স্বামীর_অধিকার #পর্ব_০৭,০৮

#স্বামীর_অধিকার
#পর্ব_০৭,০৮
#writter_সোহানুর_রহমান_সোহান
পর্ব_০৭

নিজেকে সংযত করে নিশিকে ছেড়ে দিয়ে তাড়াতাড়ি উঠে পড়লো।শাড়ির আচল দিয়ে নিশিকে ঢেকে দিয়ে বিছানা থেকে লাফিয়ে নেমে পড়লো।তার মনে হচ্ছিলো কারো ইচ্ছার বিরুদ্ধে সে লোভ করতে যাচ্ছিলো।সোহানের স্পর্শ না পেতেই নিশি তার হুশে ফিরে আসলো।যখন সে দেখলো তার এই অবস্হা।সাথে সাথে নিজেকে শাড়ির আচল দিয়ে লুকিয়ে ফেললো।নিশির মুখটা লজ্জাই লাল হয়ে গিয়েছে।সে ভাবতেও পারছে না সে সোহানের সাথে?অথচো একবারো ভাবলো এদেরকেই সারাজীবন একসাথে কাটাতে হবে।নিশির হটাৎ কেমন যেন একটা পরিবর্তন চলে এলো।পিছন থেকে বলে উঠলো,,
—তুমি যা করছিলে সেটা কি ভেবেছিলে?
—নিশি ভাবতেও পারিনি হটাৎ এমন হয়ে যাবে?আমিতো ওই?
—থাক আর বলতে হবে না।অভিও আমাকে তোমার ইচ্ছাটা পূরন করতে বলেছে।আর জানোতো আমি অভিকে ছাড়া কিচ্ছু ভাবতে পারিনা তবে আমি তোমাকে কখনোই সামি হিসেবে মেনে নিতে পারবো না।(চোখে পানি নিয়ে)
—নিশি তুমি কি করে ভাবলে আমি তোমার সাথে প্রতারনা করবো?কিন্তু অভি কোথাই আছে আর তুমি ওকে পেলে কিভাবে?
—সেটা জেনে তুমি কি করবে?ওতো তোমার শত্রু।কিন্তু ভালোবাসার থেকে কিছু আড়াল হইনা আমি ও কে ঠিকই খুজে নিয়েছি।(কান্না করতে করতে)
—নিশি আমি ভাবতেই পারিনি এমন হয়ে যাবে।তবে আমি কথা দিচ্ছি তোমাকে আমি তোমার অভির কাছেই পৌছে দেব কিন্তু আমাকে কখনো পর ভেব না।
সোহানের কথা খানিকটা অবাক হয়ে নিশি বেশ অদ্ভুতভাবে সোহানের দিকে তাকিয়ে রইলো।সোহান নিশির পাশে গিয়ে,,
—আমি তোমাকে কখনো কষ্ট দিতে ও কষ্টে দেখতে চাইনা।তবুও যদি তুমি চলে যেতে চাও তাহলে তোমাকে আমি আটকাবোনা শুধু একটু ভেবে চলবে।
—তুমি আমাকে কি বোঝাতে চাইছো?
—জানি তুমি আমাকে মেনে নেওনি কিন্তু আমার সাথে তুমি যেরকম আচরন করছো সেটা কি ঠিক?একটু ভালো করে কথা বললেও তো পারতে?
নিশি আর কিছু বললো না।চুপ করে মাথা নিচু করে দাড়িয়ে রইলো।ভাবতেও পারছে না সোহান তাকে এতো তাড়াতাড়ি ছেড়ে দিতে চাইছে।
—গাড়ি রেডি আছে তোমার দেরি হয়ে যাচ্ছে।
কথাটা শুনতেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো নিশি।সোহান কপালের ঘাম মুছে ফেলে তাড়াতাড়ি করে ফ্লোর থেকে একটা খাম উঠিয়ে তাড়াতাড়ি করে আলমারিতে লুকিয়ে রাখলো।নিশির পায়ের তলে একটা খাম ছিলো যেটা নিশি একদমই খেয়াল করেনি।যার কারনেই নিশিকে কথার মাঝে ভুলিয়ে বাইরে নিয়ে গেলো।
খামটাই এমন কি ছিলো যেটা সোহান গোপন করে রাখলো।

