শেষ_প্রহর,পর্বঃ ০৭

শেষ_প্রহর,পর্বঃ ০৭
জাহান আরা

নিষাদ অপেক্ষা করছে চন্দ্র এখন সোফায় বসবে,তখনই চন্দ্রর ফোন বেজে উঠলো,ফোন হাতে নিয়ে চন্দ্র বারান্দায় চলে গেলো।

নিষাদের মেজাজ টাই খারাপ হয়ে গেলো।এতো অপেক্ষার ফল কে নষ্ট করে দিলো কল দিয়ে?
রাগের মাথায় কফি না খেয়ে শুয়ে রইলো।

সুলতানা কল দিয়েছে,সুলতানা চলে গেছে দিন দুয়েক হলো অথচ চন্দ্রর মনে হচ্ছে যুগ যুগ ধরে সুলতানা বাড়ি নেই,কেমন একা একা লাগছে।

সুলতানার কণ্ঠস্বর কানে যেতেই চন্দ্রর গলায় কথা আটকে গেলো,অজস্র কান্না এসে ভীড় করলো।
সুলতানার কথা এরকম শোনাচ্ছে কেনো?
কি হয়েছে তার?

৩০ সেকেন্ড কথা বলেই সুলতানা ফোন রেখে দিলো,এই ৩০ সেকেন্ড যেনো চন্দ্রর জীবন ওলট-পালট করে দিলো।সুলতানা কান্না জড়ানো কন্ঠে শুধু এটুকুই বলেছে,”তোদের ছেড়ে থাকতে আমার ভীষণ কষ্ট হয় চন্দ্র,আর পারছি না তোদের ছেড়ে থাকতে,আর কতো থাকবো,কালই আসছি”

এতো কাঁদছে কেনো উনি?
কি হয়েছে?
মাতৃত্বকালীন সময় টা কি এমনই?
মুড সুইং কি খুব বেশি হয় সেসময়?

চন্দ্র বুঝতে পারছে না।তার হঠাৎ করেই আরো বেশী মন খারাপ হয়ে যায়। বাচ্চা তার ভীষণ ভালো লাগে,নিজে কি কখনো মা হতে পারবে?
নিষাদের সাথের এই মিথ্যা সম্পর্ক থেকে কবে মুক্তি পাবে তা-ই জানা নেই তার।তার ওপর নিজের লেখাপড়া,অনিতা কে বিয়ে দেওয়া,তারপর নিজে বিয়ে করা,ভীষণ লম্বা এক জার্নি!

অথচ চন্দ্রর মাঝেমাঝে ইচ্ছে করে যদি তারও বিয়ে হয়ে যেতো,ছোট একটা চাকরি করতো জামাই,হোক সেটা কোনো অফিসের পিওন।দুই রুমের একটা বাসায় থাকতো,চন্দ্র নিজে বাজারে যেতো,বাজার করতো,রান্না করতো,দুপুরে লাঞ্চ নিয়ে তার অফিসে দিয়ে আসতো।
অফিস থেকে ফেরার সময় মাঝেমাঝে ফুটপাত থেকে সে চন্দ্রর জন্য একমুঠ কাঁচের চুড়ি নিয়ে আসতো,কখনো নিয়ে আসতো একটা বেলী ফুলের মালা।
চন্দ্রর ভীষণ আনন্দ হতো তখন,খুশিতে চন্দ্র কেঁদে দিতো তাকে ধরে।
শুক্রবারে দুজন মিলে বের হতো,একটা পার্কে বসে আকাশ দেখতো।
ফুটপাত থেকে ফেরার সময় দুজনে চিতুই পিঠা খেতো।২ বছরের মাথায় একটা সন্তান আসতো,চন্দ্র সেই সন্তানের জন্য রাত জেগে নকশীকাঁথা বানাতো।

কেনো জীবন এতো কঠিন হলো?
সেই ছোট সুন্দর সুখী জীবন সে কখনো পাবে না।
চন্দ্র আর ভাবতে পারছে না,মাথাধরা আবার ফিরে এসেছে।

বাহিরে অন্ধকার হয়ে আসছে,আজানের সময় হয়ে গেছে। চন্দ্র ওয়াশরুমে ঢুকে যায়,নিষাদ ও উঠে যায় মসজিদের দিকে।

