ে বেড়ায়। আমিও তোমায় দেখে নিবো! বাই দ্যা ওয়ে মেয়েটার নাম কি?”

আয়াফ পিছে ফিরে রোজাকে বলে,”এই মেয়ের নাম কি?”

সবাই গোল গোল চোখ করে আয়াফের দিকে তাকালো। যার সাথে এতো টেক্কাটেক্কি তার নাম-ই জানে না? রোজা সব ছেড়ে বলে,”সানিয়া!”

– ওহ আচ্ছা। যাহির!

– হ্যাঁ বল।

– এদিকে আয়।

যাহির আয়াফের দিকে যেতেই আয়াফ ফিসফিসিয়ে কি জানি বললো। যাহির মাথা নাড়িয়ে তখনই চলে গেলো আর আয়াফ রোজার দিকে ফিরে বলে,”ফিজিক্স তোমাদের এস.আলী স্যার নেয় না?”

রোজা মাথা নাড়ায় আর আয়াফের ঠোঁটে সাথে সাথেই ভিলেইন মার্কা হাসি ফুটে উঠে। কেন জানি আয়াফের হাসিটা আলিজার দিলে আঘাত করলো। ছেলেটা যেমন সুন্দর তেমনই তার হাসি উফফফ!! আয়াফ গলা পরিষ্কার করে তাতেই আলিজার ধ্যান ভাঙে। আয়াফ বলে,”শোনো তোমাদের এই রুম সাফ করা লাগবে না কোনটা লাগবে আমি করে দিচ্ছি আর হ্যাঁ এই ম্যাথ যেনো তোমাদের ফ্রেন্ডের কাছে না যায় ওকে?”

আলিজা কি বলবে বুঝতে পারেনা যতোই হোক সানিয়া তার বেস্টফ্রেন্ড আর সে তো প্রাইভেটও পড়েনা। তাকে না দিলে কি হয়? আলিজার ভাবনার মাঝেই আয়াফ আলিজাকে উদ্দেশ্য করে বললো,”তুমি সানিয়ার ক্লোজ ফ্রেন্ড রাইট?”

আলিজা ইতস্তত হয়ে মাথা নাড়িয়ে “হ্যাঁ” জানায়। আয়াফ হাতে তুড়ি বাজিয়ে এক আঙুল আলিজার দিকে দিয়ে বলে,”ভুলেও দিবা না এই ম্যাথ সানিয়াকে। নইলে তো বুঝোই আমি কিরকম একবার যা বলি তা করেও ছাড়ি।”

আয়াফের এমন কঠিন কথায় আলিজা একটা শুকনো ঢোক গিললো তারপর উপায় না পেয়ে হ্যাঁ বলে দেয়। আয়াফ হেসে বলে,”গুড! এখন বলো কোনটা কোনটা সমস্যা আমি বুঝিয়ে দিচ্ছি।”

তারপর আয়াফ রোজাকে আর আলিজাকে তাদের ইম্পর্ট্যান্ট এন্ড হার্ড ম্যাথটা করে দিয়ে সুন্দর ভাবে বুঝিয়েও দিলো। দূর থেকে সব তামাশা দেখে চলেছে নীল, নিশি, মানিশা আর তিনয়। তিনয় নিলয়ের কানে ফিসফিসিয়ে বলে,”এইটা কিন্তু ঠিক না কখন থেকে দাঁড়িয়ে আছি পা তো ব্যথা হয়ে গেলো উফফ!!”

– কিছু করার নাই এভাবেই দাঁড়িয়ে থাক।

– আচ্ছা যাহিরটা গেলো কই বলতো আর দুইটায় মিলে কি ফিসফিস করে বললো?

নীল বিরক্তি নিয়ে বলে,”আমি কি নিজের কান তাদের কথার মাঝে ঢুকিয়ে আসছিলাম যে আমায় জিজ্ঞেস করছিস?”

– এমন করে বলছিস কেন আমি তো এমনেই….

– হইসে বেশি বকবক না করে চল এখান থেকে ভালো লাগছে না।

– হ্যাঁ নীল ঠিক বলেছে এখানে আর দাঁড়িয়ে থেকে কাজ নেই। মানিশা আর তিনয় চল তো কথা না বাড়িয়ে ধুর!

