গুন্ডি গার্লফ্রেন্ড 💗,পর্ব :১
লেখক :সাইফুল ইসলাম
ভার্সিটির মাঠে বসে আড্ডা দিচ্ছি আমি, তামিম, আমিন,শাহাদত।
আমিন : দুস্ত একটা চিঠি লিখছি কারে দিমু।
তামিম : এখন যে মেয়ে গেট দিয়ে আসবে তাকেই দিব।
আমি : কিন্তু দিবে কে।
শাহাদত : আরিফে লিখছে, তো আরিফে দিবে।
আমিন : না মামা, আমার ভয় করে।
তামিম : তাহলে যে দিবে, তাকে ট্রিট দিমু তিন জনে।
আমি : আমি দিমু, দে চিঠি টা। আর কোন মাইয়ারে দিতে হইবে এটা বল।
আমিন : দেখি কে আসে আগে।
শাহাদত : ঐ দেখ মামা, একজন আসতেছে বোরকা পড়ে।
তামিম : এটাকেই দিয়ে আয়।
আমি : তোরা ট্রিটের ব্যবস্থা কর।
তারপর এগিয়ে গেলাম বোরকা পরা মেয়ের কাছে।
আমি : এইযে একটু দারানতো।
মেয়ে :(হেটেই চলছে)
আমি : এইযে বোরকা।
মেয়ে : জি আমাকে বলছেন?
আমি : জি আপনাকেই বলছি
মেয়ে : হ্যা বলোন।
আমি : এটা নেন।( চিঠিটা মেয়ের দিকে এগিয়ে দিয়ে)
মেয়ে : আমি এটা কেন নিবো।
আমি : আপনাকে দিয়েছি তাই নিবেন।
মেয়ে : আজবতো আমি এটা কেন নিবো।( রেগে বলল)
আমি : প্লিজ নেন।
মেয়ে : আচ্ছা দেন।
চিঠিটা দিলাম। মেয়েটি চিঠিটা খুলে পড়ল। পড়া শেষ হতেই
মেয়ে : ঠাসসসসসস,ঠাসসসসসস
আমার গালের উপর পরল দুইটা। আমিতো আবুল হয়ে দুগালে হাতদিয়ে দারিয়ে আছি।
মেয়ে : ফাজিল পুলা আমি পেত্নি তাইনা। আবার এসব লিখলে থাপ্পড় দিয়ে দাত ফেলে দিব।
বলেই মেয়েটা হন হন করে চলে গেল।
পেছনে তাকিয়ে দেখি হারামি বন্ধু গুলো হাসাহাসি করতেছে।
আমি তাদের কাছে গিয়ে বললাম।
আমি : মামা কিছুইত বুঝলাম না। কি লিখছত।
আমিন : চিঠিতে লিখছি “এই চিঠিটা যে পড়বে সে একটা ফাজিল মাইয়া, সে একটা পেত্নি।
”
আমি : কিহ তুরা আমার সাথে জেনে শুনে এমনটা করতে পারলি।
শাহাদত : আমরা কিছু যানিনা দুস্ত। তুই যাওয়ার পর আরিফ বলছে।
আমিন : দুস্ত আমি জাস্ট মজা করছি। এই মাইয়া যে এত কিছু করবে এটা বুঝতে পারি নাই।
তামিম : এই মাইয়ারে উচিত শিক্ষা দিবো।
আমিন : ঠিক বলছত।
আমি : তোদের কিছু করা লাগবো না, যা করার আমি করবো।
তারপর ক্লাসে এসেই দেখি এই বোরকা পড়া মাইয়া ক্লাসে। আমার বন্ধু মিলির পাশে বসে আছে। তারপর ক্লাসে স্যার আসে। ক্লাস করে মিলি কে ডেকে ক্লাসের বাহিরে নিয়ে আসলাম।
মিলি : কিরে তোর আবার কি হলো।
আমি : তোর পাশে যে মেয়েটি বসছে নাম কিরে।
মিলি : কেন পছন্দ হয়েছে নাকি।
আমি : তুই সব সময় এক লাইন বেশি বুঝিস। আর আমি পছন্দ করবো এই বজ্জাত মেয়ে কে।
মিলি : কেন কি হয়েছে।
আমি : (আগের সব ঘটনা বললাম)
মিলি : ওহ এই খবর। ওর নাম নীলা।গতকাল ভর্তি হয়েছে।
আমি : বাসা কোথায়।
মিলি : ভার্সিটির পাশেই।
আমি : ওহ। আচ্ছা ঠিক আছে
তারপর ক্লাস করে বাসায় এসেই ঘুম। বিকালে বন্ধুদের সাথে আড্ড দিয়ে রাতে বাসায় এসে। একটু পড়াশুনা কে ঘুমিয়ে গেলাম
আপনাদের তো পরিচয়ই দেওয়া হয়নি, আমি সাইফুল ইসলাম। এবার অনার্স ১ম বর্সে পড়ি। আর গুন্ডি মেয়েটি হচ্ছে নীলা। আমার সাথেই পড়ে।
পরের দিন সকালে ভার্সিটি যাচ্ছি রাস্তায় দেখি নীলা যাচ্ছে। আমার মাথায় শয়তানি বুদ্ধি আসল।
আমি নীলার পাশে গিয়ে বললাম
আমি : হায় গুন্ডি।
নীলা : (চমকে উঠে বলল)ফাজিল। কালকের থাপ্পড়ে হয়নি। আবার দিব?
আমি : গুন্ডিরাতো এটাই পারে।
বলেই দৌর। না হলে আবার থাপ্পর খেইতে হতো।তারপর ক্লাসে গিয়ে বসে আছি। স্যার আসার কিছুক্ষণ পর নীলা আসলো।এসে দেখে আমার পাশে ছাড়া আর কোথাও যায়গা নেই।তাই আমার পাশেই বসলো। আমিতো ভয়ে শেষ। যে গুন্ডি মেয়ে কখন কি করে বসে!
(চলবে)
ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন।