কায়নাত,পর্বঃ৫

কায়নাত,পর্বঃ৫
লেখিকাঃ টিউলিপ রহমান

তাকে দেখে আমি একটু চমকে গেলাম। আরে! এ তো দেখি সেই ঝগড়াটে পাজি ছেলেটা! ওমা! একেবারে ছাদে এসে উঠেছে, কত্ত সাহস! নওরিন তাকে দেখে খুব আশ্চর্য হয়েছে। বলল

— ওয়াও! কি হ্যান্ডসাম একটা ছেলে ! দেখতেও বেশ সুন্দর। আমি জীবনেও এত হ্যান্ডসাম ছেলে দেখি নাই।
–হ্যান্ডসাম না ছাই। আস্ত একটা ঝগড়াটে ছেলে। (আমি)
–ওমা তুই উনাকে চিনিস নাকি?( নওরিন)
— না।
–তাহলে কিভাবে বুঝলি যে উনি ঝগড়াটে ?
–আমি জানি, এখন তুইও তর্ক করিস না !
–এত গুড লুকিং একটা ছেলে ঝগড়াটে হতেই পারেনা, অসম্ভব! দেখেছিস, কি সুন্দর সাদা ধবধবে একটা কাবলী সুট পড়েছে, তাতেও ওকে বেশ মানিয়েছে।তাই না?

এটা বলার সাথে সাথেই তিনি আমাদের দিকে তাকিয়ে একটু মুচকি হেসে দিলেন যেনো আমাদের কথাগুলো তিনি সবই শুনেছেন। কায়নাত মুখ ভেংচি দিয়ে নওরিন কে বলল
— চল তো এখন এখান থেকে! এসব আজেবাজে ঝগড়াটে ছেলে থেকে দুরে থাকবি, চল! ( ধমক দিয়ে )
–দোস্ত একটু থাকি না এখানে, প্লিজ ? চলনা, গিয়ে ওর সাথে একটু কথা বলি আসি?
— না, চলতো এখান থেকে এখনই, তা না হলে আমি আন্টিকে বলে দিবো।( আমি)
— ওহ! তুই না একদম রসকষ বিহীন একটা মানুষ।(নওরিন)
— ওটাই ভালো, ( বলে কায়নাত নওরিনের হাত ধরে টেনে নিয়ে যাচ্ছে)

ওরা দুইজন সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় ইবাদত ওদের দিকে তাকিয়ে আবারও হেসে দিল। এতে নওরিনের মনে যেনো ঈদ লেগে যাওয়ার মত খুশির উদ্রেক হলো। চারিদিকে একটু একটু অন্ধকার হচ্ছে আর তখন দেখলাম ঝগড়াটে ছেলেটা একটি ফানুসে আগুন ধরিয়ে ছেড়ে দিল। সাথে সাথে সবাই হাততালি দিতে থাকলো। খুব সুন্দর ধীরে ধীরে ফানুসটা উপরে উঠে গেল।আরাকটা ছিল, সেটা আমাদের দিকে দিয়ে বলছে
— এটা কি আপনারা উড়াতে চান?( ইবাদত)