তারপর একে একে সবাই চলে গেলো সেখান থেকে।

আমি দৌড়ে ভার্সিটির বাইরে চলে এসেছি। উফফ আজ বড় বাচা বাচলাম নাহলে আমার অবস্থা তো খারাপ করে ফেলতো। বাই দ্যা ওয়ে আলিজা কই? আলিজা কি সেখানেই থেকে গেলো? থাক সমস্যা না রোজা তো আছে। আর আমি বাঘের খাচা থেকে যে বেরিয়ে আসতে পেরেছি এই অনেক।

ভেবেই নিশ্চিন্তে চলে গেলাম লাইব্রেরীর কাজ দেখতে। কিছুদিনের মাঝেই কাজ শেষ হয়ে যাবে। কিন্তু একটা রিক্সাও তো পাচ্ছি না যাবো কি করে? ধুর সব রিক্সা কি কোনো গর্তে আটকা পরেছে নাকি যে রিক্সার ছায়াও দূর-দূরান্তে দেখা যাচ্ছে না ধুর এক ঝামেলা। এখন এই চামড়া পুড়ানো রোদে দিয়ে হাটো, ধুর ধুর ভালো লাগে না।
ভেবেই একপ্রকার বিরক্তি নিয়ে হাঁটা শুরু করি।

বাসায়,,

ফ্রেশ হয়ে, খেয়ে-দেয়ে রুমে চলে আসলাম। কেন জানি বড্ড ক্লান্ত লাগছে। এমন সময়ই জোহান হাতে একটা তোয়াল এনে বলে,”কিরে আপু তুই এভাবে ঘামছিস কেন?”

আমি নিজের কপালে, গালে হাত দিয়ে দেখি সত্যি ঘামছি। উপরে না চলছে ফ্যান আর না চলছে এসি তাই হয়তো ঘেমে গেছি। আমি বললাম,”হ্যাঁ কিছুটা।”

জোহান তোয়ালটা এগিয়ে দিয়ে বলে,”নে মুছে ফেল মুখ বেশি ঘামলে ঠান্ডা লেগে যাবে।”

আমি ভ্রু কুচকে তাকালাম জোহানের দিকে। হঠাৎ আমার এতো কেয়ারিং কোথা থেকে উদয় হলো এই জোহাইন্নার! বেশ ক্লান্ত থাকায় আমি বেশি কিছু না ভেবেই জোহানের হাত থেকে তোয়ালটা নিয়ে মুখ মুছে ওর হাতে ধরিয়ে দিয়ে বলি,”বেলকনিতে মেলে দিয়ে যা তোয়ালটা ভেজা লাগছে। আর আমি ঘুমাবো!”

জোহান তোয়ালটা নিয়ে বেলকনির দিকে চলে গেলো। আমি জোহানের যাওয়ার দিকে অবাক হয়ে চেয়ে রইলাম। আজ সূর্য কোন দিকে উঠলো যে জোহান আমার কথামতো কাজ করছে? রেখেই রুম থেকে দিলো দৌড়। আমি বুঝলাম না এভাবে দৌড় দিলো কেন? যেই ঘুমাতে শুতে নিবো ওমনি আম্মুর চিৎকার।

– এই অসময়ে একদম ঘুমাবি না আছরের আযানের পর ঘুমানো ঠিক না জানিস না?

বিরক্ত হয়ে উঠে বসলাম এবং চোখ মুখ কুচকালাম। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখি ৫ঃ৪১ মিনিট, সন্ধ্যা হতে বেশ দেরি। কি করবো ভাবতে ভাবতেই ছাদে উঠে গেলাম। আমাদের বিল্ডিংটা ১৩তলার। সাধারণত আমার বাবা চাচারা মিলে এই বিল্ডিং টা করেছে। বিশাল বড় জায়গায় করার ফলে অনেকগুলো ফ্লাট ভাড়া দেয়া হয়েছে। চাচারা নিজেদের ফ্লাট ভাগ করেছে এবং আমরা সিস্টেম করে ৭ম-৮ম ফ্লোর নিয়েছি। আমাদের বাসার ভেতর থাকলে মনে হয় যেনো এটা একটা দোতলার বাংলো। অনেকক্ষণ ধরেই খেয়াল করছি কর্ণারে কিছু বাচ্চা আমার দিকে তাকিয়ে মুখ টিপে টিপে হাসছে। প্রথমে পাত্তা না দিলেও কিচ্ছুক্ষণ আগে আসা আন্টিটার হাসি দেখে বুঝলাম কিছু একটা হয়েছে। এখন তো দেখছি ছাদে যারা যারা আছে সবাই হাসছে। বুঝলাম না এভাবে হাসছে কেন সবাই আমি কি এখানে সার্কাস দেখাচ্ছি নাকি আজিব তোহ! দূরে দেখলাম জোহান পেটে হাত দিয়ে হাসছে। বুঝলাম কিছু একটা হয়েছে। ভেবে একটা বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করলাম,”এই পিচ্চিরা তোমরা এভাবে হাসছো কেন?”

পিচ্চি হিহি করে হাসতে হাসতে বলে,”আপু তুমি একগাদা সাদা রঙ মেখে রাখলে তো হাসবোই!”