নামাজ শেষ করে চন্দ্র পড়তে বসে,নিষাদ এসে বিছানায় পিঠ লাগায়,শুয়ে শুয়ে নিষাদ চন্দ্রকে দেখছে।এই মেয়েটা তার বৌ,ভাবতেই নিষাদ রোমাঞ্চিত হয়।আবার মনে হয় যেনো সে স্বপ্ন দেখছে,স্বপ্ন ভাঙলেই দেখবে শুন্য রুম।

চন্দ্র কবে তার সাথে এক বিছানায় থাকবে সেটাই ভেবে পাচ্ছে না নিষাদ।হাত বাড়ালেই চন্দ্রকে ছুঁতে পারবে সে,নড়াচড়া করলেই চন্দ্রর স্পর্শ পাবে।

সেই দিনের জন্য আর কতো অপেক্ষা করবে নিষাদ বুঝতে পারছে না।

চন্দ্রর মাথাব্যথা ভীষণ বেড়ে গেছে,বই গুছিয়ে রেখে সোফায় উঠে শুতে যায়।শুয়েই ভেঙে নিচে পড়ে যায়।
প্রথম অবস্থায় চন্দ্র নিজেই হতভম্ব হয়ে যায় পড়ে যাওয়ায়,তারপর চিৎকার করে উঠে। মাঝখান ভেঙে চন্দ্র নিচে পড়ে গেছে।

চন্দ্রর এই অবস্থা দেখে নিষাদ হাহাহা করে হেসে উঠে,নিচ থেকে নাসিমা বেগমের চিৎকার শোনা যায়,তিনি সিড়ি বেয়ে উপরে উঠে আসছেন চন্দ্রর চিৎকার শুনে।
নিষাদ গিয়ে হাত বাড়িয়ে দেয় চন্দ্রর দিকে টেনে তোলার জন্য,চন্দ্র হাত ধরে টান দিতেই নিষাদ ইচ্ছে করেই নিজের শরীর ছেড়ে দেয়,ধুম করে চন্দ্রর উপর গিয়ে পড়ে।

নাসিমা বেগম রুমের সামনে এসে দাঁড়াতেই দেখতে পায় ছেলে-বৌ সোফার উপর একসাথে। দরজা লাগায় নি কেনো,এটা বলে মৃদু ধমক দিয়েই তিনি দরজা ভেজিয়ে রেখে চলে যান।
নিষাদের অস্থিরতা বেড়ে যায়,চন্দ্রর শরীরের ঘ্রাণ,চন্দ্রর চুলের ঘ্রাণ,সবকিছু নিষাদকে আচ্ছন্ন করে তোলে।শক্ত করে জড়িয়ে ধরে নিষাদ চন্দ্র কে।

চন্দ্র হতভম্ব হয়ে চেতনা হারিয়ে ফেলে যেনো কিছুসময়ের জন্য,নাসিমা বেগম এসে ওদেরকে এক সাথে দেখে গেছে,উনি কি ভাবছেন ওদের এখন,উনি যা ভাবছেন তেমন তো কিছু না।
নিষাদ আচ্ছনের মতো হয়ে যায়,চন্দ্রর কথা কানে যেতেই তড়াক করে উঠে দাঁড়ায়। তারপর চন্দ্রকে টেনে তোলে।

কালাম কে ডেকে সোফা নিয়ে যেতে বলে।কালাম এসে সোফা নিয়ে যায়।নিষাদের কেমন যেনো আনন্দ আনুভব হচ্ছে,আজ থেকে তারা এক বিছানায় ঘুমাবে,নিষাদ একসাইটিং হয়ে যায়।
চন্দ্র মাথায় বাম লাগিয়ে নিচে চলে যায়। দুকাপ চা নিয়ে আসে।
নিষাদকে এক কাপ দিয়ে নিজে বারান্দায় দাঁড়িয়ে এক কাপ খায়।ভালো সোফাটা হঠাৎ করে ভেঙে গেলো কেনো চন্দ্র বুঝতে পারছে না।
বিকেলেও তো ঠিক ছিলো সোফা,এই কিছু সময়ের মধ্যে কি এমন হয়ে গেলো যে সে শুতেই ভেঙে নিচে পড়লো?

