মনসায়রী’ ১২.

‘মনসায়রী’

১২.
ভ্যাপসা বাতাস এসে জানালার কাঁচে এসে বাড়ি খাচ্ছে। দূরের কোনো একটা ডালে একটা পাখির উদাসী ডাক ভেসে আসছে। চেনা সেই ডাক। মনপোড়া গন্ধমাখানো সেই তেজ৷ যখন মনিপুরীতে অন্ধকারের ছায়া নামে। মেঘের কৃষ্ণকন্যা আয়েশী ভঙ্গিতে হাই তোলে। বৃষ্টি বৃষ্টি ভাব। অথচ,বৃষ্টি নেই। কোনো তৃষ্ণার্থ কৃষক সিক্ত চোখে প্রার্থনায় ব্যাকুল হয়ে ওঠে ক্ষণে ক্ষণে।
জলের তৃষ্ণায় ক্লান্তিতে চোখ বুঁজে আসে বুড়ো কাকের।

অফিসের এই সেক্টরে কর্মরত সকলেরই মরি মরি দশা। করিডোর ছেড়ে ফারাহ সি সেক্টরের এদিকে আসলো। গরমের উত্তাপে অনেক জায়গায় ছুটাছুটি করছে সে। কোনো জায়গাতেই বাতাস পাচ্ছে না। অফিসে সব জায়গাতেই এসি লাগানো। কিন্তু কপাল! কারেন্ট চলে গেছে এক ঘন্টা। ওদিকে জেনারেটরও নষ্ট হয়েছে।
পুরো অফিস গরমে কাহিল। সবাই রাগে গা খিটমিট করে ফিসফিসিয়ে আফসোসের সুরে বলছে, বাতাসের মতো আলোটাও কেনো ডুবে যায় না! তাহলে তো আর আজকে কাজ করতে হবে না! বড়ই বাচ্চামো খেয়াল। তবুও, মাঝে মাঝে বুড়ো মনে বাচ্চা হতে ইচ্ছে করে। ফানুসের মতো জ্বলজ্বল করে স্বাধীন হতে ইচ্ছে করে ঐ বিশাল আকাশের বুকে।

ফারাহ হাত দিয়ে পাখার মতো মিথ্যা বাতাস করে হেঁটে আসলো। ক্লান্ত মুখে কম্পিউটারে মুখ গুঁজে একের পর এক ফাইল চেক করে ভুলগুলো শুধরে দিয়ে চোখের চশমাটা খুলে ডেস্কে রেখে টিস্যু দিয়ে মুখটা মুছে নিলো দুপুর। ইদানীং কম্পিউটারের ক্ষতিকর রশ্নিতে টানা তাকিয়ে থাকায় চোখ দিয়ে পানি পড়ে। মাঝে মাঝে ঘুমে চোখ বন্ধ হয়ে আসে। একটা ভালো ডাক্তার দেখাতে হবে। ভাবতে ভাবতে কারো স্পর্শ কাঁধে অনুভব করে মুখ তুলে চাইলো। ফারাহ মায়াবী স্বরে বলল,

‘কিছুক্ষণ আরাম করে নাও। সবাই-ই মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছে। অফিসে বস ছুটি না দিলেও সে জানে কেউ-ই কাজে আগ্রহী নয়। তুমি এসো কিছু খেয়ে আসি। ‘

দুপুর একটু পর পরই ঘেমে যাচ্ছে। পেটে ক্ষুধাও আছে। কিন্তু নতুন নতুন চাকরিতে কাজ ফেলে যাওয়াটা নিজের কাছেই অস্বস্তিকর। তাই মুচকি হেসে বলল,

‘ফারাহ ম্যাম, আমার কিছু কাজ এখনো বাকী আছে। এগুলো শেষ করে তারপর নাহয় যাবো। ‘

ফারাহ আদেশের সুরে বলল,

‘আরে রাখো তোমার কাজ! ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়েছো। চলো বাহির থেকে কিছু খেয়ে আসি। বাহিরে একটু হলেও হয়তো বাতাস থাকবে। ‘