নওরিন লাফ দিয়ে কাছে এগিয়ে গেলো,তারপর বলল
–দাওনা প্লিজ,আমি উড়াবো।

আমি নওরিনের কাজ দেখে একেবারে হতবাক। এই ছেলেকে দেখে ও তো একেবারে নির্লজ্জ হয়ে পরল। আমি ওর দিকে চোখ গরম করে তাকালাম। ও যেনো আমাকে পাত্তাই দিল না।আর ছেলেটা! সে একেবারে গুটিসুটি মেরে ওর পাশেই দাড়িয়ে আছে।এত মানুষের মাঝে মেয়েটা পুরো বেহাইয়ার মত ঐ পাজি ছেলেটার পিছে পড়েছে। আর ছেলে টাও যে কেমন, কোথায় ওকে পাত্তা না দিয়ে চলে যাবে তা না, একে বারে তার গায়ে পড়ে গেলো। রাগে আমার গা জ্বলে যাচ্ছে। তখনই খেয়াল করলাম পাশের বিল্ডিংয়ের ছাদে কতগুলো ছেলে উঠেছে। আমরা ছাদের যে পাশে আছি তারাও সে পাশে এসে দাড়িয়েছে। উফ! কি জঘন্য তাদের অঙ্গভঙ্গি। একে তো সিগারেট টানছে তার উপর মোবাইলে জোরে গান বাজাচ্ছে। এত সুন্দর পরিবেশটাই নোংরা করে দিল। আমাদের মধ্যে গার্জিয়ান বলতে আয়শা ভাবীই আছে। কিন্তু ছেলেরা তাকে নিয়েও দুষ্টামি করছে। নিজেদের কাছেই কেমন ঘৃনা লাগছে। ভাবী এসে বললেন

— এই ছেলেগুলো ভালো না। চলো, তাড়াতাড়ি বাসায় চলে যাই।

আর আমাদের ঝগড়াটে হিরোও তাদের দিকে এক নজর তাকালো। আমি নীল রঙের জামা পরেছিলাম। ঐ ফালতু ছেলে গুলোর মধ্যে একজন আমাকে দেখিয়ে বলছে

–ওই তোরা কিন্তু ঐ নীল মাল টারে ধারবি না। ঐ টা শুধু আমার। আহ! কি সুন্দর ফর্সা গায়ের রং! একে বারে দুধে ধোওয়া আলতা, ওয়াহ! সেরাম ফাইন একটা চিজ।

কথাগুলো স্পষ্ট শুনতে পেলাম। শুনেই আমার গা ঘিনঘিন করতে লাগলো। কি জঘন্য তার ভাষা। উনিও কথাগুলো শুনে তাদের দিকে তাকালেন। পিছন থেকে ঐ ফাজিল ছেলেগুলোর মধ্যে একজন বলছে

— আরে এতগুলা মাইয়ার মধ্যে এই হেংলা পোলাটা আবার কে? কোন এলাকার? আমাদের গলিতে তো এরে জীবনেও দেখিনি!( ১ম ছেলে)

–হালায় মনে হয় এলাকায় নতুন আইছে । সাইজ দিতে হইবো। ভাই আইছে অথচ এখনো একটাও সালাম ঠোকে নাই।( ২য় ছেলে)
তাদের মধ্যে অন্য একজন ছেলে বলছে
— আহারে করো কি? করো কি? ফানুস ব্যাথা পাইবো তো! ধীরে ধীরে আগুন লাগাও, আমরা তার বেদনা আর সহ্য করতে পারতেছি না তো!( ১ম ছেলে)

বলে হো হো করে হেসে দিল। পুরো পরিবেশটাই এই নোংরা ছেলেগুলো নষ্ট করে দিল। আমরা কোনো মতে ফানুসটা উড়িয়ে সেখান থেকে সরে অন্য পাশে চলে আসলাম। বাতাসটাও কেমন যেনো ভারি ভারি লাগছে। ভাবলাম উনাকে ফানুস উড়াতে উড়াতে দেখবো। কিসের কি! এই নোংরা ছেলেগুলোর কথাশুনে আমার এখন নীল রঙের উপরই ঘৃনা হচ্ছে। ছি! আর কখনো আমি নীল রং পরবো না। আমরা সবাই যখন ছাদের অন্য পাশে এসেছি তখন উনাকে খেয়াল করলাম না। ভেবেছি হয়তো উনিও আমাদের সাথে ছাদের এ পাশে এসেছে।কিন্তু এখন উনাকে দেখতে পারছি না। আমি উকি ঝুকি দিয়ে দেখছি কিন্তু না, উনাকে কোথাও দেখতে পেলাম না। সে কোথায় গেলো ? মনটাই খারাপ হয়ে গেল। নওরিন বলছে

–আল্লাহ! আমার জানুটা কই গেলো? নামটাও জানা হলো না! সে আমাকে এভাবে একা ফেলে যেতে পারলো!

