স্বামীর অধিকার #পর্ব_০১,০২

#স্বামীর_অধিকার
#পর্ব_০১,০২
#writter_সোহানুর_রহমান_সোহান
পর্ব_০১

আজ বাসর রাত তবুও সোহানের শরীরের ভিতর কাপুনি দিচ্ছে।শীতের রাতে ছাদের এক কোনে বসে গুটিসুটি মেরে রয়েছে।মুখ থেকে অনেকখানি রক্ত বের হয়ে গিয়েছে।বাসর রাতে মারধর খাবার পর বাসর ঘরে কেমন করে ঢুকবে সেটাই মাথাই আসছে না সোহানের।এমন দিনে বাইরে থেকে মার খেয়ে এসে ভিতরে কতটা কষ্ট হবে এটা ভেবেই সোহানের গায়ের লোম দাড়িয়ে যাচ্ছে।পরিস্হিতির শিকার সবাইকে ছোট বানিয়ে নেই নইতো দুনিয়া থেকেই সরিয়ে দেই।হইতো সে আজ বাসাই ফিরতে পারতো না কিন্তু ভাগ্রক্রমে সে পালিয়ে আসতে পেরেছে।পকেট থেকে রুমাল বের করে মুখ থেকে রক্তগুলো সরানোর চেষ্টা করছে।কিন্তু সে খেয়াল করলো মুখে সে ভালোভাবে হাত লাগাতেই পারছে না কারন হাতগুলো ব্যথাই কাপছে।খেয়াল করলো যখন ছেলেগুলো তার হাতের উপর লাঠি দিয়ে প্রচন্ড আঘাত করছিলো তখন কে যেন বলেছিলো,,
—কিরে তোর বউকে হাত দিয়ে ধরতে চেয়েছিলি?কাছে নিতে চেয়েছিলি?যা এবার খুব আদর করবি দারা তোর হাত আরো সুন্দর করে দিচ্ছি।
ছেলেগুলো সোহানের কথায় একদম থামেনি বরং আরো কষ্ট বেশী দিয়েছে।কিন্তু সোহান একদম থেমে যাইনি।বাস্তবে ফিরে আসতেই খেয়াল হলো এতো রাতে মেয়েটা একা কিভাবে রয়েছে?সে তো রাতে একা থাকতে ভয় পাই।

তার জন্য তো একটা মানুষের বুক দরকার যেখানে সে নির্ভয়ে মুখ লুকিয়ে ঘুমাতে পারবে।যেভাবেই হোক মেয়েটাকে একা রাখা যাবেনা।পা টা বাড়িয়ে দ্রুত যাবার জন্য এগোতেই হটাৎ করেই পড়ে গেলো।কেন যেন তার পা একদম এগোতে চাইছিলো না।সোহানের মন হচ্ছিলো কারা যেন এখনো তার পায়ের উপর অত্যাচার করছে আর বলছে তোর আজ বউ এর কাছে যাবার খুব শখ হয়েছে বুঝি?দ্বারা তোর পা টা আমরা রক্তে সাজিয়ে দিই।কথাগুলো সোহানের কানে যতো বাজছিলো ঠিক ততোটাই সে উঠে দাড়াতে চেষ্টা করতে লাগলো।থেমে গেলে হবেনা।পা টা কোনরকমে দাড় করিয়ে ফ্রেশ রুমের দিকে এগোতে লাগলো।কিন্তু আজ সোহানকে অদ্ভুত দেখাচ্ছে তার চোখে মুখে ভাবনার বিন্দুমাএ আচড় দেখা যাচ্ছে না।চোখে একফোটা পানিও নেই।হইতো সোহানের জিবনে শুধু ভালোবাসা নামক জিনিষটাই রয়ে গিয়েছে।ভাবতেও অবাক লাগে এমন এক পরিস্হিতিতে কেউ তার প্রিয় মানুষের জন্য নিজেকে সংকটে ফেলে সেই প্রিয় মানুষটির এক ফোটা হাসিমুখ দেখার জন্য।এইরকম ভালোবাসাটা যেমন খুব কম ঠিক তেমনি এইরকম ভালোবাসাতে অনেক বাধা থাকে যেটা নিজেকেই পার করে নিতে হয়।কিন্তু প্রিয় মানুষটির হাসি যতটা আনন্দ দিতে পারে ঠিক ততোটাই দুঃখ দিতে পারে।