অগত্যাই দুপুর বিনাবাক্যে ডেস্ক ছাড়লো। সুতির ওড়নাটা কাঁধ অব্দি টেনে নিয়ে ফারাহর পেছনে গেলো গুটিগুটি পায়ে। ফারাহ মোটামুটি ভালোই লম্বা। গায়ের রং কালো হলেও চেহারাটা বুদ্ধিদীপ্ত। হাবভাবে স্মার্টনেস প্রকাশ পায়। দুপুরের নিজের জামা কাপড় নিয়ে কখনোই বিন্দুমাত্র মাথাব্যাথা ছিলোনা। কিন্তু, অফিসে জয়েনের পর এই নিম্নবর্গের পোশাকগুলো অনেকটাই বেমানান লাগে। কাজ করতে করতে নিজের দিকে তাকিয়ে দেখতেই যেখানে দুপুর ভুলে যায়। সেখানে ওর দিকে তাকিয়ে দুই একজন সহকারী মেয়েরা মুখ চেপে হেঁসে ফিসফিস করে কীসব যেনো বলে। প্রথমে ব্যাপারটা খুব আত্মসম্মানে লেগেছিলো। আবার, যখন নিজের কাপড়ের দিকে তাকালো তখন সত্যিই মনে হলো নিজেকে অতিতুচ্ছ উচ্ছিষ্ট। ফারাহর পড়নে একটা একটা সাদা ছোটো হাতার টপস আর প্লাজু। গলার এক পাশে সৌখিনতা নিয়ে এঁটে বসেছে নীল কারুকাজের ওড়না। ফারাহ যখন হাই হিলস পড়ে পায়ের পর পা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলো তখন তাঁর পেছনে থাকা দুপুর মাথা উঁচিয়ে উঁকি দিয়ে আশপাশের দোকান দেখছে। একটা হোটেলের থেকে ফারাহ দুটো শর্মা আর বার্গার নিলো। পাশেই কফিশপ। ওখান থেকে দুই কাপ কফি। দুপুর নিজের খাবারের বিল দেয়ার জন্য টাকা বের করলেও ফারাহ কিছুতেই বিল দিতে দিলো না। নিজেই সব টাকা দিলো। অফিসে এসে দুপুরকে টেনেটুনে ব্যালকনিতে নিয়ে আসলো। অফিসিয়াল জায়গা হলেও, ব্যালকনিটা সুসজ্জিত করা নানানরকম দেশি-বিদেশি প্ল্যান্টে। একপাশে এলোভ্যারা আর ক্যাকটাস জাতীয়। আর অন্য পাশে অপরাজিতার মতো চোখ ধাঁধানো সব ফুল। আজ অফিসে কাজ করার পনেরো দিন। দুপুর শুধু নিজের ইউনিটটাই চেনে। কখনো কখনো উপরের ইউনিটে কাজের জন্য যেতে হয়। ঘোরাঘুরি করে দেখার চেষ্টা করেনি সে। ইচ্ছে হয়নি তা নয়। কিন্তু, যখনই মনে পড়ে অফিস শেষ আবার টিউশন করে নিজের পড়া পড়তে হবে তখনই আর কিছুতে মন বসেনা। যতদ্রুত সম্ভব কাজ সব শেষ করে অফিস থেকে বের হতে পারলেই যেনো বাঁচে।
ফারাহ ব্যালকনির গ্লাস খুলে দিলো সব। দমকা হাওয়া হুড়মুড় করে চুল উড়িয়ে দিয়ে যাচ্ছে। ফারাহ দুটো চেয়ার টেনে দুপুরের দিকে তাকিয়ে বলল,

‘এসো বসো। কফি খেতে খেতে গল্প করি৷ ‘

দুপুর হেঁসে কফি হাতে চেয়ারে বসলো। ফারাহর সাথে গল্প করতে করতে অনেকটা সময় কেটে গেলো। দুপুরের অনুভব হলো, এক কাপ কফি আর সাথে গল্প করার একজন মানুষ। ব্যাপারটা একটু নয় অনেকটা সুন্দর। এরমাঝেই ফারাহ বলল,
‘দুপুর তুমি ট্যুর নিয়ে কী ভাবলে?’