বেহায়া মেয়েটা এগুলো বলে বলে আমার মাথাটাই ঝালাপালা করে ফেলল। কিন্তু ও যা বলছে ঠিকই বলছে।আসলে নামটাই জানা হলো না। যাই হোক তার একদম উচিত হয়নি আমাদের এভাবে একা ফেলে যাওয়া। আমরা আর সময় নষ্ট না করে নিচে নেমে এলাম।নওরিনের বাসা একটা বিল্ডিং পর, ও চলে যাবে আর তখন কোথা থেকে যেনো উনি আসলো। উনাকে দেখেই আমার মনে হচ্ছিলো খুশিতে আমি আত্নহারা হয়ে যাই কিন্তু নিজেকে অনেক কষ্টে করে সংযত রাখলাম। উনি বলছেন

— আপনি একা যেতে পারবেন?

এটা শুনেই নওরিন মাথা ঘুরে পড়ে যাচ্ছিল। আমি নওরিনকে ধরলাম আর ও আমার কানে কানে ও বলছে

–দোস্ত কাম সেরেছে, এই ছেলে মনে হয় আমার প্রেমে পড়েছে। দেখলি, আমার বাসা চেনার জন্য বলছে বাড়িতে একা যেতে পারবো নাকি। আল্লাহ আমার দুয়া কবুল করেছে রে। আমাকে সুন্দর একটা বর দিয়েছে!

আমিও ওকে ফিসফিস করে বলছি
— তুই আল্লাহর কাছে খালি বরই চাইতিস আর কিছু না?

–না রে দোস্ত, খালি দরুদ শরীফ পড়ে পড়ে বলতাম আমি দেখতে কালো তাই আল্লাহ যেনো আমাকে একটা সুন্দর ধলা বর দেয়। দিয়ে দিল। কি যে ভালো লাগছে তোকে বলে বোঝাতে পারবো না।( নওরিন)

— এই জন্যই বলি তুই খালি পরীক্ষায় ফেল করিস কেন! তার রহস্য হলো এই।আল্লাহর কাছে খালি বর ই প্রার্থনা করিস আর পড়াশোনা গোল্লায় যাক! তাই না?(আমি )
— হ্যাঁ রে দোস্ত, জামাই ছাড়া আর কিছু আছে নাকি দুনিয়ায়!( নওরিন)

উনি দাড়িয়ে দাড়িয়ে মুখে হাত দিয়ে মুচকি মুচকি হাসছেন। ছেলে টাও একটা বেয়াদব। কিভাবে যেনো সব কথা শুনে ফেলে। আমি নওরিন কে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিলাম। কারন ওর কথা শুনে আমার মেজাজ খারাপ হয়ে যাচ্ছে। এই রকম ছেচড়ার মত করে কেও! তারপর নওরিন আবার বলল

–না না, কি বলছেন, আমি একা একজন অসহায় নারী কিভাবে একা একা রাতে বাড়ি ফিরবো ? পথে যদি ঐ বাজে ছেলেগুলো আমাকে আটকায়?? প্লিজ আমাকে একটু বাড়ি পৌঁছে দিন না! প্লিজ!( নওরিন)

— হ্যাঁ, হ্যাঁ অবশ্যই, চলুন।

অদ্ভুত! উনি আমাকে একা ফেলে চলে গেলেন?
আমাকে একটুও বলল না, যে “আপনাকে কি সিঁড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিবো? ” আমি কি মানুষটা এতই খারাপ! আমার সাথে শুধু শুধু ঝগড়া করে আর নওরিন এর সাথে কি সুন্দর করে কথা বলে! আবার ওর বাড়ি পর্যন্তও পৌঁছে দিচ্ছে ! আমি কি এতই খারাপ ! আমাকে সিঁড়িতে এভাবে একা রেখে ওরা চলে যেতে পারলো!

আমি ধীরে ধীরে বাসার দরজা নক করলাম। মা দরজা খুলে বলল

–কিরে ফানুস উড়ানো শেষ?

