#রোমান্টিক_বর,পর্বঃ 5 Last
(ডাইরিতে আরহা)
#আসিফ_আহমেদ
এতো মায়া যে খুব কাছে টানে।পার্কের সবুজ ঘাসে উপর হাটছি দুজন।আশেপাশে অনেক কাঁপলও আছে আমাদের মত।যারা প্রিয়জনের হাতেহাত রেখে হাটছে।তবেঁ আমার বর মিঃহ্যাংলাটা পাশে হাটলেও হাত ধরেনি।কয়েক বার আঙ্গুলের সাথে আঙ্গুল ইস্পশ হয়েছে।বুঝতে পারছি মিঃ হাত ধরতে চাচ্ছে তবেঁ সাহস করতে পারছেনা।কিন্ত নিজের বউ এর হাত ধরবে এতে সাহস সন্চয়ের কি আছে। সালা হ্যাংলা খুব তো রোমান্টিকতা শুধু বউ এর হাতটা ধরতে পারেনা।ইচ্ছা করছে আমিই ধরে।মিঃ আফ্রিকার কালো হনুমান(নাহ!কালো হনুমান হতে যাবে কেনো দেখতে তো অনেক ফর্সা।উমম সাদা হনুমান!কিন্ত হনুমান আবার সাদা হয় নাকি)
আর হাত ধরবেনা তা ঠিক বুঝতে পারছি তাই আমিই হুট করে তার হাত ধরলাম।মিঃ আমার দিকে একবার দেখলো তারপর মুচ্কি হেসে হাটা শুরু করলো।
.
দুজনে পার্কটার চারপাশে ঘুরছি। তবেঁ হাতে-হাত রেখে। হঠাং কোথা থেকে একটি মেয়ে এসে
–আরে আপনি আসিফ আহমেদ না?(অচেনা মেয়ে)
.
–জি! তবেঁ আপনি কে?(আসিফ)
.
–আমি!আমি আপনার অনেক বড় ফ্রেন্ড ফলয়ার(অচেনা মেয়ে)
.
–মানে ঠিক বুঝলাম না?(আসিফ)
.
–বুঝিয়ে বললেতো বুঝবেন মিঃ(অচেনা মেয়েটি)
.
মেয়েটির ভাবভঙ্গি দেখে আমার সারা শরিল জ্বলছে।খাচচুন্নি,শাঁকচুন্নি আমার বরের সাথে কেমন রহস্যময় ভাবে কথা বলছে।
–তো বুঝিয়ে বলুন?(আসিফ)
.
–হাহাহা মিঃ আমি আপনার গল্প পাঠিকা।আপনার প্রতেকটা গল্পই আমি পড়েছি।তবেঁ কখনো ভাবিনি আপনার সাথে আমার দেখা হবে।তাও আবার এশহরে(অচেনা মেয়েটি)
.
–তা পাঠিকা জানেন তো পৃথিবীটা গোল?এখানে একজন আরেকজনের সাথে দেখা হওয়াটাই সাভাবিক(আসিফ)
.
–হমম তা ঠিক।তবেঁ আপনার মত একজন লেখকের সাথে দেখা হবে এটা কখনো ভাবিনি(অচেনা মেয়েটি)
.
–হাহাহা(আসিফ)
.
সালা মিঃবজ্জাত মেয়েটার সাথে কি হেসে কথা বলছে।ইচ্ছা করছে(থাক কমুনা)।তবেঁ হ্যাংলাটা গল্প লিখে?কই আগে জানতাম নাতো।বইমেলাতে কি তার বই প্রকাশ হয়েছে।হতেও পারে মেয়েটি তো বলছে তার গল্প পড়ে।যদি প্রকাশ হয়ে থাকে তো বাসায় তার গল্পের বই নিশ্চয় থাকবে।বাসায় গিয়ে আমিও পড়বো তাহলে।
–তা লেখক সাহেব ওনি কে(অচেনা মেয়েটি)
আমাকে উদ্দেশ করে
–গল্পের নায়কা এবং আমার জিবন গল্পেরও নায়কা(আসিফ)
.
–মানে?(অচেনা মেয়েটি)
.
–মানে ওনি হলো বউ আরহা(আসিফ)
.
–আরহা মানে?ওনি কি আপনার গল্পের নায়কা আরহা আপু। ওআল্লাহ গল্পের মাঝে কত পড়েছি তাকে?আপনা লেখা প্রতেকটা গল্পের নায়কার নাম আরহা
.
আরহা মানে?তাদের কথার আগামাথা কিছু বুঝতেছিনা?কিসের গল্পের নায়কার নাম আরহা।এতো রহস্য লাগছে কেনো তাদের কথা।
নাহ!সত্যিই মাথায় কিছু ঠুকছেনা।বাসায় গিয়ে আগে তার গল্পের বই খুঁজতে হবে।তাহলে হয়তো এরহস্য ধরতে পারবো।
.
