❤#আশিকী❤ #Madness_Of_Love,03,04

❤#আশিকী❤
#Madness_Of_Love,03,04
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_3

সানাহ খাবার শেষ করে বেশ কিছুক্ষন ওর মায়ের সাথে গল্প করলো। গল্পের মেইন টপিক ছিল আমাল। সানার আম্মু শুধু আমালকে নিয়ে বিভিন্ন কথা বলছিলেন। সানাহ বেশ বিরক্ত হলেও ওর মাকে কিছু বুঝতে দিল নাহ।

মাকে ঔষধ খাইয়ে সানাহ নিজের রুমে চলে আসলো। রুমে এসে যেন হাফ ছেড়ে বাচঁলো ও। আমালের নাম শুনতে শুনতে বেচারীর কান ঝালাপালা হয়ে গেছে।

সানাহঃ এই আমাল এক দিনে আমার মাকে নিজের বসে করে নিয়েছে। আল্লাহ,, আমার মাতো ওর নাম নিতে হয়রান‌ও হয় না। কি জাদু করেছে ও আমার আম্মুর উপর। যা ইচ্ছে করো কিন্তু আমি আর তোমাকে নিজের লাইফে আসতে দিব না আমাল। ( রেগে বিরবির করে)

সানাহ বিরবির করে আমালকে বকতে বকতে কাবার্ড থেকে নাইট ড্রেস বের করে ফ্রেশ হতে চলে গেল।

কিছুক্ষন পর সানাহ ফ্রেশ হয়ে এসে কিচেন থেকে কফি বানিয়ে আনলো। হাতে একটা অফিসের ফাইল আর কফি নিয়ে সানাহ বারান্দায় চলে গেল।

চার তলা থেকে পরিবেশটা অনেক সুন্দর দেখা যায়। এপার্টমেন্টের সামনের দিকে বেশ খানিকটা যায়গা ফাঁকা। এক সাইডে বড় বাগান‌ও আছে। চারোদিকে কুয়াশায় ঢাকা বাইরে কাউকে দেখা যাচ্ছে না। শুধু দুই জন গার্ড চাচা পাহারা দিচ্ছে।

সানাহদের ফ্ল্যাটের বারান্দার পাশে আরেকটা বারান্দা আছে অন্য ফ্ল্যাটের। ফিলহাল ওই ফ্ল্যাটের বারান্দার দরজা বন্ধ।

সানাহ কফিটা টি টেবিলে রেখে ফাইল ঘাটছে আর হাটছে। হঠাৎ নিচে চোখ পরতেই ও আমালকে দেখতে পায়। সানাহ তাড়াহুড়া করে ফাইলটা টি টেবিলে রেখে নিচে উকি দিল।

সানাহদের বারান্দার ঠিক নিচে দাঁড়িয়ে আমাল কারো সাথে ফোনে কথা বলছে।

আমালকে নিচে দেখে সানার মনে দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো।

সানাহঃ প্রতিশোধ নেয়ার সঠিক সময় এসে পরেছে সানাহ ( শয়তানি হেসে)।

সানাহ টি টেবিল থেকে কফির মগটা নিয়ে নিজের আঙ্গুল চুবিয়ে দেখলো।

সানাহঃ নাহ ঠান্ডা হয়ে গেছে,,,

সানাহ লুকিয়ে বারান্দায় উকি দিয়ে আমালকে দেখলো। তারপর হুট করে মগের সবটা কফি নিচে ঢেলে দিল।

কফি ফেলে সানাহ এক সেকেন্ড‌ও দেরি না করে রুমে ঢুকে পরলো।

আমাল নিচে দাঁড়িয়ে এক জনের সাথে কথা বলছিল। হঠাৎ উপর থেকে তরল জাতীয় কিছু ওর উপর পরে।

আমাল সরে গেল ওখান থেকে। আমাল উপরে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। ও ভালো করে খেয়াল করে দেখলো তরল পদার্থ টি কফি।

