অসম
পর্ব ৪,০৫,০৬
কলমে লিপিকা
০৪
রাত দশটায় সাদাত রুমে এল। বড্ড দেরি হয়ে গেল বলেই সাদাত এদিক ওদিক তাকিয়ে বেলকনির স্লাইড ডোরটা খোলা দেখে সেদিকে এগিয়ে গেল। ভাবলেশহীন ভাবে আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে নিতু। সাদাত নিতুকে পিছন থেকে জরিয়ে ধরে কানের কাছে মুখ নিয়ে বলল -সরি!
কোন উত্তর নেই। এমন কি একটি বার সাদাতের দিকে ফিরেও তাকালো না। সাদাত কান ধরে বলল- সরি!সরি!সরি! বলে নিতুর হাত ধরে টান দিল।
নিতু কয়েক পা পিছিয়ে গিয়ে বলল- এখানেই থাকব।
কি আরস্টতা ছিল এদুটি শব্দে সাদাত তা জানেনা। নিতুকে আর একটি বার জোর করলো না। রুমে ফিরে এসে ফ্রেশ না হয়েই শুয়ে পরলো। টেবিল ল্যাম্পের আলোটাও অসহ্য লাগছিল। হাত বারিয়ে বন্ধ করতে যাবে তখন টুংটুং করে কতগুলো ম্যাসেজ ঢোকার শব্দ এল নিতুর ফোন থেকে। সাদাত আর চোখে একবার তাকালো -“সরি” শব্দ ছাড়া আর কিছু লিখা নেই সেখানে।
রাতের হিসাব আজ কারো জানা নেই। তিনটি প্রাণ তিনটি জাগায় এক সহস্র উদভ্রান্ত সময় পার করছে। ভোরের আকাশের প্রথম সূর্যটা তিনজনই উপভোগ করলো এক বিষন্ন মন নিয়ে। সাদাতের নির্ঘুম চোখগুলো তখনও খুঁজছিল নিতুকে।
ছয়টায় নিতু রুমে এল। নিজেকে একটু গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে গেল। লবির ঠিক মাঝামাঝি দাঁড়িয়ে আছে অনুপম। কি উদ্ভ্রান্ত আর বিদ্ধস্থ লাগছিল। পরনের জামাটাও গতকালের।একদিকে ঝুলে আছেতো আরেক দিকে ইন করা। এলোমেলো চুলের সাথে ঐ রক্তরাঙ্গা চোখগুলো দিয়ে নিতুর দিকে একবার তাকিয়ে দু’হাতে মুখ ঢেকে সোফায় বসে পরলো। নিতু এক মগ কফি নিয়ে অনুপমের মুখমুখি বসল।হঠাৎ নিতুর মনের গহীন থেকে অস্ফুট ভাবে বেরিয়ে এল “কেন ভুলসময়ে ভুল করে ভালবাসলে আমায়?” আবার মনের গহীনে হারিয়ে গেল শব্দগুলো, অনুপমের কান পর্যন্ত পৌঁছাল না। দু চুমুক কফি খেয়ে অনুপমের দিকে এগিয়ে দিল মগটা। অনুপম যেন এ সময়টার জন্য ওয়েট করছিল। তড়িৎগতিতে মগটা লুফে নিয়ে ঢক্ ঢকঢক করে এক শ্বাসেপুরোটা শেষ করে নিল। নিতু যে পথে এসেছিল আবার সে পথে ফিরে গেল। অনুপম খেয়াল করলো ঠোঁট জীব জ্বলে গেলেও এক অদ্ভুত ভালো লাগা কাজ করছে। ঠোঁটের কোণে ভেসে উঠলো এক চিলতে হাসি আর মুখে বলল – ইয়েস!
