শেষ_বিকালের_আলো (২য় পর্ব)

#শেষ_বিকালের_আলো (২য় পর্ব)

অবনী দরজার লুকিং গ্লাস দিয়ে তাকিয়ে দেখলো একজন মহিলা দাঁড়িয়ে আছে দরজার ওপাশে।আধো আলো আধো ছায়াতে চিনতে পারছেনা,তাই দরজা না খুলেই জিজ্ঞেস করলো কে?
বাইরে থেকে উত্তর এলো দরজাটা একটু খুলুন প্লিজ।অবনী ইতস্তত হয়ে দরজা খুলল।

খোলার সাথে সাথেই মহিলাটি হুরমুর করে ঘরের মধ্যে ঢুকে গেলো।অবনী খুব অপ্রস্তুত হয়ে তাকে জিজ্ঞেস করলো,আপনাকে তো ঠিক চিনতে পারলাম না, আপনি কে?
প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে মহিলাটি উলটো প্রশ্ন করলো এটা কি অরণ্য স্যারের বাসা?

অবনী বলল হ্যাঁ কিন্তু আপনি কে?
মহিলাটি আবারও অবনীর প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে বলল তাকে একটু ডেকে দিবেন আমার জরুরি দরকার একটু!
এবার অবনীর মেজাজ খারাপ হয়ে যায়,অবনী চিৎকার করেই বলে উঠলো আপনার পরিচয় কি দিবেন নাকি আপনার কথাই বলে যাবেন শুধু!

ড্রয়িং রুমে অবনীর চিৎকার শুনে অরণ্য উঠে এসে জিজ্ঞেস করতে যাবে এত শব্দ কিসের! কিন্তু জিজ্ঞেস করার আগেই মহিলাটিকে দেখে অরণ্য থমকে যায়। আ-প-নি মানে সা-দি-য়া তুমি এখানে! বাসা চিনলে কিভাবে? বাসায় এসেছো কেন? ফোন দিলেই তো পারতে!এত সকালে কোথা থেকে আসলে?
সাদিয়া উত্তর দিলো আপনার ফোন বন্ধ পাচ্ছিলাম তাই….

অবনী আর নিতে পারছিলো না,সে রুমে গিয়ে ধপ করে বিছানায় বসে পরলো,তার উথাল পাথাল মনে এবার মেঘ গর্জন করতে শুরু করেছে,বৃষ্টি নামলো বলে… কিন্তু অবনী কিছুতেই বৃষ্টি নামতে দিলোনা। সে আর কোনরকম দেরি না করে ব্যাগ গুছিয়ে ফেলল। বাচ্চাদের উঠিয়ে সেই অবস্থায় বাসার বাইরে পা রাখলো। যাওয়ার সময় দেখলো অরন্য খুব মনোযোগ দিয়ে সামনাসামনি বসে মহিলাটির কথা শুনছে,অবনী যে বাচ্চাদের নিয়ে বাইরে চলে গেল সেটিও টের পেলোনা।এতই মনোযোগ দিয়ে শুনছে মহিলাটির কথা!

অবনী রাস্তায় হাটতে হাটতে ভাবছে কোথায় যাবে সে!তার নিজের সাজানো বাসা ছেড়ে এভাবে চলে আসবে হঠাৎ করে তা কি কখনো ভেবেছে!সে কোন ভুল করছে নাতো!
পরক্ষণেই ভাবলো নাহ্…ভুল হবে কেন! চোখের সামনেই যা দেখলো,তারপর আর বোঝার কি বাকি আছে!
অরণ্যর জীবনে এমন গুরুত্বপূর্ণ কে থাকতে পারে যাকে অবনী এখন পর্যন্ত চেনেনা।অরণ্যর আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সব অবনীর চেনা।

হঠাৎ লিনসার ডাকে সৎবিৎ ফিরে পেলো অবনীর। লিনসা জিজ্ঞেস করে উঠলো আম্মু আমরা কোথায় যাচ্ছি? লিনিয়া কোলে ঘুমাচ্ছে তখনও।
কি উত্তর দেবে মেয়েকে!
চলবে….
লেখনী: #নুসু

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here