আমি কোনো কথা বললাম না। হনহনিয়ে রুমে চলে গেলাম। বাবা টিভি দেখছেন।নিজের রুমের দরজা লাগিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়ালাম।নিজেকে কতক্ষণ আয়নার সামনে বসে বসে দেখলাম। নাহ! কিছুই বুঝি না। আমিই বোধহয় দেখতে খারাপ। তা না হলে আমার সাথে কি এমন করতো! মনটা খারাপ হয়ে গেল। রুমের লাইট বন্ধ করে শুয়ে রইলাম। তার নামটাও আমার জানা হলো না। দেখলাম জানালা দিয়ে ঘরে চাঁদের আলো এসে পৌঁছেছে, সঙ্গে ঠান্ডা হিমেল বাতাস।ঠান্ডা বাতাসটা যেনো আমার শরীরকে ছুয়ে গেল।এখন একটু একটু শীত পড়তে শুরু করেছে। ভাবলাম তাই হয়তো আমার শীত করছে।রুমটা হঠাৎ করেই কেমন বরফ ঠান্ডায় পরিনত হচ্ছে। আমি উঠে জানালার ছিটকিনি লাগাতে যাবো আর তখন আমার নাকে আবার সেই মনোমুগ্ধকর সুন্দর গন্ধ টা এসে লাগল। এমন একটা মনমাতানো গন্ধ, যেই সুগন্ধে আমি একেবারে পাগল হয়ে যাই।জানালার পর্দা ধরে আশেপাশে তাকিয়ে দেখলাম সে আছে কি না। কারণ এই গন্ধটা তার শরীরের গন্ধ। আশেপাশে চোখ বুলিয়ে নিলাম। নাহ, তাকে দেখার অযথা বিফল চেষ্টা চালাচ্ছি। কতক্ষণ খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে নিরাশ হয়ে জানালা আটকে দিলাম। কখন যে রাত এগারোটা বেজে গেল বলতে পারবো না। মা রাতের খাবারের জন্য ডাক দিল। কিন্তু আমার একদম খিদে নেই। তাও টেবিলে গিয়ে বসলাম।বাবা খেয়ে হয়তো শুয়ে পড়েছে। মা বলল
— কিরে কিছু কি হয়েছে? সেই কখন থেকেই দেখছি কেমন মনমরা হয়ে বসে আছিস? ছাদে তোকে কেও কিছু বলেছে?
–না মা কিছু হয় নি। এমনেই ভালো লাগছে না! মাথাটা খুব ধরেছে।( মাকে কিভাবে বলবো ঐ লোকটি আমার মন ভেঙ্গে টুকরো টুকরো করে নওরিনকে নিয়ে চলে গেছে!?
— মাথা তো ব্যাথা করবেই! যেভাবে হুমড়ি খেয়ে গল্পের বই পড়িস, সেভাবে যদি পড়ার বই পড়তিস তাহলে অনেক ভালো রেজাল্ট করতিস।
–মা! আমি বুঝি পড়াশোনা করি না?
— সারাদিনই দেখি হাতের মধ্যে গল্পের বই।ক্লাসের বই তুই কোন সময় পড়িস?

কিছু না বলেই খাবার থেকে উঠে যাচ্ছিলাম আর মা বলল
— কিরে উঠে যাচ্ছিস, ভাত খাবি না?
— না মা, খিদে নেই। বলেই রুমে চলে আসলাম।