নিতু রুমে এসে গুটিগুটি পায়ে সাদাতের কাছ ঘেঁষে শুয়ে পরলো। সাদাত পাশ ফিরে নিতুকে নিজের কাছে টেনে নিয়ে বুকের সাথে একেবারে মিশিয়ে নিল।কাঁধের কাছে মুখ ডুবিয়ে বলল- “কেন এমন করলে? তুমি জাননা তোমাকে ছাড়া ঘুমুতে পারিনা আমি। ” উত্তরের অপেক্ষা না করে নিতুর চুলগুলো কানের পাশে গুজে দিয়ে এলোমেলো চুমুতে ভরিয়ে দিতে লাগলো। একসময় সাদাতের ডান হাতটা চলে এল নিতুর পিঠে। নিতু হাতটা চেপে ধরে বলল- এখন না প্লিজ!
– ওকে! বলে আরও শক্ত করে জরিয়ে ধরলো সাদাত।
কাচের দেয়াল লাগোয়া টেবিলটাতে বসে আছে অনুপম আর নিতু।পরিপাটি সুন্দর শহরটাকে আজ আরও সুন্দর লাগছে অনুপমের কাছে।নিতু তাকিয়ে আছে কাঁচের দেয়াল ভেদ করে বাহিরে আর অনুপম দেখছে নিতুকে।
-কি দেখছ? নিতু বলল।
– তোমাকে, একটু থেমে অনুপম আবার বলল – নিতু!
-হুঁ
– ভালবাস আমায়!
– না
– কালকে আদর করলে যে!
– ওটাকে আদর বলে না।
– আমার কাছে ওটাই আদর।থেমে আবার বলল –I am waiting for the time when I’ll cause you to bath.
-You are dreamer.
-It’s my belief.
নিতু গভীর দৃষ্টি নিয়ে অনুপমের দিকে তাকিয়ে আবার বাইরে দৃষ্টি দিল।
আজ পঞ্চম দিন ব্যাংককে।দ্যা উইলিং হোটেলের ঠিক অপজিটের হেলনা বেঞ্চে বসে আছে নিতু আর সাদাত। পার্কটা ছোট কিন্তু সুন্দর। বিকেলের মিষ্টি বাতাস মিইয়ে পরা রোদ এ যেন এক অদ্ভুত ভূস্বর্গ। সদাত ডান হাতটা পিছন দিক থেকে ঘুরিয়ে এনে নিতুর ডান কাঁধে রাখলো।ভালবাসার স্পর্শ পেয়ে নিতুও তার মাথাটা আলতো করে সাদাতের কাঁধে এলিয়ে দিল।
আর তখনই টুং করে ম্যাসেজ এল নিতুর ফোনে “তুমি কি চাও আমি ঐ বুড় ভামটার সামনে এসে সিন ক্রিয়েট করি। মাথা তুল আর সরে বস।” আর চোখে ম্যাসেজ দেখে নিতু ফট করে উঠে দাড়িয়ে বলল – আমি রুমে যাব।
– কোন সমস্যা?
– নিতু রাগী চোখে তাকালো সাদাতের দিকে।
-না মানে আমাদের ডিনার করে যাবার কথা ছিল।
নিতু জবাব না দিয়ে হাটতে শুরু করলো।
ঘরের আবছায়া আলোয় মুখমুখি বসে আছে সাদাত আর নিতু।নিতুর চোখে জল আর সাদাত শীতল মুখ নিয়ে নিতুর দিকে তাকিয়ে আছে। একসময় নীরবতা ভেঙে আস্তে আস্তে নিতু বলল – সরি!
জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে সাদাত নিতুর দিকে তাকিয়ে বলল – সরি ফর হুয়াই?
– আমার আগেই বলা উচিৎ ছিল, But I can’t understand how to explain. বলেই কাঁদতে শুরু করলো।
-ওকে! রিল্যাক্স! প্লিজ!
সাদাত উঠে এসে নিতুকে জরিয়ে ধরলো। কপালের চুলগুলো নিতুর কানের পাশে গুজে দিতে দিতে বলল- তোমাকে কিছু বলতে হবে না। আমি সব জানি।
-তুমি জান? অবিশ্বাস্য চোখে তাকালো নিতু।
-হ্যাঁ জানি। তারপর একটু থেমে বলল অনুপমের বায়োগ্রাফি জান?
– ভ্যাগাবন্ড, আবার কি!
-না
-না মানে?