দুপুর বুঝতে না পেরে বলল,
‘কীসের ট্যুর আপু?’

‘ওহ, তুমি তো এবারই নতুন তাই জানো না৷ প্রতি বছর আমাদের বিজনেস গ্রুপ থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ইভেন্ট। ওখানেই আট দশটা দিন কাজ করতে গ্রুপের সাথে। আমি তো ভীষণ এক্সাইটেড। ‘

দুপুর অনেক চিন্তায় পড়ে বলল,

‘এবারের ট্যুরটা কোথায় হবে আপু?’

‘আগের বার সিলেটে হয়েছিলো। এবার হয়তো কুয়াকাটা বা কক্সবাজারে হবে। কাজ নিয়ে অতো টেনশন করো না। মুখেই বলা হয় অনেক কাজ৷ ওখানে সবাই কাজ করে দশ ভাগ আর নব্বই ভাগ ঘুরাঘুরি। ‘

দুপুরের মুখ চুপসে গেলো। ভয়টা তো কাজ নিয়ে নয়। যদি দুপুরকে বলা হয় খাবার ঘুম বাদ দিয়ে কাজ করতে তাহলে দুপুর সেখানেও রাজি হবে। চিন্তা হলো আগে কখনো এতদূরে গিয়ে থাকেনি। আবার, টিউশনিও তো আছে। ভেতরের অস্থিরতা ফারাহকে টের পেতে দিলো না দুপুর। সে হাসিমুখে বসে রইলো ফারাহর পাশে। এটা বোধ সৃষ্টিকর্তার প্রদত্ত কোনো শক্তি। কঠিন খোলস দ্বারা সবসময় আবৃত করে রাখে সে নিজেকে। কাউকে বুঝতে দেয়না, এই বুঝদার ভাবুক শান্ত দুপুরের মাঝেও একটা অস্থির চঞ্চল মন লুকিয়ে আছে। যা সে মাটিচাপা দিয়ে অর্থের পেছনে দৌড়াচ্ছে। দৌড়ে দুপুর আজ ভীষণ তৃষ্ণার্থ একটুখানি বিশ্রামের, একটা ভরসার হাতের, আর কিছুটা ভালোবাসার।

ওদের গল্পের মাঝে চেয়ার টেনে দুপুরের পাশে বসে পড়লো হিয়ান। মুখে হাসি লেপ্টে আছে। গরমে থাকায় সবুজ শার্টটা ভিজে জবজব করছে। হিয়ান বসে বলল,

‘বাপরে! দুজন কীসের এতো গল্প করছো? এখানে যে এতো বাতাস আমাকে কেউ বললে না কেনো? আমি গরমে অস্থির হয়ে কুকু’রের মতো হাপিত্যেশ করে ম’রছি। ‘

দুপুর আর ফারাহ দুজনেই উচ্চশব্দে হেঁসে উঠলো। হিয়ান দুই হাত দিয়ে বাতাস নিজের কাছে নিয়ে আসার ভঙ্গি করে কথাটা বললো। তিনজন গল্প করছিলো। দুই মিনিটের ভেতরই ম্যাজিকের মতো কারেন্ট চলে আসলো৷ তিনজনই অবাক হলো। হিয়ান মজা করে বলল,

‘বাহ! আমি তোমাদের পাশে এসে বসে যেই একটু গল্প করতে নিলাম ওমনি কারেন্ট চলে আসলো! একেই বলে কপাল! ‘

কারেন্ট চলে আসায় যেনো সে খুবই দুঃখ পেলো। এরপর হাসিঠাট্টা করতে করতে যে যার ডেস্কে চলে গেলো কাজের জন্য। এখন তো আর কাজ ফাঁকি দেয়ার কোনো অযুহাত নেই।