সোহান আয়নার সামনে দাড়িয়ে পড়লো।হাতটা উপরে উঠাতেই
পারছে না তবুও মুখ পরিষ্কার করার চেষ্টা করছে।তার মনে হতে লাগলো আয়নার সামনে ওই ছেলেগুলো ভেসে উঠছিলো আর বলছিলো তারাতারি যা তারাতারি যা নাহলে কিন্তু আর বাচবি না।ওদের হাত থেকে বাচতে গিয়ে কোথা দিয়ে দৌড়ে পালিয়েছে সেটা মনে নেই সোহানের কিন্তু সে আতঙ্ক সোহানের ভিতর তখনো কাজ করছিলো।কিন্তু সে যার জন্য এসেছে সে তো একদম একা রয়েছে,,ভাবতেই পাশ থেকে চশমাটা চোখে দিয়েই রুমের দিকে এগোতে লাগলো।রাতে পালানোর সময় তার যতটা ভয় কাজ করছিলো তার চেয়েও বেশী ভয় এখন তার ভিতরে ঘুরঘুর করছে।কারন সে জানতো ভিতরে গিয়ে সে তার মনের মতো আশাকর অবস্হা পাবে না।সোহান যখন এক দৌড়ে রুমের সামনে চলে এলো তখন খেয়াল করলো রুমটা খোলা রয়েছে।চারপাশে খেয়াল করে দেখলো চারপাশটা একদম নিশ্চুপ হয়ে রয়েছে।সবাই যার যার মতো ঘুমিয়ে পড়েছে।সোহান পা টা হালকা করে বাড়িয়ে দিয়ে রুমে ঢুকেই কিছুটা অবাক চোখে চারদিকটা ভালো করে দেখতে লাগলো।চারদিকের একি অবস্হা হয়ে রয়েছে?সবকিছু চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।কেউ দেখে হইতো এটা বাসর ঘর বলে মানতেই চাইবে না।সোহান বুঝতে পেরেছে কেন বাড়ির সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে।
সোহান চুপিচুপি আরেকটু এগিয়ে গিয়ে চারদিখে কি যেন খুজতে লাগলো।

হটাৎ তার নাকে একটা গন্ধ আসতে লাগলো।বুঝে উঠতে পারছিলো না এমন বিচ্ছিরি গন্ধটা কোথা থেকে আসছিলো।মদের গন্ধ টের পেতেই বেলকনির দিকে কিছু একটার আওয়াজ পেতেই ধীরে ধীরে গিয়ে দাড়িয়ে নি.,….. বলতেই কে যেন সজোরে এক ধাক্কা দিয়ে তাকে ফেলে দিয়েই দৌড়ে পালিয়ে গেলো।ফ্লোরের উপর পরে যেতেই চিৎকার দিয়ে উঠলো সোহান।কোনরকমে উঠে দাড়াতেই প্রচন্ড রাগে রাগে সোহানের চোখদুটো লাল হয়ে গেলো।কিন্তু ব্যথা আর মনের বাধাটা তার রাগটাকে দমিয়ে নিতে বাধ্য করলো।ভাবতেই অবাক লাগছে কেউ বাসর রাতে তার বয়ফ্রেন্ডের সাথে এইসব লুচ্চামি করতে পারে?
খেয়াল করলো নিশি হেলে দুলে রুমে ঢুকছে।হ্যা এটাই নিশি যার জন্য সোহান নামক ছেলেটা অপেক্রা করছিলো।শাড়িটা নিজের গায়ে জরিয়ে নিয়ে নিশি সোহানের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।সোহান স্পষ্ট দেখতে পেয়েছে নিশির চোখে কোনে পানি জমে রয়েছে।তার ভিতর নেশার কোন প্রভাবই পড়েনি।চোখটা নিচু করে চশমার আড়াল হতে বলে উঠলো,,
— এসব না করলেও পারতে?
সোহানের কথা শুনে নিশির হাতদুটো পিছনে চলে গেলো।টেবিলের পাশ থেকে সে সোহানের দিকে এগিয়ে আসতে লাগলো,,
— সরি সোহান আমার ভুল হয়ে গিয়েছে।জানোতে তুমি আসছিলে তাই আমার অভিকে ঢেকে পাঠিয়েছি জানোতো আমার না আবার কেউ কাছে না

