আলো-১,০২
রোকেয়া পপি
০১
আলোকে আইসক্রিম আনতে বলে মুবিনুর রহমান তার বাইকে বসে ফোনে কথা বলছিলেন। তিনি কথা বললেও চোখ ছিল মেয়ের দিকে। দোকানদার কে টাকা দিয়ে আইসক্রিম হাতে নিয়ে আলোকে ফিরে আসতেও দেখলেন তিনি। তারপর তিনি ফোনে কথা বলা শেষ করে পেছন ঘুরে দেখেন আলো নেই।
তিনি খুবই বিস্মিত হলেন। চারদিকে ভালো করে তাকালেন, দোকানে ও আবার তাকালেন।
না নেই, কোথাও আলোকে দেখা যাচ্ছে না। তার বুঝতে কয়েক সেকেন্ড সময় লাগলো তার কলিজার টুকরা আলো নেই।
তিনি বাইক থেকে নেমে পাগলের মত আলো আলো করে চিৎকার করলেন। দোকানে যেসব কাস্টমার কেনাকাটা করতে আসছিল, সবাই অবাক হয়ে দেখল উঁচা লম্বা একজন সুদর্শন পুরুষ পাগলের মত আলো আলো করে চিৎকার পাড়ছে।
তাকে দেখাচ্ছে পুরাই উদ্ভ্রান্তের মতো।
কেউ কোন প্রশ্ন করার আগেই তিনি সবার কাছে যেয়ে উদ্ভ্রান্তের মতো প্রশ্ন করা শুরু করলো, আপনারা আমার ছোট্ট বাচ্চা মেয়ে টাকে দেখেছেন?
তিনি হাত দিয়ে সাইজ ও দেখালেন, এই যে এতো টুকু। সাদা টপস আর লাল স্কাট পরা ছিল। একটু আগে দোকান থেকে আইসক্রিম হাতে নিয়ে আমার দিকে আসছিলো।
সবাই এর ওর মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে। তারা কেউ খেয়াল করেনি বিষয় টা।
দোকানদার ও এগিয়ে এলো। সে বললো, হ আমিই তো খুকু মনিরে আইসক্রিম দিলাম। কতো সুন্দর মাইয়াডা। এটোটুক সময়ের মধ্যে গেল কোই?
আপনারা এমন ভিড় না কইরা হগলতে একটু খুঁইজা দেখেন। যাইবো কোই।
সবাই মহা উৎসাহে ছোটাছুটি করে খোঁজা শুরু করলো।
মবিনুর রহমান মাথায় হাত দিয়ে রাস্তায় বসে পড়লেন। হাউমাউ করে চিৎকার করে কান্না শুরু করলেন। নিজের মাথার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলতে চাইছেন। কপাল চাপড়াতে চাপড়াতে বলছেন, আমি কেন ফোন নিয়ে ব্যাস্ত হলাম, কেন মেয়েটাকে একা ছাড়লাম।
মারে আমি তো বুঝতে পারিনি তুই এভাবে হারিয়ে যাবি। এখন আমি কোথায় খুঁজবো তোকে?
সবাই খোঁজাখুঁজি করে কোথাও পেলো না, মেয়েটিকে। অনেকেই পরামর্শ দিল থানায় জিডি করতে।
ওনাদের একজন সাথে করে স্থানীয় থানায় নিয়ে গিয়ে জিডি করালো। মবিনুর রহমান মোবাইল থেকে ছবি বের করে ছবি ও দেখালেন।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মবিনুর রহমানের পিঠে স্নেহের স্পর্শ বুলিয়ে বললেন, এভাবে মন খারাপ করে বসে না থেকে বাসায় ফিরে যান।
আমরা আমাদের দায়িত্ব যথাযথ ভাবে পালন করবো।
মবিনুর রহমান আবার শব্দ করে কেঁদে উঠলেন।
আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, আমি আমার মেয়েটাকে হারিয়ে ফেলেছি।
একটা জলজ্যান্ত মানুষ এভাবে দিনে দুপুরে চোখের সামনে নাই হয়ে যেতে পারে, সেটা কিভাবে সম্ভব!
বাসায় গিয়ে ওর মাকে আমি কি জবাব দিব?