আমালঃ ইউউউ ছিহহ😷 হোয়াট দ্যা কে করলো এটা। কার এতো বড় সাহস যে আমাল খানের উপর…. কিছু একটা ভেবেই থেমে গেল আমাল।

ভালো করে উপরের দিকে তাকিয়ে দেখে শুধু ফোর্থ ফ্লোরের লাইট অন।

আমাল বাঁকা হেসে ফ্ল্যাটের দিকে তাকিয়ে বলতে শুরু করল।

আমালঃ আমার আগেই বুঝা উচিত ছিল এটা তুমি ছাড়া আর কেউ হতে পারে না সান। আমাকে ইরিটেট করার জন্য এরকম আইডিয়া শুধু তোমার মাথায় আসতে পারে। এখন আমাকে এই ঠান্ডার মধ্যে শাওয়ার নিতে হবে। খুশিতে গড়াগড়ি খাচ্ছো তুমি তাই না। ওয়েট তোমার খুশি আমি বের করছি।

আমি একা কেন এই ঠান্ডায় শাওয়ার নিব তুমি আছো না আমাকে কম্পানি দেওয়ার জন্য। ( with devil smile) আ’ম কামিং লাভ।

আমাল উপরে চলে আসলো।

সানাহ হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খাচ্ছে। আজকে সারাদিনের ঝাল এক সাথে মিটিয়েছে ও। আমালকে শায়েস্তা করতে পেরে একটু শান্তি অনুভব হচ্ছে ওর। এখন এই হার কাঁপানো শীতের মধ্যে বেচারাকে শাওয়ার নিতে হবে। ভেবেই আরো জোরে জোরে হেসে দেয় ও।

সানাহঃ আ’ম সো জিনিয়াস।😎 সানাহ আ’ম প্রাউড অফ ইউ বেবি।এতো বুদ্ধি কোথায় রাখিস তুই । 😌( নিজের তারিফ নিজে করছে)

আমাল সানাহদের বারান্দা দিয়ে ওর রুমে ঢুকে পরে। সানার কথা গুলো শুনে অনেক হাসি পাচ্ছে ওর। ধীরে ধীরে আমাল সানার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

পেছনে কারো অস্তিত্ব টের পেয়ে ভয়ে ফিরে তাকালো সানাহ। আমালকে দেখে সব হাসি উধাও হয়ে গেল ওর।

ভয়ে ভয়ে পিছিয়ে যাচ্ছে সানাহ। সানাহকে পিছিয়ে যেতে দেখে আমাল বাঁকা হেসে ওর দিকে এগিয়ে আসছে।

যেতে যেতে সানাহ একদম দেয়ালে লেগে যায়। আর যাওয়ার পথ নেই। ভয়ে ঢোক গিলছে সানাহ। আমালের মাথা আর শরীরে কফি লেগে আছে। চুল আঠাআঠা লাগছে। সানাহ বুঝতে পারছে যে আমাল বুঝে গেছে যে ওই এটা করেছে। এবার আমাল ওকে কি করবে ভেবেই ভয়ে গলা শুকিয়ে যাচ্ছে ওর।

আমাল সানার একদম কাছে চলে এসেছে।সানার তো হার্ট এ্যাটেক করার উপক্রম। দুই ইঞ্চির মতো ফাক ওদের মাঝে।

সানাহ সরে যেতে নিলে আমাল এক হাত দেয়ালে রেখে ওকে আটকায়। সানাহ অসহায় দৃষ্টিতে তাকালো আমালের দিকে। কিন্তু আমালের এতে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই ওর চোখে মুখে শয়তানি ভাব স্পষ্ট বুঝতে পারছে সানাহ। সানাহ অপর সাইড দিয়ে কেটে পরতে নিলে আমাল অন্য হাত দেয়ালে রেখে রাস্তা ব্লক করে দেয়। এবার আর সানাহ পালাতে পারবে না। আমাল দোনো দিক থেকে ওকে আটকিয়ে নিয়েছে।