প্রচন্ড বাতাস আর বর্জ্যপাতের শব্দে আকাশের দিকে ভীত চোখে তাকিয়ে আছে দুপুর। কেনো যে পাকনামি করতে গেলো কে জানে! এখন বুঝতে পারছে হিয়ানের সাথে গেলেই ভালো হতো। অফিস ছুটি হলো তখন বাজে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা৷ সব গুছিয়ে বের হতে হবে হতে সাতটা বাজলো প্রায়। সবার সাথেই বের হয়েছিলো দুপুর। তখনও তেমন বৃষ্টি নেই। হালকা ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি যা হয় আরকি। অফিস যেহেতু অনেকটাই দূরে তা-ই রিকশাতেই আসা যাওয়া করে। অফিস গেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলো দুপুর, রিকশার জন্য। হিয়ান বাইক নিয়ে এসে ওকে বলল,

‘বৃষ্টির সময় গাড়িঘোড়া কখন পাবে ঠিক নেই। এসো তোমাকে বাড়ি পৌঁছে দেই। ‘

বিব্রত হলো দুপুর। বাইকের অতটুকু জায়গায় একসাথে বসাটা অনেক লজ্জা লাগলো ভাবতেই৷ তাই দুপুর বলল,

‘না না ভাইয়া, একটু পরই রিকশায় করে চলে যাবো আমি। কোনো সমস্যা নেই। ‘

‘কী বলছো! আরে আসো তাড়াতাড়ি যেতে পারবে। ‘

‘আপনি যান ভাইয়া। আমি যেতে পারবো। ‘

বিনয়ী হেঁসে কথাটা বলতেই হিয়ান কিছু ভেবে বলল,

‘ঠিক আছে তাহলে। সাবধানে যেয়ো। ‘

হিয়ান চলে গেছে আধা ঘণ্টা। বৃষ্টির গতি দশগুণ বেড়েছে। অর্ধেক জামা কাপড়ই বৃষ্টির পানিতে ভিজে গেছে। এই পরিস্থিতিতে কী করবে বুঝতে পারছেনা। এতো বৃষ্টিতে কোনো গাড়ি সত্যিই এদিকে আসবেনা। এককোনায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি কমার অপেক্ষা করছে দুপুর। মনটা ভয়ে এক চিমটি হয়ে গেছে। কেউ সাথে নেই বলে আরো বেশি ভয় লাগছে।

ঝুমঝুম বৃষ্টির মাঝে এটা সাদা লাইট এগিয়ে আসছে হর্ণ দিতে দিতে। আশায় চোখ জ্বলজ্বল করে উঠলো দুপুরের। যদি একটু সাহায্য করে! সামনে এগিয়ে গিয়ে দাঁড়িয়ে রইলো। দুপুরের সামনে দিয়ে গাড়ি ক্রস করতে নিলেই দুপুর হাত দিয়ে ইশারা করলো থামাতে। দুই হাত সামনে গিয়েই গাড়ি থেমে গেলো। গাড়ির জানালার কাঁচে হাত দিয়ে টোকা দিতেই জানালা খুলে গেলো। বৃষ্টির পানিতে চোখে কিছু দেখছেনা দুপুর। না দেখেই দুপুর অসহায় মুখে বলল,

‘একটু লিফট দেয়া যাবে? আমি ভাড়া দিয়ে দেবো। ‘

ভেতর থেকে গম্ভীর গলার আওয়াজ ভেসে আসলো,

‘উঠুন৷ ‘

বলেই গাড়ির দরজা খুলে দিলো সায়র৷ দুপুর বৃষ্টির ঝাঁপটা থেকে বাঁচতে হুড়োহুড়ি করে ভেতরে ঢুকলো। জামাকাপড় তখন পুরোই ভিজে গেছে। ঠান্ডায় যা তা অবস্থা৷ বৃষ্টিভেজা মুখ দুই হাতে মুছতে মুছতে ড্রাইভিং সিটের দিকে তাকালো দুপুর। ভূত দেখার মতো লাফ দিয়ে সোজা হয়ে গেলো সে। এখানেও এই ছেলে! দুপুর হকচকিয়ে বলল,

‘তুমি!এখানে কী করছো?’