ছুটি কাটাতে দেশে আসছিলাম। দুই দিন পর আমরা লন্ডন ফিরে যাবো। ওর মা বললো, যাওয়ার আগে মেয়েকে স্মৃতিসৌধ দেখায় আনো।
আমি ও ভাবলাম আবার কবে আসবো, দেশের বিশেষ বিশেষ জায়গা গুলো ঘুরিয়ে নিয়ে যাই।
দেশের প্রতি তাহলে ভালবাসা জন্মাবে।
আপনি বিশ্বাস করেন, দোকানের একদম সামনে বাইক থামিয়েছি। সেই মুহুর্তে ফোন আসলো, আমি কথা বলার ফাঁকে দেখলাম আলো আইসক্রিম হাতে ছোট ছোট পায়ে টুকটুক করে আসছে। তারপর আমি ফোনে এতো ব্যাস্ত হয়ে গেলাম, যে মেয়ে আমার বাইকে উঠছে কিনা খেয়াল নেই।
আমি বুঝতে পারছি মিস্টার মবিনুর রহমান।
আপনার কষ্টটা আমি অনুভব করতে পারছি। আমারো আপনার মতো এমন চার বছরের ফুটফুটে একটা মেয়ে আছে।
আমি কথা দিচ্ছি আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো আলোকে খুঁজে বের করতে।
এখন বাসায় যান ভাই।
আর সব পত্রিকায় ছবি সহ হারানো বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দেন।
দেখি কি করা যায়।
মবিনুর রহমান ডুকরে কেঁদে উঠলো, আমার মেয়েটা ভালো করে বাংলাও বলতে পারে না, দুই একটা কথা ছাড়া।
ও কিভাবে সবাইকে বলবে ওর ঠিকানা?
তাছাড়া ও তো এ দেশে থাকে না। কাউকে তো বুঝিয়ে বলতেও পারবে না নিজের ঠিকানা।
ওসি সাহেব ও চোখের পানি মুছে বললো, বাসায় যান। আমি চারদিকে অলরেডি সোর্স পাঠিয়ে দিয়েছি।
কোন খবর পাওয়ার সাথে সাথে আপনাকে জানানো হবে।
এদিকে আলো আইসক্রিম খেতে খেতে উল্টা দিকে মুখ করা আরেকটা বাইক ছিল সেটাতে উঠে বসেছে।
আর বসার সাথে সাথে মন্টু ও বাইক ছেড়ে দিয়েছে।
মন্টু অনেকক্ষণ ধরে সেখানে বাইক থামিয়ে ফোনে কথা বলছিলো। সে পকেটমার দলের প্রধান। সে যখন দেখলো ফুটফুটে একটা বাচ্চা কোন আইসক্রিম খেতে খেতে তার বাইকের পেছনে উঠে বসে একটা হাত দিয়ে কোমড় জড়িয়ে ধরেছে, সে আর এক সেকেন্ড সময় ও নষ্ট না করে বাইকে স্টার্ট দিয়ে ছুটিয়ে নিয়ে যেতে লাগলো।
সে খুব দ্রুত অলিতে গলিতে ঢুকে নিজের আস্তানায় চলে আসলো।
অপরিচিত একজন মানুষ বাইক থেকে নেমে আলোকে কোলে করে নামানো দেখে আলো যার পর নাই অবাক!
সে খুব অল্প বাংলা পারে। সে ইংরেজিতে খুব দ্রুত বললো, Who are you?
Where is my papa.
মন্টুর বাইক থামার শব্দে ছোট ছোট বাচ্চারা ভেতর থেকে ছুটে বের হয়ে আসলো।
তারা আলোকে দেখে বড়ো বড়ো চোখ করে দেখছে।
এখানে যেসব বাচ্চাদের মন্টু ধরে এনে পকেটমার বানায়, তারা সবাই পথ শিশু। কারো বাবা মায়ের কোন ঠিক নেই।
এরা এখানে কাজের বিনিময়ে পেট ভরে খেতে পারে, ভালো পোশাক পায়, এতেই মহাখুশি।
এরা এতো সুন্দর পরীর মত বাচ্চা দেখে অবাক বিস্ময়ে হতবাক।
মন্টু কখনো ভালো ঘরের বাচ্চা ধরে আনেনা। থানা হাজতের ভয়ে।
পথচারীদের খবর কেউ রাখে না। এদের নিয়ে নিশ্চিন্তে কাজ করা যায়।
আজকে নিজের থেকে আকাশের চাঁদ নেমে এসেছে তার ঘর আলোকিত করতে।
সে কি পারে এই চাঁদ কে ফেলে দিতে?
চলবে….
