স্বামী,০৬

স্বামী,০৬
Ariyan Shaiquat

কেউ আমার মুখে পানি ছেটাচ্ছে সাথে মাথা নষ্ট করা গন্ধ। বিরক্তির সাথে চোখ খুলে অবাক হয়ে গেলাম।

জাহান তার ২.৫ হাত লম্বা চুল নিয়ে আমার মুখের উপরে মুখ নিয়ে দারায় আছে। আর চুলের পানি এসে আমার মুখে পরছে, অবস্যই চুল ও ছিলো মুখের উপরে।

কিযে লাগছিলো? আমিতো একেবারেই ফিদা। আমি হা করে তাকায় আছি জাহানের দিকে।

আমি দুই দিক থেকে হাত উঠিয়ে জাহানকে টান দিয়ে আমার মুখের সামনে নিয়ে আসলাম। এনেই পাপ্পি দিলাম৷ সে আমার কাছ থেকে নিজেকে ছারিয়ে কিছুটা দূরে গিয়ে কমরে হাত দিয়ে রাগি লুক নিয়ে দারিয়ে গেলো।

তার পরে বললো,
— যাও আর তোমার গল্পের মতো করে তোমাকে ঘুম থেকে উঠাইতাম না।

বলেই চলে গেলো। আমি তার চলে যাওয়া দেখছিলাম না আমি দেখছিলাম তার লম্বা চুল গুলা।

সে চলে যাওয়ার পরে। ফ্রেশ হতে চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে এসে ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম একটু৷ ফেসবুকে ঢুকে কমেন্ট গুলা দেখছিলাম৷

হঠাৎ করে একটা কমেন্টে চোখ আটকায় গেলো,
কমেন্ট টা ছিলো,
” আগের স্রিতি গুলা মনে পরে গেলো। কারো সাথে গল্প নিয়ে কম্পিটিসন করতাম৷ কে আগে লাইক কমেন্ট করতে পারে”
দেখে একটু হাসলাম। কিন্তু এই ছেলেটি যতগুলা রিডার ছিলো সবার কমেন্টে রিপ্লাই দিছে। কেনো যেনো ভালো লাগলো না। তার রিপ্লাই গুলা তাই দিলাম ডিলেট করে।

আবার গল্প লিখিতে বসেগেলাম। কিছুক্ষন পরে জাহান আসলো,
— এইযে, আপনি কি খেতে যাবেন?
— হুম যাবো যফি তুমি আপনি ছেরে তুমি করে বলো তাহলে।
— আমিতো চেষ্টা করছি কিন্তু। আপনি না মানে তুমি কি ভাবো তাই বলে আর জিজ্ঞেস করি নাই।
— কি মনে করবো মানে?
— আচ্ছা বাদ দাও কি করছিলা?
— গল্প লিখছিলাম।
— মানে কি কখন থেকে শুরু করছো? আর আমাকে বলো নাই কেনো?
— আমি বলবো কেনো? তোমার কাছে মোবাইল আছে তাহলে নিজেই দেখে নিতা।
— ঐ তুমি চুপ করে বসো। খেতে যাবা না৷ আমি পড়ে শেষ করবো গল্প। তার পরে তুমি খাবা আর আমি দেখবো।
— এমন করছো কেনো? পরেওতো পড়তে পারো।
— না আমি এখনি পরবো। নাহলে ও,,,,,,,,

সাথে সাথে মুখ মলিন হয়ে গেলো জাহানের৷ আমি বুঝলাম যেহেতু গল্পের কথা হচ্ছে সুতরাং জাহানের মনে পরে গেছে মেঙ্গানিজের কথা।

আমি ল্যাপটপ রেখে উঠে পেছন থেকে তার কমর ধরে তাকে বললাম,
— কি হইছে?
— কিছু না। খেতে চলো।
— বলো,
— আমি আর ম্যাঙ্গানিজ কম্পিটিসন করতাম কে তোমার গল্প আগে পড়বে৷

আমি সাথে সাথে জাহানের কমোর ছেরে দিলাম আর এসে ল্যাপটপ নিয়ে সেই একাউন্ট টা খুজে নাম দেখলাম। একাউন্টের নাম ছিলো,,,,,,,,,,,,
[কোনো নাম মাথায় আসছে না]

আমার বুঝতে বাকি রইলো না। এটাই সেই ছেলে। এখন মাথায় হাজারো জিনিস ঘুরা ঘুরি করতে লাগলো। কিন্তু সব গুলার রেজাল্ট খুব বেশি খারাপ কিছু ছিলো যেটা মেঙ্গানিজ এর ক্ষেত্রে হবে।

জাহান জিজ্ঞেস করলো,
— খেতে যাবা না নাকি?
— তুমি গল্প পড় তার পরে যাবো।
— না খেতে চলো। আমি পড়বো না গল্প।
— ঐ তুমি এখন গল্প পড়। যা বলছি তা কর বেশি বুঝ কেন? আর পাস্ট নিয়ে ভাব্বা না। ও যা করছে করছে। সেটা নিয়ে পরে থাকলে চলবে? আর এদিকে তোমার ফেভারিট লেখক তোমার বর হইছে সেটা দেখো না?

জাহান একটু হেসে মোবাইল টা নিয়ে বসলো। আর আমি ঢুকলাম ঐ একাউন্টে৷ ভালো করে দেখলাম। সালায় রিকুয়েষ্ট পাঠায় মেসেজ দিয়ে রাখছে।

আমি সাথে সাথে রিপ্লাই দিলাম।
— সরি ভাইয়া আমি মেসেঞ্জার ইউস করতাম না। তাই আপনার মেসেজ দেখি নাই।

সাথে সাথে রিপ্লাই,
— আরে ভাই বেপার না। অনেক বড় ফ্যান আপনার।

আমি মেসেজ করছি আর রাগে মাথা ঘুরাচ্ছে। সাথে হাসিও পাচ্ছে। কারন মাথায় ঘুরছে আমি ওকে কি কি করবো? ওর ৪৬ পুরুষের নাম মনে পড়ে যাবে ওর।

এভাবেই কিছুক্ষন চাট করে খাতীর বারানো শুরু করলাম। খুব ভালোই হলো খাতির।
হঠাৎ ও বললো,
— ভাই দেখা করি চলেন। আমার খুব ইচ্ছা আপনাকে দেখার। করবেন দেখা?

আমি তার মেসেজ দেখে হাসছিলাম আর মনে মনে বলছিলাম,
— আহো ভাতিজা আহো, খেলা হবে।

To be Continue…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here