তারপর আরো অনেক কথা বললো তারা।আমি শুধু মাঝেমাঝে একটু আধটু মুচ্কি হাসলাম।তবেঁ এখন আর তাদের কথা বলা দেখে জ্বলছেনা বরং ভালোই লাগছে।মেয়েটিকে বেশ ভালো লাগছে।কথার ছলটাও বেশ গোছালো আর হাসানো টাইপের।খুব সহজেই কারো মন ভালো করে দিতে পারে।ও হ্যা মেয়েটির নাম কিন্ত সুপ্তি!নামের সাথে বেশ মিল আছে।
!!
এখন প্রায় সন্ধা।আধার নেমে আসলেও চারপাশটা লাইটের আলোই ভরপুর।বাইকের উপর বসে আছি।আমার বর মিঃআসিফকে জরিয়ে ধরে।এখন বারবার ব্যক কষতে হচ্ছে তার।আসার সময় তো ইচ্ছা করে ব্যক মেরেছে এখন জ্যাম এর কারনে।ঘন্টা ক্ষানিক লাগবে বাসায় যেতে।মুখে কিছুটা বিরক্তের ছাপ তা লুকিং গ্লাসের মাধ্যমে দেখতে পাচ্ছি।এখন ভালো লাগছে তার ব্যক মারাতে।প্রতিবার ব্যক মারাতে আমি তার পিঠের সাথে ধাক্কা খাই।যদিও নিজের ইচ্ছাতে।ইস!তখন না চান্দু খুব শরিলের সাথে লাগাতে চাইছিলে এবার নাহয় আমি ওই লাগাই হাহাহা
..
..
তারপর জ্যাম ছাড়ি বাসায় এলাম তবেঁ মিঃআসিফ আসেনি।আমায় গেটের সামনে নামিয়ে দিয়ে তিনি কোথায় জেনো গেলো।বললো একটু জরুরি কাজ আছে।আর আমি রুমে এসে ফ্রেস হয়ে একটু বিশরাম নিচ্ছিলাম হঠাং গল্পের কথা মনে পড়ে যায়।তাই তাড়াতাড়ি উঠে বুকশেলফে খুঁজতে লাগলাম।ওনির একটা বুকশেলফ আছে সেখানে অনেক গল্পের বই আছে।আর সবচেয়ে বেশি বই দেখলাম হুমায়ূন আহম্মেদ স্যারের।নিশ্চয় মিঃহ্যাংলাটা হুমায়ূন প্রেমি!
এতো এতো বই এর মাঝে পেলাম না।হঠাং চোখ যায় একটা ডাইরির উপর।দেখেই বুঝা যাচ্ছে এটা ডাইরি।তবেঁ ডাইরির নামটা বেশ অদূর্ত! #কাচা_পাতা।বেশ রহস্যকর নামটা।অন্যর ডাইরি পড়া নিষেধ তবুও আমি ডাইরিটা খুললাম।প্রথম পেইজে
২০১৮ সাল
~আজ প্রথম ডাইরি লিখতেছি।আগে কখনো এতে অবস্তু নেই।ডাইরিটা আমার এ কাছের বন্ধু অনেক দিন আগে গিফট করেছিল।এতোদিন লেখা হয়নি।তবেঁ আজ লিখছি একটি অদূর্ত ঘটনা।
রাজশাহী গিয়েছিলাম আমার এক ফ্রেন্ডের (রাব্বির)বিয়েতে।ভালো চলছিলো বিয়ে বাড়িতে।খুব আনন্দের মাঝে ছিলাম।কিন্তু এরি মাঝে ঘটে বিপত্তি।
একটা মেয়েকে দেখে।
হলুদ শাড়ি,মাথায় কদম ফুলের মালা,চোখে গাঢ় করে কাজল দেওয়া,ঠোট গুলো গোলাপী লিপস্টিক দেওয়া।জেনো গোলাপের পাপড়ি।মুখে প্রচুর মায়া।বিয়ে বাড়িতে এ একপিসি যে কিনা আটা-ময়দা ছাড়া।এতোটা মায়া যে আমি সে বাঁধনে আটকে গিয়েছি।আর এতোটা ঘর্রের মাঝে ছিলাম যে তাকে এতো মানুষের সামনে তাকে প্রপোজ করে বসি।মেয়েটি অবাক হয়ে চেয়ে রয় আমার দিকে।হঠাং আমার ঘর্র কাটতেই বুঝতে পারি কি করতে যাচ্ছিলাম আমি।আশেপাশের মানুষ গুলো অবাক হয়ে চেয়ে রয় আমাদের দিকে।আমি ভিশন লজ্জা পাই।এতোটাই লজ্জা পাই যে ব্যাগ-ট্যাগ রেখে বিয়ে বাড়ি ছেড়ে সজা গাড়ি করে ঢাকায় চলে আসি।
