স্বামী,০৯ (শেষ)

স্বামী,০৯ (শেষ)
Ariyan Shaiquat

অনেক্ক্ষণ দৌড়ে তাকে ধরে যখন তার মুখ আমার দিকে ঘুরালাম। আমিতো পুরাই সকড। এতো জাহান,,,,,,

১০ মিনিট পরে।

— এখন বলো আসল সত্যটা কি?
চুপ করে আছে জাহান এখনো, তাই ধমকের সুরে বললাম,
— কি হিয়েছে বলো।
জাহান রিতিমতো কান্না করে দিলো৷ অত:পর বললো,
— আমাকে রেপ করা হয় নাই। রেপ করা হয়েছিলো আমার বড় বোন ঝুমকে।

কথাটা শুনে মনে হলো কেউ আমাকে ১০০ তলা থেকে ধাক্কা দিয়েছিলো আর এখন এসে সজোরে মাটিতে ধাক্কা খেলাম।

কিছুক্ষন থ হয়ে ছিলাম অত:পর জিজ্ঞেস করলাম,
— মানে তোমাকে রেপ করা হয় নাই৷ কিন্তু তোমার বড় বোনকে রেপ করা হয়েছে???

জাহান চোখ মুছতে মুছতে বললো,
— হ্যা। তার সাথেই তোমার বিয়ে হওয়ার কথা ছিলো। আপু যে রেপ হইছে এটা একমাত্র আমি জানতাম। কিন্তু কাউকে কিছু না বলে আপু সুইসাইড করে নেয়। এ ধাক্কা সামলাতে আব্বু আম্মুর ৩ বছর সময় লেগেছিলো। তার পরে আব্বু এসে একদিন বললো,”মা তুই কি নিতে পারবি তোর বনের যায়গা? করবি আরিয়ানকে বিয়ে।” আমি সেদিন সুধু মাথা নামিয়ে হ্যা সুচক ঈঙ্গিত দিয়েছিলাম। আর যা দেখেছিলাম তা দেখে সারা বিস্ব জয় করে ফেলেছি মনে হয়েছিলো। সেদিন আমি ৩ বছর পরে আব্বুর মুখে হাসি দেখেছিলাম৷ যদিও তোমাকে বিয়ে করার কোনো ইচ্ছে ছিলো না। আর ইচ্ছে ছিলো প্রেম করে বিয়ে করার। তবুও আব্বুর মুখের হাসি দেখে। তখন থেকেই তোমার প্রতি ভালোবাসা জন্মায়। আর আমি চাচ্ছিলাম প্রতিসোধ নিতে। সুতরাং সোজা হিসেব জীবনের পরিবর্তে জীবন।

আমি হা করে তাকায় আছি জাহানের দিকে।

কিছুক্ষন চুপ করে থেকে। চোখ মুছে আবার বলা শুরু করলো জাহান,

— জানো আপু যখন বাসায় আসে আমি ভেবেছিলাম তার পিরিয়ড শুরু হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষন পরে যখন সে কান্না সুরু করে দিলো আর আমি তার রুমে ঢুকে দেখলাম। তখন আমি আপুকে জরায় ধরি আর বলি। কেউ যাতে এই বেপারে কিচ্ছু না জানে। তার পরথেকে আমি তার জত্ন নিতে লাগলাম। কিভাবে যে আগলে রাখছিলাম আমি নিজেই জানি। কিন্তু আপু আর নিজেকে ক্ষমা করতে পারলো না। একদিন সকালে তার রুমে ঢুকে দেখি,,,,,,,,,,

আর কিছু বলতে পারলো না জাহান।
আর এই দিকে আমার অবস্তা টাইট কিভাবে কোত্থেকে কি হলো? আমার বিয়ে আরো ৩ বছর আগে ঠিক করা হয়েছিলো? আর আমি জানিনা কিছুই। এই সব কিছু এমন ঘুরাচ্ছে কেনো? আমি চোখে ঝাপসা কেনো দেখছি?