আলো-২
রোকেয়া পপি
মন্টু আলোকে নিয়ে পড়েছে মহা বিপাকে। এই মেয়ে কোন খাবারে হাত দিচ্ছে না। সারাদিন শুধু কান্নাকাটি করছে। কোন প্রশ্ন করলে কি কয় বিদেশীদের মতো, মন্টু তার মাথা মুন্ডু কিছুই বুঝে না।
সে যদি বুঝতো এই মেয়ে এনে তাকে এমন বিপদে পড়তে হবে, তাহলে সে কখনোই আনতো না। এতো গুলো বাচ্চা এখানে কাজ করে, কাউকে নিয়েই তার এতো সময় ব্যায় করতে হয়নি।
এই জন্যই সে ভদ্র ঘরের ছেলে মেয়েকে এই লাইনে কখনো আনে না।
এখন আলো হয়েছে তার গলার কাঁটা। না পারছে গিলতে, না পারছে ফেলতে।
এতো টুকু বাচ্চা, তার তেজ কতো। কালকে থেকে এখন পর্যন্ত কোন খাবার মুখে তুলেনি।
সে নিজের হাতে রুটি ছিঁড়ে একটু সবজি দিয়ে মুখের সামনে ধরলো, আলো ধাক্কা দিয়ে সেই খাবার ফেলে দিলো।
খাবার ফেলে দেওয়াতে মন্টুর রাগ মাথায় উঠে গেলো। সে কষিয়ে একটা থাপ্পর দিলো আলোর গালে।
আলোর ফর্সা গালে আঙ্গুলের ছাপ স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠলো।
আকস্মিক এমন ঘটনায় আলো হতভম্ব হয়ে জল টলমল চোখে চেয়ে রইল।
রহিমার মা ছুটে এসে আলোকে জড়িয়ে ধরলো। এতো টুকু বাচ্চার গায়ে হাত তুলতে তোর দিলে লাগে নারে মন্টু?
এমন পরীর লাহান বাচ্চার গায়ে তুই হাত দিলি ক্যামতে!
আইজ থিকা পরীর খাওয়ানোর দায়িত্ব আমার। তোর এইগুলান নিয়া ভাবতে হইবো না।
রহিমার মা দীর্ঘদিন ধরে মন্টুর সাথে কাজ করে।
তার দায়িত্ব রান্না করা আর বাচ্চাদের খেয়াল রাখা।
মন্টুর এখানে সে চাকরি করলেও, মন্টুকে সে তুই তোকারি করে।
আর অনেক বিশ্বস্ত জন্য, মন্টুও রহিমার মাকে বেশি ঘাটে না। সে যা বলে মেনে নেয়।
রহিমার মায়ের ধমক খেয়ে সে হনহন করে ঘর থেকে বেরিয়ে গেল।
পনেরো বছর পর।
মবিনুর রহমান রাস্তা পারাপারের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। তার আশেপাশে অনেক মানুষ তার মতো ট্রাফিক সিগন্যালের জন্য অপেক্ষা করছে।
মবিনুর রহমান দেখলেন তার পাশে দাঁড়ানো একটি রুপবতী মেয়ের হাত চেপে ধরেছে, একজন পথচারী।
বেশ হৈচৈ শুরু হয়ে গেছে। মেয়েটি খুব চেষ্টা করছে হাত ছাড়ানোর। মেয়েটির হাতে তার ম্যানিব্যাগ।
সে ভালো করে মেয়েটিকে দেখলো। জিন্স, টপস, আর সানগ্লাস পরা, পনি টেইল করে চুল বাঁধা।
বেশ স্মার্ট একটা মেয়ে।
চারপাশের সবাই ছুটে এসেছে, পকেটমার পকেটমার বলে। তাদের মারমুখী ভঙ্গি বলে দিচ্ছে এখন কি ঘটতে পারে।
মবিনুর রহমান সবাইকে হাত ইশারায় থামালেন। যে লোকটি ধরে ফেলেছে মেয়েটিকে, সে এখনো হাত শক্ত করে ধরে রেখেছে। যেনো ছেড়ে দিলেই পালিয়ে যাবে।
তিনি মেয়েটার হাত থেকে ম্যানিব্যাগটা কেড়ে নিয়ে মবিনুর রহমানের হাতে দিয়ে বললেন, এই নিন স্যার আপনার ম্যানিব্যাগ।
আপনি এই সুন্দরীকে বাঁচাতে চাইছেন, পাবলিকের হাত থেকে।
কিন্তু আমি এখানে না থাকলে এখন আপনার ম্যানিব্যাগ হাওয়া হয়ে যেতো।
এইসব মেয়েদের মেরে হাড়গোড় ভেঙে দেওয়া উচিত।
যেনো ভবিষ্যতে আর কারো ক্ষতি না করতে পারে।
মবিনুর রহমান বিনীতভাবে অনুরোধ করলো, আপনার কাছে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ, কারণ এই ম্যানিব্যাগে আমার অনেক জরুরী কাগজপত্র আছে।
