গুন্ডি গার্লফ্রেন্ড 💗,পর্ব :২

গুন্ডি গার্লফ্রেন্ড 💗,পর্ব :২
লেখক :সাইফুল ইসলাম

তারপরও নীলার পাশে বসে ক্লাস করলাম ভয়ে ভয়ে।

একটা জিনিস আমি খেয়াল করলাম নীলা রাগী হলেও পর্দাশীল।তাকে আমি দেখিনি।

বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিয়ে বাড়িতে আসলাম। খেয়ে একটু ফেসবুকে গেলাম কিছুক্ষণ পর আমিন কল করল।

আমিন : দুস্ত কই তুই।

আমি : বাড়িতে, কেন?

আমিন : মাঠে আয় খেলমো।

আমি : আচ্ছা আসতেছি।

তারপর মাঠে গিয়ে খেলে সন্ধায় বাসায় আসলাম। একটু পড়াশোনা করে খেয়ে দিলাম ঘুম।

সকালে ঘুম থেকে উঠে খেয়ে ভার্সিটি তে গেলাম। গেটদিয়ে প্রবেশ করতেছি পিছন থেকে তামিম ডাক দিল। পেছনে ফিরতেই খেলাম এক ধাক্কা। কোনো কিছু বুঝে উঠার আগেই।

:ঠাসসসসস।

আমি : অবাক হয়ে গালে হাতদিয়ে দারিয়ে আছি।

পরে দেখলাম নীলা আমাকে চর মেরেছে।

নীলা : দেখে চলতে পারিস না? অসভ্য কোথাকার।

আমি : আমি দেখেতো আপনাকে ধাক্কা দেই নি।

নীলা : চোখ কোথায় থাকে। ফালতো কোথাকার।

আমি :……………….

নীলা চলে গেল। আমি ভাবতেছি এত বদমেজাজি মানুষ কি করে হয়।

তারপর মাঠে এককোনে গিয়ে বসে থাকলাম। ক্লাস শুরু হতে আরো সময় বাকি আছে। বসে ভাবতেছি নীলা মেয়ে মানুষ বলে কিছু করি নি।আমার ভাবনার ছেদ ঘটালো নীলা। আমার সামনে এসে বলল।

নীলা : আমি সরি। ঐসময় আপনার সাথে এমন ব্যবহার করা ঠিক হয় নি।

আমি : হুম ঠিক আছে।

নীলা : আমাকে ক্ষমা করছেন তো।

আমি : হুম।

তারপর থেকে নীলার সাথে আমার কিছু একটা নিয়ে ঝগড়া থাকতোই।

নীলা ঝগড়াটে হলেও ভার্সিটির কেউ তাকে দেখেনি।

নীলার শুধু দুটি চোখছারা আর কিছু দেখিনি। কিন্তু নীলার চোখে চোখ পড়লে মনে হয় কোথাও হারিয়ে যাই। হরিণের মত টানা টানা দুটি চোখ।

একসময় নীলার চুখের প্রেমে পরে যাই। কিন্তু বলার সাহস নাই।

আমার বন্ধুরা এটা জানতে পারে।

বন্ধুরা সাহস দেয় যার কারণে একদিন সাহস করে নীলাকে প্রপোজ করার জন্য যাই। কিন্তু প্রপোজ করলে যদি থাপ্পর মারে মাত ইজ্জত পুরাই শেষ।

তাই পরের দিন ভার্সিটিতে এসে নীলার জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম।

তারপর নীলা আসে। আমি নীলাকে ডাক দেই।

আমি : এইয়ে আপনার সাথে কিছু কথা আছে আমার।

নীলা : কি কথা বলেন।

আমি : একটু ঐদিকে চলেন বলি।

নীলা : না এখানেই বলোন।

আমি : চলোন একটু।

নীলা : (একটু ভেবে)আচ্ছা ঠিক আছে।

তারপর একটা বাগানের কাছে গেলাম {যেখানে কোনো মানুষ নেই। বেঝেনইতো মানুষের সামনে থাপ্পর খেলে মান ইজ্জত শেষ।}

নীলা : কি বলবেন বলেন।

আমি : আসলে আপনি কি মনে করেন যানিনা। আমি আপনার চোখের প্রেমে পরে গেছি।

নীলা : পড়তেই পারেন।

আমি : আমি বলতে চাচ্ছি যে I love you. (চোখ বন্ধ করে বললাম থাপ্পরের ভয়ে)

কিছুক্ষন চোখ বন্ধ রাখার পর চোখ খোললাম। দেখি নীলা চলে গেছে।

আমিও চলে আসলাম কিন্তু কিছুই বুঝলাম না, কিছুই বললো না কেন।

আসছি পরেই বন্ধুরা শুরু করে দিয়েছে।

আরিফ : কিরে মামা হয়ে গেছে।

আমি : (ঘটনা বললাম)

শাহাদত : তো হয়ে যাবে দুস্ত।

আমি : মনে হয় নারে।

তারপর ক্লাস না করেই চলে আসলাম বাড়িতে।

পরদিন একটু আগেই চলে গেলাম ভার্সিটিতে। কিছুক্ষণ পর আমিন এসে বলল।

আমিন : সাইফুল মামা একটা কাজ করে দে।

আমি : কি কাজ বল।

আমিন : এই চিঠিটা এশা কে দিয়ে আসতে পারবি। (একটা চিঠি দিল বলল। আর এশা আমাদের সাথেই পড়ে। আমিন এশাকে পছন্দ করে)

আমি : এটা কোনো ব্যাপার হলো।

তারপর এশার কাছে গিয়ে বললাম।

আমি : এশা একটু শোনো।

এশা : হ্যা বলো ( এশার বাসা আমাদের বাসার পাশেই তাই পরিচিত)

আমি : এই নাও আরিফ তুমাকে এটা দিয়েছে।(চিঠিটা দিয়ে)

এশা : ওকে।

আমি : আচ্ছা আমি যাই।

এশা : ঠিক আছে।

তারপর আমিনের কাছে আসতেছিলাম। নীলা আমার কাছে এসেই।

নীলা : ঠাসসসসসস।

আমি : আবার কি করলাম। (করুণ কন্ঠে)

নীলা : কাল আমাকে প্রপোজ করে। আজ আবার অন্যটাকে————­——————–­————–(চলবে)

ভুলত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here