নিজেকে ঠিক করে বাসা থেকে বেরোনোর সময় সে খেয়াল করলো নিশি তার মায়ের সাথে কথা বলছে।সে যেতেই নিশি তার সাথে চলতে শুরু করলো।বাসা থেকে বেরিয়েই খেয়াল করলো পাশের বাড়ির ভাবিরা দাড়িয়ে আছে।সে বুঝতে পেরেছে এখানে তার জন্যই এরা অপেক্ষা করছে।মুখ লুকিয়ে যাবার চেষ্টা করতেই,,
—নিশি কেমন আছো?দিনকাল ভালোই চলছে তো?
—হ্যা ভালো চলছে।(বুঝতে না পেরে নিশি)
—হুম।ভাইকে পেয়ে তো ঘর থেকে বের হতেই দেখিনা।খুব ভালোই চলছে তাইনা?
–আপনাদের কথাটা বুঝলাম না?(নিশি)
–বিড়ালটা মারা বুঝি শেষ হইনি?
পাশ থেকে সোহান কথাটা শুনে চুপিচুপি তাদের কাছে গিয়ে,,
–দেখছো না মেয়েটা শুকিয়ে যাচ্ছে তাই নিয়মিত ফুডিং দিতে হচ্ছে বুঝলা।আপনারা যদি চান..
কথাটা বলার পর সোহান খেয়াল করলো তার আশেপাশে আর কেউ নেই।হাসতে হাসতে গাড়িতে গিয়ে উঠে বসতেই,,
—আচ্ছা তুমি ওদের কি বললে যে কথাটা শুনেই এরা পালিয়ে গেলো।
—কিছুনা শুধু বললাম ফুডিং দিচ্ছি।
—খাবার দিচ্ছো এটা শুনেই পালিয়ে গেলো?কিন্তু কেন?
—এটা তুমি বুঝবেনা।
নিশি গিয়ে সোহানের পাশে গিয়ে বসলো।সোহান খানিক খুশিই হয়েছে কার নিশি তার প্রতি কিছুটা বিশ্ষাশ রেখেছে।এখন যা করার তাকে খুব তাড়াতাড়িই করতে হবে।

গাড়িটা নিয়ে রওনা দিলো তারা।নিশিকে অফিস ছেড়ে দিতেই।
—সোহান ফিরতি পথে আমাকে নিয়ে যাবেতো?
—তোমার জন্য এটুকু তো করতেই পারি(মুচকি হেসে)
নিশিকে বিদায় দিয়ে সোহান রওনা দিয়ে দিলো।হইতো খুব তাড়াতাড়িই সে নিশিকে হারাতে যাচ্ছে কারন তাদের মাঝে একটা চুক্তি হয়েছে যেটা সোহান মেনে নিয়েছে।যদিও তেমন করার কোনো ইচ্ছাই নেই সোহানের।
গাড়ি নিয়ে সরাসরি সে হসপিতালে চলে গেলো।ডাক্তার রুমটা দেখাতেই রুমে গিয়ে দেখে সবাই হাত পা ভাঙা অবস্হায় পড়ে রয়েছে।হ্যা এরাতো সে ছেলেগুলো যাদেরকে সোহানকে মারার জন্য পাঠানো হয়েছিলো।রুম থেকে বেড়িয়ে সে একটা চাকু নিয়ে অভির রুমের দিকে এগোতে থাকলো।কিন্তু কেন?নাকি সে অভিকে হত্যা করতে যাচ্ছে?
রুমে ঢুকেই নার্স কে রুম থেকে বের করে দিলো।সে দেখলো অভি বসে রয়েছে।দুজনের মুখেই হাসি ফুটে উঠলো।ছুরিটা নিয়ে পাশ থেকে কিছু ফল কেটে অভির সামনে রাখলো।
—এতক্ষন পর তোর আসার সময় হলো?
—তোর নিশিকে বোঝাতে গিয়ে অনেক দেরী হয়ে গেলো।
—কেন কাছে তো পেয়েই গেছিছ।এখন কি ওর মুখে অভির মুছে যায়নি।
—তোর জন্য ও এখন আমাকে পরলোকেও পাঠিয়ে দিতে পারে।
—তূই কি ওকে এখনো কিছুই বলিসনি?
—বলতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমি দেখতে চাই ও আমাকে কতোটা ভালোবাসে।