আমার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ে কি বলছে কি এই পিচ্চি আমি আবার রঙ মাখবো মানে কি? চটজলদি ফোনের স্ক্রিনে তাকালাম এবং দেখলাম সত্যি-ই আমার মুখে সাদা কিছু লাগানো। মুখে হাত দিয়ে কিছুটা হাতে নিয়ে নাকের সামনে এনে চেক করলাম আসলেও আমার মুখে কি। পরে দেখি এটা রঙ! হায় আল্লাহ আমার মুখে রঙ আসলো কোথা থেকে? এক সেকেন্ড তখন তোয়ালটা ভেঁজা ভেঁজা লাগছিলো এর মানে কি…… জোহায়ায়ায়ায়ায়ান!! ভেবেই হিংস্রভাবে জোহানের দিকে তাকালাম। জোহান আমার চাহনিতে শিড়ি দিয়ে নিচের দিকে যেতে লাগলো আমিও তার পিছে দৌড় লাগাই। মাঝপথে আসতেই চাচীমার সাথে ধাক্কা খেলাম। চাচীমা পরে যেতে নিলেও নিজেকে সামলে নেয় এবং আমাকে বলে,”শিঁড়ি দিয়ে এভাবে কেউ নামে? দেখতে পাওনা কেউ উঠছে না নামছে? বুঝি না দিনে দিনে এমন উশৃংখল কেন হচ্ছো?”

চাচীর কথায় রেগে গেলেও নিজেকে সামলে বললাম,”সরি চাচী আমি আসলে দেখতে পাইনি।”

– তা মনে কি রঙ লাগসে যে এভাবে মুখে রঙ লাগিয়ে টইটই করে ঘুরে বেড়াচ্ছো?

আরে বেডি রে! এমনেই ইজ্জত পাংচুয়াল হয়ে গেছে আর ইনি আসছে জ্ঞান দিতে। নিজের ঘরের মাইয়াগুলার দিকে না তাকাইয়া আমারে এতো জ্ঞান দিতে আসে কেন এই বেডি ধুর! আসছে আগুনে ঘি ঢালতে যত্তোসব।

এভাবে ভাঙ্গা রেডিওর মতোন অনেকক্ষণ জ্ঞান দিয়ে তবেই ছাড়লো আমার শ্রাদ্ধেয় চাচীমা। এতোক্ষণে বাসায় ফিরে দেখি জোহান নাই। এর মানে বাইরে গেছে আমার হাত থেকে বাচতে। আমিও দেখে ছাড়বো কই যায় হালায়। আম্মু আমার মুখের হাল দেখে বলে,”এমা তোর এই অবস্থা কে করবো?”

আমি রেগে বলি,”সে তোমার ওই ডায়ন পোলা ছাড়া কে করবে?”

– ডায়ন টা আবার কি?

– ডাইনির মেল ভার্সন সে যাইহোক তোমার ছেলেকে যদি আজ কিছু না বলো তো বাবাকে সব বলে দিবো তারপর দেখিও তোমার আদরের ছেলের কি হাল হয়।

– কেন রে কি করে জোহান?

সাজেদ মাশরু(আমার বাবা) বাসায় ঢুকতে ঢুকতে বললো। বাবা আমার চেহারার হাল দেখে উত্তেজিত হয়ে বলে,”তোর মুখে এতো রঙ কোথা থেকে আসলো মা? কে করেছে এমন?”

– তোমার ছেলে।
বলেই হনহন করে রুমে এসে সোজা ওয়াশরুমে ঢুকে গেলাম।

আধঘন্টা ধরে চেষ্টা করছি এখনো অর্ধেক রঙও উঠাতে পারলাম না। মন চাচ্ছে কেঁদে বাথটাব ভরে ফেলি। উফফ কি জালা করছে অতিরিক্ত ডলার কারণে। কি করবো এখন এতো জ্বালা সহ্য হয়? বাসায় জ্বালায় ভাই আর ভার্সিটি জ্বালায় ওই ভিলেইন। হে খোদা আমারে উঠাইয়া নাও ভালো লাগে না এই প্যারাময় জীবন।

অনেকক্ষণ চেষ্টা করার পরেও পারলাম না পুরোটা উঠাতে। রাতে আম্মু আমার মুখে মলম লাগিয়ে দিচ্ছে আর ওইদিক দিয়ে বাবা জোহানকে বকেই চলেছে। জোহান মাথা নিচু করে চুপচাপ বকা হজম করছে। আমার এই সিন দেখতে ভিষণ ভালো লাগছে হিহি। এখন বুঝ বকার প্রকারভেদ। বকা খেতে খেতেই জোহান আমার পাশে এসে বসলো। বাবা কিছু না বলে নিজের ঘরে হনহন করে চলে গেলো। মাও চলে গেলেন খাবার দেখতে। আমি মুখ গোমড়া করে বলি,”রঙ মেশালি কেন?”