সানার হার্ট ফেইল করার অবস্থা। কিছু বলতেও পারছে না কারন গলা দিয়ে কোন শব্দ বের হচ্ছে না ওর।অনেক কষ্টে সানাহ কিছু বলতে নিলে আমাল বাম হাতের আঙ্গুল ওর ঠোঁটে রেখে ওকে চুপ করিয়ে দেয়।

সানাহ চোখ বড় বড় করে ফেলে। ও বুঝতে পারছে না যে আমাল কি করতে চাচ্ছে।

আমাল সানার দিকে আরো এগিয়ে আসতেই সানাহ চোখ খিঁচে বন্ধ করে ফেলে। আমাল এটা দেখে বাঁকা হেসে এক হাত দেয়াল থেকে সরিয়ে নিজের মুঠো খুলে। এতক্ষণ হাতের মুঠো বন্ধ ছিল আমালের।

আমাল ডান হাতটা দিয়ে সানার গালে আলতো করে স্লাইড করছে আর মুচকি মুচকি হাসছে।

সানাহ বেচারী তো আমালের স্পর্শে কাঁপতে কাঁপতে শেষ। নিজের জামা টাইট করে ধরে আছে ও।

আমাল সানার গাল থেকে হাত স্লাইড করতে করতে ওর ঘাড়ে স্লাই করে হাতের দিকে নামছে।

হঠাৎ সানাহ নিজের গালে গলায় আর হাতে ভেজা কিছু অনুভব করে।

সানাহ চমকে সাথে সাথে চোখ খুলে দেখে আমাল ওর দিকেই বাঁকা হেসে তাকিয়ে আছে।

সানাহ চোখ খুলতেই আমাল ওর থেকে কিছুটা দূরে সরে যায়।

সানাহ নিজের গালে হাত রেখে কিছু ভেজা অনুভব করলো। হাতটা সামনে তুলে ধরতেই যা দেখলো সানা শকের চরম সীমানায় পৌঁছে যায়।

সানাহঃ ইয়াকককক (চিল্লিয়ে)

ওর হাতের তালুতে কাঁদা লেগে গেছে
তাও আঠালো কাঁদা। কাঁদা দেখেই গা গুলিয়ে এতো সানার।

নিজের গলায় হাতে ভালোভাবে চেক করে দেখে সব কাঁদা মাখানো।

সানাহ এবার রেগে আমালের দিকে তাকালো। আমালের হাতেও কাঁদা। তার মানে আমাল কফির প্রতিশোধ এভাবে তুলেছে সানার থেকে।

সানাহকে দেখে আমাল নিজের হাসি চাপিয়ে রাখতে পারলো না। জোরে জোরে হেসে দিল আমাল। আমালের হাসি দেখে সানাহ আরো তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলো।

সানাহঃ ইউউউউ,,, আই উইল কিলল ইউ আমাল।

সানাহ রেগে আমালের দিকে এগোতেই আমাল দৌড়ে বেডের অপর পাশে চলে যায় তারপর বলে।

আমালঃ ওয়াও সান ইউ আর লুকিং লাইক কাঁদা কুইন👑 । ( হাসতে হাসতে) ওয়েট আমি তোমার সুন্দর সুন্দর ছবি তুলে দিচ্ছি। সেগুলো ফেসবুক আর ইন্সটাতে আপলোড দিলে তোমার ফ্যান ফলোয়িং তো ডাবল হয়ে যাবে।

আমাল ফোন বের করে সানার কয়েকটা ছবি তুলে নিল।

সানাহ রেগে বেড থেকে কুশন নিয়ে আমালকে ছুরে মারলো। আমাল বসে পরলো তাই ওর শরীরে লাগলো না।

সানাহঃ তোমার সাহস কি করে হয় আমার রুমে আসার। এই তুমি আমার রুমে আসলে কিভাবে হ্যাঁ??