—সোহান এটা কিন্তু একটু বেশিই হয়ে যাবে।
—তোর এখন রেষ্ট নেওয়ার সময়।এসব কথা বলার তোর সময় নেই।
—হুম।তুই থাকলে আর কোন সমস্যাই হবেনা।
বেশকিছুক্ষন কথা বলেই সোহান অভির থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসলো।

রাতে সোহান ছাদে বসে রয়েছে।তার গিটারের সুরগুলো বেজে চলেছে অদূরে।হটাৎ সে খেয়াল করলো নিশি তার পাশেই দাড়িয়ে আছে।
—কি ব্যাপার দাড়িয়ে আছো কেন?
—তোমার সুর শুনছিলাম।এটা তুমি কার থেকে শিখেছো?
—অভির থেকে শিখেছি।
—সেজন্য ঠিক অভির মতোই সুর তোমার গলা থেকে বের হচ্ছে।
—কেন অভি কি তোমাকে গান শোনাতো?
—হুম।প্রতিদিন শোনাতো কিন্তু আমাকে শিখাতো না আর আমাকে কক্ষনোই ওর মুখ দেখতে দিতোনা।
—এখনো কি তোমার শেখার ইচ্ছা আছে?
—হ্যা।
—তাহলে আসো শিখিয়ে দেই।
নিশি দ্বিমত করতে পারলো না।কেন যানি ধীরে ধীরে সে সোহানের প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ছিলো।সোহান নিশির হাতে গীটারটা ধরিয়ে দিয়ে পিছন থেকে নিশির গলার কাছে মুখটা নিয়ে নিশির হাতদুটো চেপে ধরলো।নিশি চোখদুটো বন্ধ করে নিজেকে সামলিয়ে নিলো।গীটারে নিশির হাতটা বসিয়ে ধীরে সে তার হাত দিয়ে সুরগুলো শিখাতে চাইছিলো।কিন্তু কেন যেন সুরটা জমছিলো না তাই শাড়ির আচলের ভিতরে নিশির কোমরটা চেপে ধরে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরলো
,
চলবে

#সামীর_অধিকার
.
#পর্ব_০৮
.
#writter_সোহানুর_রহমান_সোহান
,
,
গীটারের সুরটা জমছিলো না দেখে নিশির আচলের নিচে আলতো করে ছোয়া দিতেই নিশি কেমন যেন নড়েচড়ে উঠলো।ঠান্ডা হাতের স্পর্শ পেতেই গীটারটা শক্ত করে চেপে ধরলো। কোমরটা চেপে ধরে তার বুকের সাথে নিশিকে টেনে নিয়ে গীটারে আবার হাত রাখলো সোহান।কুলকুল কন্ঠে নিশির সুরটাও বয়ে চললো একি সাথে।দুজনের ভিতরই চলছে ভালোবাসা।চারদিকে হালকা বাতাস গায়ে এসে লাগছে তাদের।ধীরে ধীরে সুরগুলো আকাশের গায়ে বাসা বাধতে লাগলো।