চা শেষ করে রুমে যায় চন্দ্র।ফ্লোরের এক কোণে পড়ে থাকা হাতুড়ি দেখে চন্দ্রর সন্দেহ জাগে।
তবে কি নিষাদ এরকমটা করেছে সোফা ভেঙে?
কিন্তু কেনো?
আমি সোফায় ঘুমাই বলে?
তবে কি নিষাদ চায় আমি ওর সাথে বিছানায় ঘুমাই?
না,এটা তো সে চাইবে না,তবে?
তবে কি সে এটা চায় যে আমি ফ্লোরে ঘুমাই?
সবকিছু বিবেচনা করে চন্দ্রর ধারণা হলো নিষাদ এটাই চায় যে চন্দ্র ফ্লোরে ঘুমায়।

চন্দ্রকে এরকম একদৃষ্টিতে হাতুড়ির দিকে তাকিয়ে থাকতে দেখে নিষাদ টের পায় চন্দ্র বুঝে গেছে সোফা ভাঙার বিষয়।
গুটিগুটি পায়ে চন্দ্র এগিয়ে যায় নিষাদের দিকে।

“আমি সোফাতে শুই এটা আপনার সহ্য হয় না,না?”

চন্দ্রর এই সোজা প্রশ্নে নিষাদ খুব খুশি হয়,নিষাদ যে চায় চন্দ্র বিছানায় ঘুমাক সেটা চন্দ্র বুঝতে পেরেছে ভেবে নিষাদ ও হেসে উত্তর দেয়,”না সহ্য হয় না”

“ঠিক আছে,আমি ফ্লোরেই ঘুমাবো,আপনি যখন চান আমি ফ্লোরে থাকি,তবে তাই করবো,আমি যদি শুরুতে বুঝতাম যে আপনার রুমের কোনো আসবাবপত্রে আমার স্পর্শ লাগুক সেটা আপনি চান না,তবে বিশ্বাস করুন আমি প্রথম দিন থেকেই ফ্লোরে শুতাম,আপনি কথাটা আমাকে মুখে বলে দিতে পারতেন,তার জন্য ভালো সোফা ভেঙে বুঝিয়ে দেওয়ার তো কোনো দরকার ছিলো না।”

চন্দ্রর এই অভিযোগ নিষাদকে মূক করে দেয়,সে কি চেয়েছিলো আর চন্দ্র কি ভাবলো?
হতভম্ব নিষাদ বলতে পারে না আর,সে যে চায় চন্দ্র তার সাথে বিছানায় ঘুমাক।
চন্দ্র এই নিষ্ঠুর অভিযোগ কিভাবে করতে পারলো তাকে?
সে কি এতোই অমানবিক?
আজ পর্যন্ত কি চন্দ্রকে একটা ও খারাপ কথা বলেছে সে?
কেনো চন্দ্রর এরকম ভুল ধারণা তাকে নিয়ে তবে?

নিষাদের ভীষণ কষ্ট হয়। চন্দ্র ফ্লোরে ঘুমাবে নিষাদ কিভাবে সেটা সহ্য করবে?
অভিমান,অভিযোগ,বুকের ভিতরের হাহাকার সব মিলিয়ে নিষাদ কে এতো পীড়া দেয় নিষাদ বাসা থেকে বের হয়ে যায়।

কোথায় যাওয়া যায় ভাবতে ভাবতে হাসপাতালে চলে যায়। ৬ তলায় গিয়ে দেখে একজন মাঝবয়সী মহিলা বসে আছে আদিবের কেবিনে।

“আসসালামু আলাইকুম”

মহিলা নিষাদের দিকে তাকিয়ে তারপর সালামের জবাব দেয়, “ওয়ালাইকুম সালাম”

“নিষাদ ভাইয়া,উনি আমার বড় আপা আসমা আর আপা,উনিই নিষাদ ভাইয়া,যিনি আমাকে চাকরি দিয়েছেন।”

আসমা বসা থেকে উঠে যায় আদিবের কথা শুনে,নিষাদ আদিবকে চাকরি দিয়েছে শুনে।নিষাদ বসতে বলে নিজেও বসে,তারপর নিজের করা অপরাধের জন্য আবার মাফ চায় আসমার কাছে।
আসমা হেসে দেয় নিষাদের কথা শুনে। তারপরে বলে,”তোমার বৌ তো ভাই ভারী ভাগ্যবতী এরকম পাগল বর কয়জনে পায়?”