– ওইদিন তুই আমার ইজ্জত হরণ করতে চেয়েছিলি আর আজ আমি করে দিলাম।

– হারামি!!

বলেই কুশুন দিয়ে জোরে চাপড় দিলাম। জোহান হাসতে হাসতে দৌড়ে উপরে চলে গেলো। মন তো চাচ্ছে হারামিটার চুল গুলো সব টেনে ছিঁড়ে ফেলি আনারস একটা!

আয়াফ রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলো তখনই দূরে দেখলো নেহাল আর তার সাঙ্গপাঙ্গ দাঁড়িয়ে আড্ডা দিচ্ছে। আয়াফ তখনই গাড়ি ব্রেক কসলো আর রাগি দৃষ্টিতে ওদের দিকে তাকালো। নীল, যাহির, মানিশা সকলেই ছিলো আয়াফের সাথে হঠাৎ ব্রেক করায় যাহির বলে,”কিরে এভাবে থামালি কেন চল!”

আয়াফ কোন দিকে কান না দিয়ে গাড়ি থেকে নেমে গেলো। আয়াফের নেমে যাওয়া দেখে ওরাও নেমে গেলো আর আয়াফের পিছে পিছে যেতে লাগে। নেহাল হাসছিলো এমন সময়ই নেহালের কলার কেউ ধরায় সামনে তাকিয়ে দেখে আয়াফ। আয়াফকে দেখে নেহাল হেসে বলে,”অও আয়াফ হেই! হঠাৎ কি মনে করে?”

– তুই জানিস না? ভার্সিটি এসে র‍্যাগিং করছিস? মেয়েদের টিজ করছিস? নিজেকে কি পেয়েছিস তুই?এতো সাহস কই থেকে আসে তোর? ভার্সিটি কি তোর নিজের যে যা ইচ্ছা করবি?

নেহাল নিজের কলার ছাড়িয়ে আয়াফকে একটা ধাক্কা দিয়ে নিজের কলার ঠিক করতে করতে বলে,”আমি এমন করবোই সে যা ইচ্ছাই হোক না কেন? আমি যাকে ইচ্ছা যা ইচ্ছা করবো তাতে তোর কি ভাই? ভার্সিটি তোর বাপের এটা ঠিক কিন্তু তোর বাপেরও ক্ষমতা নাই আমায় কিছু বলার। আমি যা মন চায় করবো ওকে? আমার মতো হ্যান্ডসাম ছেলে দেখেও মেয়েরা আমার পিছে না তোর পিছে ঘুরে। তো আমি বুঝি সব দেখে চুপ করে থাকবো? এতো ইজি না, একজন একজন করে সকল মেয়ের সাথে মেলামেশা করবো এর বেশি কিছুও করবো দেখে নিস!”

আয়াফ তাচ্ছিল্যের সুরে বলে,”তোর আর আমার মধ্যে পার্থক্য কি জানিস? তুই শুধু ভোগ করতে চাস একে ওকে, সম্মান দিতে জানিস না কাউকে তাই তো কেউ তোকে দু’চোখে সহ্য করতে পারেনা!”

– জ্বী থ্যাংকস আমায় জ্ঞান দেয়ার জন্য আব আপনি আসতে পারেন আর হ্যাঁ, তোর প্রিয় জিনিসটারই অপেক্ষায় আছি!(শয়তানি হাসি দিয়ে)

আয়াফ রেগে নেহালকে মারতে যাবে তার আগেই মানিশা আয়াফকে থামিয়ে নেহালকে বলতে লাগে,”তোর মতো পাপী জাহান্নামেও জায়গা পাবে না মনে রাখিস!”

– কেন বাবু আবারও আমার খাদ্য হবে নাকি?

নেহালের এমন সব বিস্রী কথাবার্তা শুনে মানিশার ঘৃণায় বমি করতে মন চাইছে। নেহালের কথায় আয়াফ হুংকার দিয়ে উঠে আর নেহাল হাসতে থাকে। অনেক কষ্টে আয়াফকে গাড়িতে উঠায় নীলরা। তারপর নীক ড্রাইভিং সিটে বসে ড্রাইভ করে সেখান থেকে চলে যায়। নেহাল তখনো হাসতে থাকে। শেষে একটা শয়তানি হাসি দিয়ে বলে,”আয়াফ তুই আমার থেকে সবটা কেড়ে নিয়েছিস আমি শুধু অপেক্ষা করছি তোর প্রিয় জিনিসটা চিরতরে তোর কাছ থেকে ছিনিয়ে নিতে। পারলে এই নেহালকে আটকে দেখাস। নেহাল নিজের স্বার্থের জন্য সব করতে পারে সব!!”

চলবে!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here