কিছুক্ষন পর গান শেষ হতেই শরীরে কিছুটা গরম অনুভব করতেই নিশির কোমরটা আবারো চেপে ধরলো।পিছন থেকে মুখটা তার কাধে নিয়ে চুমু দিতেই নিশি সোহানকে জড়িয়ে ধরলো।নিশির ঠোট দুটো এগিয়ে যেতেই সোহান এক ঝটকা দিয়ে নিশিকে সরিয়ে দিলো।নিশি মুখ নিচু করে দৌড়ে রুমে গেলো।মাঝে মাঝে এদের কাছে আসলে কি হয় এরা নিজেও বুঝতে পারেনা।হইতো এজন্য নিশি সবসময় সোহানের থেকে দুরে দুরে থাকে।
গান শেষ করে সোহান রুমে চলে গেলো।খেয়াল করলো নিশির চোখে পানি।বুঝতে পেরেছে নিশির চোখে পানি কেন?তাই পাশ থেকে একটা বালিশ নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়িয়ে দিলো।হটাৎ পিছন থেকে,,
—কোথাই যাচ্ছো?
নিশির কথাই বেশ অবাক হলো সে।যে নিশি তাকে ঘার ধাক্কা দিয়ে বের করে দেই সে আজ ডাকছে?

—বাইরে ঘুমাতে যাচ্ছি।
—না মানে রুমে থাকলে হতো না?
—কিন্তু তোমার যদি কিছু হয়ে যাই?তাছাড়া এর আগেও তো তুমি নিজেই আমাকে বের করে দিয়েছো।
—তখন আর এখনের মধ্যে অনেক তফাৎ রয়েছে।যখন এতো কাছে এসে কি করোনি তাহলে এটুকু বিষ্শাষ তো করতেই পারি।
সোহান আর কিছু বললো না।

চুপিচুপি বালিশ নিয়ে সোফাই বসে রইলো।ভাবতেই পারেনি নিশি তাকে এতোটা কাছে নিয়ে আসবে।সোফাই হেলান দিয়ে সে নিশির কাজ গুলো দেখছিলো।এমনিতেই নিশির পরীর মতো চেহারাটা সে ভুলতে পারেনা সাথে আয়নার কাছে বসলে তাকে একদম পরীর চেয়েও সুন্দর লাগে।নিশি যখন বিছানাই উঠে ঘুমাতে যাবে তখনি,,
—নিশি?
—হ্যা বলো
—তোমার বালিশটা আমার কাছে।
কিছুক্ষন সোহানের দিকে তাকিয়ে রইলো সে।
—ঠিক আছে আসতে পারে কিন্তু দুরে থাকবা আর মাঝখানে একটা কোলবালিশ রেখে দিবা।
কথাটা বলতে না বলতেই এক লাফে সোহান বিছানার উপর।নিশি এমন দেখে লাফিয়ে উঠলো।মনে মনে বলতে লাগলো,,
—এর হাত থেকে আমাকে তাড়াতাড়ি মুক্তি দাও খোদা।
দুজনেই দু পাশ হয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।কিন্তু সোহান ঘুমালো না।পাশ থেকে ঘুরে নিশির দিকে তাকিয়ে রইলো।নিশি মুখ ঘুরিয়ে নেওয়াই,,
—ওই বুটকি?(ফোনটা কানে ধরে)
শব্দটা শুনতেই,,
—ওই কি বললে তুমি?
পরক্ষনেই সোহানের হাতে ফোন দেখে আবার ঘুরে অন্যপাশ হয়ে গেলো।লজ্জা পেয়ে নিশি নিজের জিহ্বা কামড়ে ধরলো।একটা হাসি দিয়ে সোহান ভাবতে লাগলো,,এখনো বুটকি কথাটা শুনলেই ঠিক আগের মতোই ক্ষেপে উঠে দেখছি।
.
ধীরে ধীরে রাতটা কাটতে লাগলো সোহান ওভাবেই কোলবালিশটা জড়িয়ে ঘুমিয়ে পড়লো।