বিশেষ করে পাসপোর্টটা হারালে আজ আমার অনেক বড়ো ক্ষতি হয়ে যেতো। সে ম্যানিব্যাগ থেকে নিজের একটা কার্ড বের করে দিলো। এই নিন আমার কার্ড। যদি কখনো প্রয়োজন মনে করেন, আমার সাথে দেখা করবেন।
কিন্তু তারপরও বলবো, আইন আপনারা নিজেদের হাতে তুলে নিবেন না।
তাছাড়া সে একজন মেয়ে।
মেয়েদের গায়ে হাত তোলাও এক ধরনের অপরাধ।
আপনারা পুলিশে খবর দিন।
পুলিশ এসে যা করার করবে।
উৎসাহি জনতার মধ্য থেকে কেউ একজন সাথে সাথে পুলিশকে ফোন করলো।
আলো বুঝতে পারছে এই লোকটার অনেক মায়া। সে মবিনুর রহমানের পায়ে পড়ে গেল। আমাকে ছেড়ে দিন প্লিজ। আজ সারাদিন কিছু খাইনি, তাই এমন কাজ করেছি। আর কখনো এমন কাজ করবো না। প্রমিজ।
মবিনুর রহমানের খুব মায়া লাগছে মেয়েটিকে দেখে।
মেয়েটিকে দেখে তার হারিয়ে যাওয়া মেয়ে আলোর মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠছে। তার আলোও হয়তো আজ এতো বড়ো হয়ে গেছে।
তার মনটা পিতৃসুলভ মমতায় ভরে উঠলো।
কিন্তু ততোক্ষণে পুলিশের গাড়ি চলে এসেছে। তার নিজের অনেক তাড়া আছে।
পুলিশের কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দিয়ে সে সেখান থেকে বিদায় নিলো।
সারাটা পথ তার মনটা খুব খারাপ হয়ে রইলো।
কতো সুন্দর দেখতে মেয়েটা, এই পথে কেন নামলো!
পোশাক আশাকেও বেশ স্মার্ট। দেখে তো বেশ ভালো ঘরের মেয়ে মনে হয়।
তার মনটা আবেগীয় হয়ে উঠলো। তিনি নিজের মনকে নিজেই শাষালেন।
আবেগ বায়বীয় ব্যাপার। ইহাতে যতো বাতাস লাগবে ততোই ফুলবে।
না এসব নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কাজ নেই।
তিনি যতোই মাথা না ঘামাতে চান, ততোই মেয়েটার নিস্পাপ চাহনি তার চোখের সামনে বার বার ভেসে ওঠে।
মন্টু দূর থেকে দাঁড়িয়ে সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছিলো। এতো গুলো বছর পর ও সে মবিনুর রহমান কে দেখে চিনে ফেললো, এটা আলোর বাবা।
তার মনের মধ্যে সবসময় এক ধরনের অপরাধ বোধ কাজ করতো আলোকে নিয়ে। ওর সুন্দর ভবিষ্যৎ টা নষ্ট করে দেওয়ার অপরাধে মনটা সবসময় খচখচ করতো।
সে সময় বেশ কিছু পেপারে আলোর হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছিল। মন্টু সেই পেপার যত্ন করে ট্রাংকে তুলে রেখেছে।
বেশ কয়েকবার সেই ঠিকানায় যেয়ে খোঁজ নিয়েছে।
কিন্তু দারোয়ান বলেছে, সাহেব দেশে নেই।
আজ আর সে সুযোগ হেলায় হারাতে চায় না। একিই ভুল আর করতে চায় না।
আলোর বাবা যদি তাকে পুলিশে দেয়, তো দিক।
তবুও সে বাবা মেয়ের মিল করিয়ে দিবে।
তাছাড়া রহিমার মা মারা যাওয়ার আগে তার কাছে কথা নিয়েছে, আলোকে যেনো তার পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
সে বাসায় এসে দ্রুত পেপার গুলো বের করে মবিনুর রহমানের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলো।
মন্টু যখন মবিনুর রহমানের বাসার সামনে আসলো, তখন দেখলো গাড়িতে লাগেজ তোলা হচ্ছে।
সে দারোয়ান কে জিজ্ঞেস করলো, স্যার কি কোথাও যাচ্ছেন?
জি উনি যাওয়া আসার মধ্যেই থাকেন।
আজ রাতে উনার ফ্লাইট।
আমি একটু তার সাথে কথা বলতে চাই। খুব জরুরী।
না না, এখন কথা বলা যাবে না।
স্যারের দেরি হয়ে যাবে।
মন্টু দেখলো, মবিনুর রহমান এবং তার স্ত্রী গাড়িতে উঠে বসলেন।
ড্রাইভার গাড়িতে স্টার্ট দিচ্ছে….
চলবে…..