– ও হচ্ছে ডঃ জামান আর ডঃ সেতারার ছোট ছেলে ডঃ অনুপম চৌধুরী, কোলন ক্যানসার স্পেশালিষ্ট। ছয় মাস আগে ভিয়েনা থেকে এসেছে। নিতু!
– হুঁ
– ফরেস্ট লন্জে তোমার সাথে দেখা কিন্তু কোইনসিডেন্ট না।অনুপমকে দেখতে সেখানে গিয়েছিলাম।
– এখানেও নিশ্চয় বিজনেসের কাজে আসনি।
– না আসিনি।এসেছি তোমার সমস্যার সমাধান করতে। চল খেয়ে নিই। পেটে ইদূঁর বিড়াল দৌড়াচ্ছে।
অসম
পর্ব ৫
কলমে লিপিকা
খেতে বসে নিতু খাবার নাড়াচাড়া করে যাচ্ছে কিছুই মুখে দিচ্ছে না।সাদাত ব্যাপারটা খেয়াল করে বলল – বায়োগ্রাফি শুনে প্রেমে পড়ে গেলে নাকি!
কপট রাগ দেখালো নিতু।
সাদাত বলল- আমার কিন্তু বেশ লাগছে। এই বয়সে এসেও নিজের হাটুর বয়সি ছেলের মাথা ঘুরিয়ে দিচ্ছ।ওর প্রেম দেখে আমিও প্রেম রোগে আক্রান্ত হচ্ছি।
-মজা নিচ্ছ।
– তুমিও মজা নাও।এত সিরিয়াস হবার মতো কিছু হয়নি।আমি আবার ওত খারাপ ভিলেন না।
– কি করবে ওকে তুমি?
– যাই করিনা কেন খুণ নিশ্চয় করব না। নিতুর দিকে তাকিয়ে বলল – খাবারটা খাও ঠান্ডা হয়ে যাচ্ছে।
ফ্রেশ হয়ে এসে নিতু মিররের সামনে দাড়িয়ে হাতে লোশন দিচ্ছিল। সাদাত পেছন থেকে জরিয়ে ধরে বলল- Iooks so beautiful. আমি কিএই নাইটিটা আগে দেখেছি।
নিতু হেসে বলল -না—
– তোমাকে নেশা নেশা টাইপের সুন্দর লাগছে।
– এটা আবার কেমন সৌন্দর্য!
নিতুকে কোলে করে নিয়ে বিছানায় শুইয়ে দিয়ে সাদাত নিতুর চুলে নাক ডুবিয়ে বলল- তোমারও এমন হচ্ছে?
– যেমন!
– তোমার গায়ে আমি মহুয়ার নেশা পাচ্ছি। কি অদ্ভুত এই নেশা।সাঁতার কেটে ভালবাসতে ইচ্ছে করছে।
-কবি হয়ে গেলে নাকি!
– হুঁ,এখন সারারাত কবিতা লিখবো। গেট রেডি।
– সাদাত! আমি ঘুমাবো।
– মোটেই না। আমাকে নেশায় চুড়ঁ করে কেটে পরতে চাইছো,সেটা হবে না।
হাত বারিয়ে সাদাত টেবিল ল্যাম্পের আলোটা নিভিয়ে দিয়ে নিতুর ঠোঁট জোড়া নিজের দখলে নিয়ে নিল।সাদাতের হাত নেমে এলো নিতুর নিতম্বের কাছে। অন্ধকার ঘরের পাগল করা হাওয়ায় দুটি মধ্যবয়সি ভালবাসা বারবার স্নাত হচ্ছিল এক অবর্ণনীয় নেশায়।
দ্যা উইলিং হোটেল থেকে ১কিঃমি দূরে একটা ইন্ডিয়ান রেস্টুরেন্টে আছে “চালতে”। আর এখানেই আধঘন্টা যাবৎ ওয়েট করছে সাদাত।কিছুক্ষণ পর অনুপম এসে সাদাতের মুখমুখি বসলো।এদিক ওদিক তাকিয়ে হাসি খুশি ভাবটা উবে গেল। অনুপম বলল – ও আসেনি?