মাঝ রাতে নিশি হাতের কাছে কি যেন খুজছিলো।পাশ কেটে সোহানের দিকে ফিরে খুজতে লাগলো।হটাৎ হাত লাগতেই সেটা নিশি টানতে লাগলো।কিন্তু কেন যানি সোহান নড়তেছে।তারা তো ঘুমিয়ে পড়েছে কিন্তু তাদের আত্তা গুলো বিছানার উপর বসে রয়েছে,,
—ওই তুমি আমার কোলবালিশ আমাকে দেও?
—কেন এটা আমি আগে থেকে কাছে রেখে ঘুমিয়ে রয়েছি।
এটা বলেই সোহানের আত্তা নিশিকে ধাক্কা মারলো।এটা দেখে নিশির আত্তা রেগে গিয়ে কোলবালিশটাই অদৃশ্য করে ফেললো।ভুলটা বুঝতে পেরে দুজনের আত্তাই ভয়ে ফুরুত হয়ে গেলো।এদিকে কোলবালিশের উদ্দেশ্যে দুজনের হাত এদিক ওদিকে চলতে লাগলো।কিন্তু কোলবালিশ তো নেই আর।হটাৎ নিশির হাতটা গলাই লাগতেই কোলবালিশ ভেবে তাকে টানতে লাগলো।ওদিকে নিশির কোমরে হাত লাগতেই নরম অনুভব পেয়ে কোলবালিশ ভেবে নিশিকে সোহান টানতে শুরু করেছে।টানতে টানতে দুজন দুজনকে ঝাপটে ধরেছে।বেশ গরম লাগাতে কোলবালিশ ভেবে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো দুজন দুজনকে।নিশির মন বলতে লাগলো,,
—বেহায়া নরম পাইলেই কোলবালিশ ভাবতে হবে?ওটা অন্য কিছূও তো হতে পারে?
কিন্তু এর কথা হইতো কেঊ শুনতে পাইনি তাই ওরা ওদের মতোই ঘুমিয়ে যাচ্ছে।রাতে এভাবে এদের একসাথে দেখে খুব সুখি মনে হচ্ছিলো এদের মন দেরকে।

সকালে ঘুম থেকে উঠে নিশি খেয়াল করলো সে সোহানের বুকে ঘুমিয়ে আছে।সে সোহানের বুক থেকে উঠতেই সোহানের ঘুম ভেঙে গেলো।নিশি তাড়াতাড়ি করে সরে গিয়ে,,
—সুযোগ পেয়েই আমাকে জড়িয়ে ধরেছেন?
—কিন্তু এটা কিভাবে হলো?আমিতো কিছুই করিনি।
—তুমি ইচ্ছা করে এরকম করেছো নাহলে কোলবালিশটা মাঝখানেই থাকতো।
সোহান খেয়াল করলো কোলবালিশটা নিশির পাশেই রয়েছে।
—কোলবালিশটা তো তুমি নিজেই সরিয়ে রেখেছো।
—কি বললে?আমি সরিয়েছি?
—হ্যা ওইযে তোমার ওপাশে বালিশ দেখা যাচ্ছে।
নিশি তার পাশে কোলবালিশ দেখে চমকে গেলো।তাহলে কি রাতে সে নিজেই কথাটা ভাবতেই লজ্জাই বিছানা থেকে নেমে পড়লো।
সোহান একটা হাসি দিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেলো।এদিকে চারু নিচে চলে গেলো।সকালের খাবার খেয়ে সোহান নিশিকে নিয়ে রওনা দিয়ে দিলো।
.
.
এভাবে কেটে গেলো প্রাই দু মাস।এদিকে অভি পুরোপুরি সুস্হ হয়ে গিয়েছে।অন্যদিকে নিশির আর সোহানের সম্পর্ক এতোটা গভির হয়ে গিয়েছে যে একজন আরেকজনকে ছাড়া থাকতেই পারেনা।কিন্তু নিশির মনে অভির জন্য ঠিক আগের মতোই জাইগা রয়ে গিয়েছে।সোহান কি পারবে নিশিকে আপন করে নিতে?সেদিন সকালে দুজনেই রেডি হয়ে গেলো তখনি,,
.
চলবে,,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here