আমাল বারান্দার দিকে ইশারা করে বলল।

আমালঃ বেলকুনি মাই লাভ 😁

সানাহঃ ইম্পসিবল,,, আমি বোকা নয় ওকে। চার তলায় কেউ বেলকুনি দিয়ে আসতে পারে।

আমাল একটু ভাব নিয়ে বলল।

আমালঃ আর কেউ পারুক বা না পারুক এই আমাল খান সব পারে। Nothing is impossible for Amaal Khan. 😎

ওয়েইট আমি তোমাকে আবার দেখাচ্ছি আমি কিভাবে এসেছি।

আমাল বারান্দায় চলে গেল ওর পেছনে সানাও।

আমালঃ লুক কিভাবে এসেছি।

সানাহ মনোযোগ সহকারে তাকিয়ে আছে।

আমাল সানার পাশের বারান্দায় লাফ দিয়ে নেমে যায়।

আমালঃ এভাবে 😁

সানাহ হা হয়ে যায়। তার মানে এটা আমালের ফ্ল্যাটের বারান্দা।

দুই বারান্দার মাঝে অনেকক্ষানি ফাঁক আছে। নিচে তাকাতেই লোম দাঁড়িয়ে যায় সানার। আমাল আগেও এরকম করেছে তাই এই ব্যাপারে একটুও অবাক হলো না সানাহ।

হঠাৎ সানার খেয়াল হলো আমাল ওকে বোকা বানিয়ে চলে গেছে।

সানাহ কি বলবে ভেবে পাচ্ছে না। রাগে নিজের চুল নিজে টানতে ইচ্ছে করছে ওর।
সানার ফেস দেখে অনেক মজা লাগছে আমালের।

আমালঃ ইট ইজ কল টিট ফর ট্যাট সান😉

আমি শাওয়ার নিতে যাচ্ছি তুমিও যাও। তোমার শরীর থেকে কাঁদার স্মেল আসছে। (নাক ছিটকে)

ওক্কেই মাই লাভ গুড নাইট এন্ড হ্যাভ এ্যা সুইট ড্রিম উইথ মি।😘

আমাল ভেতরে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়।

সানাহঃ I will saw you… 😠

আমালঃ আমিতো তোমারি যত খুশি দেখ কে মানা করলো। 😉( যেতে যেতে)

সানাহঃ এর মজা আমি কালকে তোমাকে দেখাবো আমালললললল।

সানাহ রেগে রেলিংয়ে পা দিয়ে লাথি দিল।

সানাহঃ আহহ আম্মুউউ

রেলিং কিছু না হলেও বেচারীর পা টা গেছে। এক পা ধরে লাফাচ্ছে সানাহ। রুমের ভিতর থেকে সানার কান্ড দেখে হেসে কুটি কুটি হচ্ছে আমাল।

To be continued….

❤#আশিকী❤
#Madness_Of_Love
#Writer_Sanjana_Shabnam_Fahmida
#Part_4

In Morning…..

সানার আম্মু কিচেনে ব্রেকফাস্ট বানাচ্ছে আর সানাহ রুমে রেডি হচ্ছে অফিসের জন্য।

এমন সময় কেউ ফ্ল্যাটের কলিং বেল বাজালো।

সানার মা ব্যস্ত থাকায় উনি সানাহকে বললেন।

মাঃ সানু দেখতো কে এসেছে?? আমার হাতে আটা দ্রুত আয়,,,

সানাহঃ আসছি আম্মুউউ,,

সানাহ হেয়ার ক্লিপটা রেখে দ্রুত রুম থেকে বের হয়ে যায়।

সানাহ দরজা খুলেই অবাক হয়ে যায় সামনের মানুষটিকে দেখে।

আমাল একটা হোয়াইক প্যান্ট আর চকলেট কালারের শার্ট পরে আছে। চুল গুলো এমনেই সিল্কি আরো স্পাইক করায় অসম্ভব সুন্দর লাগছে। ইচ্ছে করছে চুল গুলোতে একটু হাত বুলিয়ে দিতে। আমালের ঠোঁট বাচ্চাদের মতো গোলাপী রঙের যেটা সবাইকে আরো বেশি ওর প্রতি এ্যাট্রেক্ট করে‌। তার উপর ঠোঁটের ওই বেবী স্মাইল কিছু বলার নেই। আমাল অলওয়েজ সানগ্লাস ওর শার্টের কলারে ঝুলিয়ে রাখে। এটা ওর পার্সোনালিটির আরেকটা স্টাইল বলতে গেলে।