– বলেছিলাম আসতে, বাট উৎসাহ দেখাল না।মেন্যু কার্ডটা অনুপমের দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল – নাও অর্ডার কর।
–Your choice is my choice.
– Ok!সাদাত ওয়েটারকে ডেকে অর্ডার দিয়ে দিল।প্যান্টের পকেট থেকে একটা খাম বের করে অনুপমকে বলল-তোমার অফার লেটার।
– অফার লেটার? ভ্রু কুঞ্চিত করে বলল- আমি কি জব চেয়ছি? বুঝতে পারছি না।
-তুমি চাওনি but it’s necessary for me. এখানকার সেন্ট গ্রে হসপিটালে সেভেন ডেইজের মধ্যে জয়েন করবে।
– what do u mean by join করবে? আমার লাইফের ডিসিশন আপনি নেবার কে? প্রচন্ড রেগে অনুপম বলল।
– Cool! অনুপম Cool!
–মাথা ঝাকিয়ে বলল- ওকে! যদি জয়েন না করি।
– জয়েন তোমাকে করতেই হবে। বাই হুক অর বাই কুক।নড়েচড়ে বসে সাদাত আবার বলল- যে ব্যাক্তিত্বের প্রেমে তুমি পরেছো অনুপম আজ থেকে পঁচিশ বছর আগে আমিও ঠিক একই করণে নিতুকে ভালবেসেছি।হুট করে এসে তুমি আমার ভালবাসাকে কষ্ট দিবে, তার পারসোনালিটিতে আঘাত হানবে এটাতো আমি হতে দিতে পারি না।
– ব্যাংককে আসাটা একটা ফাঁদ ছিল তাইনা!
– তুমি স্বেচ্ছায় সে ফাঁদে পা দিয়েছো
-ওহ্ শীট! আমি জয়েন করবো না।দৃঢ় ভাবে বলল অনুপম
– তুমি জয়েন করবে এন্ড ভুল করেও বাংলাদেশে যাবার চেষ্টা করবে না, নিতুর সঙ্গে তো নয়ই কোন যোগাযোগ।
– আমি আপনার কথা কেন শুনব? চিৎকার করে বলল।
-কঠিন স্বরে সাদাত বলল- আমার কথা না শুনলে তোমার চোখের সামনে আমি নিতুকে শুট করব।সহ্য করতে পারবেতো।
কিছু সময়ের জন্য অনুপমের মাথা হ্যাং হয়ে গেল। হাত দিয়ে মুখ টা ঘসে নিয়ে বলল -আমি কি একবার ওর সঙ্গে দেখা করতে পারি!
সাদাত টেবিলে হাত রেখে সামনের দিকে ঝুঁকে বলল–Stop this story just now.
ওয়েটার এসে টেবিলে ডিনার সার্ভ করে দিয়ে গেল।
সাদাত বলল নাও শুরু কর
-Are u kidding me?