৮ ঘন্টা পরে।

চোখ খুলে দেখি হাস্পাতালের বেডে৷ আর জাহান আমার পাসে বসে আছে। আমি আমার একটা ওয়াদাও রাখতে পারলাম না। বলেছিলাম ওর চোখে পানি আসতে দিবো না।

জাহান হয়তো ঘুমিয়ে আছে তাই আমি তাকে না উঠিয়ে বাইরে যাবো বলে যেই দরজার সামনে গেছি সাথে সাথে জাহান আমাকে জরায় ধরছে। এবার কেমন যেনো একটা শান্তি অনুভব হলো নিজের মধ্যেই।

হয়তো এখন আমি জানি জাহানের যা ছিলো সবটুকুই আমাকে জুরে। আমি ছাড়া আর কেউ তাকে স্পর্স করেনি। ইত্যাদি। ঝুমের কথা বলছিনা কারন তার সাথে যে অপরাধ করেছিলো সে নিজের সাস্তি পেয়ে গেছে।

এখন মাথায় আসলো আরেক প্যারা। আমার বিয়ে ঝুমের সাথে কবে থেকে ফিক্সড করা আর কে করেছিলো। আমি জাহানকে ছারিয়ে জিজ্ঞেস করে বসলাম,

— এই ঝুমের বেপারে বললোতো কিভাবে কি আমার বিয়ে কার সাথে কেমনে?
— তুমি তোমার আব্বুরে জিজ্ঞেস কইরো৷

তার পরে কিছু করি নাই। বাসায় চলে আসি রিলিজ নিয়ে। বাসায় আসতে আসতে সকাল নয়টা।

বাসায় এসে আব্বুর কাছে চলে যাই। আব্বুরে জিজ্ঞেস করি,
— ঐ আমার বিয়ে কবে ফিক্সড করছিলা তুমি? আর কার সাথে?
কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলো আব্বু,
— হঠাৎ এই প্রশ্ন কেনো?
— যা জিজ্ঞেস করেছি উত্তর দাও না।
— আচ্ছা বলছি,
— হুম তারাতারি,
— তোর বিয়ে ঠিক করেছি তোর জন্মের আগে। তোর জন্ম কি আমার আর তোর মায়ের বিয়ে হওয়ার আগে। রানা মানে আমার বন্ধু। তোর রানা আংকেল এর মেয়ের সাথে তোর বিয়ে ঠিক করেছিলাম। আমরা একে অপরকে ওয়াদা করেছিলাম নিজেদের সন্তান্দের বিয়ে দেবো একজন আরেক জনের সাথে। তাই তোর আর জাহানের বিয়ে দিয়েছি।
— মানে কি জাহান রানা আংকেলের মেয়ে????
— হ্যা। তার না ২ টা মেয়েছিলো ঝুমুর আর জাহানারা।
— হ্যা। তোর বিয়ে ঝুমউরের সাথেই হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু কেনো যেনো হঠাৎ করেই মেয়েটা আত্মহত্যা করে বসে। আর তার পরেই তোর বিয়ে হয় জাহানারা অরূপে জাহান এর সাথে।

আর কিচ্ছু না বলে চুপ করে চলে আসলাম রুমে। রুমে এসে দেখি জাহান টাওয়াল জরিয়ে বসে আছে। আমি কিছুই বুঝলাম না। দরজা আটকাতেই জাহান এসে আমাকে বললো,

— ঐ জামা খুলো টাওয়াল পরো। আজকে এক সাথে গোসল করবো। আমার সব টুকু দিয়ে আজ থেকে ভালোবাসবো তোমায়।

সালায় আমার মাথা ঘুরাচ্ছে কোথাথেকে কি হলো আমার সাথে কিভাবে আর কেনো? আর ইনি আছেন তার রোমান্স নিয়ে। কিন্তু কথা হলো। আমি আটকিয়ে গেলাম। এইবারো তিল দেখেই। আমি জাহানের বুকে একটা তিল দেখে আটকিয়ে গেলাম।

কেমন জানি সব চিন্তা মাথা থেকে নেমে গেলো আর আমি জাহানকে বললাম,
— হ্যা আমিও রাজি আছে তবে তোমার সব কটা তিল আজকে দেখাতে হবে। নয়তো নতুন নতুন যায়গায় তিল দেখলে খালি আটকিয়ে যাই।
— আমার তো অমেক যায়গায় তিল আছে। সব দেখতে পারবা না।
— কেনো? তুমি আমার বউ। তোমার সব কিছুই আমার।
— হ্যা দেখবাতো তাইলে কমরের নিচের দিকে দেখো।

বলেই টাওয়াল খুলে ফেললো, বাকিটা ইতিহাস।

———- সমাপ্ত ———

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here