থাকলে খুব এল্যার্জি হয়।
এটা বলে সজোরে এক থাপ্পড়ে নিচে ফেলে দিলো সোহান কে।

চলবে,,

#স্বামীর_অধিকার
.
#পর্ব_০২
.
#সোহানুর_রহমান_সোহান
.
সোহানকে এক থাপ্পড়ে সজোরে ফ্লোরে ফেলে দিলো নিশি।যেখানে আজ সোহানকে বাসর রাতে বিছানাই থাকার কথা সেখানে আজ সে ফ্লোরে পড়ে রয়েছে।নিশি জানতো আজ সোহানকে সে ইচ্ছামতো যা খুশি তাই করতে পারবে।নিশি তার পিছন থেকে ছুরিটা বের করে ধীরে ধীরে সোহানের দিকে এগিয়ে গেলো।আজ তার সোহানকে অনেক কিছু বলার আছে।সোহানের পাশে বসে নিশি একটা হাসি দিয়ে,,
—তুই কি ভেবেছিলি বিয়ে করে নিলেই আমি তোকে ছেড়ে দিবো?এটা ভাবলে তুই একদম ভুল করবি।কারো ভালোবাসা কারো থেকে ছিনিয়ে নেওয়াটা কতো বড় অপরাধ সেটা কি জানিস।
কথাটা বলে ছুরিটা সোহানের গলাই বসিয়ে দিলো।গলাই চাপ পড়ার কারনে রক্ত বের হতে একটুও সময় নিলোনা কিন্তু সোহানকে তখনো একদম নিশ্চুম দেখাচ্ছে।সোহানের গলাটা শুকিয়ে গিয়েছে সে বুঝতে পারছিলো না কেন নিশি এতোটা রেগে গেলো।সোহানের নিষ্শাষ বন্ধ হয়ে আসতে লাগলো।চোখদুটো এখনো বন্ধ করে রেখেছে।এখনো সে নিশির মায়াবী মুখটা দেখতে পাইনি।
— আহ নিশি ব্যথা লাগছে প্লিজ এমন করোনা।
— কিরে ছুরি দেখেই ভয় পেয়ে গেলি?এখনোতো কিছুই করিনি।তোকে তো এতো তারাতারি মারবো না।আসতে আসতে কষ্ট দিয়ে মারবো যেভাবে তুই আমাকে কষ্ট দিয়েছিছ।