নিষাদ দীর্ঘশ্বাস ফেলে আসমার কথা শুনে।নিষাদের এই দীর্ঘশ্বাস আসমার চেনা,নিজের জীবন পার করে এসেছে ১৫ বছর ধরে এই দীর্ঘশ্বাস ফেলে ফেলে,একটা মানুষের বুকের ভিতর কি পরিমাণ কষ্ট থাকলে সেই মানুষ টা এভাবে দীর্ঘশ্বাস ফেলে তা আসমার জানা আছে”

“কিসের এতো কষ্ট ভাই,আমাকে বলো না হয় বোন ভেবে”

অচেনা অজানা একটা মানুষের এরকম আপন হয়ে বলা কথা নিষাদ কে আরো কষ্ট দেয়,নিজের একজন বড় বোনের অভাব তখনই বুঝতে পারে নিষাদ।
ঝরঝর করে কেঁদে দেয় নিষাদ,চন্দ্রর আজকের কথা নিষাদ কিছুতেই নিতে পারছিলো না।

একমুহূর্তে আসমাকে ভীষণ আপন মনে হলো,গড়গড় করে জীবনের সব বলে দিলো সুস্মিতা থেকে চন্দ্র পর্যন্ত।

আসমা অবাক হয় সব শুনে,এতো বড়লোক একটা ছেলে তার মতো দুপয়সার রাঁধুনির কাছে কান্না করছে,এতো নিরহংকার একটা ছেলেকে ও মেয়েরা কষ্ট দিতে পারে!

আসমা খুঁজে পায় না কিছু।কেউ ভালোবেসে নিরবে সব ছেড়ে দেয় সেটার বড় প্রমাণ নিষাদ,প্রচুর প্রেম মানুষকে কিভাবে বদলে দেয় আসমা তা জানে,খুব ভালো করে জানে।

নিষাদকে সান্ত্বনা দেয়ার কিছু আসমার নেই।

আদিব নিজেও যে কখন কেঁদে ফেলেছে তা নিজেই বুঝতে পারে নি।আদিব প্রথমে কথা বলে উঠে,”জানেন ভাইয়া,আমার আপার ভাগ্য ও আপনার মতো,আজ ১৫ বছর দুলাভাই আপাকে ছেড়ে থাকছে,বিয়ের ১ বছরের মাথায় যে দ্বিতীয় বিয়ে করে চলে গেছে আর আসে নি আপার কাছে,অথচ আপা,তার অপেক্ষায় এখনো বসে আছে যে একসময় তিনি ফিরবেন,নিজের জীবন নষ্ট করছেন এতো দিন ধরে অথচ দুলাভাই একটা বার খবর নেয় নি আজও”

নিষাদ মুহূর্তে নিজের কষ্টের কথা ভুলে যায়,আসমার দিকে তাকায়। আসমার দুচোখ জলে টলমল।১৫ বছর ধরে একজন মানুষ সব সহ্য করে আসছে আর সে কি-না এই দুই দিনেই যুদ্ধে পরাজিত সৈনিকের মতো হয়ে গেছে!

আদিবের কেবিনের বারান্দায় শুয়েই রাত কাটিয়ে দেয়,আসমার,নার্স,ডাক্তার,সবার হাজার বলা সত্ত্বেও কোনো কেবিনে শোয় নি।

কি এক অভিমান বাসা বাঁধে নিষাদের মাঝে,চন্দ্র যতোদিন বিছানায় ঘুমাবে না নিজেও ততদিন বিছানায় ঘুমাবে না বলে ঠিক করে নেয়।
আসমার জন্য এই কেবিনেই আরেকটা বেডের ব্যবস্থা করে দেয় নিষাদ।

আসমা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে,এই ছেলেটা একটা মেয়ের জন্য কেমন পাগলামি করছে অথচ মেয়েটা তাকে বিন্দু মাত্র ভালোবাসে না,ভালোবাসা এতো অদ্ভুত কেনো!