সানাহ হা হয়ে তাকিয়ে আছে আমালের দিকে।আমাল‌ও সানাহকে দেখছে। আকাশি রঙের লং ফ্রক আর খোলা চুলে অসম্ভব সুন্দর লাগছে সানাহকে। যেটা শুধু আমাল বলতে পারবে। সানার হাতের দিকে চোখ যেতেই ঠোঁটের হাসিটা উধাও হয়ে গেল ওর।

এতোক্ষন আমালকে দেখলেও হঠাৎ রাতের কথা মনে পরতেই সানার আবার রাগ চেপে যায়। ও নাক ফুলিয়ে কপাল কুঁচকে আমালকে বলল,,,

সানাহঃ কী চাই?? 😡

আমাল নিজেকে সামলে নিয়ে মুখে আবার হাসি ফুটিয়ে নেয়।

আমালের হাতে একটা বাটি ছিল যেটা ও সানার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল,,,

আমালঃ চিনিইইই 😌আমার এক বাটি চিনি লাগবে কফি বানাবো ( বাহানাবাজ 😒)

সানাহঃ কিহ চিনি?? 😕

আমালের এভাবে বাটি এগিয়ে দিয়ে চিনি চাওয়ায় অবাক প্লাস হাসি আসছে সানার। কিন্তু আমালের সামনে ও তা প্রকাশ করলো না।

রাগী ফেস নিয়ে ও আবার আমালকে বলল।

সানাহঃ দ্যা আমাল খান আমাদের বাড়িতে চিনি চাইতে এসেছেন হোয়াট আ্য জোক 😂 কেন আপনার কি টাকার অভাব যে চিনি কিনতে পারবেন না। নাকি আপনার বাবা আপনাকে ত্যাজ্য পুত্র করে দিছে তাই আপনি গরিব হয়ে গেছেন এজন্য চিনি কেনার ও টাকা হচ্ছে না।😒

আমালঃ আমি আমার বাবার ওয়ান এন্ড ওনলি সান সো ত্যাজ্য পুত্র করার প্রশ্নই উঠে না। আর যেখানে চিনি কেনার কথা তো Amaal Khan চাইলে পুরো চিনির গোডাউন কিনতে পারে তা তুমি খুব ভালো করেই জানো। 😎

একচুয়ালি মুভিতে দেখেছিলাম যে একজন নেইবার অপর নেইবারের বাসায় সব সময় চিনির জন্য যায়। তাই ভাবলাম শুধু শুধু ড্রাইভার চাচাকে কষ্ট দিয়ে মার্কেটে না পাঠিয়ে তোমাদের বাসা থেকে নিয়ে নেই। 😁

সানাহঃ আমরা চিনির গোডাউন নিয়ে বসি নি দান করতে। সো অন্য দিকে যানন।

সানাহ দরজা লাগাতে নিলেই ওর আম্মু রান্না ঘর থেকে বলে উঠে।

মাঃ কে এসেছে সানু??