— নিশি সত্যি আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি।(দম আটকে রেখে)
— দেখ আমার রাগ বাড়ানোর একটুও চেষ্টা করিস না।আর তোর মতো একটা পাগলের সাথে কেই বা থাকতে চাইবে?(চশমাটা চোখ থেকে খুলে ফেলে দিয়ে)
হটাৎ নিশি ছুরিটা ফেলে দিয়ে সোহানের পাশে বসে পড়লো।চারদিকে চুপচাপ দেখে সোহান চোখটা খুলে দেখে নিশি তার পাশে বসে রয়েছে।সে নিশির চোখে জল দেখতে পাচ্ছে।কিন্তু কিছুই করতে পারছিলো না।সে না নড়তে পারছিলো আর না কথা বলতে পারছিলো।সোহানের নড়াচড়ার শব্দ পেয়ে,,
— তুই আমার অভিকে মেরে হাসপাতালে পাঠিয়েছিলি না?ও তোর কি এমন ক্ষতি করেছিলো?ওকে তো এভাবে কষ্ট না দিলেও তো পারতি।তোর আমার দেহ কে ভালোলাগতো তো আমাকে বলতি,আমি তোকে তোর ইচ্ছাটা পূরন করে দিতাম।কিন্তু তুই অভিকে কেন হত্যা করলি?
কথাগুলো শোনার পর সোহানের মধ্যে কিছু একটার হতাশার ভাব দেখা যাচ্ছিলো।উঠতে পারছিলো না তাই হাতটা নিশির দিকে বাড়িয়ে দিলো।কিন্তু কোনো লাভ হলো না।হাতটা বাড়ানোর সাথে সাথে নিশি সোহানের হাতে ছুরি চালিয়ে দিলো।
— তোর আমাকে স্পর্শ করার কোনো অধিকার নেই।
ধারালো ছুরির আঘাতে সোহানের হাতের রগ ভেদ করে মাংশের ভিতর দিয়ে কেটে গেলো।আঘাতটা সহ্য করতে না পেরে নিমিষেই চিৎকার দিয়ে উঠলো সোহান।
হাত দিয়ে রক্ত বের হতেই সে অন্যহাত দিয়ে হাতটা চেপে ধরলো।নিশি সোহানের কষ্টটা বাড়ানোর জন্য তার দু হাত দিয়ে সোহানের বুকের উপর অনবরত আঘাত করতে লাগলো।
— জানিস ওই ছেলেটা এসে আমাকে কি জানিয়ে গেলো?অভি মনে হয় আর বাচবে না।আরে এগুলো তোকে বলছি কেন? তোর আমার দেহ দরকাল ছিলো তো?
এটা বলেই নিশি তার শরীর থেকে কাপড় সরিড়ে ফেলে দিলো।সোহানের বুকের উপর বসে,,
— নে এবার তোর ক্ষুধা মেটা?দেখ আমার বুকের উপর তাকা।দেখ আমার ঠোটটা দেখ কত্ত লাল।
সোহানের মুখটা নিশি তার বুকের সাথে চেপে ধরে মদের বোতলটা তার বুকে ঢেলে দিলো।
— নে তোর ক্ষুধা মেটা।আজ তোর জন্য আমার সহ ফ্রি।
এটুকু শোনার পর একটা চিৎকারের পর সোহানের চোখদুটো বন্ধ হয়ে এলো।কিন্তু কেউ তার পাশে এগিয়ে এলো না কারন শব্দটা তার ঘর থেকে বাইরে বের হতে পারেনি।নিশি তার মাথাটা বুক থেকে সরিয়েই মাথাটা ফ্লোরে সাথে ধাক্কা দিয়েই সোহানকে বেহুশ করে দিয়েছে।এদিকে নিশি কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে সোহানের উপর থেকে উঠে দাড়িয়ে চিৎকার করে হাসতে থাকলো।আর বলতে থাকলো,,
— আমি তোমার প্রতিশোধ নিতে পেরেছি অভি।তুমি যেভাবে শুয়ে আছো আমিও একে এভাবে শুয়ে রেখেছি।
এরপরেও যেন নিশিকে শান্ত হতে দেখা যাচ্ছে না।