চন্দ্র রুমের দরজা বন্ধ করে ফ্লোরে বিছানা করে শুয়ে পড়ে। নিষাদ বাসায় আসছে না কেনো বুঝতে পারছে না।চন্দ্র ফ্লোরে শুতে পারে না,তার ঠান্ডা লেগে যায়,ছোট বেলা থেকেই এরকম তার,অতচ আজকে কেমন নির্বিকার হয়ে শুয়ে আছে।
মনের আঘাতের কাছে শরীরের ব্যথা হার মেনে যায়।তিনতলা পুরো খালি,সবাই দোতলায়,সার্ভেন্ট কোয়ার্টারে,মাজেদা খালা শুধু বাড়িতে থাকে।
পুরো তিনতলা জনশূন্য হয়ে আছে,যেনো খাঁখাঁ করছে।
চন্দ্রর ভীষণ ভয় করছে হঠাৎ করেই।

জানালার গ্লাস দিয়ে বাহিরে তাকায়,গা ছমছম করছে চন্দ্রর,নিষাদ ছিলো বলে এতোদিন ভয় টের পায় নি,কিন্তু আজকে থাকতে পারছে না।

শোয়া থেকে উঠে বসে যায় চন্দ্র,রুমের সব বাতি জ্বালিয়ে দেয়।উহু,ভয় দূর হচ্ছে না।
রুমের বাহিরে যেনো কারো হাটার শব্দ পাচ্ছে,ওইতো শোনা যায় কে পা টেনে টেনে যাচ্ছে।
যেনো একবার দরজাতে কড়া ও নাড়ছে কেউ।

অস্ফুটস্বরে কেউ যেনো একবার চন্দ্র বলে ডেকে উঠেছে,চন্দ্রর শরীর ঠান্ডা হয়ে আসছে,মনে মনে আয়াতুল কুরসি পড়ছে একদমে,ভয় কিছুটা কমে কিন্তু পুরোপুরি যায় না,বাহির থেকে এখনো সেই পা টেনে চলার শব্দ আসছে।

চন্দ্রর হঠাৎ মনে পড়ে নিজের অতীতের এক ভয়ংকর স্মৃতির কথা,মনে হয় সে-ই এসেছে আজও।চন্দ্রকে একা পেয়েছে সে সেদিনের মতো।

চন্দ্রর কলিজা শুকিয়ে আসছে ভয়ে,দ্রুত ফোন হাতে নেয়,নিষাদ কে কল দিতে হবে,নিষাদের নাম্বারে ডায়াল করে,রিং হচ্ছে কিন্তু রিসিভ করছে না নিষাদ।
চ্ন্দ্র শুনতে পায় বাহিরে কেউ ম্যাচ জ্বালাচ্ছে,চন্দ্র জানে এখন সে সিগারেট খাবে,তারপর চুমুক দিয়ে চা খাবে, তারপর আবার চন্দ্রকে ডাকবে।দরজা খুলতে বলবে।

আজকে আর সে সুযোগ দিবে না,আবার কল দেয় চন্দ্র নিষাদ কে। চন্দ্রর দম বন্ধ হয়ে আসছে,এই সাউন্ডপ্রুফ রুম থেকে চিৎকার করলে নিচে কেউ শুনবে না,দরজা খুলে বাহিরে বের হলে তার সামনে পড়তে হবে,চন্দ্র কিছুতেই এটা পারবে না।

ফোনের শব্দে নিষাদ জেগে গেলো সবেমাত্র চোখ লেগে এসেছে,অচেনা নাম্বার দেখে রিসিভ করে না।
দ্বিতীয় বার ও কল এসেছে নিষাদ তাও রিসিভ করছে না।রাত্রি সাড়ে এগারোটার বেশী বাজে,এখন কল রিসিভ করতে ইচ্ছে করছে না নিষাদের।

আবার কল বেজে উঠে,বিরক্ত হয়ে নিষাদ ফোন সাইলেন্ট করে রাখে কারো সাথে কথা বলতে ইচ্ছে করছে না তার।

চলবে….???

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here