‘কেনো রাস্তাটা কী নিষিদ্ধ? আসা যাবেনা এখানে! ‘

‘তা নয় ৷ কিন্তু তুমি! ‘

‘হ্যা আমি। অফিসেই যাচ্ছিলাম। কিন্তু, বৃষ্টির জন্য আবার ব্যাক করতে হলো। ‘

নির্লিপ্ত চোখে দুপুরের দিকে তাকালো সায়র৷ দুপুর তা সেভাবে খেয়াল করেনি। সে ভেজা ওড়নাটা গলা থেকে একটু সরিয়ে রাখছে। বেশি সময় গলায় পড়লে জ্বর আসবে। আবার পাশে একজন ছেলে বসায় কীভাবে সরাবে সেটাও বুঝতে পারছেনা৷ সায়রের অবাধ্য মন আর দৃষ্টি দু’টোই দুপুরের দিকে। চুল ভিজে খুলে গেছে। চোখে খানিকটা কাজল বৃষ্টিতে ধুয়ে ছাপ স্পষ্ট করে রেখে গেছে। টুপটুপ করে গলদেশে বৃষ্টির পানিতে সিক্ত হচ্ছে।
শ্বাস আঁটকে রাখলো সায়র। পাছে কেউ টের পেলে! চোখ সরিয়ে পেছনের সিট থেকে একটা প্যাকেট নিয়ে দুপুরের দিকে বাড়িয়ে বলল,

‘ওড়নাটা সরিয়ে এটা পড়ুন। ‘

দুপুর কৌতুহলী চোখে তাকিয়ে প্যাকেটটা খুললো। একটা মখমলি শাল অসাধারণ ডিজাইন করা। বেশ দামী বোঝা যায়। দুপুর সেটা সায়রের দিকে বাড়িয়ে দিয়ে বলল,

‘ধন্যবাদ। আমার লাগবেনা। ‘

সায়র এমন একটা দৃষ্টি ফেলে বলল,

‘ঠিক আছে, তাহলে আমিও তাকিয়ে থাকবো। ‘

সিক্ত কাপড়ের দিকে ইঙ্গিতটা বুঝতে পেরে ভেজা বেড়ালের মতো সুরসুর করে শালটা গায়ে জড়িয়ে নিলো দুপুর। এমন করে সায়র কথাটা বলেছে লজ্জায় গায়ে কাটা দিয়ে উঠলো। আরো অস্বস্তি লাগছে। দুপুর নিজের লোকেশন বলে থম মেরে বসে রইলো। নিজের বাসার সামনে গাড়ি থামতেই হন্তদন্ত হয়ে দরজা খুলে নেমে পড়লো। বৃষ্টি তখন অনেকটাই কমেছে। কিছু না বলে দুই কদম পেরিয়ে আবার ফিরে আসলো। গায়ের শালটা খুলে ভাজ করে সায়রের দিকে দিয়ে বলল,

‘এই ছেলে,এটা নিয়ে যাও। ‘

সায়র গাড়ি চালু করতে করতে বলল,

‘দরকার নেই। ওটা সাথে নিয়ে যান। ‘

দুপুর ভ্রু কুচকে বলল,

‘তোমার শাল নিয়ে আমি কী করবো!’

সায়র হা না কিছু বলল না। দুপুর কী বলবে ভেবে না পেয়ে চলে যাচ্ছিলো। সায়র পেছন থেকে শান্ত সুরে বলল,

‘শুধু শাল নিয়ে আমিই বা কী করবো! আমার তো আরো পাওনা আছে আপনার কাছে। ‘

দুপুর ওখানে থেকেই অবাক চোখে তাকিয়ে বলল,

‘আর কী পাওনা আছে? ‘

ততক্ষণে গাড়ি ছেড়ে দিয়েছে। চলে যাচ্ছে শো শো করে। দুপুর চমকে উঠলো। কী বললো ছেলেটা! দুপুর কী ভুল শুনলো! মনে হলো সায়র বলল,

‘আপনাকে পাওয়া বাকী আছে। ‘

চলবে-
লেখায়-নাঈমা হোসেন রোদসী।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here