নিশি গিয়ে সোহানের দিকে নজর দিয়ে দেখতে লাগলো।প্রথম থেকে আঘাত পেতে পেতে তার শরীর থেকে প্রচুর রক্ত বের হয়ে গিয়েছে।চারদিকে তার হাতের রক্ত ছড়িয়ে রয়েছে।নিচে সে অসহায়ের মতো পড়ে রয়েছে।নিশি সোহানের হাতগুলো ধরে টানতে টানতে দরজার বাইরে ফেলে দিলো যেখান আজ এই হাতটাই নিশির কপালটাই হাত বুলিয়ে দেবার কথা ছিলো।আসার পথে ওষুধ বাকসো টা ছাদে ফেলে রেখে দিলো।সে নিজেও চাইছিলো সোহানকে এতো তারাতারি শেষ করার।রুমটা বন্ধ করে দিয়ে সে বিছানাই ঘুমিয়ে পড়লো।

এদিকে দরজার বাইরে বেহুশ অবস্থাই পড়ে রয়েছে।শরীর থেকে প্রায় তিন ভাগের এক ভাগ রক্ত বের হয়ে গিয়েছে।চারদিকে সোহানের এই করুন কাহীনি দেখে জোনাকিরা আলো দিতেও ভয় পাচ্ছে।মশারাও তার কাছে যেতে ভয় পাচ্ছে।আকাশের তারাগুলোও নিভে যাচ্ছে।কিন্তু সবার মনে একটাই প্রশ্ন, কেন আজ সোহানকে দরজার বাইরে ফেলে রাখা হয়েছে?কি এমন করেছে যে তার প্রতি এতো ঘূনা রয়ে গিয়েছে।আজকের রাতটা শুধু বাসর রাতই নয়।এটিকে জিবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন রাত বলা হয়।
সোহানের গায়ে মাটি আর রক্ত মিশে একটা আলো তৈরি করছে।হইতো আজ আমাবস্যা তাই সোহানকে আজ অঘোর ঘুমে আচ্ছন্ন দেখা যাচ্ছে।আজ সোহানের ভিতরটা একদম নিরব রয়ে গিয়েছে।হইতো দেওয়ালের সাথে হেলান
দিয়ে সে বাসর রাতের সুখটা অনুভব করছে।রাতটা ধীরে ধীরে বয়ে যাচ্ছে।প্রচন্ড শীতের ভিতর সোহানের গায়ের লোমগুলো দাড়িয়ে গিয়েছে।কিন্তু নিশি কি করছে?চলুন ভিতর থেকে দেখে আসি।কেউ একজনের চোখে এখনো পানি টলমল করছে।বুকের উপর কারো ছবি দেখা যাচ্ছে।এই ছেলেটি কে নাকি এই ছেলেটির কারনে আজ সোহানের এমন দশা।নিজের বাসর রাতেও সোহান তার ভালোবাসার মানুষটিকে নিজের চোখে ভালো করে দেখতে পাইনি কি এই ছেলের জন্য?সে যাইহোক এইসবের পিছনে এই ছেলেটারই হাত রয়েছে।রাতটা পেরিয়ে মাঝরাত হয়ে গিয়েছে।কিন্তু একি এতক্ষন সবাই কি করছিলো?যাদের নিয়ে কথা হচ্ছে তারা এখন কি করছে?একি মনে হচ্ছে সোহানের হুশ ফিরে এসেছে।চোখদুটো মনে হচ্ছে ধীরে ধীরে খুলছে।হাতদুটো হইতো শীতের কারনে কাপছে।ব্যথাই সোহান নড়তেও পারছিলো।চোখটা খুলে যখন সে জানার চেষ্টা করলো সে কোথাই?তখন সে দেখলো সে তার রুমের বাইরে পড়ে রয়েছে।চারদিকে শীত নিবারনের জন্য কিছু খুজেও পেলোনা।পান্জাবীর পকেট থেকে একটা গোলাপ বের করলো যেটা তার নিশিকে দেবার ইচ্ছা ছিলো কিন্তু সেই মেয়েটার আঘাতেই ফুলটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে।তবুও সোহানের মুখে হাসি ফূটে উঠেছে।যেন ফুলগুলো তাকে এখনো বলছিলো নিশি তোমার ছিলো আর তোমারি থাকবে।
.
চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here