সানাহ আমালের দিকে তাকিয়ে বলে,,,

সানাহঃ টোকাই ফকির আসছে আম্মু ভিক্ষা চাইতে। 😏

মাঃ কি সব আবল তাবল বলছিস। টোকাই আবার ফকির হয় কি করে। আর ফ্ল্যাটে কি কেউ ভিক্ষা চাইতে আসে।

সানার আম্মু হাত মুছতে মুছতে দরজার সামনে আসে।

আমাল রাগি দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সানার দিকে আর সানার ঠোঁটে শয়তানি হাসি। আমালকে ভালোই জব্দ করছে ও।

মাঃ কে?? সর আমি দেখি,,,

আমালঃ আমিইই আন্টি,,, ( চেঁচিয়ে)

মাঃ আরে আমাল বাবা যে। আসো আসো ভিতরে আসো।

আমাল সানাহকে চোখ মেরে ভিতরে ঢুকে যায় আর সানাহ নাক ফুলিয়ে ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে বলে,,,

সানাহঃ টোকাই ফকির কোথাকার,,,

মাঃ এসব কি সানাহ তুমি আমাল কে এসব কি নামে ডাকছো।

সানাহঃ আমার কি দোষ এভাবে কেউ হুট করে এসে যদি বলে একটু চিনি দিবেন তাহলে তাদের তো টোকাই ফকির‌ই বলে 😏

সানাহ কথাটা বলেই নিজের রুমে চলে যায়।

মাঃ আমাল তুমি ওর কথাগুলো মনে নিও না। আসলে ও এমনি,,,

আমালঃ আরে না আন্টি আমি কিছু মনে করছি না শুধু এইটুকুই ভাবছি,,,

মাঃ কিই??

আমালঃ এটাই যে আপনার মতো সুইট আন্টির মেয়ে এমন ঝাসিকি রানীর মতো হলো কিভাবে,, 😂😁

মাঃ ওর রাগটা একটু বেশি। একদম ওর আব্বুর মতো হয়েছে।

আমাল আর সানার আম্মু অনেকক্ষণ গল্প করলেন। আমাল এসেছিল কফির জন্য চিনি নেওয়ার বাহানায় কিন্তু সানার আম্মু ওকে বসিয়ে কফি প্লাস ব্রেকফাস্ট দুটোই করিয়ে দিয়েছে।
সানাহ কিছু বলতেও পারছে না আর স‌ইতেও পারছে না।

আমাল ব্রেকফাস্ট করে ওর ফ্ল্যাটে চলে যায় আর সানাহ ও অফিসের জন্য বেড়িয়ে যায়।

সানাহ নিচে এসে ওর গাড়িতে বসতে গেলেই সামনে আমালের গাড়ির দিকে ওর নজর যায়। গাড়ির আশেপাশে কেউ নেই। সানার মাথায় রাতের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য দুষ্টু বুদ্ধি চাপলো।

সানাহ ধীর পায়ে গিয়ে হেয়ার ক্লিপ দিয়ে গাড়ির টায়ার ফুসসস করে দিল। তারপর দৌড়ে নিজের গাড়িতে বসে পরলো।

সানাহঃ আমার সাথে পাঙ্গা নেওয়ার মজা এবার বুঝো মি. আমাল।

হঠাৎ পাশে তাকাতেই চোখ বড় বড় হয়ে যায় ওর। সানার পাশের সিটে আমাল চোখ বন্ধ করে হেলান দিয়ে বসে আছে।

সানাহঃ ইউউউ,,, তুমি আমার গাড়িতে কি করছো গেট আউট 😡নামো বলছি।

আমাল চোখ বন্ধ অবস্থায় নিজের ফোন এগিয়ে সানার সামনে ধরে। একটা ভিডিও প্লে করে দিল ও। ভিডিওতে সানাহ আমালের গাড়ির টায়ারের হাওয়া বের করছে।

আমালঃ এখন বেশি কথা না বলে গাড়ি স্টার্ট দাও অফিসে লেট হয়ে যাচ্ছে।

( মাই লাভ তুমি হয়তো ভুলে যাচ্ছো যে আমি আমাল খান। আমি সবসময় চার কদম এগিয়ে চলতে পছন্দ করি। আর যেখানে তোমার কথা,,, তো তুমি চলো ডালে ডালে আর আমি চলি পাতায় পাতায় 😎মনে মনে)

To be continued…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here