আমার কি হলো জানি না। কিছুই ভালো লাগছে না।এত কিছুর মধ্যে ভুলেই গেলাম যে গতকাল রাতে আমি এই রুমেই একটা বড় সাপ দেখেছিলাম। আর বিকেলে অদৃশ্য কেও আমার নাম ধরে ডেকেছিল। কিন্তু উনাকে দেখে আমি এগুলো সব ভুলে গেলাম। কি মোহ আছে তার মধ্যে আমি জানি না, সবকিছু এক নিমিষেই অন্য রকম লাগছে । ঘটে যাওয়া সব ঘটনা চিন্তা করছিলাম কিন্তু কোনো কিছুই মিলাতে পারছিলাম না।একটু ভয়ও করছে। বারবার শুধু ফ্যান টা দেখছিলাম। আজ মা আর আমার সাথে ঘুমোয় নি। আমি একাই শুয়েছি আর শুয়ে শুয়ে আল্লাহ আল্লাহ করছি।ভয়ে চোখ বন্ধ করে রেখেছি। চোখ বন্ধ করতেই তার চেহারা টা একদম চোখের সামনে ভেসে উঠলো। কি মায়াবী তার চেহারা! কি মায়াবী তার চাহনী! মনের অজান্তেই ঠোঁটের কোনে হাসি ফুটে উঠল। আবোলতাবোল চিন্তা করতে করতেই কখন যেনো ঘুমিয়ে পড়েছি জানি না।ঘুমের মধ্যেই টের পেলাম সেই বিভৎস কন্ঠ টি আমার নাম ধরে ডাকলো

–কায়নাআআআআত ” বলে

চোখে রাজ্যের ঘুম থাকার কারনে চোখ মেলতে পারছিলাম না তবে আমি দিব্যি শুনতে পারলাম সেই ভয়ংকর কন্ঠ টি। আবার সেই পা টেনে টেনে হাঁটার শব্দ। শব্দ টা যেনো আমার পুরো রুমে বিচরণ করছে। আমি চোখ মেলার বিফল চেষ্টা করলাম কিন্তু পারলাম না। মনে হলো চোখ দুটো কেও আটকে রেখেছে। হাঁটার শব্দ টা একসময় আমার বিছানার কাছে এসে থামল। হঠাৎ তখনই আমি অনুভব করলাম শ্বাস নিতে পারছি না। বুকে অনেক চাপ অনুভব করলাম। মনে হচ্ছে একটা ভারী পাথর আমার বুকের উপর কেও রেখে দিয়েছে। হাত পা নড়াচড়া করারও খুব চেষ্টা করছি কিন্তু একটুও নড়তে পারছি না। চোখ মেলেও তাকাতে পারছি না। আমি বুঝতে পারছি না এটা কি স্বপ্ন দেখছি না এগুলো আমার সাথে সত্যি সত্যি ঘটছে! কিছুক্ষণ এই ভাবে কাটানোর পর বুঝতে পারলাম আমার পায়ে কেও স্পর্শ করছে ! মনে হচ্ছে লোমশ কিছু একটা আমার পায়ে ধীরে ধীরে হাত বুলিয়ে দিচ্ছেছ। আমার বুকটা ভয়ে ধড়ফড় করে উঠলো। স্পর্শ টা যেনো ধীরে ধীরে আমার পা থেকে শরীরের উপরে উঠে যাচ্ছে।মনে হচ্ছে আমি জেগে আছি, সব বুঝতে পারছি কিন্তু চোখ মেলে তাকানোর মত শক্তি যেনো আমার নেই। ভয়ে ঐ অবস্থায়ই আমার গলা শুকিয়ে গিয়েছে। মনে মনে ধরেই নিলাম আজ বোধহয় আমি মরেই যাবো। কেও আমাকে বাঁচা‌তে আসবে না। তখনই আমার গলাটা কেও শক্ত করে চেপে ধরলো ।আমার দম বন্ধ হয় হয় অবস্থা। অনেক কষ্টে চোখটা মেলে দেখি আমার বুকের উপর একটা কালো লোমশ কিছু একটা বসে আছে যেটার চোখ গুলো লাল লাল এবং সেগুলো জ্বলছে। আমি নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে পারছি না। এসব ঘটনা আমি সব ভুতের গল্পের বইয়ে পড়েছি। বাস্তবে কি এগুলো সত্যিই ঘটে ? যদি ঘটেই থাকে তাহলে আমার সাথেই কেনো ঘটলো? নাকি বেশী বেশী গল্পের বই পড়ি তাই এগুলো আমার মস্তিস্কের খেলা! সেই মুহুর্তে আমার শরীরে যেনো কোনো বোধ শক্তি নেই। শুনতে পেলাম পাশ থেকে কেও একজন বলে উঠলো

–আই কায়া?কায়া??

( চলবে )

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here