আমার জন্য বোধহয় মেয়েটিও ভিশন লজ্জা পায়।তবেঁ ভালো যখন বেশেছি এতো সহজে তো হারিয়ে যেতে দিবোনা।তাই তো রাব্বির মাধ্যমে তার খোজ নিয়ে জানতে পারি নাম #আরহা আর সেও এসেছে তার কাজিনের বিয়েতে। থাকে ঢাকায়।একি শহরে থাকি দুজনা।রাব্বির কাছ থেকে তার ঠিকানা নিয়ে তার কাছে যাই তবেঁ আরাল থেকে দেখতাম।কখনো সামনে যাইনি।
আমি ২০১৮ সাল থেকে ফেসবুকে গল্প লিখতাম।খুব একটা ভালো হতো না তা ঠিক বুঝতে পাড়তাম।তবুও লিখতাম ভালো লাগে যে আমার তাই।তখন গল্পের নায়কার নাম ছিলো ভিন্ন ভিন্ন।তবেঁ যখন আরহা আমার জিবনে আসে তখন থেকে আমার প্রতিটা গল্পের নায়কার নাম দিতাম আরহা।
২০২০সাল
~~আজ আমি অনেক খুশি।কারন আজ আরহার সাথে আমার বিয়ে।অনেক কষ্টের পর এসফলতা।
আমি আরাল থেকে তাকে রোজ দেখতাম।অবস্থান টা বেশ দূর্ত না থাকায়।তবেঁ সামনে গিয়ে ভালোবাসা কথাটি আর বলিনি।পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটা কম্পানিতে জব পাই আর তাই তো সজা গিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেই।আর তারাও রাজি হয়ে যায়।তবেঁ আমি আরহাকে আরাল থেকে দেখে বুঝেছি এবিয়েতে সে খুব বিরক্ত।থাক না একটু অসচ্ছল ভালোবাসায় পূরন করে দিবো নাহয়।
!!
আমি ৮নাম্বার পেইজ উল্টায়
আজ আমাদের বাসর রাত।বাসর ঘড়ে ঢুকেই মেয়েটিকে ভিশন লজ্জা দিয়েছি।ইস!কি লজ্জাটাই না পেয়েছে।তার ওই লজ্জা মাখা মুখ দেখে আমি আবার তার প্রেমে পড়ে গেছি ঠিক প্রথম বারের মত।
.
আমি ৯নাম্বার পেইজ উল্টিয়ে দেখে শূন্য পাতা।একেঁএকেঁ পর্বতি পেইজ উল্টিয়ে দেখে শূন্য পাতাই।আর কিছু লেখা নেই ডাইরিতে।তবেঁ আমার এখন ভিশন ভালো লাগছে। যাকে মনে মনে একটু ভালোবেসে ছিলাম সে মানুষটা আজ আমার জিবন সঙ্গি।মিঃ হ্যাংলাটা কতটা রোমান্টিক।ইস!আমাকে কিভাবে নিজের করে নিলো।ভাবতেই একরাশ ভালো লাগা ছেয়ে যায় রিদয়ে।হঠাং একটা রং নাম্বার থেকে ফোন আসে।ধরবো না ধরবোনা দুটানায় পড়ে ধরেই ফেললাম।কিন্ত পরক্ষনে এপাশ থেকে যা বললো তা শুনে হাত থেকে ফোনটা পড়ে গেলো।আমি ছুটে চলললা হাসপাতালের দিকে।কারণ আসিফ বাইক এক্সিডেন্ট করেছে।
::
::
–এই পাগলি কাদে কেনো?আরে কিছু হয়নি তো।সামান্য হাতে আর পায়ে একটু ব্যাথা পেয়েছি।এই দেখো আমি সম্পূন সুস্থ?প্লিজ কাদে না?মানুষ কি বলবে বলো।
তবেঁ কে শোনে কার কথা।পাগলিটা একনাগাড়ে কেঁদেই চলেছে।
“আমি জানি তার এই কান্নাটা অনেকা ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করে
যা একটা সম্পর্ককে আরো মজবুদ করে।ছেড়ে যাওয়ার সম্পর্কটা কম থাকে।
.
পাগলিটাকে বুকের মাঝে আরো শক্ত করে ধরে রইলাম।এভাবেই জেনো সারাজীবন রাখতে পারি তার জন্য দোয়া করবেন কেমন😃
💚💜#সমাপ্ত💖💝