– আমি চাইলেই তোমার লাইফটা রিউন্ড করে দিতে পারতাম বাট আমি তা করিনি, করতেও চাই না।ঘড়ির দিকে তাকিয়ে উঠে পরলো সাদাত আর বলল Let me go now.অনুপমের পাশ দিয়ে যাবার সময় সাদাত অনুপমের পিঠ চাপরে বলল Enjoy ur life.সাদাত সামনের দিকে পা বাড়ালো আর অনুপম তখনও দু’হাতে মুখ ঢেকে বসে রইল।
চলবে
অসম
পর্ব ৬
কলমে লিপিকা
দশ বছর পর
সেন্ট গ্রে হসপিটালের 112no. রুমের সামনে বসে আছে নিতু।
উদাস দৃষ্টি। সামনে দিয়ে হাজার মানুষ চলাচল করলেও নিতুর চোখে শুধুই সাহারা। একজন ধবধবে ফর্সা নাক চ্যাপটা সিস্টার এসে বলল- You can visit now
–ওকে
শ্বেত শুভ্র বিছানায় শুয়ে আছে সাদাত। মুখে খোচাখোচা কাঁচা-পাকা দাড়ি চেহারাও অনেক ভেঙে গেছে। সাদাতকে দেখে নিতুর ভিতরটা হু হু করে উঠলো। সাদাত নিতুর দিকে তাকিয়ে একটি হাত বারিয়ে দিয়ে বলল – এস
বিছানার পাশে রাখা চেয়ারটায় বসে সাদাতের একটি হাত নিজের হাতের মুঠোয় নিয়ে নিল নিতু
– তোমাকে এমন দেখাচ্ছে কেন, সাদাত বলল
ম্লান হেসে নিতু বলল – আমি ঠিক আছি। তোমার এপয়েনমেন্ট কটায়
– ১১টায় বলেছে,নিতু
-হুঁ
– আমার ডাক্তার কে তুমি বুঝতে পারছো
– পারছি
-তোমার সঙ্গে দেখা হয়েছে
– নাহ্
১০.৩০ দিকে আবার একজন ধবধবে ফর্সা নাক চ্যাপটা সিস্টার হুইল চেয়ার নিয়ে রুমে এল। সাদাতের দিকে হাসি হাসি মুখ করে বলল -good morning,
সাদাত বলল – good morning
– I’m Merilina, how are you
-not so good
– ok,get up হুইল চেয়ার দেখিয়ে বলল- sit here
সাদাত বিছানা থেকে উঠে হুইল চেয়ারে গিয়ে বসলো আর মেরিলিনা চেয়ারটা ঠেলে ঠেলে নিয়ে যেতে লগলো। নিতুও ওদের পিছনে যাচ্ছে। কিছু সময় পর একটা বন্ধ দরজার সামনে এসে দাড়ালো।দরজার দিকে তাকালো নিতু যেখানে লিখা ” ডাঃ অনুপম চৌধুরী। ”
দরজা খুলে মেরিলিনা সাদাতকে নিয়ে ভিতরে চলে গেল আর নিতুকে বলল – only patient
তারপর আস্তে করে দরজা বন্ধ করে দিল।
অফিসিয়াল হাসি দিয়ে অনুপম সাদাতকে বলল- কেমন আছেন
অনুপম যেন দশ বছর ধরে এই সময়টার অপেক্ষায় ছিল। অন্তত সাদাতের তাই মনে হলো।নোংরা রিভেঞ্জ বলতে যা বোঝায়।নিজেকে সামলে নিয়ে সাদাত বলল – বুঝতেই পারছো কেমন থাকতে পারি।
-আপনার রিপোর্ট দেখেছি কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছি না আপনি এত দেরি করলেন কেন। আপনার মত বিচক্ষণ মানুষের কাছে এটা আশা করা যায় না।
-ন্যাচারাল রিভেঞ্জ বলে একটা কথা আছে হয়তো এটাই কারণ।
-আপনার কিছু টেস্ট করাব,টেস্টের রেজাল্টের উপর নির্ভর করবে আপনার ট্রিটমেন্ট।
-ওকে
-মিঃসাদাত আপনাকে কিছু কঠিন কথা বলব
-বল, আমি সব কিছুর জন্য তৈরি
সাদাত ভেবেছিল ওর সিকনেস সম্পর্কে কিছু বলবে কিন্তু অনুপম বলল সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা
– এই হসপিটালে আপনার যতগুলো সৈন্য সামন্ত আছে এই মুহূর্তে সবগুলোকে দেশে ফিরে যেতে বলবেন। একজনও যদি থাকে আমি আপনার ট্রিটমেন্ট করব না।
সাদাত ভ্রু কুঞ্চিত করে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করলো, তারপর হেসে বলল – ওরাতো তোমার প্রেমে কোন বাঁধা দিবে না।
– কিন্তু আপনাকে ইনফর্ম করবে।
অনুরোধের সুরে সাদাত বলল – একজন অন্তত থাক। এই বিদেশ বিভুইয়ে নিতুকে কে দেখবে
যথেষ্ট ক্রোধ নিয়ে অনুপম বলল -I will stop treatment when I realise there is one. সাদাতের দিকে ঝুঁকে আবার বলল -I’m enough for Nitu.So call them, just now.
চলবে